বিদ্যুৎ সরকার

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা। হাতে গোনা কয়েকজনের ক্ষেত্রে ‘স্মরণ’ নামের আয়োজন কিছু আশা জাগায় বটে। কিন্তু বাদ থেকে যান এমন অনেকে, যাঁদের প্রতিভা ও প্রচেষ্টার স্বাক্ষর আজও বহন করে চলেছে বাঙালি জাতি। তেমনই এক প্রতিভার নাম কমল দাশগুপ্ত। বিস্মৃতপ্রায়। কিন্তু অদম্য সৃজনক্ষমতায় তিনি মিশে থাকেন আমাদের সুর সত্তায়, সংগীতায়োজনে—সর্বোপরি গানে-গানে। তাই ভুলতে ভুলতে আবার তাঁকে ঠিকই আমাদের মনে করতে হয়। খুঁজে নিতে হয় কমল দাশগুপ্তের ঠিকুজি; তাঁর জীবনের নানান উত্থান-পতন।
১৯১২ সালের ২৮ জুলাই জন্ম হয় কমল দাশগুপ্তের। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বেন্দা গ্রামে। তাঁর মায়ের নাম প্রমোদিনী দাশগুপ্ত। শৈশব থেকেই কমল দাশগুপ্ত পেয়েছিলেন সংগীতময় পরিবেশ। বাবা তারাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত ধ্রুপদে ছিলেন বিশেষ পারদর্শী। কাকা কিরণ দাশগুপ্তের তবলাবাদক হিসেবে ছিল বেশ সুনাম। ছোট ভাই সুবল দাশগুপ্তও ছিলেন সুরস্রষ্টা, গায়ক। আর বড়দা বিমল দাশগুপ্ত, যিনি ১৯২২ সাল থেকে ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খাঁর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য লাভ করেন এবং সংগীত শিক্ষক হিসেবে গ্রামোফোন কোম্পানি লিমিটেডে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর কাছেই কমল দাশগুপ্তের সংগীতশিক্ষার হাতেখড়ি। বিমল দাশগুপ্ত তাঁকে মাঝে মাঝে কোম্পানির মহড়া কক্ষে নিয়ে যেতেন রেকর্ডের গানে কীভাবে সুর দেওয়া হয়, সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। এই নিয়ে যাওয়ার আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল। সে সময় জাদুকর হিসেবে বিমল দাশগুপ্তের ছিল বেশ নামডাক। বাবার মৃত্যুর পর পুরো সংসারের দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। তাই অর্থের প্রয়োজনে অনেক সময় রেকর্ডিং থাকলেও জাদু দেখানোর জন্য তাঁকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হতো। বড়দার এই অনুপস্থিতিতে গানে সুর দিতেন কমল দাশগুপ্ত। এমনকি শিল্পীদের সেই গান তুলিয়েও দিতেন তিনি। এভাবেই তাঁর সুরসৃষ্টির জগতে প্রবেশ।
কমল দাশগুপ্তের সুরে প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৩২ সালের এপ্রিল মাসে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ‘মাস্টার কমল’ নামে তাঁর নিজের লেখা ও সুরে গাওয়া রেকর্ড বের হয়। কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে’, ‘তুমি হাতখানি যবে রাখো মোর’, ‘গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙে যায়’ গানগুলো তাঁর সুর করা ও গাওয়া। অর্থাৎ, চাইলে তিনি গীতিকার কিংবা কণ্ঠশিল্পীও হতে পারতেন। কিন্তু তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সুর সৃজনেই তাঁর সাবলীলতা। সুরের মাধ্যমেই তিনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ করতে সক্ষম। ফলে কমল দাশগুপ্তের সুর করা অসংখ্য গান এখনো সংগীতানুরাগী বাঙালি গুনগুন করে গায়। তাঁর কালজয়ী গানগুলোর মধ্য রয়েছে ‘এমনই বরষা ছিল সেদিন’, ‘সাঁঝের তারকা আমি পথ হারায়ে’, ‘মেনেছি গো হার মেনেছি’, ‘তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন’, ‘ভুলি নাই ভুলি নাই’, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে’, ‘আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়’, ‘জেগে আছি একা জেগে আছি কারাগারে’, ‘পৃথিবী আমারে চায়’, ‘দুটি পাখি দুটি তীরে’, ‘ঘুমের ছায়া চাঁদের চোখে’, ‘এই কি গো শেষ দান’, ‘সেদিন নিশীথে বরিষন শেষে’।
কমল দাশগুপ্ত সেই বিরলপ্রজ শিল্পীদের একজন, যাঁদের নিজের প্রতিভা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস থাকে তুঙ্গে। তাঁর সুর কালোত্তীর্ণ বলেই ‘কত দিন দেখিনি তোমায়’ গানটি ১৯৮৪ সালে এসে মান্না দে পুনরায় রেকর্ড করেন, যা শ্রোতারা এখনো তন্ময় হয়ে শোনে। বলা জরুরি, প্রণব রায়ের লেখা গানটির মূল শিল্পী কিন্তু কমল দাশগুপ্ত নিজেই। কিংবা বলা যায় কুমার শানুর গাওয়া ‘এই কি গো শেষ দান’ গানের কথা। তাঁর সুর করা এ রকম অসংখ্য গান এখনো শিল্পীরা নতুনভাবে রেকর্ড করে চলেছেন। সুরের সজীবতা না থাকলে এত বছর পরও সেসব গান আবার রেকর্ড করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হতো না।
কমল দাশগুপ্তের সুর দক্ষতার প্রতি কাজী নজরুল ইসলামের ছিল অগাধ বিশ্বাস। তাই আধুনিক গানের এই অসামান্য গীতিকার নিজের লেখা গানের খাতা অবলীলায় তাঁর কাছে দিয়ে দিতেন সুর করার জন্য। কমল দাশগুপ্তও সে বিশ্বাসের প্রতিদান দিতেন শ্রুতিমধুর, অবিস্মরণীয় সব সুর সৃষ্টির মাধ্যমে। আর সে কারণেই নজরুল ইসলাম বাদে সবচেয়ে বেশি নজরুল সংগীতের সুরকার কমল দাশগুপ্ত। ‘আমার ভুবন কান পেতে রয়’, ‘আমি যার নূপুরের ছন্দ’, ‘ওরে নীল যমুনার জল’, ‘মোর না মিটিতে আশা’, ‘যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায়’, ‘সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়’, ‘আসিল রে প্রিয় আসিল রে’, ‘মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে’ ইত্যাদি অসংখ্য অবিস্মরণীয় নজরুলগীতির সুরস্রষ্টা তিনি। তবে শুধু নজরুলগীতি কিংবা বেসিক গান নয়, অসংখ্য সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার। এর মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণ করা যায় ‘গরমিল’, ‘দম্পতি’, ‘শেষ উত্তর’, ‘যোগাযোগ’ ইত্যাদি চলচ্চিত্রের কথা। ‘শেষ উত্তর’ সিনেমায় নায়িকা-গায়িকা কানন দেবীর গাওয়া ‘আমি বনফুল গো’, ‘লাগুক দোলা’, ‘যদি আপনার মনের মাধুরী মিশায়ে’ ইত্যাদি গানের সুর এখনো শ্রোতাদের হৃদয়স্পর্শী।
ধারণা করা হয়, প্রায় সাত হাজার গানে কমল দাশগুপ্ত সুরারোপ করেছেন। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে যূথিকা রায়, জগন্ময় মিত্র, সত্য চৌধুরী, রবীন মজুমদার, কানন দেবী, ফিরোজা বেগম, তালাত মাহমুদ, সন্তোষ সেনগুপ্ত, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা তাঁর সুরারোপিত গানে কণ্ঠ দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন। গানের কথার মর্ম অনুধাবন করে সুর সৃজনের অসামান্য ক্ষমতা ছিল কমল দাশগুপ্তের। তা ছাড়া কোন সুর কোন শিল্পীর কণ্ঠে বেশি মানাবে, সে সম্পর্কে তাঁর ছিল খুব স্বচ্ছ ধারণা। কথা ও সুর অনুযায়ী ইন্টারল্যুড-প্রিলিউড সৃজনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। ফলে একটানা কাজ করে গেলেও তাঁর সুর সৃষ্টিতে কোনো ক্লিষ্টতার ছাপ পড়েনি।
এমনই যার সৃজনক্ষমতা, তাঁর জীবনের শেষাংশের দিনগুলো মোটেও সুখকর ছিল না। চল্লিশের দশকের টালমাটাল বৈশ্বিক ও দৈশিক পরিস্থিতির কারণে কমল দাশগুপ্তের জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। যে ব্যাংকে তিনি সারা জীবনের আয় গচ্ছিত রেখেছিলেন, সেই নাথ ব্যাংক (সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’ বইয়ে বলছেন পাইওনিয়ার ব্যাংক) দেউলিয়া হয়ে যায়। কয়েক বছরের মধ্যে মা ও ছোট ভাই সুবল দাশগুপ্তকেও হারান তিনি। একদিকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে চরম অর্থকষ্ট—সব মিলিয়ে কমল দাশগুপ্ত মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এ রকম চরম দুর্দিনে এইচএমভিও তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
দুর্ভাগ্যপীড়িত, আশাহত, নিঃসম্বল কমল দাশগুপ্ত এ সময় জীবনসঙ্গী হিসেবে পান ফিরোজা বেগমকে। ১৯৫৫ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর চার বছর পর ধর্মান্তরিত হলে তাঁর নাম হয় কাজী কামালউদ্দিন। চরম আর্থিক দৈন্য ও প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হন কমল দাশগুপ্ত। কিন্তু তাতেও তাঁর দুঃখ-বেদনা এতটুকু কমেনি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংগীতজগতে কোথাও তাঁকে এতটুকু স্থান দেওয়া হয়নি। কলকাতা-ঢাকা দুই জায়গাতেই তিনি শেষ জীবনে চরম উপেক্ষা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। অর্থকষ্ট থেকে মুক্তির জন্য শেষ জীবনে মুদি দোকানও দিয়েছিলেন তিনি। ভাবতে অবাক লাগে, যে কমল দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে আয়কর হিসেবে দিয়েছিলেন ৩৭ হাজার টাকা, চড়তেন দামি গাড়ি; শেষ জীবনে হাসপাতালে একটা বেডও জোটেনি তাঁর কপালে। চরম অবহেলায় ১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই মারা যান তিনি।
শেষ করছি পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা দিয়ে, ‘কাজী নজরুল ইসলামের পর যদি বাংলা গানের বাণিজ্যিক খতিয়ান নেওয়া হয়, তাহলে সর্বাগ্রে আসা উচিত কমল দাশগুপ্তর নাম। সে যুগে হিট আধুনিক গানের সুরকার বললেই বোঝাত কমল দাশগুপ্ত।’ বাংলা গানে এমনই যার অবদান, তাঁর প্রাপ্য সম্মান কি আমরা আজও দিতে পেরেছি?

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা। হাতে গোনা কয়েকজনের ক্ষেত্রে ‘স্মরণ’ নামের আয়োজন কিছু আশা জাগায় বটে। কিন্তু বাদ থেকে যান এমন অনেকে, যাঁদের প্রতিভা ও প্রচেষ্টার স্বাক্ষর আজও বহন করে চলেছে বাঙালি জাতি। তেমনই এক প্রতিভার নাম কমল দাশগুপ্ত। বিস্মৃতপ্রায়। কিন্তু অদম্য সৃজনক্ষমতায় তিনি মিশে থাকেন আমাদের সুর সত্তায়, সংগীতায়োজনে—সর্বোপরি গানে-গানে। তাই ভুলতে ভুলতে আবার তাঁকে ঠিকই আমাদের মনে করতে হয়। খুঁজে নিতে হয় কমল দাশগুপ্তের ঠিকুজি; তাঁর জীবনের নানান উত্থান-পতন।
১৯১২ সালের ২৮ জুলাই জন্ম হয় কমল দাশগুপ্তের। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বেন্দা গ্রামে। তাঁর মায়ের নাম প্রমোদিনী দাশগুপ্ত। শৈশব থেকেই কমল দাশগুপ্ত পেয়েছিলেন সংগীতময় পরিবেশ। বাবা তারাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত ধ্রুপদে ছিলেন বিশেষ পারদর্শী। কাকা কিরণ দাশগুপ্তের তবলাবাদক হিসেবে ছিল বেশ সুনাম। ছোট ভাই সুবল দাশগুপ্তও ছিলেন সুরস্রষ্টা, গায়ক। আর বড়দা বিমল দাশগুপ্ত, যিনি ১৯২২ সাল থেকে ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খাঁর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য লাভ করেন এবং সংগীত শিক্ষক হিসেবে গ্রামোফোন কোম্পানি লিমিটেডে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর কাছেই কমল দাশগুপ্তের সংগীতশিক্ষার হাতেখড়ি। বিমল দাশগুপ্ত তাঁকে মাঝে মাঝে কোম্পানির মহড়া কক্ষে নিয়ে যেতেন রেকর্ডের গানে কীভাবে সুর দেওয়া হয়, সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। এই নিয়ে যাওয়ার আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল। সে সময় জাদুকর হিসেবে বিমল দাশগুপ্তের ছিল বেশ নামডাক। বাবার মৃত্যুর পর পুরো সংসারের দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। তাই অর্থের প্রয়োজনে অনেক সময় রেকর্ডিং থাকলেও জাদু দেখানোর জন্য তাঁকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হতো। বড়দার এই অনুপস্থিতিতে গানে সুর দিতেন কমল দাশগুপ্ত। এমনকি শিল্পীদের সেই গান তুলিয়েও দিতেন তিনি। এভাবেই তাঁর সুরসৃষ্টির জগতে প্রবেশ।
কমল দাশগুপ্তের সুরে প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৩২ সালের এপ্রিল মাসে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ‘মাস্টার কমল’ নামে তাঁর নিজের লেখা ও সুরে গাওয়া রেকর্ড বের হয়। কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে’, ‘তুমি হাতখানি যবে রাখো মোর’, ‘গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙে যায়’ গানগুলো তাঁর সুর করা ও গাওয়া। অর্থাৎ, চাইলে তিনি গীতিকার কিংবা কণ্ঠশিল্পীও হতে পারতেন। কিন্তু তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সুর সৃজনেই তাঁর সাবলীলতা। সুরের মাধ্যমেই তিনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ করতে সক্ষম। ফলে কমল দাশগুপ্তের সুর করা অসংখ্য গান এখনো সংগীতানুরাগী বাঙালি গুনগুন করে গায়। তাঁর কালজয়ী গানগুলোর মধ্য রয়েছে ‘এমনই বরষা ছিল সেদিন’, ‘সাঁঝের তারকা আমি পথ হারায়ে’, ‘মেনেছি গো হার মেনেছি’, ‘তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন’, ‘ভুলি নাই ভুলি নাই’, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে’, ‘আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়’, ‘জেগে আছি একা জেগে আছি কারাগারে’, ‘পৃথিবী আমারে চায়’, ‘দুটি পাখি দুটি তীরে’, ‘ঘুমের ছায়া চাঁদের চোখে’, ‘এই কি গো শেষ দান’, ‘সেদিন নিশীথে বরিষন শেষে’।
কমল দাশগুপ্ত সেই বিরলপ্রজ শিল্পীদের একজন, যাঁদের নিজের প্রতিভা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস থাকে তুঙ্গে। তাঁর সুর কালোত্তীর্ণ বলেই ‘কত দিন দেখিনি তোমায়’ গানটি ১৯৮৪ সালে এসে মান্না দে পুনরায় রেকর্ড করেন, যা শ্রোতারা এখনো তন্ময় হয়ে শোনে। বলা জরুরি, প্রণব রায়ের লেখা গানটির মূল শিল্পী কিন্তু কমল দাশগুপ্ত নিজেই। কিংবা বলা যায় কুমার শানুর গাওয়া ‘এই কি গো শেষ দান’ গানের কথা। তাঁর সুর করা এ রকম অসংখ্য গান এখনো শিল্পীরা নতুনভাবে রেকর্ড করে চলেছেন। সুরের সজীবতা না থাকলে এত বছর পরও সেসব গান আবার রেকর্ড করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হতো না।
কমল দাশগুপ্তের সুর দক্ষতার প্রতি কাজী নজরুল ইসলামের ছিল অগাধ বিশ্বাস। তাই আধুনিক গানের এই অসামান্য গীতিকার নিজের লেখা গানের খাতা অবলীলায় তাঁর কাছে দিয়ে দিতেন সুর করার জন্য। কমল দাশগুপ্তও সে বিশ্বাসের প্রতিদান দিতেন শ্রুতিমধুর, অবিস্মরণীয় সব সুর সৃষ্টির মাধ্যমে। আর সে কারণেই নজরুল ইসলাম বাদে সবচেয়ে বেশি নজরুল সংগীতের সুরকার কমল দাশগুপ্ত। ‘আমার ভুবন কান পেতে রয়’, ‘আমি যার নূপুরের ছন্দ’, ‘ওরে নীল যমুনার জল’, ‘মোর না মিটিতে আশা’, ‘যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায়’, ‘সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়’, ‘আসিল রে প্রিয় আসিল রে’, ‘মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে’ ইত্যাদি অসংখ্য অবিস্মরণীয় নজরুলগীতির সুরস্রষ্টা তিনি। তবে শুধু নজরুলগীতি কিংবা বেসিক গান নয়, অসংখ্য সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার। এর মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণ করা যায় ‘গরমিল’, ‘দম্পতি’, ‘শেষ উত্তর’, ‘যোগাযোগ’ ইত্যাদি চলচ্চিত্রের কথা। ‘শেষ উত্তর’ সিনেমায় নায়িকা-গায়িকা কানন দেবীর গাওয়া ‘আমি বনফুল গো’, ‘লাগুক দোলা’, ‘যদি আপনার মনের মাধুরী মিশায়ে’ ইত্যাদি গানের সুর এখনো শ্রোতাদের হৃদয়স্পর্শী।
ধারণা করা হয়, প্রায় সাত হাজার গানে কমল দাশগুপ্ত সুরারোপ করেছেন। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে যূথিকা রায়, জগন্ময় মিত্র, সত্য চৌধুরী, রবীন মজুমদার, কানন দেবী, ফিরোজা বেগম, তালাত মাহমুদ, সন্তোষ সেনগুপ্ত, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা তাঁর সুরারোপিত গানে কণ্ঠ দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন। গানের কথার মর্ম অনুধাবন করে সুর সৃজনের অসামান্য ক্ষমতা ছিল কমল দাশগুপ্তের। তা ছাড়া কোন সুর কোন শিল্পীর কণ্ঠে বেশি মানাবে, সে সম্পর্কে তাঁর ছিল খুব স্বচ্ছ ধারণা। কথা ও সুর অনুযায়ী ইন্টারল্যুড-প্রিলিউড সৃজনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। ফলে একটানা কাজ করে গেলেও তাঁর সুর সৃষ্টিতে কোনো ক্লিষ্টতার ছাপ পড়েনি।
এমনই যার সৃজনক্ষমতা, তাঁর জীবনের শেষাংশের দিনগুলো মোটেও সুখকর ছিল না। চল্লিশের দশকের টালমাটাল বৈশ্বিক ও দৈশিক পরিস্থিতির কারণে কমল দাশগুপ্তের জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। যে ব্যাংকে তিনি সারা জীবনের আয় গচ্ছিত রেখেছিলেন, সেই নাথ ব্যাংক (সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’ বইয়ে বলছেন পাইওনিয়ার ব্যাংক) দেউলিয়া হয়ে যায়। কয়েক বছরের মধ্যে মা ও ছোট ভাই সুবল দাশগুপ্তকেও হারান তিনি। একদিকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে চরম অর্থকষ্ট—সব মিলিয়ে কমল দাশগুপ্ত মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এ রকম চরম দুর্দিনে এইচএমভিও তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
দুর্ভাগ্যপীড়িত, আশাহত, নিঃসম্বল কমল দাশগুপ্ত এ সময় জীবনসঙ্গী হিসেবে পান ফিরোজা বেগমকে। ১৯৫৫ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর চার বছর পর ধর্মান্তরিত হলে তাঁর নাম হয় কাজী কামালউদ্দিন। চরম আর্থিক দৈন্য ও প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হন কমল দাশগুপ্ত। কিন্তু তাতেও তাঁর দুঃখ-বেদনা এতটুকু কমেনি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংগীতজগতে কোথাও তাঁকে এতটুকু স্থান দেওয়া হয়নি। কলকাতা-ঢাকা দুই জায়গাতেই তিনি শেষ জীবনে চরম উপেক্ষা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। অর্থকষ্ট থেকে মুক্তির জন্য শেষ জীবনে মুদি দোকানও দিয়েছিলেন তিনি। ভাবতে অবাক লাগে, যে কমল দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে আয়কর হিসেবে দিয়েছিলেন ৩৭ হাজার টাকা, চড়তেন দামি গাড়ি; শেষ জীবনে হাসপাতালে একটা বেডও জোটেনি তাঁর কপালে। চরম অবহেলায় ১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই মারা যান তিনি।
শেষ করছি পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা দিয়ে, ‘কাজী নজরুল ইসলামের পর যদি বাংলা গানের বাণিজ্যিক খতিয়ান নেওয়া হয়, তাহলে সর্বাগ্রে আসা উচিত কমল দাশগুপ্তর নাম। সে যুগে হিট আধুনিক গানের সুরকার বললেই বোঝাত কমল দাশগুপ্ত।’ বাংলা গানে এমনই যার অবদান, তাঁর প্রাপ্য সম্মান কি আমরা আজও দিতে পেরেছি?

বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
অঞ্জনা রহমান
৪ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
জাহিদুর রহিম অঞ্জন
২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। কয়েক বছর ধরে লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন অঞ্জন।

সন্জীদা খাতুন
২৫ মার্চ মারা যান বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন। তিনি ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
গুলশান আরা আহমেদ
১৫ এপ্রিল মারা যান ছোট পর্দার অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ। হার্ট অ্যাটাক করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী
১০ মে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান সংগীত ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

জীনাত রেহানা
‘সাগরের তীর থেকে’ গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা মারা যান ২ জুলাই। দীর্ঘদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
এ কে রাতুল
জিম করতে গিয়ে ২৭ জুলাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান মিউজিশিয়ান এ কে রাতুল। তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা জসীমের মেজ ছেলে।
অমরেশ রায় চৌধুরী
১২ আগস্ট মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী অমরেশ রায় চৌধুরী।

ফরিদা পারভীন
১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
সেলিম হায়দার
ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিটারিস্ট সেলিম হায়দার মারা যান ২৭ নভেম্বর। ক্যানসারসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে ফিডব্যাকসহ বাজিয়েছেন বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের সঙ্গে। গত ৩০ বছর রুনা লায়লার সঙ্গেও নিয়মিত বাজিয়েছেন তিনি।
জেনস সুমন
গত ২৮ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী জেনস সুমন। ১৬ বছরের বিরতি কাটিয়ে গত বছর আবার গানে ফিরেছিলেন ‘একটা চাদর হবে’খ্যাত এই গায়ক।

বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
অঞ্জনা রহমান
৪ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
জাহিদুর রহিম অঞ্জন
২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। কয়েক বছর ধরে লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন অঞ্জন।

সন্জীদা খাতুন
২৫ মার্চ মারা যান বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন। তিনি ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
গুলশান আরা আহমেদ
১৫ এপ্রিল মারা যান ছোট পর্দার অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ। হার্ট অ্যাটাক করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী
১০ মে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান সংগীত ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

জীনাত রেহানা
‘সাগরের তীর থেকে’ গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা মারা যান ২ জুলাই। দীর্ঘদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
এ কে রাতুল
জিম করতে গিয়ে ২৭ জুলাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান মিউজিশিয়ান এ কে রাতুল। তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা জসীমের মেজ ছেলে।
অমরেশ রায় চৌধুরী
১২ আগস্ট মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী অমরেশ রায় চৌধুরী।

ফরিদা পারভীন
১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
সেলিম হায়দার
ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিটারিস্ট সেলিম হায়দার মারা যান ২৭ নভেম্বর। ক্যানসারসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে ফিডব্যাকসহ বাজিয়েছেন বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের সঙ্গে। গত ৩০ বছর রুনা লায়লার সঙ্গেও নিয়মিত বাজিয়েছেন তিনি।
জেনস সুমন
গত ২৮ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী জেনস সুমন। ১৬ বছরের বিরতি কাটিয়ে গত বছর আবার গানে ফিরেছিলেন ‘একটা চাদর হবে’খ্যাত এই গায়ক।

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা।
২৮ জুলাই ২০২১
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য রইল নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান এই নায়িকা।
পরীমণির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গত এপ্রিল মাসে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তবে পরীমণি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

শাকিবের মেগাস্টার শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি
অনেকেই শাকিব খানকে মেগাস্টার বলে সম্বোধন করেন। তবে শাকিব খানের নামের আগে এই শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তিও রয়েছে অনেকের। গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের নামের আগে ব্যবহার করা মেগাস্টার শব্দটি নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান জাহিদ হাসান। এতে শাকিবের ভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

কান উৎসবে পুরস্কার জয়
গত মে মাসে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল মেনশন পুরস্কার জিতে নেয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। কান উৎসবে এটি বাংলাদেশের প্রথম পুরস্কার।
সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীঘি
একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বছরের শুরুতে গত ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, ‘টগর’ সিনেমায় দীঘির জায়গায় নেওয়া হয়েছে পূজা চেরিকে। নির্মাতা আলোক হাসান জানান, পেশাদারি মনোভাবের অভাব থাকায় দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে সরকারি অনুদানের ‘দেনা পাওনা’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয় দীঘিকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।

বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য রইল নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান এই নায়িকা।
পরীমণির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গত এপ্রিল মাসে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তবে পরীমণি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

শাকিবের মেগাস্টার শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি
অনেকেই শাকিব খানকে মেগাস্টার বলে সম্বোধন করেন। তবে শাকিব খানের নামের আগে এই শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তিও রয়েছে অনেকের। গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের নামের আগে ব্যবহার করা মেগাস্টার শব্দটি নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান জাহিদ হাসান। এতে শাকিবের ভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

কান উৎসবে পুরস্কার জয়
গত মে মাসে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল মেনশন পুরস্কার জিতে নেয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। কান উৎসবে এটি বাংলাদেশের প্রথম পুরস্কার।
সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীঘি
একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বছরের শুরুতে গত ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, ‘টগর’ সিনেমায় দীঘির জায়গায় নেওয়া হয়েছে পূজা চেরিকে। নির্মাতা আলোক হাসান জানান, পেশাদারি মনোভাবের অভাব থাকায় দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে সরকারি অনুদানের ‘দেনা পাওনা’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয় দীঘিকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা।
২৮ জুলাই ২০২১
বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিয়ে করলেন যাঁরা
বছরের শুরুতেই বিয়ের খবর জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তাহসানের সঙ্গে অভিনেত্রী মিথিলার বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৭ সালে। এরপর মিথিলা ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তাহসান ছিলেন একা। এ বছর জানুয়ারিতে নতুন সংসার বাঁধলেন তাহসান। পাত্রী রোজা আহমেদ। পেশায় মেকওভার আর্টিস্ট। রোজা নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা। নিউইয়র্কে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর।

এ বছর বিশেষ আলোচনার জন্ম দিয়েছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীবের বিয়ের ঘটনা। ২০১৩ সাল থেকে দুজনে প্রেম করছেন বলে জানা যায়। দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রমের সফল পরিণতি আসে এ বছর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা।
এ বছর একই সঙ্গে বিচ্ছেদ, বিয়ে ও নবাগত সন্তানের খবর দিয়ে চমকে দিয়েছেন সংগীত তারকা জেমস। দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীরের সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৪ সালে। এর ১০ বছর পর ২০২৪ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেন জেমস। এ বছর জুন মাসে তিনি পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন। এত দিন ব্যক্তিগত জীবনের এসব খবর গোপন রেখেছিলেন জেমস। গত ২২ অক্টোবর নিজেই জানিয়েছেন সব ঘটনা। সেই সঙ্গে প্রকাশ করেছেন নতুন সংসারে ঘর আলো করে আসা পুত্রসন্তানের ছবি।

এ বছর আরও যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া, শামীম হাসান সরকার, জামিল হোসেন, মাইমুনা ফেরদৌস মম, সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা, নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মিজানুর রহমান আরিয়ান ও জাহিম প্রীতম।
ভেঙেছে যাঁদের সংসার
অনেক তারকার নতুন সংসার শুরু করার খবরের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও জানা গেছে এ বছর। ১৪ ডিসেম্বর অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু জানান, সংবাদ পাঠিকা মমরেনাজ মোমোর সঙ্গে ছয় বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এত দিন দুজনের সিদ্ধান্তেই খবরটি গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। আবার দুজনে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ করেছেন এ বছর।

২০ ডিসেম্বর অভিনেত্রী আফসানা আরা বিন্দু জানান তাঁর সংসার ভাঙার খবর। ২০১৭ সাল থেকে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিক ও বিন্দু সেপারেশনে ছিলেন। ২০২২ সালে আলোচনার মাধ্যমেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কাছের মানুষেরা জানলেও মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ করেননি তাঁরা।
গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী সালমার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানান সানাউল্লাহ নূরে সাগর। এরপর সালমা নিজেও জানিয়েছেন তাঁর সংসার ভাঙার খবর। সালমা জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।

২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিয়ে করলেন যাঁরা
বছরের শুরুতেই বিয়ের খবর জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তাহসানের সঙ্গে অভিনেত্রী মিথিলার বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৭ সালে। এরপর মিথিলা ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তাহসান ছিলেন একা। এ বছর জানুয়ারিতে নতুন সংসার বাঁধলেন তাহসান। পাত্রী রোজা আহমেদ। পেশায় মেকওভার আর্টিস্ট। রোজা নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা। নিউইয়র্কে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর।

এ বছর বিশেষ আলোচনার জন্ম দিয়েছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীবের বিয়ের ঘটনা। ২০১৩ সাল থেকে দুজনে প্রেম করছেন বলে জানা যায়। দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রমের সফল পরিণতি আসে এ বছর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা।
এ বছর একই সঙ্গে বিচ্ছেদ, বিয়ে ও নবাগত সন্তানের খবর দিয়ে চমকে দিয়েছেন সংগীত তারকা জেমস। দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীরের সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৪ সালে। এর ১০ বছর পর ২০২৪ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেন জেমস। এ বছর জুন মাসে তিনি পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন। এত দিন ব্যক্তিগত জীবনের এসব খবর গোপন রেখেছিলেন জেমস। গত ২২ অক্টোবর নিজেই জানিয়েছেন সব ঘটনা। সেই সঙ্গে প্রকাশ করেছেন নতুন সংসারে ঘর আলো করে আসা পুত্রসন্তানের ছবি।

এ বছর আরও যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া, শামীম হাসান সরকার, জামিল হোসেন, মাইমুনা ফেরদৌস মম, সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা, নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মিজানুর রহমান আরিয়ান ও জাহিম প্রীতম।
ভেঙেছে যাঁদের সংসার
অনেক তারকার নতুন সংসার শুরু করার খবরের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও জানা গেছে এ বছর। ১৪ ডিসেম্বর অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু জানান, সংবাদ পাঠিকা মমরেনাজ মোমোর সঙ্গে ছয় বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এত দিন দুজনের সিদ্ধান্তেই খবরটি গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। আবার দুজনে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ করেছেন এ বছর।

২০ ডিসেম্বর অভিনেত্রী আফসানা আরা বিন্দু জানান তাঁর সংসার ভাঙার খবর। ২০১৭ সাল থেকে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিক ও বিন্দু সেপারেশনে ছিলেন। ২০২২ সালে আলোচনার মাধ্যমেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কাছের মানুষেরা জানলেও মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ করেননি তাঁরা।
গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী সালমার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানান সানাউল্লাহ নূরে সাগর। এরপর সালমা নিজেও জানিয়েছেন তাঁর সংসার ভাঙার খবর। সালমা জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা।
২৮ জুলাই ২০২১
বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
৯ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
বিনোদন ডেস্ক

তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
—হানিফ সংকেত, নির্মাতা ও উপস্থাপক
সর্বজন শ্রদ্ধেয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে একজন অভিভাবক। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তাঁর শোকাবহ পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা।
আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
—মনির খান, সংগীতশিল্পী
২০১১ সালে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। হাতে পুরস্কার ও গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’ একপর্যায়ে তিনি আমাকে জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক কমিটির সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বানালেন। সেই সুবাদে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো। উনি বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন, নির্দেশনা দিতেন কীভাবে কাজ করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শুনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে আমার, কোনোভাবেই মানতে পারছি না। কিছু চলে যাওয়া পাহাড় সমান বেদনার। অনেকবার তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছেন। বারবার এসেছে তাঁর বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গ। উনি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এ দেশের মাটি ও মানুষ ছাড়া বিদেশের মাটিতে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশের মানুষের অন্তরেই আমার বসবাস। এখানেই আমার মৃত্যু হবে, এই মাটিতেই আমার কবর হবে।’ তাঁর কথাই সত্য হলো।
তিনি দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ
—কনকচাঁপা, সংগীতশিল্পী
চলে গেলেন স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আপসহীন অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়া। বারবার তাঁর নামের সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘আপসহীন’। তিনি অন্যায়, মিথ্যাচার, স্বৈরচারিতার কাছে মাথা নত করেননি। দেশের মানুষের মায়ায় তিনি সংসার, সন্তান, আরাম-আয়েশি বিলাসী জীবন—কিছুর তোয়াক্কা করেন নাই। আফসোস, একটা মিথ্যা মামলার কারণে তিনি সুন্দরভাবে জীবনের সমাপ্তি টানতে পারলেন না। জেলখানায় তাঁর জীবন কীভাবে কেটেছে তা ভেবে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। অথচ তিনি থাকতেন নির্ভার! এ জন্যই তিনি অকুতোভয় জীবনযোদ্ধা, মৃত্যুঞ্জয়ী মহামানবী। তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ ছিল, ‘জীবনে যা কিছু হয়ে যাক এই দেশ, এই দেশের মানুষ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।’ দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ তিনি, তিনিই প্রকৃত রাজনীতিবিদ এবং খাঁটি দেশনেতা। আমাদের দুঃখ রাখার জায়গা নেই যে আমরা তাঁকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারিনি।
বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন তিনি
—জয়া আহসান, অভিনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চির প্রশান্তি লাভ করুক।
শত প্রতিকূলতায়ও মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি
—আজমেরী হক বাঁধন, অভিনেত্রী
আমাদের জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর নেতৃত্ব ও দীর্ঘদিনের জনসেবা বাংলাদেশের ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। তিনি অসাধারণ এক জীবন যাপন করেছেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও যে মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। জাতি তাঁকে সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তাঁর প্রয়াণে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল
—বেবী নাজনীন, সংগীতশিল্পী
বেগম খালেদা জিয়া দেশ এবং মানুষের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, রাজনীতির ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁকে হারানোর দুঃখ মানুষের মনে সব সময় বিরাজমান থাকবে।
খালেদা জিয়া হলো একটা ইনস্টিটিউশন। তাঁর সঙ্গে থেকে অনেকে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অভিভাবক ছিলেন। দলের নেতা-কর্মীদের হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কীভাবে রাজনীতি করতে হয়। আমারও হাতেখড়ি তিনিই দিয়েছেন।
তাঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। আমার মতো তাঁর কাছাকাছি আর কেউ হয়তো থাকেনি। উনি জেলে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। খুব আদর ও স্নেহ করে বলেছিলেন, ‘ভালো থেকো, নিজের যত্ন নিও। তোমরা দেশ বাঁচাও এবং দেশের মানুষ বাঁচাও।’
এই অন্তিম যাত্রায় তিনি যেমন মানুষের দোয়া নিয়ে গেছেন, তেমনি দেশের মানুষের জন্য রেখে গেছেন আশীর্বাদ, যা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের মাঝে গণতান্ত্রিক শক্তি হয়ে কাজ করবে।

তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
—হানিফ সংকেত, নির্মাতা ও উপস্থাপক
সর্বজন শ্রদ্ধেয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে একজন অভিভাবক। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তাঁর শোকাবহ পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা।
আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
—মনির খান, সংগীতশিল্পী
২০১১ সালে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। হাতে পুরস্কার ও গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’ একপর্যায়ে তিনি আমাকে জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক কমিটির সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বানালেন। সেই সুবাদে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো। উনি বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন, নির্দেশনা দিতেন কীভাবে কাজ করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শুনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে আমার, কোনোভাবেই মানতে পারছি না। কিছু চলে যাওয়া পাহাড় সমান বেদনার। অনেকবার তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছেন। বারবার এসেছে তাঁর বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গ। উনি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এ দেশের মাটি ও মানুষ ছাড়া বিদেশের মাটিতে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশের মানুষের অন্তরেই আমার বসবাস। এখানেই আমার মৃত্যু হবে, এই মাটিতেই আমার কবর হবে।’ তাঁর কথাই সত্য হলো।
তিনি দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ
—কনকচাঁপা, সংগীতশিল্পী
চলে গেলেন স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আপসহীন অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়া। বারবার তাঁর নামের সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘আপসহীন’। তিনি অন্যায়, মিথ্যাচার, স্বৈরচারিতার কাছে মাথা নত করেননি। দেশের মানুষের মায়ায় তিনি সংসার, সন্তান, আরাম-আয়েশি বিলাসী জীবন—কিছুর তোয়াক্কা করেন নাই। আফসোস, একটা মিথ্যা মামলার কারণে তিনি সুন্দরভাবে জীবনের সমাপ্তি টানতে পারলেন না। জেলখানায় তাঁর জীবন কীভাবে কেটেছে তা ভেবে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। অথচ তিনি থাকতেন নির্ভার! এ জন্যই তিনি অকুতোভয় জীবনযোদ্ধা, মৃত্যুঞ্জয়ী মহামানবী। তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ ছিল, ‘জীবনে যা কিছু হয়ে যাক এই দেশ, এই দেশের মানুষ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।’ দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ তিনি, তিনিই প্রকৃত রাজনীতিবিদ এবং খাঁটি দেশনেতা। আমাদের দুঃখ রাখার জায়গা নেই যে আমরা তাঁকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারিনি।
বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন তিনি
—জয়া আহসান, অভিনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চির প্রশান্তি লাভ করুক।
শত প্রতিকূলতায়ও মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি
—আজমেরী হক বাঁধন, অভিনেত্রী
আমাদের জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর নেতৃত্ব ও দীর্ঘদিনের জনসেবা বাংলাদেশের ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। তিনি অসাধারণ এক জীবন যাপন করেছেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও যে মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। জাতি তাঁকে সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তাঁর প্রয়াণে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল
—বেবী নাজনীন, সংগীতশিল্পী
বেগম খালেদা জিয়া দেশ এবং মানুষের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, রাজনীতির ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁকে হারানোর দুঃখ মানুষের মনে সব সময় বিরাজমান থাকবে।
খালেদা জিয়া হলো একটা ইনস্টিটিউশন। তাঁর সঙ্গে থেকে অনেকে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অভিভাবক ছিলেন। দলের নেতা-কর্মীদের হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কীভাবে রাজনীতি করতে হয়। আমারও হাতেখড়ি তিনিই দিয়েছেন।
তাঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। আমার মতো তাঁর কাছাকাছি আর কেউ হয়তো থাকেনি। উনি জেলে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। খুব আদর ও স্নেহ করে বলেছিলেন, ‘ভালো থেকো, নিজের যত্ন নিও। তোমরা দেশ বাঁচাও এবং দেশের মানুষ বাঁচাও।’
এই অন্তিম যাত্রায় তিনি যেমন মানুষের দোয়া নিয়ে গেছেন, তেমনি দেশের মানুষের জন্য রেখে গেছেন আশীর্বাদ, যা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের মাঝে গণতান্ত্রিক শক্তি হয়ে কাজ করবে।

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা।
২৮ জুলাই ২০২১
বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
২ ঘণ্টা আগে