Ajker Patrika

মার্কিন মধ্যস্থতায় রিয়াদে রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠক, আলোচনায় যুদ্ধবিরতি ও কৃষ্ণসাগরের বাণিজ্যপথ

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও (মাঝে), ট্রাম্পের দূত উইটকফ (বামে) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ (ডানে)। ছবি: এএফপি
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও (মাঝে), ট্রাম্পের দূত উইটকফ (বামে) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ (ডানে)। ছবি: এএফপি

সৌদি আরবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সম্ভাব্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নির্ধারণ করাই এই আলোচনার উদ্দেশ্য। রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় পক্ষই গত সপ্তাহে সাময়িকভাবে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করতে সম্মত হলেও, হামলা অব্যাহত থাকায় কীভাবে এবং কখন সেই আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।

রোববার ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম আলোচনা করে। এরপর আজ সোমবার রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবে মার্কিন প্রতিনিধিরা। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, রোববার কিয়েভ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলোচনা শুরু হয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর শেষ হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উমেরভ লিখেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ এবং সুনির্দিষ্ট ছিল—আমরা জ্বালানি সহ মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’ তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি এই মন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানান, অগ্রগতি হলে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল সোমবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিরসনে বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলোচনার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য সময় দেবে। কিন্তু এ ধরনের যুদ্ধবিরতির পথ অনিশ্চিত।

মস্কো ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং ইউক্রেন যাতে কখনো ন্যাটোতে যোগ না দেয়, সেই বিষয়ে তাদের সর্বোচ্চ অবস্থান বজায় রেখেছে। ইউক্রেন সরকার বারবার বলেছে, তারা ক্রেমলিনের দাবি মেনে নেবে না এবং পুতিন সময়ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেছে।

আগের যুদ্ধবিরতি আলোচনাগুলোয় সব পক্ষের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। এবারও তারাই এই আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন। নতুন দফার এই আলোচনায় টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এতে মূলত কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা অংশ নেবেন। ইউক্রেন বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলে তাঁর কিছু কর্মী, পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি পরিকল্পনা পরিচালক মাইকেল অ্যান্টন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সহকারী মাইকেল ওয়াল্টজ আছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার বলেছেন, পুতিন ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার জন্য আলোচক নির্বাচন করেছেন। রুশ কূটনীতিক ও আইনপ্রণেতা গ্রেগরি কারাসিন এবং গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস বা এফএসবি-এর প্রধানের উপদেষ্টা সের্গেই বেসেদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে।

কারাসিন আগে সংবেদনশীল বৈদেশিক নীতি আলোচনায় জড়িত থাকলেও, বেসেদার নির্বাচন অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। প্রভাবশালী গোয়েন্দা প্রধান বেসেদা আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য দায়ী এফএসবির প্রধান ছিলেন। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁকে সেই প্রধান গোয়েন্দা সূত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ২০২২ সালে পুতিনকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে, ইউক্রেনে রুশপন্থী মনোভাব রয়েছে এবং দ্রুত আক্রমণ করে কিয়েভের সরকারকে সহজেই ভেঙে দেওয়া যাবে।

২০২৩ সালে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ বেসেদাকে ইউক্রেনের জন্য ‘খুব বিপজ্জনক ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের ‘অনেক ক্ষতি করেছেন।’

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনার বিষয়বস্তুর বিষয়ে বলেছেন, ইউক্রেন অবকাঠামোগত স্থাপনার একটি তালিকা তৈরি করেছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তিনি আরও যোগ করেছেন, তৃতীয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এটি করতে পারে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন জ্বালানি ও জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলেও, উভয় পক্ষ সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য এমন শর্ত রেখেছে, যা মীমাংসা করা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এটি মূলত বিস্তৃত শান্তি আলোচনায় কঠিন চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।

গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনের সময় পুতিন বলেন, রাশিয়া শুধুমাত্র তখনই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, যখন ইউক্রেন সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে, প্রশিক্ষণ দেওয়া আপাতত বন্ধ করবে এবং যুদ্ধবিরতির সময় অস্ত্র আমদানি বন্ধ করবে।

ক্রেমলিনে প্রকাশ করা ট্রাম্প-পুতিনের টেলিফোন আলাপের বিবরণীতে বলা হয়েছে, পুতিন কিয়েভে বৈদেশিক সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন, যা ‘সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধানের দিকে অগ্রগতি অর্জনের মূল শর্ত।’

তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ক্রেমলিনের দাবি সত্ত্বেও ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে মস্কোর আহ্বানের বিষয়ে কম স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছে এবং কখনো কখনো ক্রেমলিনের অবস্থানের সঙ্গেও একমত হয়েছে বলে মনে হয়েছে।

উইটকফ রোববার ক্রেমলিনের বক্তব্য প্রতিধ্বনিত করে ইউক্রেনের কিছু অংশে রুশ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গণভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা সামরিক শক্তির মাধ্যমে দখল করা অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকে ন্যায্যতা দেয়। উইটকফ বলেন, ‘রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে যে, এগুলো রুশ অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে গণভোট হয়েছে, যা এই পদক্ষেপগুলোকে ন্যায্যতা দেয়।’

মূলত, সংঘাতের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান একই আছে। ক্রেমলিন বলছে, তারা ‘সংকটের মূল কারণগুলো দূর করতে’ চায়। এর অর্থ হবে রাশিয়া যে অঞ্চলগুলো দখল করে নিয়েছে সেগুলো মস্কোর বলে স্বীকার করতে হবে কিয়েভকে। পাশাপাশি, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ঘোষণা করা এবং সামরিক বাহিনী সংকুচিত করতে সম্মত হতে হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধে ইউক্রেন এর আগে সব যুদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু মস্কো যখন শুধুমাত্র জ্বালানি অবকাঠামোতে আংশিক যুদ্ধবিরতি সমর্থন করবে বলে জানায়, তখন জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন এবং সীমিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন।

সাম্প্রতিক সময়ে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য কিছু চূড়ান্ত বিষয় নির্ধারণ করেছেন। দেশটি বলেছে, কিয়েভ কখনই দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলের ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নেবে না, ন্যাটোতে যোগদানে বাধা দিতে বা তার সেনাবাহিনীর আকার কমাতে সম্মত হবে না এবং যে কোনো শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে তার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

অনেক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষক এমনকি একটি সীমিত যুদ্ধবিরতিও দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারণ, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আগের যুদ্ধবিরতিগুলো নিয়মিতভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে এবং প্রতিটি পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে।

উইটকফ গত বুধবার ব্লুমবার্গ নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্প এবং পুতিন ‘সম্ভবত’ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবে সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন কর্মকর্তারা সম্ভবত সম্ভাব্য সীমিত যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে তাদের রুশ এবং ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘২০২৫’ নিয়ে ১৯৯৮ সালে করা আমেরিকানদের ভবিষ্যদ্বাণী কতটুকু মিলেছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৭
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।

এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।

একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।

তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।

জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।

তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।

গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার অভিযোগ—‘মিথ্যা’ বলছে ইউক্রেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।

লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’

জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।

এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।

রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাইওয়ানকে ঘিরে ধরেছে চীনের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মহড়ায় সরাসরি গুলির অনুশীলনও করা হচ্ছে। ছবি: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড
মহড়ায় সরাসরি গুলির অনুশীলনও করা হচ্ছে। ছবি: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।

এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৭ বছরের সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আপিল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। ছবি: এএফপি
ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।

আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।

আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।

আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।

আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।

আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।

এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।

ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত