মামুনুর রশীদ, নাট্যব্যক্তিত্ব

শুভ-অশুভ মিলিয়ে যাত্রা ক্লান্তিকর। সেই ওয়াশিংটন থেকে দোহা ১৩ ঘণ্টা। এরপর বিরতির পর সবটা মিলিয়ে ৭ ঘণ্টা। এর মধ্যে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয়। যাওয়ার সময় একদলের সঙ্গে পরিচয়, যাঁরা যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকা। তাঁদের লক্ষ্য, যাবেন কলম্বিয়া। ভাষা শিখেছেন, শিক্ষিত। কিন্তু সেখানকার লেখকদের, বিশেষ করে মারকেজের লেখা থেকে জেনেছি প্রবল দারিদ্র্যও সেখানে। তবু প্রবাস ভালো। ছেলেগুলোকে বেশ বুদ্ধিমান মনে হলো, একটুখানি সমাজ সচেতনও। তবু ওই দেশে কেন যাচ্ছেন, বোধগম্য হলো না।
বাঙালিকে একসময় মনে হতো ঘরকুনো। ইংরেজিতে বলা হতো ‘হোম সিক’। কথাটা আজকে নয়, বহু আগে থেকেই সত্য নয়। বাংলার সব শহরেই একটা ব্যবসার এলাকা ছিল। যার নাম ঢাকাইয়াপট্টি। এখানে বিশেষ ধরনের কিছু গার্হস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যেত। তাঁরা সবাই বিক্রমপুরের অধিবাসী। এখনো বাংলার বিভিন্ন শহরে তাঁদের অস্তিত্ব রয়ে গেছে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, লক্ষ্ণৌ, এলাহাবাদ থেকে শুরু করে ভিন্ন জাতীয়তার দেশে এই অভিবাসন খুবই লক্ষণীয়। এমনকি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে বিপুলসংখ্যক বাঙালি পাওয়া যাবে। এসব জায়গায় দুর্গাপূজা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। দুর্গাপূজার সময় কলকাতা থেকে বিভিন্ন নাট্যদল, গানের-নাচের দল এবং বড় বড় কণ্ঠশিল্পীর আগমন ঘটে।
একবার আসামের ধুবড়ীতে বেশ কিছু লোকের সঙ্গে পরিচিত হলাম, যাঁরা গেছেন টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ থেকে। শুধু তা-ই নয়, এই অঞ্চলের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী থাকে উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর হয়ে একেবারে পঞ্চগড় পর্যন্ত। তাঁরা দরিদ্রও নয়, মোটামুটি সম্পন্ন। কখনো দুর্ভিক্ষের কারণে, কখনোবা উন্নত জীবনযাপনের জন্য দেশ ছেড়েছেন। দেশবিভাগের কারণেও শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি অঞ্চলেও বিপুল পরিমাণ পূর্ব বাংলার লোক মোটামুটি সচ্ছল জীবনযাপন করে আসছেন।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর পশ্চিমেও ব্যাপকভাবে অভিবাসন হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে তুলনামূলকভাবে স্থায়ী অভিবাসনের সংখ্যা নিতান্তই কম। এখানে সবাই আসে জীবিকার জন্য, এক বিশাল অদক্ষ শ্রমজীবী। তাঁরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেও চান না। দেশে টাকা পাঠান, দেশেই বিয়েশাদি করেন এবং সুযোগ পেলে দেশে আসেন। তবে তাঁরা কোনো উন্নত সংস্কৃতি নিয়ে আসেন না।
আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিরাট একটা অংশ উত্তর আমেরিকায় যায়। সঙ্গে অভিভাবকেরাও। তাঁদের চোখে স্বপ্ন। এ যেন নতুন এক স্বপ্নের দেশে যাচ্ছেন তাঁরা। জীবনের বড় সার্থকতার সূচনা হচ্ছে। অধিকাংশের ক্ষেত্রে হয়তো তা-ই হয়।
একদা অভিবাসনের লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ড। সেই ১৭৭৪ সালে প্রথম বাঙালি হিশামুদ্দিন গিয়েছিলেন লন্ডনে, ছয় মাস, নয় মাস বা এক বছর সমুদ্র যাত্রা করে। এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীতে উচ্চশিক্ষার জন্য এবং বিশেষ করে ব্যারিস্টারি পড়তে একশ্রেণির বিত্তবান লোকের সন্তানেরাও যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু সনাতন ধর্মে যেহেতু সমুদ্র পার হয়তো বারণ ছিল এবং কালাপানি স্পর্শ করলেই অধর্ম হতো। তাই একটা বড় ধরনের বাধাও ছিল। এই বাধা অতিক্রম করে ব্যারিস্টারি পাস করে দেশে আইন ব্যবসায় তাঁরা বড় বড় জায়গা করে নিয়েছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে তাঁরাই আইনজীবী হয়ে দেশের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এভাবে বিংশ শতাব্দীতে বিলেতযাত্রা (ইংল্যান্ডযাত্রা) সহজ হয়ে ওঠে।
এই পথ ধরেই ইউরোপযাত্রা বাঙালির জীবনে একটা আশীর্বাদ হয়ে ওঠে। কলকাতা, মুম্বাই, মাদ্রাজ থেকে এই যাত্রা শুরু হয়ে মিসরের সুয়েজখাল হয়ে ইংল্যান্ডের ডোভারে গিয়ে শেষ হতো। সেখান থেকে এক ক্লান্তিকর যাত্রা লন্ডনে। তবু বাঙালির অভিবাসন যাত্রা কমেনি; বরং বাড়তেই থাকে। এ সময় আমেরিকাযাত্রা সহজ ছিল না। যদিও এ সময় স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকায় গেছেন, বেশ কিছু শহরে গিয়ে বক্তৃতাও করেছেন। ইতিহাস ঘাঁটলে ওই সময়ে আরও অনেক স্থানেই এই অঞ্চলের অনেক অভিবাসীকে খুঁজে পাওয়া যাবে। যেমন কানাডার বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে ভ্যানকুভার শহরটাই যেন অভিবাসীদের তৈরি। সেই ইতিহাসের গভীরে আর যাব না।
এক শ বছরের অধিক সময় ধরে উপমহাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র রয়ে গেছে পশ্চিমেই। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ না গেলে উচ্চশিক্ষার পরীক্ষাটা ঠিক হয় না। এখন কেন্দ্রের পরিবর্তন হয়ে গেছে। উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র দাঁড়িয়ে গেছে। এখন শিক্ষার চেয়ে নম্বর এবং চাকরি প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার মর্মবাণী আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই নির্বাসিত হয়ে গেছে। তবু শিক্ষার ক্ষেত্রে টাকার লগ্নি কিন্তু কম হচ্ছে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গতি মন্থর হলেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একেবারে রমরমা। সম্প্রতি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যা দেখলাম তাতে মনে হলো, আমি কি বাংলাদেশে আছি নাকি পশ্চিমের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরছি!
বোঝা যায়, শিক্ষায় মালিকদের মুনাফা অকল্পনীয় যেমন হয়েছে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও তা-ই। প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি দেশে। তাতেও হচ্ছে না। যেতে হচ্ছে বিদেশে। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং হাসপাতাল আমাদের দেশের টাকাতেই চলছে। বৈধ এবং অবৈধভাবে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী চলাচল! এই চলাচল দিন দিন বাড়ছে।
আজকের দিনে অভিবাসন শুধু ইংল্যান্ড, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য তো নয়ই, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং, তাইওয়ান, রাশিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। সব জায়গাতেই বাঙালিদের পাওয়া যাবে। তাঁদের সবারই বাংলা সংস্কৃতিতেও আগ্রহ আছে। বাঙালির চিরদিনের স্বভাবও তাঁদের মধ্যে আছে। দলাদলি, সমিতি গঠন, পরশ্রীকাতরতা—সবকিছু। আরও আছে ‘হোয়াইট কলারদের’ সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষদের চলাচলের বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য। এই বৈষম্যটা ধরা পড়ে বিদেশের সংস্কৃতি চর্চায় এবং ভ্রমণে। এক শ্রেণি আরেক শ্রেণির সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলে না। এভাবে একটা ব্যাপক শ্রেণিবৈষম্যও গড়ে উঠেছে প্রবাসে।
তবে এখন তা শহরভিত্তিক হয়ে উঠেছে। কিছু কিছু শহরে উচ্চশিক্ষিতদের বসবাস, চাকরিবাকরির ক্ষেত্রেও ‘হোয়াইট কলার’, আবার কিছু শহরে মিশ্র। সেই সব শহরে উচ্চশিক্ষিতদের কোনো জায়গাই নেই; বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোতে একজন প্রবাসীর আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টকর। প্রতিদিনই নিষ্ঠুরতার নানা কাহিনি আমরা শুনতে পাই। ফিরতি যাত্রায় অনেক হতাশ এবং ব্যর্থ মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়; যাঁরা বিদেশে তেমন কিছু করতে পারেননি; বরং বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে ফিরছেন।
ভারতবর্ষ, চীন বহু আগে থেকেই প্রবাসের পথে যাত্রা করেছে। তাদের একটা প্রবাস সংস্কৃতিও গড়ে উঠেছে। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যা-ই কিছু হোক না কেন, একতাবদ্ধ হয়ে তাঁরা একটা সুস্থ জীবনযাপন করেন। কিন্তু আমাদের বাঙালিরা বড়ই রাজনীতিসচেতন। সার্বক্ষণিক তাঁরা দেশের যেকোনো সংবাদে কাতর হয়ে পড়েন। তাঁরা যেকোনো দলের সমর্থক ও অন্য দলের সমালোচক। তবে ওয়াশিংটন ডিসির বইমেলা আমাকে এটুকু স্বস্তি দিয়েছিল, সেখানে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কোনো কথা হয়নি; হাত গুটিয়ে একদল আরেক দলের দিকে মারমুখী হয়নি। তবে রাজনীতিকে একেবারে এড়িয়ে গিয়ে কিছু বইয়ের আলোচনা হলো, এ রকমও নয়। কারণ সাহিত্য-শিল্প রাজনীতি বিবর্জিত কোনো বিষয় নয়। তাই সমাজের উপরিতলে যে রাজনীতি আমাদের ৫২ বছরের অভিজ্ঞতা দিল, তার আলোচনা তো হওয়া চাই। সেটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে।

শুভ-অশুভ মিলিয়ে যাত্রা ক্লান্তিকর। সেই ওয়াশিংটন থেকে দোহা ১৩ ঘণ্টা। এরপর বিরতির পর সবটা মিলিয়ে ৭ ঘণ্টা। এর মধ্যে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয়। যাওয়ার সময় একদলের সঙ্গে পরিচয়, যাঁরা যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকা। তাঁদের লক্ষ্য, যাবেন কলম্বিয়া। ভাষা শিখেছেন, শিক্ষিত। কিন্তু সেখানকার লেখকদের, বিশেষ করে মারকেজের লেখা থেকে জেনেছি প্রবল দারিদ্র্যও সেখানে। তবু প্রবাস ভালো। ছেলেগুলোকে বেশ বুদ্ধিমান মনে হলো, একটুখানি সমাজ সচেতনও। তবু ওই দেশে কেন যাচ্ছেন, বোধগম্য হলো না।
বাঙালিকে একসময় মনে হতো ঘরকুনো। ইংরেজিতে বলা হতো ‘হোম সিক’। কথাটা আজকে নয়, বহু আগে থেকেই সত্য নয়। বাংলার সব শহরেই একটা ব্যবসার এলাকা ছিল। যার নাম ঢাকাইয়াপট্টি। এখানে বিশেষ ধরনের কিছু গার্হস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যেত। তাঁরা সবাই বিক্রমপুরের অধিবাসী। এখনো বাংলার বিভিন্ন শহরে তাঁদের অস্তিত্ব রয়ে গেছে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, লক্ষ্ণৌ, এলাহাবাদ থেকে শুরু করে ভিন্ন জাতীয়তার দেশে এই অভিবাসন খুবই লক্ষণীয়। এমনকি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে বিপুলসংখ্যক বাঙালি পাওয়া যাবে। এসব জায়গায় দুর্গাপূজা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। দুর্গাপূজার সময় কলকাতা থেকে বিভিন্ন নাট্যদল, গানের-নাচের দল এবং বড় বড় কণ্ঠশিল্পীর আগমন ঘটে।
একবার আসামের ধুবড়ীতে বেশ কিছু লোকের সঙ্গে পরিচিত হলাম, যাঁরা গেছেন টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ থেকে। শুধু তা-ই নয়, এই অঞ্চলের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী থাকে উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর হয়ে একেবারে পঞ্চগড় পর্যন্ত। তাঁরা দরিদ্রও নয়, মোটামুটি সম্পন্ন। কখনো দুর্ভিক্ষের কারণে, কখনোবা উন্নত জীবনযাপনের জন্য দেশ ছেড়েছেন। দেশবিভাগের কারণেও শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি অঞ্চলেও বিপুল পরিমাণ পূর্ব বাংলার লোক মোটামুটি সচ্ছল জীবনযাপন করে আসছেন।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর পশ্চিমেও ব্যাপকভাবে অভিবাসন হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে তুলনামূলকভাবে স্থায়ী অভিবাসনের সংখ্যা নিতান্তই কম। এখানে সবাই আসে জীবিকার জন্য, এক বিশাল অদক্ষ শ্রমজীবী। তাঁরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেও চান না। দেশে টাকা পাঠান, দেশেই বিয়েশাদি করেন এবং সুযোগ পেলে দেশে আসেন। তবে তাঁরা কোনো উন্নত সংস্কৃতি নিয়ে আসেন না।
আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিরাট একটা অংশ উত্তর আমেরিকায় যায়। সঙ্গে অভিভাবকেরাও। তাঁদের চোখে স্বপ্ন। এ যেন নতুন এক স্বপ্নের দেশে যাচ্ছেন তাঁরা। জীবনের বড় সার্থকতার সূচনা হচ্ছে। অধিকাংশের ক্ষেত্রে হয়তো তা-ই হয়।
একদা অভিবাসনের লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ড। সেই ১৭৭৪ সালে প্রথম বাঙালি হিশামুদ্দিন গিয়েছিলেন লন্ডনে, ছয় মাস, নয় মাস বা এক বছর সমুদ্র যাত্রা করে। এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীতে উচ্চশিক্ষার জন্য এবং বিশেষ করে ব্যারিস্টারি পড়তে একশ্রেণির বিত্তবান লোকের সন্তানেরাও যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু সনাতন ধর্মে যেহেতু সমুদ্র পার হয়তো বারণ ছিল এবং কালাপানি স্পর্শ করলেই অধর্ম হতো। তাই একটা বড় ধরনের বাধাও ছিল। এই বাধা অতিক্রম করে ব্যারিস্টারি পাস করে দেশে আইন ব্যবসায় তাঁরা বড় বড় জায়গা করে নিয়েছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে তাঁরাই আইনজীবী হয়ে দেশের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এভাবে বিংশ শতাব্দীতে বিলেতযাত্রা (ইংল্যান্ডযাত্রা) সহজ হয়ে ওঠে।
এই পথ ধরেই ইউরোপযাত্রা বাঙালির জীবনে একটা আশীর্বাদ হয়ে ওঠে। কলকাতা, মুম্বাই, মাদ্রাজ থেকে এই যাত্রা শুরু হয়ে মিসরের সুয়েজখাল হয়ে ইংল্যান্ডের ডোভারে গিয়ে শেষ হতো। সেখান থেকে এক ক্লান্তিকর যাত্রা লন্ডনে। তবু বাঙালির অভিবাসন যাত্রা কমেনি; বরং বাড়তেই থাকে। এ সময় আমেরিকাযাত্রা সহজ ছিল না। যদিও এ সময় স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকায় গেছেন, বেশ কিছু শহরে গিয়ে বক্তৃতাও করেছেন। ইতিহাস ঘাঁটলে ওই সময়ে আরও অনেক স্থানেই এই অঞ্চলের অনেক অভিবাসীকে খুঁজে পাওয়া যাবে। যেমন কানাডার বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে ভ্যানকুভার শহরটাই যেন অভিবাসীদের তৈরি। সেই ইতিহাসের গভীরে আর যাব না।
এক শ বছরের অধিক সময় ধরে উপমহাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র রয়ে গেছে পশ্চিমেই। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ না গেলে উচ্চশিক্ষার পরীক্ষাটা ঠিক হয় না। এখন কেন্দ্রের পরিবর্তন হয়ে গেছে। উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র দাঁড়িয়ে গেছে। এখন শিক্ষার চেয়ে নম্বর এবং চাকরি প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার মর্মবাণী আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই নির্বাসিত হয়ে গেছে। তবু শিক্ষার ক্ষেত্রে টাকার লগ্নি কিন্তু কম হচ্ছে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গতি মন্থর হলেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একেবারে রমরমা। সম্প্রতি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যা দেখলাম তাতে মনে হলো, আমি কি বাংলাদেশে আছি নাকি পশ্চিমের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরছি!
বোঝা যায়, শিক্ষায় মালিকদের মুনাফা অকল্পনীয় যেমন হয়েছে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও তা-ই। প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি দেশে। তাতেও হচ্ছে না। যেতে হচ্ছে বিদেশে। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং হাসপাতাল আমাদের দেশের টাকাতেই চলছে। বৈধ এবং অবৈধভাবে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী চলাচল! এই চলাচল দিন দিন বাড়ছে।
আজকের দিনে অভিবাসন শুধু ইংল্যান্ড, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য তো নয়ই, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং, তাইওয়ান, রাশিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। সব জায়গাতেই বাঙালিদের পাওয়া যাবে। তাঁদের সবারই বাংলা সংস্কৃতিতেও আগ্রহ আছে। বাঙালির চিরদিনের স্বভাবও তাঁদের মধ্যে আছে। দলাদলি, সমিতি গঠন, পরশ্রীকাতরতা—সবকিছু। আরও আছে ‘হোয়াইট কলারদের’ সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষদের চলাচলের বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য। এই বৈষম্যটা ধরা পড়ে বিদেশের সংস্কৃতি চর্চায় এবং ভ্রমণে। এক শ্রেণি আরেক শ্রেণির সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলে না। এভাবে একটা ব্যাপক শ্রেণিবৈষম্যও গড়ে উঠেছে প্রবাসে।
তবে এখন তা শহরভিত্তিক হয়ে উঠেছে। কিছু কিছু শহরে উচ্চশিক্ষিতদের বসবাস, চাকরিবাকরির ক্ষেত্রেও ‘হোয়াইট কলার’, আবার কিছু শহরে মিশ্র। সেই সব শহরে উচ্চশিক্ষিতদের কোনো জায়গাই নেই; বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোতে একজন প্রবাসীর আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টকর। প্রতিদিনই নিষ্ঠুরতার নানা কাহিনি আমরা শুনতে পাই। ফিরতি যাত্রায় অনেক হতাশ এবং ব্যর্থ মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়; যাঁরা বিদেশে তেমন কিছু করতে পারেননি; বরং বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে ফিরছেন।
ভারতবর্ষ, চীন বহু আগে থেকেই প্রবাসের পথে যাত্রা করেছে। তাদের একটা প্রবাস সংস্কৃতিও গড়ে উঠেছে। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যা-ই কিছু হোক না কেন, একতাবদ্ধ হয়ে তাঁরা একটা সুস্থ জীবনযাপন করেন। কিন্তু আমাদের বাঙালিরা বড়ই রাজনীতিসচেতন। সার্বক্ষণিক তাঁরা দেশের যেকোনো সংবাদে কাতর হয়ে পড়েন। তাঁরা যেকোনো দলের সমর্থক ও অন্য দলের সমালোচক। তবে ওয়াশিংটন ডিসির বইমেলা আমাকে এটুকু স্বস্তি দিয়েছিল, সেখানে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কোনো কথা হয়নি; হাত গুটিয়ে একদল আরেক দলের দিকে মারমুখী হয়নি। তবে রাজনীতিকে একেবারে এড়িয়ে গিয়ে কিছু বইয়ের আলোচনা হলো, এ রকমও নয়। কারণ সাহিত্য-শিল্প রাজনীতি বিবর্জিত কোনো বিষয় নয়। তাই সমাজের উপরিতলে যে রাজনীতি আমাদের ৫২ বছরের অভিজ্ঞতা দিল, তার আলোচনা তো হওয়া চাই। সেটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

শুভ-অশুভ মিলিয়ে যাত্রা ক্লান্তিকর। সেই ওয়াশিংটন থেকে দোহা ১৩ ঘণ্টা। এরপর বিরতির পর সবটা মিলিয়ে ৭ ঘণ্টা। এর মধ্যে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয়। যাওয়ার সময় একদলের সঙ্গে পরিচয়, যাঁরা যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকা। তাঁদের লক্ষ্য, যাবেন কলম্বিয়া। ভাষা শিখেছেন, শিক্ষিত। কিন্তু সেখানকার লেখকদের, বিশেষ করে মারকেজ
১২ অক্টোবর ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

শুভ-অশুভ মিলিয়ে যাত্রা ক্লান্তিকর। সেই ওয়াশিংটন থেকে দোহা ১৩ ঘণ্টা। এরপর বিরতির পর সবটা মিলিয়ে ৭ ঘণ্টা। এর মধ্যে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয়। যাওয়ার সময় একদলের সঙ্গে পরিচয়, যাঁরা যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকা। তাঁদের লক্ষ্য, যাবেন কলম্বিয়া। ভাষা শিখেছেন, শিক্ষিত। কিন্তু সেখানকার লেখকদের, বিশেষ করে মারকেজ
১২ অক্টোবর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

শুভ-অশুভ মিলিয়ে যাত্রা ক্লান্তিকর। সেই ওয়াশিংটন থেকে দোহা ১৩ ঘণ্টা। এরপর বিরতির পর সবটা মিলিয়ে ৭ ঘণ্টা। এর মধ্যে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয়। যাওয়ার সময় একদলের সঙ্গে পরিচয়, যাঁরা যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকা। তাঁদের লক্ষ্য, যাবেন কলম্বিয়া। ভাষা শিখেছেন, শিক্ষিত। কিন্তু সেখানকার লেখকদের, বিশেষ করে মারকেজ
১২ অক্টোবর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

শুভ-অশুভ মিলিয়ে যাত্রা ক্লান্তিকর। সেই ওয়াশিংটন থেকে দোহা ১৩ ঘণ্টা। এরপর বিরতির পর সবটা মিলিয়ে ৭ ঘণ্টা। এর মধ্যে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয়। যাওয়ার সময় একদলের সঙ্গে পরিচয়, যাঁরা যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকা। তাঁদের লক্ষ্য, যাবেন কলম্বিয়া। ভাষা শিখেছেন, শিক্ষিত। কিন্তু সেখানকার লেখকদের, বিশেষ করে মারকেজ
১২ অক্টোবর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫