
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মা–বাবারা প্রায়ই বিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের হয়রানি করেন। দিনে রাতে যেকোনো সময়, এমনকি ছুটির দিনেও তাঁরা ফোন করে অবিরাম অভিযোগ করতে থাকেন।
শিক্ষক লি মিন–সো গত ৫ জুন তাঁর ডায়েরিতে লেখেন, শ্রেণিকক্ষে ঢুকতেই তাঁর মধ্যে ভয় ঢুকে যায়। ‘আমার বুক ভারী হয়ে আসছে। আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও পড়ে যাব। আমি কোথায় আছি তাও জানি না!’
গত ৩ জুলাই ডায়েরিতে তিনি লেখেন, কাজের চাপে তাঁর উন্মাদ হওয়ার অবস্থা। চাকরি ছেড়ে দিতে চান।
এর দুই সপ্তাহ পরে সহকর্মীরা শ্রেণিকক্ষের আলমারি থেকে ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। বিবিসি ভুক্তভোগীর পরিবারের অনুরোধে তাঁর নাম গোপন রেখেছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
মিন–সোর শূন্য অ্যাপার্টমেন্টে এখন শুধু অ্যাকুয়ারিয়ামে যত্ন করে রাখা গোল্ডফিশই থাকে। তাঁর এলোমেলো বিছানার পাশে জমে আছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির স্তূপ। সেসব ছবিতে শিক্ষার্থীরা লিখে রেখেছে তারা মিন–সোকে কতটা ভালোবাসে! এর নিচেই পড়ে আছে হতাশার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ডায়েরি।
মিন–সোর শূন্য ঘর গোছানোর ছুতোয় চোখের পানি লুকোচ্ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই পার্ক দু ইয়ং। তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় মিন–সো শিক্ষকতা করেছেন। মায়ের দেখাদেখি এ পেশায় আসা তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল। বাচ্চাদের খুব পছন্দ করতেন।’
মিন–সোর মৃত্যুর পর পুলিশ এ আত্মহত্যার জন্য সাম্প্রতিক কোনো বিচ্ছেদকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এরপর পার্ক নিজেই গোয়েন্দার ভূমিকা নিয়ে মিন–সোর ডায়েরি, মেসেজ ও কাজের নথি খুঁজে বের করেন।
সে কাগজপত্রগুলো থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মিন–সোকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অযথা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর এক শিক্ষার্থী পেনসিল দিয়ে আরেক শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত করে। এ নিয়ে তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
ছয় সপ্তাহ ধরে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক সিউলে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁরা শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে অভিহিত হওয়ার ভয়ে এতটাই ভীত যে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা শেখাতে বা তাদের মারামারির মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারছেন না।
শিক্ষকেরা অভিভাবকদের বিরুদ্ধে শিশু কল্যাণ আইনের অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। ২০১৪ সালে পাস হওয়া এ আইন অনুসারে, কোনো শিক্ষক শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি বরখাস্ত হবেন।
কোনো আক্রমণাত্মক শিশুকে বাধা দিলে সে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হতে পারে। শিশুকে মুখে বাধা দিলেও তা হবে মানসিক নির্যাতন। এসব অভিযোগের ফলে শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
এরকম একটি ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, এক অভিভাবক তাঁর সন্তানকে প্রতিদিন সকালে ফোনকল করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শিক্ষক সে অনুরোধ ফিরিয়ে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এমনকি সহপাঠীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ায় শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর পুরস্কারের স্টিকার তুলে ফেলার ঘটনাতেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
বিক্ষোভে ২৮ বছর বয়সী এক শিক্ষক কিম জিন–সিও বলেন, তাঁরও আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় এসেছিল এবং নিজেকে সামলাতে তিনি তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন। তিনি এক অবাধ্য শিক্ষার্থীকে বাথরুমে ৫ মিনিট সময় নিয়ে শান্ত হয়ে আসতে বলেন। আরেক ঘটনায়, তিনি এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর বাবা–মায়ের কাছে মারামারির অভিযোগ দেন। দুই ঘটনাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
কিম বলেন, তিনি এতোটাই কোণঠাসা বোধ করছেন যে, তাঁর মনে হয়, তিনি আর নিরাপদে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা অত্যন্ত অসহায় বোধ করি। যারা সরাসরি ভুক্তভোগী তাঁরা মানসিকভাবে বদলে গেছেন, আর যারা ভুক্তভোগী নন তাঁরা অন্যদের ভুগতে দেখেছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন অভিযোগের সংস্কৃতির পেছনে ভয়ানক প্রতিযোগিতাপূর্ণ সমাজও কিছুটা দায়ী। শিশুরা ছোটকাল থেকেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে, যাতে ভবিষ্যতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকেরা সন্তানকে অতিরিক্ত–পাঠ্যক্রম এমন ব্যয়বহুল স্কুলে পাঠান। স্কুলের পরে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকে।
আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দম্পতিরা যেখানে ৫–৬টি সন্তান নিতেন, এখনকার দম্পতিরা সেখানে মাত্র একটি সন্তান নেন। ফলে সেই সন্তানের ওপর তাঁদের প্রত্যাশাও থাকে অনেক বেশি।
অধ্যাপক কিম বং–জে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অসমতাও এ পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ী।
কোরিয়ার সংস্কৃতিতে শিক্ষকদের সম্মান করার কঠোর নীতি রয়েছে। কিন্তু দেশটির রকেট গতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে অনেক অভিভাবকই এখন উচ্চশিক্ষিত। এই অভিভাবকেরা শিক্ষকদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন।
শিক্ষক কেওন বলেন, তাঁর ১০ বছরের শিক্ষকতায় তিনি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কারণে বিষণ্নতা ও হতাশা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ অসুস্থতার ছুটি নিয়েছিলেন।
চার বছর আগেও অবাধ্য শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের পেছনে বা বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু কয়েক বছর থেকে অভিভাবকেরা শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা শুরু করেছেন। শিক্ষক কেওন সম্প্রতি একটি তুলনামূলক দরিদ্র এলাকার স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধনী এলাকার অভিভাবকদের আচার–ব্যবহার বেশি আপত্তিকর।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মা–বাবারা প্রায়ই বিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের হয়রানি করেন। দিনে রাতে যেকোনো সময়, এমনকি ছুটির দিনেও তাঁরা ফোন করে অবিরাম অভিযোগ করতে থাকেন।
শিক্ষক লি মিন–সো গত ৫ জুন তাঁর ডায়েরিতে লেখেন, শ্রেণিকক্ষে ঢুকতেই তাঁর মধ্যে ভয় ঢুকে যায়। ‘আমার বুক ভারী হয়ে আসছে। আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও পড়ে যাব। আমি কোথায় আছি তাও জানি না!’
গত ৩ জুলাই ডায়েরিতে তিনি লেখেন, কাজের চাপে তাঁর উন্মাদ হওয়ার অবস্থা। চাকরি ছেড়ে দিতে চান।
এর দুই সপ্তাহ পরে সহকর্মীরা শ্রেণিকক্ষের আলমারি থেকে ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। বিবিসি ভুক্তভোগীর পরিবারের অনুরোধে তাঁর নাম গোপন রেখেছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
মিন–সোর শূন্য অ্যাপার্টমেন্টে এখন শুধু অ্যাকুয়ারিয়ামে যত্ন করে রাখা গোল্ডফিশই থাকে। তাঁর এলোমেলো বিছানার পাশে জমে আছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির স্তূপ। সেসব ছবিতে শিক্ষার্থীরা লিখে রেখেছে তারা মিন–সোকে কতটা ভালোবাসে! এর নিচেই পড়ে আছে হতাশার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ডায়েরি।
মিন–সোর শূন্য ঘর গোছানোর ছুতোয় চোখের পানি লুকোচ্ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই পার্ক দু ইয়ং। তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় মিন–সো শিক্ষকতা করেছেন। মায়ের দেখাদেখি এ পেশায় আসা তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল। বাচ্চাদের খুব পছন্দ করতেন।’
মিন–সোর মৃত্যুর পর পুলিশ এ আত্মহত্যার জন্য সাম্প্রতিক কোনো বিচ্ছেদকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এরপর পার্ক নিজেই গোয়েন্দার ভূমিকা নিয়ে মিন–সোর ডায়েরি, মেসেজ ও কাজের নথি খুঁজে বের করেন।
সে কাগজপত্রগুলো থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মিন–সোকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অযথা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর এক শিক্ষার্থী পেনসিল দিয়ে আরেক শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত করে। এ নিয়ে তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
ছয় সপ্তাহ ধরে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক সিউলে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁরা শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে অভিহিত হওয়ার ভয়ে এতটাই ভীত যে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা শেখাতে বা তাদের মারামারির মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারছেন না।
শিক্ষকেরা অভিভাবকদের বিরুদ্ধে শিশু কল্যাণ আইনের অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। ২০১৪ সালে পাস হওয়া এ আইন অনুসারে, কোনো শিক্ষক শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি বরখাস্ত হবেন।
কোনো আক্রমণাত্মক শিশুকে বাধা দিলে সে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হতে পারে। শিশুকে মুখে বাধা দিলেও তা হবে মানসিক নির্যাতন। এসব অভিযোগের ফলে শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
এরকম একটি ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, এক অভিভাবক তাঁর সন্তানকে প্রতিদিন সকালে ফোনকল করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শিক্ষক সে অনুরোধ ফিরিয়ে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এমনকি সহপাঠীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ায় শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর পুরস্কারের স্টিকার তুলে ফেলার ঘটনাতেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
বিক্ষোভে ২৮ বছর বয়সী এক শিক্ষক কিম জিন–সিও বলেন, তাঁরও আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় এসেছিল এবং নিজেকে সামলাতে তিনি তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন। তিনি এক অবাধ্য শিক্ষার্থীকে বাথরুমে ৫ মিনিট সময় নিয়ে শান্ত হয়ে আসতে বলেন। আরেক ঘটনায়, তিনি এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর বাবা–মায়ের কাছে মারামারির অভিযোগ দেন। দুই ঘটনাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
কিম বলেন, তিনি এতোটাই কোণঠাসা বোধ করছেন যে, তাঁর মনে হয়, তিনি আর নিরাপদে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা অত্যন্ত অসহায় বোধ করি। যারা সরাসরি ভুক্তভোগী তাঁরা মানসিকভাবে বদলে গেছেন, আর যারা ভুক্তভোগী নন তাঁরা অন্যদের ভুগতে দেখেছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন অভিযোগের সংস্কৃতির পেছনে ভয়ানক প্রতিযোগিতাপূর্ণ সমাজও কিছুটা দায়ী। শিশুরা ছোটকাল থেকেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে, যাতে ভবিষ্যতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকেরা সন্তানকে অতিরিক্ত–পাঠ্যক্রম এমন ব্যয়বহুল স্কুলে পাঠান। স্কুলের পরে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকে।
আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দম্পতিরা যেখানে ৫–৬টি সন্তান নিতেন, এখনকার দম্পতিরা সেখানে মাত্র একটি সন্তান নেন। ফলে সেই সন্তানের ওপর তাঁদের প্রত্যাশাও থাকে অনেক বেশি।
অধ্যাপক কিম বং–জে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অসমতাও এ পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ী।
কোরিয়ার সংস্কৃতিতে শিক্ষকদের সম্মান করার কঠোর নীতি রয়েছে। কিন্তু দেশটির রকেট গতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে অনেক অভিভাবকই এখন উচ্চশিক্ষিত। এই অভিভাবকেরা শিক্ষকদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন।
শিক্ষক কেওন বলেন, তাঁর ১০ বছরের শিক্ষকতায় তিনি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কারণে বিষণ্নতা ও হতাশা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ অসুস্থতার ছুটি নিয়েছিলেন।
চার বছর আগেও অবাধ্য শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের পেছনে বা বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু কয়েক বছর থেকে অভিভাবকেরা শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা শুরু করেছেন। শিক্ষক কেওন সম্প্রতি একটি তুলনামূলক দরিদ্র এলাকার স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধনী এলাকার অভিভাবকদের আচার–ব্যবহার বেশি আপত্তিকর।’

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে