আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার যেন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পাওয়ার জন্য যেভাবে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন, সেভাবে ইতিহাসে আর কোনো প্রার্থী প্রচারণা বা লবিং করেননি।
ট্রাম্প নিজেই প্রকাশ্যে বলেছেন, যদি তাঁকে নোবেল না দেওয়া হয়, তবে সেটি হবে ‘একটি বড় অপমান’। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাঁর এই নজিরবিহীন প্রচেষ্টা খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না, যখন নরওয়ের নোবেল কমিটি আগামীকাল শুক্রবার এ বছরের শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি হলো—পুরস্কারটি দেওয়া হয় আগের বছরের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে, অথচ ২০২৪ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হলেও তখনো ক্ষমতা গ্রহণ করেননি।
অসলোভিত্তিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘কমিটির ওপর এমন চাপ দেওয়া কিংবা বলা—‘আমিই যোগ্য প্রার্থী’—এটা মোটেও শান্তিপূর্ণ আচরণ নয়।’
নরওয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক হালভার্ড লেইরা বলেন, আগেও লবিং হয়েছে, তবে এত প্রকাশ্যে নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়া ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট কিম দে-জুংয়ের পক্ষে অত্যন্ত কৌশলী প্রচারণা চালিয়েছিল।
তবুও ট্রাম্প থামেননি। তাঁর বক্তব্যে অহংকারের ছাপ স্পষ্ট—‘আমি সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছি, তবু তারা আমাকে নোবেল দেবে না। দুঃখজনক, আমি এটি প্রাপ্য।’
নরওয়ের সরকারের ওপর চাপ
ট্রাম্প এমনকি নরওয়ের সরকারকেও চাপ দিয়েছেন। তিনি নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ও সাবেক ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে এক ফোনালাপে বিষয়টি তোলেন। তবে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ আইডে বলেছেন, নোবেল কমিটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
অসলোতে অনেকে মনে করেন, ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে কমিটি হয়তো এমন কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে বেছে নিতে পারে, যাকে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের বিরোধী বলে মনে হবে না।
গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকা
ট্রাম্পের সমালোচকেরাও স্বীকার করেন, তাঁর গাজা যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নোবেল আলোচনায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে তিনি ঘোষণা দেন—ইসরায়েল ও হামাস তাঁর মধ্যস্থতায় একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির পরিকল্পনায় একমত হয়েছে।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, অনেকে ট্রাম্পের কথা গুরুত্ব দেন না, কিন্তু গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে সেটি বড় সাফল্য হবে।
নোবেল প্রার্থিতায় ইসরায়েল ও রিপাবলিকানদের সমর্থন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নোবেল কমিটির কাছে ট্রাম্পের পক্ষে চিঠি দিয়েছেন। গাজায় বন্দীদের পরিবারের সংগঠনও বলেছে, ট্রাম্প ‘অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন’।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের ধারণা, শুক্রবারের ঘোষণার আগেই গাজা যুদ্ধের সমঝোতা সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প, যাতে সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলা যায়।
ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ক্ষোভ ২০০৯ সালের সিদ্ধান্ত নিয়ে, যখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ জন্য শান্তি পুরস্কার পান—তখন তাঁর প্রেসিডেন্ট পদে যোগদানের কয়েক মাসও হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার নাম যদি ওবামা হতো, তাহলে ১০ সেকেন্ডেই নোবেল পেতাম।’
রিপাবলিকানদের লবিং
কমপক্ষে পাঁচজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ট্রাম্পের মনোনয়ন পাঠিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ব্রায়ান মাস্ট বলেন, ‘আমি শুধু আফসোস করছি—প্রস্তাবটা প্রথম আমি দিতে পারিনি।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প এসব মনোনয়ন সম্পর্কে অবগত। মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তিনি প্রকৃত ‘শান্তিদূত’ (Peacemaker-in-Chief)। তবে তিনি স্বীকৃতির জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করেন।
অন্যান্য প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য ফলাফল
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেন, যদি ট্রাম্প চীনকে সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে পারেন, তাহলে তিনি ‘অবশ্যই নোবেল বিজয়ী হওয়ার যোগ্য’।
অসলোতে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, যদি ট্রাম্প পুরস্কার না পান, তবে তিনি নরওয়ের বিরুদ্ধে শুল্ক বা অন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিষয়টি আরও জটিল করেছে নরওয়ের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, তারা ইসরায়েলে ব্যবহৃত মার্কিন কোম্পানি ক্যাটারপিলারের শেয়ার বিক্রি করেছে।
এ কারণে কেউ কেউ মনে করছেন, কমিটি হয়তো এমন কাউকে বেছে নিতে পারে, যিনি ‘ট্রাম্পকে শান্ত রাখবেন’। যেমন সুদানের মানবিক সংগঠন ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস। তবে অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, চাপের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া হিসেবে কমিটি হয়তো ট্রাম্পকে বিরক্ত করবে—এমন কাউকে বেছে নেবে—যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) বা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ)।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ রেখেছেন, তাঁর হাতে শান্তি পুরস্কার দেওয়া একটি অদ্ভুত বার্তা দেবে।
তারপরও সবাই স্বীকার করেন—‘আমরা এখন ট্রাম্পের পৃথিবীতে বাস করছি। নোবেল নিয়েও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তিনিই।’

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার যেন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পাওয়ার জন্য যেভাবে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন, সেভাবে ইতিহাসে আর কোনো প্রার্থী প্রচারণা বা লবিং করেননি।
ট্রাম্প নিজেই প্রকাশ্যে বলেছেন, যদি তাঁকে নোবেল না দেওয়া হয়, তবে সেটি হবে ‘একটি বড় অপমান’। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাঁর এই নজিরবিহীন প্রচেষ্টা খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না, যখন নরওয়ের নোবেল কমিটি আগামীকাল শুক্রবার এ বছরের শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি হলো—পুরস্কারটি দেওয়া হয় আগের বছরের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে, অথচ ২০২৪ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হলেও তখনো ক্ষমতা গ্রহণ করেননি।
অসলোভিত্তিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘কমিটির ওপর এমন চাপ দেওয়া কিংবা বলা—‘আমিই যোগ্য প্রার্থী’—এটা মোটেও শান্তিপূর্ণ আচরণ নয়।’
নরওয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক হালভার্ড লেইরা বলেন, আগেও লবিং হয়েছে, তবে এত প্রকাশ্যে নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়া ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট কিম দে-জুংয়ের পক্ষে অত্যন্ত কৌশলী প্রচারণা চালিয়েছিল।
তবুও ট্রাম্প থামেননি। তাঁর বক্তব্যে অহংকারের ছাপ স্পষ্ট—‘আমি সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছি, তবু তারা আমাকে নোবেল দেবে না। দুঃখজনক, আমি এটি প্রাপ্য।’
নরওয়ের সরকারের ওপর চাপ
ট্রাম্প এমনকি নরওয়ের সরকারকেও চাপ দিয়েছেন। তিনি নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ও সাবেক ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে এক ফোনালাপে বিষয়টি তোলেন। তবে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ আইডে বলেছেন, নোবেল কমিটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
অসলোতে অনেকে মনে করেন, ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে কমিটি হয়তো এমন কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে বেছে নিতে পারে, যাকে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের বিরোধী বলে মনে হবে না।
গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকা
ট্রাম্পের সমালোচকেরাও স্বীকার করেন, তাঁর গাজা যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নোবেল আলোচনায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে তিনি ঘোষণা দেন—ইসরায়েল ও হামাস তাঁর মধ্যস্থতায় একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির পরিকল্পনায় একমত হয়েছে।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, অনেকে ট্রাম্পের কথা গুরুত্ব দেন না, কিন্তু গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে সেটি বড় সাফল্য হবে।
নোবেল প্রার্থিতায় ইসরায়েল ও রিপাবলিকানদের সমর্থন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নোবেল কমিটির কাছে ট্রাম্পের পক্ষে চিঠি দিয়েছেন। গাজায় বন্দীদের পরিবারের সংগঠনও বলেছে, ট্রাম্প ‘অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন’।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের ধারণা, শুক্রবারের ঘোষণার আগেই গাজা যুদ্ধের সমঝোতা সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প, যাতে সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলা যায়।
ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ক্ষোভ ২০০৯ সালের সিদ্ধান্ত নিয়ে, যখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ জন্য শান্তি পুরস্কার পান—তখন তাঁর প্রেসিডেন্ট পদে যোগদানের কয়েক মাসও হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার নাম যদি ওবামা হতো, তাহলে ১০ সেকেন্ডেই নোবেল পেতাম।’
রিপাবলিকানদের লবিং
কমপক্ষে পাঁচজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ট্রাম্পের মনোনয়ন পাঠিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ব্রায়ান মাস্ট বলেন, ‘আমি শুধু আফসোস করছি—প্রস্তাবটা প্রথম আমি দিতে পারিনি।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প এসব মনোনয়ন সম্পর্কে অবগত। মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তিনি প্রকৃত ‘শান্তিদূত’ (Peacemaker-in-Chief)। তবে তিনি স্বীকৃতির জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করেন।
অন্যান্য প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য ফলাফল
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেন, যদি ট্রাম্প চীনকে সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে পারেন, তাহলে তিনি ‘অবশ্যই নোবেল বিজয়ী হওয়ার যোগ্য’।
অসলোতে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, যদি ট্রাম্প পুরস্কার না পান, তবে তিনি নরওয়ের বিরুদ্ধে শুল্ক বা অন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিষয়টি আরও জটিল করেছে নরওয়ের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, তারা ইসরায়েলে ব্যবহৃত মার্কিন কোম্পানি ক্যাটারপিলারের শেয়ার বিক্রি করেছে।
এ কারণে কেউ কেউ মনে করছেন, কমিটি হয়তো এমন কাউকে বেছে নিতে পারে, যিনি ‘ট্রাম্পকে শান্ত রাখবেন’। যেমন সুদানের মানবিক সংগঠন ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস। তবে অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, চাপের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া হিসেবে কমিটি হয়তো ট্রাম্পকে বিরক্ত করবে—এমন কাউকে বেছে নেবে—যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) বা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ)।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ রেখেছেন, তাঁর হাতে শান্তি পুরস্কার দেওয়া একটি অদ্ভুত বার্তা দেবে।
তারপরও সবাই স্বীকার করেন—‘আমরা এখন ট্রাম্পের পৃথিবীতে বাস করছি। নোবেল নিয়েও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তিনিই।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার যেন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পাওয়ার জন্য যেভাবে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন, সেভাবে ইতিহাসে আর কোনো প্রার্থী প্রচারণা বা লবিং করেননি।
ট্রাম্প নিজেই প্রকাশ্যে বলেছেন, যদি তাঁকে নোবেল না দেওয়া হয়, তবে সেটি হবে ‘একটি বড় অপমান’। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাঁর এই নজিরবিহীন প্রচেষ্টা খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না, যখন নরওয়ের নোবেল কমিটি আগামীকাল শুক্রবার এ বছরের শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি হলো—পুরস্কারটি দেওয়া হয় আগের বছরের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে, অথচ ২০২৪ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হলেও তখনো ক্ষমতা গ্রহণ করেননি।
অসলোভিত্তিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘কমিটির ওপর এমন চাপ দেওয়া কিংবা বলা—‘আমিই যোগ্য প্রার্থী’—এটা মোটেও শান্তিপূর্ণ আচরণ নয়।’
নরওয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক হালভার্ড লেইরা বলেন, আগেও লবিং হয়েছে, তবে এত প্রকাশ্যে নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়া ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট কিম দে-জুংয়ের পক্ষে অত্যন্ত কৌশলী প্রচারণা চালিয়েছিল।
তবুও ট্রাম্প থামেননি। তাঁর বক্তব্যে অহংকারের ছাপ স্পষ্ট—‘আমি সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছি, তবু তারা আমাকে নোবেল দেবে না। দুঃখজনক, আমি এটি প্রাপ্য।’
নরওয়ের সরকারের ওপর চাপ
ট্রাম্প এমনকি নরওয়ের সরকারকেও চাপ দিয়েছেন। তিনি নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ও সাবেক ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে এক ফোনালাপে বিষয়টি তোলেন। তবে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ আইডে বলেছেন, নোবেল কমিটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
অসলোতে অনেকে মনে করেন, ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে কমিটি হয়তো এমন কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে বেছে নিতে পারে, যাকে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের বিরোধী বলে মনে হবে না।
গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকা
ট্রাম্পের সমালোচকেরাও স্বীকার করেন, তাঁর গাজা যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নোবেল আলোচনায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে তিনি ঘোষণা দেন—ইসরায়েল ও হামাস তাঁর মধ্যস্থতায় একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির পরিকল্পনায় একমত হয়েছে।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, অনেকে ট্রাম্পের কথা গুরুত্ব দেন না, কিন্তু গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে সেটি বড় সাফল্য হবে।
নোবেল প্রার্থিতায় ইসরায়েল ও রিপাবলিকানদের সমর্থন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নোবেল কমিটির কাছে ট্রাম্পের পক্ষে চিঠি দিয়েছেন। গাজায় বন্দীদের পরিবারের সংগঠনও বলেছে, ট্রাম্প ‘অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন’।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের ধারণা, শুক্রবারের ঘোষণার আগেই গাজা যুদ্ধের সমঝোতা সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প, যাতে সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলা যায়।
ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ক্ষোভ ২০০৯ সালের সিদ্ধান্ত নিয়ে, যখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ জন্য শান্তি পুরস্কার পান—তখন তাঁর প্রেসিডেন্ট পদে যোগদানের কয়েক মাসও হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার নাম যদি ওবামা হতো, তাহলে ১০ সেকেন্ডেই নোবেল পেতাম।’
রিপাবলিকানদের লবিং
কমপক্ষে পাঁচজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ট্রাম্পের মনোনয়ন পাঠিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ব্রায়ান মাস্ট বলেন, ‘আমি শুধু আফসোস করছি—প্রস্তাবটা প্রথম আমি দিতে পারিনি।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প এসব মনোনয়ন সম্পর্কে অবগত। মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তিনি প্রকৃত ‘শান্তিদূত’ (Peacemaker-in-Chief)। তবে তিনি স্বীকৃতির জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করেন।
অন্যান্য প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য ফলাফল
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেন, যদি ট্রাম্প চীনকে সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে পারেন, তাহলে তিনি ‘অবশ্যই নোবেল বিজয়ী হওয়ার যোগ্য’।
অসলোতে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, যদি ট্রাম্প পুরস্কার না পান, তবে তিনি নরওয়ের বিরুদ্ধে শুল্ক বা অন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিষয়টি আরও জটিল করেছে নরওয়ের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, তারা ইসরায়েলে ব্যবহৃত মার্কিন কোম্পানি ক্যাটারপিলারের শেয়ার বিক্রি করেছে।
এ কারণে কেউ কেউ মনে করছেন, কমিটি হয়তো এমন কাউকে বেছে নিতে পারে, যিনি ‘ট্রাম্পকে শান্ত রাখবেন’। যেমন সুদানের মানবিক সংগঠন ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস। তবে অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, চাপের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া হিসেবে কমিটি হয়তো ট্রাম্পকে বিরক্ত করবে—এমন কাউকে বেছে নেবে—যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) বা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ)।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ রেখেছেন, তাঁর হাতে শান্তি পুরস্কার দেওয়া একটি অদ্ভুত বার্তা দেবে।
তারপরও সবাই স্বীকার করেন—‘আমরা এখন ট্রাম্পের পৃথিবীতে বাস করছি। নোবেল নিয়েও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তিনিই।’

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার যেন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পাওয়ার জন্য যেভাবে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন, সেভাবে ইতিহাসে আর কোনো প্রার্থী প্রচারণা বা লবিং করেননি।
ট্রাম্প নিজেই প্রকাশ্যে বলেছেন, যদি তাঁকে নোবেল না দেওয়া হয়, তবে সেটি হবে ‘একটি বড় অপমান’। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাঁর এই নজিরবিহীন প্রচেষ্টা খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না, যখন নরওয়ের নোবেল কমিটি আগামীকাল শুক্রবার এ বছরের শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি হলো—পুরস্কারটি দেওয়া হয় আগের বছরের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে, অথচ ২০২৪ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হলেও তখনো ক্ষমতা গ্রহণ করেননি।
অসলোভিত্তিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘কমিটির ওপর এমন চাপ দেওয়া কিংবা বলা—‘আমিই যোগ্য প্রার্থী’—এটা মোটেও শান্তিপূর্ণ আচরণ নয়।’
নরওয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক হালভার্ড লেইরা বলেন, আগেও লবিং হয়েছে, তবে এত প্রকাশ্যে নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়া ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট কিম দে-জুংয়ের পক্ষে অত্যন্ত কৌশলী প্রচারণা চালিয়েছিল।
তবুও ট্রাম্প থামেননি। তাঁর বক্তব্যে অহংকারের ছাপ স্পষ্ট—‘আমি সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছি, তবু তারা আমাকে নোবেল দেবে না। দুঃখজনক, আমি এটি প্রাপ্য।’
নরওয়ের সরকারের ওপর চাপ
ট্রাম্প এমনকি নরওয়ের সরকারকেও চাপ দিয়েছেন। তিনি নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ও সাবেক ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে এক ফোনালাপে বিষয়টি তোলেন। তবে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ আইডে বলেছেন, নোবেল কমিটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
অসলোতে অনেকে মনে করেন, ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে কমিটি হয়তো এমন কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে বেছে নিতে পারে, যাকে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের বিরোধী বলে মনে হবে না।
গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকা
ট্রাম্পের সমালোচকেরাও স্বীকার করেন, তাঁর গাজা যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নোবেল আলোচনায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে তিনি ঘোষণা দেন—ইসরায়েল ও হামাস তাঁর মধ্যস্থতায় একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির পরিকল্পনায় একমত হয়েছে।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, অনেকে ট্রাম্পের কথা গুরুত্ব দেন না, কিন্তু গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে সেটি বড় সাফল্য হবে।
নোবেল প্রার্থিতায় ইসরায়েল ও রিপাবলিকানদের সমর্থন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নোবেল কমিটির কাছে ট্রাম্পের পক্ষে চিঠি দিয়েছেন। গাজায় বন্দীদের পরিবারের সংগঠনও বলেছে, ট্রাম্প ‘অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন’।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের ধারণা, শুক্রবারের ঘোষণার আগেই গাজা যুদ্ধের সমঝোতা সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প, যাতে সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলা যায়।
ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ক্ষোভ ২০০৯ সালের সিদ্ধান্ত নিয়ে, যখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ জন্য শান্তি পুরস্কার পান—তখন তাঁর প্রেসিডেন্ট পদে যোগদানের কয়েক মাসও হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার নাম যদি ওবামা হতো, তাহলে ১০ সেকেন্ডেই নোবেল পেতাম।’
রিপাবলিকানদের লবিং
কমপক্ষে পাঁচজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ট্রাম্পের মনোনয়ন পাঠিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ব্রায়ান মাস্ট বলেন, ‘আমি শুধু আফসোস করছি—প্রস্তাবটা প্রথম আমি দিতে পারিনি।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প এসব মনোনয়ন সম্পর্কে অবগত। মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তিনি প্রকৃত ‘শান্তিদূত’ (Peacemaker-in-Chief)। তবে তিনি স্বীকৃতির জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করেন।
অন্যান্য প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য ফলাফল
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেন, যদি ট্রাম্প চীনকে সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে পারেন, তাহলে তিনি ‘অবশ্যই নোবেল বিজয়ী হওয়ার যোগ্য’।
অসলোতে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, যদি ট্রাম্প পুরস্কার না পান, তবে তিনি নরওয়ের বিরুদ্ধে শুল্ক বা অন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিষয়টি আরও জটিল করেছে নরওয়ের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, তারা ইসরায়েলে ব্যবহৃত মার্কিন কোম্পানি ক্যাটারপিলারের শেয়ার বিক্রি করেছে।
এ কারণে কেউ কেউ মনে করছেন, কমিটি হয়তো এমন কাউকে বেছে নিতে পারে, যিনি ‘ট্রাম্পকে শান্ত রাখবেন’। যেমন সুদানের মানবিক সংগঠন ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস। তবে অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, চাপের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া হিসেবে কমিটি হয়তো ট্রাম্পকে বিরক্ত করবে—এমন কাউকে বেছে নেবে—যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) বা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ)।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ রেখেছেন, তাঁর হাতে শান্তি পুরস্কার দেওয়া একটি অদ্ভুত বার্তা দেবে।
তারপরও সবাই স্বীকার করেন—‘আমরা এখন ট্রাম্পের পৃথিবীতে বাস করছি। নোবেল নিয়েও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তিনিই।’

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
১৪ মিনিট আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার যেন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পাওয়ার জন্য যেভাবে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন, সেভাবে ইতিহাসে আর কোনো প্রার্থী প্রচারণা বা লবিং করেননি।
১০ অক্টোবর ২০২৫
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার যেন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পাওয়ার জন্য যেভাবে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন, সেভাবে ইতিহাসে আর কোনো প্রার্থী প্রচারণা বা লবিং করেননি।
১০ অক্টোবর ২০২৫
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
১৪ মিনিট আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার যেন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পাওয়ার জন্য যেভাবে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন, সেভাবে ইতিহাসে আর কোনো প্রার্থী প্রচারণা বা লবিং করেননি।
১০ অক্টোবর ২০২৫
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
১৪ মিনিট আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার যেন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি পাওয়ার জন্য যেভাবে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন, সেভাবে ইতিহাসে আর কোনো প্রার্থী প্রচারণা বা লবিং করেননি।
১০ অক্টোবর ২০২৫
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
১৪ মিনিট আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৩ ঘণ্টা আগে