ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য মনোনীত শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই কিয়েভের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মীমাংসার উপায় নিয়ে দ্বিমত কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। যাতে, সাময়িক নয়, একটি স্থায়ী ও টেকসই শান্তি অর্জন করা সম্ভব হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক ব্যক্তির মতে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক শীর্ষ সহযোগী গত বুধবার ট্রাম্পের রাশিয়া ও ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলোগ এবং নবনির্বাচিত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় যোগ দেন নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও।
কেলোগ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেনে দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে, যা মস্কোর সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায় ট্রাম্পের জন্য সুবিধা তৈরি করবে। তবে ট্রাম্পের দল ইউক্রেনকে ন্যাটোতে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে জেলেনস্কি ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত কয়েকটি সূত্রের মতে, জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আন্দ্রে ইয়ারমাক ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটন সফরে আছেন। তিনি বুধবার ফ্লোরিডায় নবনির্বাচিত হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে পড়া ইউক্রেন এখন শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি জানাতে চায়। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিন্তু তা অবশ্যই টেকসই শান্তি হতে হবে। অস্থিতিশীল বা অস্থায়ী শান্তি যুক্তরাষ্ট্র বা ইউক্রেনের কোনো স্বার্থ রক্ষা করবে না।’
জেলেনস্কি সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার অনুমতি পেলে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে। তিনি বলেছেন, কূটনৈতিক চাপের মাধ্যমে রাশিয়া দখলকৃত ইউক্রেনের অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে চায় কিয়েভ, সামরিক শক্তির মাধ্যমে নয়। জেলেনস্কি স্কাই নিউজকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুদ্ধের ‘উত্তপ্ত পর্যায়’ শেষ করতে হলে ন্যাটো সদস্যপদ অবশ্যই ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত এবং ইউক্রেন পুরো ভূখণ্ডের দাবি অব্যাহত রাখবে। কিয়েভ কূটনৈতিক উপায়ে সেগুলো ফিরে পেতে চাইবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিহা গত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘ন্যাটো সদস্যপদ ছাড়া অন্য কোনো নিরাপত্তা গ্যারান্টি ইউক্রেন গ্রহণ করবে না। আমরা কোনো বিকল্প বা প্রতিস্থাপন গ্রহণ করব না।’
ট্রাম্পের উপদেষ্টারা এমন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা রাশিয়ার দখল করা প্রায় ২০ শতাংশ ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে মস্কোর বলে স্বীকৃতি দেবে এবং আপাতত কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা বন্ধ করবে।
থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইউক্রেন বিশ্লেষক লুসিয়ান কিম বলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা সম্ভাব্য আলোচনা শুরুর আগে তাদের সর্বোচ্চ দাবি পেশ করছে। তারা হয়তো বুঝতে পেরেছে যে, ন্যাটো সদস্যপদ খুব শিগগিরই পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আলোচনা শুরুর আগেই কেন তারা সেটা মেনে নেবে?’
কেলোগের নিজের অবস্থানও যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার পথ তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা জটিল। তিনি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদের আরেকজন কর্মকর্তা এ বছরের শুরুর দিকে প্রস্তাব করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত করে, যাতে কিয়েভ শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়। আবার এ সপ্তাহে তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ দ্রুততর করা ট্রাম্পের মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করার অবস্থানকে শক্তিশালী করছে।’
কেলোগ ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বাইডেন প্রশাসন যত বেশি এটা করবে, তত বেশি সুযোগ তৈরি হবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের জন্য তাঁর ইচ্ছামতো কাজ করার। সবকিছুই নির্ভর করে প্রভাবশালী অবস্থানের ওপর। প্রেসিডেন্ট এটা বোঝেন এবং তিনি এটি তার সুবিধার জন্য ব্যবহার করবেন।’
ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যাবে কি না। বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের গতি বাড়িয়েছে, কিন্তু বাইডেনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বাকি ৬৫০ কোটি ডলার সম্পূর্ণভাবে ব্যয় করার জন্য যথেষ্ট সময় নেই।
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চাপের মুখে ফেলে আক্রমণ জোরদার করেছে। প্রায় ১০ হাজার উত্তর কোরীয় সেনার সহায়তায় রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দখলকৃত কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। তবে রাশিয়া এখনো কিয়েভের সামরিক বাহিনীর দখলে থাকা পূর্ব ইউক্রেনে খুব সামান্যই অগ্রগতি অর্জন করে পেরেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিছুদিন আগে ঘোষণা করেছেন যে, ইউক্রেন তাঁর দাবিগুলো মেনে না নিলে তিনি শান্তি আলোচনায় অংশ নেবেন না। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রায় তিন বছর ধরে চলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ডানহাত হিসেবে কাজ করছেন ইয়ারমাক। আলোচনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট আলোচনা সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইয়ারমাক ইউক্রেনকে শান্তির জন্য বাধা নয় বরং গঠনমূলক অংশীদার হিসেবে উপস্থাপন করবেন।
এটি আংশিকভাবে কিয়েভের হতাশার প্রতিফলন, কারণ বাইডেন প্রশাসন সামরিক সহায়তার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ বিষয়ে লুসিয়ান কিম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রশাসন নিয়ে কিয়েভের মধ্যে গভীর হতাশা রয়েছে। আগামী ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভে একটি অগ্রগতির আশা জাগিয়েছে। তবে সেটা কী রকম হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন। তবে এটা স্পষ্ট যে, স্থিতাবস্থা আর থাকবে না।’
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল থেকে অনূদিত

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য মনোনীত শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই কিয়েভের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মীমাংসার উপায় নিয়ে দ্বিমত কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। যাতে, সাময়িক নয়, একটি স্থায়ী ও টেকসই শান্তি অর্জন করা সম্ভব হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক ব্যক্তির মতে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক শীর্ষ সহযোগী গত বুধবার ট্রাম্পের রাশিয়া ও ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলোগ এবং নবনির্বাচিত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় যোগ দেন নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও।
কেলোগ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেনে দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে, যা মস্কোর সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায় ট্রাম্পের জন্য সুবিধা তৈরি করবে। তবে ট্রাম্পের দল ইউক্রেনকে ন্যাটোতে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে জেলেনস্কি ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত কয়েকটি সূত্রের মতে, জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আন্দ্রে ইয়ারমাক ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটন সফরে আছেন। তিনি বুধবার ফ্লোরিডায় নবনির্বাচিত হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে পড়া ইউক্রেন এখন শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি জানাতে চায়। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিন্তু তা অবশ্যই টেকসই শান্তি হতে হবে। অস্থিতিশীল বা অস্থায়ী শান্তি যুক্তরাষ্ট্র বা ইউক্রেনের কোনো স্বার্থ রক্ষা করবে না।’
জেলেনস্কি সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার অনুমতি পেলে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে। তিনি বলেছেন, কূটনৈতিক চাপের মাধ্যমে রাশিয়া দখলকৃত ইউক্রেনের অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে চায় কিয়েভ, সামরিক শক্তির মাধ্যমে নয়। জেলেনস্কি স্কাই নিউজকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুদ্ধের ‘উত্তপ্ত পর্যায়’ শেষ করতে হলে ন্যাটো সদস্যপদ অবশ্যই ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত এবং ইউক্রেন পুরো ভূখণ্ডের দাবি অব্যাহত রাখবে। কিয়েভ কূটনৈতিক উপায়ে সেগুলো ফিরে পেতে চাইবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিহা গত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘ন্যাটো সদস্যপদ ছাড়া অন্য কোনো নিরাপত্তা গ্যারান্টি ইউক্রেন গ্রহণ করবে না। আমরা কোনো বিকল্প বা প্রতিস্থাপন গ্রহণ করব না।’
ট্রাম্পের উপদেষ্টারা এমন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা রাশিয়ার দখল করা প্রায় ২০ শতাংশ ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে মস্কোর বলে স্বীকৃতি দেবে এবং আপাতত কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা বন্ধ করবে।
থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইউক্রেন বিশ্লেষক লুসিয়ান কিম বলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা সম্ভাব্য আলোচনা শুরুর আগে তাদের সর্বোচ্চ দাবি পেশ করছে। তারা হয়তো বুঝতে পেরেছে যে, ন্যাটো সদস্যপদ খুব শিগগিরই পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আলোচনা শুরুর আগেই কেন তারা সেটা মেনে নেবে?’
কেলোগের নিজের অবস্থানও যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার পথ তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা জটিল। তিনি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদের আরেকজন কর্মকর্তা এ বছরের শুরুর দিকে প্রস্তাব করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত করে, যাতে কিয়েভ শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়। আবার এ সপ্তাহে তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ দ্রুততর করা ট্রাম্পের মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করার অবস্থানকে শক্তিশালী করছে।’
কেলোগ ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বাইডেন প্রশাসন যত বেশি এটা করবে, তত বেশি সুযোগ তৈরি হবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের জন্য তাঁর ইচ্ছামতো কাজ করার। সবকিছুই নির্ভর করে প্রভাবশালী অবস্থানের ওপর। প্রেসিডেন্ট এটা বোঝেন এবং তিনি এটি তার সুবিধার জন্য ব্যবহার করবেন।’
ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যাবে কি না। বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের গতি বাড়িয়েছে, কিন্তু বাইডেনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বাকি ৬৫০ কোটি ডলার সম্পূর্ণভাবে ব্যয় করার জন্য যথেষ্ট সময় নেই।
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চাপের মুখে ফেলে আক্রমণ জোরদার করেছে। প্রায় ১০ হাজার উত্তর কোরীয় সেনার সহায়তায় রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দখলকৃত কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। তবে রাশিয়া এখনো কিয়েভের সামরিক বাহিনীর দখলে থাকা পূর্ব ইউক্রেনে খুব সামান্যই অগ্রগতি অর্জন করে পেরেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিছুদিন আগে ঘোষণা করেছেন যে, ইউক্রেন তাঁর দাবিগুলো মেনে না নিলে তিনি শান্তি আলোচনায় অংশ নেবেন না। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রায় তিন বছর ধরে চলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ডানহাত হিসেবে কাজ করছেন ইয়ারমাক। আলোচনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট আলোচনা সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইয়ারমাক ইউক্রেনকে শান্তির জন্য বাধা নয় বরং গঠনমূলক অংশীদার হিসেবে উপস্থাপন করবেন।
এটি আংশিকভাবে কিয়েভের হতাশার প্রতিফলন, কারণ বাইডেন প্রশাসন সামরিক সহায়তার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ বিষয়ে লুসিয়ান কিম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রশাসন নিয়ে কিয়েভের মধ্যে গভীর হতাশা রয়েছে। আগামী ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভে একটি অগ্রগতির আশা জাগিয়েছে। তবে সেটা কী রকম হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন। তবে এটা স্পষ্ট যে, স্থিতাবস্থা আর থাকবে না।’
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল থেকে অনূদিত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য মনোনীত শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই কিয়েভের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মীমাংসার উপায় নিয়ে দ্বিমত কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। যাতে, সাময়িক নয়, একটি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য মনোনীত শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই কিয়েভের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মীমাংসার উপায় নিয়ে দ্বিমত কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। যাতে, সাময়িক নয়, একটি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য মনোনীত শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই কিয়েভের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মীমাংসার উপায় নিয়ে দ্বিমত কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। যাতে, সাময়িক নয়, একটি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য মনোনীত শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই কিয়েভের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মীমাংসার উপায় নিয়ে দ্বিমত কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। যাতে, সাময়িক নয়, একটি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১২ ঘণ্টা আগে