আলমগীর আলম
পার্কে হাঁটতে গিয়ে বড় কোনো গাছ জড়িয়ে ধরে খানিকক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখার অভ্য়াস কি আপনারও আছে? তাহলে বলে রাখা ভালো, এই অভ্যাস আপনার জীবনে শান্তিই বয়ে আনবে।
ট্রি হাগিং বা গাছকে জড়িয়ে ধরার অভ্যাস মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপনি যদি মানসিক চাপ কমাতে কিংবা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে অথবা মুড উন্নত করতে চান, তাহলে গাছের সংস্পর্শে আসা কিংবা গাছকে জড়িয়ে ধরা একটি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। যদি এই অভ্যাস শুরু করতে চান, তাহলে নিকটস্থ কোনো পার্ক বা বাগানে গিয়ে একটি গাছের পাশে কিছু সময় কাটান এবং গাছের সংস্পর্শে আসুন। এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে মানসিক প্রশান্তি ও সুস্থতা আনতে সহায়ক হতে পারে।
ট্রি হাগিংয়ের উপকারিতা
মানসিক চাপ ও কর্টিসলের মাত্রা কমায়
গাছের সংস্পর্শে আসা, বিশেষ করে গাছকে জড়িয়ে ধরা, শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, গাছ জড়িয়ে ধরলে লালা রসে কর্টিসলের পরিমাণ কমে যায়, যা মানসিক চাপ কমায়।
রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ
গাছের সংস্পর্শে থাকা হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বন ভ্রমণের সময় অংশগ্রহণকারীদের রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন কমে, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
গাছ থেকে নির্গত ফাইটোনসাইডস (phytoncides) নামক প্রাকৃতিক যৌগ শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে।
মন ভালো রাখে
গাছকে জড়িয়ে ধরার সময় শরীরে অক্সিটোসিন নামক ভালো হরমোন নিঃসরণ হয়, যা মুড উন্নত করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।
ধ্যান ও আত্মসংযোগে সহায়ক
গাছের শান্ত, স্থির উপস্থিতি ধ্যান ও আত্মবিশ্লেষণের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, গাছের সংস্পর্শে থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।
ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে
গাছের সংস্পর্শে থাকলে ঘুম ভালো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বন ভ্রমণের সময় অংশগ্রহণকারীদের ঘুমের মান উন্নত হয় এবং ঘুমের সময় বাড়ে।
আরোগ্য় লাভে সহায়তা করে
গাছের সংস্পর্শে থাকলে শরীর ও মনের অবসাদ কাটে। এ ছাড়া দুটোই ফুরফুরে থাকে।
সুস্থ ও সুন্দর জীবনে গাছের প্রভাব
যেহেতু গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে, ফলে বাড়ির আশপাশে বেশি গাছ থাকলে শরীরে অক্সিজেনের জোগান বাড়ে। অন্যদিকে গাছ বাতাসকে পরিচ্ছন্ন রাখায় আমাদের ত্বক ও ফুসফুস ভালো থাকে। নিয়মিত গাছের পরিচর্যায় মানসিক শান্তি আসে এবং সময় ভালো কাটে। বাড়ির আশপাশে বড় গাছ থাকে বিভিন্ন ধরনের পাখি আসে।
যাঁরা পাখি ভালোবাসেন, তাঁদের বিকেলের অবসরটাও কাটে ভালো। এমন ছোট ছোট সুন্দর মুহূর্তই মানসিক শক্তির জোগান দেয়।
এই গরমে বাড়ির আশপাশে, বারান্দায় ও ছাদে যদি প্রচুর গাছ থাকে, তাহলে দাবদাহ থেকেও অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। ফলে সুস্থ, সুন্দর ও আনন্দময় জীবনে গাছের ভূমিকাকে আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী: প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
পার্কে হাঁটতে গিয়ে বড় কোনো গাছ জড়িয়ে ধরে খানিকক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখার অভ্য়াস কি আপনারও আছে? তাহলে বলে রাখা ভালো, এই অভ্যাস আপনার জীবনে শান্তিই বয়ে আনবে।
ট্রি হাগিং বা গাছকে জড়িয়ে ধরার অভ্যাস মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপনি যদি মানসিক চাপ কমাতে কিংবা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে অথবা মুড উন্নত করতে চান, তাহলে গাছের সংস্পর্শে আসা কিংবা গাছকে জড়িয়ে ধরা একটি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। যদি এই অভ্যাস শুরু করতে চান, তাহলে নিকটস্থ কোনো পার্ক বা বাগানে গিয়ে একটি গাছের পাশে কিছু সময় কাটান এবং গাছের সংস্পর্শে আসুন। এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে মানসিক প্রশান্তি ও সুস্থতা আনতে সহায়ক হতে পারে।
ট্রি হাগিংয়ের উপকারিতা
মানসিক চাপ ও কর্টিসলের মাত্রা কমায়
গাছের সংস্পর্শে আসা, বিশেষ করে গাছকে জড়িয়ে ধরা, শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, গাছ জড়িয়ে ধরলে লালা রসে কর্টিসলের পরিমাণ কমে যায়, যা মানসিক চাপ কমায়।
রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ
গাছের সংস্পর্শে থাকা হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বন ভ্রমণের সময় অংশগ্রহণকারীদের রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন কমে, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
গাছ থেকে নির্গত ফাইটোনসাইডস (phytoncides) নামক প্রাকৃতিক যৌগ শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে।
মন ভালো রাখে
গাছকে জড়িয়ে ধরার সময় শরীরে অক্সিটোসিন নামক ভালো হরমোন নিঃসরণ হয়, যা মুড উন্নত করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।
ধ্যান ও আত্মসংযোগে সহায়ক
গাছের শান্ত, স্থির উপস্থিতি ধ্যান ও আত্মবিশ্লেষণের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, গাছের সংস্পর্শে থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।
ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে
গাছের সংস্পর্শে থাকলে ঘুম ভালো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বন ভ্রমণের সময় অংশগ্রহণকারীদের ঘুমের মান উন্নত হয় এবং ঘুমের সময় বাড়ে।
আরোগ্য় লাভে সহায়তা করে
গাছের সংস্পর্শে থাকলে শরীর ও মনের অবসাদ কাটে। এ ছাড়া দুটোই ফুরফুরে থাকে।
সুস্থ ও সুন্দর জীবনে গাছের প্রভাব
যেহেতু গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে, ফলে বাড়ির আশপাশে বেশি গাছ থাকলে শরীরে অক্সিজেনের জোগান বাড়ে। অন্যদিকে গাছ বাতাসকে পরিচ্ছন্ন রাখায় আমাদের ত্বক ও ফুসফুস ভালো থাকে। নিয়মিত গাছের পরিচর্যায় মানসিক শান্তি আসে এবং সময় ভালো কাটে। বাড়ির আশপাশে বড় গাছ থাকে বিভিন্ন ধরনের পাখি আসে।
যাঁরা পাখি ভালোবাসেন, তাঁদের বিকেলের অবসরটাও কাটে ভালো। এমন ছোট ছোট সুন্দর মুহূর্তই মানসিক শক্তির জোগান দেয়।
এই গরমে বাড়ির আশপাশে, বারান্দায় ও ছাদে যদি প্রচুর গাছ থাকে, তাহলে দাবদাহ থেকেও অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। ফলে সুস্থ, সুন্দর ও আনন্দময় জীবনে গাছের ভূমিকাকে আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী: প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
যুগ পাল্টেছে, বদলেছে আমাদের চারপাশের সবকিছু—বাড়ি হয়েছে বিশাল, টিভির পর্দা হয়েছে চওড়া, গাড়ি হয়েছে ভারী। তবে এই ‘বড়’ হওয়ার হাওয়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাবারের পরিমাণ এবং আমাদের কোমরের মাপও।
১ দিন আগেশুঁটকির নমুনায় মিলেছে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান। একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
১ দিন আগেসহকারী অধ্যাপক পদে সুপারনিউমারারি পদোন্নতির হালনাগাদ তালিকায় অন্তর্ভুক্তের পরেও ৩৩তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারের (বিসিএস) দেড় হাজারের অধিক চিকিৎসককে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘোষিত সুপারনিউমারারি পদোন্নতিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২ দিন আগেসেবাকে আরও জনমুখী করার কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, পোস্টমর্টেম সেবাকে থানা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া; নারীদের পোস্টমর্টেম নারী ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করানো; ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে নারী ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করানো, না পাওয়া গেলে নারী সেবিকা দিয়ে করিয়ে পুরুষ ডাক্তার দিয়ে প্রতিস্বাক্ষর করা, শিক্ষক
২ দিন আগে