আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী কুইনসেনিয়েরা পোশাক এখন চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের দখলে চলে যাচ্ছে। সস্তায় আমদানি ও স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে মেক্সিকোর প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ঐতিহ্যবাহী পোশাকশিল্প ধসে পড়েছে। চাকরি হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।
কুইনসেনিয়েরা বিশেষ একধরনের পোশাক। এটি সাধারণত মেয়েদের ১৫তম জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য তৈরি করা হয়।
তবে চীনা পোশাকের এই দখল ঠেকাতে এবং দেশীয় শিল্প বাঁচাতে মেক্সিকো সরকার নতুন শুল্ক আরোপ করেছে। পাশাপাশি অবৈধ পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়; কারণ, দীর্ঘদিন ধরে মেক্সিকান পোশাকের বাজারে চীনের আধিপত্য বাড়ছে।
প্রায় ৪০ বছর ধরে পোশাক ব্যবসা করছেন রামোন রদ্রিগেজ কানো নামের একজন মেক্সিকান। তিনি বলেন, ‘আগে দিনে ২৫টি পোশাক বিক্রি করতাম, এখন পুরো মাসে ২৫টি বিক্রি করতে হিমশিম খাই।’ তিনি জানান, গত সাত বছরে তিনি তাঁর সরবরাহকারী এবং কর্মীর সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
মেক্সিকোতে দেশীয় কুইনসেনিয়েরা গাউন যেখানে ১৮ হাজার পেসো (৯০০ ডলার) পর্যন্ত বিক্রি হয়, চীনা কাপড় দিয়ে তৈরি এই পোশাকের দাম সেখানে মাত্র ৩ হাজার পেসো। মেক্সিকোয় যেখানে মানুষের মাসিক আয় গড়ে ৮ হাজার ২০০ পেসো, সেখানে এই আয়োজন অনেক ব্যয়বহুল। এর ওপর রয়েছে শত শত অতিথিকে খাওয়ানো ও আপ্যায়ন এবং অনুষ্ঠানের জন্য স্থান ভাড়া করার খরচ।
আলবার্তো কইনড্রাউ নামের এক ব্যক্তি এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। তিনি জানান, একটি কুইনসেনিয়েরা অনুষ্ঠান আয়োজনের মোট খরচ প্রায় ১ লাখ পেসো। এসব ব্যয় বিবেচনা করে অনেকে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সস্তা চীনা পোশাক বেছে নিচ্ছেন।
মেক্সিকো সিটির পুরোনো কলোনিয়াল এলাকা রেপুবলিকা দে চিলের সড়কে দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় পোশাক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে আসছেন। এখানকার বেশির ভাগ পোশাক মেক্সিকান কাপড়ে তৈরি। কিন্তু মাত্র ১৫ মিনিট দূরের লাগুনিলা মার্কেটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পোশাক চীনা কাপড়ে তৈরি। একাধিক বিক্রেতা জানান, তাঁরা সরাসরি চীন থেকে সম্পূর্ণ পোশাক নিয়ে আসেন। শুধু সামান্য সাজিয়ে ম্যানিকুইনে তুলে দেন।
এসব পোশাকের সঙ্গে মুকুট, গয়না, জুতা দেওয়া হয়। দাম কম হলেও স্থানীয় দোকানিরা বলেন, ‘এই দামে আমরা কোনোভাবেই মান বজায় রেখে প্রতিযোগিতা করতে পারি না।’
মেক্সিকোতেও Shein, Temu-এর মতো চীনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ সালে যেখানে চীন থেকে টেক্সটাইল আমদানি ছিল ১১ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। আর মেক্সিকোর টেক্সটাইল রপ্তানি একই সময়ে ১ শতাংশের নিচে থেকে গেছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাম দেশীয় শিল্প রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন থেকে যেসব দেশে মেক্সিকোর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, তাদের থেকে আমদানি পোশাকের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হচ্ছে। এ ছাড়া ডাক মারফত আসা পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকার দেশব্যাপী বাজারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। চীনা পোশাক, খেলনা, ইলেকট্রনিক পণ্যের কাগজপত্র যাচাই ও পণ্য জব্দের কাজ চলছে।
মেক্সিকোর পোশাকশিল্প, চীনের তুলনায় ছোট হলেও নাইকি, লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোং, হেনেজ অ্যান্ড মরিতজ এবি এবং ভিএফ করপোরেশনের মতো বহুজাতিক কোম্পানির জন্য তারা পণ্য তৈরি করে। শেইনবামের প্রশাসন জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির বস্ত্রশিল্পে প্রায় ৭৯ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে এবং শুল্ক আরোপ না করা হলে আরও ৭৫ হাজার মানুষের চাকরি ঝুঁকিতে রয়েছে।
মেক্সিকোর বস্ত্রশিল্প চেম্বারের প্রধান রাফায়েল জাগা বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন।’ তিনি আরও বলেন, চীন থেকে আসা সস্তা পণ্য, সেই সঙ্গে মেক্সিকোর বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের হুমকি—এগুলো স্পষ্ট করে তুলেছে যে দেশটির আরও স্বনির্ভর হওয়া দরকার।
কানাইনটেক্সের (টেক্সটাইল চেম্বার) মতে, মেক্সিকোতে ৯৫ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছে। বাজারের ৬০ শতাংশই এখন অবৈধ আমদানি করা পণ্যে পূর্ণ। এ ছাড়া গত দুই বছর থেকে মেক্সিকান কোম্পানিগুলোর বিক্রি ও উৎপাদন কমছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর বাণিজ্য সম্পর্ক একেবারেই অসম। ইলেকট্রনিকস ছাড়াও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চীন থেকে সস্তায় আমদানি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে চীন মেক্সিকোয় ১১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, ১০ বছর আগে যা ছিল ৬১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এই সময় মেক্সিকোর রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারে।
মার্কেট এক্সপার্ট ডেভিড মার্কোট বলেন, ‘বিদেশ থেকে এত বেশি পরিমাণ কাপড় আসছে, অনেক সময় ঠিকমতো পরীক্ষাও করা যায় না কোনটি আসল ও নকল। কনটেইনারে সহজে চাপিয়ে আনা যায়, শুল্কও চোখ এড়িয়ে যায়।’
লাগুনিলার এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, ‘মানুষের হাতে এখন টাকা কম। আমরা তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে এই পোশাক দিচ্ছি।’
কুইনসেনিয়েরা অনুষ্ঠানের জন্য পোশাক কিনতে আসা মারিয়া দেল কারমেন মুনিওস বলেন, ‘আমার নাতনির জন্য পোশাক কিনতে আসছি। অনলাইনের ওপর ভরসা নেই। আমি চাইলেও রেপুবলিকা দে চিলের রাস্তায় যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটা কিনতে পারব না। কারণ, এটা আমার সাধ্যের বাইরে। দুই জায়গার পোশাক দেখতে একই রকম। মানের কিছু পার্থক্য থাকলেও এগুলো দিয়েই আমাদের চলে যায়।’

মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী কুইনসেনিয়েরা পোশাক এখন চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের দখলে চলে যাচ্ছে। সস্তায় আমদানি ও স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে মেক্সিকোর প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ঐতিহ্যবাহী পোশাকশিল্প ধসে পড়েছে। চাকরি হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।
কুইনসেনিয়েরা বিশেষ একধরনের পোশাক। এটি সাধারণত মেয়েদের ১৫তম জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য তৈরি করা হয়।
তবে চীনা পোশাকের এই দখল ঠেকাতে এবং দেশীয় শিল্প বাঁচাতে মেক্সিকো সরকার নতুন শুল্ক আরোপ করেছে। পাশাপাশি অবৈধ পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়; কারণ, দীর্ঘদিন ধরে মেক্সিকান পোশাকের বাজারে চীনের আধিপত্য বাড়ছে।
প্রায় ৪০ বছর ধরে পোশাক ব্যবসা করছেন রামোন রদ্রিগেজ কানো নামের একজন মেক্সিকান। তিনি বলেন, ‘আগে দিনে ২৫টি পোশাক বিক্রি করতাম, এখন পুরো মাসে ২৫টি বিক্রি করতে হিমশিম খাই।’ তিনি জানান, গত সাত বছরে তিনি তাঁর সরবরাহকারী এবং কর্মীর সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
মেক্সিকোতে দেশীয় কুইনসেনিয়েরা গাউন যেখানে ১৮ হাজার পেসো (৯০০ ডলার) পর্যন্ত বিক্রি হয়, চীনা কাপড় দিয়ে তৈরি এই পোশাকের দাম সেখানে মাত্র ৩ হাজার পেসো। মেক্সিকোয় যেখানে মানুষের মাসিক আয় গড়ে ৮ হাজার ২০০ পেসো, সেখানে এই আয়োজন অনেক ব্যয়বহুল। এর ওপর রয়েছে শত শত অতিথিকে খাওয়ানো ও আপ্যায়ন এবং অনুষ্ঠানের জন্য স্থান ভাড়া করার খরচ।
আলবার্তো কইনড্রাউ নামের এক ব্যক্তি এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। তিনি জানান, একটি কুইনসেনিয়েরা অনুষ্ঠান আয়োজনের মোট খরচ প্রায় ১ লাখ পেসো। এসব ব্যয় বিবেচনা করে অনেকে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সস্তা চীনা পোশাক বেছে নিচ্ছেন।
মেক্সিকো সিটির পুরোনো কলোনিয়াল এলাকা রেপুবলিকা দে চিলের সড়কে দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় পোশাক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে আসছেন। এখানকার বেশির ভাগ পোশাক মেক্সিকান কাপড়ে তৈরি। কিন্তু মাত্র ১৫ মিনিট দূরের লাগুনিলা মার্কেটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পোশাক চীনা কাপড়ে তৈরি। একাধিক বিক্রেতা জানান, তাঁরা সরাসরি চীন থেকে সম্পূর্ণ পোশাক নিয়ে আসেন। শুধু সামান্য সাজিয়ে ম্যানিকুইনে তুলে দেন।
এসব পোশাকের সঙ্গে মুকুট, গয়না, জুতা দেওয়া হয়। দাম কম হলেও স্থানীয় দোকানিরা বলেন, ‘এই দামে আমরা কোনোভাবেই মান বজায় রেখে প্রতিযোগিতা করতে পারি না।’
মেক্সিকোতেও Shein, Temu-এর মতো চীনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ সালে যেখানে চীন থেকে টেক্সটাইল আমদানি ছিল ১১ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। আর মেক্সিকোর টেক্সটাইল রপ্তানি একই সময়ে ১ শতাংশের নিচে থেকে গেছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাম দেশীয় শিল্প রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন থেকে যেসব দেশে মেক্সিকোর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, তাদের থেকে আমদানি পোশাকের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হচ্ছে। এ ছাড়া ডাক মারফত আসা পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকার দেশব্যাপী বাজারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। চীনা পোশাক, খেলনা, ইলেকট্রনিক পণ্যের কাগজপত্র যাচাই ও পণ্য জব্দের কাজ চলছে।
মেক্সিকোর পোশাকশিল্প, চীনের তুলনায় ছোট হলেও নাইকি, লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোং, হেনেজ অ্যান্ড মরিতজ এবি এবং ভিএফ করপোরেশনের মতো বহুজাতিক কোম্পানির জন্য তারা পণ্য তৈরি করে। শেইনবামের প্রশাসন জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির বস্ত্রশিল্পে প্রায় ৭৯ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে এবং শুল্ক আরোপ না করা হলে আরও ৭৫ হাজার মানুষের চাকরি ঝুঁকিতে রয়েছে।
মেক্সিকোর বস্ত্রশিল্প চেম্বারের প্রধান রাফায়েল জাগা বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন।’ তিনি আরও বলেন, চীন থেকে আসা সস্তা পণ্য, সেই সঙ্গে মেক্সিকোর বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের হুমকি—এগুলো স্পষ্ট করে তুলেছে যে দেশটির আরও স্বনির্ভর হওয়া দরকার।
কানাইনটেক্সের (টেক্সটাইল চেম্বার) মতে, মেক্সিকোতে ৯৫ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছে। বাজারের ৬০ শতাংশই এখন অবৈধ আমদানি করা পণ্যে পূর্ণ। এ ছাড়া গত দুই বছর থেকে মেক্সিকান কোম্পানিগুলোর বিক্রি ও উৎপাদন কমছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর বাণিজ্য সম্পর্ক একেবারেই অসম। ইলেকট্রনিকস ছাড়াও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চীন থেকে সস্তায় আমদানি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে চীন মেক্সিকোয় ১১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, ১০ বছর আগে যা ছিল ৬১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এই সময় মেক্সিকোর রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারে।
মার্কেট এক্সপার্ট ডেভিড মার্কোট বলেন, ‘বিদেশ থেকে এত বেশি পরিমাণ কাপড় আসছে, অনেক সময় ঠিকমতো পরীক্ষাও করা যায় না কোনটি আসল ও নকল। কনটেইনারে সহজে চাপিয়ে আনা যায়, শুল্কও চোখ এড়িয়ে যায়।’
লাগুনিলার এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, ‘মানুষের হাতে এখন টাকা কম। আমরা তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে এই পোশাক দিচ্ছি।’
কুইনসেনিয়েরা অনুষ্ঠানের জন্য পোশাক কিনতে আসা মারিয়া দেল কারমেন মুনিওস বলেন, ‘আমার নাতনির জন্য পোশাক কিনতে আসছি। অনলাইনের ওপর ভরসা নেই। আমি চাইলেও রেপুবলিকা দে চিলের রাস্তায় যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটা কিনতে পারব না। কারণ, এটা আমার সাধ্যের বাইরে। দুই জায়গার পোশাক দেখতে একই রকম। মানের কিছু পার্থক্য থাকলেও এগুলো দিয়েই আমাদের চলে যায়।’

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী কুইনসেনিয়েরা পোশাক এখন চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের দখলে চলে যাচ্ছে। সস্তায় আমদানি ও স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে মেক্সিকোর প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ঐতিহ্যবাহী পোশাকশিল্প ধসে পড়েছে। চাকরি হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।
১৬ এপ্রিল ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী কুইনসেনিয়েরা পোশাক এখন চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের দখলে চলে যাচ্ছে। সস্তায় আমদানি ও স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে মেক্সিকোর প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ঐতিহ্যবাহী পোশাকশিল্প ধসে পড়েছে। চাকরি হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।
১৬ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী কুইনসেনিয়েরা পোশাক এখন চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের দখলে চলে যাচ্ছে। সস্তায় আমদানি ও স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে মেক্সিকোর প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ঐতিহ্যবাহী পোশাকশিল্প ধসে পড়েছে। চাকরি হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।
১৬ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী কুইনসেনিয়েরা পোশাক এখন চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের দখলে চলে যাচ্ছে। সস্তায় আমদানি ও স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে মেক্সিকোর প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ঐতিহ্যবাহী পোশাকশিল্প ধসে পড়েছে। চাকরি হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।
১৬ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে