নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি প্রাণিসম্পদ মৎস্য উৎপাদনসহ নানান ক্ষেত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘ভূমি পুনরুদ্ধার, খরা মুক্ত টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’-শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা। আলোচনা সভার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ইন বাংলাদেশ (এডাব)।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের ৪২ টির মধ্যে মাত্র ২৬টি খাল বেঁচে আছে। সেগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিম্যাল, যা স্বাভাবিকের দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীর পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান উপাদান বায়ু দূষণ। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা।’
এ সময় তিনি গাছ কাটা বন্ধ, আবাসন ও শিল্পায়নের নামে বালু ভরাট বন্ধ; অবৈধ খাল দখল বন্ধ; জলাভূমি সংরক্ষণ; ইটভাটা বন্ধ; কৃষি ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ জানান।
সভায় গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ ফেরদৌসী লাকি বলেন, ‘যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তারাই পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি আগলে রাখেন। আমি প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি গাছকে সন্তানের মতো আগলে রাখেন।’
দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পানির কারণে নারীরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন জায়গায় মাইগ্রেশন হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইনগুলো হয়েছে সেগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না। এর সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে।
সিনিয়র সাংবাদিক ও মিডিয়া গবেষক শামীমা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা বলছি সেগুলো সমাধান হচ্ছে না কেন? পাঁচ বছর আগে যে সমস্যাগুলো ছিল, এখন সেগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা অনেক আলোচনা করলেও পলিসি লেভেলে এসব সমস্যা আলোচনায় আসে না।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শাহিদা তারেক দীপ্তি বলেন, গত এক মাসে এত তাপপ্রবাহ দেখা গেল। কতজন এসিতে থাকে? যারা কুড়ে ঘরে, টিনের ঘরে থাকে তাদের কি অবস্থা? অনেকেই হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। পরিবেশ শুধু গাছ নয়, পরিবেশকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এডাবের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী বলেন, ‘সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে যতই আইন করা হোক কোনো কাজে আসবে না। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘‘আমার কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’’ আজকে তো দেশে কৃষক বাঁচছে না।’

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি প্রাণিসম্পদ মৎস্য উৎপাদনসহ নানান ক্ষেত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘ভূমি পুনরুদ্ধার, খরা মুক্ত টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’-শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা। আলোচনা সভার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ইন বাংলাদেশ (এডাব)।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের ৪২ টির মধ্যে মাত্র ২৬টি খাল বেঁচে আছে। সেগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিম্যাল, যা স্বাভাবিকের দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীর পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান উপাদান বায়ু দূষণ। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা।’
এ সময় তিনি গাছ কাটা বন্ধ, আবাসন ও শিল্পায়নের নামে বালু ভরাট বন্ধ; অবৈধ খাল দখল বন্ধ; জলাভূমি সংরক্ষণ; ইটভাটা বন্ধ; কৃষি ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ জানান।
সভায় গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ ফেরদৌসী লাকি বলেন, ‘যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তারাই পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি আগলে রাখেন। আমি প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি গাছকে সন্তানের মতো আগলে রাখেন।’
দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পানির কারণে নারীরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন জায়গায় মাইগ্রেশন হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইনগুলো হয়েছে সেগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না। এর সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে।
সিনিয়র সাংবাদিক ও মিডিয়া গবেষক শামীমা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা বলছি সেগুলো সমাধান হচ্ছে না কেন? পাঁচ বছর আগে যে সমস্যাগুলো ছিল, এখন সেগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা অনেক আলোচনা করলেও পলিসি লেভেলে এসব সমস্যা আলোচনায় আসে না।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শাহিদা তারেক দীপ্তি বলেন, গত এক মাসে এত তাপপ্রবাহ দেখা গেল। কতজন এসিতে থাকে? যারা কুড়ে ঘরে, টিনের ঘরে থাকে তাদের কি অবস্থা? অনেকেই হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। পরিবেশ শুধু গাছ নয়, পরিবেশকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এডাবের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী বলেন, ‘সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে যতই আইন করা হোক কোনো কাজে আসবে না। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘‘আমার কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’’ আজকে তো দেশে কৃষক বাঁচছে না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি প্রাণিসম্পদ মৎস্য উৎপাদনসহ নানান ক্ষেত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘ভূমি পুনরুদ্ধার, খরা মুক্ত টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’-শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা। আলোচনা সভার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ইন বাংলাদেশ (এডাব)।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের ৪২ টির মধ্যে মাত্র ২৬টি খাল বেঁচে আছে। সেগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিম্যাল, যা স্বাভাবিকের দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীর পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান উপাদান বায়ু দূষণ। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা।’
এ সময় তিনি গাছ কাটা বন্ধ, আবাসন ও শিল্পায়নের নামে বালু ভরাট বন্ধ; অবৈধ খাল দখল বন্ধ; জলাভূমি সংরক্ষণ; ইটভাটা বন্ধ; কৃষি ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ জানান।
সভায় গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ ফেরদৌসী লাকি বলেন, ‘যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তারাই পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি আগলে রাখেন। আমি প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি গাছকে সন্তানের মতো আগলে রাখেন।’
দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পানির কারণে নারীরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন জায়গায় মাইগ্রেশন হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইনগুলো হয়েছে সেগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না। এর সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে।
সিনিয়র সাংবাদিক ও মিডিয়া গবেষক শামীমা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা বলছি সেগুলো সমাধান হচ্ছে না কেন? পাঁচ বছর আগে যে সমস্যাগুলো ছিল, এখন সেগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা অনেক আলোচনা করলেও পলিসি লেভেলে এসব সমস্যা আলোচনায় আসে না।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শাহিদা তারেক দীপ্তি বলেন, গত এক মাসে এত তাপপ্রবাহ দেখা গেল। কতজন এসিতে থাকে? যারা কুড়ে ঘরে, টিনের ঘরে থাকে তাদের কি অবস্থা? অনেকেই হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। পরিবেশ শুধু গাছ নয়, পরিবেশকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এডাবের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী বলেন, ‘সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে যতই আইন করা হোক কোনো কাজে আসবে না। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘‘আমার কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’’ আজকে তো দেশে কৃষক বাঁচছে না।’

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি প্রাণিসম্পদ মৎস্য উৎপাদনসহ নানান ক্ষেত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘ভূমি পুনরুদ্ধার, খরা মুক্ত টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’-শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা। আলোচনা সভার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ইন বাংলাদেশ (এডাব)।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের ৪২ টির মধ্যে মাত্র ২৬টি খাল বেঁচে আছে। সেগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিম্যাল, যা স্বাভাবিকের দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীর পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান উপাদান বায়ু দূষণ। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা।’
এ সময় তিনি গাছ কাটা বন্ধ, আবাসন ও শিল্পায়নের নামে বালু ভরাট বন্ধ; অবৈধ খাল দখল বন্ধ; জলাভূমি সংরক্ষণ; ইটভাটা বন্ধ; কৃষি ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ জানান।
সভায় গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ ফেরদৌসী লাকি বলেন, ‘যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তারাই পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি আগলে রাখেন। আমি প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি গাছকে সন্তানের মতো আগলে রাখেন।’
দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পানির কারণে নারীরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন জায়গায় মাইগ্রেশন হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইনগুলো হয়েছে সেগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না। এর সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে।
সিনিয়র সাংবাদিক ও মিডিয়া গবেষক শামীমা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা বলছি সেগুলো সমাধান হচ্ছে না কেন? পাঁচ বছর আগে যে সমস্যাগুলো ছিল, এখন সেগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা অনেক আলোচনা করলেও পলিসি লেভেলে এসব সমস্যা আলোচনায় আসে না।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শাহিদা তারেক দীপ্তি বলেন, গত এক মাসে এত তাপপ্রবাহ দেখা গেল। কতজন এসিতে থাকে? যারা কুড়ে ঘরে, টিনের ঘরে থাকে তাদের কি অবস্থা? অনেকেই হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। পরিবেশ শুধু গাছ নয়, পরিবেশকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এডাবের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী বলেন, ‘সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে যতই আইন করা হোক কোনো কাজে আসবে না। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘‘আমার কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’’ আজকে তো দেশে কৃষক বাঁচছে না।’

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৩ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৩ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
আর শীর্ষে থাকা বাগদাদের বায়ুমান ২৬৮, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৯, ২০৮ ও ২০৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
আর শীর্ষে থাকা বাগদাদের বায়ুমান ২৬৮, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৯, ২০৮ ও ২০৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
০৫ জুন ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৩ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৩ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
০৫ জুন ২০২৪
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৩ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
০৫ জুন ২০২৪
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৩ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
০৫ জুন ২০২৪
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৩ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৩ দিন আগে