আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অ্যান্ড্রু হ্যারিসন। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডের একটি যুব কেন্দ্রে পুরুষদের স্বাস্থ্য ক্লিনিক পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। একদিন ক্লিনিকের দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। পরে আবার শুনলেন, কেউ তার নাম ডাকছে। চারদিকে তাকিয়ে পরে একটি জানালার পাশে এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। অবাক হয়ে কারণ জানতে চাইলে শোনেন ওই যুবক কনডম নিতে এসেছে।
কয়েক বছর আগের এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে হ্যারিসন বলেন, ‘আমি প্রথম তলায় ছিলাম। ছেলেটা ভবনের বাইরের দিকের ড্রেনের পাইপ বেয়ে উপরে উঠে এসেছিল। সে সরাসরি রিসেপশনে এসে কনডম চাইতে লজ্জা পাচ্ছিল।’
এই ঘটনাটি তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের পুরুষদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ভাবনার চিত্র। তাদের সমস্যাগুলোর পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে—ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এবং স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যোগাযোগ করার আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার অভাব।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপান, অ্যালকোহল পান ও মাদক গ্রহণের কারণে যুক্তরাজ্যের পুরুষেরা উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের সমস্যায় বেশি ভোগে। ৭৫ বছর বয়সের আগেই হৃদ্রোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, লিভারের রোগ এবং দুর্ঘটনায় প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি হারে মৃত্যু হয়। এসব কারণে পুরুষদের গড় আয়ু নারীদের তুলনায় চার বছর কম।
পুরুষ স্বাস্থ্যে এই অবস্থা দেখে যুক্তরাজ্য কৌশল খুঁজছে কীভাবে পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল। কারণ পুরুষেরা নারীদের তুলনায় কম বয়সে মারা যায়। কিন্তু পুরুষদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এত খারাপ কেন এবং এ সমস্যা সমাধানে করণীয় নিয়ে এতকাল কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দাতব্য সংস্থা মেনস হেলথ ফোরামের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যালান হোয়াইট লিডস বেকেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষদের জন্য একটি বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, পুরুষ স্বাস্থ্যের বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার। উদাহরণ হিসেবে কোভিড মহামারির সময়কার কথা তুলে ধরেন তিনি।
হোয়াইট বলেন, কোভিডে নারীদের তুলনায় পুরুষ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৯ হাজারেরও বেশি। সে সময় বিষয়টি নিয়ে কেউ ক্ষোভ দেখায়নি, যে কারণে বিষয়টি গুরুত্বও পায়নি।
হোয়াইট মনে করেন, শুধু জীবনধারার দোষ দিয়ে পুরুষদের খারাপ স্বাস্থ্যের ব্যাখ্যা দেওয়া খুব সহজ, কিন্তু ব্যাপারটি আসলে অনেক জটিল। এর পেছনে জৈবিক কারণও আছে। পুরুষদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, যার ফলে সংক্রমণ সহজে প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে অনেক পুরুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার দক্ষতাও কম থাকে।
অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘পুরুষেরা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে কম সচেতন। তারা কীভাবে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলবে, কোন লক্ষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ—তা চিনতে ও ব্যবস্থা নিতে শেখে না। সাধারণভাবে, কিশোর বয়স থেকে শুরু করে ৪০ বছর পর্যন্ত পুরুষদের স্বাস্থ্য প্রায় একই রকম থাকে। তারা অনেক সময় ধরে চিকিৎসকের কাছে যায় না।’
হোয়াইট বলেন, ‘নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ, জরায়ু পরীক্ষা এবং পরে সন্তান জন্মদানের কারণে তারা নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত থাকে, যেটা পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় না।’
পুরুষ ও ছেলেদের বিষয়ে কাজ করে থাকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ। তারা সরকারকে পুরুষদের জন্য একটি স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি করতে উৎসাহিত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই গ্রুপটির নীতিগত উপদেষ্টা মার্ক ব্রুকস মনে করেন এ অবস্থার পেছনে পুরুষের পুরুষত্ব জাহিরের চেষ্টাও একটা বড় কারণ।
তিনি বলেন, “আমাদের সমাজে পুরুষদের থেকে আলাদা রকমের প্রত্যাশা থাকে। তাদের বলা হয়, ‘পুরুষ হও’, শক্ত হও, সবকিছু চুপচাপ সহ্য করো।”
ব্রুকস মনে করেন, পুরুষদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের প্রভাবকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশ এলাকার মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে ধনী এলাকার তুলনায় ১০ বছর কম। এই পার্থক্য নারীদের চেয়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে আরও বেশি। সবচেয়ে দরিদ্র এলাকাগুলোতে একজন পুরুষের ৭৫ বছর বয়সের আগেই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৩ দশমিক ৫ গুণ বেশি।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস প্রতি ৪০ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। এটি এমন অনেক রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেগুলোতে অবহেলার কারণে পুরুষদের অকালে মৃত্যু হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, দশজন পুরুষের মধ্যে চারজনেরও কম এই সুযোগ গ্রহণ করেন।
ব্রুকস বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার যেভাবে নকশা করা হয়েছে, তা পুরুষদের জন্য কার্যকরভাবে কাজ করছে না। আপনি পিছিয়ে পড়া সমাজ ও নির্মাণ বা কারখানার মতো ‘ব্লু-কলার’ পেশার শ্রমিকদের অবস্থা উপেক্ষা করতে পারেন না। নির্মাণকাজ বা কোনো ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় কাজ করা একজন লোকের পক্ষে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা জিপির কাছে যাওয়ার জন্য ছুটি নেওয়া খুব কঠিন। ”
তিনি আশা করেন, কর্মীদের দুই ঘণ্টা বেতনসহ ছুটি দেওয়া হবে যাতে তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যেতে পারে। পাশাপাশি, এই স্বাস্থ্যসেবাগুলো যেন শিল্প এলাকা বা কারখানার কর্মীদের কর্মস্থলেই দেওয়া হয়।
তবে মার্ক ব্রুকস এটাও বলেন, শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বিষয়টি কর্মসংস্থানের সঙ্গেও জড়িত। পুরুষদের ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, তাদের অনেকে এই সমস্যা প্রকাশ করতে ভয় পান। অনেকে প্রাথমিক লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন বা অসুস্থতা বসের কাছ থেকে গোপন রাখেন। তারা ভাবেন এতে তাদের চাকরি বা আয়ের ক্ষতি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি নিয়ে উদ্বেগ, আর্থিক দুশ্চিন্তা ও সম্পর্কজনিত সমস্যাগুলোই পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার উচ্চহারের অন্যতম কারণ। আত্মহত্যা করা ব্যক্তিদের চার ভাগের তিন ভাগই পুরুষ।’
মেনস হেলথ ফোরামের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যালান হোয়াইট বলেন, বর্তমানে চলমান কাউন্সেলিংয়ের ধরনগুলো পুরুষদের মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগের লক্ষণগুলো সহজে ধরতে পারে না। সেগুলোর পরিষেবাগুলো পুরুষদের প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে মেলে না। পুরুষেরা সাধারণত রাগ দেখায়, অতিরিক্ত অ্যালকোহল খায় অথবা চুপচাপ হয়ে যায় ও মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়।
এসব ক্ষেত্রে জাতিগত পার্থক্যগুলোও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন হোয়াইট। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ আর ভারত বা বাংলাদেশ থেকে আসা পুরুষদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি।
তবে এসব তথ্যের মানে এটা নয় যে, পুরুষেরা তাদের নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে আগ্রহী নয়। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পল গ্যালডাস বলেন, ‘পুরুষেরা নিজেদের কথা বলতে চায়, যুক্ত হতে চায় কিন্তু সেটা করতে হলে কার্যকর কাজ ও কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
গ্যালডাস পুরুষ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘মোভেম্বার’-এর সঙ্গে একটি ছয় সপ্তাহের মানসিক ফিটনেস প্রোগ্রাম তৈরি করতে কাজ করেছেন। কোভিডের পর এনএইচএসের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ওপর এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখন এটি লিডস ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব তাদের যুব খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহার করছে।
এই প্রোগ্রামে পুরুষদের নিজেদের আচরণ কীভাবে মনের অবস্থাকে প্রভাবিত করে তা বুঝতে সাহায্য করা হয়। নিজেদের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করতে ও স্বাস্থ্যকর কাজের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে তাদের উৎসাহ দেওয়া হয়।
গ্যালডাস বলেন, ‘এটা হতে পারে হাঁটতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, গলফ খেলা কিংবা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করা। এসব কাজ মানসিক স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভালো মানসিক স্বাস্থ্য থেকে আসে ভালো শারীরিক স্বাস্থ্য।’
বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় পরিষদ এবং পুরুষদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে মিলে পুরুষ স্বাস্থ্যের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম তৈরির চেষ্টা করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্যোগগুলোর একটি হলো—মেনস শেডস মুভমেন্ট। এখানে পুরুষদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ মেলে। তাঁরা একসঙ্গে বসে ব্যবহারিক প্রকল্পের কাজ করতে করতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং একে অপরকে মানসিকভাবে সহায়তা করে।
অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, এই ইতিবাচক উদ্যোগগুলোকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। এ জন্য একটি জাতীয় পুরুষ স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
হোয়াইট বলেন, যুক্তরাজ্যে ২০২২ সালে নারীদের স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি হয়েছিল। জাতীয় পুরুষ স্বাস্থ্য কৌশলটি তেমনই পুরুষদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করবে। তিনি আশা করেন, এই কৌশলটি পুরুষদের জন্য একটি ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে কাজ করবে।
পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য নিন।’

অ্যান্ড্রু হ্যারিসন। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডের একটি যুব কেন্দ্রে পুরুষদের স্বাস্থ্য ক্লিনিক পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। একদিন ক্লিনিকের দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। পরে আবার শুনলেন, কেউ তার নাম ডাকছে। চারদিকে তাকিয়ে পরে একটি জানালার পাশে এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। অবাক হয়ে কারণ জানতে চাইলে শোনেন ওই যুবক কনডম নিতে এসেছে।
কয়েক বছর আগের এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে হ্যারিসন বলেন, ‘আমি প্রথম তলায় ছিলাম। ছেলেটা ভবনের বাইরের দিকের ড্রেনের পাইপ বেয়ে উপরে উঠে এসেছিল। সে সরাসরি রিসেপশনে এসে কনডম চাইতে লজ্জা পাচ্ছিল।’
এই ঘটনাটি তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের পুরুষদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ভাবনার চিত্র। তাদের সমস্যাগুলোর পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে—ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এবং স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যোগাযোগ করার আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার অভাব।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপান, অ্যালকোহল পান ও মাদক গ্রহণের কারণে যুক্তরাজ্যের পুরুষেরা উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের সমস্যায় বেশি ভোগে। ৭৫ বছর বয়সের আগেই হৃদ্রোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, লিভারের রোগ এবং দুর্ঘটনায় প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি হারে মৃত্যু হয়। এসব কারণে পুরুষদের গড় আয়ু নারীদের তুলনায় চার বছর কম।
পুরুষ স্বাস্থ্যে এই অবস্থা দেখে যুক্তরাজ্য কৌশল খুঁজছে কীভাবে পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল। কারণ পুরুষেরা নারীদের তুলনায় কম বয়সে মারা যায়। কিন্তু পুরুষদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এত খারাপ কেন এবং এ সমস্যা সমাধানে করণীয় নিয়ে এতকাল কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দাতব্য সংস্থা মেনস হেলথ ফোরামের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যালান হোয়াইট লিডস বেকেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষদের জন্য একটি বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, পুরুষ স্বাস্থ্যের বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার। উদাহরণ হিসেবে কোভিড মহামারির সময়কার কথা তুলে ধরেন তিনি।
হোয়াইট বলেন, কোভিডে নারীদের তুলনায় পুরুষ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৯ হাজারেরও বেশি। সে সময় বিষয়টি নিয়ে কেউ ক্ষোভ দেখায়নি, যে কারণে বিষয়টি গুরুত্বও পায়নি।
হোয়াইট মনে করেন, শুধু জীবনধারার দোষ দিয়ে পুরুষদের খারাপ স্বাস্থ্যের ব্যাখ্যা দেওয়া খুব সহজ, কিন্তু ব্যাপারটি আসলে অনেক জটিল। এর পেছনে জৈবিক কারণও আছে। পুরুষদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, যার ফলে সংক্রমণ সহজে প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে অনেক পুরুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার দক্ষতাও কম থাকে।
অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘পুরুষেরা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে কম সচেতন। তারা কীভাবে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলবে, কোন লক্ষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ—তা চিনতে ও ব্যবস্থা নিতে শেখে না। সাধারণভাবে, কিশোর বয়স থেকে শুরু করে ৪০ বছর পর্যন্ত পুরুষদের স্বাস্থ্য প্রায় একই রকম থাকে। তারা অনেক সময় ধরে চিকিৎসকের কাছে যায় না।’
হোয়াইট বলেন, ‘নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ, জরায়ু পরীক্ষা এবং পরে সন্তান জন্মদানের কারণে তারা নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত থাকে, যেটা পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় না।’
পুরুষ ও ছেলেদের বিষয়ে কাজ করে থাকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ। তারা সরকারকে পুরুষদের জন্য একটি স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি করতে উৎসাহিত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই গ্রুপটির নীতিগত উপদেষ্টা মার্ক ব্রুকস মনে করেন এ অবস্থার পেছনে পুরুষের পুরুষত্ব জাহিরের চেষ্টাও একটা বড় কারণ।
তিনি বলেন, “আমাদের সমাজে পুরুষদের থেকে আলাদা রকমের প্রত্যাশা থাকে। তাদের বলা হয়, ‘পুরুষ হও’, শক্ত হও, সবকিছু চুপচাপ সহ্য করো।”
ব্রুকস মনে করেন, পুরুষদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের প্রভাবকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশ এলাকার মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে ধনী এলাকার তুলনায় ১০ বছর কম। এই পার্থক্য নারীদের চেয়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে আরও বেশি। সবচেয়ে দরিদ্র এলাকাগুলোতে একজন পুরুষের ৭৫ বছর বয়সের আগেই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৩ দশমিক ৫ গুণ বেশি।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস প্রতি ৪০ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। এটি এমন অনেক রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেগুলোতে অবহেলার কারণে পুরুষদের অকালে মৃত্যু হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, দশজন পুরুষের মধ্যে চারজনেরও কম এই সুযোগ গ্রহণ করেন।
ব্রুকস বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার যেভাবে নকশা করা হয়েছে, তা পুরুষদের জন্য কার্যকরভাবে কাজ করছে না। আপনি পিছিয়ে পড়া সমাজ ও নির্মাণ বা কারখানার মতো ‘ব্লু-কলার’ পেশার শ্রমিকদের অবস্থা উপেক্ষা করতে পারেন না। নির্মাণকাজ বা কোনো ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় কাজ করা একজন লোকের পক্ষে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা জিপির কাছে যাওয়ার জন্য ছুটি নেওয়া খুব কঠিন। ”
তিনি আশা করেন, কর্মীদের দুই ঘণ্টা বেতনসহ ছুটি দেওয়া হবে যাতে তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যেতে পারে। পাশাপাশি, এই স্বাস্থ্যসেবাগুলো যেন শিল্প এলাকা বা কারখানার কর্মীদের কর্মস্থলেই দেওয়া হয়।
তবে মার্ক ব্রুকস এটাও বলেন, শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বিষয়টি কর্মসংস্থানের সঙ্গেও জড়িত। পুরুষদের ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, তাদের অনেকে এই সমস্যা প্রকাশ করতে ভয় পান। অনেকে প্রাথমিক লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন বা অসুস্থতা বসের কাছ থেকে গোপন রাখেন। তারা ভাবেন এতে তাদের চাকরি বা আয়ের ক্ষতি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি নিয়ে উদ্বেগ, আর্থিক দুশ্চিন্তা ও সম্পর্কজনিত সমস্যাগুলোই পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার উচ্চহারের অন্যতম কারণ। আত্মহত্যা করা ব্যক্তিদের চার ভাগের তিন ভাগই পুরুষ।’
মেনস হেলথ ফোরামের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যালান হোয়াইট বলেন, বর্তমানে চলমান কাউন্সেলিংয়ের ধরনগুলো পুরুষদের মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগের লক্ষণগুলো সহজে ধরতে পারে না। সেগুলোর পরিষেবাগুলো পুরুষদের প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে মেলে না। পুরুষেরা সাধারণত রাগ দেখায়, অতিরিক্ত অ্যালকোহল খায় অথবা চুপচাপ হয়ে যায় ও মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়।
এসব ক্ষেত্রে জাতিগত পার্থক্যগুলোও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন হোয়াইট। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ আর ভারত বা বাংলাদেশ থেকে আসা পুরুষদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি।
তবে এসব তথ্যের মানে এটা নয় যে, পুরুষেরা তাদের নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে আগ্রহী নয়। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পল গ্যালডাস বলেন, ‘পুরুষেরা নিজেদের কথা বলতে চায়, যুক্ত হতে চায় কিন্তু সেটা করতে হলে কার্যকর কাজ ও কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
গ্যালডাস পুরুষ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘মোভেম্বার’-এর সঙ্গে একটি ছয় সপ্তাহের মানসিক ফিটনেস প্রোগ্রাম তৈরি করতে কাজ করেছেন। কোভিডের পর এনএইচএসের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ওপর এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখন এটি লিডস ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব তাদের যুব খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহার করছে।
এই প্রোগ্রামে পুরুষদের নিজেদের আচরণ কীভাবে মনের অবস্থাকে প্রভাবিত করে তা বুঝতে সাহায্য করা হয়। নিজেদের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করতে ও স্বাস্থ্যকর কাজের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে তাদের উৎসাহ দেওয়া হয়।
গ্যালডাস বলেন, ‘এটা হতে পারে হাঁটতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, গলফ খেলা কিংবা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করা। এসব কাজ মানসিক স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভালো মানসিক স্বাস্থ্য থেকে আসে ভালো শারীরিক স্বাস্থ্য।’
বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় পরিষদ এবং পুরুষদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে মিলে পুরুষ স্বাস্থ্যের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম তৈরির চেষ্টা করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্যোগগুলোর একটি হলো—মেনস শেডস মুভমেন্ট। এখানে পুরুষদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ মেলে। তাঁরা একসঙ্গে বসে ব্যবহারিক প্রকল্পের কাজ করতে করতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং একে অপরকে মানসিকভাবে সহায়তা করে।
অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, এই ইতিবাচক উদ্যোগগুলোকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। এ জন্য একটি জাতীয় পুরুষ স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
হোয়াইট বলেন, যুক্তরাজ্যে ২০২২ সালে নারীদের স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি হয়েছিল। জাতীয় পুরুষ স্বাস্থ্য কৌশলটি তেমনই পুরুষদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করবে। তিনি আশা করেন, এই কৌশলটি পুরুষদের জন্য একটি ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে কাজ করবে।
পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য নিন।’

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য
০৬ এপ্রিল ২০২৫
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
৪ ঘণ্টা আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
চোখের মণির অস্বাভাবিকতা: পুরুষদের মধ্যে চোখের মণির অস্বাভাবিকতা বা চোখের মণি সঠিকভাবে কাজ না করা একটি সাধারণ সমস্যা। চোখের মণি বা কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা চোখে আসা আলোকে সঠিকভাবে লেন্সে নিয়ে যায়। কোনো কারণে যদি কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তিত হয়, তাহলে সেটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, পুরুষদের মধ্যে কর্নিয়া সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেটিনাল ডিস্ট্রফি: রেটিনাল ডিস্ট্রফি একটি বিরল চোখের রোগ, যেখানে চোখের রেটিনা (যা চোখের পেছনের অংশে থাকে এবং দৃষ্টির জন্য দায়ী) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি। রেটিনাল ডিস্ট্রফির কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এবং এটি সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা এমন একটি রোগ, যা চোখের চাপের কারণে রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে। পুরুষদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। গ্লুকোমা হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং এতে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে থাকে। এটি একধরনের নীরব রোগ। কারণ, এতে প্রথম দিকে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। গ্লুকোমার কারণে যে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাটারাক্ট: ক্যাটারাক্ট হলো চোখের লেন্সের ঘোলা হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। পুরুষদের মধ্যে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও ক্যাটারাক্ট সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, তবে কিছু বিশেষ কারণে এটি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সেও হতে পারে। ক্যাটারাক্টের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এটি একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো চোখের রেটিনার একটি অংশ, যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, কিন্তু পুরুষদের মধ্যে এটির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে আনে এবং ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অক্ষম হতে পারে। যেমন পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো খুঁটিনাটি কাজ।
কনজাংটিভাইটিস: কনজাংটিভাইটিস কিংবা চোখের সাদা অংশে প্রদাহ একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
এটি সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা অ্যালার্জির কারণে হয়। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হিসেবে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি হতে পারে। যদিও এটি সবার মধ্যে হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি প্রকট হতে দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে: প্রেসবায়োপিয়া হলো চোখের এমন একটি অবস্থা, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে থেকে ছোট জিনিস পড়তে সমস্যা হয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই রোগ দেখা যায়। যদিও এটি অনেক মানুষের মধ্যে হয়, তবে পুরুষদের মধ্যে এটি কিছুটা বেশি।
শুষ্ক চোখের সিনড্রোম: শুষ্ক চোখের সিনড্রোম হলো এমন একটি সমস্যা, যেখানে চোখের পৃষ্ঠে সঠিক পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে না। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়। শুষ্ক চোখের কারণে চোখে চুলকানি, লাল ভাব এবং চোখের চারপাশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালিতে সমস্যা: ছেলেদের মধ্যে চোখের রক্তনালিতে সমস্যা হতে পারে এবং তা চোখে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত রেটিনা অথবা চোখের অন্য অংশে রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তা দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রং দেখার সমস্যা: রং দেখার সমস্যা কিংবা বর্ণান্ধতা একটি জেনেটিক রোগ, যা ছেলেদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ৮০% বেশি দেখা যায়। কারণ, এটি X-ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভরশীল। রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারার কারণে কিছু সামাজিক বা পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
চোখের মণির অস্বাভাবিকতা: পুরুষদের মধ্যে চোখের মণির অস্বাভাবিকতা বা চোখের মণি সঠিকভাবে কাজ না করা একটি সাধারণ সমস্যা। চোখের মণি বা কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা চোখে আসা আলোকে সঠিকভাবে লেন্সে নিয়ে যায়। কোনো কারণে যদি কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তিত হয়, তাহলে সেটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, পুরুষদের মধ্যে কর্নিয়া সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেটিনাল ডিস্ট্রফি: রেটিনাল ডিস্ট্রফি একটি বিরল চোখের রোগ, যেখানে চোখের রেটিনা (যা চোখের পেছনের অংশে থাকে এবং দৃষ্টির জন্য দায়ী) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি। রেটিনাল ডিস্ট্রফির কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এবং এটি সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা এমন একটি রোগ, যা চোখের চাপের কারণে রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে। পুরুষদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। গ্লুকোমা হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং এতে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে থাকে। এটি একধরনের নীরব রোগ। কারণ, এতে প্রথম দিকে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। গ্লুকোমার কারণে যে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাটারাক্ট: ক্যাটারাক্ট হলো চোখের লেন্সের ঘোলা হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। পুরুষদের মধ্যে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও ক্যাটারাক্ট সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, তবে কিছু বিশেষ কারণে এটি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সেও হতে পারে। ক্যাটারাক্টের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এটি একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো চোখের রেটিনার একটি অংশ, যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, কিন্তু পুরুষদের মধ্যে এটির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে আনে এবং ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অক্ষম হতে পারে। যেমন পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো খুঁটিনাটি কাজ।
কনজাংটিভাইটিস: কনজাংটিভাইটিস কিংবা চোখের সাদা অংশে প্রদাহ একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
এটি সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা অ্যালার্জির কারণে হয়। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হিসেবে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি হতে পারে। যদিও এটি সবার মধ্যে হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি প্রকট হতে দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে: প্রেসবায়োপিয়া হলো চোখের এমন একটি অবস্থা, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে থেকে ছোট জিনিস পড়তে সমস্যা হয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই রোগ দেখা যায়। যদিও এটি অনেক মানুষের মধ্যে হয়, তবে পুরুষদের মধ্যে এটি কিছুটা বেশি।
শুষ্ক চোখের সিনড্রোম: শুষ্ক চোখের সিনড্রোম হলো এমন একটি সমস্যা, যেখানে চোখের পৃষ্ঠে সঠিক পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে না। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়। শুষ্ক চোখের কারণে চোখে চুলকানি, লাল ভাব এবং চোখের চারপাশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালিতে সমস্যা: ছেলেদের মধ্যে চোখের রক্তনালিতে সমস্যা হতে পারে এবং তা চোখে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত রেটিনা অথবা চোখের অন্য অংশে রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তা দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রং দেখার সমস্যা: রং দেখার সমস্যা কিংবা বর্ণান্ধতা একটি জেনেটিক রোগ, যা ছেলেদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ৮০% বেশি দেখা যায়। কারণ, এটি X-ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভরশীল। রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারার কারণে কিছু সামাজিক বা পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য
০৬ এপ্রিল ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
৪ ঘণ্টা আগেডা. অনিক সরকার পলাশ

পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হলো—
ভুলভাবে বসা, ঝুঁকে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ব্যবহার, নরম বিছানায় ঘুমানো সবই মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য চাপেই ব্যথা দেখা দেয়।
হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা, ভুলভাবে নড়াচড়া বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে পেশি ও লিগামেন্টে টান ধরে। এটিও তীব্র পিঠব্যথার সাধারণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা ও ডিস্ক প্রল্যাপসের মতো রোগ দেখা দেয়।
অনেক সময় কিডনি, পিত্তথলি বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা থেকেও পিঠব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
পিঠব্যথা কম থেকে তীব্র—উভয় মাত্রার হতে পারে। কারও ব্যথা কয়েক দিনে কমে যায়, আবার
কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়া, পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, কোমর শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা বারবার শোয়া-বসায় অস্বস্তি এসবই সাধারণ উপসর্গ।
অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে পিঠব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা: বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসলে কোমর পুরোটা ব্যাকরেস্টে ঠেকিয়ে বসা উচিত। ঘুমানোর সময় খুব নরম গদি এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: পিঠের পেশি শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং কিংবা ফিজিওথেরাপি,
এ ধরনের ব্যায়াম বেশ উপকারী। ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম না করাই ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন কোমরের নিচের দিকে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত চলাফেরায় ওজন ঠিক রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে।
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় না থাকা: দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পেশিতে চাপ জমে। প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ মিনিট হেঁটে নিন বা অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬

পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হলো—
ভুলভাবে বসা, ঝুঁকে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ব্যবহার, নরম বিছানায় ঘুমানো সবই মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য চাপেই ব্যথা দেখা দেয়।
হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা, ভুলভাবে নড়াচড়া বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে পেশি ও লিগামেন্টে টান ধরে। এটিও তীব্র পিঠব্যথার সাধারণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা ও ডিস্ক প্রল্যাপসের মতো রোগ দেখা দেয়।
অনেক সময় কিডনি, পিত্তথলি বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা থেকেও পিঠব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
পিঠব্যথা কম থেকে তীব্র—উভয় মাত্রার হতে পারে। কারও ব্যথা কয়েক দিনে কমে যায়, আবার
কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়া, পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, কোমর শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা বারবার শোয়া-বসায় অস্বস্তি এসবই সাধারণ উপসর্গ।
অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে পিঠব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা: বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসলে কোমর পুরোটা ব্যাকরেস্টে ঠেকিয়ে বসা উচিত। ঘুমানোর সময় খুব নরম গদি এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: পিঠের পেশি শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং কিংবা ফিজিওথেরাপি,
এ ধরনের ব্যায়াম বেশ উপকারী। ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম না করাই ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন কোমরের নিচের দিকে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত চলাফেরায় ওজন ঠিক রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে।
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় না থাকা: দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পেশিতে চাপ জমে। প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ মিনিট হেঁটে নিন বা অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬

পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য
০৬ এপ্রিল ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এসব সবজির রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো প্রধানত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে পাই। কিন্তু ছোট ছোট কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি।
সংরক্ষণ করার প্রাথমিক ধাপ: ধোয়া ও শুকানো সবজি সংরক্ষণের আগে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন সবজি আস্ত অবস্থায় ধোয়া। বাজার থেকে আনার পর, কাটার আগেই পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধুয়ে নিলে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পাই না। সবজি কাটা হয়ে গেলে আর ধোয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, সবজি কাটা হলে ধোয়া হলে তার নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেগুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সংরক্ষণের পাত্র বা ব্যাগ যেন শুকনো থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে পাত্রগুলো ভালো করে মুছে নিন। মনে রাখবেন, আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় চাপাচাপি না করে কিছুটা ফাঁকাভাবে ছোট ছিদ্রযুক্ত ড্রয়ার বা তাকে রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রধান কৌশল ব্লাঞ্চিং
সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার ও টেক্সচার অক্ষুণ্ন রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ কিংবা হিমায়িত করার প্রধান ও সঠিক পদ্ধতি হলো ব্লাঞ্চিং। ব্লাঞ্চিং হলো হালকা সেদ্ধ করা। অর্থাৎ ফুটন্ত পানিতে বা বাষ্পে (স্টিমিং পদ্ধতিতে) শাকসবজি অল্প সময়ের জন্য হালকা সেদ্ধ করে নেওয়া। আর সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবজিগুলোকে বরফ-ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। এতে কুকিং প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং সবজি বেশি সেদ্ধ হয় না। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টিআলু কিংবা স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ফ্রোজেন করার জন্য পুরোপুরি সেদ্ধ করে নিতে হয়। এই পদ্ধতি সবজিতে থাকা এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার এবং টেক্সচারের কোনো পরিবর্তন না এনে তার প্রাকৃতিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সবজির বাইরের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করে এবং পুষ্টিমান নষ্ট হওয়া রোধ করে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, রান্না করতে যদি শিমের সবুজ রং কালো হয়ে যায় কিংবা গাজরের লাল রং কালচে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে শাকসবজির পুষ্টিগুণ বেশি নষ্ট হয়েছে।
হিমায়িত করার জন্য মোড়কীকরণ
ব্লাঞ্চিং এবং পুরোপুরি শুকানোর পরে সবজি সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। ভালোভাবে শুকনো সবজি এয়ারটাইট বক্স অথবা জিপলক ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণ বের করে দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করতে হবে, যেন ভেতরে বাতাস না থাকে। ধনেপাতার মতো শাকসবজিকে পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে মোড়কায়ন করা ভালো। কারণ, এতে জলীয় বাষ্প চলাচল করতে পারে না এবং নেতিয়ে পড়া কমে যায়। ব্লাঞ্চিং করা সবজি এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর।

শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এসব সবজির রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো প্রধানত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে পাই। কিন্তু ছোট ছোট কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি।
সংরক্ষণ করার প্রাথমিক ধাপ: ধোয়া ও শুকানো সবজি সংরক্ষণের আগে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন সবজি আস্ত অবস্থায় ধোয়া। বাজার থেকে আনার পর, কাটার আগেই পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধুয়ে নিলে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পাই না। সবজি কাটা হয়ে গেলে আর ধোয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, সবজি কাটা হলে ধোয়া হলে তার নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেগুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সংরক্ষণের পাত্র বা ব্যাগ যেন শুকনো থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে পাত্রগুলো ভালো করে মুছে নিন। মনে রাখবেন, আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় চাপাচাপি না করে কিছুটা ফাঁকাভাবে ছোট ছিদ্রযুক্ত ড্রয়ার বা তাকে রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রধান কৌশল ব্লাঞ্চিং
সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার ও টেক্সচার অক্ষুণ্ন রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ কিংবা হিমায়িত করার প্রধান ও সঠিক পদ্ধতি হলো ব্লাঞ্চিং। ব্লাঞ্চিং হলো হালকা সেদ্ধ করা। অর্থাৎ ফুটন্ত পানিতে বা বাষ্পে (স্টিমিং পদ্ধতিতে) শাকসবজি অল্প সময়ের জন্য হালকা সেদ্ধ করে নেওয়া। আর সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবজিগুলোকে বরফ-ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। এতে কুকিং প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং সবজি বেশি সেদ্ধ হয় না। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টিআলু কিংবা স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ফ্রোজেন করার জন্য পুরোপুরি সেদ্ধ করে নিতে হয়। এই পদ্ধতি সবজিতে থাকা এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার এবং টেক্সচারের কোনো পরিবর্তন না এনে তার প্রাকৃতিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সবজির বাইরের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করে এবং পুষ্টিমান নষ্ট হওয়া রোধ করে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, রান্না করতে যদি শিমের সবুজ রং কালো হয়ে যায় কিংবা গাজরের লাল রং কালচে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে শাকসবজির পুষ্টিগুণ বেশি নষ্ট হয়েছে।
হিমায়িত করার জন্য মোড়কীকরণ
ব্লাঞ্চিং এবং পুরোপুরি শুকানোর পরে সবজি সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। ভালোভাবে শুকনো সবজি এয়ারটাইট বক্স অথবা জিপলক ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণ বের করে দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করতে হবে, যেন ভেতরে বাতাস না থাকে। ধনেপাতার মতো শাকসবজিকে পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে মোড়কায়ন করা ভালো। কারণ, এতে জলীয় বাষ্প চলাচল করতে পারে না এবং নেতিয়ে পড়া কমে যায়। ব্লাঞ্চিং করা সবজি এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর।

পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য
০৬ এপ্রিল ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে