ইশতিয়াক হাসান

শিরোনামটাই নিশ্চয় চমকে দিয়েছে আপনাকে। হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টকেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলে জানি আমরা। এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কারণ কী? তাহলে কি রাতারাতি এর চেয়ে উঁচু কোনো পর্বত কিংবা পর্বতচূড়া আবিষ্কার হয়ে গেল? এত দিনের জানা কি তবে মিথ্যা?
এভারেস্টপ্রেমীরা ভয় পাবেন না, সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের খেতাব এভারেস্ট থেকে কেড়ে নেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আপনি যদি পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দু কিংবা সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত চূড়ার কথা বলেন তাহলে কোনো সমস্যাই নেই। কিন্তু যদি পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বত বা সবচেয়ে উঁচু পর্বতের প্রসঙ্গ আসে তখনই একটি কিন্তু আছে। সে জন্যই আপনাকে মাউনা কেয়ার গল্পটা শুনতে হবে।
যে পাঁচটি আগ্নেয় পর্বত মিলে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের জন্ম—এর একটি মাউনা কেয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৭৯৬ ফুট (৪ হাজার ২০৫ মিটার) উঁচু এ পর্বত শুধু হাওয়াই দ্বীপ নয়, গোটা প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সর্বোচ্চ পর্বত। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ৪ হাজার ২০৫ মিটার উঁচু পুঁচকে এক পর্বতের সঙ্গে মাউন্ট এভারেস্টের তুলনা আসে কীভাবে? এভারেস্টের উচ্চতা তো ৮৮৪৮.৮৬ মিটার বা ২৯০৩১.৬৯ ফুট।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যে পর্বত যত উঁচুতে অবস্থিত তাকেই তার উচ্চতা ধরে নেওয়া হয়। পর্বতের উচ্চতা পরিমাপের এই প্রচলিত নিয়ম মেনে চললে মাউন্ট এভারেস্টই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত বা পর্বতশৃঙ্গ। এ ক্ষেত্রে মাউনা কেয়ার এভারেস্টের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তো দূরে থাক, এর ধারেকাছে ভেড়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু গোড়া থেকে চূড়া পর্যন্ত দূরত্ব হিসাব করে যদি পর্বতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়, তবে মাউনা কেয়াই পর্বতের রাজা।
তা কী করে সম্ভব? মাউন্ট এভারেস্ট, গডউইন অস্টিনের মতো বিখ্যাত পর্বতগুলোর মতো মাউনা কেয়ার শুরুটা সাগর-সমতল নয়, বরং প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর তলদেশে। সেখান থেকে খাড়া ওপরের দিকে উঠে গেছে এটি। পর্বতটির যে অংশ পানির নিচে, এর উচ্চতাই ১৯ হাজার ফুটের বেশি। গোড়া থেকে হিসাব করলে মাউনা কেয়ার উচ্চতা দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৫০০ ফুট কিংবা ১০ হাজার ২১১ মিটার। মাউন্ট এভারেস্টের (৮৮৪৯ মিটার) কী সাধ্য তাকে ছোঁয়।
আর এ কারণেই পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতের খেতাবটা অনেকেই মাউনা কেয়াকে দিতে চান। এই সুযোগে বলে রাখি পর্বতের উচ্চতা মাপার আরেকটি অপ্রচলিত পদ্ধতি আছে, সেটা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চূড়ার দূরত্ব হিসাব করে। সে হিসাবে কিন্তু এভারেস্ট কিংবা মাউনা কেয়া দুটোকেই টেক্কা দিয়ে সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ার মুকুট মাথায় চাপিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের আগ্নেয় পর্বত চিম্বোরাজো। অবশ্য পর্বতের উচ্চতা মাপার সাধারণ নিয়মে এর উচ্চতা খুব বেশি নয়, ৬২৬৩ মিটার বা ২০৫৪৯ ফুট।
শুনে আশ্চর্য হবেন, মাউনা কেয়ার উচ্চতা আরও বেশি হতে পারত। আগ্নেয় প্রক্রিয়ায় তৈরির পর এর শরীরের একটা বড় অংশ ধীরে ধীরে সাগর তলের ভূত্বকের নিচে দেবে যায়। এই তলিয়ে যাওয়া অংশের পরিমাণ কত শুনবেন? ৩৫ হাজার ফুট।
হাওয়াইয়ান শব্দ মাউনা কেয়ার অর্থ হোয়াইট মাউন্টেন বা শ্বেত পর্বত। উত্তর গোলার্ধে যখন শীত নামে তখন তুষার ধবল বরফে ঢেকে যায় পর্বতটির চূড়া। বিশেষ করে যে বার লা নিনা প্রভাব বিস্তার করে চূড়া থেকে পর্বতের নিচের বেশ কতকটা মুড়ে দেয় তিন ফুট চওড়া বরফের আস্তরণ। মাউনা কেয়া আরোহণে একদিকে যেমন পেতে পারেন মরু অঞ্চলের পরিবেশ অপর দিকে পাবেন গহিন অরণ্য।
সমতল ভূমি থেকে শুরু করে উত্তর মেরুর তুন্দ্রা পৃথিবীর প্রায় সব কটি বাস্তুসংস্থানের আশ্চর্য সমাবেশ ঘটেছে এখানে। সাগরপৃষ্ঠের ৫ হাজার ২০০ থেকে আট হাজার ফুট পর্যন্ত অংশটা পশুচারণভূমি হিসেবে আদর্শ। প্রচণ্ড কুয়াশায় অভিযাত্রীদের দৃষ্টিসীমা যখন শূন্যের কাছাকাছি তখন পর্বতে চড়ে বেড়ানো কালো বুনো ষাঁড় কিংবা মোটাতাজা ভেড়ার সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানো মুশকিল!
অবস্থানগত কারণেই মাউনা কেয়া জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর চূড়ায় তাই স্থাপিত হয়েছে মানমন্দির এবং অন্তত ডজনখানেক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ। চন্দ্র অভিযানের জন্য নভোচারীদের প্রশিক্ষণও চলে এখানে। তবে হাওয়াইয়ের বাসিন্দারা এসবের ঘোর বিরোধী, তাঁদের বিশ্বাস এটা তুষারদেবী পলিয়াহুর আবাসস্থল। যদি শান্তি বিঘ্নিত হওয়ায় চটে গিয়ে শাপ দিয়ে বসেন দেবী? অবশ্য হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়া পর্বতে সাম্প্রতিক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটলেও মাউনা কেয়ার শেষ অগ্ন্যুৎপাত ঘটে সাড়ে চার হাজার বছর আগে।
ও একটি কথা, যে কারণে সবচেয়ে উঁচু পর্বত কোনটি, সে তর্কের অবতারণা সেটাই তো বলা হয়নি এখনো। ঘটনা হলো, আজ ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। আর এই দিনটিতে এভারেস্ট, মাউনা কেয়াসহ ভালো থাকুক বিশ্বের এবং আমাদের দেশের সব পর্বত—এটাই চাওয়া।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড এটমসফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস), উইকিপিডিয়া, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই।

শিরোনামটাই নিশ্চয় চমকে দিয়েছে আপনাকে। হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টকেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলে জানি আমরা। এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কারণ কী? তাহলে কি রাতারাতি এর চেয়ে উঁচু কোনো পর্বত কিংবা পর্বতচূড়া আবিষ্কার হয়ে গেল? এত দিনের জানা কি তবে মিথ্যা?
এভারেস্টপ্রেমীরা ভয় পাবেন না, সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের খেতাব এভারেস্ট থেকে কেড়ে নেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আপনি যদি পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দু কিংবা সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত চূড়ার কথা বলেন তাহলে কোনো সমস্যাই নেই। কিন্তু যদি পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বত বা সবচেয়ে উঁচু পর্বতের প্রসঙ্গ আসে তখনই একটি কিন্তু আছে। সে জন্যই আপনাকে মাউনা কেয়ার গল্পটা শুনতে হবে।
যে পাঁচটি আগ্নেয় পর্বত মিলে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের জন্ম—এর একটি মাউনা কেয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৭৯৬ ফুট (৪ হাজার ২০৫ মিটার) উঁচু এ পর্বত শুধু হাওয়াই দ্বীপ নয়, গোটা প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সর্বোচ্চ পর্বত। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ৪ হাজার ২০৫ মিটার উঁচু পুঁচকে এক পর্বতের সঙ্গে মাউন্ট এভারেস্টের তুলনা আসে কীভাবে? এভারেস্টের উচ্চতা তো ৮৮৪৮.৮৬ মিটার বা ২৯০৩১.৬৯ ফুট।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যে পর্বত যত উঁচুতে অবস্থিত তাকেই তার উচ্চতা ধরে নেওয়া হয়। পর্বতের উচ্চতা পরিমাপের এই প্রচলিত নিয়ম মেনে চললে মাউন্ট এভারেস্টই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত বা পর্বতশৃঙ্গ। এ ক্ষেত্রে মাউনা কেয়ার এভারেস্টের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তো দূরে থাক, এর ধারেকাছে ভেড়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু গোড়া থেকে চূড়া পর্যন্ত দূরত্ব হিসাব করে যদি পর্বতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়, তবে মাউনা কেয়াই পর্বতের রাজা।
তা কী করে সম্ভব? মাউন্ট এভারেস্ট, গডউইন অস্টিনের মতো বিখ্যাত পর্বতগুলোর মতো মাউনা কেয়ার শুরুটা সাগর-সমতল নয়, বরং প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর তলদেশে। সেখান থেকে খাড়া ওপরের দিকে উঠে গেছে এটি। পর্বতটির যে অংশ পানির নিচে, এর উচ্চতাই ১৯ হাজার ফুটের বেশি। গোড়া থেকে হিসাব করলে মাউনা কেয়ার উচ্চতা দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৫০০ ফুট কিংবা ১০ হাজার ২১১ মিটার। মাউন্ট এভারেস্টের (৮৮৪৯ মিটার) কী সাধ্য তাকে ছোঁয়।
আর এ কারণেই পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতের খেতাবটা অনেকেই মাউনা কেয়াকে দিতে চান। এই সুযোগে বলে রাখি পর্বতের উচ্চতা মাপার আরেকটি অপ্রচলিত পদ্ধতি আছে, সেটা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চূড়ার দূরত্ব হিসাব করে। সে হিসাবে কিন্তু এভারেস্ট কিংবা মাউনা কেয়া দুটোকেই টেক্কা দিয়ে সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ার মুকুট মাথায় চাপিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের আগ্নেয় পর্বত চিম্বোরাজো। অবশ্য পর্বতের উচ্চতা মাপার সাধারণ নিয়মে এর উচ্চতা খুব বেশি নয়, ৬২৬৩ মিটার বা ২০৫৪৯ ফুট।
শুনে আশ্চর্য হবেন, মাউনা কেয়ার উচ্চতা আরও বেশি হতে পারত। আগ্নেয় প্রক্রিয়ায় তৈরির পর এর শরীরের একটা বড় অংশ ধীরে ধীরে সাগর তলের ভূত্বকের নিচে দেবে যায়। এই তলিয়ে যাওয়া অংশের পরিমাণ কত শুনবেন? ৩৫ হাজার ফুট।
হাওয়াইয়ান শব্দ মাউনা কেয়ার অর্থ হোয়াইট মাউন্টেন বা শ্বেত পর্বত। উত্তর গোলার্ধে যখন শীত নামে তখন তুষার ধবল বরফে ঢেকে যায় পর্বতটির চূড়া। বিশেষ করে যে বার লা নিনা প্রভাব বিস্তার করে চূড়া থেকে পর্বতের নিচের বেশ কতকটা মুড়ে দেয় তিন ফুট চওড়া বরফের আস্তরণ। মাউনা কেয়া আরোহণে একদিকে যেমন পেতে পারেন মরু অঞ্চলের পরিবেশ অপর দিকে পাবেন গহিন অরণ্য।
সমতল ভূমি থেকে শুরু করে উত্তর মেরুর তুন্দ্রা পৃথিবীর প্রায় সব কটি বাস্তুসংস্থানের আশ্চর্য সমাবেশ ঘটেছে এখানে। সাগরপৃষ্ঠের ৫ হাজার ২০০ থেকে আট হাজার ফুট পর্যন্ত অংশটা পশুচারণভূমি হিসেবে আদর্শ। প্রচণ্ড কুয়াশায় অভিযাত্রীদের দৃষ্টিসীমা যখন শূন্যের কাছাকাছি তখন পর্বতে চড়ে বেড়ানো কালো বুনো ষাঁড় কিংবা মোটাতাজা ভেড়ার সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানো মুশকিল!
অবস্থানগত কারণেই মাউনা কেয়া জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর চূড়ায় তাই স্থাপিত হয়েছে মানমন্দির এবং অন্তত ডজনখানেক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ। চন্দ্র অভিযানের জন্য নভোচারীদের প্রশিক্ষণও চলে এখানে। তবে হাওয়াইয়ের বাসিন্দারা এসবের ঘোর বিরোধী, তাঁদের বিশ্বাস এটা তুষারদেবী পলিয়াহুর আবাসস্থল। যদি শান্তি বিঘ্নিত হওয়ায় চটে গিয়ে শাপ দিয়ে বসেন দেবী? অবশ্য হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়া পর্বতে সাম্প্রতিক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটলেও মাউনা কেয়ার শেষ অগ্ন্যুৎপাত ঘটে সাড়ে চার হাজার বছর আগে।
ও একটি কথা, যে কারণে সবচেয়ে উঁচু পর্বত কোনটি, সে তর্কের অবতারণা সেটাই তো বলা হয়নি এখনো। ঘটনা হলো, আজ ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। আর এই দিনটিতে এভারেস্ট, মাউনা কেয়াসহ ভালো থাকুক বিশ্বের এবং আমাদের দেশের সব পর্বত—এটাই চাওয়া।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড এটমসফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস), উইকিপিডিয়া, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই।
ইশতিয়াক হাসান

শিরোনামটাই নিশ্চয় চমকে দিয়েছে আপনাকে। হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টকেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলে জানি আমরা। এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কারণ কী? তাহলে কি রাতারাতি এর চেয়ে উঁচু কোনো পর্বত কিংবা পর্বতচূড়া আবিষ্কার হয়ে গেল? এত দিনের জানা কি তবে মিথ্যা?
এভারেস্টপ্রেমীরা ভয় পাবেন না, সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের খেতাব এভারেস্ট থেকে কেড়ে নেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আপনি যদি পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দু কিংবা সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত চূড়ার কথা বলেন তাহলে কোনো সমস্যাই নেই। কিন্তু যদি পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বত বা সবচেয়ে উঁচু পর্বতের প্রসঙ্গ আসে তখনই একটি কিন্তু আছে। সে জন্যই আপনাকে মাউনা কেয়ার গল্পটা শুনতে হবে।
যে পাঁচটি আগ্নেয় পর্বত মিলে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের জন্ম—এর একটি মাউনা কেয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৭৯৬ ফুট (৪ হাজার ২০৫ মিটার) উঁচু এ পর্বত শুধু হাওয়াই দ্বীপ নয়, গোটা প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সর্বোচ্চ পর্বত। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ৪ হাজার ২০৫ মিটার উঁচু পুঁচকে এক পর্বতের সঙ্গে মাউন্ট এভারেস্টের তুলনা আসে কীভাবে? এভারেস্টের উচ্চতা তো ৮৮৪৮.৮৬ মিটার বা ২৯০৩১.৬৯ ফুট।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যে পর্বত যত উঁচুতে অবস্থিত তাকেই তার উচ্চতা ধরে নেওয়া হয়। পর্বতের উচ্চতা পরিমাপের এই প্রচলিত নিয়ম মেনে চললে মাউন্ট এভারেস্টই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত বা পর্বতশৃঙ্গ। এ ক্ষেত্রে মাউনা কেয়ার এভারেস্টের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তো দূরে থাক, এর ধারেকাছে ভেড়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু গোড়া থেকে চূড়া পর্যন্ত দূরত্ব হিসাব করে যদি পর্বতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়, তবে মাউনা কেয়াই পর্বতের রাজা।
তা কী করে সম্ভব? মাউন্ট এভারেস্ট, গডউইন অস্টিনের মতো বিখ্যাত পর্বতগুলোর মতো মাউনা কেয়ার শুরুটা সাগর-সমতল নয়, বরং প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর তলদেশে। সেখান থেকে খাড়া ওপরের দিকে উঠে গেছে এটি। পর্বতটির যে অংশ পানির নিচে, এর উচ্চতাই ১৯ হাজার ফুটের বেশি। গোড়া থেকে হিসাব করলে মাউনা কেয়ার উচ্চতা দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৫০০ ফুট কিংবা ১০ হাজার ২১১ মিটার। মাউন্ট এভারেস্টের (৮৮৪৯ মিটার) কী সাধ্য তাকে ছোঁয়।
আর এ কারণেই পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতের খেতাবটা অনেকেই মাউনা কেয়াকে দিতে চান। এই সুযোগে বলে রাখি পর্বতের উচ্চতা মাপার আরেকটি অপ্রচলিত পদ্ধতি আছে, সেটা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চূড়ার দূরত্ব হিসাব করে। সে হিসাবে কিন্তু এভারেস্ট কিংবা মাউনা কেয়া দুটোকেই টেক্কা দিয়ে সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ার মুকুট মাথায় চাপিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের আগ্নেয় পর্বত চিম্বোরাজো। অবশ্য পর্বতের উচ্চতা মাপার সাধারণ নিয়মে এর উচ্চতা খুব বেশি নয়, ৬২৬৩ মিটার বা ২০৫৪৯ ফুট।
শুনে আশ্চর্য হবেন, মাউনা কেয়ার উচ্চতা আরও বেশি হতে পারত। আগ্নেয় প্রক্রিয়ায় তৈরির পর এর শরীরের একটা বড় অংশ ধীরে ধীরে সাগর তলের ভূত্বকের নিচে দেবে যায়। এই তলিয়ে যাওয়া অংশের পরিমাণ কত শুনবেন? ৩৫ হাজার ফুট।
হাওয়াইয়ান শব্দ মাউনা কেয়ার অর্থ হোয়াইট মাউন্টেন বা শ্বেত পর্বত। উত্তর গোলার্ধে যখন শীত নামে তখন তুষার ধবল বরফে ঢেকে যায় পর্বতটির চূড়া। বিশেষ করে যে বার লা নিনা প্রভাব বিস্তার করে চূড়া থেকে পর্বতের নিচের বেশ কতকটা মুড়ে দেয় তিন ফুট চওড়া বরফের আস্তরণ। মাউনা কেয়া আরোহণে একদিকে যেমন পেতে পারেন মরু অঞ্চলের পরিবেশ অপর দিকে পাবেন গহিন অরণ্য।
সমতল ভূমি থেকে শুরু করে উত্তর মেরুর তুন্দ্রা পৃথিবীর প্রায় সব কটি বাস্তুসংস্থানের আশ্চর্য সমাবেশ ঘটেছে এখানে। সাগরপৃষ্ঠের ৫ হাজার ২০০ থেকে আট হাজার ফুট পর্যন্ত অংশটা পশুচারণভূমি হিসেবে আদর্শ। প্রচণ্ড কুয়াশায় অভিযাত্রীদের দৃষ্টিসীমা যখন শূন্যের কাছাকাছি তখন পর্বতে চড়ে বেড়ানো কালো বুনো ষাঁড় কিংবা মোটাতাজা ভেড়ার সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানো মুশকিল!
অবস্থানগত কারণেই মাউনা কেয়া জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর চূড়ায় তাই স্থাপিত হয়েছে মানমন্দির এবং অন্তত ডজনখানেক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ। চন্দ্র অভিযানের জন্য নভোচারীদের প্রশিক্ষণও চলে এখানে। তবে হাওয়াইয়ের বাসিন্দারা এসবের ঘোর বিরোধী, তাঁদের বিশ্বাস এটা তুষারদেবী পলিয়াহুর আবাসস্থল। যদি শান্তি বিঘ্নিত হওয়ায় চটে গিয়ে শাপ দিয়ে বসেন দেবী? অবশ্য হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়া পর্বতে সাম্প্রতিক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটলেও মাউনা কেয়ার শেষ অগ্ন্যুৎপাত ঘটে সাড়ে চার হাজার বছর আগে।
ও একটি কথা, যে কারণে সবচেয়ে উঁচু পর্বত কোনটি, সে তর্কের অবতারণা সেটাই তো বলা হয়নি এখনো। ঘটনা হলো, আজ ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। আর এই দিনটিতে এভারেস্ট, মাউনা কেয়াসহ ভালো থাকুক বিশ্বের এবং আমাদের দেশের সব পর্বত—এটাই চাওয়া।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড এটমসফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস), উইকিপিডিয়া, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই।

শিরোনামটাই নিশ্চয় চমকে দিয়েছে আপনাকে। হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টকেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলে জানি আমরা। এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কারণ কী? তাহলে কি রাতারাতি এর চেয়ে উঁচু কোনো পর্বত কিংবা পর্বতচূড়া আবিষ্কার হয়ে গেল? এত দিনের জানা কি তবে মিথ্যা?
এভারেস্টপ্রেমীরা ভয় পাবেন না, সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের খেতাব এভারেস্ট থেকে কেড়ে নেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আপনি যদি পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দু কিংবা সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত চূড়ার কথা বলেন তাহলে কোনো সমস্যাই নেই। কিন্তু যদি পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বত বা সবচেয়ে উঁচু পর্বতের প্রসঙ্গ আসে তখনই একটি কিন্তু আছে। সে জন্যই আপনাকে মাউনা কেয়ার গল্পটা শুনতে হবে।
যে পাঁচটি আগ্নেয় পর্বত মিলে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের জন্ম—এর একটি মাউনা কেয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৭৯৬ ফুট (৪ হাজার ২০৫ মিটার) উঁচু এ পর্বত শুধু হাওয়াই দ্বীপ নয়, গোটা প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সর্বোচ্চ পর্বত। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ৪ হাজার ২০৫ মিটার উঁচু পুঁচকে এক পর্বতের সঙ্গে মাউন্ট এভারেস্টের তুলনা আসে কীভাবে? এভারেস্টের উচ্চতা তো ৮৮৪৮.৮৬ মিটার বা ২৯০৩১.৬৯ ফুট।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যে পর্বত যত উঁচুতে অবস্থিত তাকেই তার উচ্চতা ধরে নেওয়া হয়। পর্বতের উচ্চতা পরিমাপের এই প্রচলিত নিয়ম মেনে চললে মাউন্ট এভারেস্টই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত বা পর্বতশৃঙ্গ। এ ক্ষেত্রে মাউনা কেয়ার এভারেস্টের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তো দূরে থাক, এর ধারেকাছে ভেড়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু গোড়া থেকে চূড়া পর্যন্ত দূরত্ব হিসাব করে যদি পর্বতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়, তবে মাউনা কেয়াই পর্বতের রাজা।
তা কী করে সম্ভব? মাউন্ট এভারেস্ট, গডউইন অস্টিনের মতো বিখ্যাত পর্বতগুলোর মতো মাউনা কেয়ার শুরুটা সাগর-সমতল নয়, বরং প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর তলদেশে। সেখান থেকে খাড়া ওপরের দিকে উঠে গেছে এটি। পর্বতটির যে অংশ পানির নিচে, এর উচ্চতাই ১৯ হাজার ফুটের বেশি। গোড়া থেকে হিসাব করলে মাউনা কেয়ার উচ্চতা দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৫০০ ফুট কিংবা ১০ হাজার ২১১ মিটার। মাউন্ট এভারেস্টের (৮৮৪৯ মিটার) কী সাধ্য তাকে ছোঁয়।
আর এ কারণেই পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতের খেতাবটা অনেকেই মাউনা কেয়াকে দিতে চান। এই সুযোগে বলে রাখি পর্বতের উচ্চতা মাপার আরেকটি অপ্রচলিত পদ্ধতি আছে, সেটা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চূড়ার দূরত্ব হিসাব করে। সে হিসাবে কিন্তু এভারেস্ট কিংবা মাউনা কেয়া দুটোকেই টেক্কা দিয়ে সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ার মুকুট মাথায় চাপিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের আগ্নেয় পর্বত চিম্বোরাজো। অবশ্য পর্বতের উচ্চতা মাপার সাধারণ নিয়মে এর উচ্চতা খুব বেশি নয়, ৬২৬৩ মিটার বা ২০৫৪৯ ফুট।
শুনে আশ্চর্য হবেন, মাউনা কেয়ার উচ্চতা আরও বেশি হতে পারত। আগ্নেয় প্রক্রিয়ায় তৈরির পর এর শরীরের একটা বড় অংশ ধীরে ধীরে সাগর তলের ভূত্বকের নিচে দেবে যায়। এই তলিয়ে যাওয়া অংশের পরিমাণ কত শুনবেন? ৩৫ হাজার ফুট।
হাওয়াইয়ান শব্দ মাউনা কেয়ার অর্থ হোয়াইট মাউন্টেন বা শ্বেত পর্বত। উত্তর গোলার্ধে যখন শীত নামে তখন তুষার ধবল বরফে ঢেকে যায় পর্বতটির চূড়া। বিশেষ করে যে বার লা নিনা প্রভাব বিস্তার করে চূড়া থেকে পর্বতের নিচের বেশ কতকটা মুড়ে দেয় তিন ফুট চওড়া বরফের আস্তরণ। মাউনা কেয়া আরোহণে একদিকে যেমন পেতে পারেন মরু অঞ্চলের পরিবেশ অপর দিকে পাবেন গহিন অরণ্য।
সমতল ভূমি থেকে শুরু করে উত্তর মেরুর তুন্দ্রা পৃথিবীর প্রায় সব কটি বাস্তুসংস্থানের আশ্চর্য সমাবেশ ঘটেছে এখানে। সাগরপৃষ্ঠের ৫ হাজার ২০০ থেকে আট হাজার ফুট পর্যন্ত অংশটা পশুচারণভূমি হিসেবে আদর্শ। প্রচণ্ড কুয়াশায় অভিযাত্রীদের দৃষ্টিসীমা যখন শূন্যের কাছাকাছি তখন পর্বতে চড়ে বেড়ানো কালো বুনো ষাঁড় কিংবা মোটাতাজা ভেড়ার সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানো মুশকিল!
অবস্থানগত কারণেই মাউনা কেয়া জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর চূড়ায় তাই স্থাপিত হয়েছে মানমন্দির এবং অন্তত ডজনখানেক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ। চন্দ্র অভিযানের জন্য নভোচারীদের প্রশিক্ষণও চলে এখানে। তবে হাওয়াইয়ের বাসিন্দারা এসবের ঘোর বিরোধী, তাঁদের বিশ্বাস এটা তুষারদেবী পলিয়াহুর আবাসস্থল। যদি শান্তি বিঘ্নিত হওয়ায় চটে গিয়ে শাপ দিয়ে বসেন দেবী? অবশ্য হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়া পর্বতে সাম্প্রতিক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটলেও মাউনা কেয়ার শেষ অগ্ন্যুৎপাত ঘটে সাড়ে চার হাজার বছর আগে।
ও একটি কথা, যে কারণে সবচেয়ে উঁচু পর্বত কোনটি, সে তর্কের অবতারণা সেটাই তো বলা হয়নি এখনো। ঘটনা হলো, আজ ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। আর এই দিনটিতে এভারেস্ট, মাউনা কেয়াসহ ভালো থাকুক বিশ্বের এবং আমাদের দেশের সব পর্বত—এটাই চাওয়া।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড এটমসফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস), উইকিপিডিয়া, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই।

সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
৯ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শিরোনামটাই নিশ্চয় চমকে দিয়েছে আপনাকে। হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টকেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলে জানি আমরা। এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কারণ কী? তাহলে কি রাতারাতি এর চেয়ে উঁচু কোনো পর্বত কিংবা পর্বতচূড়া আবিষ্কার হয়ে গেল? এত দিনের জানা কি তবে মিথ্যা?
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
৯ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

শিরোনামটাই নিশ্চয় চমকে দিয়েছে আপনাকে। হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টকেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলে জানি আমরা। এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কারণ কী? তাহলে কি রাতারাতি এর চেয়ে উঁচু কোনো পর্বত কিংবা পর্বতচূড়া আবিষ্কার হয়ে গেল? এত দিনের জানা কি তবে মিথ্যা?
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতে পারে ঘন কুয়াশার ভোগান্তিও। তবে কয়েক দিন পরই নতুন বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামা মানে রীতিমতো হাড়কাঁপানো শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সোমবারসহ আগামী চার দিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর অব্যাহত থাকতে পারে।
লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌযোগাযোগের পাশাপাশি বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালও ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দেরিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। তবে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ গতকাল দুপুরের দিকে বলেন, ‘ভোরে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্লাইট অপারেশন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে’।
বাগেরহাটে বৃদ্ধের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে বৈদ্যনাথ মণ্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বৈদ্যনাথ চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের মুকুন্দলাল মণ্ডলের ছেলে।
এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে মোট ৫৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উত্তরে জীবন বিপর্যস্ত
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সে অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গত দুই দিনে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার ও গতকাল দুপুর ১২টার আগে বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকাল ৬টা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির ছিল। এটি চলতি মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন।’

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতে পারে ঘন কুয়াশার ভোগান্তিও। তবে কয়েক দিন পরই নতুন বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামা মানে রীতিমতো হাড়কাঁপানো শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সোমবারসহ আগামী চার দিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর অব্যাহত থাকতে পারে।
লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌযোগাযোগের পাশাপাশি বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালও ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দেরিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। তবে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ গতকাল দুপুরের দিকে বলেন, ‘ভোরে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্লাইট অপারেশন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে’।
বাগেরহাটে বৃদ্ধের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে বৈদ্যনাথ মণ্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বৈদ্যনাথ চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের মুকুন্দলাল মণ্ডলের ছেলে।
এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে মোট ৫৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উত্তরে জীবন বিপর্যস্ত
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সে অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গত দুই দিনে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার ও গতকাল দুপুর ১২টার আগে বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকাল ৬টা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির ছিল। এটি চলতি মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন।’

শিরোনামটাই নিশ্চয় চমকে দিয়েছে আপনাকে। হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টকেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলে জানি আমরা। এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কারণ কী? তাহলে কি রাতারাতি এর চেয়ে উঁচু কোনো পর্বত কিংবা পর্বতচূড়া আবিষ্কার হয়ে গেল? এত দিনের জানা কি তবে মিথ্যা?
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
৯ ঘণ্টা আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য পৌষে এসে সারা দেশে শীত যেন জেঁকে বসেছে। গতকালের তুলনায় আজ রোববার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এর সঙ্গে পড়বে ঘন কুয়াশা।
আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ৩।
বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সকালে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, রংপুর, বরিশালে ১৩; ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৩, সিলেটে ১৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে আজ রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া আজ ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২৯ ডিসেম্বরও পরিস্থিতির পরিবর্তন তেমন হবে না উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিন রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

মধ্য পৌষে এসে সারা দেশে শীত যেন জেঁকে বসেছে। গতকালের তুলনায় আজ রোববার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এর সঙ্গে পড়বে ঘন কুয়াশা।
আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ৩।
বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সকালে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, রংপুর, বরিশালে ১৩; ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৩, সিলেটে ১৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে আজ রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া আজ ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২৯ ডিসেম্বরও পরিস্থিতির পরিবর্তন তেমন হবে না উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিন রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

শিরোনামটাই নিশ্চয় চমকে দিয়েছে আপনাকে। হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টকেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলে জানি আমরা। এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কারণ কী? তাহলে কি রাতারাতি এর চেয়ে উঁচু কোনো পর্বত কিংবা পর্বতচূড়া আবিষ্কার হয়ে গেল? এত দিনের জানা কি তবে মিথ্যা?
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
৯ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে