আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র তিন বছরের শিশু অলিভার চু বিরল ও ভয়াবহ একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সম্প্রতি জিন থেরাপি নেওয়ার পর তাঁর উন্নতি দেখে চিকিৎসকেরা বিস্মিত হয়েছেন। হান্টার সিনড্রোম বা এমপিএস-২ নামে পরিচিত এই রোগে আক্রান্ত অলিভার এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।

হান্টার সিনড্রোম হলো একটি বিরল ও বংশগত রোগ, যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিশ্বে প্রতি এক লাখ ছেলেশিশুর মধ্যে একটি এতে আক্রান্ত হয়। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীর ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা সাধারণত ২০ বছরের আগে মারা যায়।
ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে ছোট অলিভারের শরীর জরুরি একটি এনজাইম উৎপাদন করতে পারত না। কিন্তু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসকেরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিন থেরাপির মাধ্যমে অলিভারের কোষ পরিবর্তন করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন।
এই থেরাপির দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম এমন একটি ঘটনার জন্য। অলিভারের মাধ্যমে আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।’ অলিভার বিশ্বজুড়ে এই থেরাপি পাওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে প্রথম।
চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তার ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
বিবিসি গত এক বছর ধরে অলিভারের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ রেখেছে। যুক্তরাজ্যে কীভাবে এই জিন থেরাপি তৈরি হলো এবং অর্থাভাবের কারণে কীভাবে অলিভারের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, সবই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টারের হাসপাতালে অলিভার ও তার বাবা রিকির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। হান্টার সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার পর এপ্রিল থেকে অলিভারের জীবন কেটেছে হাসপাতালে।
অলিভারের বড় ভাই স্কাইলারও একই রোগে আক্রান্ত। তার কথাবার্তা ও চলাফেরায় কিছু সমস্যা দেখা দিলে শুরুতে তা কোভিড মহামারির সময় জন্মানোর পরিণতি হিসেবে ধরা হয়েছিল।
রিকি বলেন, ছেলেদের রোগ নির্ণয়ের খবর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ছিল। চিকিৎসকেরা প্রথমেই বলেন—ইন্টারনেটে কিছু খুঁজবেন না। সেখানে ভয়াবহ কেস দেখে মন ভেঙে যাবে। কিন্তু রিকির কথায়, ‘চিকিৎসকেরা নিষেধ করলেও মানুষ এটা খুঁজবে। আমরাও খুঁজেছি আর মনে হয়েছে—ওহ ঈশ্বর! আমার দুই ছেলেরও কি এটাই হতে যাচ্ছে?’
এই অবস্থায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অলিভারের শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ শুরু হয়। রয়্যাল ম্যানচেস্টার চিলড্রেনস হাসপাতালের চিকিৎসক ক্লেয়ার হরগান বলেন, অলিভারের রক্ত একটি বিশেষ যন্ত্রে পাঠানো হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট স্টেম সেল সংগ্রহ করবে। এগুলো ল্যাবে পাঠিয়ে পরিবর্তন করা হবে এবং পরে আবার তার শরীরে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্টেম সেল হলো বিশেষ ধরনের কোষ। এগুলো শরীরের যেকোনো কোষে রূপান্তরিত হতে পারে এবং শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে মেরামত করতে সাহায্য করে। এগুলোকে সাধারণত শরীরের ‘মেরামতব্যবস্থা’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের মতো বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মানুষের শরীরে প্রধানত দুই ধরনের স্টেম সেল পাওয়া যায়—ভ্রূণীয় স্টেম সেল ও প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল।
অলিভারের কোষগুলোকে লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হান্টার সিনড্রোমে রোগীর জিনে কিছু ত্রুটি থাকে, যার ফলে কোষে আইডিএস নামে জরুরি একটি এনজাইম তৈরি হয় না। বিজ্ঞানীরা সেই অনুপস্থিত জিনটি একটি ভাইরাসে বসিয়ে দেন। তবে এর আগে ওই ভাইরাসের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়।
গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসক ক্যারেন বাকল্যান্ড বলেন, ‘আমরা এই ভাইরাসকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে স্টেম সেলের ভেতর কার্যকর জিনটি ঢুকিয়ে দিই। পরে এগুলো অলিভারের শরীরে ফিরে গেলে নতুন সাদা রক্তকণিকা ও অনুপস্থিত এনজাইম তৈরি করে।’
মস্তিষ্কে এনজাইম পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন। তাই জিনটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে উৎপন্ন এনজাইম-রক্ত সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অলিভার ম্যানচেস্টারে ফেরত আসে জিন-সম্পাদিত কোষ নিতে। গবেষণা দলের সদস্যরা ক্রায়ো ট্যাংক (বিশেষ ধরনের পাত্র) খুলে বরফ-ঠান্ডা অবস্থায় থাকা কোষগুলো বের করেন। গরম করে সেগুলো অলিভারের শরীরের তাপমাত্রায় আনা হয়।
এরপর একটি ছোট ইনফিউশন ব্যাগে থাকা প্রায় ১২৫ মিলিয়ন জিন-পরিবর্তিত কোষ সিরিঞ্জে তোলা হয়। নার্স ধীরে ধীরে ক্যাথেটারের মাধ্যমে কোষগুলো অলিভারের শরীরে প্রবেশ করান। অলিভারের মা জিংরু তাকে ধরে রাখেন। ১০ মিনিটে প্রথম ইনফিউশন শেষ হয়, তারপর এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ইনফিউশন।
এতেই শেষ জিন থেরাপির পুরো প্রক্রিয়া। খুব দ্রুত শেষ হলেও এর লক্ষ্য বিশাল—জটিল এক রোগ থামানো। কয়েক দিন পর মা-ছেলে ক্যালিফোর্নিয়া ফিরে যান। এখন অপেক্ষা—থেরাপি কাজ করছে কি না।
চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষার জন্য অলিভার আবার ম্যানচেস্টারে আসে। এবার পরিবারের সবাই এসেছে। পার্কে দেখা হতেই বোঝা গেল অলিভারের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। সে আগের চেয়ে বেশি চলাফেরা করছে, সতেজ ও সক্রিয়।
অলিভারের বাবা রিকি বলেন, সে খুব ভালো করছে। কথা বলা ও চলাফেরায় উন্নতি হচ্ছে। মাত্র তিন মাসে সে অনেক পরিণত হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সুখবর—এখন প্রতি সপ্তাহে অলিভারের শরীরে আর এনজাইম প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ছে না। সে এখন নিজেই এনজাইম তৈরি করছে।
অলিভারের মা জিংরু বলেন, চিকিৎসার আগে ও পরে অলিভারের মধ্যে এখন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সে কথা বলছে, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছে। বাবা রিকি বলেন, স্কাইলারেরও যদি এমন থেরাপি দেওয়া যেত! মনে হচ্ছে, অলিভার যেন নতুন জীবন পেয়েছে।
হাসপাতালের ছাদবাগানে খেলতে থাকা অলিভারকে দেখে রিকি বলেন, এ যেন সম্পূর্ণ নতুন এক বাচ্চা—দৌড়াচ্ছে, কথা বলছে, হাসছে।
প্রতি তিন মাসে পরীক্ষা করতে অলিভার ম্যানচেস্টারে আসে। আগস্টে নিশ্চিত হয়—থেরাপি সফলভাবে কাজ করছে। এখন নয় মাস পেরিয়েছে। অলিভারের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বলেন, আগে অলিভারের শরীরে এনজাইমই তৈরি হতো না, এখন স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেশি তৈরি হচ্ছে। তবে তিনি সতর্কও করেন, ‘এখন পর্যন্ত সব ভালো, কিন্তু আমাদের আরও সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
জানা গেছে, এই জিন থেরাপি ট্রায়ালের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঁচ শিশুকে নির্বাচন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে কেউ নেই—কারণ, সেখানকার রোগীরা দেরিতে ধরা পড়েছিল।
দুই বছর পর্যবেক্ষণ শেষে ট্রায়াল সফল হলে জিন থেরাপিটি লাইসেন্সিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হবে। একই পদ্ধতিতে আরও বিরল জিনগত রোগের চিকিৎসা তৈরি হচ্ছে।
রিকি ও জিংরু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসক দলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তাঁদের মতে, অলিভারের উন্নতি অবিশ্বাস্য। রিকি বলেন, অলিভারের জীবন আর সুচ ও হাসপাতাল দিয়ে ঘেরা নয়। তার কথা বলা, চলাফেরা, শেখার ক্ষমতা—সবকিছুই বেড়েছে।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রায়ান বিগারের নেতৃত্বে হান্টার সিনড্রোমের জিন থেরাপি তৈরিতে লেগেছিল ১৫ বছরের বেশি সময়। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বায়োটেক প্রতিষ্ঠান অ্যাভ্রোবায়োর সঙ্গে ট্রায়ালের চুক্তি হয়। কিন্তু তিন বছর পর প্রতিষ্ঠানটি অর্থাভাবে লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়। এতে প্রথম মানব ট্রায়াল পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়ে।
প্রফেসর জোনস বলেন, ‘আমাদের দ্রুত বিকল্প স্পন্সর ও তহবিল খুঁজতে হয়েছে। ঠিক তখনই ব্রিটেনের মেডিকেল রিসার্চ চ্যারিটি লাইফআর্ক ২৫ লাখ পাউন্ড তহবিল দিয়ে এগিয়ে আসে।’
ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা লাইফআর্কের সিইও স্যাম ব্যারেল বলেন, যুক্তরাজ্যে ৩৫ লাখ মানুষ বিরল রোগে আক্রান্ত। তাদের জন্য বড় সমস্যা হলো—চিকিৎসার অভাব। ৯৫ শতাংশ রোগেরই চিকিৎসা নেই। তবে জিন থেরাপির মাধ্যমে এসব রোগের চিকিৎসা করা গেলে অনেকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
শিশুরা জন্মের পর সুস্থ দেখালেও সাধারণত দুই বছর বয়সে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়—শারীরিক পরিবর্তন, অঙ্গ-সন্ধির শক্ত হয়ে যাওয়া, খাটো গড়ন, হৃদ্যন্ত্র, যকৃৎ, হাড়ের জোড়ায় ক্ষতি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও স্নায়বিক অবনমন দেখা দেয়। এত দিন হান্টার সিনড্রোমের একমাত্র ওষুধ ছিল এলাপ্রেস, যার বার্ষিক খরচ রোগীপ্রতি প্রায় তিন লাখ পাউন্ড বা পৌনে পাঁচ কোটি টাকা। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে জিন থেরাপি অনুমোদন পেলে এই রোগের চিকিৎসা তুলনামূলক সহজ হবে।

মাত্র তিন বছরের শিশু অলিভার চু বিরল ও ভয়াবহ একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সম্প্রতি জিন থেরাপি নেওয়ার পর তাঁর উন্নতি দেখে চিকিৎসকেরা বিস্মিত হয়েছেন। হান্টার সিনড্রোম বা এমপিএস-২ নামে পরিচিত এই রোগে আক্রান্ত অলিভার এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।

হান্টার সিনড্রোম হলো একটি বিরল ও বংশগত রোগ, যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিশ্বে প্রতি এক লাখ ছেলেশিশুর মধ্যে একটি এতে আক্রান্ত হয়। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীর ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা সাধারণত ২০ বছরের আগে মারা যায়।
ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে ছোট অলিভারের শরীর জরুরি একটি এনজাইম উৎপাদন করতে পারত না। কিন্তু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসকেরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিন থেরাপির মাধ্যমে অলিভারের কোষ পরিবর্তন করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন।
এই থেরাপির দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম এমন একটি ঘটনার জন্য। অলিভারের মাধ্যমে আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।’ অলিভার বিশ্বজুড়ে এই থেরাপি পাওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে প্রথম।
চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তার ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
বিবিসি গত এক বছর ধরে অলিভারের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ রেখেছে। যুক্তরাজ্যে কীভাবে এই জিন থেরাপি তৈরি হলো এবং অর্থাভাবের কারণে কীভাবে অলিভারের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, সবই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টারের হাসপাতালে অলিভার ও তার বাবা রিকির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। হান্টার সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার পর এপ্রিল থেকে অলিভারের জীবন কেটেছে হাসপাতালে।
অলিভারের বড় ভাই স্কাইলারও একই রোগে আক্রান্ত। তার কথাবার্তা ও চলাফেরায় কিছু সমস্যা দেখা দিলে শুরুতে তা কোভিড মহামারির সময় জন্মানোর পরিণতি হিসেবে ধরা হয়েছিল।
রিকি বলেন, ছেলেদের রোগ নির্ণয়ের খবর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ছিল। চিকিৎসকেরা প্রথমেই বলেন—ইন্টারনেটে কিছু খুঁজবেন না। সেখানে ভয়াবহ কেস দেখে মন ভেঙে যাবে। কিন্তু রিকির কথায়, ‘চিকিৎসকেরা নিষেধ করলেও মানুষ এটা খুঁজবে। আমরাও খুঁজেছি আর মনে হয়েছে—ওহ ঈশ্বর! আমার দুই ছেলেরও কি এটাই হতে যাচ্ছে?’
এই অবস্থায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অলিভারের শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ শুরু হয়। রয়্যাল ম্যানচেস্টার চিলড্রেনস হাসপাতালের চিকিৎসক ক্লেয়ার হরগান বলেন, অলিভারের রক্ত একটি বিশেষ যন্ত্রে পাঠানো হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট স্টেম সেল সংগ্রহ করবে। এগুলো ল্যাবে পাঠিয়ে পরিবর্তন করা হবে এবং পরে আবার তার শরীরে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্টেম সেল হলো বিশেষ ধরনের কোষ। এগুলো শরীরের যেকোনো কোষে রূপান্তরিত হতে পারে এবং শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে মেরামত করতে সাহায্য করে। এগুলোকে সাধারণত শরীরের ‘মেরামতব্যবস্থা’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের মতো বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মানুষের শরীরে প্রধানত দুই ধরনের স্টেম সেল পাওয়া যায়—ভ্রূণীয় স্টেম সেল ও প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল।
অলিভারের কোষগুলোকে লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হান্টার সিনড্রোমে রোগীর জিনে কিছু ত্রুটি থাকে, যার ফলে কোষে আইডিএস নামে জরুরি একটি এনজাইম তৈরি হয় না। বিজ্ঞানীরা সেই অনুপস্থিত জিনটি একটি ভাইরাসে বসিয়ে দেন। তবে এর আগে ওই ভাইরাসের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়।
গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসক ক্যারেন বাকল্যান্ড বলেন, ‘আমরা এই ভাইরাসকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে স্টেম সেলের ভেতর কার্যকর জিনটি ঢুকিয়ে দিই। পরে এগুলো অলিভারের শরীরে ফিরে গেলে নতুন সাদা রক্তকণিকা ও অনুপস্থিত এনজাইম তৈরি করে।’
মস্তিষ্কে এনজাইম পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন। তাই জিনটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে উৎপন্ন এনজাইম-রক্ত সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অলিভার ম্যানচেস্টারে ফেরত আসে জিন-সম্পাদিত কোষ নিতে। গবেষণা দলের সদস্যরা ক্রায়ো ট্যাংক (বিশেষ ধরনের পাত্র) খুলে বরফ-ঠান্ডা অবস্থায় থাকা কোষগুলো বের করেন। গরম করে সেগুলো অলিভারের শরীরের তাপমাত্রায় আনা হয়।
এরপর একটি ছোট ইনফিউশন ব্যাগে থাকা প্রায় ১২৫ মিলিয়ন জিন-পরিবর্তিত কোষ সিরিঞ্জে তোলা হয়। নার্স ধীরে ধীরে ক্যাথেটারের মাধ্যমে কোষগুলো অলিভারের শরীরে প্রবেশ করান। অলিভারের মা জিংরু তাকে ধরে রাখেন। ১০ মিনিটে প্রথম ইনফিউশন শেষ হয়, তারপর এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ইনফিউশন।
এতেই শেষ জিন থেরাপির পুরো প্রক্রিয়া। খুব দ্রুত শেষ হলেও এর লক্ষ্য বিশাল—জটিল এক রোগ থামানো। কয়েক দিন পর মা-ছেলে ক্যালিফোর্নিয়া ফিরে যান। এখন অপেক্ষা—থেরাপি কাজ করছে কি না।
চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষার জন্য অলিভার আবার ম্যানচেস্টারে আসে। এবার পরিবারের সবাই এসেছে। পার্কে দেখা হতেই বোঝা গেল অলিভারের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। সে আগের চেয়ে বেশি চলাফেরা করছে, সতেজ ও সক্রিয়।
অলিভারের বাবা রিকি বলেন, সে খুব ভালো করছে। কথা বলা ও চলাফেরায় উন্নতি হচ্ছে। মাত্র তিন মাসে সে অনেক পরিণত হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সুখবর—এখন প্রতি সপ্তাহে অলিভারের শরীরে আর এনজাইম প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ছে না। সে এখন নিজেই এনজাইম তৈরি করছে।
অলিভারের মা জিংরু বলেন, চিকিৎসার আগে ও পরে অলিভারের মধ্যে এখন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সে কথা বলছে, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছে। বাবা রিকি বলেন, স্কাইলারেরও যদি এমন থেরাপি দেওয়া যেত! মনে হচ্ছে, অলিভার যেন নতুন জীবন পেয়েছে।
হাসপাতালের ছাদবাগানে খেলতে থাকা অলিভারকে দেখে রিকি বলেন, এ যেন সম্পূর্ণ নতুন এক বাচ্চা—দৌড়াচ্ছে, কথা বলছে, হাসছে।
প্রতি তিন মাসে পরীক্ষা করতে অলিভার ম্যানচেস্টারে আসে। আগস্টে নিশ্চিত হয়—থেরাপি সফলভাবে কাজ করছে। এখন নয় মাস পেরিয়েছে। অলিভারের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বলেন, আগে অলিভারের শরীরে এনজাইমই তৈরি হতো না, এখন স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেশি তৈরি হচ্ছে। তবে তিনি সতর্কও করেন, ‘এখন পর্যন্ত সব ভালো, কিন্তু আমাদের আরও সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
জানা গেছে, এই জিন থেরাপি ট্রায়ালের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঁচ শিশুকে নির্বাচন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে কেউ নেই—কারণ, সেখানকার রোগীরা দেরিতে ধরা পড়েছিল।
দুই বছর পর্যবেক্ষণ শেষে ট্রায়াল সফল হলে জিন থেরাপিটি লাইসেন্সিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হবে। একই পদ্ধতিতে আরও বিরল জিনগত রোগের চিকিৎসা তৈরি হচ্ছে।
রিকি ও জিংরু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসক দলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তাঁদের মতে, অলিভারের উন্নতি অবিশ্বাস্য। রিকি বলেন, অলিভারের জীবন আর সুচ ও হাসপাতাল দিয়ে ঘেরা নয়। তার কথা বলা, চলাফেরা, শেখার ক্ষমতা—সবকিছুই বেড়েছে।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রায়ান বিগারের নেতৃত্বে হান্টার সিনড্রোমের জিন থেরাপি তৈরিতে লেগেছিল ১৫ বছরের বেশি সময়। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বায়োটেক প্রতিষ্ঠান অ্যাভ্রোবায়োর সঙ্গে ট্রায়ালের চুক্তি হয়। কিন্তু তিন বছর পর প্রতিষ্ঠানটি অর্থাভাবে লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়। এতে প্রথম মানব ট্রায়াল পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়ে।
প্রফেসর জোনস বলেন, ‘আমাদের দ্রুত বিকল্প স্পন্সর ও তহবিল খুঁজতে হয়েছে। ঠিক তখনই ব্রিটেনের মেডিকেল রিসার্চ চ্যারিটি লাইফআর্ক ২৫ লাখ পাউন্ড তহবিল দিয়ে এগিয়ে আসে।’
ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা লাইফআর্কের সিইও স্যাম ব্যারেল বলেন, যুক্তরাজ্যে ৩৫ লাখ মানুষ বিরল রোগে আক্রান্ত। তাদের জন্য বড় সমস্যা হলো—চিকিৎসার অভাব। ৯৫ শতাংশ রোগেরই চিকিৎসা নেই। তবে জিন থেরাপির মাধ্যমে এসব রোগের চিকিৎসা করা গেলে অনেকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
শিশুরা জন্মের পর সুস্থ দেখালেও সাধারণত দুই বছর বয়সে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়—শারীরিক পরিবর্তন, অঙ্গ-সন্ধির শক্ত হয়ে যাওয়া, খাটো গড়ন, হৃদ্যন্ত্র, যকৃৎ, হাড়ের জোড়ায় ক্ষতি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও স্নায়বিক অবনমন দেখা দেয়। এত দিন হান্টার সিনড্রোমের একমাত্র ওষুধ ছিল এলাপ্রেস, যার বার্ষিক খরচ রোগীপ্রতি প্রায় তিন লাখ পাউন্ড বা পৌনে পাঁচ কোটি টাকা। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে জিন থেরাপি অনুমোদন পেলে এই রোগের চিকিৎসা তুলনামূলক সহজ হবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র তিন বছরের শিশু অলিভার চু বিরল ও ভয়াবহ একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সম্প্রতি জিন থেরাপি নেওয়ার পর তাঁর উন্নতি দেখে চিকিৎসকেরা বিস্মিত হয়েছেন। হান্টার সিনড্রোম বা এমপিএস-২ নামে পরিচিত এই রোগে আক্রান্ত অলিভার এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।

হান্টার সিনড্রোম হলো একটি বিরল ও বংশগত রোগ, যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিশ্বে প্রতি এক লাখ ছেলেশিশুর মধ্যে একটি এতে আক্রান্ত হয়। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীর ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা সাধারণত ২০ বছরের আগে মারা যায়।
ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে ছোট অলিভারের শরীর জরুরি একটি এনজাইম উৎপাদন করতে পারত না। কিন্তু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসকেরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিন থেরাপির মাধ্যমে অলিভারের কোষ পরিবর্তন করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন।
এই থেরাপির দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম এমন একটি ঘটনার জন্য। অলিভারের মাধ্যমে আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।’ অলিভার বিশ্বজুড়ে এই থেরাপি পাওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে প্রথম।
চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তার ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
বিবিসি গত এক বছর ধরে অলিভারের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ রেখেছে। যুক্তরাজ্যে কীভাবে এই জিন থেরাপি তৈরি হলো এবং অর্থাভাবের কারণে কীভাবে অলিভারের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, সবই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টারের হাসপাতালে অলিভার ও তার বাবা রিকির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। হান্টার সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার পর এপ্রিল থেকে অলিভারের জীবন কেটেছে হাসপাতালে।
অলিভারের বড় ভাই স্কাইলারও একই রোগে আক্রান্ত। তার কথাবার্তা ও চলাফেরায় কিছু সমস্যা দেখা দিলে শুরুতে তা কোভিড মহামারির সময় জন্মানোর পরিণতি হিসেবে ধরা হয়েছিল।
রিকি বলেন, ছেলেদের রোগ নির্ণয়ের খবর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ছিল। চিকিৎসকেরা প্রথমেই বলেন—ইন্টারনেটে কিছু খুঁজবেন না। সেখানে ভয়াবহ কেস দেখে মন ভেঙে যাবে। কিন্তু রিকির কথায়, ‘চিকিৎসকেরা নিষেধ করলেও মানুষ এটা খুঁজবে। আমরাও খুঁজেছি আর মনে হয়েছে—ওহ ঈশ্বর! আমার দুই ছেলেরও কি এটাই হতে যাচ্ছে?’
এই অবস্থায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অলিভারের শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ শুরু হয়। রয়্যাল ম্যানচেস্টার চিলড্রেনস হাসপাতালের চিকিৎসক ক্লেয়ার হরগান বলেন, অলিভারের রক্ত একটি বিশেষ যন্ত্রে পাঠানো হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট স্টেম সেল সংগ্রহ করবে। এগুলো ল্যাবে পাঠিয়ে পরিবর্তন করা হবে এবং পরে আবার তার শরীরে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্টেম সেল হলো বিশেষ ধরনের কোষ। এগুলো শরীরের যেকোনো কোষে রূপান্তরিত হতে পারে এবং শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে মেরামত করতে সাহায্য করে। এগুলোকে সাধারণত শরীরের ‘মেরামতব্যবস্থা’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের মতো বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মানুষের শরীরে প্রধানত দুই ধরনের স্টেম সেল পাওয়া যায়—ভ্রূণীয় স্টেম সেল ও প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল।
অলিভারের কোষগুলোকে লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হান্টার সিনড্রোমে রোগীর জিনে কিছু ত্রুটি থাকে, যার ফলে কোষে আইডিএস নামে জরুরি একটি এনজাইম তৈরি হয় না। বিজ্ঞানীরা সেই অনুপস্থিত জিনটি একটি ভাইরাসে বসিয়ে দেন। তবে এর আগে ওই ভাইরাসের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়।
গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসক ক্যারেন বাকল্যান্ড বলেন, ‘আমরা এই ভাইরাসকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে স্টেম সেলের ভেতর কার্যকর জিনটি ঢুকিয়ে দিই। পরে এগুলো অলিভারের শরীরে ফিরে গেলে নতুন সাদা রক্তকণিকা ও অনুপস্থিত এনজাইম তৈরি করে।’
মস্তিষ্কে এনজাইম পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন। তাই জিনটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে উৎপন্ন এনজাইম-রক্ত সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অলিভার ম্যানচেস্টারে ফেরত আসে জিন-সম্পাদিত কোষ নিতে। গবেষণা দলের সদস্যরা ক্রায়ো ট্যাংক (বিশেষ ধরনের পাত্র) খুলে বরফ-ঠান্ডা অবস্থায় থাকা কোষগুলো বের করেন। গরম করে সেগুলো অলিভারের শরীরের তাপমাত্রায় আনা হয়।
এরপর একটি ছোট ইনফিউশন ব্যাগে থাকা প্রায় ১২৫ মিলিয়ন জিন-পরিবর্তিত কোষ সিরিঞ্জে তোলা হয়। নার্স ধীরে ধীরে ক্যাথেটারের মাধ্যমে কোষগুলো অলিভারের শরীরে প্রবেশ করান। অলিভারের মা জিংরু তাকে ধরে রাখেন। ১০ মিনিটে প্রথম ইনফিউশন শেষ হয়, তারপর এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ইনফিউশন।
এতেই শেষ জিন থেরাপির পুরো প্রক্রিয়া। খুব দ্রুত শেষ হলেও এর লক্ষ্য বিশাল—জটিল এক রোগ থামানো। কয়েক দিন পর মা-ছেলে ক্যালিফোর্নিয়া ফিরে যান। এখন অপেক্ষা—থেরাপি কাজ করছে কি না।
চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষার জন্য অলিভার আবার ম্যানচেস্টারে আসে। এবার পরিবারের সবাই এসেছে। পার্কে দেখা হতেই বোঝা গেল অলিভারের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। সে আগের চেয়ে বেশি চলাফেরা করছে, সতেজ ও সক্রিয়।
অলিভারের বাবা রিকি বলেন, সে খুব ভালো করছে। কথা বলা ও চলাফেরায় উন্নতি হচ্ছে। মাত্র তিন মাসে সে অনেক পরিণত হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সুখবর—এখন প্রতি সপ্তাহে অলিভারের শরীরে আর এনজাইম প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ছে না। সে এখন নিজেই এনজাইম তৈরি করছে।
অলিভারের মা জিংরু বলেন, চিকিৎসার আগে ও পরে অলিভারের মধ্যে এখন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সে কথা বলছে, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছে। বাবা রিকি বলেন, স্কাইলারেরও যদি এমন থেরাপি দেওয়া যেত! মনে হচ্ছে, অলিভার যেন নতুন জীবন পেয়েছে।
হাসপাতালের ছাদবাগানে খেলতে থাকা অলিভারকে দেখে রিকি বলেন, এ যেন সম্পূর্ণ নতুন এক বাচ্চা—দৌড়াচ্ছে, কথা বলছে, হাসছে।
প্রতি তিন মাসে পরীক্ষা করতে অলিভার ম্যানচেস্টারে আসে। আগস্টে নিশ্চিত হয়—থেরাপি সফলভাবে কাজ করছে। এখন নয় মাস পেরিয়েছে। অলিভারের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বলেন, আগে অলিভারের শরীরে এনজাইমই তৈরি হতো না, এখন স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেশি তৈরি হচ্ছে। তবে তিনি সতর্কও করেন, ‘এখন পর্যন্ত সব ভালো, কিন্তু আমাদের আরও সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
জানা গেছে, এই জিন থেরাপি ট্রায়ালের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঁচ শিশুকে নির্বাচন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে কেউ নেই—কারণ, সেখানকার রোগীরা দেরিতে ধরা পড়েছিল।
দুই বছর পর্যবেক্ষণ শেষে ট্রায়াল সফল হলে জিন থেরাপিটি লাইসেন্সিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হবে। একই পদ্ধতিতে আরও বিরল জিনগত রোগের চিকিৎসা তৈরি হচ্ছে।
রিকি ও জিংরু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসক দলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তাঁদের মতে, অলিভারের উন্নতি অবিশ্বাস্য। রিকি বলেন, অলিভারের জীবন আর সুচ ও হাসপাতাল দিয়ে ঘেরা নয়। তার কথা বলা, চলাফেরা, শেখার ক্ষমতা—সবকিছুই বেড়েছে।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রায়ান বিগারের নেতৃত্বে হান্টার সিনড্রোমের জিন থেরাপি তৈরিতে লেগেছিল ১৫ বছরের বেশি সময়। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বায়োটেক প্রতিষ্ঠান অ্যাভ্রোবায়োর সঙ্গে ট্রায়ালের চুক্তি হয়। কিন্তু তিন বছর পর প্রতিষ্ঠানটি অর্থাভাবে লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়। এতে প্রথম মানব ট্রায়াল পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়ে।
প্রফেসর জোনস বলেন, ‘আমাদের দ্রুত বিকল্প স্পন্সর ও তহবিল খুঁজতে হয়েছে। ঠিক তখনই ব্রিটেনের মেডিকেল রিসার্চ চ্যারিটি লাইফআর্ক ২৫ লাখ পাউন্ড তহবিল দিয়ে এগিয়ে আসে।’
ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা লাইফআর্কের সিইও স্যাম ব্যারেল বলেন, যুক্তরাজ্যে ৩৫ লাখ মানুষ বিরল রোগে আক্রান্ত। তাদের জন্য বড় সমস্যা হলো—চিকিৎসার অভাব। ৯৫ শতাংশ রোগেরই চিকিৎসা নেই। তবে জিন থেরাপির মাধ্যমে এসব রোগের চিকিৎসা করা গেলে অনেকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
শিশুরা জন্মের পর সুস্থ দেখালেও সাধারণত দুই বছর বয়সে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়—শারীরিক পরিবর্তন, অঙ্গ-সন্ধির শক্ত হয়ে যাওয়া, খাটো গড়ন, হৃদ্যন্ত্র, যকৃৎ, হাড়ের জোড়ায় ক্ষতি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও স্নায়বিক অবনমন দেখা দেয়। এত দিন হান্টার সিনড্রোমের একমাত্র ওষুধ ছিল এলাপ্রেস, যার বার্ষিক খরচ রোগীপ্রতি প্রায় তিন লাখ পাউন্ড বা পৌনে পাঁচ কোটি টাকা। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে জিন থেরাপি অনুমোদন পেলে এই রোগের চিকিৎসা তুলনামূলক সহজ হবে।

মাত্র তিন বছরের শিশু অলিভার চু বিরল ও ভয়াবহ একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সম্প্রতি জিন থেরাপি নেওয়ার পর তাঁর উন্নতি দেখে চিকিৎসকেরা বিস্মিত হয়েছেন। হান্টার সিনড্রোম বা এমপিএস-২ নামে পরিচিত এই রোগে আক্রান্ত অলিভার এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।

হান্টার সিনড্রোম হলো একটি বিরল ও বংশগত রোগ, যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিশ্বে প্রতি এক লাখ ছেলেশিশুর মধ্যে একটি এতে আক্রান্ত হয়। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীর ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা সাধারণত ২০ বছরের আগে মারা যায়।
ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে ছোট অলিভারের শরীর জরুরি একটি এনজাইম উৎপাদন করতে পারত না। কিন্তু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসকেরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিন থেরাপির মাধ্যমে অলিভারের কোষ পরিবর্তন করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন।
এই থেরাপির দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম এমন একটি ঘটনার জন্য। অলিভারের মাধ্যমে আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।’ অলিভার বিশ্বজুড়ে এই থেরাপি পাওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে প্রথম।
চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তার ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
বিবিসি গত এক বছর ধরে অলিভারের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ রেখেছে। যুক্তরাজ্যে কীভাবে এই জিন থেরাপি তৈরি হলো এবং অর্থাভাবের কারণে কীভাবে অলিভারের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, সবই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টারের হাসপাতালে অলিভার ও তার বাবা রিকির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। হান্টার সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার পর এপ্রিল থেকে অলিভারের জীবন কেটেছে হাসপাতালে।
অলিভারের বড় ভাই স্কাইলারও একই রোগে আক্রান্ত। তার কথাবার্তা ও চলাফেরায় কিছু সমস্যা দেখা দিলে শুরুতে তা কোভিড মহামারির সময় জন্মানোর পরিণতি হিসেবে ধরা হয়েছিল।
রিকি বলেন, ছেলেদের রোগ নির্ণয়ের খবর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ছিল। চিকিৎসকেরা প্রথমেই বলেন—ইন্টারনেটে কিছু খুঁজবেন না। সেখানে ভয়াবহ কেস দেখে মন ভেঙে যাবে। কিন্তু রিকির কথায়, ‘চিকিৎসকেরা নিষেধ করলেও মানুষ এটা খুঁজবে। আমরাও খুঁজেছি আর মনে হয়েছে—ওহ ঈশ্বর! আমার দুই ছেলেরও কি এটাই হতে যাচ্ছে?’
এই অবস্থায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অলিভারের শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ শুরু হয়। রয়্যাল ম্যানচেস্টার চিলড্রেনস হাসপাতালের চিকিৎসক ক্লেয়ার হরগান বলেন, অলিভারের রক্ত একটি বিশেষ যন্ত্রে পাঠানো হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট স্টেম সেল সংগ্রহ করবে। এগুলো ল্যাবে পাঠিয়ে পরিবর্তন করা হবে এবং পরে আবার তার শরীরে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্টেম সেল হলো বিশেষ ধরনের কোষ। এগুলো শরীরের যেকোনো কোষে রূপান্তরিত হতে পারে এবং শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে মেরামত করতে সাহায্য করে। এগুলোকে সাধারণত শরীরের ‘মেরামতব্যবস্থা’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের মতো বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মানুষের শরীরে প্রধানত দুই ধরনের স্টেম সেল পাওয়া যায়—ভ্রূণীয় স্টেম সেল ও প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল।
অলিভারের কোষগুলোকে লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হান্টার সিনড্রোমে রোগীর জিনে কিছু ত্রুটি থাকে, যার ফলে কোষে আইডিএস নামে জরুরি একটি এনজাইম তৈরি হয় না। বিজ্ঞানীরা সেই অনুপস্থিত জিনটি একটি ভাইরাসে বসিয়ে দেন। তবে এর আগে ওই ভাইরাসের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়।
গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসক ক্যারেন বাকল্যান্ড বলেন, ‘আমরা এই ভাইরাসকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে স্টেম সেলের ভেতর কার্যকর জিনটি ঢুকিয়ে দিই। পরে এগুলো অলিভারের শরীরে ফিরে গেলে নতুন সাদা রক্তকণিকা ও অনুপস্থিত এনজাইম তৈরি করে।’
মস্তিষ্কে এনজাইম পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন। তাই জিনটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে উৎপন্ন এনজাইম-রক্ত সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অলিভার ম্যানচেস্টারে ফেরত আসে জিন-সম্পাদিত কোষ নিতে। গবেষণা দলের সদস্যরা ক্রায়ো ট্যাংক (বিশেষ ধরনের পাত্র) খুলে বরফ-ঠান্ডা অবস্থায় থাকা কোষগুলো বের করেন। গরম করে সেগুলো অলিভারের শরীরের তাপমাত্রায় আনা হয়।
এরপর একটি ছোট ইনফিউশন ব্যাগে থাকা প্রায় ১২৫ মিলিয়ন জিন-পরিবর্তিত কোষ সিরিঞ্জে তোলা হয়। নার্স ধীরে ধীরে ক্যাথেটারের মাধ্যমে কোষগুলো অলিভারের শরীরে প্রবেশ করান। অলিভারের মা জিংরু তাকে ধরে রাখেন। ১০ মিনিটে প্রথম ইনফিউশন শেষ হয়, তারপর এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ইনফিউশন।
এতেই শেষ জিন থেরাপির পুরো প্রক্রিয়া। খুব দ্রুত শেষ হলেও এর লক্ষ্য বিশাল—জটিল এক রোগ থামানো। কয়েক দিন পর মা-ছেলে ক্যালিফোর্নিয়া ফিরে যান। এখন অপেক্ষা—থেরাপি কাজ করছে কি না।
চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষার জন্য অলিভার আবার ম্যানচেস্টারে আসে। এবার পরিবারের সবাই এসেছে। পার্কে দেখা হতেই বোঝা গেল অলিভারের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। সে আগের চেয়ে বেশি চলাফেরা করছে, সতেজ ও সক্রিয়।
অলিভারের বাবা রিকি বলেন, সে খুব ভালো করছে। কথা বলা ও চলাফেরায় উন্নতি হচ্ছে। মাত্র তিন মাসে সে অনেক পরিণত হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সুখবর—এখন প্রতি সপ্তাহে অলিভারের শরীরে আর এনজাইম প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ছে না। সে এখন নিজেই এনজাইম তৈরি করছে।
অলিভারের মা জিংরু বলেন, চিকিৎসার আগে ও পরে অলিভারের মধ্যে এখন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সে কথা বলছে, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছে। বাবা রিকি বলেন, স্কাইলারেরও যদি এমন থেরাপি দেওয়া যেত! মনে হচ্ছে, অলিভার যেন নতুন জীবন পেয়েছে।
হাসপাতালের ছাদবাগানে খেলতে থাকা অলিভারকে দেখে রিকি বলেন, এ যেন সম্পূর্ণ নতুন এক বাচ্চা—দৌড়াচ্ছে, কথা বলছে, হাসছে।
প্রতি তিন মাসে পরীক্ষা করতে অলিভার ম্যানচেস্টারে আসে। আগস্টে নিশ্চিত হয়—থেরাপি সফলভাবে কাজ করছে। এখন নয় মাস পেরিয়েছে। অলিভারের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বলেন, আগে অলিভারের শরীরে এনজাইমই তৈরি হতো না, এখন স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেশি তৈরি হচ্ছে। তবে তিনি সতর্কও করেন, ‘এখন পর্যন্ত সব ভালো, কিন্তু আমাদের আরও সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
জানা গেছে, এই জিন থেরাপি ট্রায়ালের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঁচ শিশুকে নির্বাচন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে কেউ নেই—কারণ, সেখানকার রোগীরা দেরিতে ধরা পড়েছিল।
দুই বছর পর্যবেক্ষণ শেষে ট্রায়াল সফল হলে জিন থেরাপিটি লাইসেন্সিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হবে। একই পদ্ধতিতে আরও বিরল জিনগত রোগের চিকিৎসা তৈরি হচ্ছে।
রিকি ও জিংরু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসক দলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তাঁদের মতে, অলিভারের উন্নতি অবিশ্বাস্য। রিকি বলেন, অলিভারের জীবন আর সুচ ও হাসপাতাল দিয়ে ঘেরা নয়। তার কথা বলা, চলাফেরা, শেখার ক্ষমতা—সবকিছুই বেড়েছে।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রায়ান বিগারের নেতৃত্বে হান্টার সিনড্রোমের জিন থেরাপি তৈরিতে লেগেছিল ১৫ বছরের বেশি সময়। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বায়োটেক প্রতিষ্ঠান অ্যাভ্রোবায়োর সঙ্গে ট্রায়ালের চুক্তি হয়। কিন্তু তিন বছর পর প্রতিষ্ঠানটি অর্থাভাবে লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়। এতে প্রথম মানব ট্রায়াল পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়ে।
প্রফেসর জোনস বলেন, ‘আমাদের দ্রুত বিকল্প স্পন্সর ও তহবিল খুঁজতে হয়েছে। ঠিক তখনই ব্রিটেনের মেডিকেল রিসার্চ চ্যারিটি লাইফআর্ক ২৫ লাখ পাউন্ড তহবিল দিয়ে এগিয়ে আসে।’
ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা লাইফআর্কের সিইও স্যাম ব্যারেল বলেন, যুক্তরাজ্যে ৩৫ লাখ মানুষ বিরল রোগে আক্রান্ত। তাদের জন্য বড় সমস্যা হলো—চিকিৎসার অভাব। ৯৫ শতাংশ রোগেরই চিকিৎসা নেই। তবে জিন থেরাপির মাধ্যমে এসব রোগের চিকিৎসা করা গেলে অনেকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
শিশুরা জন্মের পর সুস্থ দেখালেও সাধারণত দুই বছর বয়সে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়—শারীরিক পরিবর্তন, অঙ্গ-সন্ধির শক্ত হয়ে যাওয়া, খাটো গড়ন, হৃদ্যন্ত্র, যকৃৎ, হাড়ের জোড়ায় ক্ষতি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও স্নায়বিক অবনমন দেখা দেয়। এত দিন হান্টার সিনড্রোমের একমাত্র ওষুধ ছিল এলাপ্রেস, যার বার্ষিক খরচ রোগীপ্রতি প্রায় তিন লাখ পাউন্ড বা পৌনে পাঁচ কোটি টাকা। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে জিন থেরাপি অনুমোদন পেলে এই রোগের চিকিৎসা তুলনামূলক সহজ হবে।

ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তাঁর ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
১১ দিন আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তাঁর ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
১১ দিন আগে
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তাঁর ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
১১ দিন আগে
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তাঁর ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
১১ দিন আগে
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে