আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
৫২ বছর বয়সী এই শিল্পী আসাম ও বাইরের লাখ লাখ ভক্তের কাছে পূজনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ এক বিবৃতিতে জানান, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গার্গের খিঁচুনি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও জাতীয় পরিচিতি
১৯৭২ সালে আসামের জোরহাট শহরে কবি মোহিনী মোহন বরঠাকুর এবং গায়িকা ইলি বরঠাকুরের ঘরে জন্ম নেওয়া জুবিন মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। শিক্ষকসহ অনেকের কাছে তিনি ‘শিশু প্রতিভা’ হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ডজনখানেক ভাষা ও উপভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেন। ২০০৬ সালে বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার: আ লাভ স্টোরি’র বিখ্যাত গান ‘ইয়া আলী’র মাধ্যমে তিনি জাতীয় স্তরে বিপুল পরিচিতি পান। পরের বছর তিনি একটি নন-ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য গান কম্পোজ করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনয় ও পরিচালনায়ও তাঁর পদচারণ ছিল।
ঐক্যের প্রতীক: ধর্ম ও ভাষার বিভেদ ঘোচানো কণ্ঠ
জুবিন গার্গের সংগীত এমন এক সময়ে হিন্দু-মুসলিম ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে ঐক্যের বিরল প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যখন আসামে এই বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ট্রাকচালক ইমাম হুসেনের (৪২) মতো বাংলাভাষী মুসলিমরা, যাদের প্রায়শই ‘বহিরাগত’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করা হয়, তাঁরা জুবিনের (তিনি একজন হিন্দু) গানে শান্তি খুঁজে পেতেন। হুসেন বলেন, ‘তাঁর গান ছিল আমার ভেতরের শান্তি।’
জুবিনের মৃত্যুর পর এই ঐক্যের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাঁর গান বাজিয়েছে, আর মুসলিম নেতারা তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন, যা সাধারণত ইসলামি রীতিতে প্রচলিত নয়। আসামের বাঙালি-মুসলিম সম্প্রদায়ের গাওয়া ভক্তিমূলক লোকসংগীত ‘জিকির’ গেয়ে জুবিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সর্বজনীন মনোভাব তাঁকে সব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয় করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবরার নাদিম বলেন, জুবিনের গান ‘এই মায়ার ধরাত’ (এই পার্থিব আনন্দের পৃথিবীতে) তাঁকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি এনেছিল। তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার করেও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ, যা শেষে শূন্যতায় পর্যবসিত হয়—এই গানে সেই কথা বলা হয়েছে।
নাস্তিক, বামপন্থী ও প্রথাবিরোধী শিল্পী
জুবিন গার্গ বহুবার নিজেকে ‘নাস্তিক’ এবং ‘সামাজিক বামপন্থী’ (social leftist) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে রাজ্যের মূলধারার রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে দূরে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতে গভীরভাবে প্রোথিত জাতিভেদ (বর্ণ) প্রথার কট্টর সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একজন মানুষ। আমার কোনো জাত, ধর্ম বা ঈশ্বর নেই। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা।’
তাঁর এই প্রথা ভাঙার সাহস তাঁকে আসামের সাংস্কৃতিক জগতে এক ‘আইকনোক্লাস্ট’ (প্রথাবিরোধী) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুবিন মঞ্চে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গান গাইতেন এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি প্রায়শই স্পষ্ট বিরোধিতা দেখাতেন।
তিনি ২০১৯ সালে মুসলিমদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। জাতিসংঘ এই আইনকে ওই সময় ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছিল।

রাজনৈতিক শোক ও উত্তরাধিকারের দাবি
জুবিন গার্গের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সংগীতে তাঁর সমৃদ্ধ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অখিল রঞ্জন দত্ত মনে করেন, হিন্দু সংখ্যাগুরুত্ববাদী দল বিজেপির এই শোক প্রকাশের একটি কারণ রয়েছে। জুবিন গার্গ প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের নীতি ও কাজের সমালোচনা করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের আক্রমণ করতেন না। দত্ত বলেন, ‘এতে বিজেপির পক্ষে তাঁর উত্তরাধিকারকে গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়; কারণ, তাঁর প্রতি শোক প্রকাশ না করলে তারা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়ত।’
অন্যদিকে, জুবিন গার্গ বাংলাভাষী মুসলিমদের কখনো খারাপভাবে চিত্রিত করেননি। তাঁর এই অসাম্প্রদায়িক অবস্থান তাঁকে এমন একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যিনি ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান এবং সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান ও জনতার শ্রদ্ধা
জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুতে আসাম সরকার চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। ২১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখ লাখ ভক্ত স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা একযোগে তাঁর বিখ্যাত গানগুলো গাইতে গাইতে হাঁটেন। শোক শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং ২১ বার গান স্যালুটে তাঁকে দাহ করা হয়। এই দৃশ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে এক বিরল ঐক্যের মুহূর্ত তৈরি করে।
ট্রাকচালক হুসেন যখন জুবিনের ছবিযুক্ত টি-শার্ট পরে তাঁর বিখ্যাত গান ‘মায়া’ গুনগুন করছিলেন, তখন তাঁর কাছে জুবিনের সংগীতে হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়া-বাঙালিনির্বিশেষে সবার জন্য আসাম—এই ধারণা নিয়ে কোনো বিভ্রম ছিল না।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
৫২ বছর বয়সী এই শিল্পী আসাম ও বাইরের লাখ লাখ ভক্তের কাছে পূজনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ এক বিবৃতিতে জানান, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গার্গের খিঁচুনি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও জাতীয় পরিচিতি
১৯৭২ সালে আসামের জোরহাট শহরে কবি মোহিনী মোহন বরঠাকুর এবং গায়িকা ইলি বরঠাকুরের ঘরে জন্ম নেওয়া জুবিন মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। শিক্ষকসহ অনেকের কাছে তিনি ‘শিশু প্রতিভা’ হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ডজনখানেক ভাষা ও উপভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেন। ২০০৬ সালে বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার: আ লাভ স্টোরি’র বিখ্যাত গান ‘ইয়া আলী’র মাধ্যমে তিনি জাতীয় স্তরে বিপুল পরিচিতি পান। পরের বছর তিনি একটি নন-ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য গান কম্পোজ করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনয় ও পরিচালনায়ও তাঁর পদচারণ ছিল।
ঐক্যের প্রতীক: ধর্ম ও ভাষার বিভেদ ঘোচানো কণ্ঠ
জুবিন গার্গের সংগীত এমন এক সময়ে হিন্দু-মুসলিম ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে ঐক্যের বিরল প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যখন আসামে এই বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ট্রাকচালক ইমাম হুসেনের (৪২) মতো বাংলাভাষী মুসলিমরা, যাদের প্রায়শই ‘বহিরাগত’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করা হয়, তাঁরা জুবিনের (তিনি একজন হিন্দু) গানে শান্তি খুঁজে পেতেন। হুসেন বলেন, ‘তাঁর গান ছিল আমার ভেতরের শান্তি।’
জুবিনের মৃত্যুর পর এই ঐক্যের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাঁর গান বাজিয়েছে, আর মুসলিম নেতারা তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন, যা সাধারণত ইসলামি রীতিতে প্রচলিত নয়। আসামের বাঙালি-মুসলিম সম্প্রদায়ের গাওয়া ভক্তিমূলক লোকসংগীত ‘জিকির’ গেয়ে জুবিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সর্বজনীন মনোভাব তাঁকে সব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয় করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবরার নাদিম বলেন, জুবিনের গান ‘এই মায়ার ধরাত’ (এই পার্থিব আনন্দের পৃথিবীতে) তাঁকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি এনেছিল। তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার করেও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ, যা শেষে শূন্যতায় পর্যবসিত হয়—এই গানে সেই কথা বলা হয়েছে।
নাস্তিক, বামপন্থী ও প্রথাবিরোধী শিল্পী
জুবিন গার্গ বহুবার নিজেকে ‘নাস্তিক’ এবং ‘সামাজিক বামপন্থী’ (social leftist) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে রাজ্যের মূলধারার রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে দূরে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতে গভীরভাবে প্রোথিত জাতিভেদ (বর্ণ) প্রথার কট্টর সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একজন মানুষ। আমার কোনো জাত, ধর্ম বা ঈশ্বর নেই। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা।’
তাঁর এই প্রথা ভাঙার সাহস তাঁকে আসামের সাংস্কৃতিক জগতে এক ‘আইকনোক্লাস্ট’ (প্রথাবিরোধী) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুবিন মঞ্চে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গান গাইতেন এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি প্রায়শই স্পষ্ট বিরোধিতা দেখাতেন।
তিনি ২০১৯ সালে মুসলিমদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। জাতিসংঘ এই আইনকে ওই সময় ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছিল।

রাজনৈতিক শোক ও উত্তরাধিকারের দাবি
জুবিন গার্গের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সংগীতে তাঁর সমৃদ্ধ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অখিল রঞ্জন দত্ত মনে করেন, হিন্দু সংখ্যাগুরুত্ববাদী দল বিজেপির এই শোক প্রকাশের একটি কারণ রয়েছে। জুবিন গার্গ প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের নীতি ও কাজের সমালোচনা করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের আক্রমণ করতেন না। দত্ত বলেন, ‘এতে বিজেপির পক্ষে তাঁর উত্তরাধিকারকে গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়; কারণ, তাঁর প্রতি শোক প্রকাশ না করলে তারা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়ত।’
অন্যদিকে, জুবিন গার্গ বাংলাভাষী মুসলিমদের কখনো খারাপভাবে চিত্রিত করেননি। তাঁর এই অসাম্প্রদায়িক অবস্থান তাঁকে এমন একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যিনি ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান এবং সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান ও জনতার শ্রদ্ধা
জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুতে আসাম সরকার চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। ২১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখ লাখ ভক্ত স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা একযোগে তাঁর বিখ্যাত গানগুলো গাইতে গাইতে হাঁটেন। শোক শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং ২১ বার গান স্যালুটে তাঁকে দাহ করা হয়। এই দৃশ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে এক বিরল ঐক্যের মুহূর্ত তৈরি করে।
ট্রাকচালক হুসেন যখন জুবিনের ছবিযুক্ত টি-শার্ট পরে তাঁর বিখ্যাত গান ‘মায়া’ গুনগুন করছিলেন, তখন তাঁর কাছে জুবিনের সংগীতে হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়া-বাঙালিনির্বিশেষে সবার জন্য আসাম—এই ধারণা নিয়ে কোনো বিভ্রম ছিল না।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
৫২ বছর বয়সী এই শিল্পী আসাম ও বাইরের লাখ লাখ ভক্তের কাছে পূজনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ এক বিবৃতিতে জানান, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গার্গের খিঁচুনি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও জাতীয় পরিচিতি
১৯৭২ সালে আসামের জোরহাট শহরে কবি মোহিনী মোহন বরঠাকুর এবং গায়িকা ইলি বরঠাকুরের ঘরে জন্ম নেওয়া জুবিন মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। শিক্ষকসহ অনেকের কাছে তিনি ‘শিশু প্রতিভা’ হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ডজনখানেক ভাষা ও উপভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেন। ২০০৬ সালে বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার: আ লাভ স্টোরি’র বিখ্যাত গান ‘ইয়া আলী’র মাধ্যমে তিনি জাতীয় স্তরে বিপুল পরিচিতি পান। পরের বছর তিনি একটি নন-ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য গান কম্পোজ করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনয় ও পরিচালনায়ও তাঁর পদচারণ ছিল।
ঐক্যের প্রতীক: ধর্ম ও ভাষার বিভেদ ঘোচানো কণ্ঠ
জুবিন গার্গের সংগীত এমন এক সময়ে হিন্দু-মুসলিম ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে ঐক্যের বিরল প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যখন আসামে এই বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ট্রাকচালক ইমাম হুসেনের (৪২) মতো বাংলাভাষী মুসলিমরা, যাদের প্রায়শই ‘বহিরাগত’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করা হয়, তাঁরা জুবিনের (তিনি একজন হিন্দু) গানে শান্তি খুঁজে পেতেন। হুসেন বলেন, ‘তাঁর গান ছিল আমার ভেতরের শান্তি।’
জুবিনের মৃত্যুর পর এই ঐক্যের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাঁর গান বাজিয়েছে, আর মুসলিম নেতারা তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন, যা সাধারণত ইসলামি রীতিতে প্রচলিত নয়। আসামের বাঙালি-মুসলিম সম্প্রদায়ের গাওয়া ভক্তিমূলক লোকসংগীত ‘জিকির’ গেয়ে জুবিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সর্বজনীন মনোভাব তাঁকে সব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয় করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবরার নাদিম বলেন, জুবিনের গান ‘এই মায়ার ধরাত’ (এই পার্থিব আনন্দের পৃথিবীতে) তাঁকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি এনেছিল। তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার করেও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ, যা শেষে শূন্যতায় পর্যবসিত হয়—এই গানে সেই কথা বলা হয়েছে।
নাস্তিক, বামপন্থী ও প্রথাবিরোধী শিল্পী
জুবিন গার্গ বহুবার নিজেকে ‘নাস্তিক’ এবং ‘সামাজিক বামপন্থী’ (social leftist) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে রাজ্যের মূলধারার রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে দূরে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতে গভীরভাবে প্রোথিত জাতিভেদ (বর্ণ) প্রথার কট্টর সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একজন মানুষ। আমার কোনো জাত, ধর্ম বা ঈশ্বর নেই। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা।’
তাঁর এই প্রথা ভাঙার সাহস তাঁকে আসামের সাংস্কৃতিক জগতে এক ‘আইকনোক্লাস্ট’ (প্রথাবিরোধী) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুবিন মঞ্চে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গান গাইতেন এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি প্রায়শই স্পষ্ট বিরোধিতা দেখাতেন।
তিনি ২০১৯ সালে মুসলিমদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। জাতিসংঘ এই আইনকে ওই সময় ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছিল।

রাজনৈতিক শোক ও উত্তরাধিকারের দাবি
জুবিন গার্গের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সংগীতে তাঁর সমৃদ্ধ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অখিল রঞ্জন দত্ত মনে করেন, হিন্দু সংখ্যাগুরুত্ববাদী দল বিজেপির এই শোক প্রকাশের একটি কারণ রয়েছে। জুবিন গার্গ প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের নীতি ও কাজের সমালোচনা করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের আক্রমণ করতেন না। দত্ত বলেন, ‘এতে বিজেপির পক্ষে তাঁর উত্তরাধিকারকে গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়; কারণ, তাঁর প্রতি শোক প্রকাশ না করলে তারা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়ত।’
অন্যদিকে, জুবিন গার্গ বাংলাভাষী মুসলিমদের কখনো খারাপভাবে চিত্রিত করেননি। তাঁর এই অসাম্প্রদায়িক অবস্থান তাঁকে এমন একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যিনি ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান এবং সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান ও জনতার শ্রদ্ধা
জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুতে আসাম সরকার চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। ২১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখ লাখ ভক্ত স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা একযোগে তাঁর বিখ্যাত গানগুলো গাইতে গাইতে হাঁটেন। শোক শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং ২১ বার গান স্যালুটে তাঁকে দাহ করা হয়। এই দৃশ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে এক বিরল ঐক্যের মুহূর্ত তৈরি করে।
ট্রাকচালক হুসেন যখন জুবিনের ছবিযুক্ত টি-শার্ট পরে তাঁর বিখ্যাত গান ‘মায়া’ গুনগুন করছিলেন, তখন তাঁর কাছে জুবিনের সংগীতে হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়া-বাঙালিনির্বিশেষে সবার জন্য আসাম—এই ধারণা নিয়ে কোনো বিভ্রম ছিল না।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
৫২ বছর বয়সী এই শিল্পী আসাম ও বাইরের লাখ লাখ ভক্তের কাছে পূজনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ এক বিবৃতিতে জানান, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গার্গের খিঁচুনি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও জাতীয় পরিচিতি
১৯৭২ সালে আসামের জোরহাট শহরে কবি মোহিনী মোহন বরঠাকুর এবং গায়িকা ইলি বরঠাকুরের ঘরে জন্ম নেওয়া জুবিন মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। শিক্ষকসহ অনেকের কাছে তিনি ‘শিশু প্রতিভা’ হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ডজনখানেক ভাষা ও উপভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেন। ২০০৬ সালে বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার: আ লাভ স্টোরি’র বিখ্যাত গান ‘ইয়া আলী’র মাধ্যমে তিনি জাতীয় স্তরে বিপুল পরিচিতি পান। পরের বছর তিনি একটি নন-ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য গান কম্পোজ করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনয় ও পরিচালনায়ও তাঁর পদচারণ ছিল।
ঐক্যের প্রতীক: ধর্ম ও ভাষার বিভেদ ঘোচানো কণ্ঠ
জুবিন গার্গের সংগীত এমন এক সময়ে হিন্দু-মুসলিম ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে ঐক্যের বিরল প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যখন আসামে এই বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ট্রাকচালক ইমাম হুসেনের (৪২) মতো বাংলাভাষী মুসলিমরা, যাদের প্রায়শই ‘বহিরাগত’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করা হয়, তাঁরা জুবিনের (তিনি একজন হিন্দু) গানে শান্তি খুঁজে পেতেন। হুসেন বলেন, ‘তাঁর গান ছিল আমার ভেতরের শান্তি।’
জুবিনের মৃত্যুর পর এই ঐক্যের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাঁর গান বাজিয়েছে, আর মুসলিম নেতারা তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন, যা সাধারণত ইসলামি রীতিতে প্রচলিত নয়। আসামের বাঙালি-মুসলিম সম্প্রদায়ের গাওয়া ভক্তিমূলক লোকসংগীত ‘জিকির’ গেয়ে জুবিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সর্বজনীন মনোভাব তাঁকে সব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয় করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবরার নাদিম বলেন, জুবিনের গান ‘এই মায়ার ধরাত’ (এই পার্থিব আনন্দের পৃথিবীতে) তাঁকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি এনেছিল। তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার করেও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ, যা শেষে শূন্যতায় পর্যবসিত হয়—এই গানে সেই কথা বলা হয়েছে।
নাস্তিক, বামপন্থী ও প্রথাবিরোধী শিল্পী
জুবিন গার্গ বহুবার নিজেকে ‘নাস্তিক’ এবং ‘সামাজিক বামপন্থী’ (social leftist) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে রাজ্যের মূলধারার রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে দূরে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতে গভীরভাবে প্রোথিত জাতিভেদ (বর্ণ) প্রথার কট্টর সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একজন মানুষ। আমার কোনো জাত, ধর্ম বা ঈশ্বর নেই। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা।’
তাঁর এই প্রথা ভাঙার সাহস তাঁকে আসামের সাংস্কৃতিক জগতে এক ‘আইকনোক্লাস্ট’ (প্রথাবিরোধী) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুবিন মঞ্চে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গান গাইতেন এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি প্রায়শই স্পষ্ট বিরোধিতা দেখাতেন।
তিনি ২০১৯ সালে মুসলিমদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। জাতিসংঘ এই আইনকে ওই সময় ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছিল।

রাজনৈতিক শোক ও উত্তরাধিকারের দাবি
জুবিন গার্গের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সংগীতে তাঁর সমৃদ্ধ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অখিল রঞ্জন দত্ত মনে করেন, হিন্দু সংখ্যাগুরুত্ববাদী দল বিজেপির এই শোক প্রকাশের একটি কারণ রয়েছে। জুবিন গার্গ প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের নীতি ও কাজের সমালোচনা করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের আক্রমণ করতেন না। দত্ত বলেন, ‘এতে বিজেপির পক্ষে তাঁর উত্তরাধিকারকে গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়; কারণ, তাঁর প্রতি শোক প্রকাশ না করলে তারা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়ত।’
অন্যদিকে, জুবিন গার্গ বাংলাভাষী মুসলিমদের কখনো খারাপভাবে চিত্রিত করেননি। তাঁর এই অসাম্প্রদায়িক অবস্থান তাঁকে এমন একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যিনি ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান এবং সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান ও জনতার শ্রদ্ধা
জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুতে আসাম সরকার চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। ২১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখ লাখ ভক্ত স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা একযোগে তাঁর বিখ্যাত গানগুলো গাইতে গাইতে হাঁটেন। শোক শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং ২১ বার গান স্যালুটে তাঁকে দাহ করা হয়। এই দৃশ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে এক বিরল ঐক্যের মুহূর্ত তৈরি করে।
ট্রাকচালক হুসেন যখন জুবিনের ছবিযুক্ত টি-শার্ট পরে তাঁর বিখ্যাত গান ‘মায়া’ গুনগুন করছিলেন, তখন তাঁর কাছে জুবিনের সংগীতে হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়া-বাঙালিনির্বিশেষে সবার জন্য আসাম—এই ধারণা নিয়ে কোনো বিভ্রম ছিল না।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
৭ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
৭ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
৭ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
৭ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
৭ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
৭ ঘণ্টা আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
শাম্মী ইসলাম নীলা
২০২৩ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর শিরোপা জিতেছিলেন শাম্মী ইসলাম নীলা। এ বছর প্রথমবার নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। হাসিব হোসাইন রাখির ‘ফার্স্ট লাভ’ নাটকে তৌসিফ মাহবুবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথম নাটকেই অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন নীলা।

পারশা মাহজাবীন
২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময় প্রতিবাদী গান দিয়ে আলোচনায় ছিলেন পারশা মাহজাবীন। এ বছর পারশা আলো ছড়িয়েছেন পর্দায়। ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায় পারশা অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এতে ঊষা চরিত্রে প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়।
সাদমিনা ও নাওভি
গত অক্টোবরে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া মাহমুদা সুলতানার ‘লিটল মিস ক্যাওস’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে পরিচিতি পান তরুণ দুই অভিনয়শিল্পী সাদমিনা বিনতে নোমান ও সাদ নাওভি।

তাবাসসুম ছোঁয়া
ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে অভিনয় শুরু তাবাসসুম ছোঁয়ার। এ বছর ইউটিউবে প্রচারিত ‘দেনা পাওনা’ নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। নিপা চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। একক নাটকেও অভিনয় করছেন ছোঁয়া।

মিষ্টি ঘোষ
২০২৩ সালে সাগর জাহানের ‘ভালোবাসার অলিগলি’ নাটকে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মিষ্টি ঘোষ। তবে আলোচনায় আসেন এ বছর অনুষ্ঠিত দীপ্ত টিভির অভিনয়বিষয়ক রিয়েলিটি শো স্টার হান্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এরপর নাম লেখান দীপ্ত টিভির মেগা ধারাবাহিক ‘খুশবু’তে। সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত এই নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।

সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
শাম্মী ইসলাম নীলা
২০২৩ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর শিরোপা জিতেছিলেন শাম্মী ইসলাম নীলা। এ বছর প্রথমবার নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। হাসিব হোসাইন রাখির ‘ফার্স্ট লাভ’ নাটকে তৌসিফ মাহবুবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথম নাটকেই অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন নীলা।

পারশা মাহজাবীন
২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময় প্রতিবাদী গান দিয়ে আলোচনায় ছিলেন পারশা মাহজাবীন। এ বছর পারশা আলো ছড়িয়েছেন পর্দায়। ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায় পারশা অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এতে ঊষা চরিত্রে প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়।
সাদমিনা ও নাওভি
গত অক্টোবরে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া মাহমুদা সুলতানার ‘লিটল মিস ক্যাওস’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে পরিচিতি পান তরুণ দুই অভিনয়শিল্পী সাদমিনা বিনতে নোমান ও সাদ নাওভি।

তাবাসসুম ছোঁয়া
ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে অভিনয় শুরু তাবাসসুম ছোঁয়ার। এ বছর ইউটিউবে প্রচারিত ‘দেনা পাওনা’ নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। নিপা চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। একক নাটকেও অভিনয় করছেন ছোঁয়া।

মিষ্টি ঘোষ
২০২৩ সালে সাগর জাহানের ‘ভালোবাসার অলিগলি’ নাটকে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মিষ্টি ঘোষ। তবে আলোচনায় আসেন এ বছর অনুষ্ঠিত দীপ্ত টিভির অভিনয়বিষয়ক রিয়েলিটি শো স্টার হান্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এরপর নাম লেখান দীপ্ত টিভির মেগা ধারাবাহিক ‘খুশবু’তে। সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত এই নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
৭ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
৭ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে