Ajker Patrika

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শিল্পীরা বললেন অভিজ্ঞতা আর না বলা অনেক কথা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
তাণ্ডব সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) জয়া আহসান, শাকিব খান ও সাবিলা নূর। ছবি: আজকের পত্রিকা
তাণ্ডব সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) জয়া আহসান, শাকিব খান ও সাবিলা নূর। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে হয়ে গেল শাকিব খান অভিনীত ঈদের সিনেমা ‘তাণ্ডব’-এর সংবাদ সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এই সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী, প্রযোজক আলফা আইয়ের এমডি শাহরিয়ার শাকিল, চরকির প্রধান নির্বাহী রেদওয়ান রনি, সিনেমার অভিনেতা শাকিব খান, জয়া আহসান, সাবিলা নূরসহ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। আজকের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। শাকিব, জয়া আর সাবিলা নূর ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, সালাহউদ্দীন লাভলু, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সিয়াম আহমেদ, শিবা শানু, ডা. এজাজ, এফ এস নাঈম, রোজি সিদ্দিকীসহ অনেকেই।

সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করেছি কীভাবে আরেকটু ভালো করা যায়। আশা করছি এবারও ভালো ফল আসবে। এবার ৭ তারিখে ঈদ, আর এটা আমার ৭ নম্বর সিনেমা। লাকি সেভেন বলতে পারেন। এক বছর ধরে পরিকল্পনা করে সিনেমাটি বানিয়েছি। সিনেমাটা বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সিনেমাকে, কমার্শিয়াল সিনেমার গল্প বলার ধরনকে একটু হলেও বদলে দেবে। অনেক কিছুই পাওয়া যাবে, যা এর আগে বাংলা সিনেমায় পাওয়া যায়নি। সবকিছু মিলিয়ে অনেক চমক থাকবে। চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব বাংলাদেশে শুটিং করতে, আমি প্রমাণ করতে চেয়েছি বাংলাদেশেই ভালো সিনেমা বানানো যায়।’

তান্ডবে অভিনয় করে মুগ্ধ হয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। নিজের সেই মুগ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বেশির ভাগ শিল্পী যারা এই সিনেমায় অভিনয় করেছি, প্রত্যেকেই মঞ্চ বা টেলিভিশনের নিয়মিত অভিনেতা। যখন স্টুডিওতে তাণ্ডবের শুটিংয়ে রয়েছি, আমি চারদিকের আয়োজন দেখছিলাম, আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম—এটা কি আমার দেশ! যখন রায়হান রাফীকে দেখছি—একজন নির্দেশক কি এভাবে কাজ করেন? একটা দারুণ টিমকে দেখেছি। আমি কাজ করতে চাইনি, যদি না করতাম, তাহলে এসব মিস করতাম।’

চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে আফজাল বলেন, ‘সবেচেয়ে অবাক হয়ে দেখেছি ২০০ সিনেমার অভিনেতা (শাকিব খান)। (আগে) কেমন ছিলেন আমি জানি না, কিন্তু স্টুডিওতে দেখেছি, কোনো মুহূর্তে, কোনো দিকে তাঁর মন নেই, কেবল তাঁর সংলাপ আর সে কী করবে—এটা করার চেষ্টা করছে।’

নির্মাতা ও সহশিল্পীদের প্রসঙ্গে আফজাল বলেন, ‘একটা মানুষ যে তাঁর ভাবনার এতটা বদল ঘটাতে পারে, সেটা রায়হান রাফীর কাজ দেখলে বোঝা যায়। তাঁর যে অভিযাত্রা তা ক্রমশই শক্তিশালী। জয়াকে আপনারা আগে বহুভাবে দেখেছেন। জয়াকে এবার নতুনভাবে দেখবেন। সাবিলা নূরের কোনো অভিনয় আমি দেখেনি। কিন্তু প্রথম যখন শাকিব আর সাবিলাকে একটা স্থিরচিত্রে দেখেছি, আমার মনে হয়েছে এই সিদ্ধান্তটি অসাধারণ। ইতিমধ্যেই আপানারা লিচু বাগানের গান শুনেছেন, মুগ্ধ হওয়ার মতো সবকিছুই এতে রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) আফজাল হোসেন, শাহরিয়ার শাকিল, জয়া আহসান, শাকিব খান, সাবিলা নূর, রায়হান রাফী ও রেদওয়ান রনি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) আফজাল হোসেন, শাহরিয়ার শাকিল, জয়া আহসান, শাকিব খান, সাবিলা নূর, রায়হান রাফী ও রেদওয়ান রনি। ছবি: আজকের পত্রিকা

তান্ডব সিনেমার নির্মাণ কৌশলেরও প্রশংসা করেছেন আফজাল। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, তাণ্ডব বাংলাদেশে তান্ডব ঘটিয়ে দেবে। আমি অভিনয় করেছি বলে বলছি না, আমি এই সিনেমার নির্মাণ দেখেছি, প্রত্যেক শিল্পীর অভিনয় দেখেছি, চিত্রনাট্য ভালো করে খেয়াল করেছি, আগে কোনো সিনেমায় সবকিছু এত সুন্দরভাবে হয়ে উঠতে পারেনি।’

তান্ডব সিনেমার নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘তাণ্ডব অসম্ভব পরিশ্রমের একটা সিনেমা। এর ফাইট যেমন অসাধারণ হয়েছে, গানগুলোও অসাধারণ হয়েছে, গল্পটাও অসাধারণ। তান্ডবের শিল্পী হয়েও আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো সিনেমাটি দেখেছি।’

সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘এত বড় মাপের শিল্পীরা এখানে কাজ করেছেন, যে আমি নিজেই মাঝেমধ্যে ভাবতাম, আমি কি ঠিক করছি? রাফীকে জিজ্ঞেস করতাম, ঠিক আছে তো আমার? কার কথা বলব তাণ্ডবের! এই যে আমার সামনে আফজাল ভাই, রাকায়েত ভাই, মুকিত ভাই, লাভলু ভাই, সব্রতদা বসে আছেন! আর আমার পাশে যিনি বসা জয়া, জয়ার তুলনা তো জয়া নিজেই। প্রত্যেকেই কী অসাধারণ অ্যাক্টিং করেছেন! এই পাশে আরেকজন যিনি (সাবিলা নূর) বসে আছে, অলরেডি লিচুর বাগান দিয়ে পাগল করে রেখেছে সবাইকে।’

অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ আগে শাকিব খানের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। শাকিব খান খুবই লক্ষ্মী একজন অভিনেতা। এবারও তাঁর সঙ্গে অভিনয় করে আমার ভালো লেগেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদা পারভীনের জন্মদিনে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।

আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।

ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।

এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুভমিতা ও ঊষা উত্থুপের কণ্ঠে সাবরিনার গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শুভমিতা, সাবরিনা রুবিন ও ঊষা উত্থুপ। ছবি: সংগৃহীত
শুভমিতা, সাবরিনা রুবিন ও ঊষা উত্থুপ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম কুড়িয়েছেন লেখক ও গীতিকার ডা. সাবরিনা রুবিন। রাশিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান। তাঁর লেখা নতুন দুই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের কণ্ঠশিল্পী শুভমিতা ও ঊষা উত্থুপ। শুভমিতা গেয়েছেন ‘এখানেই সব কিছু শেষ হোক’ শিরোনামের গান। সংগীত আয়োজন করেছেন কলকাতার দেব গৌতম। সম্প্রতি দেব গৌতমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। এ ছাড়া নতুন বছরের শুরুতে প্রকাশ পাবে সাবরিনার লেখা ঊষা উত্থুপের গাওয়া নতুন একটি গান।

সাবরিনা বলেন, ‘শুভমিতার গাওয়া গানটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। নতুন বছরে আসছে আমার লেখা ও ঊষা উত্থুপের গাওয়া নতুন গান। আমার বিশ্বাস, এ গানটিও শ্রোতাদের মন জয় করবে।’

বাংলাদেশে সাবরিনার লেখা গান গেয়েছেন শুভ্র দেব, শান শায়খ, তাসনিম স্বর্ণাসহ অনেকে। ভারতের মালয়ালাম সিনেমায়ও কাজ করেছেন সাবরিনা। পাশাপাশি তামিল সিনেমায় বাংলা গীতিকথা লিখেছেন তিনি। তাঁর গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা, ঊষা উত্থুপ, দেব গৌতমসহ অনেকে।

সাহিত্য অঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাবরিনা রুবিন পেয়েছেন ইয়াসির আরাফাত ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাওয়ার্ড, চেকভ ব্রোঞ্জ অনার, গুজরাট সাহিত্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ড ও মোটিভেশনাল স্ট্রিপস অনার, মুনির মেজিয়েদ অ্যাওয়ার্ড ইন লিটারেচার, তাজাকিস্তানের সিপে অ্যাওয়ার্ড, রবীন্দ্রনাথ সম্মাননাসহ অনেক আন্তর্জাতিক সম্মাননা। আমাজন প্রকাশ করেছে তাঁর লেখা গায়ক শুভ্র দেবের বায়োগ্রাফি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন প্রজন্মের গল্পে নতুন ধারাবাহিক ‘পরম্পরা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সংবাদ সম্মেলনে ‘পরম্পরা’র শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে ‘পরম্পরা’র শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতে নতুন ধারাবাহিক নিয়ে আসছে দীপ্ত টিভি। তিন প্রজন্মের জীবনবোধ, মূল্যবোধ ও সম্পর্কের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে নির্মিত ধারাবাহিকটির নাম ‘পরম্পরা’। পরিচালনা করেছেন আশিস রায়। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, শাফিউল রাজ, নূপুর আহসান, জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল, কাজী রাজু, মিলি বাসার, সানজিদা মিলা, শানারেই দেবী শানু প্রমুখ। ৩ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে ধারাবাহিকটি।

পরম্পরার চিত্রনাট্য লিখেছেন আফিফা মোহসিনা অরণি, সংলাপ রচনা করেছেন সরোয়ার সৈকত। গল্পে দেখা যাবে ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা নাহিয়ান দীর্ঘদিন পর ঢাকায় ফিরে এসে নিজেকে নতুন সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে মানিয়ে নিতে হিমশিম খায়। তার আধুনিক জীবনযাপন ও চিন্তাভাবনার সঙ্গে যৌথ পরিবারের সদস্যদের ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একই ছাদের নিচে তিন প্রজন্মের ভালোবাসা, সংঘাত, মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং সম্পর্কের গভীরতা ধীরে ধীরে গল্পকে নিয়ে যায় নানা আবেগী মোড়ে।

নতুন এই ধারাবাহিক নিয়ে গতকাল দীপ্ত টিভির প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফারুক, পরিচালক আশিস রায়, দীপ্ত টিভির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ পরম্পরার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। সেখানে ধারাবাহিকটির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিরে দেখা /কনসার্টে অস্থিরতার বছর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০২
ঢাকার কনসার্টে আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার কনসার্টে আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সংগীতাঙ্গনে ২০২৫ সাল বিশেষ কোনো সুখবর বয়ে আনতে পারেনি। নতুন গান প্রকাশ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। নতুন গান প্রকাশ না করলেও বছরজুড়ে শিল্পীরা দর্শকদের কাছাকাছি থাকেন লাইভ কনসার্ট দিয়ে। এ বছর কনসার্ট নিয়েও ছিল অস্থিরতা। নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় একের পর এক কনসার্ট বাতিল হয়েছে।

ভিনদেশি সংস্কৃতি রুখে দিতে গত ১১ এপ্রিল চার বিভাগীয় শহরে স্বাধীনতা কনসার্টের আয়োজন করা হয়। প্রথমে কনসার্টের তারিখ এক দিন পেছানো হলেও পরবর্তী সময়ে পুরো আয়োজনই বাতিল করা হয়। ১১ এপ্রিল পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জাহিদের কনসার্ট আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। মেলোডি আনলিশড নামের এ কনসার্টে দেশের বেশ কয়েকজন শিল্পী ও ব্যান্ডের গাওয়ার কথা ছিল। এতে অংশ নিতে শিল্পী ঢাকায়ও এসেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানের ঘণ্টাখানেক আগে আয়োজনটি বাতিল করা হয়।

ঢাকায় এসেও দর্শকদের গান শোনাতে পারেননি পাকিস্তানের আরেক সংগীতশিল্পী আলী আজমত। ‘লিজেন্ডস লাইভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক এ কনসার্টে জেমসেরও গাওয়ার কথা ছিল। তবে ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্থগিত ও পরে বাতিল করা হয় আয়োজনটি। পাকিস্তানের জনপ্রিয় ব্যান্ড জালের কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল ২৮ নভেম্বর। ‘সাউন্ড অব সোল’ শিরোনামের এ কনসার্টে আরও পারফর্ম করার কথা ছিল দেশের দুই ব্যান্ড ওয়ারফেজ ও লেভেল ফাইভের। সেটিও বাতিল হয়ে যায়। ভারতীয় সংগীতশিল্পী অনুভ জৈনের কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল ১২ ডিসেম্বর। আয়োজনের সপ্তাহ দুয়েক আগে এটিও বাতিল হয়ে যায়। এর আগে বাতিল হয়েছে পাকিস্তানি ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট।

এ ছাড়া, ১৩ ডিসেম্বর মেইন স্টেজ আয়োজিত এক কনসার্টে গান শোনানোর কথা ছিল আতিফ আসলামের। তিনি ঢাকায়ও এসেছিলেন। প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় কনসার্টটি হয়নি। তার বদলে কয়েকটি প্রাইভেট কনসার্টে গান শুনিয়ে ঢাকা ছাড়েন আতিফ। তবে যে কনসার্ট বাতিলের খবর দেশ-বিদেশে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে, সেটা জেমসের কনসার্ট। গত শুক্রবার ফরিদপুর জেলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে গাওয়ার কথা ছিল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল হয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস।

দেশের কনসার্টে যখন অনিশ্চয়তা চলছিল, তখন শিল্পীরা ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিদেশে। যুক্তরাষ্ট্রে সংগীতসফরে গিয়েছিলেন জেমস, আসিফ আকবর, বাপ্পা মজুমদার, প্রতীক হাসান, প্রীতম হাসান, ব্যান্ড অর্থহীন ও মাইলস। অস্ট্রেলিয়ায় গান শুনিয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ ও তানযীর তুহীন। সিঙ্গাপুরে গাইতে গিয়েছিলেন কনা। আর্ক, শিরোনামহীন, ওয়ারফেজ, অ্যাশেজ, মিলাসহ একাধিক ব্যান্ড ও শিল্পী কনসার্ট করেছেন কানাডায়।

বছরজুড়ে যেসব গান নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ঈশান মজুমদার ও শুভেন্দু দাস শুভর ‘গুলবাহার’, কোনাল-নিলয়ের ‘ময়না’, পান্থ কানাইয়ের ‘সেই এক সময় ছিল’, সাইফ জোহানের ‘কিছু মানুষ মরে যায় পঁচিশে’, শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’, ইমরানের ‘পারব না তোমাকে ছাড়তে’ ইত্যাদি। কোক স্টুডিও বাংলায় রুনা লায়লার গাওয়া ‘মাস্ত কালান্দার’, তানযীর তুহীনের ‘ক্যাফে’, হাবিবের ‘মহা জাদু’ এবং অঙ্কনের গাওয়া ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’ উপভোগ করেছেন শ্রোতারা।

সিনেমায় এ বছর হাতে গোনা কয়েকটি গান আলোচিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তাণ্ডব সিনেমায় প্রীতম ও জেফারের গাওয়া ‘লিচুর বাগানে’, বরবাদ সিনেমায় প্রীতম ও দোলার ‘চাঁদমামা’, জ্বীন থ্রি সিনেমায় ইমরান ও কনার ‘কন্যা’। জংলি সিনেমার ‘ও বন্ধু গো শোনো’, দাগির ‘একটুখানি মন’ গান দুটিও প্রশংসিত হয়েছে। এ ছাড়া, হৃদয়ের কথা নাটকে হাবিব-ন্যান্‌সির গাওয়া ‘আমার দিনগুলো সব যায় হারিয়ে আঁধারে’, আশিকি নাটকে কনা-সজীবের গাওয়া ‘যদি মনটা চুরি করি’ এবং ‘গুলমোহর’ ওয়েব সিরিজে তানযীর তুহীনের গাওয়া ‘সুরের হাহাকার’ গানগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত