
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেন। ভোট দেওয়া তাঁদের অধিকার; তাঁরা মন চাইলে ভোট দেবেন, না চাইলে ভোট দেবেন না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, বিশ্বের মোট ২৩টি দেশে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করার আইন রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা মোট ৩০টি। সর্বশেষ দেশ হিসেবে কম্বোডিয়াও এই আইন করেছে। তাই এই তালিকায় মোট দেশের সংখ্যা এখন ৩১।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে, যেসব দেশে এই আইন রয়েছে সেগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, সাইপ্রাস, ইকুয়েডর, মিসর, ফিজি, পানামা, গ্রিস, ইতালি, লিকটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, নাউরু, প্যারাগুয়ে, পেরু, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো এবং কম্বোডিয়া।
গ্রিক সভ্যতায় প্রাচীন এথেন্সে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এই বাধ্যবাধকতা না মানলে কোনো দণ্ড প্রয়োগ করা কি না জানা যায় না। এথেন্স অবশ্য ওই সময় অনেক কিছু নিয়েই পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে।
আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম বাধ্যতামূলক ভোট চালু করে বেলজিয়াম। দেশটি ১৮৯৩ সালে পুরুষ এবং ১৯৪৮ সালে নারীদের জন্য ভোটদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের জন্য ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে ১৯২৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেক দেশই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইন থাকলেও দেশ ভেদে এই আইনের প্রয়োগ ভিন্ন। যেমন, কিছু দেশে কোনো ভোটার যদি ভোট না দেন, তবে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন, ব্রাজিলে ভোট না দিলে তিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা সেই অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া টানা তিনবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে তাঁর ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে তিনি পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে অনেক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এই আইনটি কীভাবে, কোন মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় সে বিষয়টি আমলে নিয়ে বেশ কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে দেশগুলোকে। যেমন, কোনো কোনো দেশে এই আইন খুব কড়া, আবার কোনো দেশ মধ্যম মাত্রার শাস্তির বিধান রেখেছে। আবার কোনো দেশে আইন থাকলেও শাস্তির বিধান নেই।
ভোট না দিলে বিশ্বের চারটি দেশের কড়া শাস্তি বা দণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়। দেশগুলো হলো ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং পেরু। এসব দেশে ভোট না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ব্রাজিলে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হয় তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভোট না দিলে এবং ভোট না দেওয়ার উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে ওই ব্যক্তিকে ৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। আবার পেরুতে ভোট না দিলে আর্থিক দণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
আবার কিছু দেশে উল্লিখিত চারটি দেশের মতো অতটা কঠোর আইন না থাকলেও বেশ কড়াভাবেই প্রয়োগ করা হয়। এই তালিকায় রয়েছে বলিভিয়া, নাউরু, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। এসব দেশে খুব বড় ধরনের দণ্ড দেওয়া হয় না। তবে একেবারে ছাড়ও দেওয়া হয় না। যেমন, বলিভিয়ায় কেউ ভোট না দিলে তাঁকে তিন মাসের জন্য সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন থেকে বিরত রাখা হয়। আবার থাইল্যান্ডে ভোট না দিলে তাঁকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেওয়া হয় না।
বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সাইপ্রাস, লিকটেনস্টেইন, প্যারাগুয়ে, ফিজি এবং ইকুয়েডরে কোনো ভোটার ভোট না দিলে পরিমিত পরিমাণে দণ্ড দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব দেশে ভোট না দিলে সামান্য পরিমাণ অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়। এর বাইরে কোনো ধরনের দণ্ড এসব দেশে দেওয়া হয় না।
এ ছাড়া, পানামা, গ্রিস এবং আর্জেন্টিনায় ভোট না দিলে খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ভোটার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে সেই দণ্ড থেকে রেহাই পান।
আবার কিছু দেশ আইন করে ভোটারদের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কোনো ধরনের দণ্ডের বিধান নেই। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে মিসর, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা এবং মেক্সিকো। এমনকি এসব দেশে ভোট দান থেকে বিরত থাকার জন্য কোনো কারণও দর্শাতে হয় না।
সবশেষ দেশ হিসেবে যে দেশটি বাধ্যতামূলক ভোটের বিধান করেছে সেটি হলো—কম্বোডিয়া। তবে দেশটির আইন অনুসারে কেউ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যাই হোক, ভোট কাস্ট বাড়ানো এবং ভোট দানে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা— এই দুই বিষয়ের ওপরই বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইনের সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক নিবন্ধে এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইন অনেক সময়ই নির্বাচনে ভোট কাস্টের হার বাড়ায়। বিপরীতে নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ—বাধ্যতামূলক ভোট— সেই মূল্যবোধের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ বা অনাস্থা তৈরি করে। তাই গবেষকদের মত হলো, এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত রায় দেওয়ার সময় আসেনি। কারণ, এই আইনের দ্বিমুখী প্রভাব স্পষ্ট।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, পিউ রিসার্চ, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশন

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেন। ভোট দেওয়া তাঁদের অধিকার; তাঁরা মন চাইলে ভোট দেবেন, না চাইলে ভোট দেবেন না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, বিশ্বের মোট ২৩টি দেশে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করার আইন রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা মোট ৩০টি। সর্বশেষ দেশ হিসেবে কম্বোডিয়াও এই আইন করেছে। তাই এই তালিকায় মোট দেশের সংখ্যা এখন ৩১।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে, যেসব দেশে এই আইন রয়েছে সেগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, সাইপ্রাস, ইকুয়েডর, মিসর, ফিজি, পানামা, গ্রিস, ইতালি, লিকটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, নাউরু, প্যারাগুয়ে, পেরু, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো এবং কম্বোডিয়া।
গ্রিক সভ্যতায় প্রাচীন এথেন্সে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এই বাধ্যবাধকতা না মানলে কোনো দণ্ড প্রয়োগ করা কি না জানা যায় না। এথেন্স অবশ্য ওই সময় অনেক কিছু নিয়েই পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে।
আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম বাধ্যতামূলক ভোট চালু করে বেলজিয়াম। দেশটি ১৮৯৩ সালে পুরুষ এবং ১৯৪৮ সালে নারীদের জন্য ভোটদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের জন্য ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে ১৯২৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেক দেশই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইন থাকলেও দেশ ভেদে এই আইনের প্রয়োগ ভিন্ন। যেমন, কিছু দেশে কোনো ভোটার যদি ভোট না দেন, তবে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন, ব্রাজিলে ভোট না দিলে তিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা সেই অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া টানা তিনবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে তাঁর ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে তিনি পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে অনেক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এই আইনটি কীভাবে, কোন মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় সে বিষয়টি আমলে নিয়ে বেশ কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে দেশগুলোকে। যেমন, কোনো কোনো দেশে এই আইন খুব কড়া, আবার কোনো দেশ মধ্যম মাত্রার শাস্তির বিধান রেখেছে। আবার কোনো দেশে আইন থাকলেও শাস্তির বিধান নেই।
ভোট না দিলে বিশ্বের চারটি দেশের কড়া শাস্তি বা দণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়। দেশগুলো হলো ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং পেরু। এসব দেশে ভোট না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ব্রাজিলে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হয় তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভোট না দিলে এবং ভোট না দেওয়ার উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে ওই ব্যক্তিকে ৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। আবার পেরুতে ভোট না দিলে আর্থিক দণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
আবার কিছু দেশে উল্লিখিত চারটি দেশের মতো অতটা কঠোর আইন না থাকলেও বেশ কড়াভাবেই প্রয়োগ করা হয়। এই তালিকায় রয়েছে বলিভিয়া, নাউরু, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। এসব দেশে খুব বড় ধরনের দণ্ড দেওয়া হয় না। তবে একেবারে ছাড়ও দেওয়া হয় না। যেমন, বলিভিয়ায় কেউ ভোট না দিলে তাঁকে তিন মাসের জন্য সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন থেকে বিরত রাখা হয়। আবার থাইল্যান্ডে ভোট না দিলে তাঁকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেওয়া হয় না।
বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সাইপ্রাস, লিকটেনস্টেইন, প্যারাগুয়ে, ফিজি এবং ইকুয়েডরে কোনো ভোটার ভোট না দিলে পরিমিত পরিমাণে দণ্ড দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব দেশে ভোট না দিলে সামান্য পরিমাণ অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়। এর বাইরে কোনো ধরনের দণ্ড এসব দেশে দেওয়া হয় না।
এ ছাড়া, পানামা, গ্রিস এবং আর্জেন্টিনায় ভোট না দিলে খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ভোটার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে সেই দণ্ড থেকে রেহাই পান।
আবার কিছু দেশ আইন করে ভোটারদের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কোনো ধরনের দণ্ডের বিধান নেই। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে মিসর, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা এবং মেক্সিকো। এমনকি এসব দেশে ভোট দান থেকে বিরত থাকার জন্য কোনো কারণও দর্শাতে হয় না।
সবশেষ দেশ হিসেবে যে দেশটি বাধ্যতামূলক ভোটের বিধান করেছে সেটি হলো—কম্বোডিয়া। তবে দেশটির আইন অনুসারে কেউ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যাই হোক, ভোট কাস্ট বাড়ানো এবং ভোট দানে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা— এই দুই বিষয়ের ওপরই বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইনের সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক নিবন্ধে এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইন অনেক সময়ই নির্বাচনে ভোট কাস্টের হার বাড়ায়। বিপরীতে নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ—বাধ্যতামূলক ভোট— সেই মূল্যবোধের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ বা অনাস্থা তৈরি করে। তাই গবেষকদের মত হলো, এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত রায় দেওয়ার সময় আসেনি। কারণ, এই আইনের দ্বিমুখী প্রভাব স্পষ্ট।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, পিউ রিসার্চ, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশন

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেয়। ভোট দেওয়া তাদের অধিকার; তারা মন চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে ভোট দেবে না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০২৩
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেয়। ভোট দেওয়া তাদের অধিকার; তারা মন চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে ভোট দেবে না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০২৩
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেয়। ভোট দেওয়া তাদের অধিকার; তারা মন চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে ভোট দেবে না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০২৩
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেয়। ভোট দেওয়া তাদের অধিকার; তারা মন চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে ভোট দেবে না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০২৩
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৮ ঘণ্টা আগে