ফিদা আল–শামস

আজ ৬ অক্টোবর, বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি দিবস। আজ পৃথিবীর ৭৫ টিরও বেশি দেশে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত ব্যক্তি, পরিবার, বিভিন্ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন এই দিবস পালন করবে। বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত।
‘সেরিব্রাল’ মানে মস্তিষ্ক এবং ‘পালসি’ মানে আঘাত। সেরিব্রাল পালসি একটি জটিল স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা। শিশুর জন্মের সময় বা জন্মের ঠিক পর থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো সময়ে মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে বা খিঁচুনির ফলে শিশু সেরিব্রাল পালসি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হতে পারে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এ ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করে ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেরিব্রাল পালসি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু/ব্যক্তির অনেক সীমাবদ্ধতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে যে লক্ষণগুলো থাকে—
সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রকারভেদে কথা বা ভাষা ব্যবহারে ও উচ্চারণগত সমস্যাতেও ভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্বের মোট সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকের বেশির মধ্যে কথা বা ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগে সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গিলতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি প্রয়োজন। স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন বিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যার মাধ্যমে কথা ও যোগাযোগ সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গলাধকরণের মতো সমস্যা শনাক্ত, যোগাযোগ পদ্ধতি নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
কেন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি নেবেন
স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপির মাধ্যমে একজন শিশু/ব্যক্তির কথা-ভাষা ও যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি দক্ষতায় তাঁর নিত্যদিনের প্রয়োজন বোঝাতে ও বলতে পারে। ফলে পরিবার ও সমাজের মানুষের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়। যোগাযোগের উন্নয়ন হলে তার সামাজিক ও আবেগীয় দক্ষতাও অগ্রসর হয়।
পাশাপাশি এই থেরাপির মাধ্যমে মুখ ও মুখগহ্বরের মাংসপেশির যথার্থ ব্যবহার, খাবার গ্রহণের পর শিশু/ব্যক্তির বসার অবস্থান এবং কী পরিমাণে ও কতটুকু ঘনত্বের খাবার মুখের ভেতর দিতে হবে, তার পদ্ধতিগত প্রয়োগের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাবার চিবোনো ও গিলতে সাহায্য করা হয়। এতে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশু পর্যাপ্ত খেতে পারে। তার ওজন বাড়ে। শিশুটি অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত অনেক শিশু/ব্যক্তির উচ্চারণগত সমস্যার জন্য সঠিক উচ্চারণস্থান সম্পর্কে সচেতনতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত অনুশীলনে উচ্চারণগত সমস্যা দূর করা যায়।
ঝুঁকি নিরসনে করণীয়
১। গর্ভধারণের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ
২। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা
৩। বয়স অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
৪। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন
বাসায় যা করণীয়
১। যেসব শিশু কথা বলতে পারছে না, তাদের সঙ্গে এক শব্দে কথা বলুন। যেমন—খাব, যাব, বসি, দাও, আম, কলা, বাবল ইত্যাদি।
২। অনেকে কথা বলতে পারে; কিন্তু উচ্চারণে সমস্যা হয়। তাদের জন্য ধীরে কথা বলতে হবে, যেন শিশুটি আপনার মুখের উচ্চারণস্থান দেখতে পায়।
৩। বোঝার দক্ষতাতেও সমস্যা থাকতে পারে। তাদের জন্য আপনার বাসার বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে পরিচিত করান। যেমন—গ্লাস, প্লেট, চামচ, ফ্যান, লাইট ইত্যাদি। পাশাপাশি সীমিত ও সহজ ভাষায় কথা বলুন।
৪। অনেক শিশু/ব্যক্তির কথা বলার কোনো দক্ষতাই থাকে না। তবে বোঝার দক্ষতা ভালো থাকে। তাদের জন্য যোগাযোগের বই ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে তাদের দৈনিক ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় সব জিনিসের ছবি থাকবে।
৫। যাদের খাবার গলাধকরণ সমস্যা থাকে, তাদের জন্য অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে—
যেসব শিশু খাবার চিবোতে পারে না, তাদের সামান্য খাবার মাড়ির দুই দাঁতের মাঝে দিন। এ ছাড়া অন্যসময় শক্ত খাবার; যেমন—শসা, গাজর, আপেল ইত্যাদি দিয়ে একইভাবে চিবোনোর অনুশীলন করুন।
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত প্রতিটি শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি আলাদা। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন–২০১৮ অনুযায়ী স্বীকৃত বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৃত, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের মাধ্যমে চিকিৎসা না গ্রহণ করলে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশু/ব্যক্তির জটিলতা বাড়তে পারে। পাশাপাশি এতে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত রয়েছে। তাই এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সতর্ক ও সাবধান থাকার প্রয়োজন রয়েছে। দেশে জেলা পর্যায়ে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ন্যূনতম একজন করে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষ স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি পেশাজীবীর কাছে দ্রুত ও সহজভাবে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
ফিদা আল–শামস: সভাপতি, সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টস (এসএসএলটি)

আজ ৬ অক্টোবর, বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি দিবস। আজ পৃথিবীর ৭৫ টিরও বেশি দেশে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত ব্যক্তি, পরিবার, বিভিন্ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন এই দিবস পালন করবে। বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত।
‘সেরিব্রাল’ মানে মস্তিষ্ক এবং ‘পালসি’ মানে আঘাত। সেরিব্রাল পালসি একটি জটিল স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা। শিশুর জন্মের সময় বা জন্মের ঠিক পর থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো সময়ে মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে বা খিঁচুনির ফলে শিশু সেরিব্রাল পালসি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হতে পারে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এ ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করে ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেরিব্রাল পালসি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু/ব্যক্তির অনেক সীমাবদ্ধতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে যে লক্ষণগুলো থাকে—
সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রকারভেদে কথা বা ভাষা ব্যবহারে ও উচ্চারণগত সমস্যাতেও ভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্বের মোট সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকের বেশির মধ্যে কথা বা ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগে সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গিলতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি প্রয়োজন। স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন বিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যার মাধ্যমে কথা ও যোগাযোগ সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গলাধকরণের মতো সমস্যা শনাক্ত, যোগাযোগ পদ্ধতি নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
কেন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি নেবেন
স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপির মাধ্যমে একজন শিশু/ব্যক্তির কথা-ভাষা ও যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি দক্ষতায় তাঁর নিত্যদিনের প্রয়োজন বোঝাতে ও বলতে পারে। ফলে পরিবার ও সমাজের মানুষের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়। যোগাযোগের উন্নয়ন হলে তার সামাজিক ও আবেগীয় দক্ষতাও অগ্রসর হয়।
পাশাপাশি এই থেরাপির মাধ্যমে মুখ ও মুখগহ্বরের মাংসপেশির যথার্থ ব্যবহার, খাবার গ্রহণের পর শিশু/ব্যক্তির বসার অবস্থান এবং কী পরিমাণে ও কতটুকু ঘনত্বের খাবার মুখের ভেতর দিতে হবে, তার পদ্ধতিগত প্রয়োগের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাবার চিবোনো ও গিলতে সাহায্য করা হয়। এতে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশু পর্যাপ্ত খেতে পারে। তার ওজন বাড়ে। শিশুটি অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত অনেক শিশু/ব্যক্তির উচ্চারণগত সমস্যার জন্য সঠিক উচ্চারণস্থান সম্পর্কে সচেতনতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত অনুশীলনে উচ্চারণগত সমস্যা দূর করা যায়।
ঝুঁকি নিরসনে করণীয়
১। গর্ভধারণের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ
২। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা
৩। বয়স অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
৪। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন
বাসায় যা করণীয়
১। যেসব শিশু কথা বলতে পারছে না, তাদের সঙ্গে এক শব্দে কথা বলুন। যেমন—খাব, যাব, বসি, দাও, আম, কলা, বাবল ইত্যাদি।
২। অনেকে কথা বলতে পারে; কিন্তু উচ্চারণে সমস্যা হয়। তাদের জন্য ধীরে কথা বলতে হবে, যেন শিশুটি আপনার মুখের উচ্চারণস্থান দেখতে পায়।
৩। বোঝার দক্ষতাতেও সমস্যা থাকতে পারে। তাদের জন্য আপনার বাসার বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে পরিচিত করান। যেমন—গ্লাস, প্লেট, চামচ, ফ্যান, লাইট ইত্যাদি। পাশাপাশি সীমিত ও সহজ ভাষায় কথা বলুন।
৪। অনেক শিশু/ব্যক্তির কথা বলার কোনো দক্ষতাই থাকে না। তবে বোঝার দক্ষতা ভালো থাকে। তাদের জন্য যোগাযোগের বই ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে তাদের দৈনিক ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় সব জিনিসের ছবি থাকবে।
৫। যাদের খাবার গলাধকরণ সমস্যা থাকে, তাদের জন্য অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে—
যেসব শিশু খাবার চিবোতে পারে না, তাদের সামান্য খাবার মাড়ির দুই দাঁতের মাঝে দিন। এ ছাড়া অন্যসময় শক্ত খাবার; যেমন—শসা, গাজর, আপেল ইত্যাদি দিয়ে একইভাবে চিবোনোর অনুশীলন করুন।
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত প্রতিটি শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি আলাদা। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন–২০১৮ অনুযায়ী স্বীকৃত বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৃত, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের মাধ্যমে চিকিৎসা না গ্রহণ করলে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশু/ব্যক্তির জটিলতা বাড়তে পারে। পাশাপাশি এতে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত রয়েছে। তাই এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সতর্ক ও সাবধান থাকার প্রয়োজন রয়েছে। দেশে জেলা পর্যায়ে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ন্যূনতম একজন করে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষ স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি পেশাজীবীর কাছে দ্রুত ও সহজভাবে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
ফিদা আল–শামস: সভাপতি, সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টস (এসএসএলটি)

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রকারভেদে কথা বা ভাষা ব্যবহারে ও উচ্চারণগত সমস্যাতেও ভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্বের মোট সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকের বেশির মধ্যে কথা বা ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগে সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গিলতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান
০৬ অক্টোবর ২০২১
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১৫ ঘণ্টা আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রকারভেদে কথা বা ভাষা ব্যবহারে ও উচ্চারণগত সমস্যাতেও ভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্বের মোট সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকের বেশির মধ্যে কথা বা ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগে সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গিলতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান
০৬ অক্টোবর ২০২১
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১৫ ঘণ্টা আগেমো. ইকবাল হোসেন

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রকারভেদে কথা বা ভাষা ব্যবহারে ও উচ্চারণগত সমস্যাতেও ভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্বের মোট সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকের বেশির মধ্যে কথা বা ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগে সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গিলতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান
০৬ অক্টোবর ২০২১
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১৫ ঘণ্টা আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকতে পারে।
কারণ
শিশুর অতিরিক্ত কান্না, বিরক্তি কিংবা অস্থিরতার কারণে অভিভাবক বা পরিচর্যাকারীর রাগ এ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এই অবস্থায় শিশুকে ঝাঁকালে তাদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া মাথা শরীরের তুলনায় বড় হওয়ায় ঝাঁকানোর সময় তা সামনে-পেছনে দ্রুত নড়াচড়া করে। ফলে মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কী ঘটে
শিশুকে জোরে ঝাঁকানোর ফলে তিনটি প্রধান ক্ষতি হয়—
মস্তিষ্কে আঘাত: মস্তিষ্ক ও খুলির মাঝখানে থাকা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
চোখে আঘাত: ভিট্রিওরেটিনাল ট্র্যাকশনের কারণে মাল্টিলেয়ার্ড রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, যা শেকেন বেবি সিনড্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘাড় ও স্পাইনাল ইনজুরি: সার্ভাইক্যাল স্পাইনের ক্ষতি ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
শেকেন বেবি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
চোখের পরীক্ষায় দেখা যায়—
রোগনির্ণয়
শেকেন বেবি সিনড্রোম মূলত ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। তবে নিশ্চিত করার জন্য—
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে করা হয়—
চিকিৎসকের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব
শেকেন বেবি সিনড্রোম একটি শিশু নির্যাতনজনিত অপরাধ। তাই চিকিৎসকের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা করা নয়, বরং—
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকতে পারে।
কারণ
শিশুর অতিরিক্ত কান্না, বিরক্তি কিংবা অস্থিরতার কারণে অভিভাবক বা পরিচর্যাকারীর রাগ এ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এই অবস্থায় শিশুকে ঝাঁকালে তাদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া মাথা শরীরের তুলনায় বড় হওয়ায় ঝাঁকানোর সময় তা সামনে-পেছনে দ্রুত নড়াচড়া করে। ফলে মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কী ঘটে
শিশুকে জোরে ঝাঁকানোর ফলে তিনটি প্রধান ক্ষতি হয়—
মস্তিষ্কে আঘাত: মস্তিষ্ক ও খুলির মাঝখানে থাকা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
চোখে আঘাত: ভিট্রিওরেটিনাল ট্র্যাকশনের কারণে মাল্টিলেয়ার্ড রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, যা শেকেন বেবি সিনড্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘাড় ও স্পাইনাল ইনজুরি: সার্ভাইক্যাল স্পাইনের ক্ষতি ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
শেকেন বেবি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
চোখের পরীক্ষায় দেখা যায়—
রোগনির্ণয়
শেকেন বেবি সিনড্রোম মূলত ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। তবে নিশ্চিত করার জন্য—
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে করা হয়—
চিকিৎসকের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব
শেকেন বেবি সিনড্রোম একটি শিশু নির্যাতনজনিত অপরাধ। তাই চিকিৎসকের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা করা নয়, বরং—
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রকারভেদে কথা বা ভাষা ব্যবহারে ও উচ্চারণগত সমস্যাতেও ভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্বের মোট সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকের বেশির মধ্যে কথা বা ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগে সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গিলতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান
০৬ অক্টোবর ২০২১
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে