Ajker Patrika

ভাঙা সড়ক ও ‘অযাচিত’ টোলে দুর্ভোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ভাঙা সড়ক ও ‘অযাচিত’ টোলে দুর্ভোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে খানাখন্দে ভরে উঠেছে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস)। সড়ক সংস্কার করা না হলেও কাঞ্চন সেতুর টোল ঠিকই আদায় করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে সড়কটি এখন দুর্ভোগের সড়কে পরিণত হয়েছে। মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে লাগছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। নষ্ট হচ্ছে হাজারো মানুষের কর্মঘণ্টা।

সম্প্রতি সড়কটি সংস্কার এবং কাঞ্চন সেতুর টোল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। পরে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা সরে যান। তবে সড়ক বিভাগ কিংবা উপজেলা প্রশাসনের এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, এশিয়ান হাইওয়ে সড়কটির ওপর অবস্থিত কাঞ্চন সেতু ২০০৬ সালের অক্টোবরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় ১০ বছর পর্যন্ত টোল আদায় করার কথা থাকলেও এখনো এর আদায় চলছে। সওজের দাবি, সরকারের সিদ্ধান্তেই টোল আদায় করা হচ্ছে। সরু টোল প্লাজার কারণে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। নতুন করে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আড়াই কিলোমিটার সড়কজুড়ে খানাখন্দ। ঢাকা থেকে ৩০০ ফুট সড়ক ধরে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত আসতে ১৫ মিনিট সময় লাগলেও কাঞ্চন সেতু অতিক্রম করে সামনে এগোতে লেগে যায় অন্তত দেড় ঘণ্টা। 

পণ্যবাহী ট্রাকচালক সুমন বলেন, টোল প্লাজা থেকে বের হতে ২-৩ ঘণ্টা লেগে যায়। মাঝেমধ্যে আরও বেশি সময় লাগে। আর রাস্তা ভাঙা থাকার কারণে গাড়ি চলে ধীর গতিতে। যানজট লেগেই থাকে এই রাস্তায়। 

গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আতিফ বলেন, ‘কাঞ্চন সেতুর টোল আদায়ের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকতে হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কোনো পক্ষ থেকে সমাধান করা হচ্ছে না। দ্রুত টোল আদায় বন্ধ এবং সড়ক সংস্কারের দাবি আমাদের।’

এদিকে অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার ও ‘অযাচিত’ টোল বন্ধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দেয় গ্রিন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, এশিয়ান হাইওয়ের পাশে অবস্থিত পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। পাশেই রয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং সলিমুদ্দিন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের মতো দুটি বড় প্রতিষ্ঠান। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যান চলাচল করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, গত কয়েক মাসে মহাসড়কটি চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। অবস্থা এতই ভয়াবহ যে প্রায়ই এখানে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটছে। একদিকে মহাসড়কের দুরাবস্থা, অপরদিকে অযাচিত টোল প্লাজার অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক পার হতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন ব্যাপক পরিমাণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। চিঠিতে দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ জানান উপাচার্য।

এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, ‘টোল প্লাজার কারণে সড়কটি প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানে আমরা কাজ করছি। একাধিক বৈঠক ও সাইট পরিদর্শনও করা হয়েছে। আশা করি, খুব দ্রুত একটি যৌক্তিক সমাধান আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

মেসিকে ১৫ কোটি টাকার ঘড়ি উপহার দিলেন আম্বানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ