ইশতিয়াক হাসান

পরিযায়ী পাখিরা শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতল এলাকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উষ্ণ এলাকায় হাজির হয়। যদি বলি, এরকমই অভ্যাস আছে একধরনের প্রজাপতিরও, তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটাই করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
উত্তর আমেরিকায় যত জাতের প্রজাপতি আছে, এদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত সম্ভবত মোনার্ক বাটারফ্লাই বা মোনার্ক প্রজাপতিরা। উজ্জ্বল কমলা-লাল ডানা, সেই সঙ্গে শরীরে সাদা-কালো রঙের খেলা একে সহজেই চিনিয়ে দেবে। এ ধরনের প্রজাপতি বিখ্যাত কানাডা থেকে মেক্সিকোর দিকে তাদের যাত্রা ও গ্রীষ্মে কানাডার দিকে ফিরে আসার জন্য।
প্রতিবছর শীতের আভাস পাওয়া শুরু হতেই (কানাডায় এ সময় ফল বা শরৎ) লাখে লাখে এ ধরনের প্রজাপতি কানাডা থেকে তাদের শীতের আশ্রয় মেক্সিকো, কখনো কখনো আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে রওনা হয়। তাদের চলার পথটাকে রাঙিয়ে দেয় উজ্জ্বল ডানার রঙে। বিশাল কলোনি নিয়ে থাকে এসব প্রজাপতি। কোথাও ঘাঁটি গাড়ার পর সাধারণত পাইন বা দেবদারু গাছে ঝাঁক বেঁধে থাকে এরা। অনেক সময় এতটাই ঘনভাবে অবস্থান করে যে গোটা গাছটিকেই কমলা মনে হবে আপনার। গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়ে এদের ওজনে। আর এ দৃশ্য দেখতে ছুটে আসেন বহু পর্যটক।
তবে যাওয়া-আসার গোটা ভ্রমণটা সম্পন্ন করার সুযোগ হয় না কোনো প্রজাপতিরই। কারণ মোনার্ক প্রজাপতিদের আয়ু এর থেকে অনেকই কম। বলা চলে, এদের তিন-চারটি প্রজন্ম এই আসা-যাওয়ায় অংশ নেয়। এই প্রজাপতিরাই সেই অল্প কিছুসংখ্যক কীট-পতঙ্গের একটি, যারা আটলান্টিক পাড়ি দেয়।
মোনার্কদের এই অভিবাসন শুরু হয় প্রতিবছরের অক্টোবরে। তবে আবহাওয়া শীতল হতে থাকলে কখনো কখনো যাত্রাটা আরও আগেই শুরু করে দেয়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকা থেকে শুরু করে মধ্য মেক্সিকোর অরণ্য পর্যন্ত, যেখানে আবহাওয়া উষ্ণ, ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ মাইল ভ্রমণ করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
যেসব প্রজাপতি রকি পর্বতমালার উত্তরের এলাকাগুলোতে বাস করে, তারা মেক্সিকোতে যায় আর দেদবারু গাছে শীতনিদ্রা বা বিশ্রাম করে। অন্যদিকে মোনার্কদের বসবাস যদি রকি পর্বতমালার পশ্চিমে হয়, এগুলো ক্যালিফোর্নিয়া ও আশপাশের এলাকায় অভিবাসন করে। সেখানকার ইউক্যালিপটাস গাছে আশ্রয় নেয় তারা। মোনার্ক প্রজাপতিরা প্রতি বছর অভিবাসনের সময় সাধারণত আগেরবার যে গাছগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল, সেগুলোতেই আবার ফিরে আসে। এক হিসাবে এটি ভারি অদ্ভুত এক কাণ্ড, কারণ আগের বছরের প্রজাপতিগুলো আর পরের বছরেরগুলো এক নয়।
কয়েকটি প্রজন্মের পর আবার একই জায়গায় কীভাবে ওই প্রজাপতিরা ফিরে আসে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, এভাবে একই জায়গা ধরে উড়ে একই জায়গায় পৌঁছানোর ব্যাপারটা উত্তরাধিকার সূত্রে হয় বা বংশানুক্রমিক। অন্য গবেষকদের দাবি, ভ্রমণের সময় পাখিরা আকাশে সূর্যের অবস্থান ও পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে কাজে লাগায়।
মজার ঘটনা, কানাডার যেসব জায়গায় মোনার্ক প্রজাপতিদের বাস, একটা সময় সেখানকার মানুষদের রীতিমতো কঠিন এক ধাঁধার মধ্যে ফেলে রেখেছিল এরা। তাঁরা অবাক হয়ে ভাবতেন, এই যে এত এত প্রজাপতি দেখা যায় গ্রীষ্মে, শীতে এগুলো যায় কোথায়। তারপরই ১৯৩৭ সালে কানাডার প্রাণিবিদ এফ এ আরকুহার্ট মোনার্কের ডানায় ট্যাগ লাগিয়ে এরা কোথায় যায় তার অনুসন্ধান শুরু করেন। ৩৮ বছর পর, কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর সহায়তায় প্রথম এদের কোনো শীতকালীন আস্তানার খোঁজ পান। সেটি মোনার্কদের যাত্রা শুরুর জায়গা থেকে পায় ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে মেক্সিকোর মিচোয়াকান। এটি এখন ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং মোনার্ক প্রজাপতি সংরক্ষণ এলাকা। মেক্সিকোতে মোনার্ক প্রজাপতিদের শীতকালীন আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত এমন ডজনখানেক এলাকা আছে, এগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
তবে মোনার্ক প্রজাপতিদের এই অসাধারণ অভিবাসন বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। মেক্সিকোতে তাদের শীতকালীন আবাস ও আমেরিকা-কানাডার গ্রীষ্মকালীন আবাসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে প্রজাপতিদের ভ্রমণেও। মেক্সিকোতে বন-জঙ্গল উজাড়, তৃণভূমিকে খামারে রূপান্তর, কীটনাশকের ব্যবহার, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে মিল্কউইড নামে যে বৃক্ষে মোনার্করা ডিম পাড়ে, তার সংখ্যা কমে যাওয়া—এই সবকিছু বিস্ময়কর এসব প্রজাপতিকে অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে মেক্সিকোতে মোনার্কদের এলাকা হিসেবে পরিচিত জায়গাগুলোর প্রায় ৪৫ একর বনভূমি ঢেকে থাকত মোনার্ক প্রজাপতিতে। ২০০৩-০৪ সালে এটি নেমে আসে ২৭.৫ একরে, ২০২০ সালে আবার দেখা যায় এটি নেমে এসেছে ৫ একরে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম।
কাজেই প্রকৃতির এই বিস্ময় মোনার্ক প্রজাপতিদের বাঁচিয়ে রাখতে আর তাদের আশ্চর্য যাত্রা অব্যাহত রাখতে সচেতন হতে হবে আমাদের মানুষদের। না হলে একসময় হয়তো শুধু আফসোসই করতে হবে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ডট অরগ

পরিযায়ী পাখিরা শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতল এলাকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উষ্ণ এলাকায় হাজির হয়। যদি বলি, এরকমই অভ্যাস আছে একধরনের প্রজাপতিরও, তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটাই করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
উত্তর আমেরিকায় যত জাতের প্রজাপতি আছে, এদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত সম্ভবত মোনার্ক বাটারফ্লাই বা মোনার্ক প্রজাপতিরা। উজ্জ্বল কমলা-লাল ডানা, সেই সঙ্গে শরীরে সাদা-কালো রঙের খেলা একে সহজেই চিনিয়ে দেবে। এ ধরনের প্রজাপতি বিখ্যাত কানাডা থেকে মেক্সিকোর দিকে তাদের যাত্রা ও গ্রীষ্মে কানাডার দিকে ফিরে আসার জন্য।
প্রতিবছর শীতের আভাস পাওয়া শুরু হতেই (কানাডায় এ সময় ফল বা শরৎ) লাখে লাখে এ ধরনের প্রজাপতি কানাডা থেকে তাদের শীতের আশ্রয় মেক্সিকো, কখনো কখনো আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে রওনা হয়। তাদের চলার পথটাকে রাঙিয়ে দেয় উজ্জ্বল ডানার রঙে। বিশাল কলোনি নিয়ে থাকে এসব প্রজাপতি। কোথাও ঘাঁটি গাড়ার পর সাধারণত পাইন বা দেবদারু গাছে ঝাঁক বেঁধে থাকে এরা। অনেক সময় এতটাই ঘনভাবে অবস্থান করে যে গোটা গাছটিকেই কমলা মনে হবে আপনার। গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়ে এদের ওজনে। আর এ দৃশ্য দেখতে ছুটে আসেন বহু পর্যটক।
তবে যাওয়া-আসার গোটা ভ্রমণটা সম্পন্ন করার সুযোগ হয় না কোনো প্রজাপতিরই। কারণ মোনার্ক প্রজাপতিদের আয়ু এর থেকে অনেকই কম। বলা চলে, এদের তিন-চারটি প্রজন্ম এই আসা-যাওয়ায় অংশ নেয়। এই প্রজাপতিরাই সেই অল্প কিছুসংখ্যক কীট-পতঙ্গের একটি, যারা আটলান্টিক পাড়ি দেয়।
মোনার্কদের এই অভিবাসন শুরু হয় প্রতিবছরের অক্টোবরে। তবে আবহাওয়া শীতল হতে থাকলে কখনো কখনো যাত্রাটা আরও আগেই শুরু করে দেয়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকা থেকে শুরু করে মধ্য মেক্সিকোর অরণ্য পর্যন্ত, যেখানে আবহাওয়া উষ্ণ, ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ মাইল ভ্রমণ করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
যেসব প্রজাপতি রকি পর্বতমালার উত্তরের এলাকাগুলোতে বাস করে, তারা মেক্সিকোতে যায় আর দেদবারু গাছে শীতনিদ্রা বা বিশ্রাম করে। অন্যদিকে মোনার্কদের বসবাস যদি রকি পর্বতমালার পশ্চিমে হয়, এগুলো ক্যালিফোর্নিয়া ও আশপাশের এলাকায় অভিবাসন করে। সেখানকার ইউক্যালিপটাস গাছে আশ্রয় নেয় তারা। মোনার্ক প্রজাপতিরা প্রতি বছর অভিবাসনের সময় সাধারণত আগেরবার যে গাছগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল, সেগুলোতেই আবার ফিরে আসে। এক হিসাবে এটি ভারি অদ্ভুত এক কাণ্ড, কারণ আগের বছরের প্রজাপতিগুলো আর পরের বছরেরগুলো এক নয়।
কয়েকটি প্রজন্মের পর আবার একই জায়গায় কীভাবে ওই প্রজাপতিরা ফিরে আসে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, এভাবে একই জায়গা ধরে উড়ে একই জায়গায় পৌঁছানোর ব্যাপারটা উত্তরাধিকার সূত্রে হয় বা বংশানুক্রমিক। অন্য গবেষকদের দাবি, ভ্রমণের সময় পাখিরা আকাশে সূর্যের অবস্থান ও পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে কাজে লাগায়।
মজার ঘটনা, কানাডার যেসব জায়গায় মোনার্ক প্রজাপতিদের বাস, একটা সময় সেখানকার মানুষদের রীতিমতো কঠিন এক ধাঁধার মধ্যে ফেলে রেখেছিল এরা। তাঁরা অবাক হয়ে ভাবতেন, এই যে এত এত প্রজাপতি দেখা যায় গ্রীষ্মে, শীতে এগুলো যায় কোথায়। তারপরই ১৯৩৭ সালে কানাডার প্রাণিবিদ এফ এ আরকুহার্ট মোনার্কের ডানায় ট্যাগ লাগিয়ে এরা কোথায় যায় তার অনুসন্ধান শুরু করেন। ৩৮ বছর পর, কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর সহায়তায় প্রথম এদের কোনো শীতকালীন আস্তানার খোঁজ পান। সেটি মোনার্কদের যাত্রা শুরুর জায়গা থেকে পায় ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে মেক্সিকোর মিচোয়াকান। এটি এখন ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং মোনার্ক প্রজাপতি সংরক্ষণ এলাকা। মেক্সিকোতে মোনার্ক প্রজাপতিদের শীতকালীন আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত এমন ডজনখানেক এলাকা আছে, এগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
তবে মোনার্ক প্রজাপতিদের এই অসাধারণ অভিবাসন বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। মেক্সিকোতে তাদের শীতকালীন আবাস ও আমেরিকা-কানাডার গ্রীষ্মকালীন আবাসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে প্রজাপতিদের ভ্রমণেও। মেক্সিকোতে বন-জঙ্গল উজাড়, তৃণভূমিকে খামারে রূপান্তর, কীটনাশকের ব্যবহার, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে মিল্কউইড নামে যে বৃক্ষে মোনার্করা ডিম পাড়ে, তার সংখ্যা কমে যাওয়া—এই সবকিছু বিস্ময়কর এসব প্রজাপতিকে অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে মেক্সিকোতে মোনার্কদের এলাকা হিসেবে পরিচিত জায়গাগুলোর প্রায় ৪৫ একর বনভূমি ঢেকে থাকত মোনার্ক প্রজাপতিতে। ২০০৩-০৪ সালে এটি নেমে আসে ২৭.৫ একরে, ২০২০ সালে আবার দেখা যায় এটি নেমে এসেছে ৫ একরে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম।
কাজেই প্রকৃতির এই বিস্ময় মোনার্ক প্রজাপতিদের বাঁচিয়ে রাখতে আর তাদের আশ্চর্য যাত্রা অব্যাহত রাখতে সচেতন হতে হবে আমাদের মানুষদের। না হলে একসময় হয়তো শুধু আফসোসই করতে হবে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ডট অরগ
ইশতিয়াক হাসান

পরিযায়ী পাখিরা শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতল এলাকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উষ্ণ এলাকায় হাজির হয়। যদি বলি, এরকমই অভ্যাস আছে একধরনের প্রজাপতিরও, তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটাই করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
উত্তর আমেরিকায় যত জাতের প্রজাপতি আছে, এদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত সম্ভবত মোনার্ক বাটারফ্লাই বা মোনার্ক প্রজাপতিরা। উজ্জ্বল কমলা-লাল ডানা, সেই সঙ্গে শরীরে সাদা-কালো রঙের খেলা একে সহজেই চিনিয়ে দেবে। এ ধরনের প্রজাপতি বিখ্যাত কানাডা থেকে মেক্সিকোর দিকে তাদের যাত্রা ও গ্রীষ্মে কানাডার দিকে ফিরে আসার জন্য।
প্রতিবছর শীতের আভাস পাওয়া শুরু হতেই (কানাডায় এ সময় ফল বা শরৎ) লাখে লাখে এ ধরনের প্রজাপতি কানাডা থেকে তাদের শীতের আশ্রয় মেক্সিকো, কখনো কখনো আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে রওনা হয়। তাদের চলার পথটাকে রাঙিয়ে দেয় উজ্জ্বল ডানার রঙে। বিশাল কলোনি নিয়ে থাকে এসব প্রজাপতি। কোথাও ঘাঁটি গাড়ার পর সাধারণত পাইন বা দেবদারু গাছে ঝাঁক বেঁধে থাকে এরা। অনেক সময় এতটাই ঘনভাবে অবস্থান করে যে গোটা গাছটিকেই কমলা মনে হবে আপনার। গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়ে এদের ওজনে। আর এ দৃশ্য দেখতে ছুটে আসেন বহু পর্যটক।
তবে যাওয়া-আসার গোটা ভ্রমণটা সম্পন্ন করার সুযোগ হয় না কোনো প্রজাপতিরই। কারণ মোনার্ক প্রজাপতিদের আয়ু এর থেকে অনেকই কম। বলা চলে, এদের তিন-চারটি প্রজন্ম এই আসা-যাওয়ায় অংশ নেয়। এই প্রজাপতিরাই সেই অল্প কিছুসংখ্যক কীট-পতঙ্গের একটি, যারা আটলান্টিক পাড়ি দেয়।
মোনার্কদের এই অভিবাসন শুরু হয় প্রতিবছরের অক্টোবরে। তবে আবহাওয়া শীতল হতে থাকলে কখনো কখনো যাত্রাটা আরও আগেই শুরু করে দেয়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকা থেকে শুরু করে মধ্য মেক্সিকোর অরণ্য পর্যন্ত, যেখানে আবহাওয়া উষ্ণ, ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ মাইল ভ্রমণ করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
যেসব প্রজাপতি রকি পর্বতমালার উত্তরের এলাকাগুলোতে বাস করে, তারা মেক্সিকোতে যায় আর দেদবারু গাছে শীতনিদ্রা বা বিশ্রাম করে। অন্যদিকে মোনার্কদের বসবাস যদি রকি পর্বতমালার পশ্চিমে হয়, এগুলো ক্যালিফোর্নিয়া ও আশপাশের এলাকায় অভিবাসন করে। সেখানকার ইউক্যালিপটাস গাছে আশ্রয় নেয় তারা। মোনার্ক প্রজাপতিরা প্রতি বছর অভিবাসনের সময় সাধারণত আগেরবার যে গাছগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল, সেগুলোতেই আবার ফিরে আসে। এক হিসাবে এটি ভারি অদ্ভুত এক কাণ্ড, কারণ আগের বছরের প্রজাপতিগুলো আর পরের বছরেরগুলো এক নয়।
কয়েকটি প্রজন্মের পর আবার একই জায়গায় কীভাবে ওই প্রজাপতিরা ফিরে আসে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, এভাবে একই জায়গা ধরে উড়ে একই জায়গায় পৌঁছানোর ব্যাপারটা উত্তরাধিকার সূত্রে হয় বা বংশানুক্রমিক। অন্য গবেষকদের দাবি, ভ্রমণের সময় পাখিরা আকাশে সূর্যের অবস্থান ও পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে কাজে লাগায়।
মজার ঘটনা, কানাডার যেসব জায়গায় মোনার্ক প্রজাপতিদের বাস, একটা সময় সেখানকার মানুষদের রীতিমতো কঠিন এক ধাঁধার মধ্যে ফেলে রেখেছিল এরা। তাঁরা অবাক হয়ে ভাবতেন, এই যে এত এত প্রজাপতি দেখা যায় গ্রীষ্মে, শীতে এগুলো যায় কোথায়। তারপরই ১৯৩৭ সালে কানাডার প্রাণিবিদ এফ এ আরকুহার্ট মোনার্কের ডানায় ট্যাগ লাগিয়ে এরা কোথায় যায় তার অনুসন্ধান শুরু করেন। ৩৮ বছর পর, কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর সহায়তায় প্রথম এদের কোনো শীতকালীন আস্তানার খোঁজ পান। সেটি মোনার্কদের যাত্রা শুরুর জায়গা থেকে পায় ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে মেক্সিকোর মিচোয়াকান। এটি এখন ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং মোনার্ক প্রজাপতি সংরক্ষণ এলাকা। মেক্সিকোতে মোনার্ক প্রজাপতিদের শীতকালীন আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত এমন ডজনখানেক এলাকা আছে, এগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
তবে মোনার্ক প্রজাপতিদের এই অসাধারণ অভিবাসন বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। মেক্সিকোতে তাদের শীতকালীন আবাস ও আমেরিকা-কানাডার গ্রীষ্মকালীন আবাসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে প্রজাপতিদের ভ্রমণেও। মেক্সিকোতে বন-জঙ্গল উজাড়, তৃণভূমিকে খামারে রূপান্তর, কীটনাশকের ব্যবহার, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে মিল্কউইড নামে যে বৃক্ষে মোনার্করা ডিম পাড়ে, তার সংখ্যা কমে যাওয়া—এই সবকিছু বিস্ময়কর এসব প্রজাপতিকে অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে মেক্সিকোতে মোনার্কদের এলাকা হিসেবে পরিচিত জায়গাগুলোর প্রায় ৪৫ একর বনভূমি ঢেকে থাকত মোনার্ক প্রজাপতিতে। ২০০৩-০৪ সালে এটি নেমে আসে ২৭.৫ একরে, ২০২০ সালে আবার দেখা যায় এটি নেমে এসেছে ৫ একরে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম।
কাজেই প্রকৃতির এই বিস্ময় মোনার্ক প্রজাপতিদের বাঁচিয়ে রাখতে আর তাদের আশ্চর্য যাত্রা অব্যাহত রাখতে সচেতন হতে হবে আমাদের মানুষদের। না হলে একসময় হয়তো শুধু আফসোসই করতে হবে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ডট অরগ

পরিযায়ী পাখিরা শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতল এলাকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উষ্ণ এলাকায় হাজির হয়। যদি বলি, এরকমই অভ্যাস আছে একধরনের প্রজাপতিরও, তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটাই করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
উত্তর আমেরিকায় যত জাতের প্রজাপতি আছে, এদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত সম্ভবত মোনার্ক বাটারফ্লাই বা মোনার্ক প্রজাপতিরা। উজ্জ্বল কমলা-লাল ডানা, সেই সঙ্গে শরীরে সাদা-কালো রঙের খেলা একে সহজেই চিনিয়ে দেবে। এ ধরনের প্রজাপতি বিখ্যাত কানাডা থেকে মেক্সিকোর দিকে তাদের যাত্রা ও গ্রীষ্মে কানাডার দিকে ফিরে আসার জন্য।
প্রতিবছর শীতের আভাস পাওয়া শুরু হতেই (কানাডায় এ সময় ফল বা শরৎ) লাখে লাখে এ ধরনের প্রজাপতি কানাডা থেকে তাদের শীতের আশ্রয় মেক্সিকো, কখনো কখনো আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে রওনা হয়। তাদের চলার পথটাকে রাঙিয়ে দেয় উজ্জ্বল ডানার রঙে। বিশাল কলোনি নিয়ে থাকে এসব প্রজাপতি। কোথাও ঘাঁটি গাড়ার পর সাধারণত পাইন বা দেবদারু গাছে ঝাঁক বেঁধে থাকে এরা। অনেক সময় এতটাই ঘনভাবে অবস্থান করে যে গোটা গাছটিকেই কমলা মনে হবে আপনার। গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়ে এদের ওজনে। আর এ দৃশ্য দেখতে ছুটে আসেন বহু পর্যটক।
তবে যাওয়া-আসার গোটা ভ্রমণটা সম্পন্ন করার সুযোগ হয় না কোনো প্রজাপতিরই। কারণ মোনার্ক প্রজাপতিদের আয়ু এর থেকে অনেকই কম। বলা চলে, এদের তিন-চারটি প্রজন্ম এই আসা-যাওয়ায় অংশ নেয়। এই প্রজাপতিরাই সেই অল্প কিছুসংখ্যক কীট-পতঙ্গের একটি, যারা আটলান্টিক পাড়ি দেয়।
মোনার্কদের এই অভিবাসন শুরু হয় প্রতিবছরের অক্টোবরে। তবে আবহাওয়া শীতল হতে থাকলে কখনো কখনো যাত্রাটা আরও আগেই শুরু করে দেয়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকা থেকে শুরু করে মধ্য মেক্সিকোর অরণ্য পর্যন্ত, যেখানে আবহাওয়া উষ্ণ, ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ মাইল ভ্রমণ করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
যেসব প্রজাপতি রকি পর্বতমালার উত্তরের এলাকাগুলোতে বাস করে, তারা মেক্সিকোতে যায় আর দেদবারু গাছে শীতনিদ্রা বা বিশ্রাম করে। অন্যদিকে মোনার্কদের বসবাস যদি রকি পর্বতমালার পশ্চিমে হয়, এগুলো ক্যালিফোর্নিয়া ও আশপাশের এলাকায় অভিবাসন করে। সেখানকার ইউক্যালিপটাস গাছে আশ্রয় নেয় তারা। মোনার্ক প্রজাপতিরা প্রতি বছর অভিবাসনের সময় সাধারণত আগেরবার যে গাছগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল, সেগুলোতেই আবার ফিরে আসে। এক হিসাবে এটি ভারি অদ্ভুত এক কাণ্ড, কারণ আগের বছরের প্রজাপতিগুলো আর পরের বছরেরগুলো এক নয়।
কয়েকটি প্রজন্মের পর আবার একই জায়গায় কীভাবে ওই প্রজাপতিরা ফিরে আসে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, এভাবে একই জায়গা ধরে উড়ে একই জায়গায় পৌঁছানোর ব্যাপারটা উত্তরাধিকার সূত্রে হয় বা বংশানুক্রমিক। অন্য গবেষকদের দাবি, ভ্রমণের সময় পাখিরা আকাশে সূর্যের অবস্থান ও পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে কাজে লাগায়।
মজার ঘটনা, কানাডার যেসব জায়গায় মোনার্ক প্রজাপতিদের বাস, একটা সময় সেখানকার মানুষদের রীতিমতো কঠিন এক ধাঁধার মধ্যে ফেলে রেখেছিল এরা। তাঁরা অবাক হয়ে ভাবতেন, এই যে এত এত প্রজাপতি দেখা যায় গ্রীষ্মে, শীতে এগুলো যায় কোথায়। তারপরই ১৯৩৭ সালে কানাডার প্রাণিবিদ এফ এ আরকুহার্ট মোনার্কের ডানায় ট্যাগ লাগিয়ে এরা কোথায় যায় তার অনুসন্ধান শুরু করেন। ৩৮ বছর পর, কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর সহায়তায় প্রথম এদের কোনো শীতকালীন আস্তানার খোঁজ পান। সেটি মোনার্কদের যাত্রা শুরুর জায়গা থেকে পায় ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে মেক্সিকোর মিচোয়াকান। এটি এখন ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং মোনার্ক প্রজাপতি সংরক্ষণ এলাকা। মেক্সিকোতে মোনার্ক প্রজাপতিদের শীতকালীন আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত এমন ডজনখানেক এলাকা আছে, এগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
তবে মোনার্ক প্রজাপতিদের এই অসাধারণ অভিবাসন বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। মেক্সিকোতে তাদের শীতকালীন আবাস ও আমেরিকা-কানাডার গ্রীষ্মকালীন আবাসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে প্রজাপতিদের ভ্রমণেও। মেক্সিকোতে বন-জঙ্গল উজাড়, তৃণভূমিকে খামারে রূপান্তর, কীটনাশকের ব্যবহার, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে মিল্কউইড নামে যে বৃক্ষে মোনার্করা ডিম পাড়ে, তার সংখ্যা কমে যাওয়া—এই সবকিছু বিস্ময়কর এসব প্রজাপতিকে অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে মেক্সিকোতে মোনার্কদের এলাকা হিসেবে পরিচিত জায়গাগুলোর প্রায় ৪৫ একর বনভূমি ঢেকে থাকত মোনার্ক প্রজাপতিতে। ২০০৩-০৪ সালে এটি নেমে আসে ২৭.৫ একরে, ২০২০ সালে আবার দেখা যায় এটি নেমে এসেছে ৫ একরে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম।
কাজেই প্রকৃতির এই বিস্ময় মোনার্ক প্রজাপতিদের বাঁচিয়ে রাখতে আর তাদের আশ্চর্য যাত্রা অব্যাহত রাখতে সচেতন হতে হবে আমাদের মানুষদের। না হলে একসময় হয়তো শুধু আফসোসই করতে হবে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ডট অরগ

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

পরিযায়ী পাখিরা শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতল এলাকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উষ্ণ এলাকায় হাজির হয়। যদি বলি এ ধরনের একটি অভ্যাস আছে এক ধরনের প্রজাপতিদেরও তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটাই করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
০৫ এপ্রিল ২০২৩
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পরিযায়ী পাখিরা শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতল এলাকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উষ্ণ এলাকায় হাজির হয়। যদি বলি এ ধরনের একটি অভ্যাস আছে এক ধরনের প্রজাপতিদেরও তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটাই করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
০৫ এপ্রিল ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

পরিযায়ী পাখিরা শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতল এলাকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উষ্ণ এলাকায় হাজির হয়। যদি বলি এ ধরনের একটি অভ্যাস আছে এক ধরনের প্রজাপতিদেরও তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটাই করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
০৫ এপ্রিল ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

পরিযায়ী পাখিরা শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতল এলাকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উষ্ণ এলাকায় হাজির হয়। যদি বলি এ ধরনের একটি অভ্যাস আছে এক ধরনের প্রজাপতিদেরও তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটাই করে মোনার্ক প্রজাপতিরা।
০৫ এপ্রিল ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগে