মো. রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)

দৃষ্টি যত দূর যায় ততটুকুতে কেবল অথই পানি। কোথাও কোথাও কচুরিপানার ফুল গোধূলির আলোর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার। পুরো বছর জুড়ে থাকে পানকৌড়ির আনাগোনা। জীবিকার তাগিদে বের হওয়া জেলেদের নৌকা থেকে ভেসে আসে লোকগানের শ্রুতিমধুর সুর। বর্ষায় এ বিলের রূপ, যৌবন আর লাবণ্য কয়েক হাজার গুন বেড়ে উঠে। এটিই বেলাই বিলের নিত্যদিনের চিত্র।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে অবস্থিত বেলাই বিল প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে এক ভিন্নরূপ ধারণ করে। বিলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া তুমলিয়া মোড়-আওড়াখালি রাস্তাটিকে ঘিরে শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসুরা নৌকায় করে বিল দেখতে চলে আসে। ঢাকা শহরের সন্নিকটে হওয়ায় শহুরের ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে একটু বিনোদনের আশায় পুরো পরিবার নিয়ে অনেকেই চলে আসেন এ বিলে। সারা দিন ঘোরাঘুরির পাশাপাশি থাকে বিল থেকে জেলেদের ধরে আনা তাজা সুস্বাদু মাছে দুপুরের ভোজ।
শুধু তাই নয়, কালীগঞ্জের সঙ্গে পুবাইলের সীমান্তরেখা টেনে দিয়েছে বেলাই বিল। বর্ষায় অথই পানি ও শুকনো মৌসুমে দিগন্ত জুড়ে থাকে ধানের খেত। এটিই চিরচেনা বিল বেলাইয়ের সৌন্দর্য। বিলটি মাছের অভয়ারণ্য হওয়ায় বর্ষা মৌসুম জুড়ে জেলেদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী এই মাছ আহরণের মাধ্যমে তাঁদের নিজেদের সংসার চালায়। দেশীয় মাছের কদর থাকায় রাজধানী থেকে প্রতিদিন সকালে বহু মানুষ ছুটে আসেন স্থানীয় বাজার এবং বেলাই পাড়ে। জেলেদের তুলে আনা মাছগুলো সতেজ ও সুস্বাদু হওয়ায় উচ্চমূল্যে তা বিক্রিও হয়।
অপরদিকে, বিলের স্বচ্ছ পানিতে রং ছড়াতে ফুটে থাকে জাতীয় ফুল শাপলা। পুরো বিলের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে শাপলা ফুলে পরিপূর্ণ। বর্ষা মৌসুমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশ এই শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিল থেকে চলে শাপলা সংগ্রহের কাজ। তারপর তা রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে চলে যায় বিক্রির উদ্দেশ্যে। এভাবেই এ অঞ্চলের মানুষ উপকারভোগী হয়ে বেঁচে আছে বিল বেলাইয়ের বুকে।
শীত মৌসুমে বিল পর্যটক আসেন অতিথি পাখি দেখতে। এ সময় বেলাই বিলে পর্যটকের ঢল নামে। বর্তমানে বেলাই বিলে অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে। অতিথি পাখি দেখতে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি বেলাই বিলে। গোধূলি বেলায় সূর্যের সোনালি আলোয় বিলের পানিতে মিলেমিশে অঙ্কন করে এক দারুণ চিত্র। সারি সারি অতিথি পাখিদের নীড়ে ফেরা, মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ঝাঁক এসব দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন হাজারো মানুষ।
ঢাকার উত্তরা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্ব হওয়ায় বেলাই বিলে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। উত্তরা পার হয়ে টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কিছুক্ষণ পর পর বাস, লেগুনা এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে কালীগঞ্জ/নলছাটার উদ্দেশ্যে। নলছাটা নেমে বিল বেলাইয়ের এক অংশ পরিদর্শন করা যায়। তবে পুরোটা দেখতে হলে আরও সামনে গিয়ে তুমলিয় মোড়ে নামতে হবে। সেখান থেকে বেরুয়া ব্রিজে যেতে হবে অটোরিকশায় করে। ব্রিজে নেমে নৌকায় করে বেলাই বিলের ভেতরে ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে।
বেলাই বিলে ঘুরতে আসা পর্যটক মো. আজহার উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঢাকার গুলশানে থাকি। ইউটিউবে এ বিলের সৌন্দর্য দেখেছি। সেই থেকে এখানে আসার পরিকল্পনা ছিল। আমি এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। মোবাইলে যতটা দেখেছি বাস্তবে তা হাজার গুণ বেশি সুন্দর। আমি সকলকে আহ্বান করব যেন সবাই বিলটি দেখতে আসেন।’
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিরাজ মোল্লা বলেন, ‘বেলাই বিল পাড়ে আমার বাড়ি। ছোটবেলায় বাবার কাছেই মাছ ধরা শিখেছি। সেই থেকে এটি পেশা নেশা। আগে মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলেও তেমন একটা মূল্য পাওয়া যেত না। এখন বাইরে থেকে পর্যটক আসায় দেশি মাছ বেশ ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। এতে আমার সংসার আগের থেকে বেশ ভালোভাবেই চলছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসাদিকজামান বলেন, বিলটি অত্র অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। এ সৌন্দর্য রক্ষায় স্থানীয়দের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রাকৃতিক ভূমি রক্ষা এবং সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করতে হবে।

দৃষ্টি যত দূর যায় ততটুকুতে কেবল অথই পানি। কোথাও কোথাও কচুরিপানার ফুল গোধূলির আলোর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার। পুরো বছর জুড়ে থাকে পানকৌড়ির আনাগোনা। জীবিকার তাগিদে বের হওয়া জেলেদের নৌকা থেকে ভেসে আসে লোকগানের শ্রুতিমধুর সুর। বর্ষায় এ বিলের রূপ, যৌবন আর লাবণ্য কয়েক হাজার গুন বেড়ে উঠে। এটিই বেলাই বিলের নিত্যদিনের চিত্র।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে অবস্থিত বেলাই বিল প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে এক ভিন্নরূপ ধারণ করে। বিলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া তুমলিয়া মোড়-আওড়াখালি রাস্তাটিকে ঘিরে শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসুরা নৌকায় করে বিল দেখতে চলে আসে। ঢাকা শহরের সন্নিকটে হওয়ায় শহুরের ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে একটু বিনোদনের আশায় পুরো পরিবার নিয়ে অনেকেই চলে আসেন এ বিলে। সারা দিন ঘোরাঘুরির পাশাপাশি থাকে বিল থেকে জেলেদের ধরে আনা তাজা সুস্বাদু মাছে দুপুরের ভোজ।
শুধু তাই নয়, কালীগঞ্জের সঙ্গে পুবাইলের সীমান্তরেখা টেনে দিয়েছে বেলাই বিল। বর্ষায় অথই পানি ও শুকনো মৌসুমে দিগন্ত জুড়ে থাকে ধানের খেত। এটিই চিরচেনা বিল বেলাইয়ের সৌন্দর্য। বিলটি মাছের অভয়ারণ্য হওয়ায় বর্ষা মৌসুম জুড়ে জেলেদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী এই মাছ আহরণের মাধ্যমে তাঁদের নিজেদের সংসার চালায়। দেশীয় মাছের কদর থাকায় রাজধানী থেকে প্রতিদিন সকালে বহু মানুষ ছুটে আসেন স্থানীয় বাজার এবং বেলাই পাড়ে। জেলেদের তুলে আনা মাছগুলো সতেজ ও সুস্বাদু হওয়ায় উচ্চমূল্যে তা বিক্রিও হয়।
অপরদিকে, বিলের স্বচ্ছ পানিতে রং ছড়াতে ফুটে থাকে জাতীয় ফুল শাপলা। পুরো বিলের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে শাপলা ফুলে পরিপূর্ণ। বর্ষা মৌসুমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশ এই শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিল থেকে চলে শাপলা সংগ্রহের কাজ। তারপর তা রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে চলে যায় বিক্রির উদ্দেশ্যে। এভাবেই এ অঞ্চলের মানুষ উপকারভোগী হয়ে বেঁচে আছে বিল বেলাইয়ের বুকে।
শীত মৌসুমে বিল পর্যটক আসেন অতিথি পাখি দেখতে। এ সময় বেলাই বিলে পর্যটকের ঢল নামে। বর্তমানে বেলাই বিলে অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে। অতিথি পাখি দেখতে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি বেলাই বিলে। গোধূলি বেলায় সূর্যের সোনালি আলোয় বিলের পানিতে মিলেমিশে অঙ্কন করে এক দারুণ চিত্র। সারি সারি অতিথি পাখিদের নীড়ে ফেরা, মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ঝাঁক এসব দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন হাজারো মানুষ।
ঢাকার উত্তরা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্ব হওয়ায় বেলাই বিলে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। উত্তরা পার হয়ে টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কিছুক্ষণ পর পর বাস, লেগুনা এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে কালীগঞ্জ/নলছাটার উদ্দেশ্যে। নলছাটা নেমে বিল বেলাইয়ের এক অংশ পরিদর্শন করা যায়। তবে পুরোটা দেখতে হলে আরও সামনে গিয়ে তুমলিয় মোড়ে নামতে হবে। সেখান থেকে বেরুয়া ব্রিজে যেতে হবে অটোরিকশায় করে। ব্রিজে নেমে নৌকায় করে বেলাই বিলের ভেতরে ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে।
বেলাই বিলে ঘুরতে আসা পর্যটক মো. আজহার উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঢাকার গুলশানে থাকি। ইউটিউবে এ বিলের সৌন্দর্য দেখেছি। সেই থেকে এখানে আসার পরিকল্পনা ছিল। আমি এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। মোবাইলে যতটা দেখেছি বাস্তবে তা হাজার গুণ বেশি সুন্দর। আমি সকলকে আহ্বান করব যেন সবাই বিলটি দেখতে আসেন।’
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিরাজ মোল্লা বলেন, ‘বেলাই বিল পাড়ে আমার বাড়ি। ছোটবেলায় বাবার কাছেই মাছ ধরা শিখেছি। সেই থেকে এটি পেশা নেশা। আগে মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলেও তেমন একটা মূল্য পাওয়া যেত না। এখন বাইরে থেকে পর্যটক আসায় দেশি মাছ বেশ ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। এতে আমার সংসার আগের থেকে বেশ ভালোভাবেই চলছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসাদিকজামান বলেন, বিলটি অত্র অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। এ সৌন্দর্য রক্ষায় স্থানীয়দের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রাকৃতিক ভূমি রক্ষা এবং সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করতে হবে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

দৃষ্টি যত দূর যায় ততটুকুতে কেবল অথই পানি। কোথাও কোথাও কচুরিপানার ফুল গোধূলির আলোর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার। পুরো বছর জুড়ে থাকে পানকৌড়ির আনাগোনা। জীবিকার তাগিদে বের হওয়া জেলেদের নৌকা থেকে ভেসে আসে লোকগানের শ্রুতিমধুর সুর। বর্ষায় এ বিলের রূপ, যৌবন আর লাবণ্য কয়েক হাজার গুন বেড়ে উঠে। এটিই বেলাই বিলের নিত্
০৬ অক্টোবর ২০২২
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

দৃষ্টি যত দূর যায় ততটুকুতে কেবল অথই পানি। কোথাও কোথাও কচুরিপানার ফুল গোধূলির আলোর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার। পুরো বছর জুড়ে থাকে পানকৌড়ির আনাগোনা। জীবিকার তাগিদে বের হওয়া জেলেদের নৌকা থেকে ভেসে আসে লোকগানের শ্রুতিমধুর সুর। বর্ষায় এ বিলের রূপ, যৌবন আর লাবণ্য কয়েক হাজার গুন বেড়ে উঠে। এটিই বেলাই বিলের নিত্
০৬ অক্টোবর ২০২২
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

দৃষ্টি যত দূর যায় ততটুকুতে কেবল অথই পানি। কোথাও কোথাও কচুরিপানার ফুল গোধূলির আলোর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার। পুরো বছর জুড়ে থাকে পানকৌড়ির আনাগোনা। জীবিকার তাগিদে বের হওয়া জেলেদের নৌকা থেকে ভেসে আসে লোকগানের শ্রুতিমধুর সুর। বর্ষায় এ বিলের রূপ, যৌবন আর লাবণ্য কয়েক হাজার গুন বেড়ে উঠে। এটিই বেলাই বিলের নিত্
০৬ অক্টোবর ২০২২
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দৃষ্টি যত দূর যায় ততটুকুতে কেবল অথই পানি। কোথাও কোথাও কচুরিপানার ফুল গোধূলির আলোর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার। পুরো বছর জুড়ে থাকে পানকৌড়ির আনাগোনা। জীবিকার তাগিদে বের হওয়া জেলেদের নৌকা থেকে ভেসে আসে লোকগানের শ্রুতিমধুর সুর। বর্ষায় এ বিলের রূপ, যৌবন আর লাবণ্য কয়েক হাজার গুন বেড়ে উঠে। এটিই বেলাই বিলের নিত্
০৬ অক্টোবর ২০২২
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে