Ajker Patrika

ছাড়পত্র পেল ‘চক্কর ৩০২’, শিগগিরই মুক্তির ঘোষণা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
চক্কর ৩০২ সিনেমার পোস্টারে মোশাররফ করিম। ছবি: সংগৃহীত
চক্কর ৩০২ সিনেমার পোস্টারে মোশাররফ করিম। ছবি: সংগৃহীত

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অনুমতি পেল ‘চক্কর ৩০২’। সরকারি অনুদানে সিনেমাটি বানিয়েছেন শরাফ আহমেদ জীবন। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। ফেসবুকে চক্কর ৩০২ সিনেমার ছাড়পত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করে শরাফ আহমেদ জীবন লেখেন, ‘কোনো রকম কাটাছেঁড়া ছাড়াই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সনদপত্র পেয়ে লক্ষ্য পূরণের পথে আরও একটি ধাপ এগিয়ে গেল আমাদের সিনেমা চক্কর ৩০২। দেখা হচ্ছে খুব শিগগিরই।’

চক্কর ৩০২ সিনেমার প্রধান চরিত্রে আছেন মোশাররফ করিম। তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে রিকিতা নন্দিনী শিমুকে। তারেক মাসুদের সিনেমা ‘রানওয়ে’ দিয়ে অভিনয় শুরু করেন শিমু। এরপর গত এক যুগে ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’, ‘শিমু’, ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা’, ‘ফেরেশতে’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। শিমু বলেন, ‘চক্কর সিনেমায় আমি মোশাররফ করিমের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পে আমার চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ।’ 

সিনেমাটি নিয়ে জীবন বলেন, ‘চক্কর মানবিক স্পর্শের গল্প। সরকারি অনুদানের সঙ্গে আরও বাজেট যুক্ত করে বড় আয়োজনে সিনেমাটি বানানোর চেষ্টা করেছি।’

চক্কর ৩০২ সিনেমার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৫ লাখ টাকার অনুদান পান জীবন। প্রথমে সিনেমাটির নাম ছিল ‘বিচারালয়’। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিবর্তন করে নাম রাখা হয়েছে চক্কর ৩০২।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেটফ্লিক্সের ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ চুক্তিতে বাগড়া দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
হলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ চুক্তিতে বাগড়া দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির মুভি স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্কগুলো ৭২ বিলিয়ন ডলার মূল্যে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় রোববার (৭ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নেটফ্লিক্সের বিশাল মার্কেট শেয়ার রয়েছে এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের মিলিত আকার ‘একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে’। এই চুক্তিটি অনুমোদনের বিষয়াদিতে ব্যক্তিগতভাবে জড়িত থাকার কথাও জানান ট্রাম্প।

গত শুক্রবার নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স ঘোষণা করে, তারা চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। এই চুক্তির ফলে হ্যারি পটার, গেম অব থ্রোনস, লুনি টিউনস দ্য ম্যাট্রিক্স এবং লর্ড অব দ্য রিংস-এর মতো জনপ্রিয় গ্লোবাল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নেটফ্লিক্সের মালিকানায় চলে আসবে।

১৯৯৭ সালে পোস্টাল ডিভিডি ভাড়া ব্যবসা হিসেবে যাত্রা শুরু করা নেটফ্লিক্স এখন বিশ্বের বৃহত্তম সাবস্ক্রিপশন স্ট্রিমিং পরিষেবা। চলচ্চিত্র শিল্পে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় চুক্তি। এই চুক্তি সম্পাদন হলে নেটফ্লিক্সের শীর্ষস্থান আরও সুসংহত হবে।

জানা যায়, ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ওয়ার্নার ব্রাদার্স তার ব্যবসা ভাগাভাগি করার পরেই এই চুক্তিটি সম্পন্ন হবে।

মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতিযোগিতা বিভাগ এত বড় ধরনের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া তদারকি করে। তাদের মতে, যদি একীভূত ব্যবসা স্ট্রিমিং মার্কেটের খুব বেশি অংশ দখল করে, তাহলে সেখানে আইন লঙ্ঘন হতে পারে।

জন এফ কেনেডি সেন্টারের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বারবার নেটফ্লিক্সের মার্কেট শেয়ারের আকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যদি চুক্তিটি হয়, তাহলে নেটফ্লিক্সের খুব বড় মার্কেট শেয়ার আরও অনেক বেড়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টেড সারান্ডোস সম্প্রতি ওভাল অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তিনি তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তার প্রতি আমার অনেক সম্মান আছে। তিনি সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সেরা কাজ করেছেন।’

টেড সারান্ডোস এর আগে স্বীকার করেন, চুক্তিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে, তবে এটি নেটফ্লিক্সকে ‘আগামী দশকগুলোতে’ সাফল্যের জন্য অবস্থান তৈরি করার একটি সুযোগ।

কমকাস্ট এবং প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে চুক্তিটি করতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের প্রধান ডেভিড এলিসন এর আগে পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনার চেষ্টা করেছিলেন। ডেভিড এলিসনের বাবা ল্যারি এলিসন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

এদিকে, এই চুক্তিকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা-এর ইস্ট ও ওয়েস্ট শাখা। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা জানায়, বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং কোম্পানি তার অন্যতম বৃহৎ প্রতিদ্বন্দ্বীকে গিলে ফেলা ঠিক সে ধরনের কাজ, যা একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিরোধের জন্য তৈরি আইনকে (অ্যান্টি ট্রাস্ট ল) বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।

রাইটার্স গিল্ড সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই চুক্তির ফলে অনেক চাকরি বিলুপ্ত হবে, মজুরি কমবে, বিনোদন কর্মীদের সবার পরিস্থিতি খারাপ হবে, গ্রাহকদের খরচ বাড়বে এবং সব দর্শকের জন্য কনটেন্টের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য কমবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গান-আড্ডায় শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর ৭০ বছর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য। তিনি লিখেছেন ‘হৃদয় কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়’, ‘আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে’, ‘আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও’, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘যতীন স্যারের ক্লাসে’, ‘তৃতীয় বিশ্ব’, ‘সময় যেন কাটে না’র মতো কালজয়ী অনেক গান। লিখছেন এখনো। আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ হবে শহীদ মাহমুদের ৭০ বছর। গান ও আড্ডায় এই গীতিকবির সাত দশকের জীবন পরিক্রমা উদ্‌যাপন করতে আয়োজন করা হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের। ১২ ডিসেম্বর ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে আজব কারখানা।

ধানমন্ডির রাশান হাউসে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। সূচনা বক্তব্য এবং গীতিকারকে নিয়ে অতিথিদের স্মৃতিচারণার পর মোড়ক উন্মোচন করা হবে ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ নামের স্মৃতিচারণা গ্রন্থের। জয় শাহরিয়ারের সম্পাদনায় এই গ্রন্থে গীতিকারকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন নকীব খান, সামিনা চৌধুরী, ফয়সাল সিদ্দিকী বগি, ফোয়াদ নাসের বাবু, কুমার বিশ্বজিৎ, পিলু খান, নাসিম আলী খান, পার্থ বড়ুয়া, লিটন অধিকারী রিন্টু, গোলাম মোরশেদ, বাপ্পী খানসহ অনেকে। এতে উঠে এসেছে গীতিকারের জীবনের নানা ঘটনা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা গান শোনাবেন রফিকুল আলম, নাসিম আলী খান, বাপ্পা মজুমদার, পান্থ কানাই, সুমন কল্যাণ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাশ, ব্যান্ড সোলস, রেনেসাঁসহ অনেকে।

উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদে দায়িত্ব পালন করছেন নকীব খান, পার্থ বড়ুয়া, পিলু খান, জয় শাহরিয়ার, শামীম আহমেদ, এনাম এলাহী টন্টি, সুমন কল্যাণ, শাকিল খান, হাসান আসাদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রন্ধনশিল্পীকে নিয়ে সিনেমা

পর্দায় টমি মিয়া হবেন সাজ্জাদ হোসেন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
টমি মিয়ার লুকে সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
টমি মিয়ার লুকে সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ। বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পীদের নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে টমি মিয়াস হসপিটালিটি ইনস্টিটিউট থেকে গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক মানের শেফ। এবার এই রন্ধনশিল্পীর জীবনী আসছে বড় পর্দায়। ‘সিটিএম’ নামের এই বায়োপিক পরিচালনা করবেন মনিরুজ্জামান মনির।

আগামী বছর টমি মিয়া এমবিইর সহযোগিতায় আয়োজন করা হচ্ছে ‘টমি মিয়াস ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড ২০২৬’। অক্টোবর মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দেশের একঝাঁক জনপ্রিয় তারকা। গতকাল এ উপলক্ষে এফডিসিতে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। সেখানেই নিজের বায়োপিকের ঘোষণা দেন টমি মিয়া।

পর্দায় টমি মিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন সাজ্জাদ হোসেন। অভিনয়ে আসার আগে যিনি নিজেও কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। ২০০৭ সালে টমি মিয়াস ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট থেকে ট্রেনিং করেন সাজ্জাদ। এরপর লন্ডনের রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। পরবর্তী সময়ে অভিনয়ের টানে চলে আসেন দেশে।

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘২০০৭ সালে কোর্স করার সময় টমি ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। এই পরিচয় তাঁর জীবনী নিয়ে সিনেমা করতে কাজে লাগবে আমার। এ ছাড়া শেফ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় পর্দায় তাঁর চরিত্রটি উপস্থাপন করা একটু সহজ হবে আমার জন্য।’

সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘এটি বায়োপিক হলেও সুন্দর একটি গল্প আছে, প্রেম আছে, ট্র্যাজেডি আছে। সব মিলিয়ে দর্শকের জন্য উপভোগ্য একটি সিনেমা হবে। চেষ্টা করব পর্দায় পরিপূর্ণভাবে নিজেকে টমি মিয়া হিসেবে উপস্থাপন করতে। ইতিমধ্যে টমি ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলা শুরু করেছি।’

‘এমআরনাইন’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক সাজ্জাদের। এরপর অভিনয় করেছেন ‘মোনা: জ্বীন-২’, ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমায়। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সাজ্জাদ অভিনীত ‘প্রেম পুরাণ’ সিনেমাটি।

জানা গেছে, লন্ডনে বড় একটি অংশের শুটিং হবে সিটিএম সিনেমার। টমি মিয়ার সঙ্গে সহপ্রযোজনায় থাকবেন বাংলাদেশ ও লন্ডনের কয়েকজন। নতুন বছরের শুরুতে মহরত অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে এই সিনেমার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিল্পীদের বিদেশে স্থায়ী হওয়ার কারণ জানালেন মিশা সওদাগর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মিশা সওদাগর। ছবি: সংগৃহীত
মিশা সওদাগর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শোবিজ জগতের অনেক তারকা পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরে। স্থায়ী হয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে দেশে এসে কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারকাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে। অমিত হাসান, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, মাহিয়া মাহি, সাজু খাদেমসহ বর্তমান সময়ের অনেক শিল্পী রয়েছেন এ তালিকায়। শিল্পীদের বিদেশে যাওয়া নিয়ে কথা বললেন চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। জানালেন কাজ কমে যাওয়ার কারণেই শিল্পীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

মিশা সওদাগরের পরিবারের সদস্যরাও স্থায়ী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি নিজেও বছরের অর্ধেক সময় কাটান মার্কিন মুলুকে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এসে শিল্পীদের বিদেশে স্থায়ী হওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেতা। তাঁর মতে, দেশে কাজ থাকলে শিল্পীদের বিদেশে যেতে হতো না।

মিশা বলেন, ‘কাজ না থাকলে শিল্পীদের কী আর করার আছে। একসময় এক দিনে চার-পাঁচটি সিনেমার কাজ করেছি। সকাল ৭টায় শুরু করেছি, সেটা চলেছে রাত ২টা পর্যন্ত। এখন সেই এফডিসি প্রায় বন্ধ। যে শিল্পীরা দেশের বাইরে গেছে, তাদের কি কারও মন চাইছিল দেশ ছেড়ে যেতে? আমার বন্ধু অমিত হাসান কত সিনেমার নায়ক, সেও বাইরে চলে গেছে। এ ছাড়া মৌসুমী, ইমন, আলেকজান্ডার বো গেছে। অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে দেশ ছেড়েছে। মাহিয়া মাহিও যুক্তরাষ্ট্রে আছে। আমার কথাই যদি বলি, অভিনয় ছাড়া আমি তো কিছু পারি না। যাঁরা গেছে তাদেরকে দোষ দেওয়া যাবে না। কাজ যদি থাকত তাহলে তো তারা এখানেই কাজ করত।’

মিশা সওদাগর আরও বলেন, ‘আমাদের শিল্পীদের কাজ থাকুক না থাকুক, অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হয়। চেহারায় একটা গেটআপ রাখতে হয়, একটা গাড়ি রাখতে হয়, একটা ভালো মোবাইল ব্যবহার করতে হয়, ভালো পোশাক পরতে হয়, ড্রয়িংরুম সাজিয়ে রাখতে হয়। তা ছাড়া আমরা কাজ করি পরিবারের জন্য। পরিবারের সদস্যদের ভালো রাখার জন্য। কিন্তু কাজই যদি না থাকে, ইনকাম যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একজন শিল্পী কী করবে? শিল্পীদের সেক্রিফাইসগুলো সবাই বুঝবে না। ওইখানে (বিদেশে) গেলে অন্তত কাজ করে পরিবার নিয়ে সারভাইভ করতে পারবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত