ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। আর বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে। কারণ ‘ওমিক্রন’।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। ২০২০ সালে এটি বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়। ওই বছরই বিজ্ঞানীরা এর টিকা আবিষ্কারের কাজে লেগে পড়েন। তাতে সফলও হন। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর ‘প্রথম দেশ’ হিসেবে যুক্তরাজ্যে ফাইজার–বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। তবে টিকা মিললেও বিশ্ব করোনা থেকে এখনো মুক্ত হয়নি।
গত বছরের শেষ ও চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরন বিটা ও যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনার নতুন ধরন আলফা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাতে থাকে। এসব নতুন ধরনের কারণে প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় করোনার বুস্টার ডোজের। ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্নাসহ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা প্রকাশিত হতে থাকে।
এর মধ্যেই ভারতে তীব্রভাবে সংক্রমণ শুরু হয় করোনার নতুন এক ধরনের। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে এর নাম রাখা হয় ডেলটা। ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় ভারতেই। গত বছরের অক্টোবরে ভারতে এর ধরন শনাক্ত হয়। গত মে মাসে করোনার ডেলটা ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাসের আলফা থেকে ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক ডেলটা ভেরিয়েন্ট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ভারতে করোনা সংক্রমণের এই বিস্ফোরণ মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ, সংক্রমণ যখন কমছিল, তখন বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ভারতে ভয়াবহ করোনা সংকটের জন্য বড় ধরনের ধর্মীয় জমায়েত, নির্বাচনী সভা-সমাবেশ, খেলাধুলার আয়োজনসহ অধিকাংশ জনসমাগম স্থান চালু করে দেওয়ার মতো বিষয়কে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ৮ মে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির সরকারই ভারতে করোনা বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার কুম্ভমেলা পালন এবং ভোটের জন্য রাজনৈতিক প্রচারণা চালাতে দিয়েছে, যা ‘সুপার স্প্রেডারের’ কাজ করেছে। ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, মোদি সমালোচকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেছেন। খোলামনে আলোচনা করতে চাননি, কারও পরামর্শও নেননি। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
গত বছরের ১৮ জুন দেশটিতে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১১ হাজার। এর দুই মাসের মাথায় দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছিল।

ভারতে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চরম পর্যায়ে পৌঁছায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তখন দেশটিতে দিনে ৯০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংক্রমণ কমে দৈনিক শনাক্ত ২০ হাজারের নিচে নামে। চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনগণকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে ভারত মহামারির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যায়। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয় গত ৬ মে। এদিন দেশটিতে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। ভারত ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশে এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।
দেশ-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আবার কঠোর বিধিনিষেধের পথে হাঁটে ভারত সরকার। পাশাপাশি ১ মে থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে টিকাদানের কর্মসূচি হাতে নেয় ভারত। ভারতে টিকার চাহিদা বেড়ে গেলে দেশটি থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা বাংলাদেশ পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি করে। টিকা পেতে সেরামকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাংলাদেশের ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দুই কিস্তিতে মাত্র ৭০ লাখ ও ভারত সরকার উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ হলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হওয়ার শঙ্কাও ছিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এরপরই সরকার চীনের কাছ থেকে করোনা টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। চীন থেকে ১০ কোটির বেশি টিকা কিনেছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি অক্টোবরে বাংলাদেশকে দীর্ঘ বিরতির পর ১০ লাখ ডোজ টিকা দেয় ভারত। এ ছাড়া জাতিসংঘের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বঙ্গভ্যাক্স মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা কাউন্সিল (বিএমআরসি)। দেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এ টিকা উৎপাদনের চেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির লড়াইয়ে রয়েছে। এর আগে বানরের দেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘ভালো’ ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। তবে প্রায় দেড় বছর চেষ্টার পরও এখনো টিকা বাজারে আনতে পারেনি গ্লোব বায়োটেক।
এদিকে বাংলাদেশ যখন টিকা জোগাড়ে ব্যস্ত, তখন বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলো ব্যস্ত বুস্টার ডোজের জন্য টিকা সংগ্রহে। আর ওই সব দেশের টিকা মজুতের কারণে দরিদ্র দেশগুলোর টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে করোনা টিকার বৈষম্য কমাতে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ প্রয়োগ না করার জন্য আহ্বান জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ মানুষ টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। যেখানে ধনী দেশগুলোর ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ পেয়েছেন। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার কমপক্ষে এক ডোজ পেয়েছেন।
ইউরোপে টিকার প্রয়োগের হার ভালো হলেও সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ আবার দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে লকডাউন জারি না হলেও টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য জার্মানিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এর মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর করোনার নতুন এক ধরনের কথা জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নতুন এই ধরনের নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে জানিয়েছে, ডেলটার চেয়ে দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন। তবে এ-ও অভয় দিচ্ছে, এই ধরনে মৃত্যুর হার তেমন নয়। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
কোভিড টিকার অপ্রতুলতা এবং টিকা নিতে মানুষের মধ্যে দ্বিধার কারণে ওমিক্রনের মতো ধরন তৈরি হচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এ ছাড়া করোনার টিকার ট্রায়াল চলার সময়ই ধনী দেশগুলো আগাম ক্রয়াদেশ দিয়ে রাখছে। তারা প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টিকা সংগ্রহ করছে। এতে বিপাকে পড়ছে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো। এই আচরণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনৈতিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। এর মধ্যে আরও নতুন করোনাভাইরাসের মহামারি দুয়ারে কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এমন একটি টিকার সন্ধান চলছে, যা এই নতুন করোনাভাইরাসের সব ধরনের ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানুষকে আজীবন না হলেও অন্তত দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দেবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিউক–নাসের ভাইরোলজিস্ট ওয়াং লিনফা এই গবেষণায় বেশ এগিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি এমন টিকা উদ্ভাবন করতে চাইছেন, যা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। এমন আশাবাদে ভর করেই নতুন বছরকে বরণ করতে চলেছে বিশ্ববাসী।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, এএফপি

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। আর বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে। কারণ ‘ওমিক্রন’।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। ২০২০ সালে এটি বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়। ওই বছরই বিজ্ঞানীরা এর টিকা আবিষ্কারের কাজে লেগে পড়েন। তাতে সফলও হন। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর ‘প্রথম দেশ’ হিসেবে যুক্তরাজ্যে ফাইজার–বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। তবে টিকা মিললেও বিশ্ব করোনা থেকে এখনো মুক্ত হয়নি।
গত বছরের শেষ ও চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরন বিটা ও যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনার নতুন ধরন আলফা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাতে থাকে। এসব নতুন ধরনের কারণে প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় করোনার বুস্টার ডোজের। ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্নাসহ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা প্রকাশিত হতে থাকে।
এর মধ্যেই ভারতে তীব্রভাবে সংক্রমণ শুরু হয় করোনার নতুন এক ধরনের। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে এর নাম রাখা হয় ডেলটা। ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় ভারতেই। গত বছরের অক্টোবরে ভারতে এর ধরন শনাক্ত হয়। গত মে মাসে করোনার ডেলটা ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাসের আলফা থেকে ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক ডেলটা ভেরিয়েন্ট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ভারতে করোনা সংক্রমণের এই বিস্ফোরণ মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ, সংক্রমণ যখন কমছিল, তখন বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ভারতে ভয়াবহ করোনা সংকটের জন্য বড় ধরনের ধর্মীয় জমায়েত, নির্বাচনী সভা-সমাবেশ, খেলাধুলার আয়োজনসহ অধিকাংশ জনসমাগম স্থান চালু করে দেওয়ার মতো বিষয়কে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ৮ মে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির সরকারই ভারতে করোনা বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার কুম্ভমেলা পালন এবং ভোটের জন্য রাজনৈতিক প্রচারণা চালাতে দিয়েছে, যা ‘সুপার স্প্রেডারের’ কাজ করেছে। ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, মোদি সমালোচকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেছেন। খোলামনে আলোচনা করতে চাননি, কারও পরামর্শও নেননি। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
গত বছরের ১৮ জুন দেশটিতে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১১ হাজার। এর দুই মাসের মাথায় দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছিল।

ভারতে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চরম পর্যায়ে পৌঁছায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তখন দেশটিতে দিনে ৯০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংক্রমণ কমে দৈনিক শনাক্ত ২০ হাজারের নিচে নামে। চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনগণকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে ভারত মহামারির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যায়। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয় গত ৬ মে। এদিন দেশটিতে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। ভারত ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশে এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।
দেশ-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আবার কঠোর বিধিনিষেধের পথে হাঁটে ভারত সরকার। পাশাপাশি ১ মে থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে টিকাদানের কর্মসূচি হাতে নেয় ভারত। ভারতে টিকার চাহিদা বেড়ে গেলে দেশটি থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা বাংলাদেশ পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি করে। টিকা পেতে সেরামকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাংলাদেশের ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দুই কিস্তিতে মাত্র ৭০ লাখ ও ভারত সরকার উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ হলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হওয়ার শঙ্কাও ছিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এরপরই সরকার চীনের কাছ থেকে করোনা টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। চীন থেকে ১০ কোটির বেশি টিকা কিনেছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি অক্টোবরে বাংলাদেশকে দীর্ঘ বিরতির পর ১০ লাখ ডোজ টিকা দেয় ভারত। এ ছাড়া জাতিসংঘের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বঙ্গভ্যাক্স মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা কাউন্সিল (বিএমআরসি)। দেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এ টিকা উৎপাদনের চেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির লড়াইয়ে রয়েছে। এর আগে বানরের দেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘ভালো’ ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। তবে প্রায় দেড় বছর চেষ্টার পরও এখনো টিকা বাজারে আনতে পারেনি গ্লোব বায়োটেক।
এদিকে বাংলাদেশ যখন টিকা জোগাড়ে ব্যস্ত, তখন বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলো ব্যস্ত বুস্টার ডোজের জন্য টিকা সংগ্রহে। আর ওই সব দেশের টিকা মজুতের কারণে দরিদ্র দেশগুলোর টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে করোনা টিকার বৈষম্য কমাতে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ প্রয়োগ না করার জন্য আহ্বান জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ মানুষ টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। যেখানে ধনী দেশগুলোর ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ পেয়েছেন। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার কমপক্ষে এক ডোজ পেয়েছেন।
ইউরোপে টিকার প্রয়োগের হার ভালো হলেও সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ আবার দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে লকডাউন জারি না হলেও টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য জার্মানিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এর মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর করোনার নতুন এক ধরনের কথা জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নতুন এই ধরনের নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে জানিয়েছে, ডেলটার চেয়ে দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন। তবে এ-ও অভয় দিচ্ছে, এই ধরনে মৃত্যুর হার তেমন নয়। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
কোভিড টিকার অপ্রতুলতা এবং টিকা নিতে মানুষের মধ্যে দ্বিধার কারণে ওমিক্রনের মতো ধরন তৈরি হচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এ ছাড়া করোনার টিকার ট্রায়াল চলার সময়ই ধনী দেশগুলো আগাম ক্রয়াদেশ দিয়ে রাখছে। তারা প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টিকা সংগ্রহ করছে। এতে বিপাকে পড়ছে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো। এই আচরণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনৈতিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। এর মধ্যে আরও নতুন করোনাভাইরাসের মহামারি দুয়ারে কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এমন একটি টিকার সন্ধান চলছে, যা এই নতুন করোনাভাইরাসের সব ধরনের ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানুষকে আজীবন না হলেও অন্তত দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দেবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিউক–নাসের ভাইরোলজিস্ট ওয়াং লিনফা এই গবেষণায় বেশ এগিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি এমন টিকা উদ্ভাবন করতে চাইছেন, যা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। এমন আশাবাদে ভর করেই নতুন বছরকে বরণ করতে চলেছে বিশ্ববাসী।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, এএফপি

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বি
২৬ ডিসেম্বর ২০২১রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বি
২৬ ডিসেম্বর ২০২১
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বি
২৬ ডিসেম্বর ২০২১
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বি
২৬ ডিসেম্বর ২০২১
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে