নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি, লঞ্চ, বাস ও বিমান চলাচল। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়ছে তাঁদের আয়-রোজগারে।
দুদিন ধরে এমনটাই অবস্থা রাজধানীসহ সারা দেশে। তবে আজ ও কাল শনিবার থেকে কুয়াশা কিছুটা কাটবে। যদিও আগামী তিন দিন ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
দেশে এ বছর কুয়াশা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবহাওয়ার ধরন অনেকটা বদলে গেছে। এখন যে কুয়াশাটা আছে, সেটাকে বলা হয় ‘অ্যাডভেকশন ফগ’। শীতল ভূমির ওপর দিয়ে উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস যখন বয়ে যায়, তখন এমন কুয়াশা দেখা দেয়। দিল্লি, উত্তরাঞ্চল এবং বাংলাদেশে যেহেতু অসংখ্য নদী, এ কারণে এখানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। তাই এসব এলাকায় এবার কুয়াশা বেশি হচ্ছে। এই কুয়াশা কাটার উপায় হচ্ছে, পশ্চিমা লঘুচাপ অথবা বাতাসের বেগ বেশি থাকতে হবে।’
তবে এখনো তেমন শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ তৈরি হয়নি জানিয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘পশ্চিমা লঘুচাপ সাধারণত মাসে দু-তিনবার আসে। তবে এই মাসে এখনো এটা আসেনি। আগামী দু-তিন দিন কুয়াশা কিছুটা কাটবে। তবে একেবারে কাটবে না।’
বাতাসের প্রবাহ প্রসঙ্গে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এখন মৃদু বাতাস বইলেও ভূমি যেহেতু ঠান্ডা, তাই এই বাতাসেই প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগছে। বাতাসের এই প্রবাহ অব্যাহত থাকবে, কিছুটা বাড়তেও পারে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজধানীতে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় টেকনাফে, ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহে ভেঙে পড়েছে চুয়াডাঙ্গাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আমাদের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজও। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান জানান, শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কিরণ রায় (৩৫) নামের একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কিরণ রায়ের পরিবার জানিয়েছে, গত বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শীতের মধ্যে তিনি খেতে ইরি ধান রোপণ করেন।
কনকনে ঠান্ডা বাতাসে সাগরে জাল ফেলতে না পেরে বাগেরহাটের দুবলারচরে জীবনযাত্রা থমকে গেছে সহস্রাধিক জেলের। রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজি বলেন, ‘দুই দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি। ঠান্ডা বাতাসে কয়েক হাজার জেলে চরের অস্থায়ী মাচাঘরে কোনোরকমে টিকে আছেন।’
ঘন কুয়াশায় আজ ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় আটকা পড়ে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. কাউছার বলেন, ‘১০ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া নাব্যতা-সংকট ও ডুবোচরের কারণে ঠিকমতো ফেরি চলাচল করতে পারছে না।’
এদিকে আজ ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটেও। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুয়াশায় নদীপথে দৃষ্টিসীমা একেবারে কমে আসায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
আজ সৈয়দপুরে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস, যা চলতি শীত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে না পেরে পরিবার নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সকাল ১০টায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে রিকশাচালক আজাহার আলী বলেন, ‘ঠান্ডায় রিকশা চালানো খুব কষ্ট। এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী পাইনি।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকীম বলেন, ‘কুয়াশায় বিমানবন্দর রানওয়েতে সকাল নয়টায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৩০০ মিটার। পরে দৃষ্টিসীমা বাড়তে থাকে।’ ফ্লাইট ওঠানামার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি, লঞ্চ, বাস ও বিমান চলাচল। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়ছে তাঁদের আয়-রোজগারে।
দুদিন ধরে এমনটাই অবস্থা রাজধানীসহ সারা দেশে। তবে আজ ও কাল শনিবার থেকে কুয়াশা কিছুটা কাটবে। যদিও আগামী তিন দিন ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
দেশে এ বছর কুয়াশা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবহাওয়ার ধরন অনেকটা বদলে গেছে। এখন যে কুয়াশাটা আছে, সেটাকে বলা হয় ‘অ্যাডভেকশন ফগ’। শীতল ভূমির ওপর দিয়ে উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস যখন বয়ে যায়, তখন এমন কুয়াশা দেখা দেয়। দিল্লি, উত্তরাঞ্চল এবং বাংলাদেশে যেহেতু অসংখ্য নদী, এ কারণে এখানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। তাই এসব এলাকায় এবার কুয়াশা বেশি হচ্ছে। এই কুয়াশা কাটার উপায় হচ্ছে, পশ্চিমা লঘুচাপ অথবা বাতাসের বেগ বেশি থাকতে হবে।’
তবে এখনো তেমন শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ তৈরি হয়নি জানিয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘পশ্চিমা লঘুচাপ সাধারণত মাসে দু-তিনবার আসে। তবে এই মাসে এখনো এটা আসেনি। আগামী দু-তিন দিন কুয়াশা কিছুটা কাটবে। তবে একেবারে কাটবে না।’
বাতাসের প্রবাহ প্রসঙ্গে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এখন মৃদু বাতাস বইলেও ভূমি যেহেতু ঠান্ডা, তাই এই বাতাসেই প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগছে। বাতাসের এই প্রবাহ অব্যাহত থাকবে, কিছুটা বাড়তেও পারে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজধানীতে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় টেকনাফে, ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহে ভেঙে পড়েছে চুয়াডাঙ্গাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আমাদের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজও। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান জানান, শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কিরণ রায় (৩৫) নামের একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কিরণ রায়ের পরিবার জানিয়েছে, গত বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শীতের মধ্যে তিনি খেতে ইরি ধান রোপণ করেন।
কনকনে ঠান্ডা বাতাসে সাগরে জাল ফেলতে না পেরে বাগেরহাটের দুবলারচরে জীবনযাত্রা থমকে গেছে সহস্রাধিক জেলের। রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজি বলেন, ‘দুই দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি। ঠান্ডা বাতাসে কয়েক হাজার জেলে চরের অস্থায়ী মাচাঘরে কোনোরকমে টিকে আছেন।’
ঘন কুয়াশায় আজ ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় আটকা পড়ে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. কাউছার বলেন, ‘১০ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া নাব্যতা-সংকট ও ডুবোচরের কারণে ঠিকমতো ফেরি চলাচল করতে পারছে না।’
এদিকে আজ ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটেও। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুয়াশায় নদীপথে দৃষ্টিসীমা একেবারে কমে আসায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
আজ সৈয়দপুরে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস, যা চলতি শীত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে না পেরে পরিবার নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সকাল ১০টায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে রিকশাচালক আজাহার আলী বলেন, ‘ঠান্ডায় রিকশা চালানো খুব কষ্ট। এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী পাইনি।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকীম বলেন, ‘কুয়াশায় বিমানবন্দর রানওয়েতে সকাল নয়টায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৩০০ মিটার। পরে দৃষ্টিসীমা বাড়তে থাকে।’ ফ্লাইট ওঠানামার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি, লঞ্চ, বাস ও বিমান চলাচল। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়ছে তাঁদের আয়-রোজগারে।
দুদিন ধরে এমনটাই অবস্থা রাজধানীসহ সারা দেশে। তবে আজ ও কাল শনিবার থেকে কুয়াশা কিছুটা কাটবে। যদিও আগামী তিন দিন ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
দেশে এ বছর কুয়াশা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবহাওয়ার ধরন অনেকটা বদলে গেছে। এখন যে কুয়াশাটা আছে, সেটাকে বলা হয় ‘অ্যাডভেকশন ফগ’। শীতল ভূমির ওপর দিয়ে উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস যখন বয়ে যায়, তখন এমন কুয়াশা দেখা দেয়। দিল্লি, উত্তরাঞ্চল এবং বাংলাদেশে যেহেতু অসংখ্য নদী, এ কারণে এখানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। তাই এসব এলাকায় এবার কুয়াশা বেশি হচ্ছে। এই কুয়াশা কাটার উপায় হচ্ছে, পশ্চিমা লঘুচাপ অথবা বাতাসের বেগ বেশি থাকতে হবে।’
তবে এখনো তেমন শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ তৈরি হয়নি জানিয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘পশ্চিমা লঘুচাপ সাধারণত মাসে দু-তিনবার আসে। তবে এই মাসে এখনো এটা আসেনি। আগামী দু-তিন দিন কুয়াশা কিছুটা কাটবে। তবে একেবারে কাটবে না।’
বাতাসের প্রবাহ প্রসঙ্গে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এখন মৃদু বাতাস বইলেও ভূমি যেহেতু ঠান্ডা, তাই এই বাতাসেই প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগছে। বাতাসের এই প্রবাহ অব্যাহত থাকবে, কিছুটা বাড়তেও পারে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজধানীতে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় টেকনাফে, ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহে ভেঙে পড়েছে চুয়াডাঙ্গাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আমাদের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজও। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান জানান, শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কিরণ রায় (৩৫) নামের একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কিরণ রায়ের পরিবার জানিয়েছে, গত বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শীতের মধ্যে তিনি খেতে ইরি ধান রোপণ করেন।
কনকনে ঠান্ডা বাতাসে সাগরে জাল ফেলতে না পেরে বাগেরহাটের দুবলারচরে জীবনযাত্রা থমকে গেছে সহস্রাধিক জেলের। রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজি বলেন, ‘দুই দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি। ঠান্ডা বাতাসে কয়েক হাজার জেলে চরের অস্থায়ী মাচাঘরে কোনোরকমে টিকে আছেন।’
ঘন কুয়াশায় আজ ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় আটকা পড়ে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. কাউছার বলেন, ‘১০ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া নাব্যতা-সংকট ও ডুবোচরের কারণে ঠিকমতো ফেরি চলাচল করতে পারছে না।’
এদিকে আজ ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটেও। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুয়াশায় নদীপথে দৃষ্টিসীমা একেবারে কমে আসায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
আজ সৈয়দপুরে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস, যা চলতি শীত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে না পেরে পরিবার নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সকাল ১০টায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে রিকশাচালক আজাহার আলী বলেন, ‘ঠান্ডায় রিকশা চালানো খুব কষ্ট। এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী পাইনি।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকীম বলেন, ‘কুয়াশায় বিমানবন্দর রানওয়েতে সকাল নয়টায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৩০০ মিটার। পরে দৃষ্টিসীমা বাড়তে থাকে।’ ফ্লাইট ওঠানামার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি, লঞ্চ, বাস ও বিমান চলাচল। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়ছে তাঁদের আয়-রোজগারে।
দুদিন ধরে এমনটাই অবস্থা রাজধানীসহ সারা দেশে। তবে আজ ও কাল শনিবার থেকে কুয়াশা কিছুটা কাটবে। যদিও আগামী তিন দিন ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
দেশে এ বছর কুয়াশা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবহাওয়ার ধরন অনেকটা বদলে গেছে। এখন যে কুয়াশাটা আছে, সেটাকে বলা হয় ‘অ্যাডভেকশন ফগ’। শীতল ভূমির ওপর দিয়ে উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস যখন বয়ে যায়, তখন এমন কুয়াশা দেখা দেয়। দিল্লি, উত্তরাঞ্চল এবং বাংলাদেশে যেহেতু অসংখ্য নদী, এ কারণে এখানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। তাই এসব এলাকায় এবার কুয়াশা বেশি হচ্ছে। এই কুয়াশা কাটার উপায় হচ্ছে, পশ্চিমা লঘুচাপ অথবা বাতাসের বেগ বেশি থাকতে হবে।’
তবে এখনো তেমন শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ তৈরি হয়নি জানিয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘পশ্চিমা লঘুচাপ সাধারণত মাসে দু-তিনবার আসে। তবে এই মাসে এখনো এটা আসেনি। আগামী দু-তিন দিন কুয়াশা কিছুটা কাটবে। তবে একেবারে কাটবে না।’
বাতাসের প্রবাহ প্রসঙ্গে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এখন মৃদু বাতাস বইলেও ভূমি যেহেতু ঠান্ডা, তাই এই বাতাসেই প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগছে। বাতাসের এই প্রবাহ অব্যাহত থাকবে, কিছুটা বাড়তেও পারে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজধানীতে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় টেকনাফে, ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহে ভেঙে পড়েছে চুয়াডাঙ্গাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আমাদের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজও। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান জানান, শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কিরণ রায় (৩৫) নামের একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কিরণ রায়ের পরিবার জানিয়েছে, গত বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শীতের মধ্যে তিনি খেতে ইরি ধান রোপণ করেন।
কনকনে ঠান্ডা বাতাসে সাগরে জাল ফেলতে না পেরে বাগেরহাটের দুবলারচরে জীবনযাত্রা থমকে গেছে সহস্রাধিক জেলের। রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজি বলেন, ‘দুই দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি। ঠান্ডা বাতাসে কয়েক হাজার জেলে চরের অস্থায়ী মাচাঘরে কোনোরকমে টিকে আছেন।’
ঘন কুয়াশায় আজ ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় আটকা পড়ে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. কাউছার বলেন, ‘১০ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া নাব্যতা-সংকট ও ডুবোচরের কারণে ঠিকমতো ফেরি চলাচল করতে পারছে না।’
এদিকে আজ ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটেও। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুয়াশায় নদীপথে দৃষ্টিসীমা একেবারে কমে আসায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
আজ সৈয়দপুরে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস, যা চলতি শীত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে না পেরে পরিবার নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সকাল ১০টায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে রিকশাচালক আজাহার আলী বলেন, ‘ঠান্ডায় রিকশা চালানো খুব কষ্ট। এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী পাইনি।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকীম বলেন, ‘কুয়াশায় বিমানবন্দর রানওয়েতে সকাল নয়টায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৩০০ মিটার। পরে দৃষ্টিসীমা বাড়তে থাকে।’ ফ্লাইট ওঠানামার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি, লঞ্চ, বাস ও বিমান চলাচল। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়ছে তাঁদের আয়-রোজগারে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি, লঞ্চ, বাস ও বিমান চলাচল। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়ছে তাঁদের আয়-রোজগারে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি, লঞ্চ, বাস ও বিমান চলাচল। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়ছে তাঁদের আয়-রোজগারে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি, লঞ্চ, বাস ও বিমান চলাচল। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়ছে তাঁদের আয়-রোজগারে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে