
ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজটি এখন দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। সেই সূত্র ধরে কথা হলো সিরিজের অন্যতম দুই অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান ও রফিউল কাদের রুবেলের সঙ্গে। বাস্তবজীবনেও তাঁরা দুজন ভালো বন্ধু। তাঁরা বলেছেন অভিনয়ের কথা, অভিনয়ের জন্য নিজেদের চেষ্টা আর আত্মত্যাগের কথা, বলেছেন ব্যক্তিগত জীবনের নানা প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা
‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ এখন জনপ্রিয় একটি সিরিজ। এই জনপ্রিয়তা আপনাদের জীবনে কতটা পরিবর্তন এনেছে?
নাসির উদ্দিন খান: আমার জীবনযাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন মনে হচ্ছে না। আমি বাসাতেই থাকি, খুব একটা বের হই না। ফলে খ্যাতির যে বিড়ম্বনা, সেটা আমার জীবনে প্রভাব ফেলছে না।
রফিউল কাদের রুবেল: আমি একটা নতুন অনুভূতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। আগে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারতাম। এখন কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে।
দুই বন্ধুকে দিয়ে সিরিজ শুরু, আবার দুই বন্ধুকে দিয়েই শেষ—বাস্তবেও তো আপনার ভালো বন্ধু। এই বন্ধুত্বের শুরু কীভাবে?
রুবেল: ২০০০ সালের জানুয়ারিতে আমি যখন তীর্যক নাট্যগোষ্ঠীতে যোগ দিই, তখন নাসির ভাইকে সিনিয়র হিসেবে পাই। একটা পর্যায়ে আমাদের বন্ডিংটা এমন হয় যে সুসময়-দুঃসময়—সব সময়ই তাঁর পরামর্শ পেয়েছি। এই জায়গা থেকে বন্ধুত্বটা শুধু বন্ধুত্বে নয়, ভাই-গার্ডিয়ান—সবকিছুর মধ্যে আটকে গেছে।
নাসির: রুবেল আগে থেকেই থিয়েটার করত। যখন তীর্যকে যোগ দিল, তখন আমরা একটা পরিবারের মতো হয়ে যাই। দিন দিন সম্পর্ক গভীর হয়। সম্পর্কের যে গভীরতা, এটা আমার কাছ থেকে সে যেমন পেয়েছে, তার কাছ থেকেও আমি পেয়েছি।
আপনাদের দুজনকেই কেন বন্ধু হিসেবে সিলেক্ট করা হলো এই সিরিজে? বন্ধুত্বের কারণে? নাকি দুজনেই চট্টগ্রামের ভাষায় দক্ষ বলে?
নাসির: যেহেতু এটা স্পিনঅফ সিরিজ, অ্যালেন স্বপন তো আগে থেকেই ছিল, রুবেল নতুন যুক্ত হয়েছে বদু হিসেবে, অ্যালেন স্বপনের বন্ধু হিসেবে। বদু বলেন, জাদু বলেন, প্রতিটি চরিত্রকে ডিরেক্টর তাঁর টিম নিয়ে দীর্ঘদিন সার্চ করেছেন, তারপর কাস্ট করেছেন। ভাষাগত যে দিকটা বললেন, সেটা একটা বিষয়; তবে ডিরেক্টর যেটা বলেছেন, মূল হলো অ্যাক্টিং। রুবেল ভালো একজন অ্যাক্টর।
আপনার (নাসির উদ্দিন খান) সংলাপে চট্টগ্রামের টান থেকে যায়, যেমন ‘ফ্রাইডে’ সিরিজে আপনি ঢাকার চরিত্র হলেও সেখানে চট্টগ্রামের টান ছিল। আঞ্চলিকতার এই টানটা অভিনয়ে প্রতিবন্ধকতা কি না?
নাসির: যেকোনো অঞ্চলের ভাষা যদি অন্য অঞ্চলের ভাষার মধ্যে এসে যায়, তাহলে কিছুটা সমস্যা তো হয়ই। ফ্রাইডের মধ্যে এমন কিছু অ্যাকসেন্ট এসেছে। এটা আসলে আমাদের ডাবিংয়ের ঘাটতির জন্যই হয়েছে। আঞ্চলিকতা মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে, তাই একজন অভিনেতার অবশ্যই এ বিষয়ে কাজ করা উচিত, অনুশীলন করা উচিত। আমারও কিছু সমস্যা আছে, এ নিয়ে আমি আগেও কাজ করেছি, এখনো করছি।
অভিনেতা হিসেবে অ্যালেন স্বপন সিরিজে কার অভিনয় ভালো লাগল?
নাসির: জাদু চরিত্রের অভিনয়।
রুবেল: অ্যালেন স্বপন চরিত্রের নাসির উদ্দিন খান।
নিজের অভিনয়ের কোন দিকটা আরও ভালো করা যেত? বা কোনো দুর্বলতা চোখে পড়েছে কি না?
রুবেল: আলোচনায় বসে ডিরেক্টর যখন বললেন, বদু চরিত্রের ডিজাইনটা কেমন হবে? আমি বললাম, মানুষটা সারা জীবন মারামারি কাটাকাটি করে ৪০০ কোটি টাকা জমিয়েছে, সেই টাকা তার চলে গেছে, সে তো পুরা পাগল! তার ওপর সেই টাকা থেকে কয়েক কোটি টাকা বিশেষ কাউকে না দিলে লোকটার নাম হিটলিস্টে তুলে দিচ্ছে। তার মানে টাকাটা মাফ করে দিলেও তার মৃত্যুর ভয় আছে। আমি যখন অভিনয় করেছি, পাগলের মতোই করেছি। সেই জায়গা থেকে মনে করি, আমি যে অভিনয়টা করেছি, এর থেকে বাড়তি কিছু দিলে ওভার অ্যাক্টিং হয়ে যেত, আবার কম হলে দর্শক গ্রহণযোগ্যতা হারাত। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বাদ দিলে আমি আমার চরিত্র নির্মাণে মোটামুটি সফল।
নাসির: আমি নিজের প্রতি খুব দুর্বল। এই দুর্বলতার কারণে আমার দুর্বলতাগুলো নিজের চোখে কম ধরা পড়ে। এটা আমার অপারগতা হতে পারে।
শায়লার সঙ্গে অ্যালেন স্বপনের সম্পর্কটা অনেকেই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। এমন একটা বিষয় কি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে?
নাসির: আসলে ইতিবাচক অনেক ঘটনাও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, আবার নেতিবাচক অনেক ঘটনা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন অ্যালেন স্বপন পরনারীর প্রতি আসক্ত, তাহলে ওটা দেখে কেন আমরা পরনারীর প্রতি আসক্তি শিখব? আমি তো এটাও শিখতে পারি যে পরনারীর প্রতি আসক্তি ঠিক না। কিংবা অ্যালেন স্বপন লোকটা এমন খারাপ যে সে তার স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নিজের অনেক আপনজনকেও হারিয়ে ফেলেছে। এটা দেখে কি আমরা এটাও শিখতে পারি না যে লোভ-লালসা বেশি থাকলে আপন মানুষকেও হারাতে হয়। আসলে এটা মানুষের ওপর ডিপেন্ড করবে, কে কীভাবে নিচ্ছে। এখানে আমরা যে সম্পর্কটা দেখছি, এটা গল্পের প্রয়োজনে রাইটার বা ডিরেক্টর এভাবে ডিজাইন করেছেন। এখানে অ্যালেন স্বপনের যে যমজ ভাই আছে, তার মধ্যে কিন্তু আমরা এ ধরনের কিছু পাইনি। সে তো গালিগালাজ পর্যন্ত করে না।
রুবেল: অ্যালেন স্বপন চরিত্রটাই এমন। একটা নেগেটিভ চরিত্র যখন প্লে করবে, তখন কিছু নেগেটিভ বিষয় তো দেখাতেই হবে। নইলে গল্প দাঁড়ায় না।
সম্পর্কের এই গল্পটা কি সচেতনভাবে এড়ানো যেত না? প্রয়োজন ছিল কি?
নাসির: এখানে এড়ানোর কিছু নেই। সব ভালো মানুষকে এক জায়গায় জড়ো করলে খারাপ মানুষ যে আছে, সেটাই তো জানা যাবে না। আমাদের আশপাশের সবাই কি ভালো মানুষ? নেতিবাচক, ইতিবাচক—সব ধরনের মানুষই আছে। যদি শেখার কথাই বলেন, সবকিছু থেকে কি আমরা শিখি? সরকার আমাদের শেখায় গাছ কাটবেন না, গাছ লাগান। আমরা কি গাছ লাগাই? গাছ কাটা বন্ধ করি? লেখা থাকে ভেঁপু বাজাবেন না, ভেঁপু বাজানো কি বন্ধ থাকে?
রুবেল: সম্পর্কটা এড়িয়ে গেলে গল্পটাই এমন হতো না। বদলে যেত।
নাসির ভাই কি আগে থেকে গান করতেন?
নাসির: থিয়েটারে তো শিল্পের সব মাধ্যম নিয়েই চর্চা হয়। সেখানে রিদম শেখানো হয়, স্কেল শেখানো হয়, গান গাওয়া হয়। আর আমরা বাঙালিরা তো সব সময়ই গান গাই। আড্ডার মাঝেও গান গাই।
সিরিজে একটা গান থাকবে, যেটা আপনিই গাইবেন। সিদ্ধান্তটা কীভাবে হয়েছে? গান তো প্রফেশনাল কোনো শিল্পীকে দিয়েও গাওয়ানো যেত?
নাসির: প্রফেশনাল শিল্পীর গাওয়া আরেকটি গান সিরিজে আছে। এই গানটার ভাবনা আগে থেকে ছিল না। পোস্টের কাজে সন্ধি মিউজিক করতে গিয়ে যখন কয়েক জায়গায় ‘তৈ তৈ তৈ’ শব্দগুলো শুনেছিল, তখন তার মাথায় নাকি সারাক্ষণ শব্দগুলো ঘুরছিল। সে ডিরেক্টরকে বলে, এটা নিয়ে একটা গান করা যায় কি না। পরিচালক বললেন, ঠিক আছে, নাসির ভাইকে দিয়ে প্রথম দুইটা লাইন গাওয়াই, বাকিটা অন্য শিল্পীকে দিয়ে। সন্ধি বলল, না, এটা নাসির ভাই-ই করবেন। এভাবেই হয়ে গেল গানটা। গানের কথা লিখেছে সন্ধি ও ম্যাক্স রহমান। মিউজিক করেছে সন্ধি।
এই গল্পের ধারাবাহিকতায় নতুন সিজন নির্মাণ হচ্ছে?
রুবেল: এটা পরিচালক ভালো বলতে পারবেন, আমরা জানি না। তবে দর্শকপ্রিয়তার কারণে হতেও পারে।
সিন্ডিকেটের গল্প আদনান, জিসাদের ঘিরে। এরপর কেবল অ্যালেন স্বপনকে নিয়ে একটা পুরো সিরিজ। এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
নাসির: আমার মনে হয়, সিন্ডিকেটে অ্যালেন স্বপন চরিত্রটা দর্শকপ্রিয় হয়েছে বলেই এই চরিত্রটির উঠে আসার গল্প নিয়ে নতুন সিজনটা হয়েছে।
দুজনকেই নেতিবাচক চরিত্রে বেশি দেখা যাচ্ছে, এটা কেন?
নাসির: আমি কখনোই নেতিবাচক-ইতিবাচক নিয়ে ভাবি না। যদি দেখি চরিত্রটা নিয়ে কাজ করার জায়গা আছে, আমি চরিত্রটা করি। পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করি, নিজে নিজে ভাবি, চর্চা করি।
রুবেল ভাইয়ের চেহারা তো নায়কের মতো। কিন্তু ‘গুটি’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এমন ইনোসেন্ট একটা মানুষ কীভাবে হঠাৎ এতটা হিংস্র হয়ে ওঠে?
রুবেল: আমি ইতিবাচক চরিত্রও করেছি। আমাকে তো একসময় জাতীয় পুলিশ বানিয়ে ফেলছিল। আমার আরও অনেক চরিত্রের অভিজ্ঞতা আছে, সামনে হয়তো দেখবেন। তবে আমার মনে হয়, নেতিবাচক চরিত্রগুলো অনেক কঠিন। নাসির ভাই কী অবলীলায় সেটা করে যান! আমি ভাগ্যবান, সেটা কিছুটা হলেও করতে পারছি।
শুনেছি অভিনয় ও থিয়েটারের জন্য দুজনই চাকরি ছেড়েছেন?
নাসির: কেবল অভিনয়ের জন্য নয়, আমি যে চাকরিটা করতাম, সেখানে ভালো করতে পারছিলাম না। তাই ভিন্ন একটা জায়গা ট্রাই করতে চেয়েছিলাম।
রুবেল: আমি মার্চেন্ডাইজিং করতাম। ক্রমেই যখন ওপরে দিকে উঠছিলাম, কাজের প্রেশার বাড়ছিল, থিয়েটারেও সময় দিতে পারছিলাম না। কেমন অস্থির লাগতে শুরু করল। একজন এসে বলল, ভাই, ছোট একটা ক্যারেক্টার করে যান। কাজটা করলাম। এই ছোট্ট কাজটা আমাকে নতুন করে ভাবাতে শুরু করল। নাসির ভাইসহ অনেকেই বললেন, তোমার ট্র্যাক চেঞ্জ করা দরকার। আমি একটা বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেললাম। চাকরি ছেড়ে পুরোদস্তুর অভিনয়ে মন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
থিয়েটারে সময় দিতে পারছেন?
রুবেল: আমরা যারা থিয়েটার করি, তাদের পক্ষে থিয়েটার ছেড়ে থাকাটা কষ্টের। নাসির ভাই তো এখনো নিয়ম করে চট্টগ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সময় দেন। এখনো যখন দেখি রুমের বাইরে সব জুতো পরিপাটি হয়ে আছে, কেউ জোরে কথা বলছে না, সবাই রিহার্সালে মনোযোগী, বুঝতে হবে নাসির ভাই এসেছেন। আমি অতটা পারি না।
নাসির: এখন তো ভিজুয়্যালে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই নিয়মিত চট্টগ্রামে গিয়ে সময় দেওয়া একটু কঠিন। তবু চেষ্টা করি।
আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
রুবেল: অভিনয়ের জন্য চাকরি ছেড়েছি, শহর ছেড়েছি, আমার বিকল্প কোনো পথ নেই। অভিনয়টাই করে যেতে চাই শেষ পর্যন্ত। তবে বারোয়ারি হতে চাই না। বেছে বেছে কাজ করতে চাই, অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই।
নাসির: অভিনয় করে যাব। কতটা কী পারব, সেটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। তবে চাকরি যে আর করব না, এটা নিশ্চিত।
নতুন কাজের কথা বলুন।
রুবেল: একটা ওয়েব সিরিজ আর সিনেমা করছি। কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে।
নাসির: নতুন কোনো কাজ এখনো করিনি। কয়েকটা কাজ নিয়ে প্রাথমিক কথা চলছে। শিগগিরই হয়তো চয়নিকা চৌধুরীর ‘প্রহেলিকা’ সিনেমাটি মুক্তি পেতে পারে।
অনেকেই টিভি নাটকে সময় কমিয়ে দিচ্ছেন। আপনারাও দেখছি ওয়েব কনটেন্টেই কাজ করছেন বেশি। এটা কি বাজেট বা সম্মানীর তারতম্যের কারণে হচ্ছে?
রুবেল: আমরা যারা থিয়েটার করি, অভিনয় করে টাকা উপার্জন করব—এমনটা কল্পনাও করিনি। অবশ্যই অর্থ বিষয়টা এখন গুরুত্বপূর্ণ, তবে মুখ্য না। ব্যাটে বলে মিললে অবশ্যই অভিনয় করব।
নাসির: দেখুন বাজেট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু অতীব গুরুত্বপূর্ণ না। বাজেট কম হলে সেভাবেই প্রোডাকশন ডিজাইন হবে। কোনো মাধ্যমেই অভিনয় করতে আমার আপত্তি নেই। তবে আমাকে সময় দিতে হবে, চরিত্রটিকে বুঝতে দিতে হবে। হুট করে বললেই তো আর কাজ করা যায় না।

ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজটি এখন দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। সেই সূত্র ধরে কথা হলো সিরিজের অন্যতম দুই অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান ও রফিউল কাদের রুবেলের সঙ্গে। বাস্তবজীবনেও তাঁরা দুজন ভালো বন্ধু। তাঁরা বলেছেন অভিনয়ের কথা, অভিনয়ের জন্য নিজেদের চেষ্টা আর আত্মত্যাগের কথা, বলেছেন ব্যক্তিগত জীবনের নানা প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা
‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ এখন জনপ্রিয় একটি সিরিজ। এই জনপ্রিয়তা আপনাদের জীবনে কতটা পরিবর্তন এনেছে?
নাসির উদ্দিন খান: আমার জীবনযাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন মনে হচ্ছে না। আমি বাসাতেই থাকি, খুব একটা বের হই না। ফলে খ্যাতির যে বিড়ম্বনা, সেটা আমার জীবনে প্রভাব ফেলছে না।
রফিউল কাদের রুবেল: আমি একটা নতুন অনুভূতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। আগে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারতাম। এখন কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে।
দুই বন্ধুকে দিয়ে সিরিজ শুরু, আবার দুই বন্ধুকে দিয়েই শেষ—বাস্তবেও তো আপনার ভালো বন্ধু। এই বন্ধুত্বের শুরু কীভাবে?
রুবেল: ২০০০ সালের জানুয়ারিতে আমি যখন তীর্যক নাট্যগোষ্ঠীতে যোগ দিই, তখন নাসির ভাইকে সিনিয়র হিসেবে পাই। একটা পর্যায়ে আমাদের বন্ডিংটা এমন হয় যে সুসময়-দুঃসময়—সব সময়ই তাঁর পরামর্শ পেয়েছি। এই জায়গা থেকে বন্ধুত্বটা শুধু বন্ধুত্বে নয়, ভাই-গার্ডিয়ান—সবকিছুর মধ্যে আটকে গেছে।
নাসির: রুবেল আগে থেকেই থিয়েটার করত। যখন তীর্যকে যোগ দিল, তখন আমরা একটা পরিবারের মতো হয়ে যাই। দিন দিন সম্পর্ক গভীর হয়। সম্পর্কের যে গভীরতা, এটা আমার কাছ থেকে সে যেমন পেয়েছে, তার কাছ থেকেও আমি পেয়েছি।
আপনাদের দুজনকেই কেন বন্ধু হিসেবে সিলেক্ট করা হলো এই সিরিজে? বন্ধুত্বের কারণে? নাকি দুজনেই চট্টগ্রামের ভাষায় দক্ষ বলে?
নাসির: যেহেতু এটা স্পিনঅফ সিরিজ, অ্যালেন স্বপন তো আগে থেকেই ছিল, রুবেল নতুন যুক্ত হয়েছে বদু হিসেবে, অ্যালেন স্বপনের বন্ধু হিসেবে। বদু বলেন, জাদু বলেন, প্রতিটি চরিত্রকে ডিরেক্টর তাঁর টিম নিয়ে দীর্ঘদিন সার্চ করেছেন, তারপর কাস্ট করেছেন। ভাষাগত যে দিকটা বললেন, সেটা একটা বিষয়; তবে ডিরেক্টর যেটা বলেছেন, মূল হলো অ্যাক্টিং। রুবেল ভালো একজন অ্যাক্টর।
আপনার (নাসির উদ্দিন খান) সংলাপে চট্টগ্রামের টান থেকে যায়, যেমন ‘ফ্রাইডে’ সিরিজে আপনি ঢাকার চরিত্র হলেও সেখানে চট্টগ্রামের টান ছিল। আঞ্চলিকতার এই টানটা অভিনয়ে প্রতিবন্ধকতা কি না?
নাসির: যেকোনো অঞ্চলের ভাষা যদি অন্য অঞ্চলের ভাষার মধ্যে এসে যায়, তাহলে কিছুটা সমস্যা তো হয়ই। ফ্রাইডের মধ্যে এমন কিছু অ্যাকসেন্ট এসেছে। এটা আসলে আমাদের ডাবিংয়ের ঘাটতির জন্যই হয়েছে। আঞ্চলিকতা মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে, তাই একজন অভিনেতার অবশ্যই এ বিষয়ে কাজ করা উচিত, অনুশীলন করা উচিত। আমারও কিছু সমস্যা আছে, এ নিয়ে আমি আগেও কাজ করেছি, এখনো করছি।
অভিনেতা হিসেবে অ্যালেন স্বপন সিরিজে কার অভিনয় ভালো লাগল?
নাসির: জাদু চরিত্রের অভিনয়।
রুবেল: অ্যালেন স্বপন চরিত্রের নাসির উদ্দিন খান।
নিজের অভিনয়ের কোন দিকটা আরও ভালো করা যেত? বা কোনো দুর্বলতা চোখে পড়েছে কি না?
রুবেল: আলোচনায় বসে ডিরেক্টর যখন বললেন, বদু চরিত্রের ডিজাইনটা কেমন হবে? আমি বললাম, মানুষটা সারা জীবন মারামারি কাটাকাটি করে ৪০০ কোটি টাকা জমিয়েছে, সেই টাকা তার চলে গেছে, সে তো পুরা পাগল! তার ওপর সেই টাকা থেকে কয়েক কোটি টাকা বিশেষ কাউকে না দিলে লোকটার নাম হিটলিস্টে তুলে দিচ্ছে। তার মানে টাকাটা মাফ করে দিলেও তার মৃত্যুর ভয় আছে। আমি যখন অভিনয় করেছি, পাগলের মতোই করেছি। সেই জায়গা থেকে মনে করি, আমি যে অভিনয়টা করেছি, এর থেকে বাড়তি কিছু দিলে ওভার অ্যাক্টিং হয়ে যেত, আবার কম হলে দর্শক গ্রহণযোগ্যতা হারাত। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বাদ দিলে আমি আমার চরিত্র নির্মাণে মোটামুটি সফল।
নাসির: আমি নিজের প্রতি খুব দুর্বল। এই দুর্বলতার কারণে আমার দুর্বলতাগুলো নিজের চোখে কম ধরা পড়ে। এটা আমার অপারগতা হতে পারে।
শায়লার সঙ্গে অ্যালেন স্বপনের সম্পর্কটা অনেকেই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। এমন একটা বিষয় কি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে?
নাসির: আসলে ইতিবাচক অনেক ঘটনাও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, আবার নেতিবাচক অনেক ঘটনা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন অ্যালেন স্বপন পরনারীর প্রতি আসক্ত, তাহলে ওটা দেখে কেন আমরা পরনারীর প্রতি আসক্তি শিখব? আমি তো এটাও শিখতে পারি যে পরনারীর প্রতি আসক্তি ঠিক না। কিংবা অ্যালেন স্বপন লোকটা এমন খারাপ যে সে তার স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নিজের অনেক আপনজনকেও হারিয়ে ফেলেছে। এটা দেখে কি আমরা এটাও শিখতে পারি না যে লোভ-লালসা বেশি থাকলে আপন মানুষকেও হারাতে হয়। আসলে এটা মানুষের ওপর ডিপেন্ড করবে, কে কীভাবে নিচ্ছে। এখানে আমরা যে সম্পর্কটা দেখছি, এটা গল্পের প্রয়োজনে রাইটার বা ডিরেক্টর এভাবে ডিজাইন করেছেন। এখানে অ্যালেন স্বপনের যে যমজ ভাই আছে, তার মধ্যে কিন্তু আমরা এ ধরনের কিছু পাইনি। সে তো গালিগালাজ পর্যন্ত করে না।
রুবেল: অ্যালেন স্বপন চরিত্রটাই এমন। একটা নেগেটিভ চরিত্র যখন প্লে করবে, তখন কিছু নেগেটিভ বিষয় তো দেখাতেই হবে। নইলে গল্প দাঁড়ায় না।
সম্পর্কের এই গল্পটা কি সচেতনভাবে এড়ানো যেত না? প্রয়োজন ছিল কি?
নাসির: এখানে এড়ানোর কিছু নেই। সব ভালো মানুষকে এক জায়গায় জড়ো করলে খারাপ মানুষ যে আছে, সেটাই তো জানা যাবে না। আমাদের আশপাশের সবাই কি ভালো মানুষ? নেতিবাচক, ইতিবাচক—সব ধরনের মানুষই আছে। যদি শেখার কথাই বলেন, সবকিছু থেকে কি আমরা শিখি? সরকার আমাদের শেখায় গাছ কাটবেন না, গাছ লাগান। আমরা কি গাছ লাগাই? গাছ কাটা বন্ধ করি? লেখা থাকে ভেঁপু বাজাবেন না, ভেঁপু বাজানো কি বন্ধ থাকে?
রুবেল: সম্পর্কটা এড়িয়ে গেলে গল্পটাই এমন হতো না। বদলে যেত।
নাসির ভাই কি আগে থেকে গান করতেন?
নাসির: থিয়েটারে তো শিল্পের সব মাধ্যম নিয়েই চর্চা হয়। সেখানে রিদম শেখানো হয়, স্কেল শেখানো হয়, গান গাওয়া হয়। আর আমরা বাঙালিরা তো সব সময়ই গান গাই। আড্ডার মাঝেও গান গাই।
সিরিজে একটা গান থাকবে, যেটা আপনিই গাইবেন। সিদ্ধান্তটা কীভাবে হয়েছে? গান তো প্রফেশনাল কোনো শিল্পীকে দিয়েও গাওয়ানো যেত?
নাসির: প্রফেশনাল শিল্পীর গাওয়া আরেকটি গান সিরিজে আছে। এই গানটার ভাবনা আগে থেকে ছিল না। পোস্টের কাজে সন্ধি মিউজিক করতে গিয়ে যখন কয়েক জায়গায় ‘তৈ তৈ তৈ’ শব্দগুলো শুনেছিল, তখন তার মাথায় নাকি সারাক্ষণ শব্দগুলো ঘুরছিল। সে ডিরেক্টরকে বলে, এটা নিয়ে একটা গান করা যায় কি না। পরিচালক বললেন, ঠিক আছে, নাসির ভাইকে দিয়ে প্রথম দুইটা লাইন গাওয়াই, বাকিটা অন্য শিল্পীকে দিয়ে। সন্ধি বলল, না, এটা নাসির ভাই-ই করবেন। এভাবেই হয়ে গেল গানটা। গানের কথা লিখেছে সন্ধি ও ম্যাক্স রহমান। মিউজিক করেছে সন্ধি।
এই গল্পের ধারাবাহিকতায় নতুন সিজন নির্মাণ হচ্ছে?
রুবেল: এটা পরিচালক ভালো বলতে পারবেন, আমরা জানি না। তবে দর্শকপ্রিয়তার কারণে হতেও পারে।
সিন্ডিকেটের গল্প আদনান, জিসাদের ঘিরে। এরপর কেবল অ্যালেন স্বপনকে নিয়ে একটা পুরো সিরিজ। এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
নাসির: আমার মনে হয়, সিন্ডিকেটে অ্যালেন স্বপন চরিত্রটা দর্শকপ্রিয় হয়েছে বলেই এই চরিত্রটির উঠে আসার গল্প নিয়ে নতুন সিজনটা হয়েছে।
দুজনকেই নেতিবাচক চরিত্রে বেশি দেখা যাচ্ছে, এটা কেন?
নাসির: আমি কখনোই নেতিবাচক-ইতিবাচক নিয়ে ভাবি না। যদি দেখি চরিত্রটা নিয়ে কাজ করার জায়গা আছে, আমি চরিত্রটা করি। পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করি, নিজে নিজে ভাবি, চর্চা করি।
রুবেল ভাইয়ের চেহারা তো নায়কের মতো। কিন্তু ‘গুটি’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এমন ইনোসেন্ট একটা মানুষ কীভাবে হঠাৎ এতটা হিংস্র হয়ে ওঠে?
রুবেল: আমি ইতিবাচক চরিত্রও করেছি। আমাকে তো একসময় জাতীয় পুলিশ বানিয়ে ফেলছিল। আমার আরও অনেক চরিত্রের অভিজ্ঞতা আছে, সামনে হয়তো দেখবেন। তবে আমার মনে হয়, নেতিবাচক চরিত্রগুলো অনেক কঠিন। নাসির ভাই কী অবলীলায় সেটা করে যান! আমি ভাগ্যবান, সেটা কিছুটা হলেও করতে পারছি।
শুনেছি অভিনয় ও থিয়েটারের জন্য দুজনই চাকরি ছেড়েছেন?
নাসির: কেবল অভিনয়ের জন্য নয়, আমি যে চাকরিটা করতাম, সেখানে ভালো করতে পারছিলাম না। তাই ভিন্ন একটা জায়গা ট্রাই করতে চেয়েছিলাম।
রুবেল: আমি মার্চেন্ডাইজিং করতাম। ক্রমেই যখন ওপরে দিকে উঠছিলাম, কাজের প্রেশার বাড়ছিল, থিয়েটারেও সময় দিতে পারছিলাম না। কেমন অস্থির লাগতে শুরু করল। একজন এসে বলল, ভাই, ছোট একটা ক্যারেক্টার করে যান। কাজটা করলাম। এই ছোট্ট কাজটা আমাকে নতুন করে ভাবাতে শুরু করল। নাসির ভাইসহ অনেকেই বললেন, তোমার ট্র্যাক চেঞ্জ করা দরকার। আমি একটা বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেললাম। চাকরি ছেড়ে পুরোদস্তুর অভিনয়ে মন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
থিয়েটারে সময় দিতে পারছেন?
রুবেল: আমরা যারা থিয়েটার করি, তাদের পক্ষে থিয়েটার ছেড়ে থাকাটা কষ্টের। নাসির ভাই তো এখনো নিয়ম করে চট্টগ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সময় দেন। এখনো যখন দেখি রুমের বাইরে সব জুতো পরিপাটি হয়ে আছে, কেউ জোরে কথা বলছে না, সবাই রিহার্সালে মনোযোগী, বুঝতে হবে নাসির ভাই এসেছেন। আমি অতটা পারি না।
নাসির: এখন তো ভিজুয়্যালে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই নিয়মিত চট্টগ্রামে গিয়ে সময় দেওয়া একটু কঠিন। তবু চেষ্টা করি।
আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
রুবেল: অভিনয়ের জন্য চাকরি ছেড়েছি, শহর ছেড়েছি, আমার বিকল্প কোনো পথ নেই। অভিনয়টাই করে যেতে চাই শেষ পর্যন্ত। তবে বারোয়ারি হতে চাই না। বেছে বেছে কাজ করতে চাই, অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই।
নাসির: অভিনয় করে যাব। কতটা কী পারব, সেটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। তবে চাকরি যে আর করব না, এটা নিশ্চিত।
নতুন কাজের কথা বলুন।
রুবেল: একটা ওয়েব সিরিজ আর সিনেমা করছি। কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে।
নাসির: নতুন কোনো কাজ এখনো করিনি। কয়েকটা কাজ নিয়ে প্রাথমিক কথা চলছে। শিগগিরই হয়তো চয়নিকা চৌধুরীর ‘প্রহেলিকা’ সিনেমাটি মুক্তি পেতে পারে।
অনেকেই টিভি নাটকে সময় কমিয়ে দিচ্ছেন। আপনারাও দেখছি ওয়েব কনটেন্টেই কাজ করছেন বেশি। এটা কি বাজেট বা সম্মানীর তারতম্যের কারণে হচ্ছে?
রুবেল: আমরা যারা থিয়েটার করি, অভিনয় করে টাকা উপার্জন করব—এমনটা কল্পনাও করিনি। অবশ্যই অর্থ বিষয়টা এখন গুরুত্বপূর্ণ, তবে মুখ্য না। ব্যাটে বলে মিললে অবশ্যই অভিনয় করব।
নাসির: দেখুন বাজেট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু অতীব গুরুত্বপূর্ণ না। বাজেট কম হলে সেভাবেই প্রোডাকশন ডিজাইন হবে। কোনো মাধ্যমেই অভিনয় করতে আমার আপত্তি নেই। তবে আমাকে সময় দিতে হবে, চরিত্রটিকে বুঝতে দিতে হবে। হুট করে বললেই তো আর কাজ করা যায় না।

‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৫ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৭ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৭ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজটি এখন দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। সেই সূত্র ধরে কথা হলো সিরিজের অন্যতম দুই অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান ও রফিউল কাদের রুবেলের সঙ্গে। বাস্তবজীবনেও তাঁরা দুজন ভালো বন্ধু। তাঁরা বলেছেন অভিনয়ের কথা, অভিনয়ের জন্য নিজেদের চেষ্টা আর আত্মত্যাগের কথা, বলেছেন ব্যক্তিগত জীব
০৮ মে ২০২৩
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৭ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৭ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজটি এখন দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। সেই সূত্র ধরে কথা হলো সিরিজের অন্যতম দুই অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান ও রফিউল কাদের রুবেলের সঙ্গে। বাস্তবজীবনেও তাঁরা দুজন ভালো বন্ধু। তাঁরা বলেছেন অভিনয়ের কথা, অভিনয়ের জন্য নিজেদের চেষ্টা আর আত্মত্যাগের কথা, বলেছেন ব্যক্তিগত জীব
০৮ মে ২০২৩
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৫ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৭ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজটি এখন দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। সেই সূত্র ধরে কথা হলো সিরিজের অন্যতম দুই অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান ও রফিউল কাদের রুবেলের সঙ্গে। বাস্তবজীবনেও তাঁরা দুজন ভালো বন্ধু। তাঁরা বলেছেন অভিনয়ের কথা, অভিনয়ের জন্য নিজেদের চেষ্টা আর আত্মত্যাগের কথা, বলেছেন ব্যক্তিগত জীব
০৮ মে ২০২৩
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৫ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৭ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজটি এখন দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। সেই সূত্র ধরে কথা হলো সিরিজের অন্যতম দুই অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান ও রফিউল কাদের রুবেলের সঙ্গে। বাস্তবজীবনেও তাঁরা দুজন ভালো বন্ধু। তাঁরা বলেছেন অভিনয়ের কথা, অভিনয়ের জন্য নিজেদের চেষ্টা আর আত্মত্যাগের কথা, বলেছেন ব্যক্তিগত জীব
০৮ মে ২০২৩
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৫ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৭ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৭ ঘণ্টা আগে