Ajker Patrika

বিহারে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপির জোট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিহারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) প্রায় ঝড় তুলেছে। বিরোধী জোট মহাগাঠবন্ধনকে একপ্রকার ঘূর্ণিতে ফেলে দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের পথে এনডিএ। ভোট গণনা চলছে এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই জোট এগিয়ে আছে ১৮৯টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১২২ টি। এনডিএ জোট সেই মাপকাঠি অনেক পেছনে ফেলে এসেছে।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের ভোট গণনার হালনাগাদ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২৪৩ সদস্যের বিহার বিধানসভায় বিজেপি এগিয়ে আছে ৮৯ আসনে। মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের জনতা দল–ইউনাইটেড (জেডি–ইউ) এগিয়ে ৭৯ আসনে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) এগিয়ে আছে ২১টি আসনে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা চারটিতে এবং রাজ্যসভা সদস্য উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা দুটিতে এগিয়ে আছে।

বিরোধী জোট মহাগাঠবন্ধন বলা যায় ধুঁকছে। তারা এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে মাত্র ৫০টি আসনে। তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ৩৪ টিতে এবং কংগ্রেস মাত্র ৪ টিতে এগিয়ে। সিপিআই (এমএল-লিবারেশন) পাঁচটিতে এবং সিপিএম একটি আসনে এগিয়ে আছে।

ভারতের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারখ্যাত প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ দল শুরুতে চারটি আসনে এগোলেও এখন সেই লিড হারিয়ে ফেলেছে। আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মুসলেমিন এগিয়ে আছে পাঁচটি আসনে। সীমাঞ্চলের মুসলিম ভোট তাদের পকেটে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।

মহাগাঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী তেজস্বী যাদব তার পারিবারিক দুর্গ রঘুপুরে এবার অস্বস্তিকর লড়াইয়ে আটকা পড়েছেন। এটি এমন এক আসন, যেখানে তাঁর জয়কে নিশ্চিত ধরে নেওয়া হয়েছিল। তিনি ২০১৫ সাল থেকে টানা এই আসনেরই বিধায়ক।

২৫ বছরের গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে এগিয়ে আছেন আলীনগর আসনে। তেজস্বীর ভাই তেজ প্রতাপ যাদব—যিনি ভোটের আগে নতুন দল জনশক্তি জনতা দল গঠন করেছেন—পিছিয়ে আছেন ১২ হাজার ভোটের বেশি ব্যবধানে।

এর আগের নির্বাচনে, অর্থাৎ, ২০২০ সালে আরজেডি জিতেছিল ৭৫ আসন। একক বৃহত্তম দল ছিল তারা। কংগ্রেসও জিতেছিল ১৯টি আসন। সংখ্যা সামান্য হলেও তা বিরোধী শিবিরকে শক্তি জোগাতেই সাহায্য করেছিল। সেই নির্বাচনে বিরোধী জোট মাত্র ১২ আসনের ঘাটতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। তবু তাদের ভেতরে একটি ক্ষীণ আশার আলো জ্বলে ছিল যে এবারের ভোটে হয়তো সামান্য ব্যবধানে হলেও জয়ের দেখা পাওয়া যাবে।

বিজেপির যাত্রাপথ বরং ২০২০ সালের সুরেই এগোচ্ছে। তখন সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিজেপি নিতীশ কুমারের জেডিইউ-র চেয়ে বেশি আসনে জিতে জোট রাজনীতিতে নিজস্ব আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। এবারও দুই দলই লড়েছে ১০১টি আসনে। জেডিইউ অবশ্য ২০২০ সালের ৪৩ থেকে উন্নতি করে অনেক বেশি আসনে এগোচ্ছে, কিন্তু তবু বিজেপির চেয়ে প্রায় ১০ আসন পেছনে।

এনডিএ-এর এই এগিয়ে থাকা আংশিকভাবে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণের ফল বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ দলকে নিয়ে আশা ছিল তারা এনডিএ জোটের বাইরের ভোট ভাগ করে দেবে। কিন্তু তথ্য বলছে, দলটি জামানতের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়েও কম ভোট পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...