খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য...
৬ ঘণ্টা আগে
জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
৬ ঘণ্টা আগে
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

আজ মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। নির্বাচিত সেসব অনুষ্ঠানের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিটিভি
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’। সকাল ১০টায় প্রচারিত হবে নৃত্যানুষ্ঠান ‘বিজয় পতাকা’। বেলা ১১টায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠান। রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘মানচিত্র’, মুক্তিযুদ্ধ, মানুষের সংগ্রাম-আবেগ ও আত্মত্যাগ আর ভালোবাসার গল্প নিয়ে রচিত হয়েছে নাটকের কাহিনি। কাজী আসাদের রচনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মামুন মাহমুদ। অভিনয় করেছেন সাব্বির আহমেদ, কাজী আসাদ, আইনুন নাহার পুতুল, বাবুল আহমেদ, আবদুর রহমান প্রমুখ।
চ্যানেল আই
বেলা ১১টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আই চত্বর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ‘হৃদয়ে লাল সবুজ, বিজয়ের ৫৪ বছর’। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে প্রচারিত হবে বাংলা চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রয়েছে ‘ইকোসাইড ১৯৭১’। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন মুকিত মজুমদার বাবু। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘ডাক্তার বাড়ি’। শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গল্প অবলম্বনে এটি পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি বাড়ির সদস্যরা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন সেই কাহিনি উঠে এসেছে নাটকে। অভিনয় করেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, আহসান হাবিব নাসিম, নরেশ ভূঁইয়া, রিয়া মনি প্রমুখ।
দীপ্ত টিভি
বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিজয় দিবসে ছায়ানট নিবেদিত অনুষ্ঠান ‘আমার বাংলা’। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে দেখা যাবে প্রামাণ্য কাহিনিচিত্র ‘স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধ’। এতে দেখা যাবে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক বিজয় অর্জিত হলেও কার্যত দেশ শত্রুমুক্ত হয় আরও দেড় মাস পর। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে পাকিস্তানি ও বিহারিদের দ্বারা অবরুদ্ধ ঢাকার মিরপুর মুক্তকরণই ছিল মূলত স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধ। দৈনিক পত্রিকা বা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধে মিরপুর যুদ্ধের কিছু বিষয় উঠে আসলেও পুরো ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে জনসমক্ষে আসেনি। তাই এই ঘটনা পর্দায় তুলে আনতে কাজ শুরু করে পাভেল নামের একজন তরুণ নির্মাতা। কাহিনিচিত্রটির গবেষণা ও চিত্রনাট্য করেছেন মারুফ হাসান ও চিত্রনাট্য সম্পাদনা করেছেন নাসিমুল হাসান। পরিচালনা করেছেন ফিরোজ কবির ডলার।
বাংলাভিশন
বিকেল ৫টা ১০মিনিটে প্রচার হবে মহান বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে ৭১’। আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এবং মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শাহীন সামাদ। সঞ্চালনা করেছেন সাকিলা মতিন মৃদুলা, প্রযোজনায় রফিকুল ইসলাম ফারুকী।

বৈশাখী টেলিভিশন
সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে দেশের গানের অনুষ্ঠান ‘জন্মভূমি’। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে থাকছে সিনেমার গান নিয়ে অনুষ্ঠান মিউজিক অ্যালবাম। আজ প্রচারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গান। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমাটি দেখা যাবে বেলা ১০টায়। নাটক ‘বীরাঙ্গনা’ প্রচারিত হবে রাত ১০টায়। টিপু আলম মিলনের গল্পে চিত্রনাট্য করেছেন আনন জামান। পরিচালনা শুদ্ধমান চৈতন্য। অভিনয়ে রওনক হাসান, অপর্ণা ঘোষ, মনোজ প্রামাণিক প্রমুখ।
মাছরাঙা টেলিভিশন
রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘শেষ প্রহর’। রচনা শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। অভিনয় করেছেন শাশ্বত দত্ত, আইশা খান, আবুল হায়াত প্রমুখ। গল্পে দেখা যাবে, আনুশকা কানাডা থেকে দেশে এসেছে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করার উদ্দেশে। বাবা মারা যাওয়ায় দেশে তার আর কেউ নেই। তাই বাবার বন্ধু হায়াত আঙ্কেলের বাসায় উঠেছে সে। আনুশকার জমি বিক্রির কথা শুনে হায়াত আঙ্কেল একটু দুঃখ পান। এদিকে হায়াত সাহেবের পরিবারে এক ঝামেলা তৈরি হয়। স্থানীয় এক নেতা তার একটি জমি কিনতে চায়। কিন্তু হায়াত সাহেব তার কাছে জমি বিক্রি করতে চান না। কারণ, সে একজন রাজাকার। কোনোভাবেই এই জমি তার কাছে বিক্রি করবে না সে। হায়াত সাহেবের কথা শুনে আনুশকার চোখ খুলে যায়। নতুন করে দেশ নিয়ে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ভাবতে শুরু করে।

আজ মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। নির্বাচিত সেসব অনুষ্ঠানের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিটিভি
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’। সকাল ১০টায় প্রচারিত হবে নৃত্যানুষ্ঠান ‘বিজয় পতাকা’। বেলা ১১টায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠান। রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘মানচিত্র’, মুক্তিযুদ্ধ, মানুষের সংগ্রাম-আবেগ ও আত্মত্যাগ আর ভালোবাসার গল্প নিয়ে রচিত হয়েছে নাটকের কাহিনি। কাজী আসাদের রচনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মামুন মাহমুদ। অভিনয় করেছেন সাব্বির আহমেদ, কাজী আসাদ, আইনুন নাহার পুতুল, বাবুল আহমেদ, আবদুর রহমান প্রমুখ।
চ্যানেল আই
বেলা ১১টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আই চত্বর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ‘হৃদয়ে লাল সবুজ, বিজয়ের ৫৪ বছর’। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে প্রচারিত হবে বাংলা চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রয়েছে ‘ইকোসাইড ১৯৭১’। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন মুকিত মজুমদার বাবু। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘ডাক্তার বাড়ি’। শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গল্প অবলম্বনে এটি পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি বাড়ির সদস্যরা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন সেই কাহিনি উঠে এসেছে নাটকে। অভিনয় করেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, আহসান হাবিব নাসিম, নরেশ ভূঁইয়া, রিয়া মনি প্রমুখ।
দীপ্ত টিভি
বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিজয় দিবসে ছায়ানট নিবেদিত অনুষ্ঠান ‘আমার বাংলা’। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে দেখা যাবে প্রামাণ্য কাহিনিচিত্র ‘স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধ’। এতে দেখা যাবে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক বিজয় অর্জিত হলেও কার্যত দেশ শত্রুমুক্ত হয় আরও দেড় মাস পর। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে পাকিস্তানি ও বিহারিদের দ্বারা অবরুদ্ধ ঢাকার মিরপুর মুক্তকরণই ছিল মূলত স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধ। দৈনিক পত্রিকা বা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধে মিরপুর যুদ্ধের কিছু বিষয় উঠে আসলেও পুরো ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে জনসমক্ষে আসেনি। তাই এই ঘটনা পর্দায় তুলে আনতে কাজ শুরু করে পাভেল নামের একজন তরুণ নির্মাতা। কাহিনিচিত্রটির গবেষণা ও চিত্রনাট্য করেছেন মারুফ হাসান ও চিত্রনাট্য সম্পাদনা করেছেন নাসিমুল হাসান। পরিচালনা করেছেন ফিরোজ কবির ডলার।
বাংলাভিশন
বিকেল ৫টা ১০মিনিটে প্রচার হবে মহান বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে ৭১’। আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এবং মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শাহীন সামাদ। সঞ্চালনা করেছেন সাকিলা মতিন মৃদুলা, প্রযোজনায় রফিকুল ইসলাম ফারুকী।

বৈশাখী টেলিভিশন
সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে দেশের গানের অনুষ্ঠান ‘জন্মভূমি’। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে থাকছে সিনেমার গান নিয়ে অনুষ্ঠান মিউজিক অ্যালবাম। আজ প্রচারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গান। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমাটি দেখা যাবে বেলা ১০টায়। নাটক ‘বীরাঙ্গনা’ প্রচারিত হবে রাত ১০টায়। টিপু আলম মিলনের গল্পে চিত্রনাট্য করেছেন আনন জামান। পরিচালনা শুদ্ধমান চৈতন্য। অভিনয়ে রওনক হাসান, অপর্ণা ঘোষ, মনোজ প্রামাণিক প্রমুখ।
মাছরাঙা টেলিভিশন
রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘শেষ প্রহর’। রচনা শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। অভিনয় করেছেন শাশ্বত দত্ত, আইশা খান, আবুল হায়াত প্রমুখ। গল্পে দেখা যাবে, আনুশকা কানাডা থেকে দেশে এসেছে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করার উদ্দেশে। বাবা মারা যাওয়ায় দেশে তার আর কেউ নেই। তাই বাবার বন্ধু হায়াত আঙ্কেলের বাসায় উঠেছে সে। আনুশকার জমি বিক্রির কথা শুনে হায়াত আঙ্কেল একটু দুঃখ পান। এদিকে হায়াত সাহেবের পরিবারে এক ঝামেলা তৈরি হয়। স্থানীয় এক নেতা তার একটি জমি কিনতে চায়। কিন্তু হায়াত সাহেব তার কাছে জমি বিক্রি করতে চান না। কারণ, সে একজন রাজাকার। কোনোভাবেই এই জমি তার কাছে বিক্রি করবে না সে। হায়াত সাহেবের কথা শুনে আনুশকার চোখ খুলে যায়। নতুন করে দেশ নিয়ে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ভাবতে শুরু করে।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য...
৬ ঘণ্টা আগে
জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
৬ ঘণ্টা আগে
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য মামুন, মাবরুর রশীদ বান্নাহ ও অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে হুমকি দেওয়া হয়েছে ডাল্টন সৌভাত হীরা নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।
অ্যাকাউন্টটি থেকে আরও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে চমক ও বান্নাহর ফোন নম্বর ফাঁস করা হয়েছে, তাঁদের লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হুমকিদাতা। তাঁদেরকে কোনো কাজে নিতেও শোবিজসংশ্লিষ্টদের নিষেধ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি পাওয়ার কথা জানান চমক। তবে কোনো ধরনের হুমকিতে ভীত নন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
রুকাইয়া জাহান চমক বলেন, ‘রোববার রাতে আমার ফোনে ২০০ থেকে ৩০০ কল এসেছে। শেষ পর্যন্ত ফোন নম্বর বন্ধ করতে বাধ্য হই। এতগুলো ফোনকল, হত্যার হুমকি, মনে হচ্ছিল আমার জীবনে দেশের জন্য কিছু একটা তো করেছি। যার কারণে এরা আমার পেছনে এভাবে লেগেছে। কিছু না করলে পেছনে লাগত না—এতটুকু সান্ত্বনা নিজেকে দিতে পারছি। এই দেশের মানুষের কোনো কাজে আমি আসতে পেরেছি, এটাই তো বড় কথা। ওরা যদি সত্যি আমাকে মেরে ফেলে, এটা আমার জন্য সুন্দর উপহার হবে। আমার জন্য আশীর্বাদ হবে যে আমি আমার দেশের জন্য মারা গেছি।’
চমক আরও বলেন, ‘৭০ বছরে বয়সে গিয়ে বৃদ্ধ হয়ে মরার চেয়ে দেশের জন্য মৃত্যু হলে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে। অনেকেই আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন, ফোন করে সতর্ক করছেন। তাঁদেরকে বলব, মন খারাপ করবেন না। আমি যদি মরে যাই, তাতে আমার দুঃখ নেই। যাঁরা হুমকি দিচ্ছে তাদের বলতে চাই, তোমরা আমাকে নিয়ে যত বাজে কথা বলবা তত মনে করব আমি কিছু করতে পেরেছি। তোমাদের হুমকিতে বাসায় বসে থাকার মানুষ আমি না।’
মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে অনন্য মামুন বলেন, ‘হাদিকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা তো জানে না হাদি আমার কাছে একটা ভালোবাসার নাম। আর মৃত্যুর ভয় কখনো পাই না। যেদিন পৃথিবীতে এসেছি, সেদিনই আল্লাহ তাআলা আমার মৃত্যুর তারিখ ঠিক করে রেখেছে।’
চমক ও মামুন হুমকি প্রসঙ্গে কথা বললেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি নির্মাতা বান্নাহ।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য মামুন, মাবরুর রশীদ বান্নাহ ও অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে হুমকি দেওয়া হয়েছে ডাল্টন সৌভাত হীরা নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।
অ্যাকাউন্টটি থেকে আরও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে চমক ও বান্নাহর ফোন নম্বর ফাঁস করা হয়েছে, তাঁদের লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হুমকিদাতা। তাঁদেরকে কোনো কাজে নিতেও শোবিজসংশ্লিষ্টদের নিষেধ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি পাওয়ার কথা জানান চমক। তবে কোনো ধরনের হুমকিতে ভীত নন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
রুকাইয়া জাহান চমক বলেন, ‘রোববার রাতে আমার ফোনে ২০০ থেকে ৩০০ কল এসেছে। শেষ পর্যন্ত ফোন নম্বর বন্ধ করতে বাধ্য হই। এতগুলো ফোনকল, হত্যার হুমকি, মনে হচ্ছিল আমার জীবনে দেশের জন্য কিছু একটা তো করেছি। যার কারণে এরা আমার পেছনে এভাবে লেগেছে। কিছু না করলে পেছনে লাগত না—এতটুকু সান্ত্বনা নিজেকে দিতে পারছি। এই দেশের মানুষের কোনো কাজে আমি আসতে পেরেছি, এটাই তো বড় কথা। ওরা যদি সত্যি আমাকে মেরে ফেলে, এটা আমার জন্য সুন্দর উপহার হবে। আমার জন্য আশীর্বাদ হবে যে আমি আমার দেশের জন্য মারা গেছি।’
চমক আরও বলেন, ‘৭০ বছরে বয়সে গিয়ে বৃদ্ধ হয়ে মরার চেয়ে দেশের জন্য মৃত্যু হলে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে। অনেকেই আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন, ফোন করে সতর্ক করছেন। তাঁদেরকে বলব, মন খারাপ করবেন না। আমি যদি মরে যাই, তাতে আমার দুঃখ নেই। যাঁরা হুমকি দিচ্ছে তাদের বলতে চাই, তোমরা আমাকে নিয়ে যত বাজে কথা বলবা তত মনে করব আমি কিছু করতে পেরেছি। তোমাদের হুমকিতে বাসায় বসে থাকার মানুষ আমি না।’
মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে অনন্য মামুন বলেন, ‘হাদিকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা তো জানে না হাদি আমার কাছে একটা ভালোবাসার নাম। আর মৃত্যুর ভয় কখনো পাই না। যেদিন পৃথিবীতে এসেছি, সেদিনই আল্লাহ তাআলা আমার মৃত্যুর তারিখ ঠিক করে রেখেছে।’
চমক ও মামুন হুমকি প্রসঙ্গে কথা বললেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি নির্মাতা বান্নাহ।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’।
৬ ঘণ্টা আগে
জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
৬ ঘণ্টা আগে
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন। ভিডিওতে মডেল হয়েছেন আবদুল্লাহ আল সেন্টু, ফাতিমা আক্তার ইয়ামন এবং আশিকুর রহমান চমন।
নতুন এই গান নিয়ে সংগীতশিল্পী আকরাম হোসেন জানান, প্রচলিত কথা ও সুরে নির্মিত পালে লাগে নারে হাওয়া গানটি প্রেম, বিচ্ছেদ ও স্মৃতির দোলাচলকে ধারণ করে। ভিডিওর গল্প আবর্তিত হয়েছে অসম বয়সী এক দম্পতির বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে। সেখানে একটি গানের দলের পরিবেশনায় পালে লাগে নারে হাওয়া ধীরে ধীরে আন্দোলিত করে এক তরুণীর জীবনে লুকিয়ে থাকা পুরোনো স্মৃতি।
ভিডিও নির্দেশক খন্দকার সুমন বলেন, ‘গানটি যখন প্রথম শুনি, তখন অদ্ভুত একধরনের স্মৃতিকাতরতা অনুভব করি। সেই অনুভূতিই গানটিকে ভিজ্যুয়ালি ধারণ করাতে আগ্রহ তৈরি করে। মিউজিক ভিডিওটির শুটিং হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলীতে। ন্যারেটিভ ভিজ্যুয়াল স্টাইলে নির্মিত ভিডিওটি প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর্গত অনুভূতির মধ্যে একধরনের নীরব সংলাপ তৈরি করে।’
পালে লাগে নারে হাওয়া প্রযোজনা করেছে আইডিয়া এক্সচেঞ্জ। নির্বাহী প্রযোজক মাসুদ রানা নকীব। গানটির কপিরাইট ও প্রকাশনা স্বত্ব জি সিরিজ মিউজিকের।

জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন। ভিডিওতে মডেল হয়েছেন আবদুল্লাহ আল সেন্টু, ফাতিমা আক্তার ইয়ামন এবং আশিকুর রহমান চমন।
নতুন এই গান নিয়ে সংগীতশিল্পী আকরাম হোসেন জানান, প্রচলিত কথা ও সুরে নির্মিত পালে লাগে নারে হাওয়া গানটি প্রেম, বিচ্ছেদ ও স্মৃতির দোলাচলকে ধারণ করে। ভিডিওর গল্প আবর্তিত হয়েছে অসম বয়সী এক দম্পতির বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে। সেখানে একটি গানের দলের পরিবেশনায় পালে লাগে নারে হাওয়া ধীরে ধীরে আন্দোলিত করে এক তরুণীর জীবনে লুকিয়ে থাকা পুরোনো স্মৃতি।
ভিডিও নির্দেশক খন্দকার সুমন বলেন, ‘গানটি যখন প্রথম শুনি, তখন অদ্ভুত একধরনের স্মৃতিকাতরতা অনুভব করি। সেই অনুভূতিই গানটিকে ভিজ্যুয়ালি ধারণ করাতে আগ্রহ তৈরি করে। মিউজিক ভিডিওটির শুটিং হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলীতে। ন্যারেটিভ ভিজ্যুয়াল স্টাইলে নির্মিত ভিডিওটি প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর্গত অনুভূতির মধ্যে একধরনের নীরব সংলাপ তৈরি করে।’
পালে লাগে নারে হাওয়া প্রযোজনা করেছে আইডিয়া এক্সচেঞ্জ। নির্বাহী প্রযোজক মাসুদ রানা নকীব। গানটির কপিরাইট ও প্রকাশনা স্বত্ব জি সিরিজ মিউজিকের।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য...
৬ ঘণ্টা আগে
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে। এখন তিনি ছোট পর্দার ব্যস্ততম অভিনেতাদের একজন। অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার পর ম্যাংগো স্কোয়াডের জন্য আর নিয়মিত ভিডিও বানাতে পারেননি শামীম। দেড় বছর আগে এই চ্যানেল থেকে তাঁর গাওয়া একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। সম্প্রতি আবারও ম্যাংগো স্কোয়াডের জন্য কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেতা। এবার এই ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নাটক বানিয়েছেন তিনি। নাম ‘আতা অ্যান্ড তোতা ব্রাদার্স’। এই নাটক দিয়ে নাট্য প্রযোজনায় নাম লেখালেন শামীম।
গতকাল ছিল শামীম হাসান সরকারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে প্রকাশ পেয়েছে শামীম প্রযোজিত প্রথম নাটক। আতা অ্যান্ড তোতা ব্রাদার্স নাটকের গল্প রচনা ও পরিচালনা করেছেন সহীদ উন নবী। দুই যমজ ভাইকে নিয়ে গল্প। এতে দু্ই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার। দুই নায়িকার চরিত্রে আছেন সামান্থা পারভেজ ও লামিমা লাম। আরও আছেন মাসুম বাশার, মিলি বাশার, তমাল মাহবুব প্রমুখ।
নাটক প্রযোজনা প্রসঙ্গে শামীম হাসান সরকার বলেন, ‘২০১৩ সালে ম্যাংগো স্কোয়াডের যাত্রা শুরু। এরপর অনেক ভিডিও বানিয়েছি এই প্ল্যাটফর্মের জন্য। ম্যাংগো স্কোয়াড মানুষের আবেগের জায়গা। তাই দর্শকদের জন্য এবার ম্যাংগো স্কোয়াড থেকে নাটক প্রযোজনা করলাম। মাঝে কিছুটা সময় অনিয়মিত হলেও এখন থেকে অ্যাকটিভ থাকবে ম্যাংগো স্কোয়াড।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা থেকেই নাটক প্রযোজনায় আসা। এর মধ্যে তিনটি নাটক তৈরি হয়েছে। একটি গতকাল প্রকাশিত হলো। প্রতি মাসে অন্তত একটি করে নাটক প্রযোজনার চিন্তা আছে। আশা করছি বরাবরের মতো এবারও সবাইকে পাশে পাব।’
শামীম জানান, জন্মদিনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়েই কেটেছে সময়।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে। এখন তিনি ছোট পর্দার ব্যস্ততম অভিনেতাদের একজন। অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার পর ম্যাংগো স্কোয়াডের জন্য আর নিয়মিত ভিডিও বানাতে পারেননি শামীম। দেড় বছর আগে এই চ্যানেল থেকে তাঁর গাওয়া একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। সম্প্রতি আবারও ম্যাংগো স্কোয়াডের জন্য কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেতা। এবার এই ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নাটক বানিয়েছেন তিনি। নাম ‘আতা অ্যান্ড তোতা ব্রাদার্স’। এই নাটক দিয়ে নাট্য প্রযোজনায় নাম লেখালেন শামীম।
গতকাল ছিল শামীম হাসান সরকারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে প্রকাশ পেয়েছে শামীম প্রযোজিত প্রথম নাটক। আতা অ্যান্ড তোতা ব্রাদার্স নাটকের গল্প রচনা ও পরিচালনা করেছেন সহীদ উন নবী। দুই যমজ ভাইকে নিয়ে গল্প। এতে দু্ই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার। দুই নায়িকার চরিত্রে আছেন সামান্থা পারভেজ ও লামিমা লাম। আরও আছেন মাসুম বাশার, মিলি বাশার, তমাল মাহবুব প্রমুখ।
নাটক প্রযোজনা প্রসঙ্গে শামীম হাসান সরকার বলেন, ‘২০১৩ সালে ম্যাংগো স্কোয়াডের যাত্রা শুরু। এরপর অনেক ভিডিও বানিয়েছি এই প্ল্যাটফর্মের জন্য। ম্যাংগো স্কোয়াড মানুষের আবেগের জায়গা। তাই দর্শকদের জন্য এবার ম্যাংগো স্কোয়াড থেকে নাটক প্রযোজনা করলাম। মাঝে কিছুটা সময় অনিয়মিত হলেও এখন থেকে অ্যাকটিভ থাকবে ম্যাংগো স্কোয়াড।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা থেকেই নাটক প্রযোজনায় আসা। এর মধ্যে তিনটি নাটক তৈরি হয়েছে। একটি গতকাল প্রকাশিত হলো। প্রতি মাসে অন্তত একটি করে নাটক প্রযোজনার চিন্তা আছে। আশা করছি বরাবরের মতো এবারও সবাইকে পাশে পাব।’
শামীম জানান, জন্মদিনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়েই কেটেছে সময়।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য...
৬ ঘণ্টা আগে
জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
৬ ঘণ্টা আগে