
সৌদি আরবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সম্ভাব্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নির্ধারণ করাই এই আলোচনার উদ্দেশ্য। রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় পক্ষই গত সপ্তাহে সাময়িকভাবে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করতে সম্মত হলেও, হামলা অব্যাহত থাকায় কীভাবে এবং কখন সেই আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
রোববার ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম আলোচনা করে। এরপর আজ সোমবার রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবে মার্কিন প্রতিনিধিরা। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, রোববার কিয়েভ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলোচনা শুরু হয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর শেষ হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উমেরভ লিখেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ এবং সুনির্দিষ্ট ছিল—আমরা জ্বালানি সহ মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’ তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি এই মন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানান, অগ্রগতি হলে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল সোমবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিরসনে বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলোচনার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য সময় দেবে। কিন্তু এ ধরনের যুদ্ধবিরতির পথ অনিশ্চিত।
মস্কো ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং ইউক্রেন যাতে কখনো ন্যাটোতে যোগ না দেয়, সেই বিষয়ে তাদের সর্বোচ্চ অবস্থান বজায় রেখেছে। ইউক্রেন সরকার বারবার বলেছে, তারা ক্রেমলিনের দাবি মেনে নেবে না এবং পুতিন সময়ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেছে।
আগের যুদ্ধবিরতি আলোচনাগুলোয় সব পক্ষের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। এবারও তারাই এই আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন। নতুন দফার এই আলোচনায় টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এতে মূলত কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা অংশ নেবেন। ইউক্রেন বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলে তাঁর কিছু কর্মী, পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি পরিকল্পনা পরিচালক মাইকেল অ্যান্টন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সহকারী মাইকেল ওয়াল্টজ আছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার বলেছেন, পুতিন ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার জন্য আলোচক নির্বাচন করেছেন। রুশ কূটনীতিক ও আইনপ্রণেতা গ্রেগরি কারাসিন এবং গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস বা এফএসবি-এর প্রধানের উপদেষ্টা সের্গেই বেসেদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে।
কারাসিন আগে সংবেদনশীল বৈদেশিক নীতি আলোচনায় জড়িত থাকলেও, বেসেদার নির্বাচন অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। প্রভাবশালী গোয়েন্দা প্রধান বেসেদা আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য দায়ী এফএসবির প্রধান ছিলেন। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁকে সেই প্রধান গোয়েন্দা সূত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ২০২২ সালে পুতিনকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে, ইউক্রেনে রুশপন্থী মনোভাব রয়েছে এবং দ্রুত আক্রমণ করে কিয়েভের সরকারকে সহজেই ভেঙে দেওয়া যাবে।
২০২৩ সালে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ বেসেদাকে ইউক্রেনের জন্য ‘খুব বিপজ্জনক ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের ‘অনেক ক্ষতি করেছেন।’
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনার বিষয়বস্তুর বিষয়ে বলেছেন, ইউক্রেন অবকাঠামোগত স্থাপনার একটি তালিকা তৈরি করেছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তিনি আরও যোগ করেছেন, তৃতীয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এটি করতে পারে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন জ্বালানি ও জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলেও, উভয় পক্ষ সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য এমন শর্ত রেখেছে, যা মীমাংসা করা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এটি মূলত বিস্তৃত শান্তি আলোচনায় কঠিন চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনের সময় পুতিন বলেন, রাশিয়া শুধুমাত্র তখনই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, যখন ইউক্রেন সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে, প্রশিক্ষণ দেওয়া আপাতত বন্ধ করবে এবং যুদ্ধবিরতির সময় অস্ত্র আমদানি বন্ধ করবে।
ক্রেমলিনে প্রকাশ করা ট্রাম্প-পুতিনের টেলিফোন আলাপের বিবরণীতে বলা হয়েছে, পুতিন কিয়েভে বৈদেশিক সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন, যা ‘সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধানের দিকে অগ্রগতি অর্জনের মূল শর্ত।’
তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ক্রেমলিনের দাবি সত্ত্বেও ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে মস্কোর আহ্বানের বিষয়ে কম স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছে এবং কখনো কখনো ক্রেমলিনের অবস্থানের সঙ্গেও একমত হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
উইটকফ রোববার ক্রেমলিনের বক্তব্য প্রতিধ্বনিত করে ইউক্রেনের কিছু অংশে রুশ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গণভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা সামরিক শক্তির মাধ্যমে দখল করা অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকে ন্যায্যতা দেয়। উইটকফ বলেন, ‘রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে যে, এগুলো রুশ অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে গণভোট হয়েছে, যা এই পদক্ষেপগুলোকে ন্যায্যতা দেয়।’
মূলত, সংঘাতের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান একই আছে। ক্রেমলিন বলছে, তারা ‘সংকটের মূল কারণগুলো দূর করতে’ চায়। এর অর্থ হবে রাশিয়া যে অঞ্চলগুলো দখল করে নিয়েছে সেগুলো মস্কোর বলে স্বীকার করতে হবে কিয়েভকে। পাশাপাশি, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ঘোষণা করা এবং সামরিক বাহিনী সংকুচিত করতে সম্মত হতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধে ইউক্রেন এর আগে সব যুদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু মস্কো যখন শুধুমাত্র জ্বালানি অবকাঠামোতে আংশিক যুদ্ধবিরতি সমর্থন করবে বলে জানায়, তখন জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন এবং সীমিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন।
সাম্প্রতিক সময়ে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য কিছু চূড়ান্ত বিষয় নির্ধারণ করেছেন। দেশটি বলেছে, কিয়েভ কখনই দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলের ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নেবে না, ন্যাটোতে যোগদানে বাধা দিতে বা তার সেনাবাহিনীর আকার কমাতে সম্মত হবে না এবং যে কোনো শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে তার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
অনেক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষক এমনকি একটি সীমিত যুদ্ধবিরতিও দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারণ, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আগের যুদ্ধবিরতিগুলো নিয়মিতভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে এবং প্রতিটি পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে।
উইটকফ গত বুধবার ব্লুমবার্গ নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্প এবং পুতিন ‘সম্ভবত’ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবে সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন কর্মকর্তারা সম্ভবত সম্ভাব্য সীমিত যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে তাদের রুশ এবং ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যাবেন।

সৌদি আরবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সম্ভাব্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নির্ধারণ করাই এই আলোচনার উদ্দেশ্য। রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় পক্ষই গত সপ্তাহে সাময়িকভাবে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করতে সম্মত হলেও, হামলা অব্যাহত থাকায় কীভাবে এবং কখন সেই আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
রোববার ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম আলোচনা করে। এরপর আজ সোমবার রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবে মার্কিন প্রতিনিধিরা। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, রোববার কিয়েভ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলোচনা শুরু হয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর শেষ হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উমেরভ লিখেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ এবং সুনির্দিষ্ট ছিল—আমরা জ্বালানি সহ মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’ তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি এই মন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানান, অগ্রগতি হলে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল সোমবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিরসনে বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলোচনার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য সময় দেবে। কিন্তু এ ধরনের যুদ্ধবিরতির পথ অনিশ্চিত।
মস্কো ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং ইউক্রেন যাতে কখনো ন্যাটোতে যোগ না দেয়, সেই বিষয়ে তাদের সর্বোচ্চ অবস্থান বজায় রেখেছে। ইউক্রেন সরকার বারবার বলেছে, তারা ক্রেমলিনের দাবি মেনে নেবে না এবং পুতিন সময়ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেছে।
আগের যুদ্ধবিরতি আলোচনাগুলোয় সব পক্ষের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। এবারও তারাই এই আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন। নতুন দফার এই আলোচনায় টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এতে মূলত কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা অংশ নেবেন। ইউক্রেন বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলে তাঁর কিছু কর্মী, পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি পরিকল্পনা পরিচালক মাইকেল অ্যান্টন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সহকারী মাইকেল ওয়াল্টজ আছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার বলেছেন, পুতিন ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার জন্য আলোচক নির্বাচন করেছেন। রুশ কূটনীতিক ও আইনপ্রণেতা গ্রেগরি কারাসিন এবং গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস বা এফএসবি-এর প্রধানের উপদেষ্টা সের্গেই বেসেদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে।
কারাসিন আগে সংবেদনশীল বৈদেশিক নীতি আলোচনায় জড়িত থাকলেও, বেসেদার নির্বাচন অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। প্রভাবশালী গোয়েন্দা প্রধান বেসেদা আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য দায়ী এফএসবির প্রধান ছিলেন। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁকে সেই প্রধান গোয়েন্দা সূত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ২০২২ সালে পুতিনকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে, ইউক্রেনে রুশপন্থী মনোভাব রয়েছে এবং দ্রুত আক্রমণ করে কিয়েভের সরকারকে সহজেই ভেঙে দেওয়া যাবে।
২০২৩ সালে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ বেসেদাকে ইউক্রেনের জন্য ‘খুব বিপজ্জনক ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের ‘অনেক ক্ষতি করেছেন।’
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনার বিষয়বস্তুর বিষয়ে বলেছেন, ইউক্রেন অবকাঠামোগত স্থাপনার একটি তালিকা তৈরি করেছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তিনি আরও যোগ করেছেন, তৃতীয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এটি করতে পারে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন জ্বালানি ও জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলেও, উভয় পক্ষ সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য এমন শর্ত রেখেছে, যা মীমাংসা করা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এটি মূলত বিস্তৃত শান্তি আলোচনায় কঠিন চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনের সময় পুতিন বলেন, রাশিয়া শুধুমাত্র তখনই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, যখন ইউক্রেন সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে, প্রশিক্ষণ দেওয়া আপাতত বন্ধ করবে এবং যুদ্ধবিরতির সময় অস্ত্র আমদানি বন্ধ করবে।
ক্রেমলিনে প্রকাশ করা ট্রাম্প-পুতিনের টেলিফোন আলাপের বিবরণীতে বলা হয়েছে, পুতিন কিয়েভে বৈদেশিক সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন, যা ‘সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধানের দিকে অগ্রগতি অর্জনের মূল শর্ত।’
তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ক্রেমলিনের দাবি সত্ত্বেও ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে মস্কোর আহ্বানের বিষয়ে কম স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছে এবং কখনো কখনো ক্রেমলিনের অবস্থানের সঙ্গেও একমত হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
উইটকফ রোববার ক্রেমলিনের বক্তব্য প্রতিধ্বনিত করে ইউক্রেনের কিছু অংশে রুশ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গণভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা সামরিক শক্তির মাধ্যমে দখল করা অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকে ন্যায্যতা দেয়। উইটকফ বলেন, ‘রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে যে, এগুলো রুশ অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে গণভোট হয়েছে, যা এই পদক্ষেপগুলোকে ন্যায্যতা দেয়।’
মূলত, সংঘাতের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান একই আছে। ক্রেমলিন বলছে, তারা ‘সংকটের মূল কারণগুলো দূর করতে’ চায়। এর অর্থ হবে রাশিয়া যে অঞ্চলগুলো দখল করে নিয়েছে সেগুলো মস্কোর বলে স্বীকার করতে হবে কিয়েভকে। পাশাপাশি, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ঘোষণা করা এবং সামরিক বাহিনী সংকুচিত করতে সম্মত হতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধে ইউক্রেন এর আগে সব যুদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু মস্কো যখন শুধুমাত্র জ্বালানি অবকাঠামোতে আংশিক যুদ্ধবিরতি সমর্থন করবে বলে জানায়, তখন জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন এবং সীমিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন।
সাম্প্রতিক সময়ে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য কিছু চূড়ান্ত বিষয় নির্ধারণ করেছেন। দেশটি বলেছে, কিয়েভ কখনই দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলের ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নেবে না, ন্যাটোতে যোগদানে বাধা দিতে বা তার সেনাবাহিনীর আকার কমাতে সম্মত হবে না এবং যে কোনো শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে তার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
অনেক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষক এমনকি একটি সীমিত যুদ্ধবিরতিও দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারণ, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আগের যুদ্ধবিরতিগুলো নিয়মিতভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে এবং প্রতিটি পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে।
উইটকফ গত বুধবার ব্লুমবার্গ নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্প এবং পুতিন ‘সম্ভবত’ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবে সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন কর্মকর্তারা সম্ভবত সম্ভাব্য সীমিত যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে তাদের রুশ এবং ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যাবেন।

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
১৪ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
১৪ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
১৪ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
১৪ ঘণ্টা আগেসিএনএন প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
১৪ ঘণ্টা আগে