
ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।

এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’

বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।

বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।

এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’

বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।

বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।

এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’

বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।

বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।

এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’

বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।

বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
২ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
২ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
২ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
২ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে