Ajker Patrika

প্রাণবৈচিত্র্যের সন্ধানে পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই দশকের রোমাঞ্চকর অভিযান

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩: ১২
প্রাণবৈচিত্র্যের সন্ধানে পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই দশকের রোমাঞ্চকর অভিযান

সাঙ্গু নদী ধরে চলেছে নৌকা। আন্ধারমানিকের কাছে হঠাৎ নদীর পাশে ঝোপের মধ্যে দেখা গেল অতিদুর্লভ, বিষধর একটি সাপ। শরীরের বেশির ভাগ সবুজ, তবে চোখ আর লেজ লাল। পোপস পিট ভাইপার। সরীসৃপটিকে শান্তিতে থাকতে দিয়ে কিছুটা এগোনোর পর নৌকার ওপরে তাকাতেই আঁতকে উঠলেন। পাহাড়ের ঢালে নদীর দিকে হেলে পড়া এক গাছের ডালে পেঁচিয়ে আছে বিশালাকায় একটা গোলবাহার অজগর বা রেটিকুলেটেড পাইথন। পেটটা ভুলে আছে বেঢপভাবে। কিছুক্ষণ আগেই হয়তো শিকার ধরে খেয়েছে। 

আন্ধারমানিকের কাছে এক গাছের ডালে পেঁচিয়ে আছে বিশালাকায় একটা গোলবাহার অজগররোমাঞ্চকর এই অভিজ্ঞতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খানের। পার্বত্য চট্টগ্রামের বন-পাহাড়ে রোমাঞ্চের নেশায়, ঝরনা দেখতে ঘুরে বেড়ান অনেক তরুণই। তবে দুই যুগ ধরে এই শিক্ষক পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়-অরণ্য, নদী-ঝিরিতে চষে বেড়ানোর বড় কারণ বন্যপ্রাণীর খোঁজ করা আর এদের বাসস্থান, অর্থাৎ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ। আর তাঁর সেই রোমাঞ্চকর অভিযানের কাহিনি ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাণবৈচিত্র্যের সন্ধানে’ নামে দুই মলাটের মধ্যে বন্দী করেছে প্রথমা প্রকাশন। বইটির মুদ্রিত মূল্য ৪৫০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন মাহবুব রহমান। 

কাসালং সংরক্ষিত বনের গহিনে ভুলংতলি পাহাড় এবং এর আশপাশের অরণ্যকখনো রাঙামাটির দুর্গম কাসালং সংরক্ষিত অরণ্যে কিংবা কাপ্তাইয়ের সীতা পাহাড়, রাম পাহাড়, কখনো আবার বান্দরবানের সাঙ্গু-মাতামুহুরী বা কিরস তংয়ের গহিন অরণ্যে চষে বেড়িয়েছেন। পাহাড়ি দুরারোহ পথে ১০-১২ ঘণ্টা হাঁটতে হয়েছে বড় কোনো যাত্রাবিরতি ছাড়াই। দেশের জন্য নতুন এমন বেশ কয়েকটি প্রাণীও আবিষ্কার করেছেন পাহাড়ের গহিনের এসব রোমাঞ্চকর অভিযানের সময়। ২০০৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই যুগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে ১০টি অধ্যায়ে ভাগ করে বর্ণনা করেছেন লেখক। পাঠকদের জন্য বাড়তি পাওনা অরণ্য-পাহাড় আর বন্যপ্রাণীর চমৎকার কিছু ছবি। 

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন রাঙামাটির কাসালং রিজার্ভ ফরেস্ট। ১ হাজার ৬৪৫ বর্গকিলোমিটারে বনটির বর্তমানে ৪০০ বর্গকিলোমিটার ভালো বন অবশিষ্ট আছে বলে জানিয়েছেন লেখক মনিরুল খান। কাসালং বনে লেখক গিয়েছেন মোটমাট চারবার। আর এই বনে রোমাঞ্চকর অভিযানের বর্ণনা পাবেন ‘কাসালংয়ের অজানা অরণ্যে’ অধ্যায়টিতে। এর মধ্যে বনের গভীরে ঢুকতে পেরেছেন দুবার। প্রথম এখানকার গহিন অরণ্যে প্রবেশ করতে পারেন মনিরুল খান ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। ঢাকা থেকে সঙ্গে ছিল তাঁর ছাত্র আশিকুর রহমান। পরে অবশ্য মাসালং থেকে গাইড হিসেবে যোগ দেন আরও দুজন। 

বাংলাদেশে নতুন প্রজাতির পাখি গোল্ডেন ক্রেস্টেড বা সোনাঝুঁটি ময়নাজলপথে যাওয়া সহজ হলেও সেবার কাসালংয়ের অরণ্যে তাঁদের যাত্রাটা হয় পায়ে হেঁটে। লেখকের বর্ণনায় দেখি মান্দিরছড়ার পরে ঘন বনের শুরু। দুর্গম যাত্রায় কখনো পাহাড় বেয়ে উঠতে হয়, কখনো আবার চলতে হয় ছড়া ধরে। এভাবে চলতে চলতেই তাঁরা পৌঁছান লালু-কালু এলাকার পূর্ব দিকে। এখান থেকে পশ্চিমে দেখতে পাচ্ছিলেন এই এলাকার সবচেয়ে বড় ও গভীর বনানীর পাহাড় ভুলংতলি। বইটি পড়ার সময় মনে হবে আপনিও গহিন কোনো অরণ্যপথে হাঁটছেন লেখকদের ছোট দলটির একজন সদস্য হয়ে। গাইডদের বাঁশ কেটে তৈরি করা চোঙে মাছ আর পাহাড়ি কন্দ যোগ করে রান্না করে বুনো স্বাদের সেই তরকারির স্বাদ পাচ্ছেন। পথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা হলে যখন তাঁরা বলে দুই বছর আগে (২০০৯) নাবা এলাকায় বাঘ দেখেছে, তখন শিহরিত হবেন আপনিও। 

সেই ভ্রমণে ফিরতি যাত্রা ছিল বেশ মজার। মাসালং নদীর একটি শাখায় বাঁশের চালি ভাসিয়ে আনা হচ্ছিল। এতে উঠে তাঁরা চলে আসেন মাসালং বাজারে। 

রাঙিপাড়ার অরণ্যে বুনো হাতিপরের সফরটি এক দশক পরে, ২০২১ সালে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ের খণ্ড বনগুলো করিডরের মাধ্যমে জোড়া লাগানোর বিষয়ে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে বন বিভাগ। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইইউসিএনকে। এ সমীক্ষার অংশ হিসেবেই অন্য গবেষক, বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাসালংয়ের গহিন অরণ্যে যান মনিরুল খান। চারটি নৌকায় চেপে, সঙ্গে প্রয়োজনীয় চাল-ডাল নিয়ে কাসালং নদী ধরে মাসালং বাজার থেকে রওনা দেন তাঁরা। একপর্যায়ে লালু পৌঁছান তারা। লেখকের ভাষায়, এখান থেকেই গহিন বনের শুরু, যেটা উজানের দিকে চলে গেছে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। 

লেখক বলেছেন, কাসালংয়ের গহিন বনে কোনো পাড়া নেই। তবে মানুষের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ছাউনি আছে। নৌকা থেকে নেমে গহিন এক ছড়া ধরে যাওয়ার সময় আপনিও মনে মনে সঙ্গী হয়ে যাবেন অভিযাত্রীদের। আচমকা আপনার দেখা হয়ে যাবে ভালুকের সঙ্গে চেহারার মিল আছে এমন একধরনের গাছ খাটাশ, বিন্টুরং বা বাঁশ ভালুকের। ছড়া থেকে ফিরে এসে লেখক আরও দুজনের সঙ্গে রাত কাটিয়েছিলেন একটি নৌকায়। রাতে প্রবল বৃষ্টিতে দেখা গেল নৌকা জলে ভরে যাচ্ছে। তাঁরা লেগে গেলেন পানি সেচতে। এমনই নানা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয় এই ভ্রমণে। ফেরার পথে আবিষ্কার করে বসেন বাংলাদেশের জন্য ময়নার এক নতুন প্রজাতি গোল্ডেন ক্রেস্টেড বা সোনাঝুঁটি ময়না। 

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে দেখা মেলে আশ্চর্য সুন্দর পাখি কাঠময়ূরেরমজার ঘটনা, কাসালংয়ের গহিন অরণ্যে যেতে হলে সাজেক যাওয়ার পথেই নামতে হবে আপনাকে। আর এই অধ্যায়টিতে সাজেক ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করেছেন। পুরোনো সেই বুনো সাজেক আর এখনকার কংক্রিটের অট্টালিকায় ভরা সাজেক দুটোর তুলনা করতে গিয়ে লেখককে অনেকটাই দিশেহারা মনে হয়েছে। তিনি আফসোস করেন, এখন সাজেকে সবাই সুখী, তবে দুঃখী শুধু সেই হারিয়ে যাওয়া নির্মল সবুজ পাহাড়, কংক্রিট আর আবর্জনায় ঢাকা পড়ছে যেটি। 

‘বন্য হাতির মুখোমুখি’ অধ্যায়ে আবার হাতির মুখোমুখি হয়ে যাওয়ার একাধিক রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ২০০২ সালে যেমন রাঙিপাড়ায় গিয়েছিলেন। তিন দিকে জলবেষ্টিত একটি পাহাড়ে উঠেছিলেন। ভেতরে ঢোকার পথ কেবল একটি। ঝোপ-জঙ্গলে ঠাসা পাহাড়টিতে হঠাৎ হাতির কাছে চলে গিয়ে বিপদে পড়ার আশঙ্কা বারো আনা। একপর্যায়ে হাতির ডাল ভাঙার শব্দ শুনলেন। একটু পরেই গাছপালার ফাঁক দিয়ে দেখা পেলেন বিশালদেহী ঐরাবতদের—একটি-দুটি নয়, সাতটি। একপর্যায়ে আবিষ্কার করলেন, লতা-পাতা খেতে খেতে তাদের বেরোনোর পথটাই আটকে দাঁড়িয়েছে হাতির পাল। একপর্যায়ে হাতিগুলো বনের ভেতরে ঢুকে গেল, তাদের শব্দও থেমে গেল। 

বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের মিলনস্থলে অবস্থিত তিন মাথা পিলারএকটু অপেক্ষা করে যাওয়া নিরাপদ মনে করে সরু পথটা ধরে একজনের পেছনে আরেকজন লাইন ধরে এগোলেন। এই জায়গায় পথ ৯০ ডিগ্রি বাঁক নিয়েছে। বাঁক ঘুরেই আঁতকে উঠলেন। ঠিক সামনে পাঁচ মিটার দূরে পথের ওপর দাঁড়িয়ে আছে প্রকাণ্ড এক হাতি। হাতিটা বিরক্ত হয়ে জোরে একটা শ্বাস নিতেই অন্য হাতিদের শব্দে জেগে উঠল বনানী। তাঁরা ঘুরে দিলেন দৌড়। পেছনে জঙ্গল ভেঙে ছুটে আসছে হাতির পাল। তারপর কী ঘটল জানার জন্য বইটি পড়তে হবে আপনাকে। 

বান্দরবানের দুর্গমে মিয়ানমার সীমান্তে সাঙ্গু-মাতামুহুরী বন। এনায়েত মাওলার ‘যখন শিকারি ছিলাম’ বইয়ে বড় মোদকের দিকের এক অভিযানের কাহিনি পড়ে বনটির প্রতি আগ্রহ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে মনিরুল খানের। এনায়েত মাওলাদের অভিযানটি ছিল ১৯৫৭ সালের। মনিরুল খান ২০০৫ সালে প্রথম যান সাঙ্গুর গহিনে। তারপর ২০০৮ ও ২০২১ সালে সাঙ্গু-মাতামুহুরীর দিকে আবার অভিযানে যান। আর পাঠক যেন লেখকের সঙ্গে চলে যাবেন অন্য এক পৃথিবীতে। ওই যে লেখার শুরুতে সাঙ্গু নদীর ধারে গোলবাহার অজগর দেখার যে বর্ণনা দিয়েছিলাম, সেটা কিন্তু প্রথমবার সাঙ্গু রিজার্ভ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে এই ভ্রমণ রোমাঞ্চ ও বনপ্রেমী পাঠকদের মন কেড়ে নেবে। 

কিরস তং এলাকায় অতি বিরল ধনেশ রিথড হর্নবিল। ছবি: মনিরুল খানকখনো নদীর দুই পাড়ের ঘন পাহাড়ি বন, উঁচু ট্রি-ফার্ন ও লতানো বাঁশসহ নানা উদ্ভিদ লেখকের সঙ্গে আপনাকেও যেন হারানো পৃথিবীর কথা মনে করিয়ে দেবে। একপর্যায়ে চমকে গিয়ে আবিষ্কার করবেন লেখকও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে গাইডের সঙ্গে উচ্চিংড়া নামে একধরনের পোকার ভাজি ও কুমড়াপাতা সিদ্ধ দিয়ে ভাত খাচ্ছেন। সাঙ্গু নদীর উজানে শেষ গ্রামটি পেরিয়ে লেখকের সঙ্গে রওনা দেবেন লিক্রি পাহাড়ের গহিন অরণ্যের দিকে, যেখানে বন্যপ্রাণীদের আড্ডাখানা। চন্দইপাড়ার গ্রামপ্রধান যখন বলবেন ওই পাহাড়ে আগের বছর (২০০৪) রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও কালো চিতার মুখোমুখি হয়েছেন, তখন রোমাঞ্চে গা কাঁটা দেবে আপনার। তারপর লিক্রি পাহাড় ও ইয়ামবং পাহাড় পেরিয়ে দশ-এগারো ঘণ্টার এক যাত্রা করেন লেখক এবং তাঁর সঙ্গীরা পাহাড়ের অন্য পাশে অর্থাৎ আলীকদমের দিকে পৌঁছাতে। 

বইটির অন্যান্য অধ্যায়গুলো কম রোমাঞ্চকর নয়। কখনো লেখক বন্যপ্রাণী সন্ধানে চলে যান দেশে সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলো যেমন সাকা হাকং, কেওক্রাডং কিংবা তাজিংডংয়ের দিকে। কখনো আবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার-ভারতের সীমানা চিহ্নিত করা তিন মাথা পিলার এলাকায়। কখনো আবার লেখকের সঙ্গে দুঃখ ভারাক্রান্ত হবে আপনার মন। যেমন কেওক্রাডং পাহাড় পেরিয়ে জাদিপাই ঝরনায় যাওয়ার আগে জাদিপাই গ্রামে গিয়ে দেখেন ছোট্ট এক মেয়ে শিশুর মৃতদেহ কফিনে ভরার প্রস্তুতি চলছে। বেশ কিছুদিন ম্যালেরিয়ায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। 

কখনো কখনো লেখকের সঙ্গে দেশের জন্য নতুন কোনো প্রাণী আবিষ্কারের আনন্দ পাবেন। ক্যাপিটাল হিল পেরিয়ে একটি বনে গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতে দেখেন খুব ছোট এক ধরনের কাঠবিড়ালিকে। সাধারণত দেখা যাওয়া বাদামি কাঠবিড়ালির অর্ধেক, নাম হিমালয়ান স্ট্রাইপড স্কুইরেল। বাংলাদেশ এই কাঠবিড়ালি দেখা যাওয়ার এটাই প্রথম রেকর্ড। 

সাঙ্গু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে নৌকায় বসা লেখক। পেছনে দুই ছাত্র জাহাঙ্গীর ও সামিউলএ ছাড়া ‘কিরস তং যেন হারানো পৃথিবী’তে কিরস তং বনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তুলনা করেছেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত বই লস্ট ওয়ার্ল্ডের সেই হারানো পৃথিবীর সঙ্গে। চিম্বুক পাহাড়শ্রেণীর মাঝামাঝি অবস্থিত কিরস তংয়ের শত শত বছরের পুরোনো বনের আবহ পেয়ে মুগ্ধ হয়েছেন লেখক। বারবার ছুটে গিয়েছেন সেখানে। তবে মানুষের লোভের কারণে আদিম এই অরণ্য আর কত দিন টিকে থাকবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এখানে ২০১৯ সালে চিতা বাঘের তাজা পায়ের ছাপ পান লেখক। বনটি তাঁর এত প্রিয় যে অধ্যায়ের শেষ করেন এভাবে, যত দিন আমি টিকে আছি এই ধরনীতে, তত দিন বারবার ফিরে যাব কিরস তংয়ের কোলে। 

এ ছাড়াও অন্যান্য অধ্যায়গুলোতে কখনো মনিরুল খানকে দেখা যায় দেও হাঁসের খোঁজে পাবলাখালী-রাঙিপাড়ার পাহাড়ের চষে বেড়াতে, কখনো ফ্রান্সিস বুকাননের পথ ধরে রাঙামাটির কাপ্তাই কিংবা বরকলের গহিন অরণ্যে চলে যেতে। স্কটিশ জরিপকারী বুকানন এসব এলাকা ভ্রমণ করেছিলেন সোয়া দুই শ বছর আগে, ১৭৮৩ সালে। আবার বগা লেকের পাশে অ্যালেংথং পাহাড়ে বাদুড়ের গুহায় ভ্রমণ কিংবা রাইংক্ষিয়ং রিজার্ভ ফরেস্টে তাঁর রোমাঞ্চকর অভিযানও মুগ্ধ করবে পাঠককে। 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়া সাকা হাফং। দাঁড়ানো ব্যক্তির সামনে মিয়ানমার, পেছনে বাংলাদেশবইটি পড়তে পড়তে বন্যপ্রাণীপ্রেমীরা কখনো চমকিত হবেন লেখকের সঙ্গে নিকট অতীতে পাহাড়ি বনে বাঘ দেখা যাওয়ার খবর শুনে। কখনো আবার মন কেঁদে উঠবে বাঘ-হরিণ কিংবা অন্য কোনো বিপন্ন বন্যপ্রাণী শিকারের খবর শুনে, অরণ্য ধ্বংসের বৃত্তান্ত পড়ে। 

সবকিছু মিলিয়ে তাই বলা যায় শুধুমাত্র বন্যপ্রাণীপ্রেমী নয় পাহাড়ে-জঙ্গল-ঝরনা যাদের পছন্দ সেসব অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদেরও ভালো লাগবে বইটি। আর যেসব পাহাড়-অরণ্যপ্রেমী নানা ব্যস্ততায় সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণে যেতে পারছেন না তাঁরাও কয়েকটা ঘণ্টার জন্য হারিয়ে যেতে পারবেন রাঙামাটি-বান্দরবানের গহিনে, আশ্চর্য সুন্দর এক পৃথিবীতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় আজ সকালে তাপমাত্রা ১৬.৬

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।

আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন তথ্য বলছে, আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি উষ্ণ হয়েছে পৃথিবী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।

গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।

তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দূষণ বাড়ছে বাতাসে, যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।

আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত