
গরম এখন চরমে। গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায়। অবশ্য গত কয়েক দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ছে জেলাটি। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও খুব একটা কম ছিল না,৩৭. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপাতত তাপমাত্রা কমবে এমন কোনো সুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে না। আজও কিন্তু সূর্য আগুন ঢেলে যাচ্ছে, এমন দিনে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বা গরম ১০টি জায়গার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই কেমন হয়?
উষ্ণ এই ১০ জায়গার সংবাদ আমরা কিন্তু পেয়েছি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের সূত্রে। লেখাটা পড়া শেষ হলে আমার মনে হয় কিছুটা সৌভাগ্যবানও ভাবতে পারেন নিজেকে। মনে হবে, ভাগ্যিস এই ১০টি জায়গার কোনোটির বাসিন্দা নন আপনি!
শুনে অবাক হবেন উষ্ণ এই ১০ জায়গার ছয়টির অবস্থান এশিয়া মহাদেশে। এই সুযোগে আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত ইউরোপে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯৭৭ সালে গ্রিসের এথেন্সে। তবে ২০২১ সালের ১১ আগস্ট ইতালির দ্বীপ সিসিলিতে রেকর্ড করা হয় ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
চলুন তাহলে গরমে ঘামতে ঘামতে প্রবেশ করি আরও অনেক বেশি উষ্ণ কিছু এলাকায়।
ডেথ ভ্যালি, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
ডেথ ভ্যালির ফার্নেস ক্রিকের দখলে বায়ুর উষ্ণতম তাপমাত্রার রেকর্ডটি। এই মরু উপত্যকায় ১৯১৩ সালের গ্রীষ্মে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একে এখনো সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বিবেচনা করা হলেও কিছু কারণে ওই রেকর্ড নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ওটাকে যদি গণনায় না-ও ধরেন, তার পরও উচ্চ তাপমাত্রার দিক থেকে সবার ওপরে ফার্নেস ক্রিকই। ২০২০-এর আগস্টে এখানে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গ্রীষ্মে ডেথ ভ্যালিতে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যের সবচেয়ে শুকনো এলাকাও এটি।
অওয়ারগলা, আলজেরিয়া
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে রেকর্ড করা আফ্রিকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাহারা মরুভূমির আলজেরিয়ান অংশের অওয়ারগলায়। অবশ্য আফ্রিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বিভিন্ন ধরনের রেকর্ডের খবর পাওয়া যায় ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে। এর মধ্যে আছে বর্তমান অফিশিয়াল সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও (৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস), যেটি তিউনিসিয়ার কেবিলিতে রেকর্ড করা হয়। তবে এটিসহ ওই তাপমাত্রাগুলো নিয়ে সংশয় তৈরি হয় যেভাবে মাপা হয় সে কারণে। মূলত কলোনিয়াল সময়ে ফ্রেঞ্চ ও ইতালীয়দের সামরিক পর্যবেক্ষণ ফাঁড়ি থেকে এই তাপমাত্রাগুলো মাপা হয়।
মিতরিবাহ, কুয়েত
উত্তর-পশ্চিম কুয়েতের এক দুর্গম এলাকা মিতরিবাহ। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে এখানে রেকর্ড করা হয় ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রাগুলোর একটি এটি।
বসরা, ইরাক
তাপমাত্রায় কুয়েতের মিতরিবাহর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো জায়গা পাশের দেশ ইরাকেও আছে। সেখানকার বসরার বসরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৬ সালের ২২ জুলাই ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তুরবাত, পাকিস্তান
পাকিস্তানের দক্ষিণ বেলুচিস্তানের একটি শহর তুরবাত। এই জায়গাও উষ্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালের ২৮ মে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দালোল, ইথিওপিয়া
এখানকার লবণের খনি, অম্লীয় উষ্ণ প্রস্রবণ ও গ্যাসীয় গেইজার মিলিয়ে ১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীতে মানুষ বাস করে এমন জায়গাগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা।
আজিজিয়া, লিবিয়া
ত্রিপোলি থেকে ২৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত শহরটি একসময় ছিল জাফারা জেলার রাজধানী। একে পৃথিবীর উষ্ণতম জায়গা হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেওয়া হতো আগে। কারণ ১৯২২ সালে এখানে রেকর্ড করা হয় ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে ২০১২ সালে আবহাওয়াবিদেরা এই খেতাব বাতিল করেন। এর কারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে ব্যক্তি তাপমাত্রাটি রেকর্ড করেন, তিনি ছিলেন অনভিজ্ঞ। তবে তাই বলে আজিজিয়াকে উষ্ণ জায়গাগুলোর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ মধ্য গ্রীষ্মে শহরের বাসিন্দাদের নিয়মিতই ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা হয়।
কুরিয়াত, ওমান
ওমানের রাজধানী মাসকটের দক্ষিণ-পূর্বের অবস্থান কুরিয়াতের। ২০১৮ সালের ২৬ জুন রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছার রেকর্ড এটি। এর আগের রেকর্ড ছিল ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ওমানেই।
দাসত–ই–লুত, ইরান
এই মরু মালভূমিতে রেকর্ড করা হয় ভূমির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইটের ডেটায় দেখা যায় এই তাপমাত্রা ছিল ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অঞ্চলে যে মানুষ বসবাস করে না, এটা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না!
বন্দর–ই মাহশহর, ইরান
গরমে হাঁসফাঁস করা শহরটি হিট ইনডেক্সের তালিকায় ওপরের দিক থেকে দুইয়ে। বায়ুর তাপমাত্রা আর জলীয়বাষ্পের মিলিত ফলাফল এই হিট ইনডেক্স। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শহরটির হিট ইনডেক্স ছিল ৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানকার রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গরম এখন চরমে। গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায়। অবশ্য গত কয়েক দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ছে জেলাটি। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও খুব একটা কম ছিল না,৩৭. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপাতত তাপমাত্রা কমবে এমন কোনো সুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে না। আজও কিন্তু সূর্য আগুন ঢেলে যাচ্ছে, এমন দিনে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বা গরম ১০টি জায়গার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই কেমন হয়?
উষ্ণ এই ১০ জায়গার সংবাদ আমরা কিন্তু পেয়েছি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের সূত্রে। লেখাটা পড়া শেষ হলে আমার মনে হয় কিছুটা সৌভাগ্যবানও ভাবতে পারেন নিজেকে। মনে হবে, ভাগ্যিস এই ১০টি জায়গার কোনোটির বাসিন্দা নন আপনি!
শুনে অবাক হবেন উষ্ণ এই ১০ জায়গার ছয়টির অবস্থান এশিয়া মহাদেশে। এই সুযোগে আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত ইউরোপে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯৭৭ সালে গ্রিসের এথেন্সে। তবে ২০২১ সালের ১১ আগস্ট ইতালির দ্বীপ সিসিলিতে রেকর্ড করা হয় ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
চলুন তাহলে গরমে ঘামতে ঘামতে প্রবেশ করি আরও অনেক বেশি উষ্ণ কিছু এলাকায়।
ডেথ ভ্যালি, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
ডেথ ভ্যালির ফার্নেস ক্রিকের দখলে বায়ুর উষ্ণতম তাপমাত্রার রেকর্ডটি। এই মরু উপত্যকায় ১৯১৩ সালের গ্রীষ্মে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একে এখনো সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বিবেচনা করা হলেও কিছু কারণে ওই রেকর্ড নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ওটাকে যদি গণনায় না-ও ধরেন, তার পরও উচ্চ তাপমাত্রার দিক থেকে সবার ওপরে ফার্নেস ক্রিকই। ২০২০-এর আগস্টে এখানে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গ্রীষ্মে ডেথ ভ্যালিতে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যের সবচেয়ে শুকনো এলাকাও এটি।
অওয়ারগলা, আলজেরিয়া
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে রেকর্ড করা আফ্রিকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাহারা মরুভূমির আলজেরিয়ান অংশের অওয়ারগলায়। অবশ্য আফ্রিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বিভিন্ন ধরনের রেকর্ডের খবর পাওয়া যায় ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে। এর মধ্যে আছে বর্তমান অফিশিয়াল সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও (৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস), যেটি তিউনিসিয়ার কেবিলিতে রেকর্ড করা হয়। তবে এটিসহ ওই তাপমাত্রাগুলো নিয়ে সংশয় তৈরি হয় যেভাবে মাপা হয় সে কারণে। মূলত কলোনিয়াল সময়ে ফ্রেঞ্চ ও ইতালীয়দের সামরিক পর্যবেক্ষণ ফাঁড়ি থেকে এই তাপমাত্রাগুলো মাপা হয়।
মিতরিবাহ, কুয়েত
উত্তর-পশ্চিম কুয়েতের এক দুর্গম এলাকা মিতরিবাহ। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে এখানে রেকর্ড করা হয় ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রাগুলোর একটি এটি।
বসরা, ইরাক
তাপমাত্রায় কুয়েতের মিতরিবাহর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো জায়গা পাশের দেশ ইরাকেও আছে। সেখানকার বসরার বসরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৬ সালের ২২ জুলাই ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তুরবাত, পাকিস্তান
পাকিস্তানের দক্ষিণ বেলুচিস্তানের একটি শহর তুরবাত। এই জায়গাও উষ্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালের ২৮ মে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দালোল, ইথিওপিয়া
এখানকার লবণের খনি, অম্লীয় উষ্ণ প্রস্রবণ ও গ্যাসীয় গেইজার মিলিয়ে ১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীতে মানুষ বাস করে এমন জায়গাগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা।
আজিজিয়া, লিবিয়া
ত্রিপোলি থেকে ২৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত শহরটি একসময় ছিল জাফারা জেলার রাজধানী। একে পৃথিবীর উষ্ণতম জায়গা হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেওয়া হতো আগে। কারণ ১৯২২ সালে এখানে রেকর্ড করা হয় ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে ২০১২ সালে আবহাওয়াবিদেরা এই খেতাব বাতিল করেন। এর কারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে ব্যক্তি তাপমাত্রাটি রেকর্ড করেন, তিনি ছিলেন অনভিজ্ঞ। তবে তাই বলে আজিজিয়াকে উষ্ণ জায়গাগুলোর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ মধ্য গ্রীষ্মে শহরের বাসিন্দাদের নিয়মিতই ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা হয়।
কুরিয়াত, ওমান
ওমানের রাজধানী মাসকটের দক্ষিণ-পূর্বের অবস্থান কুরিয়াতের। ২০১৮ সালের ২৬ জুন রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছার রেকর্ড এটি। এর আগের রেকর্ড ছিল ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ওমানেই।
দাসত–ই–লুত, ইরান
এই মরু মালভূমিতে রেকর্ড করা হয় ভূমির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইটের ডেটায় দেখা যায় এই তাপমাত্রা ছিল ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অঞ্চলে যে মানুষ বসবাস করে না, এটা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না!
বন্দর–ই মাহশহর, ইরান
গরমে হাঁসফাঁস করা শহরটি হিট ইনডেক্সের তালিকায় ওপরের দিক থেকে দুইয়ে। বায়ুর তাপমাত্রা আর জলীয়বাষ্পের মিলিত ফলাফল এই হিট ইনডেক্স। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শহরটির হিট ইনডেক্স ছিল ৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানকার রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গরম এখন চরমে। গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায়। অবশ্য গত কয়েক দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ছে জেলাটি। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও খুব একটা কম ছিল না,৩৭. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপাতত তাপমাত্রা কমবে এমন কোনো সুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে না। আজও কিন্তু সূর্য আগুন ঢেলে যাচ্ছে, এমন দিনে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বা গরম ১০টি জায়গার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই কেমন হয়?
উষ্ণ এই ১০ জায়গার সংবাদ আমরা কিন্তু পেয়েছি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের সূত্রে। লেখাটা পড়া শেষ হলে আমার মনে হয় কিছুটা সৌভাগ্যবানও ভাবতে পারেন নিজেকে। মনে হবে, ভাগ্যিস এই ১০টি জায়গার কোনোটির বাসিন্দা নন আপনি!
শুনে অবাক হবেন উষ্ণ এই ১০ জায়গার ছয়টির অবস্থান এশিয়া মহাদেশে। এই সুযোগে আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত ইউরোপে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯৭৭ সালে গ্রিসের এথেন্সে। তবে ২০২১ সালের ১১ আগস্ট ইতালির দ্বীপ সিসিলিতে রেকর্ড করা হয় ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
চলুন তাহলে গরমে ঘামতে ঘামতে প্রবেশ করি আরও অনেক বেশি উষ্ণ কিছু এলাকায়।
ডেথ ভ্যালি, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
ডেথ ভ্যালির ফার্নেস ক্রিকের দখলে বায়ুর উষ্ণতম তাপমাত্রার রেকর্ডটি। এই মরু উপত্যকায় ১৯১৩ সালের গ্রীষ্মে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একে এখনো সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বিবেচনা করা হলেও কিছু কারণে ওই রেকর্ড নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ওটাকে যদি গণনায় না-ও ধরেন, তার পরও উচ্চ তাপমাত্রার দিক থেকে সবার ওপরে ফার্নেস ক্রিকই। ২০২০-এর আগস্টে এখানে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গ্রীষ্মে ডেথ ভ্যালিতে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যের সবচেয়ে শুকনো এলাকাও এটি।
অওয়ারগলা, আলজেরিয়া
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে রেকর্ড করা আফ্রিকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাহারা মরুভূমির আলজেরিয়ান অংশের অওয়ারগলায়। অবশ্য আফ্রিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বিভিন্ন ধরনের রেকর্ডের খবর পাওয়া যায় ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে। এর মধ্যে আছে বর্তমান অফিশিয়াল সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও (৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস), যেটি তিউনিসিয়ার কেবিলিতে রেকর্ড করা হয়। তবে এটিসহ ওই তাপমাত্রাগুলো নিয়ে সংশয় তৈরি হয় যেভাবে মাপা হয় সে কারণে। মূলত কলোনিয়াল সময়ে ফ্রেঞ্চ ও ইতালীয়দের সামরিক পর্যবেক্ষণ ফাঁড়ি থেকে এই তাপমাত্রাগুলো মাপা হয়।
মিতরিবাহ, কুয়েত
উত্তর-পশ্চিম কুয়েতের এক দুর্গম এলাকা মিতরিবাহ। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে এখানে রেকর্ড করা হয় ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রাগুলোর একটি এটি।
বসরা, ইরাক
তাপমাত্রায় কুয়েতের মিতরিবাহর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো জায়গা পাশের দেশ ইরাকেও আছে। সেখানকার বসরার বসরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৬ সালের ২২ জুলাই ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তুরবাত, পাকিস্তান
পাকিস্তানের দক্ষিণ বেলুচিস্তানের একটি শহর তুরবাত। এই জায়গাও উষ্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালের ২৮ মে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দালোল, ইথিওপিয়া
এখানকার লবণের খনি, অম্লীয় উষ্ণ প্রস্রবণ ও গ্যাসীয় গেইজার মিলিয়ে ১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীতে মানুষ বাস করে এমন জায়গাগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা।
আজিজিয়া, লিবিয়া
ত্রিপোলি থেকে ২৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত শহরটি একসময় ছিল জাফারা জেলার রাজধানী। একে পৃথিবীর উষ্ণতম জায়গা হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেওয়া হতো আগে। কারণ ১৯২২ সালে এখানে রেকর্ড করা হয় ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে ২০১২ সালে আবহাওয়াবিদেরা এই খেতাব বাতিল করেন। এর কারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে ব্যক্তি তাপমাত্রাটি রেকর্ড করেন, তিনি ছিলেন অনভিজ্ঞ। তবে তাই বলে আজিজিয়াকে উষ্ণ জায়গাগুলোর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ মধ্য গ্রীষ্মে শহরের বাসিন্দাদের নিয়মিতই ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা হয়।
কুরিয়াত, ওমান
ওমানের রাজধানী মাসকটের দক্ষিণ-পূর্বের অবস্থান কুরিয়াতের। ২০১৮ সালের ২৬ জুন রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছার রেকর্ড এটি। এর আগের রেকর্ড ছিল ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ওমানেই।
দাসত–ই–লুত, ইরান
এই মরু মালভূমিতে রেকর্ড করা হয় ভূমির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইটের ডেটায় দেখা যায় এই তাপমাত্রা ছিল ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অঞ্চলে যে মানুষ বসবাস করে না, এটা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না!
বন্দর–ই মাহশহর, ইরান
গরমে হাঁসফাঁস করা শহরটি হিট ইনডেক্সের তালিকায় ওপরের দিক থেকে দুইয়ে। বায়ুর তাপমাত্রা আর জলীয়বাষ্পের মিলিত ফলাফল এই হিট ইনডেক্স। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শহরটির হিট ইনডেক্স ছিল ৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানকার রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গরম এখন চরমে। গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায়। অবশ্য গত কয়েক দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ছে জেলাটি। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও খুব একটা কম ছিল না,৩৭. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপাতত তাপমাত্রা কমবে এমন কোনো সুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে না। আজও কিন্তু সূর্য আগুন ঢেলে যাচ্ছে, এমন দিনে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বা গরম ১০টি জায়গার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই কেমন হয়?
উষ্ণ এই ১০ জায়গার সংবাদ আমরা কিন্তু পেয়েছি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের সূত্রে। লেখাটা পড়া শেষ হলে আমার মনে হয় কিছুটা সৌভাগ্যবানও ভাবতে পারেন নিজেকে। মনে হবে, ভাগ্যিস এই ১০টি জায়গার কোনোটির বাসিন্দা নন আপনি!
শুনে অবাক হবেন উষ্ণ এই ১০ জায়গার ছয়টির অবস্থান এশিয়া মহাদেশে। এই সুযোগে আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত ইউরোপে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯৭৭ সালে গ্রিসের এথেন্সে। তবে ২০২১ সালের ১১ আগস্ট ইতালির দ্বীপ সিসিলিতে রেকর্ড করা হয় ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
চলুন তাহলে গরমে ঘামতে ঘামতে প্রবেশ করি আরও অনেক বেশি উষ্ণ কিছু এলাকায়।
ডেথ ভ্যালি, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
ডেথ ভ্যালির ফার্নেস ক্রিকের দখলে বায়ুর উষ্ণতম তাপমাত্রার রেকর্ডটি। এই মরু উপত্যকায় ১৯১৩ সালের গ্রীষ্মে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একে এখনো সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বিবেচনা করা হলেও কিছু কারণে ওই রেকর্ড নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ওটাকে যদি গণনায় না-ও ধরেন, তার পরও উচ্চ তাপমাত্রার দিক থেকে সবার ওপরে ফার্নেস ক্রিকই। ২০২০-এর আগস্টে এখানে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গ্রীষ্মে ডেথ ভ্যালিতে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যের সবচেয়ে শুকনো এলাকাও এটি।
অওয়ারগলা, আলজেরিয়া
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে রেকর্ড করা আফ্রিকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাহারা মরুভূমির আলজেরিয়ান অংশের অওয়ারগলায়। অবশ্য আফ্রিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বিভিন্ন ধরনের রেকর্ডের খবর পাওয়া যায় ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে। এর মধ্যে আছে বর্তমান অফিশিয়াল সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও (৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস), যেটি তিউনিসিয়ার কেবিলিতে রেকর্ড করা হয়। তবে এটিসহ ওই তাপমাত্রাগুলো নিয়ে সংশয় তৈরি হয় যেভাবে মাপা হয় সে কারণে। মূলত কলোনিয়াল সময়ে ফ্রেঞ্চ ও ইতালীয়দের সামরিক পর্যবেক্ষণ ফাঁড়ি থেকে এই তাপমাত্রাগুলো মাপা হয়।
মিতরিবাহ, কুয়েত
উত্তর-পশ্চিম কুয়েতের এক দুর্গম এলাকা মিতরিবাহ। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে এখানে রেকর্ড করা হয় ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রাগুলোর একটি এটি।
বসরা, ইরাক
তাপমাত্রায় কুয়েতের মিতরিবাহর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো জায়গা পাশের দেশ ইরাকেও আছে। সেখানকার বসরার বসরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৬ সালের ২২ জুলাই ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তুরবাত, পাকিস্তান
পাকিস্তানের দক্ষিণ বেলুচিস্তানের একটি শহর তুরবাত। এই জায়গাও উষ্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালের ২৮ মে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দালোল, ইথিওপিয়া
এখানকার লবণের খনি, অম্লীয় উষ্ণ প্রস্রবণ ও গ্যাসীয় গেইজার মিলিয়ে ১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীতে মানুষ বাস করে এমন জায়গাগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা।
আজিজিয়া, লিবিয়া
ত্রিপোলি থেকে ২৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত শহরটি একসময় ছিল জাফারা জেলার রাজধানী। একে পৃথিবীর উষ্ণতম জায়গা হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেওয়া হতো আগে। কারণ ১৯২২ সালে এখানে রেকর্ড করা হয় ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে ২০১২ সালে আবহাওয়াবিদেরা এই খেতাব বাতিল করেন। এর কারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে ব্যক্তি তাপমাত্রাটি রেকর্ড করেন, তিনি ছিলেন অনভিজ্ঞ। তবে তাই বলে আজিজিয়াকে উষ্ণ জায়গাগুলোর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ মধ্য গ্রীষ্মে শহরের বাসিন্দাদের নিয়মিতই ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা হয়।
কুরিয়াত, ওমান
ওমানের রাজধানী মাসকটের দক্ষিণ-পূর্বের অবস্থান কুরিয়াতের। ২০১৮ সালের ২৬ জুন রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছার রেকর্ড এটি। এর আগের রেকর্ড ছিল ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ওমানেই।
দাসত–ই–লুত, ইরান
এই মরু মালভূমিতে রেকর্ড করা হয় ভূমির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইটের ডেটায় দেখা যায় এই তাপমাত্রা ছিল ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অঞ্চলে যে মানুষ বসবাস করে না, এটা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না!
বন্দর–ই মাহশহর, ইরান
গরমে হাঁসফাঁস করা শহরটি হিট ইনডেক্সের তালিকায় ওপরের দিক থেকে দুইয়ে। বায়ুর তাপমাত্রা আর জলীয়বাষ্পের মিলিত ফলাফল এই হিট ইনডেক্স। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শহরটির হিট ইনডেক্স ছিল ৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানকার রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
১ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

গরম এখন চরমে। আপাতত তাপমাত্রা কমবে এমন কোনো সুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ১০টি জায়গার সঙ্গে যদি পরিচয় করিয়ে দিই কেমন হয়? লেখাটা পড়া শেষ হলে সৌভাগ্যবানও ভাবতে পারেন নিজেকে!
১১ এপ্রিল ২০২৩
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
১ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গরম এখন চরমে। আপাতত তাপমাত্রা কমবে এমন কোনো সুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ১০টি জায়গার সঙ্গে যদি পরিচয় করিয়ে দিই কেমন হয়? লেখাটা পড়া শেষ হলে সৌভাগ্যবানও ভাবতে পারেন নিজেকে!
১১ এপ্রিল ২০২৩
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গরম এখন চরমে। আপাতত তাপমাত্রা কমবে এমন কোনো সুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ১০টি জায়গার সঙ্গে যদি পরিচয় করিয়ে দিই কেমন হয়? লেখাটা পড়া শেষ হলে সৌভাগ্যবানও ভাবতে পারেন নিজেকে!
১১ এপ্রিল ২০২৩
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
১ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

গরম এখন চরমে। আপাতত তাপমাত্রা কমবে এমন কোনো সুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ১০টি জায়গার সঙ্গে যদি পরিচয় করিয়ে দিই কেমন হয়? লেখাটা পড়া শেষ হলে সৌভাগ্যবানও ভাবতে পারেন নিজেকে!
১১ এপ্রিল ২০২৩
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
১ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে