এম এস রানা, ঢাকা

আজ ৬ সেপ্টম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যূর সময় তাঁর নিজের বয়স ছিল ২৫। ক্যারিয়ারের মাত্র ৪। অভিনীত ছবির সংখ্যা ২৭। মৃত্যুর ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কী বিস্তৃত তাঁর প্রভাব! এখনো তাঁর তারকাখ্যাতি সমুজ্জ্বল। সালমান শাহ-পরবর্তী সময়ে যারা চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার জন্য এসেছেন তাঁদের অনেকের কাছেই সালমান শাহ ছিলেন অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস। সালমানকে বলা হতো ৯০ দশকের সেরা নায়ক।
গায়ক থেকে হয়ে ওঠা নায়ক
সালমান শাহ মানেই আমাদের কাছে ছেলেমানুষীভরা, হাস্বোজ্জল এক সফল নায়কের ছবি। অভিনয়ে আসার আগে সালমান নিজেও খুব করে চাইতেন অভিনেতা হিসেবে নাম কুড়াতে। নায়ক হতে। ছোটবেলা থেকেই তাই টুকটাক বিভিন্ন কাজে তাঁর অংশগ্রহণ দেখি। কিন্তু এটাও সত্যি যে, প্রথম জীবনে সালমান শাহ গায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগে সেভাবেই নিজেকে গুছিয়েছিলেন সালমান। বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা ঘরোয়া আয়োজনে গাইতেনও তিনি। ১৯৮৬ সালে ছায়নট থেকে পল্লীগীতিতে উত্তির্ণ হয়েছিলেন সালমান। বন্ধুমহলে তাই পরিচিত ছিলেন গায়ক হিসেবেই। পরবর্তী জীবনে সালমান যখন নায়ক হয়ে ভক্তদের মনে স্থায়ী আসন গেড়েছেন, তখনো তার গায়কসত্ত্বা থেমে থাকেনি। ‘প্রেমযুদ্ধ’ ও ‘ঋণশোধ’ নামের দুটি ছবিতে নিজকণ্ঠে গেয়েছেন গান। শুধু তাই নয়, হানিফসংকেতের একটি অনুষ্ঠানে সালমানের আত্মপ্রকাশও একটি গানের মাধ্যমে। তবে সেই গানে তিনি কণ্ঠ দেননি। মডেল হয়েছেন। তখনো সালমান ইমন নামেই পরিচিত।
সালমান ফ্যাশন
ভক্তরা তার প্রিয় নায়ক বা নায়িকাকে ফলো করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কেউ কেউ পারেন ট্রেন্ড তৈরি করতে। সালমান যেমন পেরেছিলেন। সালমান যখন মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে শুরু করলেন, গোটা যুবসমাজের কাছে যেন সেটা এক ফ্যাশন আইকন হয়ে উঠল। এছাড়া, কোনো ছবিতে মাথায় ওয়েস্টার্ন হ্যাট চাপিয়ে দেওয়া, কোনো ছবিতে চোখে লেন্স পরে নিজের চাহনি বদলে ফেলা, এমনি নানা রকম পোশাক আশাকে সালমান যেন এক বিস্ময়কর নায়কের পরিণত হয়ে গেলেন। তার কথা বলার ধরন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই যেন ভক্তদের অনুকরণীয় হয়ে উঠছিল। আসলে সালমান ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা ফ্যাশন সচেতন এক নায়ক।
২৫ বছরের শোক
কথায় বলে শোকের বয়স তিনদিন। মাাহপুরুষদের বেলায় সেটা মাস পেরোয়, বছর পেরোয়। কিন্তু সালমানের মৃত্যুর পর পেরিয়ে গেছে ২৫টি বছর। দুই যুগেরও বেশি সময়। এখনো কাটেনি ভক্তদের শোক। এখনো সালমানের মৃত্যুদিন কিংবা জন্মদিনে টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা, বিভিন্ন সংগঠনসহ নানা মাধ্যমে সালমান স্মরণে থাকে বিশেষ আয়োজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো প্রায় সারা বছরই সালমানভক্তদের নানা মন্তবে মুখর থাকে। সালমানের মৃত্যূ নিয়ে বছরের পর বছর চলমান মামলা কিংবা তদন্তের কারণে সালমানের মৃত্যুরহস্য আজো যেন ‘শেষ হইয়াও হয় না শেষ’। সালমান শাহর মৃত্যুর পর প্রায় ২৫জন ভক্তের আত্মাহুতির খবর শোনা যায়। কথিত আছে সেই সংখ্যাটা নাকি আরো বেশি। অথচ সালমানের চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার মাত্র চার বছরের। এত স্বল্প পরিসরের ক্যারিয়ারে এতটা জনপ্রিয়তার নজির যেমন বিরল, তেমনি কোনো নায়কের মৃত্যুতে এত ভক্তের আত্মাহুতির ঘটনাও এক ইতিহাস। সালমানের মৃত্যুর সময়ের যুবক ভক্তটি আজ মধ্যবয়স ছুঁইছুঁই। সেদিনের কিশোর আজ আধুনিক চলচ্চিত্র দেখায় অভ্যস্ত। অথচ তাদের মনে সালমানের ছবিটা আজো অবিচল। আজো সালমানের মৃত্যু বাংলা ছবির জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
বিকল্প সালমান
সালমান শাহ যখন মারা গেলেন, তখন তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। সালমানের ছবি মানেই হিট। স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েদের নিদেনপক্ষে একটা দিনের ক্লাস মিস করে হলে ছোটা।
হুট করেই চলে গেলেন সালমান। কি হবে অসমাপ্ত ছবির? প্রযোজকদের সামনে লাভ্যাংশের পরিমাণ আকাশচুম্বী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা। ভক্তরা প্রিয় নায়ককে দেখতে চান আরো একবার। ঘোষণা আসতে শুরু করল ‘সালমান শাহ অভিনীত শেষ ছবি’র। অসমাপ্ত ছবি শেষ করতে চারদিকে ‘খোঁজখোঁজ’ রব পড়ে গেল সালমানের বিকল্পের সন্ধানে। কমপক্ষে দশজনের মতো ‘ডামি সালমান’ বা বিকল্প সালমানের খবর আসল। কেউ পেছন থেকে দেখতে সালমানের মতো। কেউ চলনে বলনে সালমানের মতো। কেউ আবার সমানা সামনিই দেখতে সালমানের মতো। কোনো নায়কের মৃত্যূর পর এত ‘ডামি নায়ক’-এর চাহিদা আগে দেখেনি কেউ। বিকল্প সালমান নিয়ে অসমাপ্ত ছবি সম্পন্ন করতে উঠে পড়ে লাগেন নির্মাতা প্রযোজকরা। সালমানের বিকল্প হিসেবে এসে পুরো দস্তুর নায়ক হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলেন শাকিল খান।
সহশিল্পী শাবনূর ও মৌসুমী
সালমান-শাবনূর ছিল ওই সময়ের সফল জুটি। সালমানের মৃত্যুর পর অনেকেই শাবনূরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ককে দায়ী করেছেন। অথচ, সালমান বলেছিলেন শাবনূর তার ‘পিচ্চি বোন’-এর মতো। আর শাবনূর বলেছিলেন সহশিল্পী হিসেবে সালমানের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়াটা চমৎকার। তবে সালমানের মৃত্যুর পর পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা কথা বলতে চাইতেন না শাবনূর।
সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় সালমান শাহ ও মৌসুমীর। দুজনে কেবল চলচ্চিত্রেই সহল্পীই ছিলেন না। খুলনা বয়রা মডেল হাই স্কুলে দুজনে সহপাঠীও ছিলেন। দুজনের এই বন্ধুত্বে ভাটা পড়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়। বরিশালে একটি সিনেমার কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। হোটেলে গিয়ে দেখা গেল দুজনের রুমের একটাই এটাচড বাথরুম। তা নিয়ে দুজনের মাঝে বাক বিতন্ডা হয়। সেই থেকে আর একসঙ্গে দেখা যায় না সালমান শাহ ও মৌসুমীকে। তবে সালমান মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে সেই সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায় তাঁদের।
মৃত্যুর সেই দিন
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। সকালে সালমানের বাবা তাঁর বাসায় গেলে নিচে দারোয়ান বলেন, ‘স্যার, এখনতো উপরে যেতে পারবেন না। কিছু প্রবলেম আছে। আগে ম্যাডামকে (সালমান শাহ'র স্ত্রী সামিরাকে) জিজ্ঞেস করতে হবে।’ এক পর্যায়ে সালমানের বাবা জোর করে উপরে গিয়ে সামিরাকে বলেন, ‘ইমনের (সালমান শাহ'র ডাক নাম) সাথে কাজ আছে, ইনকাম ট্যাক্সের কাগজে সই করাতে হবে।’ সালমানের মা নীলা চৌধুরীর ভাষ্যমতে, সালমানের বাবাকে দেড় ঘণ্টার মতো বসিয়ে রাখা হয়। বেলা এগারোটার দিকে ফোন আসে সালমানের মা নীলা চৌধুরীর বাসায়। বলা হয়, সালমান শাহকে দেখতে হলে তখনই যেতে হবে। টেলিফোন পেয়ে নীলা চৌধুরী ছোটেন সালমানের বাসার দিকে। সালমানের ইস্কাটনের বাসায় গিয়ে ছেলে সালমান শাহকে বিছানার ওপর দেখতে পান নীলা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সামিরার পার্লারের কিছু মেয়ে ইমনের হাতে-পায়ে সর্ষের তেল দিচ্ছিল। আমি ভেবেছি ইমন ফিট হয়ে গেছে। আমি দেখলাম আমার ছেলের হাতে পায়ের নখগুলো নীল। তখন আমি আমার হাজব্যান্ডকে বলেছি, আমার ছেলে তো মরে যাচ্ছে।’
ইস্কাটনের বাসা থেকে সালমান শাহকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে। সালমানের মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা দেশ, পুরো চলচ্চিত্র জগৎ। কেউ যেন বিশ্বাসই করতে চাইছলেন না সালমান নেই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বলা হয় সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।
একনজরে
জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
আসল নাম: চৌধুরী সালমান শাহরিয়ার ইমন
বাবা: মরহুম কমর উদ্দিন চৌধুরী
মা: নীলা চৌধুরী
স্ত্রী: সামিরা
উচ্চতা: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি
প্রথম চলচ্চিত্র: কেয়ামত থেকে কেয়ামত
প্রথম ছবির নায়িকা: মৌসুমী
সর্বাধিক ছবির নায়িকা: শাবনূর
মোট ছবি: ২৭টি
কয়েকটি ছবির নাম: আনন্দ অশ্রু, স্বপ্নের নায়ক, স্বপ্নের ঠিকানা, অন্তরে অন্তরে, সত্যের মৃত্যু নেই, এই ঘর এই সংসার,
বিজ্ঞাপনচিত্র: মিল্কভিটা, জাগুয়ার কেডস, গোল্ডস্টার টি, কোকাকোলা, ফানটা
ধারাবাহিক নাটক: পাথর সময় এবং ইতিকথা
একক নাটক: আকাশ ছোঁয়া, দোয়েল, সব পাখি ঘরে ফেরে, সৈকতে সারস, নয়ন ও স্বপ্নের পৃথিবী
মৃত্যু: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬

আজ ৬ সেপ্টম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যূর সময় তাঁর নিজের বয়স ছিল ২৫। ক্যারিয়ারের মাত্র ৪। অভিনীত ছবির সংখ্যা ২৭। মৃত্যুর ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কী বিস্তৃত তাঁর প্রভাব! এখনো তাঁর তারকাখ্যাতি সমুজ্জ্বল। সালমান শাহ-পরবর্তী সময়ে যারা চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার জন্য এসেছেন তাঁদের অনেকের কাছেই সালমান শাহ ছিলেন অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস। সালমানকে বলা হতো ৯০ দশকের সেরা নায়ক।
গায়ক থেকে হয়ে ওঠা নায়ক
সালমান শাহ মানেই আমাদের কাছে ছেলেমানুষীভরা, হাস্বোজ্জল এক সফল নায়কের ছবি। অভিনয়ে আসার আগে সালমান নিজেও খুব করে চাইতেন অভিনেতা হিসেবে নাম কুড়াতে। নায়ক হতে। ছোটবেলা থেকেই তাই টুকটাক বিভিন্ন কাজে তাঁর অংশগ্রহণ দেখি। কিন্তু এটাও সত্যি যে, প্রথম জীবনে সালমান শাহ গায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগে সেভাবেই নিজেকে গুছিয়েছিলেন সালমান। বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা ঘরোয়া আয়োজনে গাইতেনও তিনি। ১৯৮৬ সালে ছায়নট থেকে পল্লীগীতিতে উত্তির্ণ হয়েছিলেন সালমান। বন্ধুমহলে তাই পরিচিত ছিলেন গায়ক হিসেবেই। পরবর্তী জীবনে সালমান যখন নায়ক হয়ে ভক্তদের মনে স্থায়ী আসন গেড়েছেন, তখনো তার গায়কসত্ত্বা থেমে থাকেনি। ‘প্রেমযুদ্ধ’ ও ‘ঋণশোধ’ নামের দুটি ছবিতে নিজকণ্ঠে গেয়েছেন গান। শুধু তাই নয়, হানিফসংকেতের একটি অনুষ্ঠানে সালমানের আত্মপ্রকাশও একটি গানের মাধ্যমে। তবে সেই গানে তিনি কণ্ঠ দেননি। মডেল হয়েছেন। তখনো সালমান ইমন নামেই পরিচিত।
সালমান ফ্যাশন
ভক্তরা তার প্রিয় নায়ক বা নায়িকাকে ফলো করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কেউ কেউ পারেন ট্রেন্ড তৈরি করতে। সালমান যেমন পেরেছিলেন। সালমান যখন মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে শুরু করলেন, গোটা যুবসমাজের কাছে যেন সেটা এক ফ্যাশন আইকন হয়ে উঠল। এছাড়া, কোনো ছবিতে মাথায় ওয়েস্টার্ন হ্যাট চাপিয়ে দেওয়া, কোনো ছবিতে চোখে লেন্স পরে নিজের চাহনি বদলে ফেলা, এমনি নানা রকম পোশাক আশাকে সালমান যেন এক বিস্ময়কর নায়কের পরিণত হয়ে গেলেন। তার কথা বলার ধরন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই যেন ভক্তদের অনুকরণীয় হয়ে উঠছিল। আসলে সালমান ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা ফ্যাশন সচেতন এক নায়ক।
২৫ বছরের শোক
কথায় বলে শোকের বয়স তিনদিন। মাাহপুরুষদের বেলায় সেটা মাস পেরোয়, বছর পেরোয়। কিন্তু সালমানের মৃত্যুর পর পেরিয়ে গেছে ২৫টি বছর। দুই যুগেরও বেশি সময়। এখনো কাটেনি ভক্তদের শোক। এখনো সালমানের মৃত্যুদিন কিংবা জন্মদিনে টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা, বিভিন্ন সংগঠনসহ নানা মাধ্যমে সালমান স্মরণে থাকে বিশেষ আয়োজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো প্রায় সারা বছরই সালমানভক্তদের নানা মন্তবে মুখর থাকে। সালমানের মৃত্যূ নিয়ে বছরের পর বছর চলমান মামলা কিংবা তদন্তের কারণে সালমানের মৃত্যুরহস্য আজো যেন ‘শেষ হইয়াও হয় না শেষ’। সালমান শাহর মৃত্যুর পর প্রায় ২৫জন ভক্তের আত্মাহুতির খবর শোনা যায়। কথিত আছে সেই সংখ্যাটা নাকি আরো বেশি। অথচ সালমানের চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার মাত্র চার বছরের। এত স্বল্প পরিসরের ক্যারিয়ারে এতটা জনপ্রিয়তার নজির যেমন বিরল, তেমনি কোনো নায়কের মৃত্যুতে এত ভক্তের আত্মাহুতির ঘটনাও এক ইতিহাস। সালমানের মৃত্যুর সময়ের যুবক ভক্তটি আজ মধ্যবয়স ছুঁইছুঁই। সেদিনের কিশোর আজ আধুনিক চলচ্চিত্র দেখায় অভ্যস্ত। অথচ তাদের মনে সালমানের ছবিটা আজো অবিচল। আজো সালমানের মৃত্যু বাংলা ছবির জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
বিকল্প সালমান
সালমান শাহ যখন মারা গেলেন, তখন তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। সালমানের ছবি মানেই হিট। স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েদের নিদেনপক্ষে একটা দিনের ক্লাস মিস করে হলে ছোটা।
হুট করেই চলে গেলেন সালমান। কি হবে অসমাপ্ত ছবির? প্রযোজকদের সামনে লাভ্যাংশের পরিমাণ আকাশচুম্বী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা। ভক্তরা প্রিয় নায়ককে দেখতে চান আরো একবার। ঘোষণা আসতে শুরু করল ‘সালমান শাহ অভিনীত শেষ ছবি’র। অসমাপ্ত ছবি শেষ করতে চারদিকে ‘খোঁজখোঁজ’ রব পড়ে গেল সালমানের বিকল্পের সন্ধানে। কমপক্ষে দশজনের মতো ‘ডামি সালমান’ বা বিকল্প সালমানের খবর আসল। কেউ পেছন থেকে দেখতে সালমানের মতো। কেউ চলনে বলনে সালমানের মতো। কেউ আবার সমানা সামনিই দেখতে সালমানের মতো। কোনো নায়কের মৃত্যূর পর এত ‘ডামি নায়ক’-এর চাহিদা আগে দেখেনি কেউ। বিকল্প সালমান নিয়ে অসমাপ্ত ছবি সম্পন্ন করতে উঠে পড়ে লাগেন নির্মাতা প্রযোজকরা। সালমানের বিকল্প হিসেবে এসে পুরো দস্তুর নায়ক হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলেন শাকিল খান।
সহশিল্পী শাবনূর ও মৌসুমী
সালমান-শাবনূর ছিল ওই সময়ের সফল জুটি। সালমানের মৃত্যুর পর অনেকেই শাবনূরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ককে দায়ী করেছেন। অথচ, সালমান বলেছিলেন শাবনূর তার ‘পিচ্চি বোন’-এর মতো। আর শাবনূর বলেছিলেন সহশিল্পী হিসেবে সালমানের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়াটা চমৎকার। তবে সালমানের মৃত্যুর পর পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা কথা বলতে চাইতেন না শাবনূর।
সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় সালমান শাহ ও মৌসুমীর। দুজনে কেবল চলচ্চিত্রেই সহল্পীই ছিলেন না। খুলনা বয়রা মডেল হাই স্কুলে দুজনে সহপাঠীও ছিলেন। দুজনের এই বন্ধুত্বে ভাটা পড়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়। বরিশালে একটি সিনেমার কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। হোটেলে গিয়ে দেখা গেল দুজনের রুমের একটাই এটাচড বাথরুম। তা নিয়ে দুজনের মাঝে বাক বিতন্ডা হয়। সেই থেকে আর একসঙ্গে দেখা যায় না সালমান শাহ ও মৌসুমীকে। তবে সালমান মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে সেই সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায় তাঁদের।
মৃত্যুর সেই দিন
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। সকালে সালমানের বাবা তাঁর বাসায় গেলে নিচে দারোয়ান বলেন, ‘স্যার, এখনতো উপরে যেতে পারবেন না। কিছু প্রবলেম আছে। আগে ম্যাডামকে (সালমান শাহ'র স্ত্রী সামিরাকে) জিজ্ঞেস করতে হবে।’ এক পর্যায়ে সালমানের বাবা জোর করে উপরে গিয়ে সামিরাকে বলেন, ‘ইমনের (সালমান শাহ'র ডাক নাম) সাথে কাজ আছে, ইনকাম ট্যাক্সের কাগজে সই করাতে হবে।’ সালমানের মা নীলা চৌধুরীর ভাষ্যমতে, সালমানের বাবাকে দেড় ঘণ্টার মতো বসিয়ে রাখা হয়। বেলা এগারোটার দিকে ফোন আসে সালমানের মা নীলা চৌধুরীর বাসায়। বলা হয়, সালমান শাহকে দেখতে হলে তখনই যেতে হবে। টেলিফোন পেয়ে নীলা চৌধুরী ছোটেন সালমানের বাসার দিকে। সালমানের ইস্কাটনের বাসায় গিয়ে ছেলে সালমান শাহকে বিছানার ওপর দেখতে পান নীলা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সামিরার পার্লারের কিছু মেয়ে ইমনের হাতে-পায়ে সর্ষের তেল দিচ্ছিল। আমি ভেবেছি ইমন ফিট হয়ে গেছে। আমি দেখলাম আমার ছেলের হাতে পায়ের নখগুলো নীল। তখন আমি আমার হাজব্যান্ডকে বলেছি, আমার ছেলে তো মরে যাচ্ছে।’
ইস্কাটনের বাসা থেকে সালমান শাহকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে। সালমানের মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা দেশ, পুরো চলচ্চিত্র জগৎ। কেউ যেন বিশ্বাসই করতে চাইছলেন না সালমান নেই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বলা হয় সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।
একনজরে
জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
আসল নাম: চৌধুরী সালমান শাহরিয়ার ইমন
বাবা: মরহুম কমর উদ্দিন চৌধুরী
মা: নীলা চৌধুরী
স্ত্রী: সামিরা
উচ্চতা: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি
প্রথম চলচ্চিত্র: কেয়ামত থেকে কেয়ামত
প্রথম ছবির নায়িকা: মৌসুমী
সর্বাধিক ছবির নায়িকা: শাবনূর
মোট ছবি: ২৭টি
কয়েকটি ছবির নাম: আনন্দ অশ্রু, স্বপ্নের নায়ক, স্বপ্নের ঠিকানা, অন্তরে অন্তরে, সত্যের মৃত্যু নেই, এই ঘর এই সংসার,
বিজ্ঞাপনচিত্র: মিল্কভিটা, জাগুয়ার কেডস, গোল্ডস্টার টি, কোকাকোলা, ফানটা
ধারাবাহিক নাটক: পাথর সময় এবং ইতিকথা
একক নাটক: আকাশ ছোঁয়া, দোয়েল, সব পাখি ঘরে ফেরে, সৈকতে সারস, নয়ন ও স্বপ্নের পৃথিবী
মৃত্যু: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
১০ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২১ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২১ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো। জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সেই মানুষটিই নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করেছিলেন প্রাণীর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে।
বার্দোর মৃত্যুতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন অসাধারণ নারীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, যিনি সবকিছু দিয়েছিলেন এবং প্রাণীদের প্রতি আরও সম্মানজনক একটি পৃথিবীর জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রাম ফাউন্ডেশনের কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবে।
সিএনএন জানিয়েছে, ফ্রান্সে ‘বিবি’ নামে পরিচিত ছিলেন ব্রিজিত। ১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে তাঁর খোলামেলা, সংযমহীন অভিনয় একদিকে দর্শককে মোহিত করে, অন্যদিকে রক্ষণশীলতার ধারক-বাহকদের কাঁপিয়ে দেয়। হলিউডে যখন যৌনতা নিয়ে কঠোর সেন্সরশিপ চলছিল, তখন বার্দো বিদেশি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মার্কিন দর্শকদের কাছে নতুন এক স্বাধীনতার ছবি হাজির করেন। ১৯৬১ সালে লাইফ ম্যাগাজিন লিখেছিল, ‘মেয়েরা যখন হাঁটে, তারা বার্দোর মতো হাঁটে, পোশাক পরে, চুল বাঁধে এবং তাঁর মতো মুক্ত আত্মা হতে চায়।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বার্দোকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তিনি স্বাধীন জীবনের প্রতীক। এক্সে দেওয়া পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘তাঁর সিনেমা, কণ্ঠ, দীপ্তি, দুঃখ, প্রাণীদের প্রতি উদার ভালোবাসা—সব মিলিয়ে বার্দো এক মুক্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি।’
বার্দো ছিলেন আধুনিক সেলিব্রিটির প্রথম দিককার এক উদাহরণ। প্রাক-নারীবাদী যুগেই তিনি নিজের শর্তে প্রেম করেছেন, সম্পর্ক গড়েছেন, ভোগবাদী জীবনযাপন নিয়ে কখনো অনুতপ্ত হননি। ফরাসি দার্শনিক সিমোন দ্য বোভোয়ার ১৯৫৯ সালে লিখেছিলেন, প্রেমের খেলায় বার্দো যেমন শিকার, তেমনি শিকারি—আর সেটাই পুরুষ অহংকারে আঘাত হানে।
নিজের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে বার্দো কখনো বড়াই করেননি। তবু ‘...অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড উইম্যান’, ‘কঁতঁপ্ত’, ‘ভিভা মারিয়া!’সহ ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশক ধরে তাঁর ক্যারিশমা অপ্রতিরোধ্য ছিল। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকাও। ফ্যাশনে তাঁর প্রভাব ছিল দীর্ঘস্থায়ী—স্বর্ণকেশী এলোমেলো চুল, সহজ পোশাক ও স্বাভাবিক উপস্থিতি বহু অভিনেত্রী ও মডেলের অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।
১৯৭৩ সালে, মাত্র ৩৯ বছর বয়সে সিনেমা থেকে অবসর নিয়ে জীবনকে অন্যদিকে নিয়ে যান বার্দো। প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি হয়ে ওঠেন কণ্ঠস্বর। ১৯৮৭ সালে তিনি বলেন, ‘যৌবন ও সৌন্দর্য দিয়েছি পুরুষদের, এখন আমার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দেব প্রাণীদের জন্য।’ তবে তাঁর জীবন বিতর্কমুক্ত ছিল না—অভিবাসন ও ধর্মীয় আচার নিয়ে মন্তব্যের কারণে তিনি সমালোচিত ও দণ্ডিত হয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবে বার্ধক্যকে গ্রহণ করাও ছিল তাঁর আরেকটি বিদ্রোহ। প্লাস্টিক সার্জারি এড়িয়ে সাদা চুল ও মুখের ভাঁজ নিয়েই তিনি প্রকাশ্যে থেকেছেন।
ব্রিজিত বার্দোর জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্যারিসে। একসময় ব্যালে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেয়েটি শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেন শতাব্দীর এক প্রতীক—যিনি স্বাধীনতা, বিতর্ক ও করুণ বাস্তবতার মাঝেই নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন।

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো। জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সেই মানুষটিই নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করেছিলেন প্রাণীর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে।
বার্দোর মৃত্যুতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন অসাধারণ নারীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, যিনি সবকিছু দিয়েছিলেন এবং প্রাণীদের প্রতি আরও সম্মানজনক একটি পৃথিবীর জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রাম ফাউন্ডেশনের কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবে।
সিএনএন জানিয়েছে, ফ্রান্সে ‘বিবি’ নামে পরিচিত ছিলেন ব্রিজিত। ১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে তাঁর খোলামেলা, সংযমহীন অভিনয় একদিকে দর্শককে মোহিত করে, অন্যদিকে রক্ষণশীলতার ধারক-বাহকদের কাঁপিয়ে দেয়। হলিউডে যখন যৌনতা নিয়ে কঠোর সেন্সরশিপ চলছিল, তখন বার্দো বিদেশি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মার্কিন দর্শকদের কাছে নতুন এক স্বাধীনতার ছবি হাজির করেন। ১৯৬১ সালে লাইফ ম্যাগাজিন লিখেছিল, ‘মেয়েরা যখন হাঁটে, তারা বার্দোর মতো হাঁটে, পোশাক পরে, চুল বাঁধে এবং তাঁর মতো মুক্ত আত্মা হতে চায়।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বার্দোকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তিনি স্বাধীন জীবনের প্রতীক। এক্সে দেওয়া পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘তাঁর সিনেমা, কণ্ঠ, দীপ্তি, দুঃখ, প্রাণীদের প্রতি উদার ভালোবাসা—সব মিলিয়ে বার্দো এক মুক্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি।’
বার্দো ছিলেন আধুনিক সেলিব্রিটির প্রথম দিককার এক উদাহরণ। প্রাক-নারীবাদী যুগেই তিনি নিজের শর্তে প্রেম করেছেন, সম্পর্ক গড়েছেন, ভোগবাদী জীবনযাপন নিয়ে কখনো অনুতপ্ত হননি। ফরাসি দার্শনিক সিমোন দ্য বোভোয়ার ১৯৫৯ সালে লিখেছিলেন, প্রেমের খেলায় বার্দো যেমন শিকার, তেমনি শিকারি—আর সেটাই পুরুষ অহংকারে আঘাত হানে।
নিজের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে বার্দো কখনো বড়াই করেননি। তবু ‘...অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড উইম্যান’, ‘কঁতঁপ্ত’, ‘ভিভা মারিয়া!’সহ ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশক ধরে তাঁর ক্যারিশমা অপ্রতিরোধ্য ছিল। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকাও। ফ্যাশনে তাঁর প্রভাব ছিল দীর্ঘস্থায়ী—স্বর্ণকেশী এলোমেলো চুল, সহজ পোশাক ও স্বাভাবিক উপস্থিতি বহু অভিনেত্রী ও মডেলের অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।
১৯৭৩ সালে, মাত্র ৩৯ বছর বয়সে সিনেমা থেকে অবসর নিয়ে জীবনকে অন্যদিকে নিয়ে যান বার্দো। প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি হয়ে ওঠেন কণ্ঠস্বর। ১৯৮৭ সালে তিনি বলেন, ‘যৌবন ও সৌন্দর্য দিয়েছি পুরুষদের, এখন আমার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দেব প্রাণীদের জন্য।’ তবে তাঁর জীবন বিতর্কমুক্ত ছিল না—অভিবাসন ও ধর্মীয় আচার নিয়ে মন্তব্যের কারণে তিনি সমালোচিত ও দণ্ডিত হয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবে বার্ধক্যকে গ্রহণ করাও ছিল তাঁর আরেকটি বিদ্রোহ। প্লাস্টিক সার্জারি এড়িয়ে সাদা চুল ও মুখের ভাঁজ নিয়েই তিনি প্রকাশ্যে থেকেছেন।
ব্রিজিত বার্দোর জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্যারিসে। একসময় ব্যালে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেয়েটি শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেন শতাব্দীর এক প্রতীক—যিনি স্বাধীনতা, বিতর্ক ও করুণ বাস্তবতার মাঝেই নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন।

আজ ৬ সেপ্টম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যূর সময় তাঁর নিজের বয়স ছিল ২৫। ক্যারিয়ারের মাত্র ৪। অভিনীত ছবির সংখ্যা ২৭। মৃত্যুর ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কী বিস্তৃত তাঁর প্রভাব! এখনো তাঁর তারকাখ্যাতি সমুজ্জ্বল।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২১ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২১ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

আজ ৬ সেপ্টম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যূর সময় তাঁর নিজের বয়স ছিল ২৫। ক্যারিয়ারের মাত্র ৪। অভিনীত ছবির সংখ্যা ২৭। মৃত্যুর ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কী বিস্তৃত তাঁর প্রভাব! এখনো তাঁর তারকাখ্যাতি সমুজ্জ্বল।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
১০ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২১ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

আজ ৬ সেপ্টম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যূর সময় তাঁর নিজের বয়স ছিল ২৫। ক্যারিয়ারের মাত্র ৪। অভিনীত ছবির সংখ্যা ২৭। মৃত্যুর ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কী বিস্তৃত তাঁর প্রভাব! এখনো তাঁর তারকাখ্যাতি সমুজ্জ্বল।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
১০ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২১ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

আজ ৬ সেপ্টম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যূর সময় তাঁর নিজের বয়স ছিল ২৫। ক্যারিয়ারের মাত্র ৪। অভিনীত ছবির সংখ্যা ২৭। মৃত্যুর ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কী বিস্তৃত তাঁর প্রভাব! এখনো তাঁর তারকাখ্যাতি সমুজ্জ্বল।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
১০ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২১ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২১ ঘণ্টা আগে