ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। আর বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে। কারণ ‘ওমিক্রন’।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। ২০২০ সালে এটি বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়। ওই বছরই বিজ্ঞানীরা এর টিকা আবিষ্কারের কাজে লেগে পড়েন। তাতে সফলও হন। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর ‘প্রথম দেশ’ হিসেবে যুক্তরাজ্যে ফাইজার–বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। তবে টিকা মিললেও বিশ্ব করোনা থেকে এখনো মুক্ত হয়নি।
গত বছরের শেষ ও চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরন বিটা ও যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনার নতুন ধরন আলফা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাতে থাকে। এসব নতুন ধরনের কারণে প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় করোনার বুস্টার ডোজের। ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্নাসহ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা প্রকাশিত হতে থাকে।
এর মধ্যেই ভারতে তীব্রভাবে সংক্রমণ শুরু হয় করোনার নতুন এক ধরনের। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে এর নাম রাখা হয় ডেলটা। ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় ভারতেই। গত বছরের অক্টোবরে ভারতে এর ধরন শনাক্ত হয়। গত মে মাসে করোনার ডেলটা ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাসের আলফা থেকে ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক ডেলটা ভেরিয়েন্ট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ভারতে করোনা সংক্রমণের এই বিস্ফোরণ মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ, সংক্রমণ যখন কমছিল, তখন বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ভারতে ভয়াবহ করোনা সংকটের জন্য বড় ধরনের ধর্মীয় জমায়েত, নির্বাচনী সভা-সমাবেশ, খেলাধুলার আয়োজনসহ অধিকাংশ জনসমাগম স্থান চালু করে দেওয়ার মতো বিষয়কে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ৮ মে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির সরকারই ভারতে করোনা বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার কুম্ভমেলা পালন এবং ভোটের জন্য রাজনৈতিক প্রচারণা চালাতে দিয়েছে, যা ‘সুপার স্প্রেডারের’ কাজ করেছে। ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, মোদি সমালোচকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেছেন। খোলামনে আলোচনা করতে চাননি, কারও পরামর্শও নেননি। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
গত বছরের ১৮ জুন দেশটিতে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১১ হাজার। এর দুই মাসের মাথায় দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছিল।

ভারতে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চরম পর্যায়ে পৌঁছায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তখন দেশটিতে দিনে ৯০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংক্রমণ কমে দৈনিক শনাক্ত ২০ হাজারের নিচে নামে। চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনগণকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে ভারত মহামারির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যায়। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয় গত ৬ মে। এদিন দেশটিতে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। ভারত ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশে এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।
দেশ-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আবার কঠোর বিধিনিষেধের পথে হাঁটে ভারত সরকার। পাশাপাশি ১ মে থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে টিকাদানের কর্মসূচি হাতে নেয় ভারত। ভারতে টিকার চাহিদা বেড়ে গেলে দেশটি থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা বাংলাদেশ পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি করে। টিকা পেতে সেরামকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাংলাদেশের ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দুই কিস্তিতে মাত্র ৭০ লাখ ও ভারত সরকার উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ হলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হওয়ার শঙ্কাও ছিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এরপরই সরকার চীনের কাছ থেকে করোনা টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। চীন থেকে ১০ কোটির বেশি টিকা কিনেছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি অক্টোবরে বাংলাদেশকে দীর্ঘ বিরতির পর ১০ লাখ ডোজ টিকা দেয় ভারত। এ ছাড়া জাতিসংঘের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বঙ্গভ্যাক্স মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা কাউন্সিল (বিএমআরসি)। দেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এ টিকা উৎপাদনের চেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির লড়াইয়ে রয়েছে। এর আগে বানরের দেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘ভালো’ ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। তবে প্রায় দেড় বছর চেষ্টার পরও এখনো টিকা বাজারে আনতে পারেনি গ্লোব বায়োটেক।
এদিকে বাংলাদেশ যখন টিকা জোগাড়ে ব্যস্ত, তখন বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলো ব্যস্ত বুস্টার ডোজের জন্য টিকা সংগ্রহে। আর ওই সব দেশের টিকা মজুতের কারণে দরিদ্র দেশগুলোর টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে করোনা টিকার বৈষম্য কমাতে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ প্রয়োগ না করার জন্য আহ্বান জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ মানুষ টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। যেখানে ধনী দেশগুলোর ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ পেয়েছেন। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার কমপক্ষে এক ডোজ পেয়েছেন।
ইউরোপে টিকার প্রয়োগের হার ভালো হলেও সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ আবার দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে লকডাউন জারি না হলেও টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য জার্মানিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এর মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর করোনার নতুন এক ধরনের কথা জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নতুন এই ধরনের নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে জানিয়েছে, ডেলটার চেয়ে দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন। তবে এ-ও অভয় দিচ্ছে, এই ধরনে মৃত্যুর হার তেমন নয়। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
কোভিড টিকার অপ্রতুলতা এবং টিকা নিতে মানুষের মধ্যে দ্বিধার কারণে ওমিক্রনের মতো ধরন তৈরি হচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এ ছাড়া করোনার টিকার ট্রায়াল চলার সময়ই ধনী দেশগুলো আগাম ক্রয়াদেশ দিয়ে রাখছে। তারা প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টিকা সংগ্রহ করছে। এতে বিপাকে পড়ছে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো। এই আচরণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনৈতিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। এর মধ্যে আরও নতুন করোনাভাইরাসের মহামারি দুয়ারে কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এমন একটি টিকার সন্ধান চলছে, যা এই নতুন করোনাভাইরাসের সব ধরনের ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানুষকে আজীবন না হলেও অন্তত দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দেবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিউক–নাসের ভাইরোলজিস্ট ওয়াং লিনফা এই গবেষণায় বেশ এগিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি এমন টিকা উদ্ভাবন করতে চাইছেন, যা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। এমন আশাবাদে ভর করেই নতুন বছরকে বরণ করতে চলেছে বিশ্ববাসী।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, এএফপি

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। আর বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে। কারণ ‘ওমিক্রন’।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। ২০২০ সালে এটি বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়। ওই বছরই বিজ্ঞানীরা এর টিকা আবিষ্কারের কাজে লেগে পড়েন। তাতে সফলও হন। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর ‘প্রথম দেশ’ হিসেবে যুক্তরাজ্যে ফাইজার–বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। তবে টিকা মিললেও বিশ্ব করোনা থেকে এখনো মুক্ত হয়নি।
গত বছরের শেষ ও চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরন বিটা ও যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনার নতুন ধরন আলফা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাতে থাকে। এসব নতুন ধরনের কারণে প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় করোনার বুস্টার ডোজের। ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্নাসহ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা প্রকাশিত হতে থাকে।
এর মধ্যেই ভারতে তীব্রভাবে সংক্রমণ শুরু হয় করোনার নতুন এক ধরনের। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে এর নাম রাখা হয় ডেলটা। ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় ভারতেই। গত বছরের অক্টোবরে ভারতে এর ধরন শনাক্ত হয়। গত মে মাসে করোনার ডেলটা ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাসের আলফা থেকে ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক ডেলটা ভেরিয়েন্ট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ভারতে করোনা সংক্রমণের এই বিস্ফোরণ মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ, সংক্রমণ যখন কমছিল, তখন বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ভারতে ভয়াবহ করোনা সংকটের জন্য বড় ধরনের ধর্মীয় জমায়েত, নির্বাচনী সভা-সমাবেশ, খেলাধুলার আয়োজনসহ অধিকাংশ জনসমাগম স্থান চালু করে দেওয়ার মতো বিষয়কে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ৮ মে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির সরকারই ভারতে করোনা বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার কুম্ভমেলা পালন এবং ভোটের জন্য রাজনৈতিক প্রচারণা চালাতে দিয়েছে, যা ‘সুপার স্প্রেডারের’ কাজ করেছে। ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, মোদি সমালোচকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেছেন। খোলামনে আলোচনা করতে চাননি, কারও পরামর্শও নেননি। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
গত বছরের ১৮ জুন দেশটিতে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১১ হাজার। এর দুই মাসের মাথায় দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছিল।

ভারতে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চরম পর্যায়ে পৌঁছায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তখন দেশটিতে দিনে ৯০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংক্রমণ কমে দৈনিক শনাক্ত ২০ হাজারের নিচে নামে। চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনগণকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে ভারত মহামারির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যায়। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয় গত ৬ মে। এদিন দেশটিতে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। ভারত ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশে এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।
দেশ-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আবার কঠোর বিধিনিষেধের পথে হাঁটে ভারত সরকার। পাশাপাশি ১ মে থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে টিকাদানের কর্মসূচি হাতে নেয় ভারত। ভারতে টিকার চাহিদা বেড়ে গেলে দেশটি থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা বাংলাদেশ পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি করে। টিকা পেতে সেরামকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাংলাদেশের ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দুই কিস্তিতে মাত্র ৭০ লাখ ও ভারত সরকার উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ হলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হওয়ার শঙ্কাও ছিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এরপরই সরকার চীনের কাছ থেকে করোনা টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। চীন থেকে ১০ কোটির বেশি টিকা কিনেছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি অক্টোবরে বাংলাদেশকে দীর্ঘ বিরতির পর ১০ লাখ ডোজ টিকা দেয় ভারত। এ ছাড়া জাতিসংঘের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বঙ্গভ্যাক্স মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা কাউন্সিল (বিএমআরসি)। দেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এ টিকা উৎপাদনের চেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির লড়াইয়ে রয়েছে। এর আগে বানরের দেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘ভালো’ ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। তবে প্রায় দেড় বছর চেষ্টার পরও এখনো টিকা বাজারে আনতে পারেনি গ্লোব বায়োটেক।
এদিকে বাংলাদেশ যখন টিকা জোগাড়ে ব্যস্ত, তখন বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলো ব্যস্ত বুস্টার ডোজের জন্য টিকা সংগ্রহে। আর ওই সব দেশের টিকা মজুতের কারণে দরিদ্র দেশগুলোর টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে করোনা টিকার বৈষম্য কমাতে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ প্রয়োগ না করার জন্য আহ্বান জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ মানুষ টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। যেখানে ধনী দেশগুলোর ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ পেয়েছেন। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার কমপক্ষে এক ডোজ পেয়েছেন।
ইউরোপে টিকার প্রয়োগের হার ভালো হলেও সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ আবার দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে লকডাউন জারি না হলেও টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য জার্মানিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এর মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর করোনার নতুন এক ধরনের কথা জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নতুন এই ধরনের নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে জানিয়েছে, ডেলটার চেয়ে দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন। তবে এ-ও অভয় দিচ্ছে, এই ধরনে মৃত্যুর হার তেমন নয়। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
কোভিড টিকার অপ্রতুলতা এবং টিকা নিতে মানুষের মধ্যে দ্বিধার কারণে ওমিক্রনের মতো ধরন তৈরি হচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এ ছাড়া করোনার টিকার ট্রায়াল চলার সময়ই ধনী দেশগুলো আগাম ক্রয়াদেশ দিয়ে রাখছে। তারা প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টিকা সংগ্রহ করছে। এতে বিপাকে পড়ছে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো। এই আচরণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনৈতিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। এর মধ্যে আরও নতুন করোনাভাইরাসের মহামারি দুয়ারে কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এমন একটি টিকার সন্ধান চলছে, যা এই নতুন করোনাভাইরাসের সব ধরনের ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানুষকে আজীবন না হলেও অন্তত দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দেবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিউক–নাসের ভাইরোলজিস্ট ওয়াং লিনফা এই গবেষণায় বেশ এগিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি এমন টিকা উদ্ভাবন করতে চাইছেন, যা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। এমন আশাবাদে ভর করেই নতুন বছরকে বরণ করতে চলেছে বিশ্ববাসী।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, এএফপি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তিন সপ্তাহের ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষের পর অবশেষে একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত একটি যৌথ বিবৃতির
৪৩ মিনিট আগে
নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সি৯১৯ জেট পরিচালনায় প্রথমবারের মতো নারী ক্যাপ্টেন নিয়োগ দিয়েছে চীন। বিমান চালনা খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বোয়িং ও এয়ারবাস চালানো অভিজ্ঞ পাইলটদের এই উড়োজাহাজ চালনায় নিয়ে আসছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রায় এক দশকের বোয়িং ৭৩৭ চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইউ ইউয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার তিন সপ্তাহের ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষের পর অবশেষে একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী—থাইল্যান্ডের নাথফন নার্কফানিট এবং কম্বোডিয়ার চা সেইহা সীমান্তবর্তী একটি চেকপয়েন্টে তিন দিন আলোচনার পর এই চুক্তিতে সই করেন। চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো—উভয় পক্ষ বর্তমানে যে অবস্থানে রয়েছে, সেখানেই অবস্থান করবে। কোনো পক্ষই নতুন করে সেনা মোতায়েন বা অগ্রসর হতে পারবে না। যুদ্ধবিরতি টানা ৭২ ঘণ্টা টিকে থাকলে থাইল্যান্ড তাদের কাছে বন্দী ১৮ জন কম্বোডীয় সেনাকে মুক্তি দেবে।
সীমান্ত এলাকার বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ করে দেওয়া হবে এবং ল্যান্ডমাইন অপসারণে সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি কোনো পক্ষই সামরিক উদ্দেশে অন্যের আকাশসীমা ব্যবহার বা লঙ্ঘন করতে পারবে না।
গত জুলাই মাসেও প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তে সংঘাত হয়েছিল। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ট্রাম্প এই চুক্তির নাম দেন ‘কুয়ালালামপুর শান্তিচুক্তি’। এতে বিতর্কিত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষক দল গঠনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায় এবং সংঘাত নতুন মাত্রা পায়।
থাই কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ ডিসেম্বরের পর থেকে তাদের ২৬ জন সেনা এবং অন্তত ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া জানিয়েছে তাদের ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, তবে সামরিক হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি। দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে বিমান হামলা এবং ভারী কামানের গোলাবর্ষণ করেছে। পাল্টা জবাবে কম্বোডিয়া বিএম-২১ রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে আক্রমণ চালায়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের একটি পর্যবেক্ষক দল এই শান্তি প্রক্রিয়া তদারকি করবে। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই যুদ্ধবিরতিকে কম্বোডিয়ার ‘সততার পরীক্ষা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হলে থাইল্যান্ড আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার রাখে।
তবে, দীর্ঘ এক শতাব্দী ধরে চলা এই সীমান্ত বিরোধের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্তি কতটা টেকসই হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বর্তমান এই চুক্তিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ কূটনৈতিক সমর্থন ছিল বলে জানা গেছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার তিন সপ্তাহের ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষের পর অবশেষে একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী—থাইল্যান্ডের নাথফন নার্কফানিট এবং কম্বোডিয়ার চা সেইহা সীমান্তবর্তী একটি চেকপয়েন্টে তিন দিন আলোচনার পর এই চুক্তিতে সই করেন। চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো—উভয় পক্ষ বর্তমানে যে অবস্থানে রয়েছে, সেখানেই অবস্থান করবে। কোনো পক্ষই নতুন করে সেনা মোতায়েন বা অগ্রসর হতে পারবে না। যুদ্ধবিরতি টানা ৭২ ঘণ্টা টিকে থাকলে থাইল্যান্ড তাদের কাছে বন্দী ১৮ জন কম্বোডীয় সেনাকে মুক্তি দেবে।
সীমান্ত এলাকার বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ করে দেওয়া হবে এবং ল্যান্ডমাইন অপসারণে সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি কোনো পক্ষই সামরিক উদ্দেশে অন্যের আকাশসীমা ব্যবহার বা লঙ্ঘন করতে পারবে না।
গত জুলাই মাসেও প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তে সংঘাত হয়েছিল। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ট্রাম্প এই চুক্তির নাম দেন ‘কুয়ালালামপুর শান্তিচুক্তি’। এতে বিতর্কিত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষক দল গঠনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায় এবং সংঘাত নতুন মাত্রা পায়।
থাই কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ ডিসেম্বরের পর থেকে তাদের ২৬ জন সেনা এবং অন্তত ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া জানিয়েছে তাদের ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, তবে সামরিক হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি। দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে বিমান হামলা এবং ভারী কামানের গোলাবর্ষণ করেছে। পাল্টা জবাবে কম্বোডিয়া বিএম-২১ রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে আক্রমণ চালায়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের একটি পর্যবেক্ষক দল এই শান্তি প্রক্রিয়া তদারকি করবে। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই যুদ্ধবিরতিকে কম্বোডিয়ার ‘সততার পরীক্ষা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হলে থাইল্যান্ড আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার রাখে।
তবে, দীর্ঘ এক শতাব্দী ধরে চলা এই সীমান্ত বিরোধের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্তি কতটা টেকসই হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বর্তমান এই চুক্তিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ কূটনৈতিক সমর্থন ছিল বলে জানা গেছে।

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বি
২৬ ডিসেম্বর ২০২১
নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সি৯১৯ জেট পরিচালনায় প্রথমবারের মতো নারী ক্যাপ্টেন নিয়োগ দিয়েছে চীন। বিমান চালনা খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বোয়িং ও এয়ারবাস চালানো অভিজ্ঞ পাইলটদের এই উড়োজাহাজ চালনায় নিয়ে আসছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রায় এক দশকের বোয়িং ৭৩৭ চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইউ ইউয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সি৯১৯ জেট পরিচালনায় প্রথমবারের মতো নারী ক্যাপ্টেন নিয়োগ দিয়েছে চীন। বিমান চালনা খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বোয়িং ও এয়ারবাস চালানো অভিজ্ঞ পাইলটদের এই উড়োজাহাজ চালনায় নিয়ে আসছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রায় এক দশকের বোয়িং ৭৩৭ চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইউ ইউয়ে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউয়ে ২০১৫ সালে গুয়াংজুভিত্তিক চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের পাইলট হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকে ‘জিরো এরর’ বা কোনো ভুল ছাড়াই বিমান চালানোর রেকর্ড নিয়ে এক দশকের পথ পাড়ি দিয়েছেন।
এই ন্যারোবডি উড়োজাহাজ প্রকল্প নিয়ে চীন পরিকল্পিতভাবে এগুচ্ছে। আর ইউ ইউয়ের মতো অনেক নারী পাইলট এই জেট চালানোর সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। চীন নিজস্ব উড়োজাহাজ কর্মসূচি সম্প্রসারণের পাশাপাশি ধাপে ধাপে নারী পাইলটদের এগিয়ে আনতে চাইছে।
চলতি বছরের শুরুতে শীর্ষস্থানীয় পাইলটদের বাছাইয়ের সময় নির্বাচিত হন সিভিল এভিয়েশন ফ্লাইট ইউনিভার্সিটি অব চায়না থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউ ইউয়ে। এরপর বোয়িং ৭৩৭ এবং এয়ারবাস এ৩২০-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চীনের তৈরি সি৯১৯ উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য তাঁকে নিবিড় প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট করপোরেশন অব চায়না (কমাক) নির্মিত সি৯১৯ ২০২৩ সালের মে মাসে অভ্যন্তরীণ রুটে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে পরিচালনার পর দেশটির তিন বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা চায়না সাউদার্ন, এয়ার চায়না ও চায়না ইস্টার্ন এই বিমানের ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও বেশি সি৯১৯ বিমান বহরে যুক্ত হওয়ায় চায়না সাউদার্ন তাদের পাইলটদের পুনরায় প্রশিক্ষিত করার পরিকল্পনাও সম্প্রসারণ করছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম চায়না সিভিল অ্যাভিয়েশন নিউজ গত অক্টোবরে জানায়, কমাক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে দেশজুড়ে দক্ষ পাইলটদের সি৯১৯ পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চীনের শীর্ষ তিনটি বিমান সংস্থা প্রত্যেকে অন্তত ১০০টি করে সি৯১৯ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ২০৩০-এর দশক পর্যন্ত সরবরাহ করা হবে।
এই মাসে কমাকের একটি প্রকাশনীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউ ইউয়ে বলেন, ‘যখন আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমি এই বিমান (সি ৯১৯) চালানো দায়িত্ব নিতে আগ্রহী কি না, আমি এক সেকেন্ডের জন্যও দ্বিধা করিনি।’
সি ৯১৯ উড়োজাহাজ চালানোর লাইসেন্স পেতে সাংহাইয়ে কমাকের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কয়েক মাস ধরে নিবিড় প্রশিক্ষণ নেন ইউ ইউয়ে। শ্রেণীকক্ষের আলোচনার পাশাপাশি ফুল-ফ্লাইট সিমুলেটরের মাধ্যমে ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা বৈরী আবহাওয়ার মতো সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতি প্রস্তুতিও ছিল এই প্রশিক্ষণের অংশ।
সাক্ষাৎকারে ইউ ইউয়ে জানান, চীনের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের খুব কাছে তাঁর শৈশব কেটেছে। সে সময়ই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন মনে দানা বাঁধে। যদিও পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় নারী ক্যাডেটদের অনেক বেশি বাধা অতিক্রম করতে হয়, তবুও তিনি দমে যাননি।
চীনের সিভিল এভিয়েশন সেক্টরে নারী পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশিক্ষক বাড়তে থাকায় তিনি বেশ খুশি। এই নারী পাইলট বলেন, ‘২০১১ সালে যখন আমি ফ্লাইট কলেজে ভর্তি হই, তখন নারী ক্যাডেট খুব কম ছিল। কিন্তু এরপর আরও অনেক তরুণী এই পুরুষপ্রধান পেশায় যুক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যে ক্যাপ্টেনও হয়েছেন। কমাকে আমার প্রশিক্ষকেরাও সবাই নারী ছিলেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘নারী পাইলটদের সাধারণত ক্যারিয়ার এবং পরিবার বা সন্তান লালন-পালনের মতো দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও যদি কেউ সফল হতে পারেন, তাহলে বলা যায়, তাঁরাই সবচেয়ে দৃঢ়চেতা নারী।’
চীন ১৯৫১ সালে পিপলস লিবারেশন আর্মির জন্য প্রথম ব্যাচে মোট ১৪ জন নারী পাইলটকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ২০২৪ সালে চীনে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে কর্মরত নারী পাইলটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৪১ জনে। তাঁদের অধিকাংশেরই জন্ম ১৯৮৫ সালের পরে, যা তাঁদের পুরুষ সহকর্মীদের গড় বয়সের তুলনায় অনেক কম।
বর্তমানে বৈধ লাইসেন্সধারী চীনের সবচেয়ে বয়সী নারী বেসামরিক পাইলটের জন্ম ১৯৫৩ সালে, আর সবচেয়ে কম বয়সীদের জন্ম ২০০৫ সালে। তবুও, চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই খাতে নারী পাইলটের অনুপাত ২ শতাংশেরও কম।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এর তুলনায় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সনদপ্রাপ্ত বেসামরিক পাইলটদের মধ্যে নারীর হার ছিল প্রায় ৯ শতাংশ।
তবে চীনের এভিয়েশন খাতের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি নারী নেতৃত্বের ভূমিকায় উঠে আসছেন। কমাকের নির্মাণাধীন ওয়াইডবডি উড়োজাহাজ সি৯২৯, যাকে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এর প্রধান নকশাবিদ একজন নারী। যাঁর নাম ঝাও চুনলিং। তিনি এর আগেও সি৯১৯ উড়োজাহাজের নকশা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সি৯১৯ জেট পরিচালনায় প্রথমবারের মতো নারী ক্যাপ্টেন নিয়োগ দিয়েছে চীন। বিমান চালনা খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বোয়িং ও এয়ারবাস চালানো অভিজ্ঞ পাইলটদের এই উড়োজাহাজ চালনায় নিয়ে আসছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রায় এক দশকের বোয়িং ৭৩৭ চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইউ ইউয়ে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউয়ে ২০১৫ সালে গুয়াংজুভিত্তিক চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের পাইলট হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকে ‘জিরো এরর’ বা কোনো ভুল ছাড়াই বিমান চালানোর রেকর্ড নিয়ে এক দশকের পথ পাড়ি দিয়েছেন।
এই ন্যারোবডি উড়োজাহাজ প্রকল্প নিয়ে চীন পরিকল্পিতভাবে এগুচ্ছে। আর ইউ ইউয়ের মতো অনেক নারী পাইলট এই জেট চালানোর সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। চীন নিজস্ব উড়োজাহাজ কর্মসূচি সম্প্রসারণের পাশাপাশি ধাপে ধাপে নারী পাইলটদের এগিয়ে আনতে চাইছে।
চলতি বছরের শুরুতে শীর্ষস্থানীয় পাইলটদের বাছাইয়ের সময় নির্বাচিত হন সিভিল এভিয়েশন ফ্লাইট ইউনিভার্সিটি অব চায়না থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউ ইউয়ে। এরপর বোয়িং ৭৩৭ এবং এয়ারবাস এ৩২০-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চীনের তৈরি সি৯১৯ উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য তাঁকে নিবিড় প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট করপোরেশন অব চায়না (কমাক) নির্মিত সি৯১৯ ২০২৩ সালের মে মাসে অভ্যন্তরীণ রুটে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে পরিচালনার পর দেশটির তিন বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা চায়না সাউদার্ন, এয়ার চায়না ও চায়না ইস্টার্ন এই বিমানের ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও বেশি সি৯১৯ বিমান বহরে যুক্ত হওয়ায় চায়না সাউদার্ন তাদের পাইলটদের পুনরায় প্রশিক্ষিত করার পরিকল্পনাও সম্প্রসারণ করছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম চায়না সিভিল অ্যাভিয়েশন নিউজ গত অক্টোবরে জানায়, কমাক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে দেশজুড়ে দক্ষ পাইলটদের সি৯১৯ পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চীনের শীর্ষ তিনটি বিমান সংস্থা প্রত্যেকে অন্তত ১০০টি করে সি৯১৯ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ২০৩০-এর দশক পর্যন্ত সরবরাহ করা হবে।
এই মাসে কমাকের একটি প্রকাশনীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউ ইউয়ে বলেন, ‘যখন আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমি এই বিমান (সি ৯১৯) চালানো দায়িত্ব নিতে আগ্রহী কি না, আমি এক সেকেন্ডের জন্যও দ্বিধা করিনি।’
সি ৯১৯ উড়োজাহাজ চালানোর লাইসেন্স পেতে সাংহাইয়ে কমাকের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কয়েক মাস ধরে নিবিড় প্রশিক্ষণ নেন ইউ ইউয়ে। শ্রেণীকক্ষের আলোচনার পাশাপাশি ফুল-ফ্লাইট সিমুলেটরের মাধ্যমে ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা বৈরী আবহাওয়ার মতো সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতি প্রস্তুতিও ছিল এই প্রশিক্ষণের অংশ।
সাক্ষাৎকারে ইউ ইউয়ে জানান, চীনের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের খুব কাছে তাঁর শৈশব কেটেছে। সে সময়ই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন মনে দানা বাঁধে। যদিও পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় নারী ক্যাডেটদের অনেক বেশি বাধা অতিক্রম করতে হয়, তবুও তিনি দমে যাননি।
চীনের সিভিল এভিয়েশন সেক্টরে নারী পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশিক্ষক বাড়তে থাকায় তিনি বেশ খুশি। এই নারী পাইলট বলেন, ‘২০১১ সালে যখন আমি ফ্লাইট কলেজে ভর্তি হই, তখন নারী ক্যাডেট খুব কম ছিল। কিন্তু এরপর আরও অনেক তরুণী এই পুরুষপ্রধান পেশায় যুক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যে ক্যাপ্টেনও হয়েছেন। কমাকে আমার প্রশিক্ষকেরাও সবাই নারী ছিলেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘নারী পাইলটদের সাধারণত ক্যারিয়ার এবং পরিবার বা সন্তান লালন-পালনের মতো দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও যদি কেউ সফল হতে পারেন, তাহলে বলা যায়, তাঁরাই সবচেয়ে দৃঢ়চেতা নারী।’
চীন ১৯৫১ সালে পিপলস লিবারেশন আর্মির জন্য প্রথম ব্যাচে মোট ১৪ জন নারী পাইলটকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ২০২৪ সালে চীনে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে কর্মরত নারী পাইলটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৪১ জনে। তাঁদের অধিকাংশেরই জন্ম ১৯৮৫ সালের পরে, যা তাঁদের পুরুষ সহকর্মীদের গড় বয়সের তুলনায় অনেক কম।
বর্তমানে বৈধ লাইসেন্সধারী চীনের সবচেয়ে বয়সী নারী বেসামরিক পাইলটের জন্ম ১৯৫৩ সালে, আর সবচেয়ে কম বয়সীদের জন্ম ২০০৫ সালে। তবুও, চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই খাতে নারী পাইলটের অনুপাত ২ শতাংশেরও কম।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এর তুলনায় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সনদপ্রাপ্ত বেসামরিক পাইলটদের মধ্যে নারীর হার ছিল প্রায় ৯ শতাংশ।
তবে চীনের এভিয়েশন খাতের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি নারী নেতৃত্বের ভূমিকায় উঠে আসছেন। কমাকের নির্মাণাধীন ওয়াইডবডি উড়োজাহাজ সি৯২৯, যাকে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এর প্রধান নকশাবিদ একজন নারী। যাঁর নাম ঝাও চুনলিং। তিনি এর আগেও সি৯১৯ উড়োজাহাজের নকশা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বি
২৬ ডিসেম্বর ২০২১
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তিন সপ্তাহের ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষের পর অবশেষে একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত একটি যৌথ বিবৃতির
৪৩ মিনিট আগে
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীন তাদের সবচেয়ে দ্রুতগতির ম্যাগলেভ ট্রেনের মাধ্যমে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। মাত্র দুই সেকেন্ডেই ট্রেনটির গতি উঠেছে ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার। গতি এতটাই দ্রুত যে চোখের পলক ফেলতেই তা দৃষ্টির বাইরে চলে যায়।
চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির গবেষকেরা এই ম্যাগনেটিক লেভিটেশন (ম্যাগলেভ) ট্রেনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রায় এক টন ওজনের যানকে এই অবিশ্বাস্য গতিতে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ৪০০ মিটার (প্রায় ১ হাজার ৩১০ ফুট) দীর্ঘ ম্যাগলেভ ট্র্যাকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। সর্বোচ্চ গতি অর্জনের পর ট্রেনটিকে নিরাপদে থামানো হয়। এর মধ্য দিয়ে এটি বিশ্বের দ্রুততম সুপারকন্ডাক্টিং বৈদ্যুতিক ম্যাগলেভ ট্রেন হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
পরীক্ষার ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রেনটি অনেকটা রুপালি বিদ্যুতের ঝলকের মতো চোখের নিমেষে বেরিয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে এর গতি অনুসরণ করা প্রায় অসম্ভব এবং এটি পেছনে একটি হালকা কুয়াশার রেখা রেখে যায়। পুরো বিষয়টি দেখতে অনেকটা সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মতো মনে হয়।
ট্রেনটি সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগনেট বা শক্তিশালী চৌম্বক শক্তির সাহায্যে ট্র্যাকের ওপর ভেসে থাকে। কোনো স্পর্শ ছাড়াই এই চৌম্বক শক্তি ট্রেনটিকে ওপরে তুলে ধরে এবং সামনের দিকে ঠেলে দেয়।
এর ত্বরণ এতটাই শক্তিশালী যে এটি রকেট উৎক্ষেপণেও সক্ষম। এই গতিতে চললে ম্যাগলেভ ট্রেনগুলো দূরবর্তী শহরগুলোকে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সংযুক্ত করতে পারবে।
এই প্রযুক্তি হাইপারলুপের মতো ভবিষ্যৎ যাতায়াত ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করছে, যেখানে ট্রেনগুলো শূন্যস্থান বা ভ্যাকুয়াম টিউবের ভেতর দিয়ে অতি উচ্চগতিতে চলাচল করবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, এই সাফল্য অতি উচ্চগতির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপালশন, ইলেকট্রিক সাসপেনশন গাইডেন্স ও হাই-ফিল্ড সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগনেটের মতো জটিল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করেছে।
এই প্রযুক্তি শুধু ট্রেন চলাচলেই নয়, বরং মহাকাশবিজ্ঞান এবং বিমান চালনার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে রকেট বা প্লেন অনেক কম জ্বালানি খরচ করে আরও সহজে এবং দ্রুত উড্ডয়ন করতে পারবে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
গবেষণা দলটি ১০ বছর ধরে এই প্রজেক্টে কাজ করছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে একই ট্র্যাকে পরীক্ষা চালিয়ে তারা ৬৪৮ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করেছিল।
প্রায় তিন দশক আগে এই একই বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম যাত্রীবাহী ম্যাগলেভ ট্রেন তৈরি করে, যা চীনকে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে এই প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলে।

চীন তাদের সবচেয়ে দ্রুতগতির ম্যাগলেভ ট্রেনের মাধ্যমে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। মাত্র দুই সেকেন্ডেই ট্রেনটির গতি উঠেছে ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার। গতি এতটাই দ্রুত যে চোখের পলক ফেলতেই তা দৃষ্টির বাইরে চলে যায়।
চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির গবেষকেরা এই ম্যাগনেটিক লেভিটেশন (ম্যাগলেভ) ট্রেনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রায় এক টন ওজনের যানকে এই অবিশ্বাস্য গতিতে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ৪০০ মিটার (প্রায় ১ হাজার ৩১০ ফুট) দীর্ঘ ম্যাগলেভ ট্র্যাকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। সর্বোচ্চ গতি অর্জনের পর ট্রেনটিকে নিরাপদে থামানো হয়। এর মধ্য দিয়ে এটি বিশ্বের দ্রুততম সুপারকন্ডাক্টিং বৈদ্যুতিক ম্যাগলেভ ট্রেন হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
পরীক্ষার ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রেনটি অনেকটা রুপালি বিদ্যুতের ঝলকের মতো চোখের নিমেষে বেরিয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে এর গতি অনুসরণ করা প্রায় অসম্ভব এবং এটি পেছনে একটি হালকা কুয়াশার রেখা রেখে যায়। পুরো বিষয়টি দেখতে অনেকটা সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মতো মনে হয়।
ট্রেনটি সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগনেট বা শক্তিশালী চৌম্বক শক্তির সাহায্যে ট্র্যাকের ওপর ভেসে থাকে। কোনো স্পর্শ ছাড়াই এই চৌম্বক শক্তি ট্রেনটিকে ওপরে তুলে ধরে এবং সামনের দিকে ঠেলে দেয়।
এর ত্বরণ এতটাই শক্তিশালী যে এটি রকেট উৎক্ষেপণেও সক্ষম। এই গতিতে চললে ম্যাগলেভ ট্রেনগুলো দূরবর্তী শহরগুলোকে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সংযুক্ত করতে পারবে।
এই প্রযুক্তি হাইপারলুপের মতো ভবিষ্যৎ যাতায়াত ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করছে, যেখানে ট্রেনগুলো শূন্যস্থান বা ভ্যাকুয়াম টিউবের ভেতর দিয়ে অতি উচ্চগতিতে চলাচল করবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, এই সাফল্য অতি উচ্চগতির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপালশন, ইলেকট্রিক সাসপেনশন গাইডেন্স ও হাই-ফিল্ড সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগনেটের মতো জটিল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করেছে।
এই প্রযুক্তি শুধু ট্রেন চলাচলেই নয়, বরং মহাকাশবিজ্ঞান এবং বিমান চালনার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে রকেট বা প্লেন অনেক কম জ্বালানি খরচ করে আরও সহজে এবং দ্রুত উড্ডয়ন করতে পারবে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
গবেষণা দলটি ১০ বছর ধরে এই প্রজেক্টে কাজ করছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে একই ট্র্যাকে পরীক্ষা চালিয়ে তারা ৬৪৮ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করেছিল।
প্রায় তিন দশক আগে এই একই বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম যাত্রীবাহী ম্যাগলেভ ট্রেন তৈরি করে, যা চীনকে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে এই প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলে।

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বি
২৬ ডিসেম্বর ২০২১
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তিন সপ্তাহের ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষের পর অবশেষে একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত একটি যৌথ বিবৃতির
৪৩ মিনিট আগে
নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সি৯১৯ জেট পরিচালনায় প্রথমবারের মতো নারী ক্যাপ্টেন নিয়োগ দিয়েছে চীন। বিমান চালনা খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বোয়িং ও এয়ারবাস চালানো অভিজ্ঞ পাইলটদের এই উড়োজাহাজ চালনায় নিয়ে আসছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রায় এক দশকের বোয়িং ৭৩৭ চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইউ ইউয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে। ওই সময়টায় মানুষের মনে আশা জাগিয়ে একের পর এক বাজারে আসছিল করোনার টিকা। শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকার প্রয়োগও। নতুন নতুন ধরন চিহ্নিত হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান ছিল। বছরের শেষটায় আবার নতুন করে লড়াই শুরুর মনোবল সঞ্চয় করতে হচ্ছে বি
২৬ ডিসেম্বর ২০২১
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তিন সপ্তাহের ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষের পর অবশেষে একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত একটি যৌথ বিবৃতির
৪৩ মিনিট আগে
নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সি৯১৯ জেট পরিচালনায় প্রথমবারের মতো নারী ক্যাপ্টেন নিয়োগ দিয়েছে চীন। বিমান চালনা খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বোয়িং ও এয়ারবাস চালানো অভিজ্ঞ পাইলটদের এই উড়োজাহাজ চালনায় নিয়ে আসছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রায় এক দশকের বোয়িং ৭৩৭ চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইউ ইউয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
২ ঘণ্টা আগে