
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেন। ভোট দেওয়া তাঁদের অধিকার; তাঁরা মন চাইলে ভোট দেবেন, না চাইলে ভোট দেবেন না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, বিশ্বের মোট ২৩টি দেশে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করার আইন রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা মোট ৩০টি। সর্বশেষ দেশ হিসেবে কম্বোডিয়াও এই আইন করেছে। তাই এই তালিকায় মোট দেশের সংখ্যা এখন ৩১।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে, যেসব দেশে এই আইন রয়েছে সেগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, সাইপ্রাস, ইকুয়েডর, মিসর, ফিজি, পানামা, গ্রিস, ইতালি, লিকটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, নাউরু, প্যারাগুয়ে, পেরু, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো এবং কম্বোডিয়া।
গ্রিক সভ্যতায় প্রাচীন এথেন্সে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এই বাধ্যবাধকতা না মানলে কোনো দণ্ড প্রয়োগ করা কি না জানা যায় না। এথেন্স অবশ্য ওই সময় অনেক কিছু নিয়েই পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে।
আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম বাধ্যতামূলক ভোট চালু করে বেলজিয়াম। দেশটি ১৮৯৩ সালে পুরুষ এবং ১৯৪৮ সালে নারীদের জন্য ভোটদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের জন্য ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে ১৯২৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেক দেশই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইন থাকলেও দেশ ভেদে এই আইনের প্রয়োগ ভিন্ন। যেমন, কিছু দেশে কোনো ভোটার যদি ভোট না দেন, তবে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন, ব্রাজিলে ভোট না দিলে তিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা সেই অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া টানা তিনবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে তাঁর ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে তিনি পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে অনেক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এই আইনটি কীভাবে, কোন মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় সে বিষয়টি আমলে নিয়ে বেশ কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে দেশগুলোকে। যেমন, কোনো কোনো দেশে এই আইন খুব কড়া, আবার কোনো দেশ মধ্যম মাত্রার শাস্তির বিধান রেখেছে। আবার কোনো দেশে আইন থাকলেও শাস্তির বিধান নেই।
ভোট না দিলে বিশ্বের চারটি দেশের কড়া শাস্তি বা দণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়। দেশগুলো হলো ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং পেরু। এসব দেশে ভোট না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ব্রাজিলে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হয় তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভোট না দিলে এবং ভোট না দেওয়ার উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে ওই ব্যক্তিকে ৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। আবার পেরুতে ভোট না দিলে আর্থিক দণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
আবার কিছু দেশে উল্লিখিত চারটি দেশের মতো অতটা কঠোর আইন না থাকলেও বেশ কড়াভাবেই প্রয়োগ করা হয়। এই তালিকায় রয়েছে বলিভিয়া, নাউরু, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। এসব দেশে খুব বড় ধরনের দণ্ড দেওয়া হয় না। তবে একেবারে ছাড়ও দেওয়া হয় না। যেমন, বলিভিয়ায় কেউ ভোট না দিলে তাঁকে তিন মাসের জন্য সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন থেকে বিরত রাখা হয়। আবার থাইল্যান্ডে ভোট না দিলে তাঁকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেওয়া হয় না।
বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সাইপ্রাস, লিকটেনস্টেইন, প্যারাগুয়ে, ফিজি এবং ইকুয়েডরে কোনো ভোটার ভোট না দিলে পরিমিত পরিমাণে দণ্ড দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব দেশে ভোট না দিলে সামান্য পরিমাণ অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়। এর বাইরে কোনো ধরনের দণ্ড এসব দেশে দেওয়া হয় না।
এ ছাড়া, পানামা, গ্রিস এবং আর্জেন্টিনায় ভোট না দিলে খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ভোটার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে সেই দণ্ড থেকে রেহাই পান।
আবার কিছু দেশ আইন করে ভোটারদের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কোনো ধরনের দণ্ডের বিধান নেই। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে মিসর, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা এবং মেক্সিকো। এমনকি এসব দেশে ভোট দান থেকে বিরত থাকার জন্য কোনো কারণও দর্শাতে হয় না।
সবশেষ দেশ হিসেবে যে দেশটি বাধ্যতামূলক ভোটের বিধান করেছে সেটি হলো—কম্বোডিয়া। তবে দেশটির আইন অনুসারে কেউ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যাই হোক, ভোট কাস্ট বাড়ানো এবং ভোট দানে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা— এই দুই বিষয়ের ওপরই বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইনের সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক নিবন্ধে এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইন অনেক সময়ই নির্বাচনে ভোট কাস্টের হার বাড়ায়। বিপরীতে নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ—বাধ্যতামূলক ভোট— সেই মূল্যবোধের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ বা অনাস্থা তৈরি করে। তাই গবেষকদের মত হলো, এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত রায় দেওয়ার সময় আসেনি। কারণ, এই আইনের দ্বিমুখী প্রভাব স্পষ্ট।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, পিউ রিসার্চ, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশন

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেন। ভোট দেওয়া তাঁদের অধিকার; তাঁরা মন চাইলে ভোট দেবেন, না চাইলে ভোট দেবেন না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, বিশ্বের মোট ২৩টি দেশে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করার আইন রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা মোট ৩০টি। সর্বশেষ দেশ হিসেবে কম্বোডিয়াও এই আইন করেছে। তাই এই তালিকায় মোট দেশের সংখ্যা এখন ৩১।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে, যেসব দেশে এই আইন রয়েছে সেগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, সাইপ্রাস, ইকুয়েডর, মিসর, ফিজি, পানামা, গ্রিস, ইতালি, লিকটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, নাউরু, প্যারাগুয়ে, পেরু, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো এবং কম্বোডিয়া।
গ্রিক সভ্যতায় প্রাচীন এথেন্সে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এই বাধ্যবাধকতা না মানলে কোনো দণ্ড প্রয়োগ করা কি না জানা যায় না। এথেন্স অবশ্য ওই সময় অনেক কিছু নিয়েই পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে।
আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম বাধ্যতামূলক ভোট চালু করে বেলজিয়াম। দেশটি ১৮৯৩ সালে পুরুষ এবং ১৯৪৮ সালে নারীদের জন্য ভোটদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের জন্য ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে ১৯২৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেক দেশই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইন থাকলেও দেশ ভেদে এই আইনের প্রয়োগ ভিন্ন। যেমন, কিছু দেশে কোনো ভোটার যদি ভোট না দেন, তবে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন, ব্রাজিলে ভোট না দিলে তিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা সেই অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া টানা তিনবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে তাঁর ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে তিনি পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে অনেক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এই আইনটি কীভাবে, কোন মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় সে বিষয়টি আমলে নিয়ে বেশ কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে দেশগুলোকে। যেমন, কোনো কোনো দেশে এই আইন খুব কড়া, আবার কোনো দেশ মধ্যম মাত্রার শাস্তির বিধান রেখেছে। আবার কোনো দেশে আইন থাকলেও শাস্তির বিধান নেই।
ভোট না দিলে বিশ্বের চারটি দেশের কড়া শাস্তি বা দণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়। দেশগুলো হলো ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং পেরু। এসব দেশে ভোট না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ব্রাজিলে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হয় তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভোট না দিলে এবং ভোট না দেওয়ার উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে ওই ব্যক্তিকে ৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। আবার পেরুতে ভোট না দিলে আর্থিক দণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
আবার কিছু দেশে উল্লিখিত চারটি দেশের মতো অতটা কঠোর আইন না থাকলেও বেশ কড়াভাবেই প্রয়োগ করা হয়। এই তালিকায় রয়েছে বলিভিয়া, নাউরু, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। এসব দেশে খুব বড় ধরনের দণ্ড দেওয়া হয় না। তবে একেবারে ছাড়ও দেওয়া হয় না। যেমন, বলিভিয়ায় কেউ ভোট না দিলে তাঁকে তিন মাসের জন্য সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন থেকে বিরত রাখা হয়। আবার থাইল্যান্ডে ভোট না দিলে তাঁকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেওয়া হয় না।
বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সাইপ্রাস, লিকটেনস্টেইন, প্যারাগুয়ে, ফিজি এবং ইকুয়েডরে কোনো ভোটার ভোট না দিলে পরিমিত পরিমাণে দণ্ড দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব দেশে ভোট না দিলে সামান্য পরিমাণ অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়। এর বাইরে কোনো ধরনের দণ্ড এসব দেশে দেওয়া হয় না।
এ ছাড়া, পানামা, গ্রিস এবং আর্জেন্টিনায় ভোট না দিলে খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ভোটার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে সেই দণ্ড থেকে রেহাই পান।
আবার কিছু দেশ আইন করে ভোটারদের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কোনো ধরনের দণ্ডের বিধান নেই। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে মিসর, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা এবং মেক্সিকো। এমনকি এসব দেশে ভোট দান থেকে বিরত থাকার জন্য কোনো কারণও দর্শাতে হয় না।
সবশেষ দেশ হিসেবে যে দেশটি বাধ্যতামূলক ভোটের বিধান করেছে সেটি হলো—কম্বোডিয়া। তবে দেশটির আইন অনুসারে কেউ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যাই হোক, ভোট কাস্ট বাড়ানো এবং ভোট দানে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা— এই দুই বিষয়ের ওপরই বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইনের সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক নিবন্ধে এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইন অনেক সময়ই নির্বাচনে ভোট কাস্টের হার বাড়ায়। বিপরীতে নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ—বাধ্যতামূলক ভোট— সেই মূল্যবোধের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ বা অনাস্থা তৈরি করে। তাই গবেষকদের মত হলো, এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত রায় দেওয়ার সময় আসেনি। কারণ, এই আইনের দ্বিমুখী প্রভাব স্পষ্ট।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, পিউ রিসার্চ, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেয়। ভোট দেওয়া তাদের অধিকার; তারা মন চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে ভোট দেবে না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০২৩
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেয়। ভোট দেওয়া তাদের অধিকার; তারা মন চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে ভোট দেবে না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেয়। ভোট দেওয়া তাদের অধিকার; তারা মন চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে ভোট দেবে না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেয়। ভোট দেওয়া তাদের অধিকার; তারা মন চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে ভোট দেবে না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১২ ঘণ্টা আগে