
ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।

এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’

বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।

বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।

এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’

বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।

বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।

এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’

বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।

বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।

এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’

বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।

বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
১ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
১ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
১ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগে