
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র বন্যা দেখা দিচ্ছে। যার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ, চীন ও কানাডার ভয়াবহ বন্যা। এত ঘন ঘন বন্যার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা বায়ুমণ্ডলে আগের চেয়ে অনেক বেশি আর্দ্রতা ধারণ করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে ইরাক, ইরান, কুয়েত ও জর্ডান—প্রতিটি দেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। সঙ্গে ছিল তীব্র বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি এবং অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত। আবহাওয়াবিদেরা পরে ওই সব অঞ্চলের আকাশ বা বায়ুমণ্ডলে রেকর্ড পরিমাণ আর্দ্রতার উপস্থিতি লক্ষ করেন। যা ২০০৫ সালের পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ওই বছরের জুলাইয়ে চিলিতে মাত্র তিন দিনে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এমন প্রবল বৃষ্টিপাতে আন্দিজ পর্বতের কিছু অংশের তুষারও গলে যায়। এতে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। দেশটির রাস্তাঘাট, সেতু এবং পানি সরবরাহব্যবস্থা সব ধ্বংস হয়ে যায়।
এর এক বছর আগে অর্থাৎ ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। যাকে সেই দেশের রাজনীতিবিদেরা ‘বৃষ্টিবোমা’ আখ্যা দিয়েছিলেন। ওই বন্যায় ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব ঘটনা বায়ুমণ্ডলীয় বা ভাসমান নদীগুলোর কারণে হয়েছে। এসব নদী ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। নাসার তথ্যমতে, বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো প্রতিনিয়ত দীর্ঘ, প্রশস্ত এবং ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে বন্যার ঝুঁকিতে ফেলছে।
এই ‘ভাসমান নদী’ বা ‘উড়ন্ত নদী’ হলো ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডল পর্যন্ত লম্বা ও প্রশস্ত জলীয়বাষ্পের স্তর। এসব নদীর সৃষ্টি বা উদ্ভব হয় সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল থেকে। পরে তাঁরা ঠান্ডা মেরু অঞ্চলের দিকে সরতে থাকে। এই উড়ন্ত নদীগুলো পৃথিবীর মধ্য-অক্ষাংশজুড়ে চলাচল করা মোট জলীয়বাষ্পের প্রায় ৯০ শতাংশ বহন করে।
একটি বায়ুমণ্ডলীয় নদী গড়ে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ, ৫০০ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং প্রায় তিন কিলোমিটার গভীর হয়ে থাকে। যদিও এই নদীগুলো ক্রমেই দীর্ঘ ও প্রশস্ত হচ্ছে। অনেক সময় তা পাঁচ হাজার কিলোমিটারের চেয়েও বেশি প্রশস্ত হয়ে থাকে। তবুও, মানুষ এই নদী চোখে দেখতে পায় না। তাঁরা যা দেখে তা শুধুই কিছু পুঞ্জিভূত মেঘ।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বায়ুমণ্ডলীয় গবেষক ব্রায়ান কান বলেছেন, এই নদীর অস্তিত্ব ইনফ্রারেড এবং মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে দেখা যেতে পারে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে জলীয় বাষ্প এবং বায়ুমণ্ডলীয় নদী পর্যবেক্ষণের জন্য স্যাটেলাইট বেশ কার্যকর হতে পারে।
উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম নদী মিসিসিপি যতোটা না আর্দ্রতা ছড়ায় তার চাইতে ১৫ গুণ বেশি আর্দ্রতা ছড়াতে পারে বায়ুমণ্ডলের বিশাল ও শক্তিশালী নদীগুলো। এই উড়ন্ত নদীগুলো গড়ে যে পরিমাণ পানি নিঃসরণ করে—তা বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী আমাজনের নিয়মিত পানি প্রবাহের প্রায় দ্বিগুণ।
বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো সব সময়ই ছিল। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বেশি জলীয়বাষ্প তৈরি মাত্রা বাড়িয়েছে, যা পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভূপৃষ্ঠে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে বিপর্যয়কর বন্যা ও ভূমিধস।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী বায়ুমণ্ডলীয় জলীয়বাষ্প ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে তা ক্রমেই বাড়ছে। জার্মানির পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব জিওসায়েন্সের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বায়ুমণ্ডলীয় নদী অনেক দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছে। এর অর্থ, সামনের দিনগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হবে এবং জনজীবনের ওপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা ইউনিভার্সিটির আরেকটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ঠিক এমনটাই হয়েছিল। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, হাই-রেজল্যুশন সিমুলেশনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো দৃশ্যমান হয়েছে। এই নদীগুলো উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা থেকে পশ্চিম ইরানের দিকে দ্রুতগতিতে প্রবাহিত হলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
আরও ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা
পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সারা এম ভ্যালেজো-বার্নালের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলীয় নদী ঘনীভূত হওয়ার হার ক্রমেই বাড়ছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ায় ১৯৪০ সাল থেকে বায়ুমণ্ডলীয় নদী উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং মাদাগাস্কার, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের তুলনায় এই নদীগুলো আরও ঘনীভূত হয়ে উঠছে।
জিওফিজিক্যাল রিসার্চ জার্নালের ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ব চীন, কোরিয়া এবং পশ্চিম জাপানে বর্ষা মৌসুমের শুরুতে (মার্চ এবং এপ্রিল) ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এই ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল বায়ুমণ্ডলীয় নদীর কারণে।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ভারত মহাসাগরের উষ্ণ পরিবেশ ‘উড়ন্ত নদী’ তৈরি করছে এবং জুন থেকে সেপ্টেম্বরে এই অঞ্চলে মৌসুমি বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যালের আবহাওয়াবিদ ড. রক্সি ম্যাথিউ কোল বলেছেন, যখন সমুদ্রের পানি উষ্ণ হয়ে ওঠে তখন তা বাষ্পীভূত হয়ে ওপরে উঠে বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোয় জমা হতে থাকে। বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো এই বিপুল পরিমাণ আর্দ্রতা বা পানি কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন ধরে আবার ভূপৃষ্ঠে ঝরাতে থাকে। এর ফলে, কম সময়ের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় এবং থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরে। সারা দেশে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার ঘটনা বাড়ে।
যদিও সব বন্যা এবং ভূমিধস বায়ুমণ্ডলীয় নদীর কারণে হয় না। ঘূর্ণিঝড়, আবহাওয়া, ঝড় ইত্যাদি নানা কারণেও হতে পারে। তবে আশঙ্কার বিষয় এই যে বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো পৃথিবীর নতুন নতুন অঞ্চলেও পৌঁছে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এর একটি কারণ হিসেবে জেট স্ট্রিমের কথা বলছেন। জেট স্ট্রিম হলো— জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুর একটি পরিবর্তিত ধরন। এর গতি অনেক দ্রুত এবং পরিধি বেশ সংকীর্ণ হয়।
এই জেট স্ট্রিম বেশ দ্রুত গতিতে এবং সংকীর্ণ স্রোতে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হতে থাকে। এ বিষয়ে চিলির ভালপারাইসো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেনিজ বোজকুর্ট বলেন, ‘বাতাসে ঢেউয়ের পরিমাণ বেশি থাকা এবং জেট স্ট্রিম মানে এই দ্রুত গতির বাতাস আঁকাবাঁকা পথে যাবে এবং এতে সাধারণ গতিপথ থেকে বিচ্যুতিও হতে পারে। এটি বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোকে আরও জটিল পথে ধাবিত করতে পারে, সেই সঙ্গে এর সময়কাল এবং বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে।’
সারা বিশ্বে বিপর্যয়কর বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, এমন বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোকে তাঁদের আকার এবং শক্তির ভিত্তিতে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে—ঠিক হারিকেনের মতো। তবে সব বায়ুমণ্ডলীয় নদী ক্ষতিকর নয়, যদি সেগুলোর তীব্রতা কম হয়। অথবা নদীগুলো এমন কোনো জায়গায় বৃষ্টিপাত ঘটায় যেখানে দীর্ঘদিন ধরে খরা চলছে। সেসব ক্ষেত্রে এসব বায়ুমণ্ডলীয় নদী উপকারী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোর পর্যবেক্ষণ এবং পূর্বাভাস শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল থেকেই দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ, বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো ওই অঞ্চলে অবস্থান করলে সেখান থেকে এর প্রভাবসমূহ পর্যবেক্ষণ করা যায়। বহু দশক ধরে তাঁরা বেশ ভালভাবেই পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
ভালপারাইসো বিশ্ববিদ্যালয়ের বোজকার্ট বলেছেন, ‘আঞ্চলিক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বায়ুমণ্ডলীয় নদী সম্পর্কে ধারণা বেশ সীমিত। এক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো জটিল অঞ্চলগুলোয় বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোর উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য ঘাটতি।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র বন্যা দেখা দিচ্ছে। যার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ, চীন ও কানাডার ভয়াবহ বন্যা। এত ঘন ঘন বন্যার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা বায়ুমণ্ডলে আগের চেয়ে অনেক বেশি আর্দ্রতা ধারণ করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে ইরাক, ইরান, কুয়েত ও জর্ডান—প্রতিটি দেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। সঙ্গে ছিল তীব্র বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি এবং অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত। আবহাওয়াবিদেরা পরে ওই সব অঞ্চলের আকাশ বা বায়ুমণ্ডলে রেকর্ড পরিমাণ আর্দ্রতার উপস্থিতি লক্ষ করেন। যা ২০০৫ সালের পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ওই বছরের জুলাইয়ে চিলিতে মাত্র তিন দিনে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এমন প্রবল বৃষ্টিপাতে আন্দিজ পর্বতের কিছু অংশের তুষারও গলে যায়। এতে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। দেশটির রাস্তাঘাট, সেতু এবং পানি সরবরাহব্যবস্থা সব ধ্বংস হয়ে যায়।
এর এক বছর আগে অর্থাৎ ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। যাকে সেই দেশের রাজনীতিবিদেরা ‘বৃষ্টিবোমা’ আখ্যা দিয়েছিলেন। ওই বন্যায় ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব ঘটনা বায়ুমণ্ডলীয় বা ভাসমান নদীগুলোর কারণে হয়েছে। এসব নদী ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। নাসার তথ্যমতে, বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো প্রতিনিয়ত দীর্ঘ, প্রশস্ত এবং ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে বন্যার ঝুঁকিতে ফেলছে।
এই ‘ভাসমান নদী’ বা ‘উড়ন্ত নদী’ হলো ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডল পর্যন্ত লম্বা ও প্রশস্ত জলীয়বাষ্পের স্তর। এসব নদীর সৃষ্টি বা উদ্ভব হয় সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল থেকে। পরে তাঁরা ঠান্ডা মেরু অঞ্চলের দিকে সরতে থাকে। এই উড়ন্ত নদীগুলো পৃথিবীর মধ্য-অক্ষাংশজুড়ে চলাচল করা মোট জলীয়বাষ্পের প্রায় ৯০ শতাংশ বহন করে।
একটি বায়ুমণ্ডলীয় নদী গড়ে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ, ৫০০ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং প্রায় তিন কিলোমিটার গভীর হয়ে থাকে। যদিও এই নদীগুলো ক্রমেই দীর্ঘ ও প্রশস্ত হচ্ছে। অনেক সময় তা পাঁচ হাজার কিলোমিটারের চেয়েও বেশি প্রশস্ত হয়ে থাকে। তবুও, মানুষ এই নদী চোখে দেখতে পায় না। তাঁরা যা দেখে তা শুধুই কিছু পুঞ্জিভূত মেঘ।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বায়ুমণ্ডলীয় গবেষক ব্রায়ান কান বলেছেন, এই নদীর অস্তিত্ব ইনফ্রারেড এবং মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে দেখা যেতে পারে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে জলীয় বাষ্প এবং বায়ুমণ্ডলীয় নদী পর্যবেক্ষণের জন্য স্যাটেলাইট বেশ কার্যকর হতে পারে।
উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম নদী মিসিসিপি যতোটা না আর্দ্রতা ছড়ায় তার চাইতে ১৫ গুণ বেশি আর্দ্রতা ছড়াতে পারে বায়ুমণ্ডলের বিশাল ও শক্তিশালী নদীগুলো। এই উড়ন্ত নদীগুলো গড়ে যে পরিমাণ পানি নিঃসরণ করে—তা বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী আমাজনের নিয়মিত পানি প্রবাহের প্রায় দ্বিগুণ।
বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো সব সময়ই ছিল। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বেশি জলীয়বাষ্প তৈরি মাত্রা বাড়িয়েছে, যা পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভূপৃষ্ঠে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে বিপর্যয়কর বন্যা ও ভূমিধস।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী বায়ুমণ্ডলীয় জলীয়বাষ্প ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে তা ক্রমেই বাড়ছে। জার্মানির পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব জিওসায়েন্সের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বায়ুমণ্ডলীয় নদী অনেক দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছে। এর অর্থ, সামনের দিনগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হবে এবং জনজীবনের ওপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা ইউনিভার্সিটির আরেকটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ঠিক এমনটাই হয়েছিল। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, হাই-রেজল্যুশন সিমুলেশনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো দৃশ্যমান হয়েছে। এই নদীগুলো উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা থেকে পশ্চিম ইরানের দিকে দ্রুতগতিতে প্রবাহিত হলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
আরও ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা
পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সারা এম ভ্যালেজো-বার্নালের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলীয় নদী ঘনীভূত হওয়ার হার ক্রমেই বাড়ছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ায় ১৯৪০ সাল থেকে বায়ুমণ্ডলীয় নদী উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং মাদাগাস্কার, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের তুলনায় এই নদীগুলো আরও ঘনীভূত হয়ে উঠছে।
জিওফিজিক্যাল রিসার্চ জার্নালের ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ব চীন, কোরিয়া এবং পশ্চিম জাপানে বর্ষা মৌসুমের শুরুতে (মার্চ এবং এপ্রিল) ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এই ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল বায়ুমণ্ডলীয় নদীর কারণে।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ভারত মহাসাগরের উষ্ণ পরিবেশ ‘উড়ন্ত নদী’ তৈরি করছে এবং জুন থেকে সেপ্টেম্বরে এই অঞ্চলে মৌসুমি বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যালের আবহাওয়াবিদ ড. রক্সি ম্যাথিউ কোল বলেছেন, যখন সমুদ্রের পানি উষ্ণ হয়ে ওঠে তখন তা বাষ্পীভূত হয়ে ওপরে উঠে বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোয় জমা হতে থাকে। বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো এই বিপুল পরিমাণ আর্দ্রতা বা পানি কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন ধরে আবার ভূপৃষ্ঠে ঝরাতে থাকে। এর ফলে, কম সময়ের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় এবং থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরে। সারা দেশে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার ঘটনা বাড়ে।
যদিও সব বন্যা এবং ভূমিধস বায়ুমণ্ডলীয় নদীর কারণে হয় না। ঘূর্ণিঝড়, আবহাওয়া, ঝড় ইত্যাদি নানা কারণেও হতে পারে। তবে আশঙ্কার বিষয় এই যে বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো পৃথিবীর নতুন নতুন অঞ্চলেও পৌঁছে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এর একটি কারণ হিসেবে জেট স্ট্রিমের কথা বলছেন। জেট স্ট্রিম হলো— জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুর একটি পরিবর্তিত ধরন। এর গতি অনেক দ্রুত এবং পরিধি বেশ সংকীর্ণ হয়।
এই জেট স্ট্রিম বেশ দ্রুত গতিতে এবং সংকীর্ণ স্রোতে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হতে থাকে। এ বিষয়ে চিলির ভালপারাইসো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেনিজ বোজকুর্ট বলেন, ‘বাতাসে ঢেউয়ের পরিমাণ বেশি থাকা এবং জেট স্ট্রিম মানে এই দ্রুত গতির বাতাস আঁকাবাঁকা পথে যাবে এবং এতে সাধারণ গতিপথ থেকে বিচ্যুতিও হতে পারে। এটি বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোকে আরও জটিল পথে ধাবিত করতে পারে, সেই সঙ্গে এর সময়কাল এবং বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে।’
সারা বিশ্বে বিপর্যয়কর বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, এমন বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোকে তাঁদের আকার এবং শক্তির ভিত্তিতে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে—ঠিক হারিকেনের মতো। তবে সব বায়ুমণ্ডলীয় নদী ক্ষতিকর নয়, যদি সেগুলোর তীব্রতা কম হয়। অথবা নদীগুলো এমন কোনো জায়গায় বৃষ্টিপাত ঘটায় যেখানে দীর্ঘদিন ধরে খরা চলছে। সেসব ক্ষেত্রে এসব বায়ুমণ্ডলীয় নদী উপকারী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোর পর্যবেক্ষণ এবং পূর্বাভাস শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল থেকেই দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ, বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলো ওই অঞ্চলে অবস্থান করলে সেখান থেকে এর প্রভাবসমূহ পর্যবেক্ষণ করা যায়। বহু দশক ধরে তাঁরা বেশ ভালভাবেই পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
ভালপারাইসো বিশ্ববিদ্যালয়ের বোজকার্ট বলেছেন, ‘আঞ্চলিক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বায়ুমণ্ডলীয় নদী সম্পর্কে ধারণা বেশ সীমিত। এক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো জটিল অঞ্চলগুলোয় বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোর উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য ঘাটতি।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র বন্যা দেখা দিচ্ছে। যার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ, চীন ও কানাডার ভয়াবহ বন্যা। এত ঘন ঘন বন্যার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা বায়ুমণ্ডলে আগের চেয়ে অনেক বেশি আর্দ্রতা ধারণ করছে।
২৫ আগস্ট ২০২৪
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র বন্যা দেখা দিচ্ছে। যার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ, চীন ও কানাডার ভয়াবহ বন্যা। এত ঘন ঘন বন্যার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা বায়ুমণ্ডলে আগের চেয়ে অনেক বেশি আর্দ্রতা ধারণ করছে।
২৫ আগস্ট ২০২৪
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৮ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র বন্যা দেখা দিচ্ছে। যার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ, চীন ও কানাডার ভয়াবহ বন্যা। এত ঘন ঘন বন্যার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা বায়ুমণ্ডলে আগের চেয়ে অনেক বেশি আর্দ্রতা ধারণ করছে।
২৫ আগস্ট ২০২৪
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র বন্যা দেখা দিচ্ছে। যার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ, চীন ও কানাডার ভয়াবহ বন্যা। এত ঘন ঘন বন্যার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা বায়ুমণ্ডলে আগের চেয়ে অনেক বেশি আর্দ্রতা ধারণ করছে।
২৫ আগস্ট ২০২৪
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৭ ঘণ্টা আগে