আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের নতুন ধর্মগুরু কে হতে যাচ্ছেন, বিশ্বজুড়ে এখন এই প্রশ্ন। পোপ ফ্রান্সিসের রেখে যাওয়া দায়িত্বভার নেওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি কে হতে পারেন সে তালিকায় অনেক নাম আসলেও কারও ব্যাপারেই শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে এবার এ তালিকায় এগিয়ে আছেন কৃষ্ণাঙ্গরা। আফ্রিকা মহাদেশের মানুষও আশাবাদী তাদেরই কেউ হবেন নতুন ধর্মগুরু। আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান খ্রিষ্টান সমাজ স্বপ্ন দেখছে, পোপ ফ্রান্সিসের উন্নয়নশীল বিশ্বে কথা বলার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরবেন কৃষ্ণাঙ্গ কেউ।
অবশ্য কে পোপ হবেন তা আগেভাগে বলা বরাবরই কঠিন। তাছাড়া গত কয়েক দশকে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ও সমালোচনার মুখে পড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভ্যাটিকান এ বিষয়ে বেশ সংবেদনশীল। তবে গত সোমবার পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আফ্রিকার অনেক ক্যাথলিক বিশ্বাসী বলেছেন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হওয়া অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল।
খ্রিষ্টান ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে উত্তর আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী বা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কয়েকজন পোপ ছিলেন। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য খুব বেশি নেই। তবে সে সময় একজন বা একাধিক পোপ কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন বলেও ধারণা করা হয়।
গত মাসে প্রকাশিত ভ্যাটিকান-এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আফ্রিকা মহাদেশে যেখানে ধর্ম ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের প্রতিটি স্তরে গভীরভাবে জড়িত, সেখানে ক্যাথলিকের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। ২০২৩ সালে এক হিসাবে দেখা যায় বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ ক্যাথলিক আফ্রিকার এবং তার আগের বছর নতুন করে ৯ মিলিয়ন যুক্ত হয়েছেন।
আইভরি কোস্টের বাণিজ্যিক শহর আবিজানের এক ক্যাথলিক পাদ্রী চার্লস ইয়াপি বলেন, ‘একজন কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হলে তা আফ্রিকায় খ্রিষ্টান ধর্মের বিশ্বাসকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে এবং মানুষের আফ্রিকাকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাবে। এতে প্রমাণ হবে, একজন আফ্রিকানও এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারেন।’
সম্ভাব্য পোপের নামের তালিকায় কয়েকজন আফ্রিকান প্রার্থীর নাম থাকলেও তাদের কারও পোপ হওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা আছে কিনা—এ নিয়ে ভ্যাটিকানের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো সন্দেহ প্রকাশ করছে। এর একটি কারণ হলো, পশ্চিমা দেশগুলোর অধিকাংশ কার্ডিনালের মতো আফ্রিকান কার্ডিনালরা জনসম্মুখে তেমনভাবে যাচাইয়ের মুখোমুখি হননি।
যেসব আফ্রিকান যাজকের নাম সম্ভাব্য পোপ হিসেবে আলোচনায় আছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—ঘানার কার্ডিনাল ৭৬ বছর বয়সী পিটার কোদও আপ্পিয়া টার্কসন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসার আর্চবিশপ ৬৫ বছর বয়সী কার্ডিনাল ফ্রিদোলিন আমবঙ্গো বেসুংগু এবং আইভরি কোস্টের কার্ডিনাল ৬৩ বছর বয়সী ইগ্নাস বেসি ডগবো।

প্রায় এক দশক ধরে সম্ভাব্য পোপ হিসেবে কার্ডিনাল টার্কসনের নাম আলোচনায় আছে। তিনি ঘানার একটি খনিশিল্প অধ্যুষিত শহরে ১০ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ সন্তান হিসেবে সাদাসিধে পরিবেশে বড় হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ঘানায় যাজক হিসেবে কাজ করেছেন এবং পরে ভ্যাটিকানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের নেতৃত্ব দিয়েছেন—বিশেষ করে সেই দপ্তরগুলোর, যেগুলো সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং বৈশ্বিক শান্তি নিয়ে কাজ করে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈষম্যের মতো বিষয়েও পোপ ফ্রান্সিসের মতোই আগ্রহী।
তবে, ২০১৩ সালে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি যাজকদের যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে সমকামিতার যোগসূত্র টানেন এবং বলেন, আফ্রিকায় এমন কেলেঙ্কারির সম্ভাবনা কম। এ মন্তব্যের পর তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
সম্প্রতি কার্ডিনাল টার্কসন তাঁর আগের অবস্থান কিছুটা নরম করেছেন। ২০২৩ সালে বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘সমকামিতা নিয়ে এখন আরও জ্ঞান আহরণের সময় এসেছে।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, এটি ঘানার সমাজে পুরোপুরি অচেনা নয়।
ঘানার আর্চবিশপ জন বোনাভেনচার কোফি ১৯৭০-এর দশক থেকে কার্ডিনাল টার্কসনকে চেনেন। টার্কসনের হাতেই বিশপ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন কোফি। রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোফি জানান, টার্কসনকে পোপ হিসেবে নির্বাচন করলে তা আফ্রিকায় ক্যাথলিক ধর্মের এই অগ্রগতির যথাযথ স্বীকৃতি হবে এবং আফ্রিকান ধর্মগুরুরাও এতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আর্চবিশপ কোফি বলেন, ‘যদিও এটা নিয়ে আমি জোর দিয়ে কিছু বলতে পারি না, কারণ যাঁরা পোপ নির্বাচন করবেন—সেই কার্ডিনালরা পবিত্র আত্মার পথনির্দেশেই চলবেন। তবে, যদি উনিই পরবর্তী পোপ হন, তাহলে তা পুরো মহাদেশের বিশপদের জন্য উৎসাহজনক হবে।’
পোপ হওয়ার তালিকায় আরেক নাম কঙ্গোর কার্ডিনাল আমবঙ্গো। যুদ্ধ ও বিদ্রোহে জর্জরিত দেশে শান্তির পক্ষে জোরালো কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত আমবঙ্গো ২০১৯ সালে পোপ ফ্রান্সিসের হাতে কার্ডিনাল পদে উন্নীত হন। পরে ২০২০ সালে ফ্রান্সিস তাঁকে ‘কাউন্সিল অব কার্ডিনালস’-এ অন্তর্ভুক্ত করেন।
তবে, ২০২৩ সালে পোপ ফ্রান্সিস সমলিঙ্গ দম্পতিদের আশীর্বাদ অনুমোদন করার পর, আমবঙ্গো তাঁর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এতে গির্জা নানা কেলেঙ্কারির ঝুঁকিতে পড়বে।
তালিকার আরেক কৃষ্ণাঙ্গ আবিজানের আর্চবিশপ আইভরি কোস্টের কার্ডিনাল ডগবো ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কার্ডিনাল পদে উন্নীত হন। বর্তমানে তাঁর পরিচিতিও অনেক বেড়েছে। কার্ডিনাল হয়ে ডগবো রয়টার্সকে বলেছিলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চল থেকে কার্ডিনাল থাকলে তা গির্জার সর্বজনীনতা বাস্তবেই প্রতিফলিত করে।’
তবে কিছু যাজক মনে করেন, পোপের দেশ বা জাতি নয়, তাঁর নীতি ও বিশ্বাসই আসল।
কিনশাসায় পোপ ফ্রান্সিসের জন্য আয়োজিত এক প্রার্থনাসভায় কঙ্গোর পাদ্রী যোশুয়ে-মিসায়েল মোবাতিলা কুইলু বলেন, ‘পোপ আফ্রিকা থেকে হবেন, না অন্য কোনো মহাদেশ থেকে—এটা আমাদের হাতে নেই। তবে আমরা প্রার্থনা করি, পবিত্র আত্মা যেন গির্জাকে একজন উত্তম পথ প্রদর্শক দেন, যিনি গির্জাকে সত্যিকারের ঈশ্বরের পথে পরিচালিত করবেন।’
একজন আফ্রিকান কার্ডিনাল পোপ হলে, তা অনেকের কাছেই পোপ ফ্রান্সিসের দরিদ্র, নিপীড়িত, শরণার্থী ও যুদ্ধবিধ্বস্ত নাগরিকদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হবে।
কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি ২০২৩ সালে কঙ্গো সফরের সময় পোপ ফ্রান্সিসের বলা কথা তুলে ধরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পোপ বলেছিলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর ওপর থেকে তোমাদের হাত সরাও। আফ্রিকার ওপর থেকে হাত সরাও! আফ্রিকাকে দমিয়ে রেখো না: এটি লুটের জন্য কোনো খনি নয়, নয় দখল করার জমি।’
শিসেকেদি বলেন, এই কথাগুলো ‘কঙ্গোর মানুষের সম্মিলিত স্মৃতিতে চিরকাল খোদাই হয়ে থাকবে।’
তবে, একজন আফ্রিকান পোপ হলেও ফ্রান্সিসের মতো সমাজে অগ্রসরধারার অবস্থান—যেমন, সমকামী দম্পতিদের আশীর্বাদ দেওয়ার বিষয়টি সব সময় অনুসরণ করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ আফ্রিকার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্যাথলিক গোঁড়া ধারার।
আইভরি কোস্টের পাদ্রী চার্লস ইয়াপি বলেন, “একজন আফ্রিকান পোপ স্পষ্ট জানিয়ে দেবেন, সমলিঙ্গ সম্পর্ক ‘আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়’ এবং তিনি কখনোই এ ব্যাপারে প্রভাবিত হবেন না।”
তবে এ বিষয়ে দোটানা থেকেই যায়, কারণ পরবর্তী পোপ নির্বাচনের জন্য যেসব কার্ডিনাল ভোট দেবেন, তাদের অনেকেই এমন কাউকে নির্বাচনে সতর্ক থাকতে পারেন, যার মতামত পোপ ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনেকটা ভিন্ন।
আরও পড়ুন—

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের নতুন ধর্মগুরু কে হতে যাচ্ছেন, বিশ্বজুড়ে এখন এই প্রশ্ন। পোপ ফ্রান্সিসের রেখে যাওয়া দায়িত্বভার নেওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি কে হতে পারেন সে তালিকায় অনেক নাম আসলেও কারও ব্যাপারেই শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে এবার এ তালিকায় এগিয়ে আছেন কৃষ্ণাঙ্গরা। আফ্রিকা মহাদেশের মানুষও আশাবাদী তাদেরই কেউ হবেন নতুন ধর্মগুরু। আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান খ্রিষ্টান সমাজ স্বপ্ন দেখছে, পোপ ফ্রান্সিসের উন্নয়নশীল বিশ্বে কথা বলার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরবেন কৃষ্ণাঙ্গ কেউ।
অবশ্য কে পোপ হবেন তা আগেভাগে বলা বরাবরই কঠিন। তাছাড়া গত কয়েক দশকে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ও সমালোচনার মুখে পড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভ্যাটিকান এ বিষয়ে বেশ সংবেদনশীল। তবে গত সোমবার পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আফ্রিকার অনেক ক্যাথলিক বিশ্বাসী বলেছেন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হওয়া অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল।
খ্রিষ্টান ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে উত্তর আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী বা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কয়েকজন পোপ ছিলেন। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য খুব বেশি নেই। তবে সে সময় একজন বা একাধিক পোপ কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন বলেও ধারণা করা হয়।
গত মাসে প্রকাশিত ভ্যাটিকান-এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আফ্রিকা মহাদেশে যেখানে ধর্ম ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের প্রতিটি স্তরে গভীরভাবে জড়িত, সেখানে ক্যাথলিকের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। ২০২৩ সালে এক হিসাবে দেখা যায় বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ ক্যাথলিক আফ্রিকার এবং তার আগের বছর নতুন করে ৯ মিলিয়ন যুক্ত হয়েছেন।
আইভরি কোস্টের বাণিজ্যিক শহর আবিজানের এক ক্যাথলিক পাদ্রী চার্লস ইয়াপি বলেন, ‘একজন কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হলে তা আফ্রিকায় খ্রিষ্টান ধর্মের বিশ্বাসকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে এবং মানুষের আফ্রিকাকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাবে। এতে প্রমাণ হবে, একজন আফ্রিকানও এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারেন।’
সম্ভাব্য পোপের নামের তালিকায় কয়েকজন আফ্রিকান প্রার্থীর নাম থাকলেও তাদের কারও পোপ হওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা আছে কিনা—এ নিয়ে ভ্যাটিকানের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো সন্দেহ প্রকাশ করছে। এর একটি কারণ হলো, পশ্চিমা দেশগুলোর অধিকাংশ কার্ডিনালের মতো আফ্রিকান কার্ডিনালরা জনসম্মুখে তেমনভাবে যাচাইয়ের মুখোমুখি হননি।
যেসব আফ্রিকান যাজকের নাম সম্ভাব্য পোপ হিসেবে আলোচনায় আছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—ঘানার কার্ডিনাল ৭৬ বছর বয়সী পিটার কোদও আপ্পিয়া টার্কসন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসার আর্চবিশপ ৬৫ বছর বয়সী কার্ডিনাল ফ্রিদোলিন আমবঙ্গো বেসুংগু এবং আইভরি কোস্টের কার্ডিনাল ৬৩ বছর বয়সী ইগ্নাস বেসি ডগবো।

প্রায় এক দশক ধরে সম্ভাব্য পোপ হিসেবে কার্ডিনাল টার্কসনের নাম আলোচনায় আছে। তিনি ঘানার একটি খনিশিল্প অধ্যুষিত শহরে ১০ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ সন্তান হিসেবে সাদাসিধে পরিবেশে বড় হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ঘানায় যাজক হিসেবে কাজ করেছেন এবং পরে ভ্যাটিকানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের নেতৃত্ব দিয়েছেন—বিশেষ করে সেই দপ্তরগুলোর, যেগুলো সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং বৈশ্বিক শান্তি নিয়ে কাজ করে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈষম্যের মতো বিষয়েও পোপ ফ্রান্সিসের মতোই আগ্রহী।
তবে, ২০১৩ সালে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি যাজকদের যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে সমকামিতার যোগসূত্র টানেন এবং বলেন, আফ্রিকায় এমন কেলেঙ্কারির সম্ভাবনা কম। এ মন্তব্যের পর তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
সম্প্রতি কার্ডিনাল টার্কসন তাঁর আগের অবস্থান কিছুটা নরম করেছেন। ২০২৩ সালে বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘সমকামিতা নিয়ে এখন আরও জ্ঞান আহরণের সময় এসেছে।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, এটি ঘানার সমাজে পুরোপুরি অচেনা নয়।
ঘানার আর্চবিশপ জন বোনাভেনচার কোফি ১৯৭০-এর দশক থেকে কার্ডিনাল টার্কসনকে চেনেন। টার্কসনের হাতেই বিশপ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন কোফি। রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোফি জানান, টার্কসনকে পোপ হিসেবে নির্বাচন করলে তা আফ্রিকায় ক্যাথলিক ধর্মের এই অগ্রগতির যথাযথ স্বীকৃতি হবে এবং আফ্রিকান ধর্মগুরুরাও এতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আর্চবিশপ কোফি বলেন, ‘যদিও এটা নিয়ে আমি জোর দিয়ে কিছু বলতে পারি না, কারণ যাঁরা পোপ নির্বাচন করবেন—সেই কার্ডিনালরা পবিত্র আত্মার পথনির্দেশেই চলবেন। তবে, যদি উনিই পরবর্তী পোপ হন, তাহলে তা পুরো মহাদেশের বিশপদের জন্য উৎসাহজনক হবে।’
পোপ হওয়ার তালিকায় আরেক নাম কঙ্গোর কার্ডিনাল আমবঙ্গো। যুদ্ধ ও বিদ্রোহে জর্জরিত দেশে শান্তির পক্ষে জোরালো কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত আমবঙ্গো ২০১৯ সালে পোপ ফ্রান্সিসের হাতে কার্ডিনাল পদে উন্নীত হন। পরে ২০২০ সালে ফ্রান্সিস তাঁকে ‘কাউন্সিল অব কার্ডিনালস’-এ অন্তর্ভুক্ত করেন।
তবে, ২০২৩ সালে পোপ ফ্রান্সিস সমলিঙ্গ দম্পতিদের আশীর্বাদ অনুমোদন করার পর, আমবঙ্গো তাঁর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এতে গির্জা নানা কেলেঙ্কারির ঝুঁকিতে পড়বে।
তালিকার আরেক কৃষ্ণাঙ্গ আবিজানের আর্চবিশপ আইভরি কোস্টের কার্ডিনাল ডগবো ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কার্ডিনাল পদে উন্নীত হন। বর্তমানে তাঁর পরিচিতিও অনেক বেড়েছে। কার্ডিনাল হয়ে ডগবো রয়টার্সকে বলেছিলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চল থেকে কার্ডিনাল থাকলে তা গির্জার সর্বজনীনতা বাস্তবেই প্রতিফলিত করে।’
তবে কিছু যাজক মনে করেন, পোপের দেশ বা জাতি নয়, তাঁর নীতি ও বিশ্বাসই আসল।
কিনশাসায় পোপ ফ্রান্সিসের জন্য আয়োজিত এক প্রার্থনাসভায় কঙ্গোর পাদ্রী যোশুয়ে-মিসায়েল মোবাতিলা কুইলু বলেন, ‘পোপ আফ্রিকা থেকে হবেন, না অন্য কোনো মহাদেশ থেকে—এটা আমাদের হাতে নেই। তবে আমরা প্রার্থনা করি, পবিত্র আত্মা যেন গির্জাকে একজন উত্তম পথ প্রদর্শক দেন, যিনি গির্জাকে সত্যিকারের ঈশ্বরের পথে পরিচালিত করবেন।’
একজন আফ্রিকান কার্ডিনাল পোপ হলে, তা অনেকের কাছেই পোপ ফ্রান্সিসের দরিদ্র, নিপীড়িত, শরণার্থী ও যুদ্ধবিধ্বস্ত নাগরিকদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হবে।
কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি ২০২৩ সালে কঙ্গো সফরের সময় পোপ ফ্রান্সিসের বলা কথা তুলে ধরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পোপ বলেছিলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর ওপর থেকে তোমাদের হাত সরাও। আফ্রিকার ওপর থেকে হাত সরাও! আফ্রিকাকে দমিয়ে রেখো না: এটি লুটের জন্য কোনো খনি নয়, নয় দখল করার জমি।’
শিসেকেদি বলেন, এই কথাগুলো ‘কঙ্গোর মানুষের সম্মিলিত স্মৃতিতে চিরকাল খোদাই হয়ে থাকবে।’
তবে, একজন আফ্রিকান পোপ হলেও ফ্রান্সিসের মতো সমাজে অগ্রসরধারার অবস্থান—যেমন, সমকামী দম্পতিদের আশীর্বাদ দেওয়ার বিষয়টি সব সময় অনুসরণ করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ আফ্রিকার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্যাথলিক গোঁড়া ধারার।
আইভরি কোস্টের পাদ্রী চার্লস ইয়াপি বলেন, “একজন আফ্রিকান পোপ স্পষ্ট জানিয়ে দেবেন, সমলিঙ্গ সম্পর্ক ‘আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়’ এবং তিনি কখনোই এ ব্যাপারে প্রভাবিত হবেন না।”
তবে এ বিষয়ে দোটানা থেকেই যায়, কারণ পরবর্তী পোপ নির্বাচনের জন্য যেসব কার্ডিনাল ভোট দেবেন, তাদের অনেকেই এমন কাউকে নির্বাচনে সতর্ক থাকতে পারেন, যার মতামত পোপ ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনেকটা ভিন্ন।
আরও পড়ুন—

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

অবশ্য কে পোপ হবেন, আগেভাগে বলা বরাবরই কঠিন। তাছাড়া গত কয়েক দশকে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ও সমালোচনার মুখে পড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভ্যাটিকান এ বিষয়ে বেশ সংবেদনশীল। তবে গত সোমবার পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আফ্রিকার অনেক ক্যাথলিক বিশ্বাসী বলেছেন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হওয়া অনেক আগেই হওয়া
২৩ এপ্রিল ২০২৫
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

অবশ্য কে পোপ হবেন, আগেভাগে বলা বরাবরই কঠিন। তাছাড়া গত কয়েক দশকে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ও সমালোচনার মুখে পড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভ্যাটিকান এ বিষয়ে বেশ সংবেদনশীল। তবে গত সোমবার পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আফ্রিকার অনেক ক্যাথলিক বিশ্বাসী বলেছেন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হওয়া অনেক আগেই হওয়া
২৩ এপ্রিল ২০২৫
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

অবশ্য কে পোপ হবেন, আগেভাগে বলা বরাবরই কঠিন। তাছাড়া গত কয়েক দশকে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ও সমালোচনার মুখে পড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভ্যাটিকান এ বিষয়ে বেশ সংবেদনশীল। তবে গত সোমবার পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আফ্রিকার অনেক ক্যাথলিক বিশ্বাসী বলেছেন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হওয়া অনেক আগেই হওয়া
২৩ এপ্রিল ২০২৫
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

অবশ্য কে পোপ হবেন, আগেভাগে বলা বরাবরই কঠিন। তাছাড়া গত কয়েক দশকে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ও সমালোচনার মুখে পড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভ্যাটিকান এ বিষয়ে বেশ সংবেদনশীল। তবে গত সোমবার পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আফ্রিকার অনেক ক্যাথলিক বিশ্বাসী বলেছেন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হওয়া অনেক আগেই হওয়া
২৩ এপ্রিল ২০২৫
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১৪ ঘণ্টা আগে