বিনোদন ডেস্ক

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।

আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।

আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।
বিনোদন ডেস্ক

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।

আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।

আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।

আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মু
১৬ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির। রইদ পরিচালনা করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, মাস্টার সিনেমার পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে গত নভেম্বরে দেশের হলে মুক্তি পাওয়া মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের ‘দেলুপি’।
‘হাওয়া’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় মেজবাউর রহমান সুমনের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন তিনি। তিন বছর পর তিনি নিয়ে আসছেন দ্বিতীয় সিনেমা রইদ। গত বছর রইদ সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলেন সুমন। এতে অভিনয় করছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান, নাজিফা তুষি, গাজী রাকায়েতসহ অনেকে। নির্মাতা জানিয়েছিলেন, সিনেমার বিস্তারিত জানানো হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে। অবশেষে গতকাল এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো রইদ সিনেমার। এই সিনেমার প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে রটারড্যাম উৎসবে। এরপর মুক্তি দেওয়া হবে দেশের হলে।
রইদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে টাইগার প্রতিযোগিতা (মূল প্রতিযোগিতা) বিভাগে। নির্মাতা জানান, এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা রটারড্যামের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই বিভাগে রইদসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১২টি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এই সিনেমাগুলো থেকে নির্বাচকেরা বাছাই করবেন উৎসবের সেরা সিনেমা।
রইদ সিনেমার গল্প নিয়ে সুমন বলেন, ‘সাধু, তার পাগল স্ত্রী এবং তাদের বাড়ির পাশের তালগাছকে ঘিরে আবর্তিত এই গল্পে আমরা আদতে আদম ও হাওয়ার আদিম আখ্যানকেই খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমরা সেই হাজার বছরের পুরোনো আখ্যানকে বর্তমানে পুনর্নির্মাণ করেছি, তবে সময়ের বর্তমানে নয়, বরং অনুভূতির বর্তমানে। এই সিনেমার প্রতিটি স্তরে জড়িয়ে আছে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের দেখা গ্রামীণ বাংলার আবহ।’

রইদের গল্প লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন ও সেলিনা বানু মনি। চিত্রনাট্য করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, জাহিন ফারুক আমিন, সিদ্দিক আহমেদ ও সুকর্ণ শাহেদ ধীমান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে বঙ্গ, সহপ্রযোজনায় আছে ফেসকার্ড প্রোডাকশন।
এদিকে রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানায় রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বানিয়েছেন মাস্টার। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। সিনেমাটি প্রতিযোগিতা করবে রটারড্যাম উৎসবের বিগ স্ক্রিন কম্পিটিশন বিভাগে
গল্পে দেখা যাবে, জহির আহমেদ নামের এক শিক্ষক সমাজসেবায় এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয়। ওই এলাকার উপজেলা নির্বাচনের সময় প্রার্থীর অভাব দেখা দেয়। তখন শিক্ষক জহির আহমেদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী। সবার অনুরোধে ভোটে দাঁড়িয়ে যায় জহির। ভোটে জয় পেয়ে চেয়ারম্যানও হয়। উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার পর বদলে যায় ওই শিক্ষকের জীবন। জহির আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। আরও আছেন আজমেরী হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ফজলুর রহমান বাবু, লুৎফর রহমান জর্জ, শরিফ সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে রটারড্যাম উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে দেলুপি। অভিনয় করেছেন স্থানীয়রা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায় সিনেমাটি।

আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির। রইদ পরিচালনা করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, মাস্টার সিনেমার পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে গত নভেম্বরে দেশের হলে মুক্তি পাওয়া মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের ‘দেলুপি’।
‘হাওয়া’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় মেজবাউর রহমান সুমনের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন তিনি। তিন বছর পর তিনি নিয়ে আসছেন দ্বিতীয় সিনেমা রইদ। গত বছর রইদ সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলেন সুমন। এতে অভিনয় করছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান, নাজিফা তুষি, গাজী রাকায়েতসহ অনেকে। নির্মাতা জানিয়েছিলেন, সিনেমার বিস্তারিত জানানো হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে। অবশেষে গতকাল এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো রইদ সিনেমার। এই সিনেমার প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে রটারড্যাম উৎসবে। এরপর মুক্তি দেওয়া হবে দেশের হলে।
রইদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে টাইগার প্রতিযোগিতা (মূল প্রতিযোগিতা) বিভাগে। নির্মাতা জানান, এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা রটারড্যামের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই বিভাগে রইদসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১২টি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এই সিনেমাগুলো থেকে নির্বাচকেরা বাছাই করবেন উৎসবের সেরা সিনেমা।
রইদ সিনেমার গল্প নিয়ে সুমন বলেন, ‘সাধু, তার পাগল স্ত্রী এবং তাদের বাড়ির পাশের তালগাছকে ঘিরে আবর্তিত এই গল্পে আমরা আদতে আদম ও হাওয়ার আদিম আখ্যানকেই খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমরা সেই হাজার বছরের পুরোনো আখ্যানকে বর্তমানে পুনর্নির্মাণ করেছি, তবে সময়ের বর্তমানে নয়, বরং অনুভূতির বর্তমানে। এই সিনেমার প্রতিটি স্তরে জড়িয়ে আছে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের দেখা গ্রামীণ বাংলার আবহ।’

রইদের গল্প লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন ও সেলিনা বানু মনি। চিত্রনাট্য করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, জাহিন ফারুক আমিন, সিদ্দিক আহমেদ ও সুকর্ণ শাহেদ ধীমান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে বঙ্গ, সহপ্রযোজনায় আছে ফেসকার্ড প্রোডাকশন।
এদিকে রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানায় রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বানিয়েছেন মাস্টার। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। সিনেমাটি প্রতিযোগিতা করবে রটারড্যাম উৎসবের বিগ স্ক্রিন কম্পিটিশন বিভাগে
গল্পে দেখা যাবে, জহির আহমেদ নামের এক শিক্ষক সমাজসেবায় এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয়। ওই এলাকার উপজেলা নির্বাচনের সময় প্রার্থীর অভাব দেখা দেয়। তখন শিক্ষক জহির আহমেদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী। সবার অনুরোধে ভোটে দাঁড়িয়ে যায় জহির। ভোটে জয় পেয়ে চেয়ারম্যানও হয়। উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার পর বদলে যায় ওই শিক্ষকের জীবন। জহির আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। আরও আছেন আজমেরী হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ফজলুর রহমান বাবু, লুৎফর রহমান জর্জ, শরিফ সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে রটারড্যাম উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে দেলুপি। অভিনয় করেছেন স্থানীয়রা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায় সিনেমাটি।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মু
১৬ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে জ্যাজ সিটি, দেখা যাবে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায়।
জ্যাজ সিটি পরিচালনা করেছেন সৌমিক সেন। সর্বশেষ তিনি যুক্ত ছিলেন গত বছর মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় হিন্দি সিরিজ ‘জুবিলি’র সঙ্গে। বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সৌমিক। প্রেক্ষাপট ছিল চল্লিশের দশকের শেষের দিকের মুম্বাই শহর ও বলিউডের শুরুর দিকের ঘটনা। জুবিলির মতো নতুন এ সিরিজেও সৌমিক পর্দায় তুলে ধরেছেন পুরোনো প্রেক্ষাপট।
২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের হিন্দি ভাষার ট্রেলারে দেখা গেল, ১৯৭০-৭১ সালের পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপট। রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গও। সেই সময়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বই মোটাদাগে তুলে ধরা হয়েছে এতে। ট্রেলার দেখে সহজেই আন্দাজ করা গেল, জ্যাজ সিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রেই আছেন শুভ। তাঁর চরিত্রের নাম জিমি রয়। ট্রেলারে শুভকে হিন্দি ভাষাতেও কথা বলতে শোনা যায়, যা তিনি নিজেই ডাবিং করেছেন। শুভর বিপরীতে দেখা যাবে কলকাতার অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্রকে। এ ছাড়া আরও আছেন কলকাতা ও হিন্দি সিনেমার একাধিক অভিনেতা।
জ্যাজ সিটি পশ্চিমবঙ্গে আরিফিন শুভর তৃতীয় ওয়েব কনটেন্ট। এর আগে তিনি অভিনয় করেছেন অরিন্দম শীলের ‘উনিশে এপ্রিল’ ও রাহুল মুখার্জির ‘লহু’তে। উনিশে এপ্রিল আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে লহু।

ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে জ্যাজ সিটি, দেখা যাবে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায়।
জ্যাজ সিটি পরিচালনা করেছেন সৌমিক সেন। সর্বশেষ তিনি যুক্ত ছিলেন গত বছর মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় হিন্দি সিরিজ ‘জুবিলি’র সঙ্গে। বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সৌমিক। প্রেক্ষাপট ছিল চল্লিশের দশকের শেষের দিকের মুম্বাই শহর ও বলিউডের শুরুর দিকের ঘটনা। জুবিলির মতো নতুন এ সিরিজেও সৌমিক পর্দায় তুলে ধরেছেন পুরোনো প্রেক্ষাপট।
২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের হিন্দি ভাষার ট্রেলারে দেখা গেল, ১৯৭০-৭১ সালের পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপট। রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গও। সেই সময়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বই মোটাদাগে তুলে ধরা হয়েছে এতে। ট্রেলার দেখে সহজেই আন্দাজ করা গেল, জ্যাজ সিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রেই আছেন শুভ। তাঁর চরিত্রের নাম জিমি রয়। ট্রেলারে শুভকে হিন্দি ভাষাতেও কথা বলতে শোনা যায়, যা তিনি নিজেই ডাবিং করেছেন। শুভর বিপরীতে দেখা যাবে কলকাতার অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্রকে। এ ছাড়া আরও আছেন কলকাতা ও হিন্দি সিনেমার একাধিক অভিনেতা।
জ্যাজ সিটি পশ্চিমবঙ্গে আরিফিন শুভর তৃতীয় ওয়েব কনটেন্ট। এর আগে তিনি অভিনয় করেছেন অরিন্দম শীলের ‘উনিশে এপ্রিল’ ও রাহুল মুখার্জির ‘লহু’তে। উনিশে এপ্রিল আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে লহু।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির।
১৬ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই আয়োজন ম্রো ভাষা, শিল্পকলা, সংগীত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আদিবাসী শিশুদের সৃজনশীল কাজ প্রদর্শনের সুযোগ করে দেবে বলে জানিয়েছে আয়োজকেরা।
লামায় অবস্থিত পাওমুম থারক্লা একটি সম্প্রদায়নির্ভর বিদ্যালয়, যা গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ম্রো ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং শিশু শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। উৎসবে অংশ নেওয়া অনেক শিশুর জন্য এটিই পাহাড়ের বাইরে জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।
উৎসবে শিশুদের তৈরি শিল্পকর্ম, বাঁশের কারুশিল্প, ফটোগ্রাফি, বুননের প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং লাইভ পারফরম্যান্স যেমন ম্রো নৃত্য, গান ও ঐতিহ্যবাহী প্লাং বাঁশি উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন কর্মশালা, গাইডেড ট্যুর এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
পাওমুম থারক্লার সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি শুরু হয়েছিল একটি ছোট বাঁশের ঝুপড়িতে, মাত্র কয়েকটি শিশু নিয়ে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আমরা শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার কাজ করে যাচ্ছি। পাওমুম পার্বণ ২০২৫ শিশুদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ, যাতে তারা পাহাড়ের বাইরে নিজেকে তুলে ধরতে পারে। আমরা সব অংশীদারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এই যাত্রাকে সম্ভব করেছেন।’
প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (রোববার বন্ধ) চলবে এই আয়োজন। উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত। দর্শকেরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পাশাপাশি শিশু ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিশে ম্রো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবেন।

বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই আয়োজন ম্রো ভাষা, শিল্পকলা, সংগীত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আদিবাসী শিশুদের সৃজনশীল কাজ প্রদর্শনের সুযোগ করে দেবে বলে জানিয়েছে আয়োজকেরা।
লামায় অবস্থিত পাওমুম থারক্লা একটি সম্প্রদায়নির্ভর বিদ্যালয়, যা গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ম্রো ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং শিশু শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। উৎসবে অংশ নেওয়া অনেক শিশুর জন্য এটিই পাহাড়ের বাইরে জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।
উৎসবে শিশুদের তৈরি শিল্পকর্ম, বাঁশের কারুশিল্প, ফটোগ্রাফি, বুননের প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং লাইভ পারফরম্যান্স যেমন ম্রো নৃত্য, গান ও ঐতিহ্যবাহী প্লাং বাঁশি উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন কর্মশালা, গাইডেড ট্যুর এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
পাওমুম থারক্লার সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি শুরু হয়েছিল একটি ছোট বাঁশের ঝুপড়িতে, মাত্র কয়েকটি শিশু নিয়ে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আমরা শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার কাজ করে যাচ্ছি। পাওমুম পার্বণ ২০২৫ শিশুদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ, যাতে তারা পাহাড়ের বাইরে নিজেকে তুলে ধরতে পারে। আমরা সব অংশীদারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এই যাত্রাকে সম্ভব করেছেন।’
প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (রোববার বন্ধ) চলবে এই আয়োজন। উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত। দর্শকেরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পাশাপাশি শিশু ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিশে ম্রো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবেন।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মু
১৬ ঘণ্টা আগে
৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ। আগামীকাল রাজধানীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে তাঁর নির্দেশিত ‘রঙমহাল’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। এটি ঢাকা থিয়েটারের ৫৪তম প্রযোজনা।
রঙমহাল নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবাইয়াৎ আহমেদ। মঞ্চ পরিকল্পনায় আছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন নাহার, ফারজানা চুমকি, অনিকেত ইসলাম, তৌকির আলম, রতন, বাদলসহ অনেকে।

রঙমহাল নিয়ে নির্দেশক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘খুব ভালো একটা গল্প দেখা যাবে এই নাটকে। একবাক্যে যদি বলি, এটি সমাজের রূপ ও অরূপের আখ্যান। আমি রঙমহাল নাটকটিকে মোরাল প্লে হিসেবে অভিহিত করব। নৈতিক মূল্যবোধের নাটক। দর্শক এ কথার বিচার করবেন। আশা করছি নতুন ও পুরোনোর সম্মিলিত প্রয়াসে রঙমহাল হয়ে উঠবে সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা।’
নির্দেশনায় আসতে এত সময় নেওয়ার কারণ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে হলের নাট্যসম্পাদক ছিলাম। বেশ কয়েকটি নাটক নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তবে ঢাকা থিয়েটারে এই প্রথম। ঢাকা থিয়েটারে অনেক বড় ও গুণী নির্দেশক ছিলেন এবং আছেন। বাচ্চু ভাই, জামিল ভাই, ফরীদি ভাইয়ের মতো মানুষ এখানে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁদের অসাধারণ সব নাটকে অভিনয় করেছেন গুণী শিল্পীরা। তা ছাড়া ব্যক্তিগত কারণে অনেক দিন সরাসরি থিয়েটার করতে পারিনি। সমস্ত ধাপ পেরিয়ে এখন নাটক নির্দেশনা দিচ্ছি, এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।’

৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ। আগামীকাল রাজধানীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে তাঁর নির্দেশিত ‘রঙমহাল’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। এটি ঢাকা থিয়েটারের ৫৪তম প্রযোজনা।
রঙমহাল নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবাইয়াৎ আহমেদ। মঞ্চ পরিকল্পনায় আছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন নাহার, ফারজানা চুমকি, অনিকেত ইসলাম, তৌকির আলম, রতন, বাদলসহ অনেকে।

রঙমহাল নিয়ে নির্দেশক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘খুব ভালো একটা গল্প দেখা যাবে এই নাটকে। একবাক্যে যদি বলি, এটি সমাজের রূপ ও অরূপের আখ্যান। আমি রঙমহাল নাটকটিকে মোরাল প্লে হিসেবে অভিহিত করব। নৈতিক মূল্যবোধের নাটক। দর্শক এ কথার বিচার করবেন। আশা করছি নতুন ও পুরোনোর সম্মিলিত প্রয়াসে রঙমহাল হয়ে উঠবে সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা।’
নির্দেশনায় আসতে এত সময় নেওয়ার কারণ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে হলের নাট্যসম্পাদক ছিলাম। বেশ কয়েকটি নাটক নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তবে ঢাকা থিয়েটারে এই প্রথম। ঢাকা থিয়েটারে অনেক বড় ও গুণী নির্দেশক ছিলেন এবং আছেন। বাচ্চু ভাই, জামিল ভাই, ফরীদি ভাইয়ের মতো মানুষ এখানে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁদের অসাধারণ সব নাটকে অভিনয় করেছেন গুণী শিল্পীরা। তা ছাড়া ব্যক্তিগত কারণে অনেক দিন সরাসরি থিয়েটার করতে পারিনি। সমস্ত ধাপ পেরিয়ে এখন নাটক নির্দেশনা দিচ্ছি, এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।’

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মু
১৬ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে