বিনোদন ডেস্ক
মন মজেছে স্টুডিও জিবলিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রত্যেকের টাইমলাইনে স্টুডিও জিবলি স্টাইলে তৈরি করা ছবি। তারকারাও গা ভাসিয়েছেন এই ট্রেন্ডে। পুরোনো সিনেমার আলোচিত দৃশ্য জিবলি স্টাইলে বানিয়ে পোস্ট করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও নতুন করে সামনে এসেছে এই ট্রেন্ডের কল্যাণে।
স্টুডিও জিবলি মূলত জাপানের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিও। উচ্চমানের অ্যানিমেটেড সিনেমা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৫ সালে হায়াও মিয়াজাকি, ইসাও তাকাহাতা ও তোসিও সুজুকির হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টুডিও জিবলি। সেই থেকে আলোচিত সব অ্যানিমেশন সিনেমা বানিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সিনেমা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের ভালোবাসা তো পেয়েছেই; অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটাসহ পেয়েছে অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।

দ্য টেল অব দ্য প্রিন্সেস কাগুয়া (২০১৩)
বাঁশের গুঁড়ির ভেতর ক্ষুদ্রাকৃতির জলপরী খুঁজে পায় এক কৃষক দম্পতি। তাদের কাছে বড় হতে থাকে সে। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে চায় অনেকে। তবে তাকে বিয়ে করতে হলে দিতে হবে ভালোবাসার প্রমাণ। এমন অনেক কাজ দেওয়া হয় তাদের, যা করা প্রায় অসম্ভব। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইসাও তাকাহাতা।

অনলি ইয়েসটারডে (১৯৯১)
শহুরে জীবনে ক্লান্ত ২৭ বছর বয়সী তাইকো ওকাজিমা। শহুরে পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে সে বেড়াতে যায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে, গ্রামে। সেখানে গিয়ে তার চোখে ভাসতে থাকে শৈশবের মধুর সব স্মৃতি। এ সিনেমাটিরও পরিচালক ইসাও তাকাহাতা।

কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস (১৯৮৯)
তের বছর বয়সী কিকি তার বিড়ালকে নিয়ে সমুদ্রতীরবর্তী একটি শহরে চলে যায়। উড়ন্ত কুরিয়ার সার্ভিস চালু করে সেখানে সে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এক সময় সে জাদুকরী ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সে ক্ষমতা ফিরে পেতে তাকে আত্মসন্দেহ কাটিয়ে উঠতে হবে। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস (১৯৮৮)
দুই ভাইবোনের লড়াইয়ের গল্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। মাকে হারায় তারা। এ পরিস্থিতিতে ছোট বোনকে রক্ষার দায়িত্ব নেয় বড় ভাই। ইসাও তাকাহাতা বানিয়েছেন সিনেমাটি।

স্প্রিটেড অ্যাওয়ে (২০০১)
মা-বাবার সঙ্গে জাপানের এক গ্রামে বেড়াতে যায় শিশু চিহিরো। ভুল করে এক জঙ্গলে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে একটি পার্ক। নানা রকম খাবারের স্টল সাজানো সেখানে। সেই খাবার খেয়ে চিহিরোর মা-বাবা শুকরে পরিণত হয়। তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকে চিহিরো। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (২০২৩)
যুদ্ধে মাকে হারায় তরুণ মোহিতো। নতুনভাবে জীবন শুরুর জন্য গ্রামে তার পারিবারিক সম্পত্তিতে যায়। সেখানে একজন জানায়, তার মা এখনো বেঁচে আছে। তার কথা বিশ্বাস করে এক পরিত্যক্ত টাওয়ারে প্রবেশ করে মোহিতো, যা তাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়। হায়াও মিয়াজাকি বানিয়েছেন সিনেমাটি।

দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অব অ্যারিটি (২০১০)
ছোট অ্যারিটি তার মা-বাবার সঙ্গে থাকে এক বাড়ির গোপন কক্ষে। ওই বাড়ির মালিকও এটা জানে না। মাঝে মাঝে খাবার সংগ্রহের জন্য বের হয়। ওই বাড়ির ছেলে শনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তৈরি হয়, কিন্তু এই সম্পর্ক অ্যারিটির পরিবারের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি ও গ্যারি রাইডস্ট্রম বানিয়েছেন সিনেমাটি।

প্রিন্সেস মনোনোকে (১৯৯৭)
বীর যোদ্ধা আশিতাকা তার গ্রামকে বাঁচাতে গিয়ে অভিশাপের শিকার হয়। অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করে সে। একপর্যায়ে যুদ্ধরত দুটি বংশের সঙ্গে সেও জড়িয়ে পড়ে। সিনেমাটির পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

মাই নেইবর টোটোরো (১৯৮৮)
দুই বোন সাতসু ও মেই। বাবার সঙ্গে থাকে। হাসপাতালে তাদের মা অসুস্থ মা। মায়ের সেরে ওঠার অপেক্ষায় তারা। বাড়ির আশপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় কিছু অদ্ভুত প্রাণীর। এ সিনেমাটিরও পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

হোয়েন মার্নি ওয়াজ দেয়ার (২০১৪)
পালক মা-বাবার জোরাজুরিতে গ্রামে বাস করতে বাধ্য হয় দুর্দশাগ্রস্ত এক মেয়ে। সেখানে মার্নি নামের এক রহস্যময় মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মার্নির সাহায্যে সে খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি বানিয়েছেন সিনেমাটি।
মন মজেছে স্টুডিও জিবলিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রত্যেকের টাইমলাইনে স্টুডিও জিবলি স্টাইলে তৈরি করা ছবি। তারকারাও গা ভাসিয়েছেন এই ট্রেন্ডে। পুরোনো সিনেমার আলোচিত দৃশ্য জিবলি স্টাইলে বানিয়ে পোস্ট করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও নতুন করে সামনে এসেছে এই ট্রেন্ডের কল্যাণে।
স্টুডিও জিবলি মূলত জাপানের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিও। উচ্চমানের অ্যানিমেটেড সিনেমা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৫ সালে হায়াও মিয়াজাকি, ইসাও তাকাহাতা ও তোসিও সুজুকির হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টুডিও জিবলি। সেই থেকে আলোচিত সব অ্যানিমেশন সিনেমা বানিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সিনেমা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের ভালোবাসা তো পেয়েছেই; অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটাসহ পেয়েছে অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।

দ্য টেল অব দ্য প্রিন্সেস কাগুয়া (২০১৩)
বাঁশের গুঁড়ির ভেতর ক্ষুদ্রাকৃতির জলপরী খুঁজে পায় এক কৃষক দম্পতি। তাদের কাছে বড় হতে থাকে সে। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে চায় অনেকে। তবে তাকে বিয়ে করতে হলে দিতে হবে ভালোবাসার প্রমাণ। এমন অনেক কাজ দেওয়া হয় তাদের, যা করা প্রায় অসম্ভব। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইসাও তাকাহাতা।

অনলি ইয়েসটারডে (১৯৯১)
শহুরে জীবনে ক্লান্ত ২৭ বছর বয়সী তাইকো ওকাজিমা। শহুরে পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে সে বেড়াতে যায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে, গ্রামে। সেখানে গিয়ে তার চোখে ভাসতে থাকে শৈশবের মধুর সব স্মৃতি। এ সিনেমাটিরও পরিচালক ইসাও তাকাহাতা।

কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস (১৯৮৯)
তের বছর বয়সী কিকি তার বিড়ালকে নিয়ে সমুদ্রতীরবর্তী একটি শহরে চলে যায়। উড়ন্ত কুরিয়ার সার্ভিস চালু করে সেখানে সে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এক সময় সে জাদুকরী ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সে ক্ষমতা ফিরে পেতে তাকে আত্মসন্দেহ কাটিয়ে উঠতে হবে। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস (১৯৮৮)
দুই ভাইবোনের লড়াইয়ের গল্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। মাকে হারায় তারা। এ পরিস্থিতিতে ছোট বোনকে রক্ষার দায়িত্ব নেয় বড় ভাই। ইসাও তাকাহাতা বানিয়েছেন সিনেমাটি।

স্প্রিটেড অ্যাওয়ে (২০০১)
মা-বাবার সঙ্গে জাপানের এক গ্রামে বেড়াতে যায় শিশু চিহিরো। ভুল করে এক জঙ্গলে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে একটি পার্ক। নানা রকম খাবারের স্টল সাজানো সেখানে। সেই খাবার খেয়ে চিহিরোর মা-বাবা শুকরে পরিণত হয়। তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকে চিহিরো। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (২০২৩)
যুদ্ধে মাকে হারায় তরুণ মোহিতো। নতুনভাবে জীবন শুরুর জন্য গ্রামে তার পারিবারিক সম্পত্তিতে যায়। সেখানে একজন জানায়, তার মা এখনো বেঁচে আছে। তার কথা বিশ্বাস করে এক পরিত্যক্ত টাওয়ারে প্রবেশ করে মোহিতো, যা তাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়। হায়াও মিয়াজাকি বানিয়েছেন সিনেমাটি।

দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অব অ্যারিটি (২০১০)
ছোট অ্যারিটি তার মা-বাবার সঙ্গে থাকে এক বাড়ির গোপন কক্ষে। ওই বাড়ির মালিকও এটা জানে না। মাঝে মাঝে খাবার সংগ্রহের জন্য বের হয়। ওই বাড়ির ছেলে শনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তৈরি হয়, কিন্তু এই সম্পর্ক অ্যারিটির পরিবারের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি ও গ্যারি রাইডস্ট্রম বানিয়েছেন সিনেমাটি।

প্রিন্সেস মনোনোকে (১৯৯৭)
বীর যোদ্ধা আশিতাকা তার গ্রামকে বাঁচাতে গিয়ে অভিশাপের শিকার হয়। অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করে সে। একপর্যায়ে যুদ্ধরত দুটি বংশের সঙ্গে সেও জড়িয়ে পড়ে। সিনেমাটির পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

মাই নেইবর টোটোরো (১৯৮৮)
দুই বোন সাতসু ও মেই। বাবার সঙ্গে থাকে। হাসপাতালে তাদের মা অসুস্থ মা। মায়ের সেরে ওঠার অপেক্ষায় তারা। বাড়ির আশপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় কিছু অদ্ভুত প্রাণীর। এ সিনেমাটিরও পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

হোয়েন মার্নি ওয়াজ দেয়ার (২০১৪)
পালক মা-বাবার জোরাজুরিতে গ্রামে বাস করতে বাধ্য হয় দুর্দশাগ্রস্ত এক মেয়ে। সেখানে মার্নি নামের এক রহস্যময় মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মার্নির সাহায্যে সে খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি বানিয়েছেন সিনেমাটি।
বিনোদন ডেস্ক
মন মজেছে স্টুডিও জিবলিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রত্যেকের টাইমলাইনে স্টুডিও জিবলি স্টাইলে তৈরি করা ছবি। তারকারাও গা ভাসিয়েছেন এই ট্রেন্ডে। পুরোনো সিনেমার আলোচিত দৃশ্য জিবলি স্টাইলে বানিয়ে পোস্ট করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও নতুন করে সামনে এসেছে এই ট্রেন্ডের কল্যাণে।
স্টুডিও জিবলি মূলত জাপানের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিও। উচ্চমানের অ্যানিমেটেড সিনেমা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৫ সালে হায়াও মিয়াজাকি, ইসাও তাকাহাতা ও তোসিও সুজুকির হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টুডিও জিবলি। সেই থেকে আলোচিত সব অ্যানিমেশন সিনেমা বানিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সিনেমা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের ভালোবাসা তো পেয়েছেই; অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটাসহ পেয়েছে অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।

দ্য টেল অব দ্য প্রিন্সেস কাগুয়া (২০১৩)
বাঁশের গুঁড়ির ভেতর ক্ষুদ্রাকৃতির জলপরী খুঁজে পায় এক কৃষক দম্পতি। তাদের কাছে বড় হতে থাকে সে। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে চায় অনেকে। তবে তাকে বিয়ে করতে হলে দিতে হবে ভালোবাসার প্রমাণ। এমন অনেক কাজ দেওয়া হয় তাদের, যা করা প্রায় অসম্ভব। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইসাও তাকাহাতা।

অনলি ইয়েসটারডে (১৯৯১)
শহুরে জীবনে ক্লান্ত ২৭ বছর বয়সী তাইকো ওকাজিমা। শহুরে পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে সে বেড়াতে যায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে, গ্রামে। সেখানে গিয়ে তার চোখে ভাসতে থাকে শৈশবের মধুর সব স্মৃতি। এ সিনেমাটিরও পরিচালক ইসাও তাকাহাতা।

কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস (১৯৮৯)
তের বছর বয়সী কিকি তার বিড়ালকে নিয়ে সমুদ্রতীরবর্তী একটি শহরে চলে যায়। উড়ন্ত কুরিয়ার সার্ভিস চালু করে সেখানে সে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এক সময় সে জাদুকরী ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সে ক্ষমতা ফিরে পেতে তাকে আত্মসন্দেহ কাটিয়ে উঠতে হবে। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস (১৯৮৮)
দুই ভাইবোনের লড়াইয়ের গল্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। মাকে হারায় তারা। এ পরিস্থিতিতে ছোট বোনকে রক্ষার দায়িত্ব নেয় বড় ভাই। ইসাও তাকাহাতা বানিয়েছেন সিনেমাটি।

স্প্রিটেড অ্যাওয়ে (২০০১)
মা-বাবার সঙ্গে জাপানের এক গ্রামে বেড়াতে যায় শিশু চিহিরো। ভুল করে এক জঙ্গলে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে একটি পার্ক। নানা রকম খাবারের স্টল সাজানো সেখানে। সেই খাবার খেয়ে চিহিরোর মা-বাবা শুকরে পরিণত হয়। তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকে চিহিরো। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (২০২৩)
যুদ্ধে মাকে হারায় তরুণ মোহিতো। নতুনভাবে জীবন শুরুর জন্য গ্রামে তার পারিবারিক সম্পত্তিতে যায়। সেখানে একজন জানায়, তার মা এখনো বেঁচে আছে। তার কথা বিশ্বাস করে এক পরিত্যক্ত টাওয়ারে প্রবেশ করে মোহিতো, যা তাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়। হায়াও মিয়াজাকি বানিয়েছেন সিনেমাটি।

দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অব অ্যারিটি (২০১০)
ছোট অ্যারিটি তার মা-বাবার সঙ্গে থাকে এক বাড়ির গোপন কক্ষে। ওই বাড়ির মালিকও এটা জানে না। মাঝে মাঝে খাবার সংগ্রহের জন্য বের হয়। ওই বাড়ির ছেলে শনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তৈরি হয়, কিন্তু এই সম্পর্ক অ্যারিটির পরিবারের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি ও গ্যারি রাইডস্ট্রম বানিয়েছেন সিনেমাটি।

প্রিন্সেস মনোনোকে (১৯৯৭)
বীর যোদ্ধা আশিতাকা তার গ্রামকে বাঁচাতে গিয়ে অভিশাপের শিকার হয়। অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করে সে। একপর্যায়ে যুদ্ধরত দুটি বংশের সঙ্গে সেও জড়িয়ে পড়ে। সিনেমাটির পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

মাই নেইবর টোটোরো (১৯৮৮)
দুই বোন সাতসু ও মেই। বাবার সঙ্গে থাকে। হাসপাতালে তাদের মা অসুস্থ মা। মায়ের সেরে ওঠার অপেক্ষায় তারা। বাড়ির আশপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় কিছু অদ্ভুত প্রাণীর। এ সিনেমাটিরও পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

হোয়েন মার্নি ওয়াজ দেয়ার (২০১৪)
পালক মা-বাবার জোরাজুরিতে গ্রামে বাস করতে বাধ্য হয় দুর্দশাগ্রস্ত এক মেয়ে। সেখানে মার্নি নামের এক রহস্যময় মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মার্নির সাহায্যে সে খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি বানিয়েছেন সিনেমাটি।
মন মজেছে স্টুডিও জিবলিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রত্যেকের টাইমলাইনে স্টুডিও জিবলি স্টাইলে তৈরি করা ছবি। তারকারাও গা ভাসিয়েছেন এই ট্রেন্ডে। পুরোনো সিনেমার আলোচিত দৃশ্য জিবলি স্টাইলে বানিয়ে পোস্ট করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও নতুন করে সামনে এসেছে এই ট্রেন্ডের কল্যাণে।
স্টুডিও জিবলি মূলত জাপানের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিও। উচ্চমানের অ্যানিমেটেড সিনেমা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৫ সালে হায়াও মিয়াজাকি, ইসাও তাকাহাতা ও তোসিও সুজুকির হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টুডিও জিবলি। সেই থেকে আলোচিত সব অ্যানিমেশন সিনেমা বানিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সিনেমা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের ভালোবাসা তো পেয়েছেই; অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটাসহ পেয়েছে অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।

দ্য টেল অব দ্য প্রিন্সেস কাগুয়া (২০১৩)
বাঁশের গুঁড়ির ভেতর ক্ষুদ্রাকৃতির জলপরী খুঁজে পায় এক কৃষক দম্পতি। তাদের কাছে বড় হতে থাকে সে। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে চায় অনেকে। তবে তাকে বিয়ে করতে হলে দিতে হবে ভালোবাসার প্রমাণ। এমন অনেক কাজ দেওয়া হয় তাদের, যা করা প্রায় অসম্ভব। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইসাও তাকাহাতা।

অনলি ইয়েসটারডে (১৯৯১)
শহুরে জীবনে ক্লান্ত ২৭ বছর বয়সী তাইকো ওকাজিমা। শহুরে পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে সে বেড়াতে যায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে, গ্রামে। সেখানে গিয়ে তার চোখে ভাসতে থাকে শৈশবের মধুর সব স্মৃতি। এ সিনেমাটিরও পরিচালক ইসাও তাকাহাতা।

কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস (১৯৮৯)
তের বছর বয়সী কিকি তার বিড়ালকে নিয়ে সমুদ্রতীরবর্তী একটি শহরে চলে যায়। উড়ন্ত কুরিয়ার সার্ভিস চালু করে সেখানে সে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এক সময় সে জাদুকরী ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সে ক্ষমতা ফিরে পেতে তাকে আত্মসন্দেহ কাটিয়ে উঠতে হবে। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস (১৯৮৮)
দুই ভাইবোনের লড়াইয়ের গল্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। মাকে হারায় তারা। এ পরিস্থিতিতে ছোট বোনকে রক্ষার দায়িত্ব নেয় বড় ভাই। ইসাও তাকাহাতা বানিয়েছেন সিনেমাটি।

স্প্রিটেড অ্যাওয়ে (২০০১)
মা-বাবার সঙ্গে জাপানের এক গ্রামে বেড়াতে যায় শিশু চিহিরো। ভুল করে এক জঙ্গলে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে একটি পার্ক। নানা রকম খাবারের স্টল সাজানো সেখানে। সেই খাবার খেয়ে চিহিরোর মা-বাবা শুকরে পরিণত হয়। তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকে চিহিরো। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (২০২৩)
যুদ্ধে মাকে হারায় তরুণ মোহিতো। নতুনভাবে জীবন শুরুর জন্য গ্রামে তার পারিবারিক সম্পত্তিতে যায়। সেখানে একজন জানায়, তার মা এখনো বেঁচে আছে। তার কথা বিশ্বাস করে এক পরিত্যক্ত টাওয়ারে প্রবেশ করে মোহিতো, যা তাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়। হায়াও মিয়াজাকি বানিয়েছেন সিনেমাটি।

দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অব অ্যারিটি (২০১০)
ছোট অ্যারিটি তার মা-বাবার সঙ্গে থাকে এক বাড়ির গোপন কক্ষে। ওই বাড়ির মালিকও এটা জানে না। মাঝে মাঝে খাবার সংগ্রহের জন্য বের হয়। ওই বাড়ির ছেলে শনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তৈরি হয়, কিন্তু এই সম্পর্ক অ্যারিটির পরিবারের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি ও গ্যারি রাইডস্ট্রম বানিয়েছেন সিনেমাটি।

প্রিন্সেস মনোনোকে (১৯৯৭)
বীর যোদ্ধা আশিতাকা তার গ্রামকে বাঁচাতে গিয়ে অভিশাপের শিকার হয়। অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করে সে। একপর্যায়ে যুদ্ধরত দুটি বংশের সঙ্গে সেও জড়িয়ে পড়ে। সিনেমাটির পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

মাই নেইবর টোটোরো (১৯৮৮)
দুই বোন সাতসু ও মেই। বাবার সঙ্গে থাকে। হাসপাতালে তাদের মা অসুস্থ মা। মায়ের সেরে ওঠার অপেক্ষায় তারা। বাড়ির আশপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় কিছু অদ্ভুত প্রাণীর। এ সিনেমাটিরও পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

হোয়েন মার্নি ওয়াজ দেয়ার (২০১৪)
পালক মা-বাবার জোরাজুরিতে গ্রামে বাস করতে বাধ্য হয় দুর্দশাগ্রস্ত এক মেয়ে। সেখানে মার্নি নামের এক রহস্যময় মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মার্নির সাহায্যে সে খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি বানিয়েছেন সিনেমাটি।

‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।
স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।
০১ এপ্রিল ২০২৫
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।
স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।
০১ এপ্রিল ২০২৫
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।
স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।
০১ এপ্রিল ২০২৫
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক


স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।
০১ এপ্রিল ২০২৫
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগে