ইশতিয়াক হাসান

কয়েক বছর আগের কথা। কাপ্তাই গিয়েছি বেড়াতে। আস্তানা গেড়েছি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিসের কোয়ার্টারে। ওখানে একটা সার্চ লাইট আছে। রাতে পাহারাদার বনকর্মী এর আলো ফেলে কর্ণফুলী নদীর জলে, চোরাই কাঠ বোঝাই নৌকার খোঁজে। আমিও ঠায় বসে থাকি, যদি এর আলোয় পানি খেতে আসা কোনো বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। শেষমেশ ধৈর্যের ফল মিলল। সার্চ লাইটের আলোয় তৃতীয় রাতে আবিষ্কার করলাম নদীর ওপারে সীতা পাহাড়ের দিকটায় জ্বলজ্বলে এক জোড়া চোখ। আলোটা স্থির করতেই অন্ধকারের রাজ্যে আবছাভাবে দেখা গেল শরীরটা। পরমুহূর্তেই ওটা হাওয়া। ততক্ষণে পরিচয় জানা হয়ে গিয়েছে, মেছো বিড়াল। হয় পানি খেতে নতুবা মাছ শিকারে বেরিয়েছিল।
বাংলাদেশে যে আট জাতের বুনো বিড়ালের বাস, তার একটি এই মেছো বিড়াল। ইংরেজি নাম ফিশিং ক্যাট। অনেকে একে মেছো বাঘ বা বাঘুইলা নামেও চেনে।
মেছো বাঘ নামের কারণে এই জন্তুটা অনেক সময়ই বিপদে পড়ে যায়। নামের সঙ্গে বাঘ থাকার অপরাধে এদের পিটিয়ে মেরে ফেলে মানুষ। আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় চিতা বাঘ দেখা গিয়েছে কিংবা ধরা পড়েছে বলে শোনা যায়, তার বেশির ভাগই আসলে মেছো বিড়াল।
এবার জন্তুটা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ধূসর শরীরে লম্বালম্বি কয়েক সারি হলুদ ডোরা এদের চেহারাটা ভারি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। লেজসহ লম্বায় সাড়ে তিন ফুট। শরীরটা বেশ ভারী, তবে পা খাটো।
শুনে অবাক হবেন, এক সময় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ও ডেমরা এলাকাতে এদের দেখা যেত। অবশ্য সেটা, ১৯৮০ সালের আশপাশের সময়ের ঘটনা। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের বনগুলোতে এরা বেশ আছে। সুন্দরবনও এদের বড় ঘাঁটি। তেমনি আছে অনেক গ্রামীণ বনেই। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে হাওর এলাকায়। শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের আশপাশে মাঝেমধ্যেই মানুষের হাতে মেছো বিড়াল ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়।
প্রথমবার যখন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের কালঙ্গোর বনে গিয়েছিলাম যখন, তখন বন বাংলোর পেছনের পাহাড়ে বিশাল একটি মেছো বাঘের আড্ডাখানা ছিল। রাতে ওটা যখন শিকারে বের হয়, তখন এক পলক দেখার জন্য জঙ্গলে ঢুকেছিলাম। তবে দেখা পাইনি। সিলেট বিভাগের কালেঙ্গা, সাতছড়ি, লাউয়াছড়া, লাঠিটিলার মতো বনগুলোতে এখনো বেশ আছে। কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চমৎকার স্বাস্থ্যের তিনটা মেছো বিড়াল দেখেছিলাম।
এবার একটু অন্য ধরনের একটি ঘটনা। অন্তত বছর কুড়ি আগে ঘটেছিল এটা। গাজীপুরের কালিগঞ্জের এক শালবনের আশপাশের মানুষের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের বেলা বনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কিংবা গ্রামের আশপাশে অদ্ভুত একটা সাদা জিনিস বা প্রাণী নজরে পড়ছে তাদের। এর নাম দিয়ে দিল তারা ‘সাদা ভূত’। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে, মানুষজন জঙ্গলের আশপাশ ঘেঁষা বাদ দিয়ে দিল। এদিকে ওই এলাকার বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী সরওয়ার পাঠান। এক রাতে বনের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ তীব্র হুটোপুটির আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে দেখলেন, দুটো মেছো বাঘ তুমুল লড়াই করছে। একটার চেহারা সাধারণ; কিন্তু আরেকটার গায়ের রং সাদা। তাঁর বুঝতে বাকি রইল না এটা অ্যালবিনো। একে নিয়েই গ্রামের লোকের এত ভয়।
অ্যালবিনিজম হলো একটি জন্মগত ব্যাপার, এর প্রভাবে চুল, চোখ ও ত্বক স্বাভাবিক রঙের বদলে হয়ে যায় সাদা। আমাদের ত্বকে মেলানিন নামে যে রঞ্জক থাকে, অ্যালবিনো প্রাণীর মধ্যে সেটি থাকে না, যার কারণে তারা ধবধবে সাদা হয়। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যালবিনো মেছো বিড়াল ছিল নিঃসন্দেহে শ্রীমঙ্গলের সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার সেই সাদা মেছো বাঘ। বেশ কয়েকবারই ওটাকে দেখেছিলাম। অবশ্য এখন ওটাকে আর দেখার সুযোগ নেই। বছর কয়েক আগে বয়স হয়েই মারা গেছে ওই মেছো বাঘটা।
মেছো বিড়ালদের পছন্দের খাবার মেনুতে আছে মাছ থেকে শুরু করে খরগোশ, বন মোরগসহ খুদে স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী। অবশ্য হঠাৎ হঠাৎ সুযোগ পেলে গ্রামের মানুষের হাঁস-মুরগি, ছাগল শিকার করে খাওয়ার অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে। কোথাও এদের দেখা গেছে এমন খবর পেলেই হয়েছে। সারা গ্রামের মানুষ এক হয়ে আচ্ছাসে পিটিয়ে এদের দুনিয়ার মায়া কাটাতে বাধ্য করে। এভাবে গ্রামীণ বন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তু। আবার রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির চাপায়ও মারা পড়ে অনেকগুলো।
বাংলাদেশ ছাড়া এদের পাবেন ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেই।
তবে শেষটা একটা ভালো খবর দিয়ে করতে চাই। পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি দেখে খুশি হয়ে উঠেছে মনটা। গত মঙ্গলবারে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দোড়গোড়ীয়া গ্রামে একটি মেছো বিড়াল আটকা পড়ে ফাঁদে। ওই অবস্থাতেই চারটা বাচ্চা হয় জন্তুটার। খবরটা জানানো হয় বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে। তারা গিয়ে দেখলেন খাঁচাবন্দী মেছো বিড়াল দেখতে গোটা গ্রাম যেন ভেঙে পড়েছে। তবে এসবে কোনো পরোয়া নেই মা মেছো বিড়ালের। বাচ্চাগুলোকে একমনে বুকের দুধ পান করাচ্ছে। শেষমেশ গ্রামের মানুষদের বুঝিয়ে মেছো বাঘটাকে বাচ্চাসহ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে একাকী যায় মা মেছো বিড়াল। তবে কিছুক্ষণ পর, সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে ফিরে আসে মা, নিয়ে যায় বাচ্চাগুলোকে। এভাবেই গোটা দেশে ভালো থাকুক মেছো বিড়ালেরা। দেশের গ্রামীণ বনে, পাহাড়ি বনে, হাওর এলাকায়, সুন্দরবনে সব জায়গায় ছানা-পোনা নিয়ে আনন্দে দিন কাটুক তাদের।

কয়েক বছর আগের কথা। কাপ্তাই গিয়েছি বেড়াতে। আস্তানা গেড়েছি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিসের কোয়ার্টারে। ওখানে একটা সার্চ লাইট আছে। রাতে পাহারাদার বনকর্মী এর আলো ফেলে কর্ণফুলী নদীর জলে, চোরাই কাঠ বোঝাই নৌকার খোঁজে। আমিও ঠায় বসে থাকি, যদি এর আলোয় পানি খেতে আসা কোনো বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। শেষমেশ ধৈর্যের ফল মিলল। সার্চ লাইটের আলোয় তৃতীয় রাতে আবিষ্কার করলাম নদীর ওপারে সীতা পাহাড়ের দিকটায় জ্বলজ্বলে এক জোড়া চোখ। আলোটা স্থির করতেই অন্ধকারের রাজ্যে আবছাভাবে দেখা গেল শরীরটা। পরমুহূর্তেই ওটা হাওয়া। ততক্ষণে পরিচয় জানা হয়ে গিয়েছে, মেছো বিড়াল। হয় পানি খেতে নতুবা মাছ শিকারে বেরিয়েছিল।
বাংলাদেশে যে আট জাতের বুনো বিড়ালের বাস, তার একটি এই মেছো বিড়াল। ইংরেজি নাম ফিশিং ক্যাট। অনেকে একে মেছো বাঘ বা বাঘুইলা নামেও চেনে।
মেছো বাঘ নামের কারণে এই জন্তুটা অনেক সময়ই বিপদে পড়ে যায়। নামের সঙ্গে বাঘ থাকার অপরাধে এদের পিটিয়ে মেরে ফেলে মানুষ। আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় চিতা বাঘ দেখা গিয়েছে কিংবা ধরা পড়েছে বলে শোনা যায়, তার বেশির ভাগই আসলে মেছো বিড়াল।
এবার জন্তুটা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ধূসর শরীরে লম্বালম্বি কয়েক সারি হলুদ ডোরা এদের চেহারাটা ভারি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। লেজসহ লম্বায় সাড়ে তিন ফুট। শরীরটা বেশ ভারী, তবে পা খাটো।
শুনে অবাক হবেন, এক সময় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ও ডেমরা এলাকাতে এদের দেখা যেত। অবশ্য সেটা, ১৯৮০ সালের আশপাশের সময়ের ঘটনা। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের বনগুলোতে এরা বেশ আছে। সুন্দরবনও এদের বড় ঘাঁটি। তেমনি আছে অনেক গ্রামীণ বনেই। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে হাওর এলাকায়। শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের আশপাশে মাঝেমধ্যেই মানুষের হাতে মেছো বিড়াল ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়।
প্রথমবার যখন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের কালঙ্গোর বনে গিয়েছিলাম যখন, তখন বন বাংলোর পেছনের পাহাড়ে বিশাল একটি মেছো বাঘের আড্ডাখানা ছিল। রাতে ওটা যখন শিকারে বের হয়, তখন এক পলক দেখার জন্য জঙ্গলে ঢুকেছিলাম। তবে দেখা পাইনি। সিলেট বিভাগের কালেঙ্গা, সাতছড়ি, লাউয়াছড়া, লাঠিটিলার মতো বনগুলোতে এখনো বেশ আছে। কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চমৎকার স্বাস্থ্যের তিনটা মেছো বিড়াল দেখেছিলাম।
এবার একটু অন্য ধরনের একটি ঘটনা। অন্তত বছর কুড়ি আগে ঘটেছিল এটা। গাজীপুরের কালিগঞ্জের এক শালবনের আশপাশের মানুষের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের বেলা বনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কিংবা গ্রামের আশপাশে অদ্ভুত একটা সাদা জিনিস বা প্রাণী নজরে পড়ছে তাদের। এর নাম দিয়ে দিল তারা ‘সাদা ভূত’। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে, মানুষজন জঙ্গলের আশপাশ ঘেঁষা বাদ দিয়ে দিল। এদিকে ওই এলাকার বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী সরওয়ার পাঠান। এক রাতে বনের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ তীব্র হুটোপুটির আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে দেখলেন, দুটো মেছো বাঘ তুমুল লড়াই করছে। একটার চেহারা সাধারণ; কিন্তু আরেকটার গায়ের রং সাদা। তাঁর বুঝতে বাকি রইল না এটা অ্যালবিনো। একে নিয়েই গ্রামের লোকের এত ভয়।
অ্যালবিনিজম হলো একটি জন্মগত ব্যাপার, এর প্রভাবে চুল, চোখ ও ত্বক স্বাভাবিক রঙের বদলে হয়ে যায় সাদা। আমাদের ত্বকে মেলানিন নামে যে রঞ্জক থাকে, অ্যালবিনো প্রাণীর মধ্যে সেটি থাকে না, যার কারণে তারা ধবধবে সাদা হয়। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যালবিনো মেছো বিড়াল ছিল নিঃসন্দেহে শ্রীমঙ্গলের সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার সেই সাদা মেছো বাঘ। বেশ কয়েকবারই ওটাকে দেখেছিলাম। অবশ্য এখন ওটাকে আর দেখার সুযোগ নেই। বছর কয়েক আগে বয়স হয়েই মারা গেছে ওই মেছো বাঘটা।
মেছো বিড়ালদের পছন্দের খাবার মেনুতে আছে মাছ থেকে শুরু করে খরগোশ, বন মোরগসহ খুদে স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী। অবশ্য হঠাৎ হঠাৎ সুযোগ পেলে গ্রামের মানুষের হাঁস-মুরগি, ছাগল শিকার করে খাওয়ার অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে। কোথাও এদের দেখা গেছে এমন খবর পেলেই হয়েছে। সারা গ্রামের মানুষ এক হয়ে আচ্ছাসে পিটিয়ে এদের দুনিয়ার মায়া কাটাতে বাধ্য করে। এভাবে গ্রামীণ বন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তু। আবার রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির চাপায়ও মারা পড়ে অনেকগুলো।
বাংলাদেশ ছাড়া এদের পাবেন ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেই।
তবে শেষটা একটা ভালো খবর দিয়ে করতে চাই। পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি দেখে খুশি হয়ে উঠেছে মনটা। গত মঙ্গলবারে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দোড়গোড়ীয়া গ্রামে একটি মেছো বিড়াল আটকা পড়ে ফাঁদে। ওই অবস্থাতেই চারটা বাচ্চা হয় জন্তুটার। খবরটা জানানো হয় বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে। তারা গিয়ে দেখলেন খাঁচাবন্দী মেছো বিড়াল দেখতে গোটা গ্রাম যেন ভেঙে পড়েছে। তবে এসবে কোনো পরোয়া নেই মা মেছো বিড়ালের। বাচ্চাগুলোকে একমনে বুকের দুধ পান করাচ্ছে। শেষমেশ গ্রামের মানুষদের বুঝিয়ে মেছো বাঘটাকে বাচ্চাসহ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে একাকী যায় মা মেছো বিড়াল। তবে কিছুক্ষণ পর, সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে ফিরে আসে মা, নিয়ে যায় বাচ্চাগুলোকে। এভাবেই গোটা দেশে ভালো থাকুক মেছো বিড়ালেরা। দেশের গ্রামীণ বনে, পাহাড়ি বনে, হাওর এলাকায়, সুন্দরবনে সব জায়গায় ছানা-পোনা নিয়ে আনন্দে দিন কাটুক তাদের।
ইশতিয়াক হাসান

কয়েক বছর আগের কথা। কাপ্তাই গিয়েছি বেড়াতে। আস্তানা গেড়েছি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিসের কোয়ার্টারে। ওখানে একটা সার্চ লাইট আছে। রাতে পাহারাদার বনকর্মী এর আলো ফেলে কর্ণফুলী নদীর জলে, চোরাই কাঠ বোঝাই নৌকার খোঁজে। আমিও ঠায় বসে থাকি, যদি এর আলোয় পানি খেতে আসা কোনো বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। শেষমেশ ধৈর্যের ফল মিলল। সার্চ লাইটের আলোয় তৃতীয় রাতে আবিষ্কার করলাম নদীর ওপারে সীতা পাহাড়ের দিকটায় জ্বলজ্বলে এক জোড়া চোখ। আলোটা স্থির করতেই অন্ধকারের রাজ্যে আবছাভাবে দেখা গেল শরীরটা। পরমুহূর্তেই ওটা হাওয়া। ততক্ষণে পরিচয় জানা হয়ে গিয়েছে, মেছো বিড়াল। হয় পানি খেতে নতুবা মাছ শিকারে বেরিয়েছিল।
বাংলাদেশে যে আট জাতের বুনো বিড়ালের বাস, তার একটি এই মেছো বিড়াল। ইংরেজি নাম ফিশিং ক্যাট। অনেকে একে মেছো বাঘ বা বাঘুইলা নামেও চেনে।
মেছো বাঘ নামের কারণে এই জন্তুটা অনেক সময়ই বিপদে পড়ে যায়। নামের সঙ্গে বাঘ থাকার অপরাধে এদের পিটিয়ে মেরে ফেলে মানুষ। আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় চিতা বাঘ দেখা গিয়েছে কিংবা ধরা পড়েছে বলে শোনা যায়, তার বেশির ভাগই আসলে মেছো বিড়াল।
এবার জন্তুটা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ধূসর শরীরে লম্বালম্বি কয়েক সারি হলুদ ডোরা এদের চেহারাটা ভারি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। লেজসহ লম্বায় সাড়ে তিন ফুট। শরীরটা বেশ ভারী, তবে পা খাটো।
শুনে অবাক হবেন, এক সময় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ও ডেমরা এলাকাতে এদের দেখা যেত। অবশ্য সেটা, ১৯৮০ সালের আশপাশের সময়ের ঘটনা। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের বনগুলোতে এরা বেশ আছে। সুন্দরবনও এদের বড় ঘাঁটি। তেমনি আছে অনেক গ্রামীণ বনেই। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে হাওর এলাকায়। শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের আশপাশে মাঝেমধ্যেই মানুষের হাতে মেছো বিড়াল ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়।
প্রথমবার যখন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের কালঙ্গোর বনে গিয়েছিলাম যখন, তখন বন বাংলোর পেছনের পাহাড়ে বিশাল একটি মেছো বাঘের আড্ডাখানা ছিল। রাতে ওটা যখন শিকারে বের হয়, তখন এক পলক দেখার জন্য জঙ্গলে ঢুকেছিলাম। তবে দেখা পাইনি। সিলেট বিভাগের কালেঙ্গা, সাতছড়ি, লাউয়াছড়া, লাঠিটিলার মতো বনগুলোতে এখনো বেশ আছে। কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চমৎকার স্বাস্থ্যের তিনটা মেছো বিড়াল দেখেছিলাম।
এবার একটু অন্য ধরনের একটি ঘটনা। অন্তত বছর কুড়ি আগে ঘটেছিল এটা। গাজীপুরের কালিগঞ্জের এক শালবনের আশপাশের মানুষের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের বেলা বনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কিংবা গ্রামের আশপাশে অদ্ভুত একটা সাদা জিনিস বা প্রাণী নজরে পড়ছে তাদের। এর নাম দিয়ে দিল তারা ‘সাদা ভূত’। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে, মানুষজন জঙ্গলের আশপাশ ঘেঁষা বাদ দিয়ে দিল। এদিকে ওই এলাকার বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী সরওয়ার পাঠান। এক রাতে বনের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ তীব্র হুটোপুটির আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে দেখলেন, দুটো মেছো বাঘ তুমুল লড়াই করছে। একটার চেহারা সাধারণ; কিন্তু আরেকটার গায়ের রং সাদা। তাঁর বুঝতে বাকি রইল না এটা অ্যালবিনো। একে নিয়েই গ্রামের লোকের এত ভয়।
অ্যালবিনিজম হলো একটি জন্মগত ব্যাপার, এর প্রভাবে চুল, চোখ ও ত্বক স্বাভাবিক রঙের বদলে হয়ে যায় সাদা। আমাদের ত্বকে মেলানিন নামে যে রঞ্জক থাকে, অ্যালবিনো প্রাণীর মধ্যে সেটি থাকে না, যার কারণে তারা ধবধবে সাদা হয়। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যালবিনো মেছো বিড়াল ছিল নিঃসন্দেহে শ্রীমঙ্গলের সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার সেই সাদা মেছো বাঘ। বেশ কয়েকবারই ওটাকে দেখেছিলাম। অবশ্য এখন ওটাকে আর দেখার সুযোগ নেই। বছর কয়েক আগে বয়স হয়েই মারা গেছে ওই মেছো বাঘটা।
মেছো বিড়ালদের পছন্দের খাবার মেনুতে আছে মাছ থেকে শুরু করে খরগোশ, বন মোরগসহ খুদে স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী। অবশ্য হঠাৎ হঠাৎ সুযোগ পেলে গ্রামের মানুষের হাঁস-মুরগি, ছাগল শিকার করে খাওয়ার অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে। কোথাও এদের দেখা গেছে এমন খবর পেলেই হয়েছে। সারা গ্রামের মানুষ এক হয়ে আচ্ছাসে পিটিয়ে এদের দুনিয়ার মায়া কাটাতে বাধ্য করে। এভাবে গ্রামীণ বন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তু। আবার রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির চাপায়ও মারা পড়ে অনেকগুলো।
বাংলাদেশ ছাড়া এদের পাবেন ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেই।
তবে শেষটা একটা ভালো খবর দিয়ে করতে চাই। পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি দেখে খুশি হয়ে উঠেছে মনটা। গত মঙ্গলবারে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দোড়গোড়ীয়া গ্রামে একটি মেছো বিড়াল আটকা পড়ে ফাঁদে। ওই অবস্থাতেই চারটা বাচ্চা হয় জন্তুটার। খবরটা জানানো হয় বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে। তারা গিয়ে দেখলেন খাঁচাবন্দী মেছো বিড়াল দেখতে গোটা গ্রাম যেন ভেঙে পড়েছে। তবে এসবে কোনো পরোয়া নেই মা মেছো বিড়ালের। বাচ্চাগুলোকে একমনে বুকের দুধ পান করাচ্ছে। শেষমেশ গ্রামের মানুষদের বুঝিয়ে মেছো বাঘটাকে বাচ্চাসহ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে একাকী যায় মা মেছো বিড়াল। তবে কিছুক্ষণ পর, সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে ফিরে আসে মা, নিয়ে যায় বাচ্চাগুলোকে। এভাবেই গোটা দেশে ভালো থাকুক মেছো বিড়ালেরা। দেশের গ্রামীণ বনে, পাহাড়ি বনে, হাওর এলাকায়, সুন্দরবনে সব জায়গায় ছানা-পোনা নিয়ে আনন্দে দিন কাটুক তাদের।

কয়েক বছর আগের কথা। কাপ্তাই গিয়েছি বেড়াতে। আস্তানা গেড়েছি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিসের কোয়ার্টারে। ওখানে একটা সার্চ লাইট আছে। রাতে পাহারাদার বনকর্মী এর আলো ফেলে কর্ণফুলী নদীর জলে, চোরাই কাঠ বোঝাই নৌকার খোঁজে। আমিও ঠায় বসে থাকি, যদি এর আলোয় পানি খেতে আসা কোনো বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। শেষমেশ ধৈর্যের ফল মিলল। সার্চ লাইটের আলোয় তৃতীয় রাতে আবিষ্কার করলাম নদীর ওপারে সীতা পাহাড়ের দিকটায় জ্বলজ্বলে এক জোড়া চোখ। আলোটা স্থির করতেই অন্ধকারের রাজ্যে আবছাভাবে দেখা গেল শরীরটা। পরমুহূর্তেই ওটা হাওয়া। ততক্ষণে পরিচয় জানা হয়ে গিয়েছে, মেছো বিড়াল। হয় পানি খেতে নতুবা মাছ শিকারে বেরিয়েছিল।
বাংলাদেশে যে আট জাতের বুনো বিড়ালের বাস, তার একটি এই মেছো বিড়াল। ইংরেজি নাম ফিশিং ক্যাট। অনেকে একে মেছো বাঘ বা বাঘুইলা নামেও চেনে।
মেছো বাঘ নামের কারণে এই জন্তুটা অনেক সময়ই বিপদে পড়ে যায়। নামের সঙ্গে বাঘ থাকার অপরাধে এদের পিটিয়ে মেরে ফেলে মানুষ। আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় চিতা বাঘ দেখা গিয়েছে কিংবা ধরা পড়েছে বলে শোনা যায়, তার বেশির ভাগই আসলে মেছো বিড়াল।
এবার জন্তুটা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ধূসর শরীরে লম্বালম্বি কয়েক সারি হলুদ ডোরা এদের চেহারাটা ভারি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। লেজসহ লম্বায় সাড়ে তিন ফুট। শরীরটা বেশ ভারী, তবে পা খাটো।
শুনে অবাক হবেন, এক সময় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ও ডেমরা এলাকাতে এদের দেখা যেত। অবশ্য সেটা, ১৯৮০ সালের আশপাশের সময়ের ঘটনা। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের বনগুলোতে এরা বেশ আছে। সুন্দরবনও এদের বড় ঘাঁটি। তেমনি আছে অনেক গ্রামীণ বনেই। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে হাওর এলাকায়। শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের আশপাশে মাঝেমধ্যেই মানুষের হাতে মেছো বিড়াল ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়।
প্রথমবার যখন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের কালঙ্গোর বনে গিয়েছিলাম যখন, তখন বন বাংলোর পেছনের পাহাড়ে বিশাল একটি মেছো বাঘের আড্ডাখানা ছিল। রাতে ওটা যখন শিকারে বের হয়, তখন এক পলক দেখার জন্য জঙ্গলে ঢুকেছিলাম। তবে দেখা পাইনি। সিলেট বিভাগের কালেঙ্গা, সাতছড়ি, লাউয়াছড়া, লাঠিটিলার মতো বনগুলোতে এখনো বেশ আছে। কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চমৎকার স্বাস্থ্যের তিনটা মেছো বিড়াল দেখেছিলাম।
এবার একটু অন্য ধরনের একটি ঘটনা। অন্তত বছর কুড়ি আগে ঘটেছিল এটা। গাজীপুরের কালিগঞ্জের এক শালবনের আশপাশের মানুষের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের বেলা বনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কিংবা গ্রামের আশপাশে অদ্ভুত একটা সাদা জিনিস বা প্রাণী নজরে পড়ছে তাদের। এর নাম দিয়ে দিল তারা ‘সাদা ভূত’। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে, মানুষজন জঙ্গলের আশপাশ ঘেঁষা বাদ দিয়ে দিল। এদিকে ওই এলাকার বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী সরওয়ার পাঠান। এক রাতে বনের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ তীব্র হুটোপুটির আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে দেখলেন, দুটো মেছো বাঘ তুমুল লড়াই করছে। একটার চেহারা সাধারণ; কিন্তু আরেকটার গায়ের রং সাদা। তাঁর বুঝতে বাকি রইল না এটা অ্যালবিনো। একে নিয়েই গ্রামের লোকের এত ভয়।
অ্যালবিনিজম হলো একটি জন্মগত ব্যাপার, এর প্রভাবে চুল, চোখ ও ত্বক স্বাভাবিক রঙের বদলে হয়ে যায় সাদা। আমাদের ত্বকে মেলানিন নামে যে রঞ্জক থাকে, অ্যালবিনো প্রাণীর মধ্যে সেটি থাকে না, যার কারণে তারা ধবধবে সাদা হয়। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যালবিনো মেছো বিড়াল ছিল নিঃসন্দেহে শ্রীমঙ্গলের সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার সেই সাদা মেছো বাঘ। বেশ কয়েকবারই ওটাকে দেখেছিলাম। অবশ্য এখন ওটাকে আর দেখার সুযোগ নেই। বছর কয়েক আগে বয়স হয়েই মারা গেছে ওই মেছো বাঘটা।
মেছো বিড়ালদের পছন্দের খাবার মেনুতে আছে মাছ থেকে শুরু করে খরগোশ, বন মোরগসহ খুদে স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী। অবশ্য হঠাৎ হঠাৎ সুযোগ পেলে গ্রামের মানুষের হাঁস-মুরগি, ছাগল শিকার করে খাওয়ার অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে। কোথাও এদের দেখা গেছে এমন খবর পেলেই হয়েছে। সারা গ্রামের মানুষ এক হয়ে আচ্ছাসে পিটিয়ে এদের দুনিয়ার মায়া কাটাতে বাধ্য করে। এভাবে গ্রামীণ বন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তু। আবার রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির চাপায়ও মারা পড়ে অনেকগুলো।
বাংলাদেশ ছাড়া এদের পাবেন ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেই।
তবে শেষটা একটা ভালো খবর দিয়ে করতে চাই। পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি দেখে খুশি হয়ে উঠেছে মনটা। গত মঙ্গলবারে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দোড়গোড়ীয়া গ্রামে একটি মেছো বিড়াল আটকা পড়ে ফাঁদে। ওই অবস্থাতেই চারটা বাচ্চা হয় জন্তুটার। খবরটা জানানো হয় বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে। তারা গিয়ে দেখলেন খাঁচাবন্দী মেছো বিড়াল দেখতে গোটা গ্রাম যেন ভেঙে পড়েছে। তবে এসবে কোনো পরোয়া নেই মা মেছো বিড়ালের। বাচ্চাগুলোকে একমনে বুকের দুধ পান করাচ্ছে। শেষমেশ গ্রামের মানুষদের বুঝিয়ে মেছো বাঘটাকে বাচ্চাসহ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে একাকী যায় মা মেছো বিড়াল। তবে কিছুক্ষণ পর, সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে ফিরে আসে মা, নিয়ে যায় বাচ্চাগুলোকে। এভাবেই গোটা দেশে ভালো থাকুক মেছো বিড়ালেরা। দেশের গ্রামীণ বনে, পাহাড়ি বনে, হাওর এলাকায়, সুন্দরবনে সব জায়গায় ছানা-পোনা নিয়ে আনন্দে দিন কাটুক তাদের।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

কয়েক বছর আগের কথা। কাপ্তাই গিয়েছি বেড়াতে। আস্তানা গেড়েছি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিসের কোয়ার্টারে। ওখানে একটা সার্চলাইট আছে।
০১ নভেম্বর ২০২১
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

কয়েক বছর আগের কথা। কাপ্তাই গিয়েছি বেড়াতে। আস্তানা গেড়েছি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিসের কোয়ার্টারে। ওখানে একটা সার্চলাইট আছে।
০১ নভেম্বর ২০২১
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কয়েক বছর আগের কথা। কাপ্তাই গিয়েছি বেড়াতে। আস্তানা গেড়েছি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিসের কোয়ার্টারে। ওখানে একটা সার্চলাইট আছে।
০১ নভেম্বর ২০২১
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

কয়েক বছর আগের কথা। কাপ্তাই গিয়েছি বেড়াতে। আস্তানা গেড়েছি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিসের কোয়ার্টারে। ওখানে একটা সার্চলাইট আছে।
০১ নভেম্বর ২০২১
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে