আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার সংঘাতকবলিত উত্তরাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দেশটির নাইজার অঙ্গরাজ্যের পাপিরি এলাকার সেন্ট মেরিস ক্যাথলিক স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে হামলাকারীরা কারা, কিংবা কতজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়—সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় টিভি চ্যানেল অ্যারাইস টিভি জানিয়েছে, ৫২ জন স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, শিশুদের উদ্ধারে বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এই হামলা ও অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে নাইজেরিয়ার কেব্বি অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুল থেকে ২৫ ছাত্রীকে অপহরণের মাত্র চার দিন পর। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, নাইজেরিয়ায় কেন বারবার স্কুলগুলো লক্ষ্যবস্তু হয় এবং স্কুলছাত্রীদের অপহরণ করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণ এখন নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের মতে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে স্কুল হলো কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু—যেখানে হামলা করলে বেশি মনোযোগ পাওয়া যায়।
ইউনিসেফ গত বছর বলেছিল, সংঘাত প্রবণ ১০টি অঙ্গরাজ্যের মাত্র ৩৭ শতাংশ স্কুলে হুমকি শনাক্তের প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে এমন সময়ে এসব অপহরণের ঘটনা ঘটছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করছেন নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের ওপর গণহত্যা চলছে।
বাস্তবে দেশটিতে হামলার শিকার হন মুসলিম ও খ্রিষ্টান উভয়ই। চলতি সপ্তাহে কেব্বি রাজ্যের যে স্কুলে হামলা হয়েছে, সেটি মুসলিমপ্রধান মাগা শহরে অবস্থিত।
১০ বছর আগে বোকো হারাম নাইজেরিয়ার চিবুক শহরের একটি স্কুল থেকে ২৭৬ ছাত্রীকে অপহরণ করে আন্তর্জাতিক মনোযোগ কাড়ে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তরাঞ্চলে ডজন-ডজন ‘ব্যান্ডিট’ বা ডাকাত গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা সাধারণত নিরাপত্তাহীন, দূরবর্তী গ্রামগুলোতে হামলা চালায়।
চিবুক শহরে বোকো হারামের ওই ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে (বেশির ভাগই ছাত্রী) অপহরণ করা হয়। তাদের অনেককে মুক্তি দেওয়া হয় মুক্তিপণের বিনিময়ে।
বোকো হারাম ও আইএস-সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলো
বোকো হারাম বহু বছর ধরে উত্তর নাইজেরিয়ার বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, বিশেষত উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী ক্যামেরুন, নাইজার ও চাদে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। সক্রিয় এই জিহাদি জঙ্গি সংগঠনটির আসল নাম ‘জামায়াতু আহলিস সুন্নাহ লিদ্দাওয়াতি ওয়াল জিহাদ’। এদের মূল লক্ষ্য হলো পশ্চিমা শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিরোধিতা করা এবং নাইজেরিয়ায় শরিয়াহ আইনভিত্তিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এটি ২০০১ সালে মোহাম্মদ ইউসুফ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০৯ সালে নাইজেরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।
২০১৪ সালে চিবুক শহরের একটি স্কুল থেকে ২৭৬ স্কুলছাত্রী অপহরণের মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে। এরপর ২০১৮ সালে তারা ইয়োবে অঙ্গরাজ্যের একটি কলেজ থেকে আরও ১১০ ছাত্রীকে অপহরণ করে।
বছরের শুরু থেকে গোষ্ঠীটি নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে। আগে বিভক্ত থাকলেও এখন অনেক যোদ্ধা স্থানীয় আইএস-সংযুক্ত সংগঠনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। উভয় গোষ্ঠীতে কতজন যোদ্ধা আছে জানা যায় না, তবে ধারণা করা হয় সংখ্যা কয়েক হাজার।
এরা তরুণদের জোর করে দলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে—বিশেষত সেসব তরুণকে, যারা সুরক্ষিত এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা পাচ্ছে না। এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছর বিদেশি সহায়তায় বড় আকারে কাটছাঁট করায় নাইজেরিয়ার পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়েছে।
বোকো হারাম অপহরণ করে মূলত তাদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য, যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতা এবং নাইজেরিয়ায় শরিয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। অপহৃতদের মধ্যে অনেককেই তারা নিজেদের সংগঠনে যোগ দিতে বাধ্য করে অথবা মুক্তিপণ আদায়ে ব্যবহার করে।
তবে বোকো হারামের প্রধান লক্ষ্য হলো পশ্চিমা ধাঁচের শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতা করা এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তারা বিশ্বাস করে যে এই ধরনের শিক্ষা তাদের ‘ইসলামিক’ আদর্শের পরিপন্থী।
তাদের আরেকটি লক্ষ্য হলো নাইজেরিয়ায় ইসলামিক শরিয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা সহিংসতা ও অপহরণের মতো কর্মকাণ্ডকে ব্যবহার করে।
এর বাইরে অপহৃতদের (মেয়ে) মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে তারা তাদের সামরিক ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। অনেক ক্ষেত্রে, অপহৃতদের (ছেলে) তাদের নিজেদের দলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়।
উত্তরের অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীও মূলত মুক্তিপণের জন্যই অপহরণ করে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এদের অনেকেই আগে গবাদিপশু পালন বা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। দীর্ঘদিনের সংঘাতের পর তারা অস্ত্র হাতে নিয়েছে।
তাদের কাছে স্কুল একটি ‘লাভজনক’ লক্ষ্যবস্তু। এগুলোতে হামলা সাধারণত রাতে ঘটে। কখনো হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে আসে, কখনো আবার সামরিক পোশাক পরে। ব্যান্ডিট বা ডাকাতদের এসব কর্মকাণ্ড ক্রমেই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করছে—বিশেষত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।
মার্কিন-সমর্থিত আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বলেছে, ব্যান্ডিটরা যদিও অনেক সময় জঙ্গিদের সঙ্গে একাকার হয়ে যায়, তবে তারা উত্তরের অস্থিতিশীলতার স্বতন্ত্র উৎস। তাদের কারণে যতজন মারা যাচ্ছে, তা উত্তর-পূর্বে বোকো হারাম ও আইএস-সংযুক্ত গোষ্ঠীর হাতে নিহত মানুষের সংখ্যার প্রায় সমান।
নাইজেরিয়া বহু বছর ধরে বোকো হারাম ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কখনো ভুলবশত বেসামরিক লোকজন সামরিক হামলার শিকার হয়েছে। সশস্ত্র ব্যান্ডিট বা ডাকাতদের ঘাঁটির ওপরও অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
তবুও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জঙ্গিরা বারবার সামরিক চৌকি দখল করেছে, রাস্তায় বোমা পেতেছে, বিভিন্ন গ্রাম আক্রমণ করেছে। তবে সরকার দাবি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। এর ফলে উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের প্রচেষ্টা আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু পুরোনো নিরাপত্তা প্রধানদের বদলে নতুন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে সন্ত্রাস ও অপরাধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে মার্কিন সরকার নাইজেরিয়ার কাছে ৩৪৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয়। তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ও সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, নাইজেরিয়ার সরকার খ্রিষ্টান নির্যাতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে নাইজেরিয়া এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বছরভিত্তিক উল্লেখযোগ্য হামলা
২০২০ সালে কাতসিনা অঙ্গরাজ্যের এক মাধ্যমিক স্কুলে মোটরসাইকেলযোগে হামলা চালিয়ে ৩০০-এর বেশি ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালে জামফারা অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুল থেকে ৩০০ এর বেশি ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। কিছু সপ্তাহ পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে সবাইকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। ২০২৪ সালে কাদুনা অঙ্গরাজ্যের একটি সরকারি স্কুল থেকে ২৮৭ ছাত্রছাত্রী অপহরণ হয়। এদের মধ্যে ছাত্রী ছিল ১৫৭ জন, ছাত্র ১৩০ জন।

নাইজেরিয়ার সংঘাতকবলিত উত্তরাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দেশটির নাইজার অঙ্গরাজ্যের পাপিরি এলাকার সেন্ট মেরিস ক্যাথলিক স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে হামলাকারীরা কারা, কিংবা কতজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়—সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় টিভি চ্যানেল অ্যারাইস টিভি জানিয়েছে, ৫২ জন স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, শিশুদের উদ্ধারে বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এই হামলা ও অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে নাইজেরিয়ার কেব্বি অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুল থেকে ২৫ ছাত্রীকে অপহরণের মাত্র চার দিন পর। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, নাইজেরিয়ায় কেন বারবার স্কুলগুলো লক্ষ্যবস্তু হয় এবং স্কুলছাত্রীদের অপহরণ করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণ এখন নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের মতে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে স্কুল হলো কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু—যেখানে হামলা করলে বেশি মনোযোগ পাওয়া যায়।
ইউনিসেফ গত বছর বলেছিল, সংঘাত প্রবণ ১০টি অঙ্গরাজ্যের মাত্র ৩৭ শতাংশ স্কুলে হুমকি শনাক্তের প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে এমন সময়ে এসব অপহরণের ঘটনা ঘটছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করছেন নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের ওপর গণহত্যা চলছে।
বাস্তবে দেশটিতে হামলার শিকার হন মুসলিম ও খ্রিষ্টান উভয়ই। চলতি সপ্তাহে কেব্বি রাজ্যের যে স্কুলে হামলা হয়েছে, সেটি মুসলিমপ্রধান মাগা শহরে অবস্থিত।
১০ বছর আগে বোকো হারাম নাইজেরিয়ার চিবুক শহরের একটি স্কুল থেকে ২৭৬ ছাত্রীকে অপহরণ করে আন্তর্জাতিক মনোযোগ কাড়ে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তরাঞ্চলে ডজন-ডজন ‘ব্যান্ডিট’ বা ডাকাত গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা সাধারণত নিরাপত্তাহীন, দূরবর্তী গ্রামগুলোতে হামলা চালায়।
চিবুক শহরে বোকো হারামের ওই ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে (বেশির ভাগই ছাত্রী) অপহরণ করা হয়। তাদের অনেককে মুক্তি দেওয়া হয় মুক্তিপণের বিনিময়ে।
বোকো হারাম ও আইএস-সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলো
বোকো হারাম বহু বছর ধরে উত্তর নাইজেরিয়ার বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, বিশেষত উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী ক্যামেরুন, নাইজার ও চাদে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। সক্রিয় এই জিহাদি জঙ্গি সংগঠনটির আসল নাম ‘জামায়াতু আহলিস সুন্নাহ লিদ্দাওয়াতি ওয়াল জিহাদ’। এদের মূল লক্ষ্য হলো পশ্চিমা শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিরোধিতা করা এবং নাইজেরিয়ায় শরিয়াহ আইনভিত্তিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এটি ২০০১ সালে মোহাম্মদ ইউসুফ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০৯ সালে নাইজেরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।
২০১৪ সালে চিবুক শহরের একটি স্কুল থেকে ২৭৬ স্কুলছাত্রী অপহরণের মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে। এরপর ২০১৮ সালে তারা ইয়োবে অঙ্গরাজ্যের একটি কলেজ থেকে আরও ১১০ ছাত্রীকে অপহরণ করে।
বছরের শুরু থেকে গোষ্ঠীটি নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে। আগে বিভক্ত থাকলেও এখন অনেক যোদ্ধা স্থানীয় আইএস-সংযুক্ত সংগঠনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। উভয় গোষ্ঠীতে কতজন যোদ্ধা আছে জানা যায় না, তবে ধারণা করা হয় সংখ্যা কয়েক হাজার।
এরা তরুণদের জোর করে দলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে—বিশেষত সেসব তরুণকে, যারা সুরক্ষিত এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা পাচ্ছে না। এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছর বিদেশি সহায়তায় বড় আকারে কাটছাঁট করায় নাইজেরিয়ার পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়েছে।
বোকো হারাম অপহরণ করে মূলত তাদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য, যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতা এবং নাইজেরিয়ায় শরিয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। অপহৃতদের মধ্যে অনেককেই তারা নিজেদের সংগঠনে যোগ দিতে বাধ্য করে অথবা মুক্তিপণ আদায়ে ব্যবহার করে।
তবে বোকো হারামের প্রধান লক্ষ্য হলো পশ্চিমা ধাঁচের শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতা করা এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তারা বিশ্বাস করে যে এই ধরনের শিক্ষা তাদের ‘ইসলামিক’ আদর্শের পরিপন্থী।
তাদের আরেকটি লক্ষ্য হলো নাইজেরিয়ায় ইসলামিক শরিয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা সহিংসতা ও অপহরণের মতো কর্মকাণ্ডকে ব্যবহার করে।
এর বাইরে অপহৃতদের (মেয়ে) মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে তারা তাদের সামরিক ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। অনেক ক্ষেত্রে, অপহৃতদের (ছেলে) তাদের নিজেদের দলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়।
উত্তরের অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীও মূলত মুক্তিপণের জন্যই অপহরণ করে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এদের অনেকেই আগে গবাদিপশু পালন বা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। দীর্ঘদিনের সংঘাতের পর তারা অস্ত্র হাতে নিয়েছে।
তাদের কাছে স্কুল একটি ‘লাভজনক’ লক্ষ্যবস্তু। এগুলোতে হামলা সাধারণত রাতে ঘটে। কখনো হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে আসে, কখনো আবার সামরিক পোশাক পরে। ব্যান্ডিট বা ডাকাতদের এসব কর্মকাণ্ড ক্রমেই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করছে—বিশেষত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।
মার্কিন-সমর্থিত আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বলেছে, ব্যান্ডিটরা যদিও অনেক সময় জঙ্গিদের সঙ্গে একাকার হয়ে যায়, তবে তারা উত্তরের অস্থিতিশীলতার স্বতন্ত্র উৎস। তাদের কারণে যতজন মারা যাচ্ছে, তা উত্তর-পূর্বে বোকো হারাম ও আইএস-সংযুক্ত গোষ্ঠীর হাতে নিহত মানুষের সংখ্যার প্রায় সমান।
নাইজেরিয়া বহু বছর ধরে বোকো হারাম ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কখনো ভুলবশত বেসামরিক লোকজন সামরিক হামলার শিকার হয়েছে। সশস্ত্র ব্যান্ডিট বা ডাকাতদের ঘাঁটির ওপরও অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
তবুও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জঙ্গিরা বারবার সামরিক চৌকি দখল করেছে, রাস্তায় বোমা পেতেছে, বিভিন্ন গ্রাম আক্রমণ করেছে। তবে সরকার দাবি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। এর ফলে উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের প্রচেষ্টা আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু পুরোনো নিরাপত্তা প্রধানদের বদলে নতুন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে সন্ত্রাস ও অপরাধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে মার্কিন সরকার নাইজেরিয়ার কাছে ৩৪৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয়। তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ও সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, নাইজেরিয়ার সরকার খ্রিষ্টান নির্যাতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে নাইজেরিয়া এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বছরভিত্তিক উল্লেখযোগ্য হামলা
২০২০ সালে কাতসিনা অঙ্গরাজ্যের এক মাধ্যমিক স্কুলে মোটরসাইকেলযোগে হামলা চালিয়ে ৩০০-এর বেশি ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালে জামফারা অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুল থেকে ৩০০ এর বেশি ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। কিছু সপ্তাহ পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে সবাইকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। ২০২৪ সালে কাদুনা অঙ্গরাজ্যের একটি সরকারি স্কুল থেকে ২৮৭ ছাত্রছাত্রী অপহরণ হয়। এদের মধ্যে ছাত্রী ছিল ১৫৭ জন, ছাত্র ১৩০ জন।

হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৩৫ মিনিট আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণ এখন নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের মতে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে স্কুল হলো কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু—যেখানে হামলা করলে বেশি মনোযোগ পাওয়া যায়।
২১ নভেম্বর ২০২৫
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণ এখন নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের মতে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে স্কুল হলো কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু—যেখানে হামলা করলে বেশি মনোযোগ পাওয়া যায়।
২১ নভেম্বর ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৩৫ মিনিট আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণ এখন নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের মতে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে স্কুল হলো কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু—যেখানে হামলা করলে বেশি মনোযোগ পাওয়া যায়।
২১ নভেম্বর ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৩৫ মিনিট আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণ এখন নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের মতে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে স্কুল হলো কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু—যেখানে হামলা করলে বেশি মনোযোগ পাওয়া যায়।
২১ নভেম্বর ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৩৫ মিনিট আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে