ডায়াবেটিস থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও)। আর এটা তিনি করেছেন কোনো ওষুধ সেবন না করেই।
সম্প্রতি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট হংকং-ভিত্তিক আমোলি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা রবি চন্দ্রের ডায়াবেটিস থেকে প্রত্যাবর্তনের খবর প্রকাশ করে। সংবাদমাধ্যমটি জানায় ৫১ বছর বয়সে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন রবি। সে সময় চিকিৎসক তাঁকে এই রোগের জন্য ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে ওষুধ সেবন না করে নিয়ম করে দৌড়াতে শুরু করেছিলেন ওই ভারতীয়। এতে আশ্চর্যজনক সুফল পান তিনি। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তাঁর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছিল।
জানা যায়, রবি চন্দ্রের ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিল ২০১৫ সালে। এরপর তাঁর জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আসে। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সেই তিনি একজন দৌড়বিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এটি শুধু কথার কথা নয়—২০১৫ সালের পর তিনি হংকং, চীন, তাইওয়ান ও ভারতে অন্তত ২৯টি দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২টি প্রতিযোগিতা ছিল ম্যারাথন,৫টি অর্ধ-ম্যারাথন,৭টি ১০ কিলোমিটার এবং ৫টি আল্ট্রা-ম্যারাথন। পাশাপাশি তিনি হেঁটে হেঁটে হংকংয়ের ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অক্সফাম ট্রেইলও পাড়ি দিয়েছেন।
রবি জানান, দৌড়াতে শুরু করার মাত্র তিন মাস পর তাঁর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ৮ থেকে ৬.৮০-তে নেমে এসেছিল। তিনি বলেন, ‘আমি অনুভব করেছিলাম, একবার ওষুধ সেবন শুরু করলে ডোজ বাড়তেই থাকবে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ফিটনেস উন্নত করলেই তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিএফও আরও জানান, ২০১১ সালে সুস্থ থাকা অবস্থায়ও এক বন্ধুর অনুপ্রেরণায় তিনি একবার নিয়মিত দৌড়াতে শুরু করেছিলেন। তাঁর সেই বন্ধু শতাধিক ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই দৌড়ানোর অভ্যাস ত্যাগ করেছিলেন রবি।
যা হোক, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি রবিকে আবারও দৌড়ের জগতে ফিরিয়ে আনে। তবে হুট করেই নিয়মিত দৌড়াতে শুরু করেননি তিনি। প্রাথমিকভাবে কয়েক দিন এক কিলোমিটার করে হেঁটেছেন। অল্প অল্প করে বাড়িয়ে একপর্যায়ে তিনি ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাঁটতে শুরু করেন। এভাবে তাঁর স্ট্যামিনাও বাড়তে শুরু করে এবং তিনি দৌড়াতে শুরু করেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন তিনি একটানা ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন।
বর্তমানে তিনি সপ্তাহে ৬ দিনই কাজে যাওয়ার আগে ৪ থেকে ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়ান। শনিবার কাজ শেষে তিনি একটি দীর্ঘ দৌড়ে যান। এ ক্ষেত্রে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় রুট হলো—হংকংয়ের তুং চুং থেকে লানতাও দ্বীপ। এই রুট সম্পর্কে রবি বলেন, ‘এটি ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সুন্দর। আমি সমুদ্রের কাছে দৌড়াতে পছন্দ করি।’
রবি চন্দ্রের ধারণা, দৌড়াতে শুরু করার পর এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার দৌড়েছেন। দৌড়কে তিনি একই সঙ্গে আসক্তি ও সংক্রামক মনে করেন। বাবার দেখা দেখি তাঁর ২৯ ও ২৪ বছর বয়সী দুই সন্তানও এখন নিয়মিত দৌড়ান।
ডায়াবেটিসের ওপর ছড়ি ঘোরানো রবি জানান, তিনি সাধারণত নিরামিষ খাবার খান। তবে মাঝে মাঝে মাছ বা মুরগিও খান। দৌড়ের জ্বালানি হিসেবে তিনি আপেল ও কমলা খান।
ডায়াবেটিস থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও)। আর এটা তিনি করেছেন কোনো ওষুধ সেবন না করেই।
সম্প্রতি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট হংকং-ভিত্তিক আমোলি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা রবি চন্দ্রের ডায়াবেটিস থেকে প্রত্যাবর্তনের খবর প্রকাশ করে। সংবাদমাধ্যমটি জানায় ৫১ বছর বয়সে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন রবি। সে সময় চিকিৎসক তাঁকে এই রোগের জন্য ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে ওষুধ সেবন না করে নিয়ম করে দৌড়াতে শুরু করেছিলেন ওই ভারতীয়। এতে আশ্চর্যজনক সুফল পান তিনি। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তাঁর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছিল।
জানা যায়, রবি চন্দ্রের ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিল ২০১৫ সালে। এরপর তাঁর জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আসে। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সেই তিনি একজন দৌড়বিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এটি শুধু কথার কথা নয়—২০১৫ সালের পর তিনি হংকং, চীন, তাইওয়ান ও ভারতে অন্তত ২৯টি দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২টি প্রতিযোগিতা ছিল ম্যারাথন,৫টি অর্ধ-ম্যারাথন,৭টি ১০ কিলোমিটার এবং ৫টি আল্ট্রা-ম্যারাথন। পাশাপাশি তিনি হেঁটে হেঁটে হংকংয়ের ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অক্সফাম ট্রেইলও পাড়ি দিয়েছেন।
রবি জানান, দৌড়াতে শুরু করার মাত্র তিন মাস পর তাঁর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ৮ থেকে ৬.৮০-তে নেমে এসেছিল। তিনি বলেন, ‘আমি অনুভব করেছিলাম, একবার ওষুধ সেবন শুরু করলে ডোজ বাড়তেই থাকবে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ফিটনেস উন্নত করলেই তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিএফও আরও জানান, ২০১১ সালে সুস্থ থাকা অবস্থায়ও এক বন্ধুর অনুপ্রেরণায় তিনি একবার নিয়মিত দৌড়াতে শুরু করেছিলেন। তাঁর সেই বন্ধু শতাধিক ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই দৌড়ানোর অভ্যাস ত্যাগ করেছিলেন রবি।
যা হোক, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি রবিকে আবারও দৌড়ের জগতে ফিরিয়ে আনে। তবে হুট করেই নিয়মিত দৌড়াতে শুরু করেননি তিনি। প্রাথমিকভাবে কয়েক দিন এক কিলোমিটার করে হেঁটেছেন। অল্প অল্প করে বাড়িয়ে একপর্যায়ে তিনি ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাঁটতে শুরু করেন। এভাবে তাঁর স্ট্যামিনাও বাড়তে শুরু করে এবং তিনি দৌড়াতে শুরু করেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন তিনি একটানা ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন।
বর্তমানে তিনি সপ্তাহে ৬ দিনই কাজে যাওয়ার আগে ৪ থেকে ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়ান। শনিবার কাজ শেষে তিনি একটি দীর্ঘ দৌড়ে যান। এ ক্ষেত্রে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় রুট হলো—হংকংয়ের তুং চুং থেকে লানতাও দ্বীপ। এই রুট সম্পর্কে রবি বলেন, ‘এটি ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সুন্দর। আমি সমুদ্রের কাছে দৌড়াতে পছন্দ করি।’
রবি চন্দ্রের ধারণা, দৌড়াতে শুরু করার পর এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার দৌড়েছেন। দৌড়কে তিনি একই সঙ্গে আসক্তি ও সংক্রামক মনে করেন। বাবার দেখা দেখি তাঁর ২৯ ও ২৪ বছর বয়সী দুই সন্তানও এখন নিয়মিত দৌড়ান।
ডায়াবেটিসের ওপর ছড়ি ঘোরানো রবি জানান, তিনি সাধারণত নিরামিষ খাবার খান। তবে মাঝে মাঝে মাছ বা মুরগিও খান। দৌড়ের জ্বালানি হিসেবে তিনি আপেল ও কমলা খান।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৮ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৬ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর খবর নেই। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে বায়ুদূষণের কারণে প্রতি সপ্তাহে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি খরচ হচ্ছে। এই খরচ হচ্ছে মূলত স্বাস্থ্যঝুঁকি, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) চিকিৎসা খরচ এবং কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণে। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশটির ৯৯ শতাংশ মানুষ এখন ‘বিষাক্ত বাতাসে’ শ্বাস নিচ্ছে। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব
১ দিন আগেপ্রতিদিন এক কাপ অতিরিক্ত ইনস্ট্যান্ট কফি খাওয়া চোখের মারাত্মক রোগ ড্রাই বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের (ড্রাই এএমডি) ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জেনেটিক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে