অনলাইন ডেস্ক
গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে নবজাতকের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পূর্ববর্তী ২০২টি গবেষণার ৫ কোটি ৬০ লাখের মা-শিশু জোড়ার ডেটা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ডায়াবেটিসই এ সমস্যাগুলোর মূল কারণ কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে যখন গর্ভাবস্থায় মায়েদের ডায়াবেটিস হয়, তখন শিশুদের স্নায়বিক বিকাশজনিত ব্যাধি ধরা পড়ার আশঙ্কা ২৮ শতাংশ বেশি থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে শিশুদের মধ্যে অটিজমের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডারের (এডিএইচডি) ঝুঁকি ৩০ শতাংশ এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকি ৩২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া যোগাযোগের সমস্যার ঝুঁকি ২০ শতাংশ চলাফেরার সমস্যা ১৭ শতাংশ এবং শেখার সমস্যা ১৬ শতাংশ বেড়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের তুলনায় গর্ভাবস্থার আগে মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশুদের জন্য এক বা একাধিক স্নায়ুতন্ত্রজনিত রোগের ঝুঁকি ৩৯ শতাংশ বাড়ে।
গবেষণাটি দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলজি জার্নালে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের হার ৯ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং এই হার ক্রমেই বাড়ছে।
গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত আগের সাতটি গবেষণায় ভাই-বোনদের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। যেখানে মায়ের ডায়াবেটিসের প্রভাব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বা জেনেটিক (জিনগত) কারণও এই ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত।
গবেষকেরা বলেন, যেসব নারীর ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের শিশুদের পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এনওয়াইইউ গ্রসম্যান স্কুল অব মেডিসিনের ডা. ম্যাগডালেনা জানেকা বলেন, ‘মায়েদের ডায়াবেটিসের সঙ্গে সন্তানদের অটিজমের সম্পর্ক রয়েছে, তা একটি পরিচিত ধারণা। এ ধরনের বড় আকারের ডেটার বিশ্লেষণ আমাদের বিভিন্ন গ্রুপের তুলনা করার সুযোগ দেয়। তবে এই ধরনের বিশ্লেষণ কারণ এবং প্রভাবের সম্পর্ককে প্রমাণ করতে সাহায্য করে না।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অটিজমের কারণ হিসেবে ভ্যাকসিনের ভূমিকা নিয়ে আরও গবেষণার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে এ ধরনের দাবিগুলো আগেই গবেষণার মাধ্যমে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
অটিজম হলো একধরনের বিকাশজনিত সমস্যা, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। সাধারণত তিন বছরের মধ্যে এটি প্রকাশ পেতে শুরু করে। অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মধ্যে সামাজিক আচরণ, সম্পর্ক গঠন এবং কল্পনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখা যায় এবং তাদের পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতা কম থাকে। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বিভিন্ন মাত্রায় থাকতে পারে।
এটি কোনো রোগ নয়, বরং একটি ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বা বিকাশগত বৈকল্য। অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত তাদের পরিবেশের সঙ্গে মেলামেশা বা অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে সমস্যা অনুভব করে। এই সমস্যাগুলো তাদের দৈনন্দিন জীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে নবজাতকের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পূর্ববর্তী ২০২টি গবেষণার ৫ কোটি ৬০ লাখের মা-শিশু জোড়ার ডেটা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ডায়াবেটিসই এ সমস্যাগুলোর মূল কারণ কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে যখন গর্ভাবস্থায় মায়েদের ডায়াবেটিস হয়, তখন শিশুদের স্নায়বিক বিকাশজনিত ব্যাধি ধরা পড়ার আশঙ্কা ২৮ শতাংশ বেশি থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে শিশুদের মধ্যে অটিজমের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডারের (এডিএইচডি) ঝুঁকি ৩০ শতাংশ এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকি ৩২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া যোগাযোগের সমস্যার ঝুঁকি ২০ শতাংশ চলাফেরার সমস্যা ১৭ শতাংশ এবং শেখার সমস্যা ১৬ শতাংশ বেড়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের তুলনায় গর্ভাবস্থার আগে মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশুদের জন্য এক বা একাধিক স্নায়ুতন্ত্রজনিত রোগের ঝুঁকি ৩৯ শতাংশ বাড়ে।
গবেষণাটি দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলজি জার্নালে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের হার ৯ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং এই হার ক্রমেই বাড়ছে।
গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত আগের সাতটি গবেষণায় ভাই-বোনদের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। যেখানে মায়ের ডায়াবেটিসের প্রভাব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বা জেনেটিক (জিনগত) কারণও এই ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত।
গবেষকেরা বলেন, যেসব নারীর ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের শিশুদের পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এনওয়াইইউ গ্রসম্যান স্কুল অব মেডিসিনের ডা. ম্যাগডালেনা জানেকা বলেন, ‘মায়েদের ডায়াবেটিসের সঙ্গে সন্তানদের অটিজমের সম্পর্ক রয়েছে, তা একটি পরিচিত ধারণা। এ ধরনের বড় আকারের ডেটার বিশ্লেষণ আমাদের বিভিন্ন গ্রুপের তুলনা করার সুযোগ দেয়। তবে এই ধরনের বিশ্লেষণ কারণ এবং প্রভাবের সম্পর্ককে প্রমাণ করতে সাহায্য করে না।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অটিজমের কারণ হিসেবে ভ্যাকসিনের ভূমিকা নিয়ে আরও গবেষণার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে এ ধরনের দাবিগুলো আগেই গবেষণার মাধ্যমে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
অটিজম হলো একধরনের বিকাশজনিত সমস্যা, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। সাধারণত তিন বছরের মধ্যে এটি প্রকাশ পেতে শুরু করে। অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মধ্যে সামাজিক আচরণ, সম্পর্ক গঠন এবং কল্পনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখা যায় এবং তাদের পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতা কম থাকে। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বিভিন্ন মাত্রায় থাকতে পারে।
এটি কোনো রোগ নয়, বরং একটি ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বা বিকাশগত বৈকল্য। অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত তাদের পরিবেশের সঙ্গে মেলামেশা বা অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে সমস্যা অনুভব করে। এই সমস্যাগুলো তাদের দৈনন্দিন জীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
হৃদয় ভাঙার মানসিক কষ্টের কথা আমরা সবাই জানি। এ নিয়ে অসংখ্য বই, গান ও সিনেমা তৈরি হয়েছে। তবে এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণও রয়েছে যে, ভগ্ন হৃদয় প্রাণঘাতীও হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই প্রাণঘাতী পরিস্থিতির নাম তাকোতসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি বা টিসি। শারীরিক বা মানসিক চাপের কারণে হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে গেলে এমনটি হয়।
১৮ ঘণ্টা আগে‘বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আজ শনিবার (১৭ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আয়োজনে এক সচেতনতামূলক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সহযোগিতায় এই র্যালির আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগেবিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’ তে কে. জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
২ দিন আগেখাদ্যের অন্যতম প্রধান উপাদান পানি। বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। আমাদের শরীরের ৬০-৭০ শতাংশ পানি। বয়স, ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি পান জরুরি। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অনেক ক্ষেত্রে পিপাসা মেটাতে বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে অন্যান্য পানীয় পান সাধারণ ঘটনা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফলের রস, লেবুর...
২ দিন আগে