আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল ও নেপালকে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বিক্ষোভকারী ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর নেপাল সরকার রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
কয়েক দশক ধরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দুর্বল কোয়ালিশন সরকার কয়েক মাসের বেশি টিকতে পারছে না এবং উচ্চপদস্থ রাজনীতিকেরা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। টালমাটাল এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, যা রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ক্রমশ উসকে দিচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হাজারো রাজতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী গতকাল কাঠমান্ডুতে জমায়েত হয়ে ২০০৮ সালে বিলুপ্ত হওয়া হিন্দু রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি তোলেন। তাঁরা দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পরিবর্তে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় প্রজাতন্ত্রপন্থী ও গণতন্ত্রকামী গোষ্ঠীগুলোর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও অনুষ্ঠিত হয়।
তবে বিক্ষোভ চলাকালে রাজতন্ত্রপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে পাথর নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও কিছু ভবনে অগ্নিসংযোগ করেন। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়সহ একটি প্রভাবশালী সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মুখপাত্র শেখর খনাল জানান, এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। এরপরই তাঁরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এদিকে রবি শ্রেষ্ঠা নামের একজন বিক্ষোভকারী দাবি করেন, ‘পুলিশই প্রথম আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এখনোই রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি করছি না, বরং রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানটির পুনর্বহাল চাইছি। পুলিশের দমননীতিই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেছে।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক ডেকেছেন। রাজতন্ত্র পুনর্বহাল কমিটি একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ‘সাংবিধানিক রাজতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনার দাবি করছে, যা গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সহাবস্থান করবে এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে একটি ‘পিতৃসুলভ ভূমিকা’ পালন করবে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে নেপালের তৎকালীন রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বড় ভাই বীরেন্দ্র নিহত হওয়ার পর ওই বছর রাজা হিসেবে জ্ঞানেন্দ্রর অভিষেক হয়। ৭৭ বছর বয়সী জ্ঞানেন্দ্র ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তখন তাঁর নির্বাহী ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিল না।
তবে ২০০৫ সালে জ্ঞানেন্দ্র পুরোপুরিভাবে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠান। এরপর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দেশ শাসনের কাজে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেন।
তাঁর এসব পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে রাজা জ্ঞানেন্দ্রর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। একপর্যায়ে ২০০৬ সালে তিনি একটি বহুদলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। মাওবাদীদের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে সেই সরকার। এর মধ্য দিয়ে এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
২০০৮ সালে প্রায় ২৪০ বছরের পুরোনো হিন্দু রাজতন্ত্রকে বিলুপ্ত করার বিষয়ে দেশটির পার্লামেন্টে ভোট হয়। ভোটাভুটিতে রাজতন্ত্র বিলোপের পক্ষে রায় এলে রাজা জ্ঞানেন্দ্র পদত্যাগ করেন। এরপর নেপালে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৬ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্তির আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঝাপার বাসিন্দা সুনিতা চুড়াল এখন রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছি এই বিশ্বাসে নয় যে রাজা ফিরে এসে সব ঠিক করবেন, বরং দেশে দুর্নীতি ও অবক্ষয় যেভাবে বেড়েছে এবং আমাদের সন্তানদের কীভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য করা হচ্ছে, তা দেখে। আমি এতটাই হতাশ হয়েছি যে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
৯ মার্চ কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে জ্ঞানেন্দ্র শাহকে স্বাগত জানাতে দশ হাজারের বেশি সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা ‘আমাদের রাজাকে ফিরিয়ে আনো’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। অনেকে বলছেন, এটি ২০২৩ সালের পর নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল ও নেপালকে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বিক্ষোভকারী ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর নেপাল সরকার রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
কয়েক দশক ধরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দুর্বল কোয়ালিশন সরকার কয়েক মাসের বেশি টিকতে পারছে না এবং উচ্চপদস্থ রাজনীতিকেরা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। টালমাটাল এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, যা রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ক্রমশ উসকে দিচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হাজারো রাজতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী গতকাল কাঠমান্ডুতে জমায়েত হয়ে ২০০৮ সালে বিলুপ্ত হওয়া হিন্দু রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি তোলেন। তাঁরা দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পরিবর্তে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় প্রজাতন্ত্রপন্থী ও গণতন্ত্রকামী গোষ্ঠীগুলোর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও অনুষ্ঠিত হয়।
তবে বিক্ষোভ চলাকালে রাজতন্ত্রপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে পাথর নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও কিছু ভবনে অগ্নিসংযোগ করেন। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়সহ একটি প্রভাবশালী সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মুখপাত্র শেখর খনাল জানান, এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। এরপরই তাঁরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এদিকে রবি শ্রেষ্ঠা নামের একজন বিক্ষোভকারী দাবি করেন, ‘পুলিশই প্রথম আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এখনোই রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি করছি না, বরং রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানটির পুনর্বহাল চাইছি। পুলিশের দমননীতিই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেছে।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক ডেকেছেন। রাজতন্ত্র পুনর্বহাল কমিটি একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ‘সাংবিধানিক রাজতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনার দাবি করছে, যা গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সহাবস্থান করবে এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে একটি ‘পিতৃসুলভ ভূমিকা’ পালন করবে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে নেপালের তৎকালীন রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বড় ভাই বীরেন্দ্র নিহত হওয়ার পর ওই বছর রাজা হিসেবে জ্ঞানেন্দ্রর অভিষেক হয়। ৭৭ বছর বয়সী জ্ঞানেন্দ্র ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তখন তাঁর নির্বাহী ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিল না।
তবে ২০০৫ সালে জ্ঞানেন্দ্র পুরোপুরিভাবে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠান। এরপর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দেশ শাসনের কাজে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেন।
তাঁর এসব পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে রাজা জ্ঞানেন্দ্রর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। একপর্যায়ে ২০০৬ সালে তিনি একটি বহুদলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। মাওবাদীদের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে সেই সরকার। এর মধ্য দিয়ে এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
২০০৮ সালে প্রায় ২৪০ বছরের পুরোনো হিন্দু রাজতন্ত্রকে বিলুপ্ত করার বিষয়ে দেশটির পার্লামেন্টে ভোট হয়। ভোটাভুটিতে রাজতন্ত্র বিলোপের পক্ষে রায় এলে রাজা জ্ঞানেন্দ্র পদত্যাগ করেন। এরপর নেপালে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৬ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্তির আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঝাপার বাসিন্দা সুনিতা চুড়াল এখন রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছি এই বিশ্বাসে নয় যে রাজা ফিরে এসে সব ঠিক করবেন, বরং দেশে দুর্নীতি ও অবক্ষয় যেভাবে বেড়েছে এবং আমাদের সন্তানদের কীভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য করা হচ্ছে, তা দেখে। আমি এতটাই হতাশ হয়েছি যে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
৯ মার্চ কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে জ্ঞানেন্দ্র শাহকে স্বাগত জানাতে দশ হাজারের বেশি সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা ‘আমাদের রাজাকে ফিরিয়ে আনো’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। অনেকে বলছেন, এটি ২০২৩ সালের পর নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল ও নেপালকে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বিক্ষোভকারী ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর নেপাল সরকার রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
কয়েক দশক ধরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দুর্বল কোয়ালিশন সরকার কয়েক মাসের বেশি টিকতে পারছে না এবং উচ্চপদস্থ রাজনীতিকেরা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। টালমাটাল এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, যা রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ক্রমশ উসকে দিচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হাজারো রাজতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী গতকাল কাঠমান্ডুতে জমায়েত হয়ে ২০০৮ সালে বিলুপ্ত হওয়া হিন্দু রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি তোলেন। তাঁরা দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পরিবর্তে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় প্রজাতন্ত্রপন্থী ও গণতন্ত্রকামী গোষ্ঠীগুলোর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও অনুষ্ঠিত হয়।
তবে বিক্ষোভ চলাকালে রাজতন্ত্রপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে পাথর নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও কিছু ভবনে অগ্নিসংযোগ করেন। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়সহ একটি প্রভাবশালী সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মুখপাত্র শেখর খনাল জানান, এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। এরপরই তাঁরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এদিকে রবি শ্রেষ্ঠা নামের একজন বিক্ষোভকারী দাবি করেন, ‘পুলিশই প্রথম আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এখনোই রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি করছি না, বরং রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানটির পুনর্বহাল চাইছি। পুলিশের দমননীতিই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেছে।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক ডেকেছেন। রাজতন্ত্র পুনর্বহাল কমিটি একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ‘সাংবিধানিক রাজতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনার দাবি করছে, যা গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সহাবস্থান করবে এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে একটি ‘পিতৃসুলভ ভূমিকা’ পালন করবে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে নেপালের তৎকালীন রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বড় ভাই বীরেন্দ্র নিহত হওয়ার পর ওই বছর রাজা হিসেবে জ্ঞানেন্দ্রর অভিষেক হয়। ৭৭ বছর বয়সী জ্ঞানেন্দ্র ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তখন তাঁর নির্বাহী ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিল না।
তবে ২০০৫ সালে জ্ঞানেন্দ্র পুরোপুরিভাবে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠান। এরপর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দেশ শাসনের কাজে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেন।
তাঁর এসব পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে রাজা জ্ঞানেন্দ্রর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। একপর্যায়ে ২০০৬ সালে তিনি একটি বহুদলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। মাওবাদীদের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে সেই সরকার। এর মধ্য দিয়ে এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
২০০৮ সালে প্রায় ২৪০ বছরের পুরোনো হিন্দু রাজতন্ত্রকে বিলুপ্ত করার বিষয়ে দেশটির পার্লামেন্টে ভোট হয়। ভোটাভুটিতে রাজতন্ত্র বিলোপের পক্ষে রায় এলে রাজা জ্ঞানেন্দ্র পদত্যাগ করেন। এরপর নেপালে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৬ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্তির আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঝাপার বাসিন্দা সুনিতা চুড়াল এখন রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছি এই বিশ্বাসে নয় যে রাজা ফিরে এসে সব ঠিক করবেন, বরং দেশে দুর্নীতি ও অবক্ষয় যেভাবে বেড়েছে এবং আমাদের সন্তানদের কীভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য করা হচ্ছে, তা দেখে। আমি এতটাই হতাশ হয়েছি যে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
৯ মার্চ কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে জ্ঞানেন্দ্র শাহকে স্বাগত জানাতে দশ হাজারের বেশি সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা ‘আমাদের রাজাকে ফিরিয়ে আনো’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। অনেকে বলছেন, এটি ২০২৩ সালের পর নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল ও নেপালকে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বিক্ষোভকারী ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর নেপাল সরকার রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
কয়েক দশক ধরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দুর্বল কোয়ালিশন সরকার কয়েক মাসের বেশি টিকতে পারছে না এবং উচ্চপদস্থ রাজনীতিকেরা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। টালমাটাল এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, যা রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ক্রমশ উসকে দিচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হাজারো রাজতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী গতকাল কাঠমান্ডুতে জমায়েত হয়ে ২০০৮ সালে বিলুপ্ত হওয়া হিন্দু রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি তোলেন। তাঁরা দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পরিবর্তে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় প্রজাতন্ত্রপন্থী ও গণতন্ত্রকামী গোষ্ঠীগুলোর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও অনুষ্ঠিত হয়।
তবে বিক্ষোভ চলাকালে রাজতন্ত্রপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে পাথর নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও কিছু ভবনে অগ্নিসংযোগ করেন। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়সহ একটি প্রভাবশালী সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মুখপাত্র শেখর খনাল জানান, এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। এরপরই তাঁরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এদিকে রবি শ্রেষ্ঠা নামের একজন বিক্ষোভকারী দাবি করেন, ‘পুলিশই প্রথম আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এখনোই রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি করছি না, বরং রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানটির পুনর্বহাল চাইছি। পুলিশের দমননীতিই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেছে।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক ডেকেছেন। রাজতন্ত্র পুনর্বহাল কমিটি একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ‘সাংবিধানিক রাজতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনার দাবি করছে, যা গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সহাবস্থান করবে এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে একটি ‘পিতৃসুলভ ভূমিকা’ পালন করবে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে নেপালের তৎকালীন রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বড় ভাই বীরেন্দ্র নিহত হওয়ার পর ওই বছর রাজা হিসেবে জ্ঞানেন্দ্রর অভিষেক হয়। ৭৭ বছর বয়সী জ্ঞানেন্দ্র ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তখন তাঁর নির্বাহী ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিল না।
তবে ২০০৫ সালে জ্ঞানেন্দ্র পুরোপুরিভাবে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠান। এরপর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দেশ শাসনের কাজে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেন।
তাঁর এসব পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে রাজা জ্ঞানেন্দ্রর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। একপর্যায়ে ২০০৬ সালে তিনি একটি বহুদলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। মাওবাদীদের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে সেই সরকার। এর মধ্য দিয়ে এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
২০০৮ সালে প্রায় ২৪০ বছরের পুরোনো হিন্দু রাজতন্ত্রকে বিলুপ্ত করার বিষয়ে দেশটির পার্লামেন্টে ভোট হয়। ভোটাভুটিতে রাজতন্ত্র বিলোপের পক্ষে রায় এলে রাজা জ্ঞানেন্দ্র পদত্যাগ করেন। এরপর নেপালে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৬ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্তির আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঝাপার বাসিন্দা সুনিতা চুড়াল এখন রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছি এই বিশ্বাসে নয় যে রাজা ফিরে এসে সব ঠিক করবেন, বরং দেশে দুর্নীতি ও অবক্ষয় যেভাবে বেড়েছে এবং আমাদের সন্তানদের কীভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য করা হচ্ছে, তা দেখে। আমি এতটাই হতাশ হয়েছি যে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
৯ মার্চ কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে জ্ঞানেন্দ্র শাহকে স্বাগত জানাতে দশ হাজারের বেশি সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা ‘আমাদের রাজাকে ফিরিয়ে আনো’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। অনেকে বলছেন, এটি ২০২৩ সালের পর নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

কয়েক দশক ধরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দুর্বল কোয়ালিশন সরকার কয়েক মাসের বেশি টিকতে পারছে না এবং উচ্চপদস্থ রাজনীতিকেরা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। টালমাটাল এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, যা রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ক্রমশ উসকে দিচ্ছে।
২৯ মার্চ ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

কয়েক দশক ধরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দুর্বল কোয়ালিশন সরকার কয়েক মাসের বেশি টিকতে পারছে না এবং উচ্চপদস্থ রাজনীতিকেরা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। টালমাটাল এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, যা রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ক্রমশ উসকে দিচ্ছে।
২৯ মার্চ ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

কয়েক দশক ধরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দুর্বল কোয়ালিশন সরকার কয়েক মাসের বেশি টিকতে পারছে না এবং উচ্চপদস্থ রাজনীতিকেরা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। টালমাটাল এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, যা রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ক্রমশ উসকে দিচ্ছে।
২৯ মার্চ ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

কয়েক দশক ধরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দুর্বল কোয়ালিশন সরকার কয়েক মাসের বেশি টিকতে পারছে না এবং উচ্চপদস্থ রাজনীতিকেরা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। টালমাটাল এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, যা রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ক্রমশ উসকে দিচ্ছে।
২৯ মার্চ ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে