মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে অন্যান্য সংক্রমণের মধ্যে পড়েন বহু রোগী। এতে অসুস্থতার মেয়াদ বেড়ে বাড়তি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ রোগীর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা, এমনকি মৃত্যুও ঘটায়। দেশের হাসপাতালে এমন সংক্রমণ জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে সংক্রমণের শিকার হওয়ার বিষয়টিকে জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলেন, হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণ (হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন-এইচএআই)। এ ধরনের সংক্রমণের মধ্যে রয়েছে রক্তনালির সংক্রমণ, রক্তে সংক্রমণ, মূত্রনালির সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং অস্ত্রোপচার-পরবর্তী সংক্রমণ।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এইচএআইকে গুরুতর হুমকি বলে উল্লেখ করেছে। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী এলসিভিয়া বলছে, সাধারণত হাসপাতালে ভর্তির ৪৮ ঘণ্টা পর যদি কোনো রোগীর মধ্যে নতুন সংক্রমণ দেখা যায়, তবে তাকে হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সংক্রমণ রোগীর নিজের শরীর থেকেও হতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলেন, সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, রোগী ও স্বজনদের মৌলিক স্বাস্থ্যশিক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্যে ব্যয়ের অপ্রতুলতার কারণে বাংলাদেশে এ ধরনের সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না।
দেশে হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণের হার ঠিক কত, তা জানাতে পারেনি সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে বিভিন্ন সময় পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, হাসপাতালগুলোতে এ সংক্রমণের হার ১০ থেকে ২০ শতাংশ। অস্ত্রোপচারের রোগীদের মধ্যে এটি বেশি।
সর্বশেষ ২০২২ সালের মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা ১৫ শতাংশ রোগী নতুন করে কোনো না কোনো সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতেও এই হার ১০ শতাংশ। সারা বিশ্বে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের প্রতি ১০টি মৃত্যুর একটি হয় এইচএআইয়ের কারণে।
হাসপাতালে সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধে কাজ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। এই শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. হালিমুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের হাসপাতালে সংক্রমণের হার কত, তা নিয়ে কোনো গবেষণা বা পরিসংখ্যান নেই। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য গাইডলাইন রয়েছে। সে অনুযায়ী চিকিৎসক-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়টি দেখভালের জন্য কমিটি রয়েছে।
দেশের হাসপাতালে এইচএআইয়ের হার এবং তা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা শুরু করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ডব্লিউএইচওসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার গত বছর পরিচালিত যৌথ পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসম্পর্কিত সংক্রমণে বাংলাদেশের স্কোর ৫-এর মধ্যে ১।
আইইডিসিআরের ভাইরোলজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন হাবিব বলেন, তাঁদের ইনস্টিটিউট ডব্লিউএইচওর অর্থায়নে চলতি বছরের মে মাসে রাজশাহী এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে। কাজটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
দেশের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ), অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ওয়ার্ডগুলোয় সংক্রমণের হার বেশি বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির জার্নালে (জুন/২০২৩) প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এইচএআই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাধা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিবিষয়ক গবেষণাটিতে নয় শ রোগীর তথ্য রয়েছে। তাতে দেখা যায়, মেডিসিন ও প্রসূতি ওয়ার্ডের তুলনায় সার্জারি ওয়ার্ডে সংক্রমণের হার বেশি। অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ষষ্ঠ দিনে ৪২ শতাংশ রোগীর সার্জিক্যাল সাইড ইনফেকশন (এসএসআই) দেখা গেছে। ওই ওয়ার্ডে এইচএআই পাওয়া গেছে প্রায় ৮ শতাংশ।
হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণের কারণে অনেক সময় রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকও কার্যকর হয় না বলে উল্লেখ করেছেন সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আরিফুল বাসার। তিনি বলেন, ‘দেশের হাসপাতালগুলোতে নমুনার কালচার (জীবাণু শনাক্তের বিশেষ পদ্ধতি) কম হয়। অনেক স্থানে এর ব্যবস্থাও নেই। অনেক হাসপাতাল রোগীকে সংক্রমণমুক্ত রাখতে আগাম অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে। এটি রোগীর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।’
হৃদ্যন্ত্রের রোগীদের অন্যতম ঝুঁকি অস্ত্রোপচার-পরবর্তী সংক্রমণের আশঙ্কা। দেশের হৃদ্রোগের সরকারি সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গত বছর ছোট ও বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়েছে যথাক্রমে সাড়ে তিন এবং ১৪ হাজার। মারা গেছেন (চিকিৎসাধীন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছানো) ৭ হাজার ১৪১ জন।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বললেন, ‘রোগী কী সংক্রমণ নিয়ে এসেছিল, সংক্রমণ কেন হচ্ছে, এর প্রতিরোধে কী করতে হবে এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অস্ত্রোপচার কক্ষ, আইসিইউ এবং ক্যাথ ল্যাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এসব বিভাগ থেকে নিয়মিতভাবে নমুনা সংগ্রহ করে কালচার করতে হবে। কোন ওয়ার্ড বা কোন রোগীর সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, তা শনাক্ত করতে হবে। এইচএআই প্রতিরোধের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঙ্গে রোগী এবং স্বজনদের ভূমিকাও জরুরি।’
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলেছেন, হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণ রোগীর হাসপাতালবাসের সময় দীর্ঘায়িত করায় প্রভাব ফেলে। তাঁরা বলেন, রোগী এক রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এলেও পরে অন্য কোনো সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। এর জন্য রোগীকে বাড়তি অর্থ ব্যয়ে বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। অন্য রোগীরাও ভর্তি হতে পারেন না।
জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতাল অর্জিত সংক্রমণকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি কত বড় সমস্যা তা উদঘাটন করা গেলে সমাধানের পথে হাঁটা যেত। বিভিন্ন বিভাগ, ইউনিট ধরে ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সংক্রমণ প্রতিরোধ করা গেলে চিকিৎসার মানও উন্নত হতো, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়ও কমে যেত।’

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে অন্যান্য সংক্রমণের মধ্যে পড়েন বহু রোগী। এতে অসুস্থতার মেয়াদ বেড়ে বাড়তি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ রোগীর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা, এমনকি মৃত্যুও ঘটায়। দেশের হাসপাতালে এমন সংক্রমণ জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে সংক্রমণের শিকার হওয়ার বিষয়টিকে জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলেন, হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণ (হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন-এইচএআই)। এ ধরনের সংক্রমণের মধ্যে রয়েছে রক্তনালির সংক্রমণ, রক্তে সংক্রমণ, মূত্রনালির সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং অস্ত্রোপচার-পরবর্তী সংক্রমণ।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এইচএআইকে গুরুতর হুমকি বলে উল্লেখ করেছে। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী এলসিভিয়া বলছে, সাধারণত হাসপাতালে ভর্তির ৪৮ ঘণ্টা পর যদি কোনো রোগীর মধ্যে নতুন সংক্রমণ দেখা যায়, তবে তাকে হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সংক্রমণ রোগীর নিজের শরীর থেকেও হতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলেন, সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, রোগী ও স্বজনদের মৌলিক স্বাস্থ্যশিক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্যে ব্যয়ের অপ্রতুলতার কারণে বাংলাদেশে এ ধরনের সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না।
দেশে হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণের হার ঠিক কত, তা জানাতে পারেনি সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে বিভিন্ন সময় পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, হাসপাতালগুলোতে এ সংক্রমণের হার ১০ থেকে ২০ শতাংশ। অস্ত্রোপচারের রোগীদের মধ্যে এটি বেশি।
সর্বশেষ ২০২২ সালের মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা ১৫ শতাংশ রোগী নতুন করে কোনো না কোনো সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতেও এই হার ১০ শতাংশ। সারা বিশ্বে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের প্রতি ১০টি মৃত্যুর একটি হয় এইচএআইয়ের কারণে।
হাসপাতালে সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধে কাজ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। এই শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. হালিমুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের হাসপাতালে সংক্রমণের হার কত, তা নিয়ে কোনো গবেষণা বা পরিসংখ্যান নেই। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য গাইডলাইন রয়েছে। সে অনুযায়ী চিকিৎসক-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়টি দেখভালের জন্য কমিটি রয়েছে।
দেশের হাসপাতালে এইচএআইয়ের হার এবং তা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা শুরু করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ডব্লিউএইচওসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার গত বছর পরিচালিত যৌথ পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসম্পর্কিত সংক্রমণে বাংলাদেশের স্কোর ৫-এর মধ্যে ১।
আইইডিসিআরের ভাইরোলজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন হাবিব বলেন, তাঁদের ইনস্টিটিউট ডব্লিউএইচওর অর্থায়নে চলতি বছরের মে মাসে রাজশাহী এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে। কাজটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
দেশের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ), অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ওয়ার্ডগুলোয় সংক্রমণের হার বেশি বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির জার্নালে (জুন/২০২৩) প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এইচএআই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাধা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিবিষয়ক গবেষণাটিতে নয় শ রোগীর তথ্য রয়েছে। তাতে দেখা যায়, মেডিসিন ও প্রসূতি ওয়ার্ডের তুলনায় সার্জারি ওয়ার্ডে সংক্রমণের হার বেশি। অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ষষ্ঠ দিনে ৪২ শতাংশ রোগীর সার্জিক্যাল সাইড ইনফেকশন (এসএসআই) দেখা গেছে। ওই ওয়ার্ডে এইচএআই পাওয়া গেছে প্রায় ৮ শতাংশ।
হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণের কারণে অনেক সময় রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকও কার্যকর হয় না বলে উল্লেখ করেছেন সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আরিফুল বাসার। তিনি বলেন, ‘দেশের হাসপাতালগুলোতে নমুনার কালচার (জীবাণু শনাক্তের বিশেষ পদ্ধতি) কম হয়। অনেক স্থানে এর ব্যবস্থাও নেই। অনেক হাসপাতাল রোগীকে সংক্রমণমুক্ত রাখতে আগাম অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে। এটি রোগীর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।’
হৃদ্যন্ত্রের রোগীদের অন্যতম ঝুঁকি অস্ত্রোপচার-পরবর্তী সংক্রমণের আশঙ্কা। দেশের হৃদ্রোগের সরকারি সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গত বছর ছোট ও বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়েছে যথাক্রমে সাড়ে তিন এবং ১৪ হাজার। মারা গেছেন (চিকিৎসাধীন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছানো) ৭ হাজার ১৪১ জন।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বললেন, ‘রোগী কী সংক্রমণ নিয়ে এসেছিল, সংক্রমণ কেন হচ্ছে, এর প্রতিরোধে কী করতে হবে এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অস্ত্রোপচার কক্ষ, আইসিইউ এবং ক্যাথ ল্যাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এসব বিভাগ থেকে নিয়মিতভাবে নমুনা সংগ্রহ করে কালচার করতে হবে। কোন ওয়ার্ড বা কোন রোগীর সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, তা শনাক্ত করতে হবে। এইচএআই প্রতিরোধের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঙ্গে রোগী এবং স্বজনদের ভূমিকাও জরুরি।’
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলেছেন, হাসপাতাল-অর্জিত সংক্রমণ রোগীর হাসপাতালবাসের সময় দীর্ঘায়িত করায় প্রভাব ফেলে। তাঁরা বলেন, রোগী এক রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এলেও পরে অন্য কোনো সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। এর জন্য রোগীকে বাড়তি অর্থ ব্যয়ে বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। অন্য রোগীরাও ভর্তি হতে পারেন না।
জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতাল অর্জিত সংক্রমণকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি কত বড় সমস্যা তা উদঘাটন করা গেলে সমাধানের পথে হাঁটা যেত। বিভিন্ন বিভাগ, ইউনিট ধরে ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সংক্রমণ প্রতিরোধ করা গেলে চিকিৎসার মানও উন্নত হতো, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়ও কমে যেত।’

ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে অন্যান্য সংক্রমণের মধ্যে পড়েন বহু রোগী। এতে অসুস্থতার মেয়াদ বেড়ে বাড়তি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ রোগীর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা, এমনকি মৃত্যুও ঘটায়। দেশের হাসপাতালে এমন সংক্রমণ জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
০১ আগস্ট ২০২৫
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে অন্যান্য সংক্রমণের মধ্যে পড়েন বহু রোগী। এতে অসুস্থতার মেয়াদ বেড়ে বাড়তি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ রোগীর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা, এমনকি মৃত্যুও ঘটায়। দেশের হাসপাতালে এমন সংক্রমণ জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
০১ আগস্ট ২০২৫
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে অন্যান্য সংক্রমণের মধ্যে পড়েন বহু রোগী। এতে অসুস্থতার মেয়াদ বেড়ে বাড়তি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ রোগীর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা, এমনকি মৃত্যুও ঘটায়। দেশের হাসপাতালে এমন সংক্রমণ জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
০১ আগস্ট ২০২৫
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে অন্যান্য সংক্রমণের মধ্যে পড়েন বহু রোগী। এতে অসুস্থতার মেয়াদ বেড়ে বাড়তি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ রোগীর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা, এমনকি মৃত্যুও ঘটায়। দেশের হাসপাতালে এমন সংক্রমণ জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
০১ আগস্ট ২০২৫
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে