আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর দপ্তর থেকে রোববার জানানো হয়েছে, জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
জো বাইডেনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছে। খুব দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে হাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে।
প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে গত সপ্তাহে চিকিৎসকের কাছে গেলে শুক্রবার ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের ক্যানসার শনাক্ত হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ক্যানসারটি বেশ আগ্রাসী ধরনের। খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ক্যানসার। এর গ্লিসন স্কোর ১০-এর মধ্যে ৯। ক্যানসার রিসার্চ ইউকের তথ্য অনুযায়ী, এ ধরনের ক্যানসারকে ‘উচ্চমাত্রার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে তাঁর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাইডেন ও তাঁর পরিবার চিকিৎসার বিকল্পগুলো পর্যালোচনা করছেন। ক্যানসারটি হরমোন-সংবেদনশীল। এর অর্থ, এটি সম্ভবত নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
বাইডেনের দপ্তর জানায়, গত সপ্তাহে প্রস্রাবজনিত সমস্যা বাড়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। শুক্রবার তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত হয়। এর গ্লিসন স্কোর ৯ (গ্রেড গ্রুপ ৫), যা হাড়ে মেটাস্টাসিসের লক্ষণ বহন করে।
বাইডেনের অসুস্থতার কথা জেনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, তিনি ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প জো বাইডেনের সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবর শুনে মর্মাহত।
সাবেক ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের কথা তুলে ধরে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা জিল এবং তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের উষ্ণ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছি। আমরা জো বাইডেনের দ্রুত ও সফল আরোগ্য কামনা করি।’
বাইডেনের অধীনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কমলা হ্যারিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার বাইডেন পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছেন। হ্যারিস বলেন, ‘জো একজন লড়াকু মানুষ। আমি জানি তিনি সব সময়ের মতো দৃঢ়তা, স্থিতিশীলতা ও আশাবাদ নিয়ে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী মিশেল বাইডেন পরিবারের পাশে আছেন।
ওবামা বলেন, ‘ক্যানসারের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা উদ্ভাবনে জো যতটা কাজ করেছেন, তা আর কেউ করেনি। আমি নিশ্চিত যে তিনি তাঁর চিরাচরিত সংকল্প ও মর্যাদার সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবেন। আমরা তাঁর দ্রুত ও সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করছি।’
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, প্রোস্টেট ক্যানসার পুরুষদের মধ্যে ত্বকের ক্যানসারের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যানসার। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানায়, প্রতি ১০০ জন পুরুষের মধ্যে ১৩ জন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
সিডিসি বলছে, বয়স প্রোস্টেট ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রোস্টেট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ড. উইলিয়াম ডাহুট বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাইডেনের রোগ নির্ণয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ক্যানসার প্রকৃতিগতভাবে বেশি আক্রমণাত্মক। তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত, যদি ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে, আমরা তা নিরাময়যোগ্য ক্যানসার হিসেবে বিবেচনা করি না।’
তবে তিনি জানান, বেশিরভাগ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসায় ভালো সাড়া দেন এবং অনেকেই এই রোগ নিয়ে বহু বছর বেঁচে থাকেন।
ড. ডাহুটের মতে, সাবেক প্রেসিডেন্টের নির্ণীত অবস্থায় সাধারণত হরমোন থেরাপি দেওয়া হয়, যা উপসর্গ কমাতে এবং ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধির গতি ধীর করতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্য ও বয়সজনিত উদ্বেগের কারণে ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছিলেন বাইডেন। এরও এক বছর পার হয়ে গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর থেকে বাইডেন মূলত জনসম্মুখ থেকে অনেকটাই সরে গেছেন এবং খুব কমই জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছেন।
গত এপ্রিলে মাসে তিনি শিকাগোতে আয়োজিত একটি সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনটির আয়োজক ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিবন্ধী অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘অ্যাডভোকেটস, কাউন্সেলরস, অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টেটিভস ফর দ্য ডিসএবলড’।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকার দেন গত মে মাসে। বিবিসিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বাইডেন স্বীকার করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর জন্য ছিল ‘কঠিন’।
তবে গত কয়েক মাস ধরে বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মে মাসে ‘দ্য ভিউ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাইডেন হোয়াইট হাউসে নিজের শেষ বছরে মানসিক সক্ষমতা হ্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।’
বহু বছর ধরে বাইডেন ক্যানসার গবেষণার পক্ষে কাজ করে আসছেন। ওবামার প্রশাসনের উপদেষ্টা ছিলেন জো বাইডেন। ২০১৬ সালে ওবামা জো বাইডেনকে ‘ক্যানসার মুনশট’ নামে একটি সরকারব্যাপী গবেষণা কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেন। ২০২২ সালে তিনি ও জিল বাইডেন যৌথভাবে ‘ক্যানসার মুনশট’ উদ্যোগটি পুনরায় চালু করেন। এর লক্ষ্য ছিল ২০৪৭ সালের মধ্যে চার মিলিয়নের বেশি ক্যানসারে মৃত্যুরোধে গবেষণার প্রচেষ্টা সমন্বয় করা।
বাইডেন ক্যানসারের যন্ত্রণার সঙ্গে বেশ আগে থেকেই পরিচিত। ২০১৫ সালে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বিউ বাইডেনকে হারিয়েছেন ব্রেইন ক্যানসারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর দপ্তর থেকে রোববার জানানো হয়েছে, জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
জো বাইডেনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছে। খুব দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে হাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে।
প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে গত সপ্তাহে চিকিৎসকের কাছে গেলে শুক্রবার ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের ক্যানসার শনাক্ত হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ক্যানসারটি বেশ আগ্রাসী ধরনের। খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ক্যানসার। এর গ্লিসন স্কোর ১০-এর মধ্যে ৯। ক্যানসার রিসার্চ ইউকের তথ্য অনুযায়ী, এ ধরনের ক্যানসারকে ‘উচ্চমাত্রার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে তাঁর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাইডেন ও তাঁর পরিবার চিকিৎসার বিকল্পগুলো পর্যালোচনা করছেন। ক্যানসারটি হরমোন-সংবেদনশীল। এর অর্থ, এটি সম্ভবত নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
বাইডেনের দপ্তর জানায়, গত সপ্তাহে প্রস্রাবজনিত সমস্যা বাড়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। শুক্রবার তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত হয়। এর গ্লিসন স্কোর ৯ (গ্রেড গ্রুপ ৫), যা হাড়ে মেটাস্টাসিসের লক্ষণ বহন করে।
বাইডেনের অসুস্থতার কথা জেনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, তিনি ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প জো বাইডেনের সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবর শুনে মর্মাহত।
সাবেক ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের কথা তুলে ধরে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা জিল এবং তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের উষ্ণ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছি। আমরা জো বাইডেনের দ্রুত ও সফল আরোগ্য কামনা করি।’
বাইডেনের অধীনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কমলা হ্যারিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার বাইডেন পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছেন। হ্যারিস বলেন, ‘জো একজন লড়াকু মানুষ। আমি জানি তিনি সব সময়ের মতো দৃঢ়তা, স্থিতিশীলতা ও আশাবাদ নিয়ে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী মিশেল বাইডেন পরিবারের পাশে আছেন।
ওবামা বলেন, ‘ক্যানসারের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা উদ্ভাবনে জো যতটা কাজ করেছেন, তা আর কেউ করেনি। আমি নিশ্চিত যে তিনি তাঁর চিরাচরিত সংকল্প ও মর্যাদার সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবেন। আমরা তাঁর দ্রুত ও সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করছি।’
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, প্রোস্টেট ক্যানসার পুরুষদের মধ্যে ত্বকের ক্যানসারের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যানসার। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানায়, প্রতি ১০০ জন পুরুষের মধ্যে ১৩ জন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
সিডিসি বলছে, বয়স প্রোস্টেট ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রোস্টেট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ড. উইলিয়াম ডাহুট বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাইডেনের রোগ নির্ণয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ক্যানসার প্রকৃতিগতভাবে বেশি আক্রমণাত্মক। তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত, যদি ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে, আমরা তা নিরাময়যোগ্য ক্যানসার হিসেবে বিবেচনা করি না।’
তবে তিনি জানান, বেশিরভাগ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসায় ভালো সাড়া দেন এবং অনেকেই এই রোগ নিয়ে বহু বছর বেঁচে থাকেন।
ড. ডাহুটের মতে, সাবেক প্রেসিডেন্টের নির্ণীত অবস্থায় সাধারণত হরমোন থেরাপি দেওয়া হয়, যা উপসর্গ কমাতে এবং ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধির গতি ধীর করতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্য ও বয়সজনিত উদ্বেগের কারণে ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছিলেন বাইডেন। এরও এক বছর পার হয়ে গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর থেকে বাইডেন মূলত জনসম্মুখ থেকে অনেকটাই সরে গেছেন এবং খুব কমই জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছেন।
গত এপ্রিলে মাসে তিনি শিকাগোতে আয়োজিত একটি সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনটির আয়োজক ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিবন্ধী অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘অ্যাডভোকেটস, কাউন্সেলরস, অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টেটিভস ফর দ্য ডিসএবলড’।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকার দেন গত মে মাসে। বিবিসিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বাইডেন স্বীকার করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর জন্য ছিল ‘কঠিন’।
তবে গত কয়েক মাস ধরে বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মে মাসে ‘দ্য ভিউ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাইডেন হোয়াইট হাউসে নিজের শেষ বছরে মানসিক সক্ষমতা হ্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।’
বহু বছর ধরে বাইডেন ক্যানসার গবেষণার পক্ষে কাজ করে আসছেন। ওবামার প্রশাসনের উপদেষ্টা ছিলেন জো বাইডেন। ২০১৬ সালে ওবামা জো বাইডেনকে ‘ক্যানসার মুনশট’ নামে একটি সরকারব্যাপী গবেষণা কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেন। ২০২২ সালে তিনি ও জিল বাইডেন যৌথভাবে ‘ক্যানসার মুনশট’ উদ্যোগটি পুনরায় চালু করেন। এর লক্ষ্য ছিল ২০৪৭ সালের মধ্যে চার মিলিয়নের বেশি ক্যানসারে মৃত্যুরোধে গবেষণার প্রচেষ্টা সমন্বয় করা।
বাইডেন ক্যানসারের যন্ত্রণার সঙ্গে বেশ আগে থেকেই পরিচিত। ২০১৫ সালে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বিউ বাইডেনকে হারিয়েছেন ব্রেইন ক্যানসারে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৩৪ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে গত সপ্তাহে চিকিৎসকের কাছে গেলে শুক্রবার ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের ক্যানসার শনাক্ত হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ক্যানসারটি বেশ আগ্রাসী ধরনের। খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ক্যানসার। এর গ্লিসন স্কোর ১০-এর মধ্যে ৯।
১৯ মে ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে গত সপ্তাহে চিকিৎসকের কাছে গেলে শুক্রবার ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের ক্যানসার শনাক্ত হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ক্যানসারটি বেশ আগ্রাসী ধরনের। খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ক্যানসার। এর গ্লিসন স্কোর ১০-এর মধ্যে ৯।
১৯ মে ২০২৫
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৩৪ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে গত সপ্তাহে চিকিৎসকের কাছে গেলে শুক্রবার ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের ক্যানসার শনাক্ত হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ক্যানসারটি বেশ আগ্রাসী ধরনের। খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ক্যানসার। এর গ্লিসন স্কোর ১০-এর মধ্যে ৯।
১৯ মে ২০২৫
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৩৪ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে গত সপ্তাহে চিকিৎসকের কাছে গেলে শুক্রবার ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের ক্যানসার শনাক্ত হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ক্যানসারটি বেশ আগ্রাসী ধরনের। খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ক্যানসার। এর গ্লিসন স্কোর ১০-এর মধ্যে ৯।
১৯ মে ২০২৫
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৩৪ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৪ ঘণ্টা আগে