Ajker Patrika

নজরুল আছেন যেভাবে

বিনোদন প্রতিবেদক
আপডেট : ২৫ মে ২০২১, ২২: ১৪
নজরুল আছেন যেভাবে

মূল্য যদি বুঝত, আরও কাজ হতো
মতিন রহমান, চিত্র পরিচালক
আমাদের দেশের চলচ্চিত্রে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে কাজের সংখ্যা তো এখন আরো কমছে। কর্পোরেট দৌরাত্ম্যতে ওই পুরনো গল্পে পন্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। কোন গল্পটি চলচ্চিত্রের জন্য উপযোগী, সেটা নিয়ে কারও কোনো ভাবনা নেই। তাঁর সাহিত্য নিয়ে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে।

নজরুলসাহিত্য নিয়ে আরও সিনেমা হওয়া উচিত। জাতীয় কবির কাজের মূল্য যদি তারা বুঝত, হয়তো তাঁকে নিয়েও কাজ করত। বাঙালি নারীর ভালোবাসা নিয়ে প্রচুর সিনেমা হয়েছে। শাবানা, ববিতা অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘রাক্ষুসী’ র গল্পে দেখলাম একটু ভিন্ন রকম ভাবনা।

অন্য রকম ক্লাইমেক্স ছিল, সাধারণ বাংলাদেশের অন্য কোনো সিনেমায় এ রকম দেখিনি। তাই গল্পটা আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। আমি ব্যবসায়ীকভাবে সফলতা না পেলেও প্রচুর প্রশংসা ও পুরস্কার পেয়েছি।

তারিন জাহান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকেবিদ্রোহী ঘরানার বলে এড়িয়ে যাচ্ছি?
তারিন জাহান, অভিনয়শিল্পী
কাজী নজরুলের ‘শিউলিমালা’ গল্প অবলম্বনে সবচেয়ে বেশি নাটক নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে নজরুলের নাটক নিয়ে সেভাবে চর্চা হয় না। আমি নিজেও একাধিকবার ‘শিউলিমালা’ গল্পে অভিনয় করেছি। তার নাটক একটু বিদ্রোহী ঘরানার বলে কি তবে আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি? তবে তার নাটকে চরিত্র রূপায়ণের ক্ষেত্রে অনেক বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হয়।

শুধু অভিনেত্রী বা অভিনেতাকে চরিত্রায়নের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয় এমনটা নয়। পুরো শুটিং ইউনিটকে সময়কাল এবং স্থান সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। নজরুলের নাটকে বেশকিছু প্রতিবাদী নারী চরিত্রও আছে। কিন্তু আমরা সেগুলো পর্দায় দেখতে পাই না। এসব গল্প নিয়ে আরও বেশি বেশি কাজ করা উচিত বলে মনে করি। আর নির্দিষ্ট কিছু গল্প নিয়েই বেশি কাজ হয়।

সুমাইয়া শিমু। ছবি: ফেসবুক থেকেরূপসজ্জা আর পোশাক নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়
সুমাইয়া শিমু, অভিনয়শিল্পী
সাহিত্য নিয়ে কাজের লোভ সামলাতে পারি না কখনও। বলতে পারেন মুখিয়ে থাকি। এসব চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে অন্য আট-দশটা নাটকের চেয়ে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। অন্য নাটকগুলোয় নিজের মতো চরিত্র সাজিয়ে নিই। কিন্তু সাহিত্য নিয়ে নির্মিত নাটকে অভিনয়ের সময় বর্ণনা অনুযায়ী ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। বিশেষ করে রূপসজ্জা আর পোশাক নিয়ে বেশ সতর্ক থাকি। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, 'আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী'। ঠিক কেমন অভিনয় করলাম সেটা পরে ভাবি, আগে আমার সাজসজ্জা কেমন হবে তা নিয়েই ভাবনায় মশগুল থাকি। ‘বাঁধনহারা’, ‘রিক্তের বেদন’, ‘শিউলিমালা’ নাটকগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে মনে পড়ে 'রিক্তের বেদন' নাটকের কথা। এতে এক আরবের বেদুইন রমণীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকটির বেশিরভাগ দৃশ্যেই আমাকে কালো বোরখা পরতে হয়েছে। একে তো কালো পোশাক, অন্যদিকে চৈত্র মাসের কাঠফাটা রোদ্দুর। এত কষ্ট করেছি একমাত্র সাহিত্যপ্রীতির জন্য।

আফরান নিশো। ছবি: ফেসবুক থেকেজন্ম বা মৃত্যুদিবসেই এসব নাটক নির্মাণ হয়
আফরান নিশো, অভিনয়শিল্পী
কাজী নজরুল ইসলামের বেশ কয়েকটি নাটকে আমি কাজ করেছি। শুধু তার জন্ম বা মৃত্যুদিবসেই এসব নাটক নির্মাণ হয়। তার গল্পগুলো আধুনিক রুপ দিয়েও কিন্তু নির্মাণ করা যায়। যাঁরা ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের উচিত বিশেষ ব্যক্তিদের গল্পে নির্মাতাদের উৎসাহিত করা।

তাহলে কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে এখন পাঁচজন নির্মাতা কাজ করলেও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অনেক নির্মাতা কাজ করতে উৎসাহিত হবেন। ‘আমায় নহে গো ভালোবাসো শুধু/ ভালোবাসো মোর গান’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। নাটকটির নাম ‘ধুমকেতু’। নাটকটিতে আমি একটি ব্যান্ডের ভোকালিস্ট চরিত্রে অভিনয় করেছি। নতুনভাবে কাজী নজরুল ইসলামের গানগুলো গাই। চরিত্রটির একটি বিপ্লবী সত্তা আছে। এমন চরিত্রের সৃষ্টিও কিন্তু করা যায়।

সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা। ছবি: ফেসবুক থেকেনজরুলের গান চিরকালই আধুনিক
ফাতেমা তুজ জোহরা, নজরুল সংগীতশিল্পী
এখনকার সময়ে যেটা হচ্ছে সেটা হলো, সবাই আদি রেকর্ড মেনে চলছে। ১৯৪২ সালের আগ পর্যন্ত যে রেকর্ডগুলো করা হয়েছে, ওই রেকর্ডগুলোকে আদি রেকর্ড বলা হয়। কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৪২-এ অসুস্থ হয়ে গেলেন। তার আগ পর্যন্ত যতগুলো রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলোই আদি রেকর্ড। আমাদের সৌভাগ্য যে আদি রেকর্ডটার অনেকটাই উদ্ধার এবং সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে গানে বিধিবদ্ধতা চলে আসছে। আদি রেকর্ডটাই হচ্ছে আসল সুর।

এখনকার ছেলেমেয়েরা নিজ দায়িত্বেই সেটা ফলো করছে। তারা বেশ পড়াশুনা করেই কাজ করছে। আমি মনে করি, যতগুলো রেকর্ড এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে, সেগুলো যদি সঠিকভাবে শিখে বা চর্চা করে গাইতে পারি, তাতেই চলবে। সেটার সংখ্যা যদি এক-দেড় হাজারও হয়, তাতে কী! ভেজাল সুরে তিন চার হাজার গাওয়ার চেয়ে কম সংখ্যক থাকুক। সঠিক শুদ্ধটাই থাকুক।

সেই রেকর্ডগুলো ছিল সম্পূর্ণভাবে কবির তত্ত্বাবধানে করা। আমরা চেষ্টা করি, আদি রেকর্ডগুলো অনুসরণ বা অনুকরণ করে গাইতে। কারণ সেটাই আসল সুর। ১৯৪২-এর পর থেকে যেসব গান রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলোকে আদি রেকর্ড বলা হয় না। আমি মনে করি, সেই আদি রেকর্ডে যদি ১৫০০ গানও হয়, তাহলে সেটাই শুদ্ধভাবে চর্চা করা হোক।

আসলে তখন তো কোনো কিছুই গোছানো ছিল না। আর তখন এই সুযোগটাই লুফে নিয়েছিল কেউ কেউ। তারা কবির গান চুরি করে নিজের বলে চালিয়ে দিয়েছে। সে সময় একটা মহল কারসাজি করে নজরুলের প্রচুর রেকর্ড নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল।

নতুন ছেলেমেয়েদের বলতে চাই, যতই রঙচঙে বা চটকদার হোক, যেটা হয়তো নিজের ভালো লাগছে। তারপরও সেটা যদি নজরুলের আসল সুর না হয়, তাহলে সেটা গাইবার চেষ্টা করো না।

ফিউশন আমি নিজেও করেছি। এটাকে কেউ যদি দোষের মনে করে, তাহলে আমিও দোষি। আর এই দোষটা আমি মাথা পেতে নিতে রাজি। কারণ আমি যা করছি, তা জেনেই করছি। আমি গানে কোনো রকম পরিবর্তন বা পরিমার্জন করিনি। আর মিউজিক ততোটুকুই যতোটুকু সঙ্গত। নজরুলের গান হচ্ছে চিরকালীন আধুনিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন
সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে। ছয় বছর পর আবার এই পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করছেন তিনি।

নতুন এই কাজের শুটিং করতে ১৮ ডিসেম্বর নেপালে যান সুনেরাহ। গতকাল শেষ হয়েছে শুটিং। গতকাল তানিম রহমান অংশুর সঙ্গে তোলা শুটিংয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু একটা হচ্ছে। ছয় বছর পর একসঙ্গে আমরা কাজ করছি। সবাইকে দেখানোর অপেক্ষায়।’

নতুন এই কাজ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় সুনেরাহর সঙ্গে। নেপাল থেকে খুদেবার্তায় সুনেরাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারুণ ইন্টারেস্টিং একটা কাজ করছি। এখানে আমাকে এমন চরিত্রে দেখা যাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি।’

এটি ওটিটি কনটেন্ট নাকি সিনেমা, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে রাজি নন সুনেরাহ। বললেন, ‘কাজটি কোথায় দেখা যাবে এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। আশা করছি শিগগির দর্শক কাজটি দেখতে পারবে।’

আরশের সঙ্গে সুনেরাহ বিনতে কামাল
আরশের সঙ্গে সুনেরাহ বিনতে কামাল

শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুনেরাহ বলেন, ‘খুব ঠান্ডার মধ্যে শুটিং করতে হচ্ছে। আমরা যেখানে শুটিং করছি, সেখানে মাইনাস ডিগ্রি। প্রথমবার এ রকম আবহাওয়াতে শুটিং করলাম। সব মিলিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু কাজটি খুব ভালো হয়েছে।’

অন্যদিকে, ২২ ডিসেম্বর ভিন্ন একটি ছবি পোস্ট করেন সুনেরাহ। অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে তোলা ছবিটিতে দেখা যায়, সমুদ্রপারে আরশ ও সুনেরাহ দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ছবিটি। অনেকেই দাবি করেন, এই ছবি দিয়ে আরশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন স্বীকার করলেন সুনেরাহ। অনেকে তাঁদের শুভকামনা জানান।

বরাবরের মতো এবারও প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সুনেরাহ। জানালেন এই ছবিতে নেটিজেনদের শুভেচ্ছাবার্তা তাঁকে বিস্মিত করেছে। আরও জানালেন থাইল্যান্ডে শুটিংয়ের সময় তোলা হয়েছিল ভাইরাল হওয়া ছবিটি। থাইল্যান্ডে ওই সময় একসঙ্গে ছয়টি নাটকের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই ছবিটি ভালো লাগায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সুনেরাহ। এর বাইরে কিছু না।

নাটক, ওটিটি ও সিনেমা—সব মাধ্যমেই ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনেরাহ। টিভি ও ইউটিউবে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর অভিনীত নাটক। গত মাস থেকে প্রচার শুরু হয়েছে সুনেরাহর প্রথম ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। সম্প্রতি শেষ করেছেন আরাফাত মহসিন নিধি পরিচালিত একটি সিরিজের শুটিং। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমা ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’। এতে সুনেরাহর সহশিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিন উপলক্ষে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
এফ মাইনর ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
এফ মাইনর ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আজ ২৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। বড়দিনকে ঘিরে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধে মানুষের জীবনকে আলোকিত করার প্রয়াসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় থাকছে সংগীত, ক্যারল সং ও কীর্তন পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন তেজগাঁও চার্চ কয়‌্যার শিল্পীরা। পরিবেশনায় অংশ নেবেন ক্রিস্টোফার গ‌োমেজ, দিলীপ মন্ডল, বিজয় গোমেজ, রে‌ক্সোনা মন্ডল, জয়া গ‌োমেজ, বিভা গ‌োমেজ, সুভাষ পি‌রিচ প্রমুখ। সংগীত পরিবেশন করবেন জুলিয়েট সুস্মিতা বাড়ৈ। ব্যান্ডসংগীত নিয়ে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড গেৎশিমানী ওরশিপ ও এফ মাইনর। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ একাডেমির নন্দনমঞ্চে চাঁদরাতের আনন্দ অনুষ্ঠান, বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ১০ মে একাডেমির নন্দনমঞ্চসহ ৬টি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ জুন নন্দনমঞ্চে আনন্দ উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ১ অক্টোবর একাডেমির নন্দনমঞ্চে দুই দিনব্যাপী শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেলারেই ঝড় তুলল নোলানের ‘দ্য ওডিসি’

বিনোদন ডেস্ক
ওডিসিয়াস চরিত্রে ম্যাট ডেমন। ছবি: সংগৃহীত
ওডিসিয়াস চরিত্রে ম্যাট ডেমন। ছবি: সংগৃহীত

‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়, তা নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল। অবশেষে দ্য ওডিসির ট্রেলার প্রকাশ করল ইউনিভার্সাল পিকচার্স। প্রায় দুই মিনিটের এ ট্রেলার রীতিমতো ঝড় তুলেছে বিশ্বজুড়ে। এ যেন সত্যিই এক মহাকাব্যিক নির্মাণ!

দ্য ওডিসি তৈরি হয়েছে ওডিসিয়াসের নিজ ভূমিতে ফেরার রোমহর্ষক সংগ্রাম নিয়ে। গ্রিসের এক ছোট দ্বীপ ইথাকার রাজা ছিলেন ওডিসিয়াস। ট্রোজান যুদ্ধ শুরু হলে ওডিসিয়াসকে সেই যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। একটানা ১০ বছর চলে সেই যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে ঝড়ের মুখে পড়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ওডিসিয়াস। পথভ্রষ্ট হয়ে সে সাগরের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের মানুষ, জন্তু-জানোয়ার এবং দেব-দেবীর মুখোমুখি হয়। ভয়ংকর সব বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু নিজের বুদ্ধি, সাহস এবং শক্তি দিয়ে সকল বিপদ পেরিয়ে প্রায় ২০ বছর পর বিজয়ী হিসেবে নিজ দেশে ফেরে ওডিসিয়াস।

দ্য ওডিসির ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায় ট্রয় যুদ্ধের ময়দানে পড়ে থাকা শত শত সমাধির দৃশ্য। বাড়ি ফেরার জন্য সৈন্য বাহিনী নিয়ে রওনা দেয় ওডিসিয়াস। বিপৎসংকুল সমুদ্রযাত্রা, পথে শত্রুদের হানা, কখনো তীব্র ঝড়, ভুল দ্বীপে গিয়ে ওঠা, নতুন নতুন বিপদ—সবকিছুই ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে তুলে এনেছেন ক্রিস্টোফার নোলান!

সিনেমার মুখ্য চরিত্র ওডিসিয়াসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। ট্রেলারের প্রায় পুরোটা জুড়ে তাঁর উপস্থিতি। কয়েক ঝলক দেখা গেল ওডিসিয়াসের ছেলে টেলিমাকাস চরিত্রে টম হল্যান্ড এবং ওডিসিয়াসের স্ত্রী পেনেলোপের চরিত্রে অ্যান হ্যাথাওয়েকে। আরও অভিনয় করেছেন রবার্ট প্যাটিনসন, জেন্ডায়া, শার্লিজ থেরন, মিয়া গোথ, বেনি সাফডি, জন বার্নথাল প্রমুখ। তবে ট্রেলারে তাঁদের দেখা যায়নি।

দ্য ওডিসি সিনেমায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন আইম্যাক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। ২০ লাখ ফুট ফিল্ম খরচ করেছেন গল্পটি তুলে আনতে।

বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৭ জুলাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শত পর্বে ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শত পর্বে ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’

গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।

তেল ছাড়া পরোটা নাটকের গল্পে দেখা যায় একটি পরিবার একসময় তিলের খাজার ব্যবসা করত। এখন তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাদের ব্যবসা সরিষার তেল, নারকেল তেলের। এমনকি জ্বালানি তেল পেট্রলের ব্যবসাও আছে। তাদের কোম্পানির নাম তিলের খাজা অয়েল মিল কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে, রয়েছে আরেক পরিবার, যারা সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তোষামোদ নয়, তারা নিজেদের নীতিতেই বিশ্বাসী। এই দুই পরিবারের মধ্যকার সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও সামাজিক সংঘাত নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।

নির্মাতা বলেন, ‘সমাজে একদল মানুষ আছে, যারা বিশ্বাস করে, উন্নতি করতে হলে সমাজে যারা ক্ষমতাবান, তাদের তেল দিয়ে চলতে হয়। অন্যদিকে আরেক দল মানুষ আছে, যারা কাউকে তোষামোদ করতে পছন্দ করে না। এসব কারণে অনেক প্রতিভাবান হারিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি মানুষ হিসেবে আমাকে যন্ত্রণা দেয়। সেই যন্ত্রণা থেকে গল্পের শুরু। এরপর নানাভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী গল্প এগিয়ে গেছে।’

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, কচি খন্দকার, রোবেনা রেজা জুঁই, সুজাত শিমুল, অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মিলি বাসার প্রমুখ।

গত মাসে নির্মাতা কচি খন্দকার জানিয়েছিলেন, ১০০ পর্ব থেকে ধারাবাহিকের গল্পে আসবে নতুন চমক। সেই চমকের অংশ হিসেবে ধারাবাহিকে যুক্ত হবেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এতে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে তেল কোম্পানির মালিকানা হারিয়ে সংগ্রাম করা এক চরিত্রে। মূলত তেল কোম্পানি থেকে তাঁর অংশ দখল হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত