ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের উল্লিখিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্র হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে ‘শরীফার গল্প’ অংশটুকু ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ঝর্ণার গল্প’ লেখা একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমের বইয়ের পৃষ্ঠা।
‘ওয়েলকাম বাংলাদেশ’ নামে ২৭ হাজার ফলোয়ারের একটি পেজ থেকে ২১ জানুয়ারি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবিটি শেয়ার করে লেখা হয়, ‘শরীফার গল্প বা ঝর্ণার গল্পই শুধু নয়। নতুন কারিকুলামের প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে ইসলামী বিদ্বেষ; সাথে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির উপর কঠোর আঘাত। আচ্ছা আমি একজন শিক্ষক আমি কীভাবে আমার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এইভাবে খোলামেলা এইগুলো পড়াতে পারি!! এইখানে উভয় ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিত। আর কোন মা বাবা তার ছেলেমেয়েকে কিভাবে এইগুলো পড়াবে। এইগুলো পাঠ্যপুস্তকে সরাসরি না দিলে কি হতো না!!’
আসিফ মুহাম্মদ নামের একটি পেজ থেকে ১৬ জানুয়ারি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘নতুন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর আলোচনা দরকার। ট্রান্স*ন্ডার হচ্ছে অনেকগুলো পার্টের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। কিন্তু কথা বলা দরকার পুরো সিস্টেম নিয়ে, শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে। আজকে এলাকার এক দোকানে গিয়ে দেখি নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে কথা-কাটাকাটি চলছে। দুই চাচা এই শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে, দুইজন বিপক্ষে। এই ছবিটা দেখিয়ে বললাম, এটা আপনার ১০ বছরের বাচ্চাকে শেখানোর ক্ষতিটা বুঝতে পারছেন?...’ পোস্টটিতে অনেক মন্তব্যকারীকে পৃষ্ঠাটি কোন শ্রেণির বইয়ের, তা জানতে চেয়ে কমেন্ট করতে দেখা গেছে।
লুৎফুর রহমান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ছবিটি তাঁর অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এইগুলো কি আমাদের শেখার দরকার আছে? শিক্ষাকে যৌনতায় নিয়ে যাচ্ছেন কেন? ছেলে মেয়ে উভয় যখন ক্লাসে এইগুলো এক সাথে পড়বে, তখন তাদের মাঝে কি বিরাজ করবে??’ লুৎফুর রহমানের এই পোস্টে একজন জানতে চান, বইয়ের পৃষ্ঠা কোন শ্রেণির? উত্তরে তিনি জানান, নবম শ্রেণির বই। (ফেসবুক পোস্টগুলোর ভাষাগত কোনো পরিবর্তন করা হয়নি)
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি কি নতুন পাঠ্যক্রমের বা নবম শ্রেণির? যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভাইরাল পৃষ্ঠাটির উৎস অনুসন্ধানে ফেসবুকে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪ নামের একটি প্রায় দেড় লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপে ৮ জানুয়ারি ২টা ২৮ মিনিটে দেওয়া একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে ভাইরাল পৃষ্ঠাটি যুক্ত করে লেখা হয়েছে, ‘এটাও শিখাইতে হবে? জেমস ডায়েরি নামক একটা বই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদেরকে দেওয়া হচ্ছে। এদের আসলে উদ্দেশ্য কি? একটা বেহায়া প্রজন্ম তৈরি করা।’
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যের ওয়েবসাইটে ‘আমার জেমস ডায়েরি, জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্প’ নামে একটি বই খুঁজে পাওয়া যায়। বইটির ৫৫ পৃষ্ঠায় ‘ঝর্ণার গল্প’ নামক অংশটি খুঁজে পাওয়া যায়।
‘আমার জেমস ডায়েরি’ বইটির পরিচয়ে লেখা আছে, এটি প্রকাশনার দায়িত্বে ছিল প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ (এনসিটিবি)। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বইটির সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপা হয়।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ‘সেক্স এডুকেশন: সাড়ে তিন শ স্কুলের শিক্ষার্থীরা ‘জেনারেশন ব্রেক থ্রু’র ক্লাসরুমে পাঁচ বছরে যা শিখলো’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের চারটি জেলার ৩৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের জেমস বা ‘জেন্ডার ইকুয়িটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস’ নামে একটি কোর্স পড়ানো হয়। কোর্সটি সাজানো হয়েছিল ‘আমার জেমস ডায়েরি’ নামের একটি বই, সাতটি কম্পিউটার গেমস, দুটি বোর্ড গেম, একটি অ্যানিমেশন ভিডিও আর এক শ পর্বের রেডিও ধারাবাহিক দিয়ে।
বিবিসির ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ২০১৮ শেষ হওয়ার সাথে সঙ্গেই জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। যদিও তখন অনেক বিদ্যালয়ে কোর্সটি পড়ানো অব্যাহত ছিল। তবে তখন প্রকল্পটির তৎকালীন পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বিবিসিকে জানান, ‘তারা অচিরেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করবেন।’ সেখানে বিদ্যমান সাড়ে ৩০০ বিদ্যালয়ের সঙ্গে আরও ২০০টি বিদ্যালয় যুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় ইউএনএফপির মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের প্রথম পর্যায় সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ১০-১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীরা এই প্রকল্পের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঢাকা থেকে মোট ৩৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা এবং ১৫০টি ক্লাবের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মনোভাব পরিবর্তনের জন্য প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের সফলতার ধারাবাহিকতায় আরও পাঁচটি জেলা সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলার ২৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে কানাডা সরকার। ইউএনএফপিএর কারিগরি সহায়তায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কনসার্নড উইমেন ফর ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট (সিডব্লিউএফডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য।
প্রকল্পটি বর্তমান অবস্থা ও প্রকল্পের বইটি এখনো বিতরণ করা হয় কি না, সে সম্পর্কে জানতে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। বর্তমানে তিনি মাউশির প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক হিসেবে আছেন। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এই প্রকল্প ২০২১-২২ সালেই শেষ হয়ে গেছে। আমি যদ্দুর জানি, এটা শেষ হয়ে গেছে। এরপর আর এটির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।’
মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার উপপরিচালক মো. মুরশীদ আকতারও আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগকে প্রকল্পটি চালু নেই বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটি বছরখানেক হবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে এবং এই প্রকল্প পাইলটিং ছিল, এর অনেক কিছুই বর্তমান পাঠ্যপুস্তকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই প্রকল্পটির কোর্স ম্যাটারিয়ালেরও আর ভ্যালিডিটি নেই।’
পরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইগুলো খুঁজে ভাইরাল পৃষ্ঠাটির মতো কোনো পৃষ্ঠা বা ‘ঝর্ণার গল্প’ নামে আলাদা কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইটি নেই।
সুতরাং উপরিউক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট যে, ঝর্ণার গল্প শীর্ষক ভাইরাল পৃষ্ঠাটি নতুন শিক্ষাক্রমের কোনো বইয়ের পৃষ্ঠার নয়। এটি মূলত সরকারের জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের কোর্সের বই ‘আমার জেমস ডায়েরি’ নামের একটি বইয়ের পৃষ্ঠা। জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটি ২০১৪ সালে প্রথম শুরু হয়। প্রথম পর্যায় শেষে ২০১৯ সালে প্রকল্পটি দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হলেও বর্তমানে প্রকল্পটি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের উল্লিখিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্র হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে ‘শরীফার গল্প’ অংশটুকু ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ঝর্ণার গল্প’ লেখা একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমের বইয়ের পৃষ্ঠা।
‘ওয়েলকাম বাংলাদেশ’ নামে ২৭ হাজার ফলোয়ারের একটি পেজ থেকে ২১ জানুয়ারি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবিটি শেয়ার করে লেখা হয়, ‘শরীফার গল্প বা ঝর্ণার গল্পই শুধু নয়। নতুন কারিকুলামের প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে ইসলামী বিদ্বেষ; সাথে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির উপর কঠোর আঘাত। আচ্ছা আমি একজন শিক্ষক আমি কীভাবে আমার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এইভাবে খোলামেলা এইগুলো পড়াতে পারি!! এইখানে উভয় ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিত। আর কোন মা বাবা তার ছেলেমেয়েকে কিভাবে এইগুলো পড়াবে। এইগুলো পাঠ্যপুস্তকে সরাসরি না দিলে কি হতো না!!’
আসিফ মুহাম্মদ নামের একটি পেজ থেকে ১৬ জানুয়ারি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘নতুন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর আলোচনা দরকার। ট্রান্স*ন্ডার হচ্ছে অনেকগুলো পার্টের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। কিন্তু কথা বলা দরকার পুরো সিস্টেম নিয়ে, শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে। আজকে এলাকার এক দোকানে গিয়ে দেখি নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে কথা-কাটাকাটি চলছে। দুই চাচা এই শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে, দুইজন বিপক্ষে। এই ছবিটা দেখিয়ে বললাম, এটা আপনার ১০ বছরের বাচ্চাকে শেখানোর ক্ষতিটা বুঝতে পারছেন?...’ পোস্টটিতে অনেক মন্তব্যকারীকে পৃষ্ঠাটি কোন শ্রেণির বইয়ের, তা জানতে চেয়ে কমেন্ট করতে দেখা গেছে।
লুৎফুর রহমান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ছবিটি তাঁর অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এইগুলো কি আমাদের শেখার দরকার আছে? শিক্ষাকে যৌনতায় নিয়ে যাচ্ছেন কেন? ছেলে মেয়ে উভয় যখন ক্লাসে এইগুলো এক সাথে পড়বে, তখন তাদের মাঝে কি বিরাজ করবে??’ লুৎফুর রহমানের এই পোস্টে একজন জানতে চান, বইয়ের পৃষ্ঠা কোন শ্রেণির? উত্তরে তিনি জানান, নবম শ্রেণির বই। (ফেসবুক পোস্টগুলোর ভাষাগত কোনো পরিবর্তন করা হয়নি)
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি কি নতুন পাঠ্যক্রমের বা নবম শ্রেণির? যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভাইরাল পৃষ্ঠাটির উৎস অনুসন্ধানে ফেসবুকে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪ নামের একটি প্রায় দেড় লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপে ৮ জানুয়ারি ২টা ২৮ মিনিটে দেওয়া একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে ভাইরাল পৃষ্ঠাটি যুক্ত করে লেখা হয়েছে, ‘এটাও শিখাইতে হবে? জেমস ডায়েরি নামক একটা বই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদেরকে দেওয়া হচ্ছে। এদের আসলে উদ্দেশ্য কি? একটা বেহায়া প্রজন্ম তৈরি করা।’
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যের ওয়েবসাইটে ‘আমার জেমস ডায়েরি, জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্প’ নামে একটি বই খুঁজে পাওয়া যায়। বইটির ৫৫ পৃষ্ঠায় ‘ঝর্ণার গল্প’ নামক অংশটি খুঁজে পাওয়া যায়।
‘আমার জেমস ডায়েরি’ বইটির পরিচয়ে লেখা আছে, এটি প্রকাশনার দায়িত্বে ছিল প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ (এনসিটিবি)। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বইটির সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপা হয়।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ‘সেক্স এডুকেশন: সাড়ে তিন শ স্কুলের শিক্ষার্থীরা ‘জেনারেশন ব্রেক থ্রু’র ক্লাসরুমে পাঁচ বছরে যা শিখলো’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের চারটি জেলার ৩৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের জেমস বা ‘জেন্ডার ইকুয়িটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস’ নামে একটি কোর্স পড়ানো হয়। কোর্সটি সাজানো হয়েছিল ‘আমার জেমস ডায়েরি’ নামের একটি বই, সাতটি কম্পিউটার গেমস, দুটি বোর্ড গেম, একটি অ্যানিমেশন ভিডিও আর এক শ পর্বের রেডিও ধারাবাহিক দিয়ে।
বিবিসির ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ২০১৮ শেষ হওয়ার সাথে সঙ্গেই জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। যদিও তখন অনেক বিদ্যালয়ে কোর্সটি পড়ানো অব্যাহত ছিল। তবে তখন প্রকল্পটির তৎকালীন পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বিবিসিকে জানান, ‘তারা অচিরেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করবেন।’ সেখানে বিদ্যমান সাড়ে ৩০০ বিদ্যালয়ের সঙ্গে আরও ২০০টি বিদ্যালয় যুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় ইউএনএফপির মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের প্রথম পর্যায় সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ১০-১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীরা এই প্রকল্পের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঢাকা থেকে মোট ৩৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা এবং ১৫০টি ক্লাবের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মনোভাব পরিবর্তনের জন্য প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের সফলতার ধারাবাহিকতায় আরও পাঁচটি জেলা সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলার ২৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে কানাডা সরকার। ইউএনএফপিএর কারিগরি সহায়তায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কনসার্নড উইমেন ফর ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট (সিডব্লিউএফডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য।
প্রকল্পটি বর্তমান অবস্থা ও প্রকল্পের বইটি এখনো বিতরণ করা হয় কি না, সে সম্পর্কে জানতে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। বর্তমানে তিনি মাউশির প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক হিসেবে আছেন। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এই প্রকল্প ২০২১-২২ সালেই শেষ হয়ে গেছে। আমি যদ্দুর জানি, এটা শেষ হয়ে গেছে। এরপর আর এটির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।’
মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার উপপরিচালক মো. মুরশীদ আকতারও আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগকে প্রকল্পটি চালু নেই বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটি বছরখানেক হবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে এবং এই প্রকল্প পাইলটিং ছিল, এর অনেক কিছুই বর্তমান পাঠ্যপুস্তকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই প্রকল্পটির কোর্স ম্যাটারিয়ালেরও আর ভ্যালিডিটি নেই।’
পরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইগুলো খুঁজে ভাইরাল পৃষ্ঠাটির মতো কোনো পৃষ্ঠা বা ‘ঝর্ণার গল্প’ নামে আলাদা কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইটি নেই।
সুতরাং উপরিউক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট যে, ঝর্ণার গল্প শীর্ষক ভাইরাল পৃষ্ঠাটি নতুন শিক্ষাক্রমের কোনো বইয়ের পৃষ্ঠার নয়। এটি মূলত সরকারের জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের কোর্সের বই ‘আমার জেমস ডায়েরি’ নামের একটি বইয়ের পৃষ্ঠা। জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটি ২০১৪ সালে প্রথম শুরু হয়। প্রথম পর্যায় শেষে ২০১৯ সালে প্রকল্পটি দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হলেও বর্তমানে প্রকল্পটি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

এক সেমিনারে ‘শরীফার গল্প’ অংশটুকু ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ঝর্ণার গল্প’ লেখা একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি নতুন কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমের বইয়ের পৃষ্ঠা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

এক সেমিনারে ‘শরীফার গল্প’ অংশটুকু ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ঝর্ণার গল্প’ লেখা একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি নতুন কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমের বইয়ের পৃষ্ঠা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

এক সেমিনারে ‘শরীফার গল্প’ অংশটুকু ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ঝর্ণার গল্প’ লেখা একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি নতুন কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমের বইয়ের পৃষ্ঠা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

এক সেমিনারে ‘শরীফার গল্প’ অংশটুকু ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ঝর্ণার গল্প’ লেখা একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি নতুন কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমের বইয়ের পৃষ্ঠা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫