
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মা–বাবারা প্রায়ই বিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের হয়রানি করেন। দিনে রাতে যেকোনো সময়, এমনকি ছুটির দিনেও তাঁরা ফোন করে অবিরাম অভিযোগ করতে থাকেন।
শিক্ষক লি মিন–সো গত ৫ জুন তাঁর ডায়েরিতে লেখেন, শ্রেণিকক্ষে ঢুকতেই তাঁর মধ্যে ভয় ঢুকে যায়। ‘আমার বুক ভারী হয়ে আসছে। আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও পড়ে যাব। আমি কোথায় আছি তাও জানি না!’
গত ৩ জুলাই ডায়েরিতে তিনি লেখেন, কাজের চাপে তাঁর উন্মাদ হওয়ার অবস্থা। চাকরি ছেড়ে দিতে চান।
এর দুই সপ্তাহ পরে সহকর্মীরা শ্রেণিকক্ষের আলমারি থেকে ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। বিবিসি ভুক্তভোগীর পরিবারের অনুরোধে তাঁর নাম গোপন রেখেছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
মিন–সোর শূন্য অ্যাপার্টমেন্টে এখন শুধু অ্যাকুয়ারিয়ামে যত্ন করে রাখা গোল্ডফিশই থাকে। তাঁর এলোমেলো বিছানার পাশে জমে আছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির স্তূপ। সেসব ছবিতে শিক্ষার্থীরা লিখে রেখেছে তারা মিন–সোকে কতটা ভালোবাসে! এর নিচেই পড়ে আছে হতাশার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ডায়েরি।
মিন–সোর শূন্য ঘর গোছানোর ছুতোয় চোখের পানি লুকোচ্ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই পার্ক দু ইয়ং। তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় মিন–সো শিক্ষকতা করেছেন। মায়ের দেখাদেখি এ পেশায় আসা তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল। বাচ্চাদের খুব পছন্দ করতেন।’
মিন–সোর মৃত্যুর পর পুলিশ এ আত্মহত্যার জন্য সাম্প্রতিক কোনো বিচ্ছেদকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এরপর পার্ক নিজেই গোয়েন্দার ভূমিকা নিয়ে মিন–সোর ডায়েরি, মেসেজ ও কাজের নথি খুঁজে বের করেন।
সে কাগজপত্রগুলো থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মিন–সোকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অযথা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর এক শিক্ষার্থী পেনসিল দিয়ে আরেক শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত করে। এ নিয়ে তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
ছয় সপ্তাহ ধরে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক সিউলে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁরা শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে অভিহিত হওয়ার ভয়ে এতটাই ভীত যে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা শেখাতে বা তাদের মারামারির মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারছেন না।
শিক্ষকেরা অভিভাবকদের বিরুদ্ধে শিশু কল্যাণ আইনের অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। ২০১৪ সালে পাস হওয়া এ আইন অনুসারে, কোনো শিক্ষক শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি বরখাস্ত হবেন।
কোনো আক্রমণাত্মক শিশুকে বাধা দিলে সে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হতে পারে। শিশুকে মুখে বাধা দিলেও তা হবে মানসিক নির্যাতন। এসব অভিযোগের ফলে শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
এরকম একটি ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, এক অভিভাবক তাঁর সন্তানকে প্রতিদিন সকালে ফোনকল করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শিক্ষক সে অনুরোধ ফিরিয়ে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এমনকি সহপাঠীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ায় শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর পুরস্কারের স্টিকার তুলে ফেলার ঘটনাতেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
বিক্ষোভে ২৮ বছর বয়সী এক শিক্ষক কিম জিন–সিও বলেন, তাঁরও আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় এসেছিল এবং নিজেকে সামলাতে তিনি তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন। তিনি এক অবাধ্য শিক্ষার্থীকে বাথরুমে ৫ মিনিট সময় নিয়ে শান্ত হয়ে আসতে বলেন। আরেক ঘটনায়, তিনি এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর বাবা–মায়ের কাছে মারামারির অভিযোগ দেন। দুই ঘটনাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
কিম বলেন, তিনি এতোটাই কোণঠাসা বোধ করছেন যে, তাঁর মনে হয়, তিনি আর নিরাপদে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা অত্যন্ত অসহায় বোধ করি। যারা সরাসরি ভুক্তভোগী তাঁরা মানসিকভাবে বদলে গেছেন, আর যারা ভুক্তভোগী নন তাঁরা অন্যদের ভুগতে দেখেছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন অভিযোগের সংস্কৃতির পেছনে ভয়ানক প্রতিযোগিতাপূর্ণ সমাজও কিছুটা দায়ী। শিশুরা ছোটকাল থেকেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে, যাতে ভবিষ্যতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকেরা সন্তানকে অতিরিক্ত–পাঠ্যক্রম এমন ব্যয়বহুল স্কুলে পাঠান। স্কুলের পরে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকে।
আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দম্পতিরা যেখানে ৫–৬টি সন্তান নিতেন, এখনকার দম্পতিরা সেখানে মাত্র একটি সন্তান নেন। ফলে সেই সন্তানের ওপর তাঁদের প্রত্যাশাও থাকে অনেক বেশি।
অধ্যাপক কিম বং–জে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অসমতাও এ পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ী।
কোরিয়ার সংস্কৃতিতে শিক্ষকদের সম্মান করার কঠোর নীতি রয়েছে। কিন্তু দেশটির রকেট গতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে অনেক অভিভাবকই এখন উচ্চশিক্ষিত। এই অভিভাবকেরা শিক্ষকদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন।
শিক্ষক কেওন বলেন, তাঁর ১০ বছরের শিক্ষকতায় তিনি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কারণে বিষণ্নতা ও হতাশা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ অসুস্থতার ছুটি নিয়েছিলেন।
চার বছর আগেও অবাধ্য শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের পেছনে বা বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু কয়েক বছর থেকে অভিভাবকেরা শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা শুরু করেছেন। শিক্ষক কেওন সম্প্রতি একটি তুলনামূলক দরিদ্র এলাকার স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধনী এলাকার অভিভাবকদের আচার–ব্যবহার বেশি আপত্তিকর।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মা–বাবারা প্রায়ই বিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের হয়রানি করেন। দিনে রাতে যেকোনো সময়, এমনকি ছুটির দিনেও তাঁরা ফোন করে অবিরাম অভিযোগ করতে থাকেন।
শিক্ষক লি মিন–সো গত ৫ জুন তাঁর ডায়েরিতে লেখেন, শ্রেণিকক্ষে ঢুকতেই তাঁর মধ্যে ভয় ঢুকে যায়। ‘আমার বুক ভারী হয়ে আসছে। আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও পড়ে যাব। আমি কোথায় আছি তাও জানি না!’
গত ৩ জুলাই ডায়েরিতে তিনি লেখেন, কাজের চাপে তাঁর উন্মাদ হওয়ার অবস্থা। চাকরি ছেড়ে দিতে চান।
এর দুই সপ্তাহ পরে সহকর্মীরা শ্রেণিকক্ষের আলমারি থেকে ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। বিবিসি ভুক্তভোগীর পরিবারের অনুরোধে তাঁর নাম গোপন রেখেছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
মিন–সোর শূন্য অ্যাপার্টমেন্টে এখন শুধু অ্যাকুয়ারিয়ামে যত্ন করে রাখা গোল্ডফিশই থাকে। তাঁর এলোমেলো বিছানার পাশে জমে আছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির স্তূপ। সেসব ছবিতে শিক্ষার্থীরা লিখে রেখেছে তারা মিন–সোকে কতটা ভালোবাসে! এর নিচেই পড়ে আছে হতাশার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ডায়েরি।
মিন–সোর শূন্য ঘর গোছানোর ছুতোয় চোখের পানি লুকোচ্ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই পার্ক দু ইয়ং। তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় মিন–সো শিক্ষকতা করেছেন। মায়ের দেখাদেখি এ পেশায় আসা তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল। বাচ্চাদের খুব পছন্দ করতেন।’
মিন–সোর মৃত্যুর পর পুলিশ এ আত্মহত্যার জন্য সাম্প্রতিক কোনো বিচ্ছেদকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এরপর পার্ক নিজেই গোয়েন্দার ভূমিকা নিয়ে মিন–সোর ডায়েরি, মেসেজ ও কাজের নথি খুঁজে বের করেন।
সে কাগজপত্রগুলো থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মিন–সোকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অযথা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর এক শিক্ষার্থী পেনসিল দিয়ে আরেক শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত করে। এ নিয়ে তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
ছয় সপ্তাহ ধরে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক সিউলে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁরা শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে অভিহিত হওয়ার ভয়ে এতটাই ভীত যে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা শেখাতে বা তাদের মারামারির মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারছেন না।
শিক্ষকেরা অভিভাবকদের বিরুদ্ধে শিশু কল্যাণ আইনের অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। ২০১৪ সালে পাস হওয়া এ আইন অনুসারে, কোনো শিক্ষক শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি বরখাস্ত হবেন।
কোনো আক্রমণাত্মক শিশুকে বাধা দিলে সে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হতে পারে। শিশুকে মুখে বাধা দিলেও তা হবে মানসিক নির্যাতন। এসব অভিযোগের ফলে শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
এরকম একটি ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, এক অভিভাবক তাঁর সন্তানকে প্রতিদিন সকালে ফোনকল করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শিক্ষক সে অনুরোধ ফিরিয়ে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এমনকি সহপাঠীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ায় শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর পুরস্কারের স্টিকার তুলে ফেলার ঘটনাতেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
বিক্ষোভে ২৮ বছর বয়সী এক শিক্ষক কিম জিন–সিও বলেন, তাঁরও আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় এসেছিল এবং নিজেকে সামলাতে তিনি তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন। তিনি এক অবাধ্য শিক্ষার্থীকে বাথরুমে ৫ মিনিট সময় নিয়ে শান্ত হয়ে আসতে বলেন। আরেক ঘটনায়, তিনি এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর বাবা–মায়ের কাছে মারামারির অভিযোগ দেন। দুই ঘটনাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
কিম বলেন, তিনি এতোটাই কোণঠাসা বোধ করছেন যে, তাঁর মনে হয়, তিনি আর নিরাপদে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা অত্যন্ত অসহায় বোধ করি। যারা সরাসরি ভুক্তভোগী তাঁরা মানসিকভাবে বদলে গেছেন, আর যারা ভুক্তভোগী নন তাঁরা অন্যদের ভুগতে দেখেছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন অভিযোগের সংস্কৃতির পেছনে ভয়ানক প্রতিযোগিতাপূর্ণ সমাজও কিছুটা দায়ী। শিশুরা ছোটকাল থেকেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে, যাতে ভবিষ্যতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকেরা সন্তানকে অতিরিক্ত–পাঠ্যক্রম এমন ব্যয়বহুল স্কুলে পাঠান। স্কুলের পরে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকে।
আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দম্পতিরা যেখানে ৫–৬টি সন্তান নিতেন, এখনকার দম্পতিরা সেখানে মাত্র একটি সন্তান নেন। ফলে সেই সন্তানের ওপর তাঁদের প্রত্যাশাও থাকে অনেক বেশি।
অধ্যাপক কিম বং–জে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অসমতাও এ পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ী।
কোরিয়ার সংস্কৃতিতে শিক্ষকদের সম্মান করার কঠোর নীতি রয়েছে। কিন্তু দেশটির রকেট গতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে অনেক অভিভাবকই এখন উচ্চশিক্ষিত। এই অভিভাবকেরা শিক্ষকদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন।
শিক্ষক কেওন বলেন, তাঁর ১০ বছরের শিক্ষকতায় তিনি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কারণে বিষণ্নতা ও হতাশা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ অসুস্থতার ছুটি নিয়েছিলেন।
চার বছর আগেও অবাধ্য শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের পেছনে বা বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু কয়েক বছর থেকে অভিভাবকেরা শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা শুরু করেছেন। শিক্ষক কেওন সম্প্রতি একটি তুলনামূলক দরিদ্র এলাকার স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধনী এলাকার অভিভাবকদের আচার–ব্যবহার বেশি আপত্তিকর।’

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
৩০ মিনিট আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
২ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
২ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
৩০ মিনিট আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
পশ্চিম জার্মানির গেলসেনকির্শেন শহরের স্পারকাসে সেভিংস ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বড় ড্রিল ব্যবহার করে আনুমানিক ৩ কোটি ইউরো (৪৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে ডাকাতির কাহিনিনির্ভর হলিউডের সিনেমা ‘ওশানস ইলেভেন’-এর সঙ্গে তুলনা করে এএফপি বার্তা সংস্থাকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি অত্যন্ত পেশাদারভাবে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির সময় অর্থ, স্বর্ণ ও গহনা রাখা ৩ হাজারেরও বেশি সেফ ডিপোজিট বক্স ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গেলসেনকির্শেন পুলিশ জানায়, গত সোমবার ভোররাতে ফায়ার অ্যালার্ম সক্রিয় হলে তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। তখন ক্রিসমাসের ছুটি চলছিল। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুয়ের জেলায় নিয়েনহোফস্ট্রাসে অবস্থিত ওই ভবনে ডাকাতি চালায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা পাশের একটি পার্কিং গ্যারেজ ব্যবহার করে ব্যাংকে ঢোকে এবং সেখান দিয়েই পালিয়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাত থেকে গত রোববার ভোর পর্যন্ত ওই ভবনটির গ্যারেজের সিঁড়িঘরে কয়েকজন পুরুষকে বড় বড় ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে সোমবার ভোরে ডে-লা-শেভালারি-স্ট্রাসে অবস্থিত গ্যারেজ থেকে একটি কালো অডি আরএস ৬ গাড়িকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সোমবার ভোররাতে একটি ফায়ার-অ্যালার্ম বাজলে ভূগর্ভস্থ ভল্ট রুমে ঢোকার জন্য করা গর্তটি ধরা পড়ে। এরপর পুলিশ ও দমকল বাহিনী ভবনটিতে তল্লাশি চালায়।
চুরির ঘটনায় ব্যাংকের শাখাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশ সেফ ডিপোজিট বক্স খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
পশ্চিম জার্মানির গেলসেনকির্শেন শহরের স্পারকাসে সেভিংস ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বড় ড্রিল ব্যবহার করে আনুমানিক ৩ কোটি ইউরো (৪৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে ডাকাতির কাহিনিনির্ভর হলিউডের সিনেমা ‘ওশানস ইলেভেন’-এর সঙ্গে তুলনা করে এএফপি বার্তা সংস্থাকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি অত্যন্ত পেশাদারভাবে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির সময় অর্থ, স্বর্ণ ও গহনা রাখা ৩ হাজারেরও বেশি সেফ ডিপোজিট বক্স ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গেলসেনকির্শেন পুলিশ জানায়, গত সোমবার ভোররাতে ফায়ার অ্যালার্ম সক্রিয় হলে তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। তখন ক্রিসমাসের ছুটি চলছিল। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুয়ের জেলায় নিয়েনহোফস্ট্রাসে অবস্থিত ওই ভবনে ডাকাতি চালায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা পাশের একটি পার্কিং গ্যারেজ ব্যবহার করে ব্যাংকে ঢোকে এবং সেখান দিয়েই পালিয়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাত থেকে গত রোববার ভোর পর্যন্ত ওই ভবনটির গ্যারেজের সিঁড়িঘরে কয়েকজন পুরুষকে বড় বড় ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে সোমবার ভোরে ডে-লা-শেভালারি-স্ট্রাসে অবস্থিত গ্যারেজ থেকে একটি কালো অডি আরএস ৬ গাড়িকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সোমবার ভোররাতে একটি ফায়ার-অ্যালার্ম বাজলে ভূগর্ভস্থ ভল্ট রুমে ঢোকার জন্য করা গর্তটি ধরা পড়ে। এরপর পুলিশ ও দমকল বাহিনী ভবনটিতে তল্লাশি চালায়।
চুরির ঘটনায় ব্যাংকের শাখাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশ সেফ ডিপোজিট বক্স খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
৩০ মিনিট আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
২ ঘণ্টা আগে
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যাকশনএইড, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো পরিচিত আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) গুলোর লাইসেন্স ১ জানুয়ারি থেকে স্থগিত করা হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশ। তারা বলছে, নতুন নিয়মগুলো ‘অতিরিক্তভাবে কঠোর’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’।
এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রম জোরপূর্বক বন্ধ করে দিলে স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি সেবায় প্রবেশাধিকার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এখনো ‘বিপর্যয়কর’ উল্লেখ করে তাঁরা ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান জানান, যাতে এনজিওগুলো টেকসই এবং আগের মতো কাজ করতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপগুলোর ফলে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়বে না। মন্ত্রণালয়টি জানায়, জাতিসংঘের সংস্থা, দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং মানবিক সংগঠনসহ ‘অনুমোদিত ও যাচাইকৃত চ্যানেল’ দিয়ে সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
তাদের দাবি, সহায়তা সংস্থাগুলোর লাইসেন্স বাতিলের প্রধান কারণ হলো, তাদের কর্মীদের বিষয়ে সম্পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো যা মানবিক কাঠামোয় ‘সন্ত্রাসী অপারেটিভদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ইসরায়েল।
এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, অক্টোবর মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহে কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে পরের মাসেও প্রায় ১ লাখ মানুষ ‘চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মুখোমুখি ছিল।
তবে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাত দাবি করেছে, যেসব সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করা হবে, তারা বর্তমান যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় কোনো সহায়তা আনেনি। সংস্থাটি আরও জানায়, অতীতেও তাদের সম্মিলিত অবদান মোট সহায়তার মাত্র প্রায় ১ শতাংশ ছিল।
ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ১৫ শতাংশেরও কম নতুন নিয়ন্ত্রক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে।
ওই নিয়ন্ত্রক কাঠামোতে লাইসেন্স বাতিলের একাধিক ভিত্তি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
১. ইসরায়েলকে একটি ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করা
২. হলোকাস্ট বা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো হামলা অস্বীকার করা
৩. শত্রু রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে সমর্থন করা
৪. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধতা আরোপের প্রচারণা’ চালানো
৫. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানানো বা তাতে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার করা
৬. বিদেশি বা আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকে সমর্থন করা
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের সংস্থা এবং ২০০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিম আগেই সতর্ক করে বলেছিল, নতুন নিবন্ধন নীতিমালা গাজা ও পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রমকে মৌলিকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
তাদের ভাষায়, ‘এই ব্যবস্থা অস্পষ্ট, খামখেয়ালি ও অত্যন্ত রাজনৈতিক মানদণ্ডের ওপর নির্ভরশীল এবং এমন সব শর্ত আরোপ করছে, যা মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন না করে বা মানবিক নীতির মূল ভিত্তি ক্ষুণ্ন না করে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিমের মতে, বর্তমানে গাজায় অধিকাংশ ফিল্ড হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা বা সহায়তা, জরুরি আশ্রয় কার্যক্রম, পানি ও স্যানিটেশন সেবা, তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য পুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মাইন অপসারণ কার্যক্রম আইএনজিওগুলোর মাধ্যমেই পরিচালিত বা সমর্থিত হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই চিকলি বলেন, ‘বার্তাটি স্পষ্ট: মানবিক সহায়তা স্বাগত কিন্তু সন্ত্রাসবাদের জন্য মানবিক কাঠামোর অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’
কার্যক্রম স্থগিত হতে যাচ্ছে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে কেয়ার, মেডিকো ইন্টারন্যাশনাল এবং মেডিক্যাল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ানস।

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যাকশনএইড, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো পরিচিত আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) গুলোর লাইসেন্স ১ জানুয়ারি থেকে স্থগিত করা হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশ। তারা বলছে, নতুন নিয়মগুলো ‘অতিরিক্তভাবে কঠোর’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’।
এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রম জোরপূর্বক বন্ধ করে দিলে স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি সেবায় প্রবেশাধিকার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এখনো ‘বিপর্যয়কর’ উল্লেখ করে তাঁরা ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান জানান, যাতে এনজিওগুলো টেকসই এবং আগের মতো কাজ করতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপগুলোর ফলে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়বে না। মন্ত্রণালয়টি জানায়, জাতিসংঘের সংস্থা, দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং মানবিক সংগঠনসহ ‘অনুমোদিত ও যাচাইকৃত চ্যানেল’ দিয়ে সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
তাদের দাবি, সহায়তা সংস্থাগুলোর লাইসেন্স বাতিলের প্রধান কারণ হলো, তাদের কর্মীদের বিষয়ে সম্পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো যা মানবিক কাঠামোয় ‘সন্ত্রাসী অপারেটিভদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ইসরায়েল।
এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, অক্টোবর মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহে কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে পরের মাসেও প্রায় ১ লাখ মানুষ ‘চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মুখোমুখি ছিল।
তবে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাত দাবি করেছে, যেসব সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করা হবে, তারা বর্তমান যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় কোনো সহায়তা আনেনি। সংস্থাটি আরও জানায়, অতীতেও তাদের সম্মিলিত অবদান মোট সহায়তার মাত্র প্রায় ১ শতাংশ ছিল।
ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ১৫ শতাংশেরও কম নতুন নিয়ন্ত্রক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে।
ওই নিয়ন্ত্রক কাঠামোতে লাইসেন্স বাতিলের একাধিক ভিত্তি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
১. ইসরায়েলকে একটি ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করা
২. হলোকাস্ট বা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো হামলা অস্বীকার করা
৩. শত্রু রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে সমর্থন করা
৪. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধতা আরোপের প্রচারণা’ চালানো
৫. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানানো বা তাতে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার করা
৬. বিদেশি বা আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকে সমর্থন করা
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের সংস্থা এবং ২০০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিম আগেই সতর্ক করে বলেছিল, নতুন নিবন্ধন নীতিমালা গাজা ও পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রমকে মৌলিকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
তাদের ভাষায়, ‘এই ব্যবস্থা অস্পষ্ট, খামখেয়ালি ও অত্যন্ত রাজনৈতিক মানদণ্ডের ওপর নির্ভরশীল এবং এমন সব শর্ত আরোপ করছে, যা মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন না করে বা মানবিক নীতির মূল ভিত্তি ক্ষুণ্ন না করে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিমের মতে, বর্তমানে গাজায় অধিকাংশ ফিল্ড হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা বা সহায়তা, জরুরি আশ্রয় কার্যক্রম, পানি ও স্যানিটেশন সেবা, তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য পুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মাইন অপসারণ কার্যক্রম আইএনজিওগুলোর মাধ্যমেই পরিচালিত বা সমর্থিত হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই চিকলি বলেন, ‘বার্তাটি স্পষ্ট: মানবিক সহায়তা স্বাগত কিন্তু সন্ত্রাসবাদের জন্য মানবিক কাঠামোর অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’
কার্যক্রম স্থগিত হতে যাচ্ছে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে কেয়ার, মেডিকো ইন্টারন্যাশনাল এবং মেডিক্যাল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ানস।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
৩০ মিনিট আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
২ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৪ ঘণ্টা আগে