ইশতিয়াক হাসান

বাঘকে আমরা এখন আটকে ফেলেছি সুন্দরবনে। অথচ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এমন অনেক জায়গার নাম পাবেন যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঘের নাম। যেমন গাজীপুরের বাঘের বাজার, চট্টগ্রামের টাইগার পাস। আবার বিভিন্ন জায়গা, বাজার এমনকি বিদ্যালয়ের নামের সঙ্গেও আছে বাঘমারা শব্দটি। অর্থাৎ এসব জায়গাগুলোতে এক সময় বাঘ ছিল।
এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল-গাজীপুরের ভাওয়াল ও মধুপুরের অরণ্যসহ অনেক এলাকাতেই ছিল বাঘেদের রাজ্য। বান্দরবান, সিলেট যেখানেই যাই খোঁজ নেই বাঘেদের। একটু বয়স্ক কাউকে পেলে চেপে ধরি পুরোনো দিনের জঙ্গলের গল্প শোনার জন্য। তাঁদের মুখে এসব কাহিনি শুনতে শুনতে আমারও মনে হয় আহ ওই সময় যদি থাকতাম! কিংবা সত্যি যদি টাইম মেশিন থাকত। তবে দেশের কত জঙ্গলেই না বাঘেদের দেখা পেতাম। আশ্চর্যজনক হলেও কখনো কখনো পাহাড়ের দুর্গমে বাঘের নতুন গল্পও শোনা যায়। পুরোনোদের মুখে শোনা নতুন-পুরোনো কিছু বাঘের কাহিনিই তুলে ধরছি পাঠকদের সামনে।

১. শীতের এক সকাল। তবে অন্তত বছর চৌদ্দ-পনেরো আগের। মৌলভীবাজারের জুড়ীর ফুলতলা চা বাগানের মাঝখান দিয়ে হেঁটে কুয়াশামাখা সে সকালে পৌঁছে যাই রাগনার জঙ্গলে। এ সময় বনপথে দেখা এক বৃদ্ধের সঙ্গে। মুখে শত ভাঁজ। দেখেই অনুমান করে নিতে কষ্ট হয় না আশি পেরিয়েছে তাঁর বয়স। পুরোনো দিনের জঙ্গল-বন্যপ্রাণীর খোঁজ নিলাম।
উৎসাহ পেয়ে গল্পের ঝুড়ি মেলে দিলেন স্মৃতিকাতরতা পেয়ে বসা বৃদ্ধ। তখন তাঁর যুবা বয়স। গরুর পাল চরাতে নিয়ে এসেছিলেন জঙ্গলে। হঠাৎ সেখানে হাজির বিশাল এক মদ্দা বাঘ। অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘটা। হাতের লাঠি দিয়ে পাশের গাছে বারি দিয়ে চিৎকার করতে লাগলেন বৃদ্ধ। ভয় তো পেলই না উল্টো ক্ষুব্ধ হলো বাঘ। পালের চার-পাঁচটা গরুকে মেরে ফেলল সে কয়েক মিনিটের মধ্যে। তারপর একটাকে নিয়ে চলে গেল। তবে ভাগ্যগুণে বেঁচে যান গল্প বয়ানকারী। রোমহর্ষক সে বর্ণনা শুনলাম মুগ্ধ হয়ে। মনে হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে আমিও হাজির হয়ে গিয়েছি সত্তর-আশি বছর আগের রাগনার জঙ্গলে।
২. নভেম্বর, ২০২০। বান্দরবানের কেওক্রাডংয়ের পাদদেশে পরিচ্ছন্ন, শান্ত এক পাড়া। দার্জিলিং পাড়া। সন্ধ্যা নেমেছে। পাড়া প্রধানের খাবার ঘরটায় তাঁকে ঘিরে বসে আছি কয়েক জন। সৌরবিদ্যুতে জ্বলা বাতির মিটমিটে আলোয় ঘরটার অন্ধকার কাটেনি। অদ্ভুত এক আলো-আঁধারির খেলা কামরাজুড়ে। পাড়াপ্রধান ছোটখাটো গড়নের অমায়িক এক মানুষ। মুখের বহু ভাঁজ, চোখের নিচের কুঁচকানো চামড়া জানান দিচ্ছে অনেকগুলো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত পাড় করে এসেছেন। সেই সঙ্গে স্মৃতি হিসাবে জমা আছে হাজারো বিচিত্র ঘটনা।
একটা গল্প শুনতে চেয়েছিলাম। সত্যি গল্প। শুরু করলেন। মুখময় ছড়িয়ে পড়েছে হাসি। যেন সেই বয়সে ফিরে গেছেন, যে সময়টায় দিনে পাহাড়ি পথে আঠারো-কুড়ি মাইল হাঁটতে পারতেন অনায়াসে। রগচটা ভাল্লুকও তাঁকে দেখলে মেজাজটা একটু ঠান্ডা করা যায় কিনা হিসাব-নিকাশে বসত।

ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলতে লাগলেন। তবে কাহিনিটা এত রোমাঞ্চকর ভাষার ছোট্ট সমস্যাটা উড়ে গেল এক নিমেষে। এমনই এক রাত ছিল। তবে সময়টা অন্তত পঁচিশটা বসন্ত আগের। ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেছে পাড়ার মানুষগুলো। হঠাৎ একটা শব্দে ঘুম টুটে যায় কারবারির। গোয়ালঘরের দিক থেকে আসছে আওয়াজটা। দৌড়ে ঘরের দরজা খুলে বের হলেন। দেরি হয়ে গেছে। তাঁর সবচেয়ে বড় গরুটাকে নিয়ে গেছে ওটা। ডোরা বাঘ। যখন টের পেলেন তখন ওই রাতে কিছুই করার ছিল না আর।
আমি যেন হঠাৎ করেই পিছিয়ে গেলাম দুই যুগ কিংবা তারও আগে। স্পষ্ট একটা হুটোপুটির শব্দ শুনলাম। তারপর ভারী একটা কিছু হেঁচড়ে নেওয়ার আওয়াজ। বাঘ বড় সাইজের গরু বা মোষ মেরে নেওয়ার সময় মাটিতে মড়ি ঘষটানোর কারণে যে শব্দ হয়!
বৃদ্ধের চেহারায় হঠাৎ যেন একটা ঝিলিক দেখলাম। তারপর আবার হাসলেন। বলতে শুরু করলেন ঘটনার বাকি অংশ। পরদিন আলো হতেই বন্দুক নিয়ে একাকী বেরিয়ে পড়লেন। গরুর রক্ত, আর টেনে নেওয়ার চিহ্ন ধরে খুঁজে বের করলেন বাঘটাকে। তারপর কী করলেন? মুখে ছড়ানো হাসি, আর তাঁর এখানে উপস্থিতি জানিয়ে দিল লড়াইয়ে তাঁর জয় হয়েছিল। পরের দিন কেওক্রাডংয়ে উঠেই দেখা পাহাড়ের মালিক লালাবমের সঙ্গে। দার্জিলিং পাড়ায় জেনেছিলাম বাঘের নতুন খবর মিলবে তাঁর কাছে। জিজ্ঞেস করতেই যা বললেন, চমকালাম।
আগের বছর, মানে ২০১৯-এ তাঁর বিশাল একটা গরু মারা পড়েছিল বাঘের আক্রমণে। লালাবমের বর্ণনা ঠিক হলে দূরের পাহাড়ে থাকে বিশাল বেঙ্গল টাইগার। শিকারের জন্য হানা দেয় মাঝেমধ্যে এদিকে। হেলিপ্যাডের ঠিক নিচেই মেরে খেয়ে গিয়েছিল গরুটাকে।

৩. ২০১১ সাল। মৌলভীবাজারের জুড়ীর লাঠিটিলা জঙ্গলে গিয়েছিলাম। জঙ্গল ভ্রমণের শেষপর্যায়। একজনের পর একজন হাঁটছে, একটি পায়ে চলা পথ ধরে। আমি, দুই বন্ধু মিশুক, মেহেদী ও স্থানীয় দুই তরুণ। ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে। পথ পিছল, তাই হুঁশিয়ার। হঠাৎ পথে একটা বাঁক। ওপাশ থেকে কথাবার্তা ভেসে আসছে। আমাদের মতো জঙ্গল ভ্রমণে আসা কোনো পর্যটক, নাকি স্থানীয় কেউ? দুই কদম এগোতেই তিনজন মানুষের মুখোমুখি। তাঁদের মাঝে মধ্যবয়সী একজনকে দেখিয়ে সঙ্গী এক তরুণ বললেন, সফিক ভাই। জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। জঙ্গলের খবর পাইবেন তাঁর কাছে।
শক্তপোক্ত গড়ন। উচ্চতা মাঝারি, দুই চোখে ধারালো দৃষ্টি। শুরুতে সরকারি লোক মনে করে কথা বলতে চাইছিলেন না। তবে একটু পর আশ্বস্ত হয়ে মন খুলে বললেন। তারপরই বোমাটা ফাটালেন। গত বছরও (২০১০) বড় ডোরা বাঘ দেখেছেন। একটা ঝোপের মধ্যে বসে ছিল ঘাপটি করে। তাড়াহুড়া করে সরে আসেন সফিক ভাই। আমার দেখা সিলেট বিভাগের সেরা জঙ্গল লাঠিটিলা।
তাই বলে ২০১০ সালে লাঠিটিলায় বেঙ্গল টাইগার? আরও কিছুক্ষণ জেরা করেও সফিককে টলাতে পারলাম না। ততক্ষণে বুঝে গেছি, তাঁর ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। পরে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক মনিরুল খান ভাইও জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে শুনেছেন সাম্প্রতিক সময়েও ওই বনে বাঘ বিচরণের গল্প।
অবশ্য ২০১১-র পরে আর লাঠিটিলা যাইনি। তাই জানি না নতুন কোনো বাঘের সংবাদ। লাঠিটিলার ওপাশে ভারতের সীমান্ত। ওই সীমান্তে এখনো দু-একটি বাঘ আছে নাকি?
৪. টাইম মেশিনে চেপে ফিরে যাই তিন দশক আগের। হবিগঞ্জের মাধবপুরের দেবনগর গ্রাম। আমার নানার বাড়ি। হালকা বাতাসের ঝাপটায় কুপির আলোটা কাঁপছে। কম্পনরত সেই আলোয় নানির চেহারাটা আবছাভাবে দেখতে পাচ্ছি। পুরোনো স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে মুখের ভাঁজগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে যেন। কিশোরী কিংবা তরুণী বয়সের গল্প সেসব। তন্ময় হয়ে শুনছি আমরা কয় জন। সাত থেকে তেরোর মধ্যে বয়স সবার।
নানি বলে চলেছেন, রাতে হঠাৎ ঘুম ভাইঙ্গা গেল। একটা হুটোপুটির শব্দ। গোয়াল ঘর থেকে আসতাছে। তারপর গম্ভীর একটা ঘর ঘর আওয়াজ। এক মিনিট সুসনান। এরপর ভারী একটা কিছু হেঁচড়ে নিতেছে, এমন একটা শব্দ। শরীর হিম হইয়া গেল। বুঝতে বাকি নাই নাতি আমার। আবার একটা গরুরে বাঘে নিছে।
বালক বয়সে হবিগঞ্জের মাধবপুরে নানার বাড়িতে গেলেই নানিকে চেপে ধরতাম আমরা পুরোনো দিনের গল্প শোনার জন্য। ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তি অন্যদের টানত বেশি। তবে আমার আগ্রহে বাঘের আক্রমণের কাহিনিও বলতেন মাঝে-সাজে। বিশাল আকারের লোহাগড়া বাঘ, কেন্দুয়ার বাঘ, ফুলেশ্বরী কত ধরনের বাঘের গল্প। বর্ণনাগুলো মনে গেঁথে থাকায় বড় হয়ে আবার জিজ্ঞেস করে বুঝে নিয়েছিলাম কোনটা রয়েল বেঙ্গল, কোনটা চিতা বাঘ কিংবা মেঘলা চিতা।
নানার বাড়িতে গিয়েই শুনেছিলাম দুই ভাইয়ের খালি হাতে বাঘ মেরে ফেলার এক কাহিনি। ওই কাহিনি নিয়ে স্থানীয় একজন একটা পুঁথিও রচনা করেছিলেন। যতদূর শুনেছি সোনাই নদীর ধারেই ঘটেছিল রোমহর্ষক সে ঘটনা। নদীর এক পাড়ে বাংলাদেশ, আরেক পাড়ে ভারত।

৫. বছর পনেরো আগের কথা। গিয়েছিলাম ভাওয়ালের গড়ে। সেখানে দেখা এক বৃদ্ধের সঙ্গে। দু-পাশে জঙ্গলের মাঝে ধান খেত। সেদিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে বললেন, ৫০-৬০ বছর আগের এক ঘটনা। অবশ্যটা ঘটনাটা সে সময়ের, তখন সেটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার স্বাভাবিক চিত্র। গরু চরাচ্ছিলেন,। গরুরা মনের আনন্দে চরে বেড়াচ্ছিল। তারপর বিনা মেঘে বজ্রপাত। বিশাল এক বাঘ জঙ্গলের ভেতর থেকে লাফ দিয়ে পড়ল পালের সবচেয়ে মোটাসোটা গরুটির ওপর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওটাকে মেরে, পিঠে নিয়ে আবার হারিয়ে গেল জঙ্গলে।
৬. রাঙামাটির কাপ্তাই আমার খুব প্রিয় একটি জায়গা। অনেক বারই পাড়ি জমিয়েছি সেখানকার জঙ্গল-পাহাড়ে। কাপ্তাইয়ের রাম পাহাড়-সীতা পাহাড়ে চষে বেড়াবার সময় স্থানীয়দের মুখে শুনেছি গাছ বাওয়ায় দক্ষ লতা বাঘের গল্প। বুঝতে বাকি ছিল না মেঘলা চিতাই এখানে লতা বাঘ। পরে ক্যামেরা ট্র্যাপেও মেঘলা চিতার ছবি তোলা সম্ভব হয় কাপ্তাইয়ে। তবে আমাকে চমকে দিয়েছিলেন সেখানকার এক দল কাঠুরে।
রাম পাহাড়ের এক ছড়া ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা। কী কী বন্যপ্রাণীর দেখা পান তা জিজ্ঞেস করলে, একজন বললেন কাঠ কাটতে গিয়ে বড় বাঘ মানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গীরা সমর্থন জানালেও আমার মতো অতি আশাবাদীও কাপ্তাইয়ে ওই সময় বাঘ থাকার খবরটা বিশ্বাস করতে পারিনি।

৭. ২০১১ সালের ঘটনা। বন্ধু মিশুক-মেহেদীসহ বড় মোদকের দিকে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল সাঙ্গু রিজার্ভের গহিনে ঢুকে বাঘের খোঁজ করা। আমাদের গাইড ছিলেন মধ্য বয়স্ক এক মারমা। ভারী হাসি-খুশি মানুষ। তিন্দু পেরিয়েছি তখন। রেমাক্রির ধারে। হঠাৎ কোনো এক পাহাড় দেখিয়ে আমাদের মারমা গাইড জানান, এখানে বাঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছিলেন। ঝেড়ে কাশতে বললাম। জানালেন পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখেন বিশাল একটা বাঘ বসে আছে নদীর ধারের এক পাহাড়ে। ভয় পেয়েছিলেন। একটা পাথরের ওপাশে লুকিয়ে পড়লেন। বাঘটাকে আয়েশ করে গড়াগড়ি খেতে দেখেছিলেন ঘাসে। তাঁর অভিজ্ঞতা ১৯৮০-৮২ সালের।
আমরা মোটামুটি বাঘকে সুন্দরবনে বন্দী করে ফেললেও রাঙামাটির কাসালং-সাজেক, বান্দরবানের সাঙ্গু-মাতামুহুরি অরণ্য থেকে এখনো মাঝে মাঝে পাই বাঘের সংবাদ। আশায় বুক বাঁধি, এখনো আমাদের পাহাড়ের গহিনে টিকে আছে প্রিয় প্রাণী বাঘেরা।

বাঘকে আমরা এখন আটকে ফেলেছি সুন্দরবনে। অথচ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এমন অনেক জায়গার নাম পাবেন যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঘের নাম। যেমন গাজীপুরের বাঘের বাজার, চট্টগ্রামের টাইগার পাস। আবার বিভিন্ন জায়গা, বাজার এমনকি বিদ্যালয়ের নামের সঙ্গেও আছে বাঘমারা শব্দটি। অর্থাৎ এসব জায়গাগুলোতে এক সময় বাঘ ছিল।
এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল-গাজীপুরের ভাওয়াল ও মধুপুরের অরণ্যসহ অনেক এলাকাতেই ছিল বাঘেদের রাজ্য। বান্দরবান, সিলেট যেখানেই যাই খোঁজ নেই বাঘেদের। একটু বয়স্ক কাউকে পেলে চেপে ধরি পুরোনো দিনের জঙ্গলের গল্প শোনার জন্য। তাঁদের মুখে এসব কাহিনি শুনতে শুনতে আমারও মনে হয় আহ ওই সময় যদি থাকতাম! কিংবা সত্যি যদি টাইম মেশিন থাকত। তবে দেশের কত জঙ্গলেই না বাঘেদের দেখা পেতাম। আশ্চর্যজনক হলেও কখনো কখনো পাহাড়ের দুর্গমে বাঘের নতুন গল্পও শোনা যায়। পুরোনোদের মুখে শোনা নতুন-পুরোনো কিছু বাঘের কাহিনিই তুলে ধরছি পাঠকদের সামনে।

১. শীতের এক সকাল। তবে অন্তত বছর চৌদ্দ-পনেরো আগের। মৌলভীবাজারের জুড়ীর ফুলতলা চা বাগানের মাঝখান দিয়ে হেঁটে কুয়াশামাখা সে সকালে পৌঁছে যাই রাগনার জঙ্গলে। এ সময় বনপথে দেখা এক বৃদ্ধের সঙ্গে। মুখে শত ভাঁজ। দেখেই অনুমান করে নিতে কষ্ট হয় না আশি পেরিয়েছে তাঁর বয়স। পুরোনো দিনের জঙ্গল-বন্যপ্রাণীর খোঁজ নিলাম।
উৎসাহ পেয়ে গল্পের ঝুড়ি মেলে দিলেন স্মৃতিকাতরতা পেয়ে বসা বৃদ্ধ। তখন তাঁর যুবা বয়স। গরুর পাল চরাতে নিয়ে এসেছিলেন জঙ্গলে। হঠাৎ সেখানে হাজির বিশাল এক মদ্দা বাঘ। অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘটা। হাতের লাঠি দিয়ে পাশের গাছে বারি দিয়ে চিৎকার করতে লাগলেন বৃদ্ধ। ভয় তো পেলই না উল্টো ক্ষুব্ধ হলো বাঘ। পালের চার-পাঁচটা গরুকে মেরে ফেলল সে কয়েক মিনিটের মধ্যে। তারপর একটাকে নিয়ে চলে গেল। তবে ভাগ্যগুণে বেঁচে যান গল্প বয়ানকারী। রোমহর্ষক সে বর্ণনা শুনলাম মুগ্ধ হয়ে। মনে হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে আমিও হাজির হয়ে গিয়েছি সত্তর-আশি বছর আগের রাগনার জঙ্গলে।
২. নভেম্বর, ২০২০। বান্দরবানের কেওক্রাডংয়ের পাদদেশে পরিচ্ছন্ন, শান্ত এক পাড়া। দার্জিলিং পাড়া। সন্ধ্যা নেমেছে। পাড়া প্রধানের খাবার ঘরটায় তাঁকে ঘিরে বসে আছি কয়েক জন। সৌরবিদ্যুতে জ্বলা বাতির মিটমিটে আলোয় ঘরটার অন্ধকার কাটেনি। অদ্ভুত এক আলো-আঁধারির খেলা কামরাজুড়ে। পাড়াপ্রধান ছোটখাটো গড়নের অমায়িক এক মানুষ। মুখের বহু ভাঁজ, চোখের নিচের কুঁচকানো চামড়া জানান দিচ্ছে অনেকগুলো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত পাড় করে এসেছেন। সেই সঙ্গে স্মৃতি হিসাবে জমা আছে হাজারো বিচিত্র ঘটনা।
একটা গল্প শুনতে চেয়েছিলাম। সত্যি গল্প। শুরু করলেন। মুখময় ছড়িয়ে পড়েছে হাসি। যেন সেই বয়সে ফিরে গেছেন, যে সময়টায় দিনে পাহাড়ি পথে আঠারো-কুড়ি মাইল হাঁটতে পারতেন অনায়াসে। রগচটা ভাল্লুকও তাঁকে দেখলে মেজাজটা একটু ঠান্ডা করা যায় কিনা হিসাব-নিকাশে বসত।

ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলতে লাগলেন। তবে কাহিনিটা এত রোমাঞ্চকর ভাষার ছোট্ট সমস্যাটা উড়ে গেল এক নিমেষে। এমনই এক রাত ছিল। তবে সময়টা অন্তত পঁচিশটা বসন্ত আগের। ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেছে পাড়ার মানুষগুলো। হঠাৎ একটা শব্দে ঘুম টুটে যায় কারবারির। গোয়ালঘরের দিক থেকে আসছে আওয়াজটা। দৌড়ে ঘরের দরজা খুলে বের হলেন। দেরি হয়ে গেছে। তাঁর সবচেয়ে বড় গরুটাকে নিয়ে গেছে ওটা। ডোরা বাঘ। যখন টের পেলেন তখন ওই রাতে কিছুই করার ছিল না আর।
আমি যেন হঠাৎ করেই পিছিয়ে গেলাম দুই যুগ কিংবা তারও আগে। স্পষ্ট একটা হুটোপুটির শব্দ শুনলাম। তারপর ভারী একটা কিছু হেঁচড়ে নেওয়ার আওয়াজ। বাঘ বড় সাইজের গরু বা মোষ মেরে নেওয়ার সময় মাটিতে মড়ি ঘষটানোর কারণে যে শব্দ হয়!
বৃদ্ধের চেহারায় হঠাৎ যেন একটা ঝিলিক দেখলাম। তারপর আবার হাসলেন। বলতে শুরু করলেন ঘটনার বাকি অংশ। পরদিন আলো হতেই বন্দুক নিয়ে একাকী বেরিয়ে পড়লেন। গরুর রক্ত, আর টেনে নেওয়ার চিহ্ন ধরে খুঁজে বের করলেন বাঘটাকে। তারপর কী করলেন? মুখে ছড়ানো হাসি, আর তাঁর এখানে উপস্থিতি জানিয়ে দিল লড়াইয়ে তাঁর জয় হয়েছিল। পরের দিন কেওক্রাডংয়ে উঠেই দেখা পাহাড়ের মালিক লালাবমের সঙ্গে। দার্জিলিং পাড়ায় জেনেছিলাম বাঘের নতুন খবর মিলবে তাঁর কাছে। জিজ্ঞেস করতেই যা বললেন, চমকালাম।
আগের বছর, মানে ২০১৯-এ তাঁর বিশাল একটা গরু মারা পড়েছিল বাঘের আক্রমণে। লালাবমের বর্ণনা ঠিক হলে দূরের পাহাড়ে থাকে বিশাল বেঙ্গল টাইগার। শিকারের জন্য হানা দেয় মাঝেমধ্যে এদিকে। হেলিপ্যাডের ঠিক নিচেই মেরে খেয়ে গিয়েছিল গরুটাকে।

৩. ২০১১ সাল। মৌলভীবাজারের জুড়ীর লাঠিটিলা জঙ্গলে গিয়েছিলাম। জঙ্গল ভ্রমণের শেষপর্যায়। একজনের পর একজন হাঁটছে, একটি পায়ে চলা পথ ধরে। আমি, দুই বন্ধু মিশুক, মেহেদী ও স্থানীয় দুই তরুণ। ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে। পথ পিছল, তাই হুঁশিয়ার। হঠাৎ পথে একটা বাঁক। ওপাশ থেকে কথাবার্তা ভেসে আসছে। আমাদের মতো জঙ্গল ভ্রমণে আসা কোনো পর্যটক, নাকি স্থানীয় কেউ? দুই কদম এগোতেই তিনজন মানুষের মুখোমুখি। তাঁদের মাঝে মধ্যবয়সী একজনকে দেখিয়ে সঙ্গী এক তরুণ বললেন, সফিক ভাই। জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। জঙ্গলের খবর পাইবেন তাঁর কাছে।
শক্তপোক্ত গড়ন। উচ্চতা মাঝারি, দুই চোখে ধারালো দৃষ্টি। শুরুতে সরকারি লোক মনে করে কথা বলতে চাইছিলেন না। তবে একটু পর আশ্বস্ত হয়ে মন খুলে বললেন। তারপরই বোমাটা ফাটালেন। গত বছরও (২০১০) বড় ডোরা বাঘ দেখেছেন। একটা ঝোপের মধ্যে বসে ছিল ঘাপটি করে। তাড়াহুড়া করে সরে আসেন সফিক ভাই। আমার দেখা সিলেট বিভাগের সেরা জঙ্গল লাঠিটিলা।
তাই বলে ২০১০ সালে লাঠিটিলায় বেঙ্গল টাইগার? আরও কিছুক্ষণ জেরা করেও সফিককে টলাতে পারলাম না। ততক্ষণে বুঝে গেছি, তাঁর ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। পরে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক মনিরুল খান ভাইও জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে শুনেছেন সাম্প্রতিক সময়েও ওই বনে বাঘ বিচরণের গল্প।
অবশ্য ২০১১-র পরে আর লাঠিটিলা যাইনি। তাই জানি না নতুন কোনো বাঘের সংবাদ। লাঠিটিলার ওপাশে ভারতের সীমান্ত। ওই সীমান্তে এখনো দু-একটি বাঘ আছে নাকি?
৪. টাইম মেশিনে চেপে ফিরে যাই তিন দশক আগের। হবিগঞ্জের মাধবপুরের দেবনগর গ্রাম। আমার নানার বাড়ি। হালকা বাতাসের ঝাপটায় কুপির আলোটা কাঁপছে। কম্পনরত সেই আলোয় নানির চেহারাটা আবছাভাবে দেখতে পাচ্ছি। পুরোনো স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে মুখের ভাঁজগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে যেন। কিশোরী কিংবা তরুণী বয়সের গল্প সেসব। তন্ময় হয়ে শুনছি আমরা কয় জন। সাত থেকে তেরোর মধ্যে বয়স সবার।
নানি বলে চলেছেন, রাতে হঠাৎ ঘুম ভাইঙ্গা গেল। একটা হুটোপুটির শব্দ। গোয়াল ঘর থেকে আসতাছে। তারপর গম্ভীর একটা ঘর ঘর আওয়াজ। এক মিনিট সুসনান। এরপর ভারী একটা কিছু হেঁচড়ে নিতেছে, এমন একটা শব্দ। শরীর হিম হইয়া গেল। বুঝতে বাকি নাই নাতি আমার। আবার একটা গরুরে বাঘে নিছে।
বালক বয়সে হবিগঞ্জের মাধবপুরে নানার বাড়িতে গেলেই নানিকে চেপে ধরতাম আমরা পুরোনো দিনের গল্প শোনার জন্য। ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তি অন্যদের টানত বেশি। তবে আমার আগ্রহে বাঘের আক্রমণের কাহিনিও বলতেন মাঝে-সাজে। বিশাল আকারের লোহাগড়া বাঘ, কেন্দুয়ার বাঘ, ফুলেশ্বরী কত ধরনের বাঘের গল্প। বর্ণনাগুলো মনে গেঁথে থাকায় বড় হয়ে আবার জিজ্ঞেস করে বুঝে নিয়েছিলাম কোনটা রয়েল বেঙ্গল, কোনটা চিতা বাঘ কিংবা মেঘলা চিতা।
নানার বাড়িতে গিয়েই শুনেছিলাম দুই ভাইয়ের খালি হাতে বাঘ মেরে ফেলার এক কাহিনি। ওই কাহিনি নিয়ে স্থানীয় একজন একটা পুঁথিও রচনা করেছিলেন। যতদূর শুনেছি সোনাই নদীর ধারেই ঘটেছিল রোমহর্ষক সে ঘটনা। নদীর এক পাড়ে বাংলাদেশ, আরেক পাড়ে ভারত।

৫. বছর পনেরো আগের কথা। গিয়েছিলাম ভাওয়ালের গড়ে। সেখানে দেখা এক বৃদ্ধের সঙ্গে। দু-পাশে জঙ্গলের মাঝে ধান খেত। সেদিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে বললেন, ৫০-৬০ বছর আগের এক ঘটনা। অবশ্যটা ঘটনাটা সে সময়ের, তখন সেটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার স্বাভাবিক চিত্র। গরু চরাচ্ছিলেন,। গরুরা মনের আনন্দে চরে বেড়াচ্ছিল। তারপর বিনা মেঘে বজ্রপাত। বিশাল এক বাঘ জঙ্গলের ভেতর থেকে লাফ দিয়ে পড়ল পালের সবচেয়ে মোটাসোটা গরুটির ওপর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওটাকে মেরে, পিঠে নিয়ে আবার হারিয়ে গেল জঙ্গলে।
৬. রাঙামাটির কাপ্তাই আমার খুব প্রিয় একটি জায়গা। অনেক বারই পাড়ি জমিয়েছি সেখানকার জঙ্গল-পাহাড়ে। কাপ্তাইয়ের রাম পাহাড়-সীতা পাহাড়ে চষে বেড়াবার সময় স্থানীয়দের মুখে শুনেছি গাছ বাওয়ায় দক্ষ লতা বাঘের গল্প। বুঝতে বাকি ছিল না মেঘলা চিতাই এখানে লতা বাঘ। পরে ক্যামেরা ট্র্যাপেও মেঘলা চিতার ছবি তোলা সম্ভব হয় কাপ্তাইয়ে। তবে আমাকে চমকে দিয়েছিলেন সেখানকার এক দল কাঠুরে।
রাম পাহাড়ের এক ছড়া ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা। কী কী বন্যপ্রাণীর দেখা পান তা জিজ্ঞেস করলে, একজন বললেন কাঠ কাটতে গিয়ে বড় বাঘ মানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গীরা সমর্থন জানালেও আমার মতো অতি আশাবাদীও কাপ্তাইয়ে ওই সময় বাঘ থাকার খবরটা বিশ্বাস করতে পারিনি।

৭. ২০১১ সালের ঘটনা। বন্ধু মিশুক-মেহেদীসহ বড় মোদকের দিকে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল সাঙ্গু রিজার্ভের গহিনে ঢুকে বাঘের খোঁজ করা। আমাদের গাইড ছিলেন মধ্য বয়স্ক এক মারমা। ভারী হাসি-খুশি মানুষ। তিন্দু পেরিয়েছি তখন। রেমাক্রির ধারে। হঠাৎ কোনো এক পাহাড় দেখিয়ে আমাদের মারমা গাইড জানান, এখানে বাঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছিলেন। ঝেড়ে কাশতে বললাম। জানালেন পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখেন বিশাল একটা বাঘ বসে আছে নদীর ধারের এক পাহাড়ে। ভয় পেয়েছিলেন। একটা পাথরের ওপাশে লুকিয়ে পড়লেন। বাঘটাকে আয়েশ করে গড়াগড়ি খেতে দেখেছিলেন ঘাসে। তাঁর অভিজ্ঞতা ১৯৮০-৮২ সালের।
আমরা মোটামুটি বাঘকে সুন্দরবনে বন্দী করে ফেললেও রাঙামাটির কাসালং-সাজেক, বান্দরবানের সাঙ্গু-মাতামুহুরি অরণ্য থেকে এখনো মাঝে মাঝে পাই বাঘের সংবাদ। আশায় বুক বাঁধি, এখনো আমাদের পাহাড়ের গহিনে টিকে আছে প্রিয় প্রাণী বাঘেরা।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

বালক বয়সে হবিগঞ্জের মাধবপুরে নানার বাড়িতে গেলেই নানিকে চেপে ধরতাম আমরা পুরোনো দিনের গল্প শোনার জন্য। ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তি অন্যদের টানত বেশি। তবে আমার আগ্রহে বাঘের আক্রমণের কাহিনিও বলতেন মাঝেসাঝে। বিশাল আকারের লোহাগড়া বাঘ, কেন্দুয়ার বাঘ, ফুলেশ্বরী—কত ধরনের বাঘের গল্প!
০৯ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

বালক বয়সে হবিগঞ্জের মাধবপুরে নানার বাড়িতে গেলেই নানিকে চেপে ধরতাম আমরা পুরোনো দিনের গল্প শোনার জন্য। ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তি অন্যদের টানত বেশি। তবে আমার আগ্রহে বাঘের আক্রমণের কাহিনিও বলতেন মাঝেসাঝে। বিশাল আকারের লোহাগড়া বাঘ, কেন্দুয়ার বাঘ, ফুলেশ্বরী—কত ধরনের বাঘের গল্প!
০৯ জানুয়ারি ২০২৩
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
৭ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বালক বয়সে হবিগঞ্জের মাধবপুরে নানার বাড়িতে গেলেই নানিকে চেপে ধরতাম আমরা পুরোনো দিনের গল্প শোনার জন্য। ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তি অন্যদের টানত বেশি। তবে আমার আগ্রহে বাঘের আক্রমণের কাহিনিও বলতেন মাঝেসাঝে। বিশাল আকারের লোহাগড়া বাঘ, কেন্দুয়ার বাঘ, ফুলেশ্বরী—কত ধরনের বাঘের গল্প!
০৯ জানুয়ারি ২০২৩
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

বালক বয়সে হবিগঞ্জের মাধবপুরে নানার বাড়িতে গেলেই নানিকে চেপে ধরতাম আমরা পুরোনো দিনের গল্প শোনার জন্য। ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তি অন্যদের টানত বেশি। তবে আমার আগ্রহে বাঘের আক্রমণের কাহিনিও বলতেন মাঝেসাঝে। বিশাল আকারের লোহাগড়া বাঘ, কেন্দুয়ার বাঘ, ফুলেশ্বরী—কত ধরনের বাঘের গল্প!
০৯ জানুয়ারি ২০২৩
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে