Ajker Patrika

ধারণার চেয়ে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী, কারণটা এখন জানেন বিজ্ঞানীরা

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪: ৪৪
বিজ্ঞানীরা বলছেন বিশ্বের অস্বাভাবিক উষ্ণ হয়ে ওঠার পেছনে মেঘের একটা ভূমিকা আছে। ছবি: এএফপি
বিজ্ঞানীরা বলছেন বিশ্বের অস্বাভাবিক উষ্ণ হয়ে ওঠার পেছনে মেঘের একটা ভূমিকা আছে। ছবি: এএফপি

গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলো বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এসব ঘটনা বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল।

তাঁরা জানেন, অস্বাভাবিক এই উষ্ণতার পেছনে কয়েকটি নিয়ামক কাজ করছে। এর মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ এবং প্রাকৃতিক জলবায়ুতে এল নিনোর প্রভাব বিস্তার অন্যতম। তবে শুধু এই কারণগুলো এই অস্বাভাবিক দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে পারছিল না।

গত বৃহস্পতিবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা ধাঁধার হারিয়ে যাওয়া ওই টুকরোটি খুঁজে পেয়েছেন, সেটা মেঘ।

গবেষণা অনুযায়ী, সাম্প্রতিক তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সমুদ্রের ওপর নিম্নস্তরের মেঘের অভাব। আর এই অনুসন্ধান ভবিষ্যতের উষ্ণায়নের জন্য উদ্বেগজনক বার্তাই দিচ্ছে।

জার্মানির আলফ্রেড ভেগনা ইনস্টিটিউটের জলবায়ু পদার্থবিজ্ঞানী এবং প্রতিবেদনটির একজন লেখক হেলগে গসলিন বলেন, সহজ ভাষায় নিম্ন স্তরের কম উজ্জ্বল মেঘের উপস্থিতি পৃথিবীকে ‘অন্ধকার’ করে তোলে, যা একে বেশি সূর্যের আলো শোষণের সুযোগ করে দিচ্ছে।

এ ঘটনা ‘অ্যালবেডো’ নামে পরিচিত। এটি সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায় যেখানে পৃথিবীর পৃষ্ঠ সূর্যের শক্তিকে মহাকাশে প্রতিফলিত করে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭০-এর দশক থেকে পৃথিবীর অ্যালবেডো ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এর একটি বড় কারণ হলো উজ্জ্বল বরফ এবং হালকা রঙের তুষার গলে যাওয়া, যা গাঢ় রঙের ভূমি ও জল উন্মোচন করছে। এগুলো সূর্যের বেশি শক্তি শোষণ করে, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে।

নিম্নস্তরের মেঘও এই প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে, কারণ এগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে মহাকাশে ফেরত পাঠানোর কাজ করে। অর্থাৎ, এ ধরনের মেঘ কমে যাওয়াও ‘অ্যালবেডো’ কমিয়ে দিচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা নাসার স্যাটেলাইট ডেটা, আবহাওয়ার তথ্য এবং জলবায়ু মডেল পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, নিম্নস্তরের মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে গত বছর পৃথিবীর অ্যালবেডো (সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার ক্ষমতা) রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশেষ করে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অংশে মেঘের এই পরিমাণে বড় ধস নেমেছে।

সিএনএনকে গবেষক হেলগে গসলিন বলেন, গত বছরের এ ঘটনা নিম্ন স্তরের মেঘের এক দশক ধরে চলা পতনের একটি অংশ।

গবেষণা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেন এটা ঘটছে। গসলিন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয় এবং এর কারণগুলো আলাদা করা খুব কঠিন।’

গবেষণা বলছে, সাম্প্রতিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা সমুদ্রের ওপরে নিম্নস্তরের মেঘের অভাব। ছবি: এএফপি
গবেষণা বলছে, সাম্প্রতিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা সমুদ্রের ওপরে নিম্নস্তরের মেঘের অভাব। ছবি: এএফপি

তিনি মনে করেন, এটি সম্ভবত বিভিন্ন কারণে মিলিত প্রভাব। এর একটি হতে পারে পরিবহনশিল্পে সালফার নির্গমন কমানোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ। এগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও এর আগে এ ধরনের দূষণ মেঘকে উজ্জ্বল করত এবং পৃথিবীকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করত।

প্রাকৃতিক জলবায়ু বৈচিত্র্য, যেমন মহাসাগরের পরিবর্তিত অবস্থা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হেলগে গসলিন আরও একটি উদ্বেগজনক কারণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিজেই।

নিম্নস্তরের মেঘগুলো সাধারণত ঠান্ডা এবং আর্দ্র নিম্ন বায়ুমণ্ডলে ভালোভাবে টিকে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর পৃষ্ঠ যখন উষ্ণ হতে থাকে, তখন এই মেঘগুলো পাতলা হয়ে যেতে পারে বা পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে একটি জটিল প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়, যেখানে উষ্ণায়নের কারণে মেঘ কমে যায়, আর মেঘের এই অভাব আবার উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করে।

যদি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে বিশ্বের উষ্ণ হয়ে ওঠার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। গসলিং বলছেন, ‘আমাদের আরও তীব্র উষ্ণায়নের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।’

লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানী মার্ক জালিঙ্কা, যিনি এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন না, বলেন, ‘মেঘের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মেঘ মূলত পৃথিবীর জন্য সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে।’

তিনি সিএনএনকে বলেন, মেঘ আচ্ছাদনে ছোট কোনো পরিবর্তনও পৃথিবীর ‘অ্যালবেডো’তে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জলবায়ু বিজ্ঞানী টাপিও স্নাইডার বলেন, এই গবেষণার সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিকটি হলো, যদি মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার বড় কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন পূর্বাভাসের চেয়ে আরও বেশি হতে পারে।

মেঘ দেখতে সহজ আর সাধারণ মনে হলেও এগুলো অত্যন্ত জটিল। বিজ্ঞানীরা এখনো মেঘের আচরণ পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। গসলিন এটিকে জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম ‘বড় মাথাব্যথা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে মেঘ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ, জালিঙ্কা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আসলে নির্ধারণ করে যে ভবিষ্যতে উষ্ণায়নের মাত্রা কতটা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

ভারতে নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলায় ৪ কলেজশিক্ষার্থী আটক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

ভারতে নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলায় ৪ কলেজশিক্ষার্থী আটক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

ভারতে নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলায় ৪ কলেজশিক্ষার্থী আটক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।

আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

ভারতে নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলায় ৪ কলেজশিক্ষার্থী আটক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

ভারতে নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলায় ৪ কলেজশিক্ষার্থী আটক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত