মাসুদ রানা, নাগরপুর

নাগরপুরের মামুদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহের খবর পেয়েছেন শিক্ষকেরা। তবে নিয়মিত সব শ্রেণির ক্লাস শুরু হলে আরও কতজন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মো. শওকত মিয়া। উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়েও একই রকম অবস্থার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও তারা বলছেন উপজেলায় করোনাকালে বাল্যবিবাহ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের পরিবারের মেয়েরাই বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছেন বেশি। উপজেলায় কদাচিৎ বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এটি অনেকটা স্বাভাবিকের মতোই ঘটেছে। এ উপজেলায় ৪১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে গড়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৭৫ শতাংশ। অনুপস্থিতির একটি অংশ স্বেচ্ছায় লেখা পড়া ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। আরেকটি অংশ বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
জরিপননেছা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক পারভিন আক্তার বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মোট কতজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে তা এখনো নিরূপণ সম্ভব হয়নি।
নাগরপুর শহীদ সামছুল হক পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেতাব আলী বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে প্রতি শ্রেণিতে গড়ে কমপক্ষে পাঁচজন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের রিসোর্স শিক্ষক (ইংরেজি) এম এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ২০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। নিয়মিত ক্লাস শুরু হলে বাকিদের তথ্য জানা যাবে। এ ছাড়া আলহাজ রমজান আলী উচ্চ বিদ্যালয়, আলোকদিয়া আবু সাইদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও একই চিত্র।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, ‘সবেমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। এ মুহূর্তে ঝড়ে পড়া কিংবা বাল্যবিবাহের সঠিক তথ্য আমাদের হাতে নেই।’ তবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি আছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় করোনাকালে ১৫টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি। বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন তথ্য পেলেই সঙ্গে সঙ্গেই তা বন্ধ করতে যাই। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েছে।’

নাগরপুরের মামুদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহের খবর পেয়েছেন শিক্ষকেরা। তবে নিয়মিত সব শ্রেণির ক্লাস শুরু হলে আরও কতজন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মো. শওকত মিয়া। উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়েও একই রকম অবস্থার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও তারা বলছেন উপজেলায় করোনাকালে বাল্যবিবাহ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের পরিবারের মেয়েরাই বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছেন বেশি। উপজেলায় কদাচিৎ বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এটি অনেকটা স্বাভাবিকের মতোই ঘটেছে। এ উপজেলায় ৪১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে গড়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৭৫ শতাংশ। অনুপস্থিতির একটি অংশ স্বেচ্ছায় লেখা পড়া ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। আরেকটি অংশ বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
জরিপননেছা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক পারভিন আক্তার বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মোট কতজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে তা এখনো নিরূপণ সম্ভব হয়নি।
নাগরপুর শহীদ সামছুল হক পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেতাব আলী বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে প্রতি শ্রেণিতে গড়ে কমপক্ষে পাঁচজন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের রিসোর্স শিক্ষক (ইংরেজি) এম এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ২০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। নিয়মিত ক্লাস শুরু হলে বাকিদের তথ্য জানা যাবে। এ ছাড়া আলহাজ রমজান আলী উচ্চ বিদ্যালয়, আলোকদিয়া আবু সাইদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও একই চিত্র।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, ‘সবেমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। এ মুহূর্তে ঝড়ে পড়া কিংবা বাল্যবিবাহের সঠিক তথ্য আমাদের হাতে নেই।’ তবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি আছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় করোনাকালে ১৫টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি। বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন তথ্য পেলেই সঙ্গে সঙ্গেই তা বন্ধ করতে যাই। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েছে।’

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫