Ajker Patrika

কমতি নেই ঈদ অনুষ্ঠানমালায়

বিনোদন প্রতিবেদক
কমতি নেই ঈদ অনুষ্ঠানমালায়

ঢাকা: ঈদের সময়গুলোতে দর্শক ধরে রাখতে বাহারি আয়োজন করে টিভি চ্যানেলগুলো। টিভি চ্যানেলের আয়োজনকে ছাপিয়ে গেছে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের ঈদ আয়োজন। তারকাবহুল সব প্রযোজনা নিয়ে প্রস্তুত একেকটি ওটিটি (ওভার দ্য টপ) ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল ও অ্যাপভিত্তিক বিনোদনমাধ্যমগুলো। ঈদ উৎসব ঘিরে দুই মাধ্যমেই প্রায় চার শ নাটক তৈরি হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর দুই ঈদ আয়োজনে জৌলুশ না থাকলেও এবারের ঈদে বেশ পসরা সাজিয়ে বসেছে। যদিও করোনার সংক্রমণ কমাতে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সে সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করায় কোনো বাধা ছিল না। এরপরেও অনেক অভিনয়শিল্পীই শুটিংয়ে অংশ নেননি। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার লকডাউন শিথিল হলে শুটিং শুরু করেছেন। প্রায় ২০০টির মতো নাটকের শুটিং বাতিল করা হয়েছিল। স্থগিত নাটকগুলোতে কাজ করার কথা ছিল শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখগুলোরই। সব তারকারই অনেক নাটকের শুটিং বন্ধ করতে হয়েছে। তবে তাতে অনুষ্ঠানমালায় কমতি নেই।

 ঈদে টিভি চ্যানেলগুলোতে মোশাররফ করিম অভিনীত নাটক প্রচারের আধিক্য দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবারের ঈদে সর্বাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। এ পর্যন্ত একখণ্ড ও ধারাবাহিক মিলে তাঁর অভিনীত নাটকের সংখ্যা ১৬। হাতে রয়েছে আরও কয়েকটি। সেগুলোও প্রস্তুত হচ্ছে। বেশির ভাগ নাটকই প্রচার হবে টিভিতে। কয়েকটি ইন্টারনেট মাধ্যমেও প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন মোশাররফ করিম। ঈদের নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মনে হয় ১৬টি নাটকে কাজ করেছি। আরও কিছু নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব ছিল; কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি, লকডাউন, সময়স্বল্পতা এবং কিছুটা বিশ্রামের কারণেও সেগুলোতে কাজ করছি না। যেগুলোতে অভিনয় করেছি, প্রতিটি নাটকেই আমাকে নতুনরূপে দেখবেন দর্শক। লকডাউন শেষ হলে আবারও হয়তো কাজ করতে পারি।’ মোশাররফ করিম ছাড়াও আফরান নিশো, অপূর্ব, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাওসিফ, জোভানদের পনেরোটির বেশি নাটক প্রচার হবে।

 জানা যায়, গত বছর ঈদুল আজহাতেই সংকট অতটা দেখা যায়নি। এরপর পুরোদমে নাটকের শুটিং শুরু হয়। এই বছরও লকডাউনের আগে দুই শিফট শুটিং হয়েছে। ফলে চ্যানেলগুলোর হাতে বাছবিচার করে সেরাটা দেওয়া সম্ভব না হলেও তাদের চাহিদা মেটাতে পারবে। চ্যানেল আইয়ের বিপণন বিভাগের প্রধান ইবনে হাসান খান বলেন, ‘এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঈদুল ফিতরে ৮ দিনব্যাপী সাজিয়েছি অনুষ্ঠানমালা। এসব অনুষ্ঠানে থাকছে শীর্ষ নির্মাতা ও শিল্পীদের অভিনয়ে সম্পূর্ণ নতুন ১৫টি নাটক। নাটকগুলোর সম্প্রচার শুরু হবে ঈদের আগের দিন থেকে। নতুন ১০টি টেলিফিল্ম প্রচার হবে। নতুন ৭টি ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করা হবে। এ ছাড়া ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ টাইপের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানগুলো তো আছেই। আমাদের অনুষ্ঠানে কোনো কমতি দেখছি না।’

 বাংলাভিশন এবারের ঈদে ৩০টির মতো এক ঘণ্টার নাটক, ৫টি সাত পর্বের ধারাবাহিক এবং ডজনখানেক টেলিছবি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চ্যানেলটির অনুষ্ঠানপ্রধান তারেক আখন্দ বলেন, প্রতিযোগিতার এই বাজারে বিজ্ঞাপনদাতাদের যাঁদের নিয়ে আগ্রহ আছে, দর্শকদেরও বেশি আগ্রহ আছে, তাঁদেরকেই প্রাধান্য দিতে হয়। বাংলাভিশনে এবার যেসব নাটক প্রচারিত হবে, সেগুলোর অভিনয়শিল্পীরা হলেন সালাহউদ্দিন লাভলু, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, তাহসান, অপূর্ব, নিশো, সজল, আনিসুর রহমান মিলন, ইরফান সাজ্জাদ, তৌসিফ, জোভান। তারেক বলেন, ‘এসব শিল্পীর কারও নাটকের সংখ্যা বেশি, কারও কম। ঘুরেফিরে এসব শিল্পী আমাদের টেলিভিশনের পর্দায় থাকবেন।’

মোশাররফ করিম। ফাইল ছবিনাগরিক টেলিভিশন এবারের ঈদে ৪টি ৭ পর্বের নাটক এবং ১৪টি খণ্ডনাটক প্রচার করবে। চ্যানেলটির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান কামরুজ্জামান বাবু বলেন, ‘আমরা বিনোদনে ভরপুর থাকতে চাই। নাগরিক টিভি এবারও আয়োজন করেছে বর্ণাঢ্য ঈদ অনুষ্ঠানমালা। এবারের আয়োজনে দর্শকেরা দেখবেন তারকা অভিনয়শিল্পীদের অভিনীত একগুচ্ছ একক নাটক। নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন দেশের জনপ্রিয় তারকারা। বেশির ভাগ নাটক আমাদের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে। এসব নাটকের অভিনয়শিল্পী যে শুধু আমাদের পছন্দের, তা কিন্তু নয়। দর্শক চাহিদার বিষয়টিও আমরা খেয়াল করি।’

তবে অনুষ্ঠানপ্রধানরা নতুন কিছু দেখাবেন বললেও বহু পুরোনো নাটকও দেখা যাবে টিভির পর্দায়। প্রচার আটকে থাকা সেসব নাটক জায়গা করে নিচ্ছে এবারের ঈদ অনুষ্ঠানমালায়। যেমন ঈদে নাগরিক টিভিতে থাকছে বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত নাটকও। সিনেমা নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত এ চিত্রনায়িকার এই নাটকের শুটিং হয়েছে সাত বছর আগে। অপূর্ব-মেহজাবীন জুটির একটি নাটক দেখা যাবে, যার শুটিং হয়েছিল চার বছর আগে। কয়েকটি চ্যানেলই এমন নতুন-পুরোনো মিলে অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে। সেক্ষেত্রে দর্শক আগে যা দেখেননি এমন অনুষ্ঠানই দেখবেন বলে বেশির ভাগ চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
পান্থ কানাই।
পান্থ কানাই।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই। তাঁর এবারের গানের শিরোনাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’।

এই সময়ের অস্থিরতা ও হতাশা ফুটে উঠেছে পান্থর নতুন এই গানে। মানুষ যেন তাদের বিবেককে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, সে প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে গানের কথায়। ফারুক আনোয়ারের লেখা গানটিতে সুর দিয়েছেন কামাল আহমেদ, সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ। গানের ভিডিও বানিয়েছেন সম্রাট আহমেদ। জানা গেছে, এফ এ মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে শিগগির প্রকাশ পাবে গানটি।

আবার তোরা মানুষ হ গানটি নিয়ে গীতিকার ফারুক আনোয়ার বলেন, ‘সময়টা অস্বস্তিকর। চারপাশে এত শব্দ, অথচ সত্যি কথাগুলো যেন আরও একা হয়ে পড়ছে। ভাঙচুর শুধু রাস্তায় নয়, মানুষের ভেতরেও চলছে। এই গান কাউকে দোষারোপ করতে নয়, নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করাতে। সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর মধ্যে কোনো সফলতা নেই। বরং ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মঙ্গলে পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় বহন করে।’

আবার তোরা মানুষ হ ছাড়াও পান্থ কানাইয়ের আরও কিছু নতুন গান রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে ৩০টির বেশি গান আছে, সব আমার নিজের সুর ও সংগীতে। সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, কোন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করব। তবে তিনটি গানের রেকর্ডিং আর ভিডিওর শুটিং পুরোপুরি শেষ।’ গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর বিটিভিতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র যে নতুন পর্বটি প্রচারিত হবে, তাতেও রয়েছে পান্থ কানাইয়ের গান। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ওই গানে তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি।

ছোটদের মধ্যে সংগীতকে ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সালে পান্থ কানাই শুরু করেছিলেন সংগীত শেখানোর স্কুল ‘ড্রামবাজ’। তবে করোনার সময় থেমে যায় এ উদ্যোগ। এখন আবার প্রতিষ্ঠানটি শুরুর স্বপ্ন দেখছেন পান্থ কানাই। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নটা এখনো মরেনি। মনমতো জায়গা পেলে আবার শুরু করব। আবার ড্রামস, গিটার, গান শেখানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আবুল হায়াত ও ডলি জহুরকে নিয়ে ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ নাটকের দৃশ্যে ডলি জহুর ও আবুল হায়াত। ছবি: সংগৃহীত
‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ নাটকের দৃশ্যে ডলি জহুর ও আবুল হায়াত। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। টানা তিন দিনের শুটিং শেষে এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। নতুন বছর উপলক্ষে নাটকটি প্রকাশ করা হবে রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে।

লাইফ ইজ বিউটিফুল নিয়ে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘কমেডি আর থ্রিলার গল্পের ভিড়ে দর্শক এখন পারিবারিক গল্পের নাটকে স্বস্তি খোঁজেন। প্রযোজক আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নতুন করে ঝুঁকছে পারিবারিক সম্পর্কের গল্পে। ২৪ বছর ধরে আমি সম্পর্ক, ভালোবাসা আর জীবনের নানা টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক, টেলিফিল্ম বানিয়েছি। সে কারণেই প্রযোজক জামাল ভাই আমাকে নব্বইয়ের দশকের আবেগ নিয়ে একটি নাটক নির্মাণের জন্য বললেন। গল্পটা তিনি খুব পছন্দ করেছেন। শান্তনু ভালো লেখে। আমি কী চাই তা ভালো বোঝে সে। চমৎকার একটি চিত্রনাট্য লিখেছে সে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই বেছে নিয়েছি আবুল হায়াত আর ডলি জহুরের মতো গুণী দুই শিল্পীকে। দারুণ একটি নাটক হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, দর্শকের মন জয় করতে পারব।’

অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে চয়নিকা সব সময়ই ভীষণ সচেতন, বিচক্ষণ। তাঁর নাটকে গল্পই হচ্ছে প্রাণ। আর যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে নিজের মতো করে অভিনয়টা করার সুযোগ পান। লাইফ ইজ বিউটিফুল নাটকটি নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেক দিন পর ডলির সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগল।’

ডলি জহুর বলেন, ‘হায়াত ভাই বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে বহু নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছি। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ চয়নকে এত সুন্দর একটি গল্প নির্বাচনের জন্য। নাটকটি প্রচারে এলে আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনের ছুটিতে বটতলার ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: বটতলার সৌজন্যে
‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: বটতলার সৌজন্যে

নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে। বড়দিনের ছুটিতে রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকের দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বটতলা নাট্যদল।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে রাইজ অ্যান্ড শাইন। ইতালীয় নাট্যকার যুগল দারিও ফো ও ফ্র্যাঙ্কা রামের লেখা নাটকটি ইংরেজি থেকে রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম, নির্দেশনা দিয়েছেন ম. সাঈদ।

বটতলা নাট্যদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাইজ অ্যান্ড শাইন মূলত একজন শ্রমজীবী নারীর দৈনন্দিন জীবনসংগ্রামের মোড়কে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের গল্প। ক্ষমতাচর্চার বিবিধ সমীকরণে পিষ্ট মানুষ কীভাবে বাঁচে, তারই শিল্পিত উপস্থাপন এই নাটক। মঞ্চে একজন মরিয়মের মা প্রতিনিধিত্ব করেন দীপু চন্দ্র দাসের মতো যেকোনো শ্রমজীবী, প্রান্তিক, ভাগ্যাহত মানুষের।

নির্দেশক বলেন, ‘এটি আমাদের সবার গল্প। প্রায় সব নারীর, সব মায়ের, সব কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীবনাচার, তার রোজনামচা, সংসারের যন্ত্রণা চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন।’

এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা, তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, হাফিজা আক্তার ঝুমা, শাহ নেওয়াজ ইফতিসহ অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির জন্য গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘কোটি হাদির ডাক’ গানের পোস্টার
‘কোটি হাদির ডাক’ গানের পোস্টার

১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জিয়ার লেখা আরও এক গান ‘এই হাদি একা নয়, হাদি কোটি লক্ষ’। ১৮ ডিসেম্বর মারা গেছেন হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতি ও বিপ্লবী চেতনাকে সংগীতে ধারণ করে এবার নতুন গান লিখেছেন জিয়া হক। মুনাইম বিল্লাহর কণ্ঠে গতকাল ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘কোটি হাদির ডাক’ শিরোনামের গানটি। সুর করেছেন আবু উবায়দা।

নতুন গানটি প্রসঙ্গে মুনাইম বিল্লাহ বলেন, ‘কোটি হাদির ডাক শুধু একটি গান নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি বিপ্লবের প্রতিধ্বনি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের যে চেতনা, যে সাহস, এই গান তারই স্বীকৃতি। এই গান শুধু বিপ্লবী মানুষের নয়, সাধারণ মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলবে এবং হাদি ভাইকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।’

অন্যদিকে ব্যান্ড বাংলাদেশ রেবেলস তাদের দুটি গান উৎসর্গ করেছে শরিফ ওসমান হাদিকে। গান দুটি হলো ‘এ কোন লাশ যায় না চেনা’ ও ‘আমি হুংকার দিয়ে আসব’। এখন থেকে প্রতিটি শোতে তারা হাদির স্মরণে গান দুটি গাইবে বলে জানিয়েছে। ব্যান্ডের ভোকাল মালিহা তাবাসসুম খেয়া বলেন, ‘হাদি ছিলেন নিখুঁত দেশপ্রেমিক। আমাদের গান তিনি খুব পছন্দ করতেন। ঢাকায় আমাদের শো মানেই হাদি ভাই উপস্থিত! এই দুটি গান তিনি সব সময় গাইবার জন্য বলতেন। তাই গান দুটি তাঁকে উৎসর্গ করলাম। এখন থেকে আমাদের ব্যান্ড প্রতিটি শোতে গান দুটি পরিবেশন করবে এবং হাদি ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত