আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
৫২ বছর বয়সী এই শিল্পী আসাম ও বাইরের লাখ লাখ ভক্তের কাছে পূজনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ এক বিবৃতিতে জানান, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গার্গের খিঁচুনি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও জাতীয় পরিচিতি
১৯৭২ সালে আসামের জোরহাট শহরে কবি মোহিনী মোহন বরঠাকুর এবং গায়িকা ইলি বরঠাকুরের ঘরে জন্ম নেওয়া জুবিন মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। শিক্ষকসহ অনেকের কাছে তিনি ‘শিশু প্রতিভা’ হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ডজনখানেক ভাষা ও উপভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেন। ২০০৬ সালে বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার: আ লাভ স্টোরি’র বিখ্যাত গান ‘ইয়া আলী’র মাধ্যমে তিনি জাতীয় স্তরে বিপুল পরিচিতি পান। পরের বছর তিনি একটি নন-ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য গান কম্পোজ করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনয় ও পরিচালনায়ও তাঁর পদচারণ ছিল।
ঐক্যের প্রতীক: ধর্ম ও ভাষার বিভেদ ঘোচানো কণ্ঠ
জুবিন গার্গের সংগীত এমন এক সময়ে হিন্দু-মুসলিম ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে ঐক্যের বিরল প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যখন আসামে এই বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ট্রাকচালক ইমাম হুসেনের (৪২) মতো বাংলাভাষী মুসলিমরা, যাদের প্রায়শই ‘বহিরাগত’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করা হয়, তাঁরা জুবিনের (তিনি একজন হিন্দু) গানে শান্তি খুঁজে পেতেন। হুসেন বলেন, ‘তাঁর গান ছিল আমার ভেতরের শান্তি।’
জুবিনের মৃত্যুর পর এই ঐক্যের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাঁর গান বাজিয়েছে, আর মুসলিম নেতারা তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন, যা সাধারণত ইসলামি রীতিতে প্রচলিত নয়। আসামের বাঙালি-মুসলিম সম্প্রদায়ের গাওয়া ভক্তিমূলক লোকসংগীত ‘জিকির’ গেয়ে জুবিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সর্বজনীন মনোভাব তাঁকে সব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয় করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবরার নাদিম বলেন, জুবিনের গান ‘এই মায়ার ধরাত’ (এই পার্থিব আনন্দের পৃথিবীতে) তাঁকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি এনেছিল। তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার করেও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ, যা শেষে শূন্যতায় পর্যবসিত হয়—এই গানে সেই কথা বলা হয়েছে।
নাস্তিক, বামপন্থী ও প্রথাবিরোধী শিল্পী
জুবিন গার্গ বহুবার নিজেকে ‘নাস্তিক’ এবং ‘সামাজিক বামপন্থী’ (social leftist) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে রাজ্যের মূলধারার রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে দূরে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতে গভীরভাবে প্রোথিত জাতিভেদ (বর্ণ) প্রথার কট্টর সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একজন মানুষ। আমার কোনো জাত, ধর্ম বা ঈশ্বর নেই। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা।’
তাঁর এই প্রথা ভাঙার সাহস তাঁকে আসামের সাংস্কৃতিক জগতে এক ‘আইকনোক্লাস্ট’ (প্রথাবিরোধী) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুবিন মঞ্চে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গান গাইতেন এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি প্রায়শই স্পষ্ট বিরোধিতা দেখাতেন।
তিনি ২০১৯ সালে মুসলিমদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। জাতিসংঘ এই আইনকে ওই সময় ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছিল।

রাজনৈতিক শোক ও উত্তরাধিকারের দাবি
জুবিন গার্গের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সংগীতে তাঁর সমৃদ্ধ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অখিল রঞ্জন দত্ত মনে করেন, হিন্দু সংখ্যাগুরুত্ববাদী দল বিজেপির এই শোক প্রকাশের একটি কারণ রয়েছে। জুবিন গার্গ প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের নীতি ও কাজের সমালোচনা করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের আক্রমণ করতেন না। দত্ত বলেন, ‘এতে বিজেপির পক্ষে তাঁর উত্তরাধিকারকে গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়; কারণ, তাঁর প্রতি শোক প্রকাশ না করলে তারা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়ত।’
অন্যদিকে, জুবিন গার্গ বাংলাভাষী মুসলিমদের কখনো খারাপভাবে চিত্রিত করেননি। তাঁর এই অসাম্প্রদায়িক অবস্থান তাঁকে এমন একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যিনি ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান এবং সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান ও জনতার শ্রদ্ধা
জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুতে আসাম সরকার চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। ২১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখ লাখ ভক্ত স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা একযোগে তাঁর বিখ্যাত গানগুলো গাইতে গাইতে হাঁটেন। শোক শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং ২১ বার গান স্যালুটে তাঁকে দাহ করা হয়। এই দৃশ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে এক বিরল ঐক্যের মুহূর্ত তৈরি করে।
ট্রাকচালক হুসেন যখন জুবিনের ছবিযুক্ত টি-শার্ট পরে তাঁর বিখ্যাত গান ‘মায়া’ গুনগুন করছিলেন, তখন তাঁর কাছে জুবিনের সংগীতে হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়া-বাঙালিনির্বিশেষে সবার জন্য আসাম—এই ধারণা নিয়ে কোনো বিভ্রম ছিল না।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
৫২ বছর বয়সী এই শিল্পী আসাম ও বাইরের লাখ লাখ ভক্তের কাছে পূজনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ এক বিবৃতিতে জানান, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গার্গের খিঁচুনি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও জাতীয় পরিচিতি
১৯৭২ সালে আসামের জোরহাট শহরে কবি মোহিনী মোহন বরঠাকুর এবং গায়িকা ইলি বরঠাকুরের ঘরে জন্ম নেওয়া জুবিন মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। শিক্ষকসহ অনেকের কাছে তিনি ‘শিশু প্রতিভা’ হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ডজনখানেক ভাষা ও উপভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেন। ২০০৬ সালে বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার: আ লাভ স্টোরি’র বিখ্যাত গান ‘ইয়া আলী’র মাধ্যমে তিনি জাতীয় স্তরে বিপুল পরিচিতি পান। পরের বছর তিনি একটি নন-ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য গান কম্পোজ করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনয় ও পরিচালনায়ও তাঁর পদচারণ ছিল।
ঐক্যের প্রতীক: ধর্ম ও ভাষার বিভেদ ঘোচানো কণ্ঠ
জুবিন গার্গের সংগীত এমন এক সময়ে হিন্দু-মুসলিম ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে ঐক্যের বিরল প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যখন আসামে এই বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ট্রাকচালক ইমাম হুসেনের (৪২) মতো বাংলাভাষী মুসলিমরা, যাদের প্রায়শই ‘বহিরাগত’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করা হয়, তাঁরা জুবিনের (তিনি একজন হিন্দু) গানে শান্তি খুঁজে পেতেন। হুসেন বলেন, ‘তাঁর গান ছিল আমার ভেতরের শান্তি।’
জুবিনের মৃত্যুর পর এই ঐক্যের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাঁর গান বাজিয়েছে, আর মুসলিম নেতারা তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন, যা সাধারণত ইসলামি রীতিতে প্রচলিত নয়। আসামের বাঙালি-মুসলিম সম্প্রদায়ের গাওয়া ভক্তিমূলক লোকসংগীত ‘জিকির’ গেয়ে জুবিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সর্বজনীন মনোভাব তাঁকে সব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয় করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবরার নাদিম বলেন, জুবিনের গান ‘এই মায়ার ধরাত’ (এই পার্থিব আনন্দের পৃথিবীতে) তাঁকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি এনেছিল। তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার করেও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ, যা শেষে শূন্যতায় পর্যবসিত হয়—এই গানে সেই কথা বলা হয়েছে।
নাস্তিক, বামপন্থী ও প্রথাবিরোধী শিল্পী
জুবিন গার্গ বহুবার নিজেকে ‘নাস্তিক’ এবং ‘সামাজিক বামপন্থী’ (social leftist) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে রাজ্যের মূলধারার রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে দূরে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতে গভীরভাবে প্রোথিত জাতিভেদ (বর্ণ) প্রথার কট্টর সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একজন মানুষ। আমার কোনো জাত, ধর্ম বা ঈশ্বর নেই। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা।’
তাঁর এই প্রথা ভাঙার সাহস তাঁকে আসামের সাংস্কৃতিক জগতে এক ‘আইকনোক্লাস্ট’ (প্রথাবিরোধী) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুবিন মঞ্চে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গান গাইতেন এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি প্রায়শই স্পষ্ট বিরোধিতা দেখাতেন।
তিনি ২০১৯ সালে মুসলিমদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। জাতিসংঘ এই আইনকে ওই সময় ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছিল।

রাজনৈতিক শোক ও উত্তরাধিকারের দাবি
জুবিন গার্গের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সংগীতে তাঁর সমৃদ্ধ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অখিল রঞ্জন দত্ত মনে করেন, হিন্দু সংখ্যাগুরুত্ববাদী দল বিজেপির এই শোক প্রকাশের একটি কারণ রয়েছে। জুবিন গার্গ প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের নীতি ও কাজের সমালোচনা করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের আক্রমণ করতেন না। দত্ত বলেন, ‘এতে বিজেপির পক্ষে তাঁর উত্তরাধিকারকে গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়; কারণ, তাঁর প্রতি শোক প্রকাশ না করলে তারা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়ত।’
অন্যদিকে, জুবিন গার্গ বাংলাভাষী মুসলিমদের কখনো খারাপভাবে চিত্রিত করেননি। তাঁর এই অসাম্প্রদায়িক অবস্থান তাঁকে এমন একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যিনি ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান এবং সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান ও জনতার শ্রদ্ধা
জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুতে আসাম সরকার চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। ২১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখ লাখ ভক্ত স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা একযোগে তাঁর বিখ্যাত গানগুলো গাইতে গাইতে হাঁটেন। শোক শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং ২১ বার গান স্যালুটে তাঁকে দাহ করা হয়। এই দৃশ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে এক বিরল ঐক্যের মুহূর্ত তৈরি করে।
ট্রাকচালক হুসেন যখন জুবিনের ছবিযুক্ত টি-শার্ট পরে তাঁর বিখ্যাত গান ‘মায়া’ গুনগুন করছিলেন, তখন তাঁর কাছে জুবিনের সংগীতে হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়া-বাঙালিনির্বিশেষে সবার জন্য আসাম—এই ধারণা নিয়ে কোনো বিভ্রম ছিল না।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
৫২ বছর বয়সী এই শিল্পী আসাম ও বাইরের লাখ লাখ ভক্তের কাছে পূজনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ এক বিবৃতিতে জানান, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গার্গের খিঁচুনি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও জাতীয় পরিচিতি
১৯৭২ সালে আসামের জোরহাট শহরে কবি মোহিনী মোহন বরঠাকুর এবং গায়িকা ইলি বরঠাকুরের ঘরে জন্ম নেওয়া জুবিন মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। শিক্ষকসহ অনেকের কাছে তিনি ‘শিশু প্রতিভা’ হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ডজনখানেক ভাষা ও উপভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেন। ২০০৬ সালে বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার: আ লাভ স্টোরি’র বিখ্যাত গান ‘ইয়া আলী’র মাধ্যমে তিনি জাতীয় স্তরে বিপুল পরিচিতি পান। পরের বছর তিনি একটি নন-ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য গান কম্পোজ করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনয় ও পরিচালনায়ও তাঁর পদচারণ ছিল।
ঐক্যের প্রতীক: ধর্ম ও ভাষার বিভেদ ঘোচানো কণ্ঠ
জুবিন গার্গের সংগীত এমন এক সময়ে হিন্দু-মুসলিম ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে ঐক্যের বিরল প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যখন আসামে এই বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ট্রাকচালক ইমাম হুসেনের (৪২) মতো বাংলাভাষী মুসলিমরা, যাদের প্রায়শই ‘বহিরাগত’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করা হয়, তাঁরা জুবিনের (তিনি একজন হিন্দু) গানে শান্তি খুঁজে পেতেন। হুসেন বলেন, ‘তাঁর গান ছিল আমার ভেতরের শান্তি।’
জুবিনের মৃত্যুর পর এই ঐক্যের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাঁর গান বাজিয়েছে, আর মুসলিম নেতারা তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন, যা সাধারণত ইসলামি রীতিতে প্রচলিত নয়। আসামের বাঙালি-মুসলিম সম্প্রদায়ের গাওয়া ভক্তিমূলক লোকসংগীত ‘জিকির’ গেয়ে জুবিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সর্বজনীন মনোভাব তাঁকে সব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয় করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবরার নাদিম বলেন, জুবিনের গান ‘এই মায়ার ধরাত’ (এই পার্থিব আনন্দের পৃথিবীতে) তাঁকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি এনেছিল। তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার করেও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ, যা শেষে শূন্যতায় পর্যবসিত হয়—এই গানে সেই কথা বলা হয়েছে।
নাস্তিক, বামপন্থী ও প্রথাবিরোধী শিল্পী
জুবিন গার্গ বহুবার নিজেকে ‘নাস্তিক’ এবং ‘সামাজিক বামপন্থী’ (social leftist) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে রাজ্যের মূলধারার রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে দূরে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতে গভীরভাবে প্রোথিত জাতিভেদ (বর্ণ) প্রথার কট্টর সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একজন মানুষ। আমার কোনো জাত, ধর্ম বা ঈশ্বর নেই। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা।’
তাঁর এই প্রথা ভাঙার সাহস তাঁকে আসামের সাংস্কৃতিক জগতে এক ‘আইকনোক্লাস্ট’ (প্রথাবিরোধী) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুবিন মঞ্চে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গান গাইতেন এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি প্রায়শই স্পষ্ট বিরোধিতা দেখাতেন।
তিনি ২০১৯ সালে মুসলিমদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। জাতিসংঘ এই আইনকে ওই সময় ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছিল।

রাজনৈতিক শোক ও উত্তরাধিকারের দাবি
জুবিন গার্গের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সংগীতে তাঁর সমৃদ্ধ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অখিল রঞ্জন দত্ত মনে করেন, হিন্দু সংখ্যাগুরুত্ববাদী দল বিজেপির এই শোক প্রকাশের একটি কারণ রয়েছে। জুবিন গার্গ প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের নীতি ও কাজের সমালোচনা করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের আক্রমণ করতেন না। দত্ত বলেন, ‘এতে বিজেপির পক্ষে তাঁর উত্তরাধিকারকে গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়; কারণ, তাঁর প্রতি শোক প্রকাশ না করলে তারা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়ত।’
অন্যদিকে, জুবিন গার্গ বাংলাভাষী মুসলিমদের কখনো খারাপভাবে চিত্রিত করেননি। তাঁর এই অসাম্প্রদায়িক অবস্থান তাঁকে এমন একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যিনি ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান এবং সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান ও জনতার শ্রদ্ধা
জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুতে আসাম সরকার চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। ২১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখ লাখ ভক্ত স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা একযোগে তাঁর বিখ্যাত গানগুলো গাইতে গাইতে হাঁটেন। শোক শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং ২১ বার গান স্যালুটে তাঁকে দাহ করা হয়। এই দৃশ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে এক বিরল ঐক্যের মুহূর্ত তৈরি করে।
ট্রাকচালক হুসেন যখন জুবিনের ছবিযুক্ত টি-শার্ট পরে তাঁর বিখ্যাত গান ‘মায়া’ গুনগুন করছিলেন, তখন তাঁর কাছে জুবিনের সংগীতে হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়া-বাঙালিনির্বিশেষে সবার জন্য আসাম—এই ধারণা নিয়ে কোনো বিভ্রম ছিল না।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
৫২ বছর বয়সী এই শিল্পী আসাম ও বাইরের লাখ লাখ ভক্তের কাছে পূজনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ এক বিবৃতিতে জানান, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গার্গের খিঁচুনি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও জাতীয় পরিচিতি
১৯৭২ সালে আসামের জোরহাট শহরে কবি মোহিনী মোহন বরঠাকুর এবং গায়িকা ইলি বরঠাকুরের ঘরে জন্ম নেওয়া জুবিন মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। শিক্ষকসহ অনেকের কাছে তিনি ‘শিশু প্রতিভা’ হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ডজনখানেক ভাষা ও উপভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেন। ২০০৬ সালে বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার: আ লাভ স্টোরি’র বিখ্যাত গান ‘ইয়া আলী’র মাধ্যমে তিনি জাতীয় স্তরে বিপুল পরিচিতি পান। পরের বছর তিনি একটি নন-ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য গান কম্পোজ করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনয় ও পরিচালনায়ও তাঁর পদচারণ ছিল।
ঐক্যের প্রতীক: ধর্ম ও ভাষার বিভেদ ঘোচানো কণ্ঠ
জুবিন গার্গের সংগীত এমন এক সময়ে হিন্দু-মুসলিম ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে ঐক্যের বিরল প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যখন আসামে এই বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ট্রাকচালক ইমাম হুসেনের (৪২) মতো বাংলাভাষী মুসলিমরা, যাদের প্রায়শই ‘বহিরাগত’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করা হয়, তাঁরা জুবিনের (তিনি একজন হিন্দু) গানে শান্তি খুঁজে পেতেন। হুসেন বলেন, ‘তাঁর গান ছিল আমার ভেতরের শান্তি।’
জুবিনের মৃত্যুর পর এই ঐক্যের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাঁর গান বাজিয়েছে, আর মুসলিম নেতারা তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন, যা সাধারণত ইসলামি রীতিতে প্রচলিত নয়। আসামের বাঙালি-মুসলিম সম্প্রদায়ের গাওয়া ভক্তিমূলক লোকসংগীত ‘জিকির’ গেয়ে জুবিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সর্বজনীন মনোভাব তাঁকে সব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয় করে তোলে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবরার নাদিম বলেন, জুবিনের গান ‘এই মায়ার ধরাত’ (এই পার্থিব আনন্দের পৃথিবীতে) তাঁকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি এনেছিল। তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার করেও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ, যা শেষে শূন্যতায় পর্যবসিত হয়—এই গানে সেই কথা বলা হয়েছে।
নাস্তিক, বামপন্থী ও প্রথাবিরোধী শিল্পী
জুবিন গার্গ বহুবার নিজেকে ‘নাস্তিক’ এবং ‘সামাজিক বামপন্থী’ (social leftist) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে রাজ্যের মূলধারার রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে দূরে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতে গভীরভাবে প্রোথিত জাতিভেদ (বর্ণ) প্রথার কট্টর সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একজন মানুষ। আমার কোনো জাত, ধর্ম বা ঈশ্বর নেই। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা।’
তাঁর এই প্রথা ভাঙার সাহস তাঁকে আসামের সাংস্কৃতিক জগতে এক ‘আইকনোক্লাস্ট’ (প্রথাবিরোধী) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুবিন মঞ্চে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গান গাইতেন এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি প্রায়শই স্পষ্ট বিরোধিতা দেখাতেন।
তিনি ২০১৯ সালে মুসলিমদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। জাতিসংঘ এই আইনকে ওই সময় ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছিল।

রাজনৈতিক শোক ও উত্তরাধিকারের দাবি
জুবিন গার্গের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সংগীতে তাঁর সমৃদ্ধ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অখিল রঞ্জন দত্ত মনে করেন, হিন্দু সংখ্যাগুরুত্ববাদী দল বিজেপির এই শোক প্রকাশের একটি কারণ রয়েছে। জুবিন গার্গ প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের নীতি ও কাজের সমালোচনা করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের আক্রমণ করতেন না। দত্ত বলেন, ‘এতে বিজেপির পক্ষে তাঁর উত্তরাধিকারকে গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়; কারণ, তাঁর প্রতি শোক প্রকাশ না করলে তারা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়ত।’
অন্যদিকে, জুবিন গার্গ বাংলাভাষী মুসলিমদের কখনো খারাপভাবে চিত্রিত করেননি। তাঁর এই অসাম্প্রদায়িক অবস্থান তাঁকে এমন একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যিনি ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান এবং সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান ও জনতার শ্রদ্ধা
জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুতে আসাম সরকার চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। ২১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখ লাখ ভক্ত স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা একযোগে তাঁর বিখ্যাত গানগুলো গাইতে গাইতে হাঁটেন। শোক শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং ২১ বার গান স্যালুটে তাঁকে দাহ করা হয়। এই দৃশ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের ধর্মীয় ও ভাষাগত বিভাজনের মাঝে এক বিরল ঐক্যের মুহূর্ত তৈরি করে।
ট্রাকচালক হুসেন যখন জুবিনের ছবিযুক্ত টি-শার্ট পরে তাঁর বিখ্যাত গান ‘মায়া’ গুনগুন করছিলেন, তখন তাঁর কাছে জুবিনের সংগীতে হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়া-বাঙালিনির্বিশেষে সবার জন্য আসাম—এই ধারণা নিয়ে কোনো বিভ্রম ছিল না।

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
১ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
১ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সংগীতজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গার্গ। সিঙ্গাপুরের লাজারুস দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
১ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
১ ঘণ্টা আগে