আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ডাকসুকে অনেকেই বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে গণ্য করেন।
প্রতিষ্ঠা ও বিবর্তন
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই স্যার এ এফ রহমানের উদ্যোগে তিনটি আবাসিক হলে—মুসলিম হল, জগন্নাথ হল ও ঢাকা হল—ছাত্র সংসদ গঠিত হয়। ১৯২২-২৩ সালে এই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান লিখেছেন, প্রথম দিকে এর নাম ‘ডাকসু’ ছিল না; এই নাম জনপ্রিয় হয় ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন এর নামের সঙ্গে ‘কেন্দ্রীয়’ শব্দটি যুক্ত হয় এবং ইংরেজি আদ্যক্ষর থেকে ‘ডাকসু’ নামটি প্রচলিত হয়।
প্রতিষ্ঠার প্রথম দুই দশকে ডাকসুর মূল কাজ ছিল জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবা এবং ছাত্রদের মধ্যে আত্মোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা। তাঁরা সান্ধ্য বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন, ত্রাণকাজে অংশ নিতেন এবং প্রতি শনিবার হলগুলোতে সাহিত্য, শিল্প ও রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক সভার আয়োজন করতেন। এই সময়ে ডাকসুর নেতারা রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি না করলেও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট।
১৯৪৫-৪৬ সালে উপাচার্য পিজে হার্টগ সভাপতি, আহমেদুল কবির সহসভাপতি এবং সুধীর দত্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৪৭-৪৮ সালে সহসভাপতি হন অরবিন্দ বসু এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম আযম। এই প্রাথমিক নেতৃত্বই ডাকসুকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করে।
ডাকসুর নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন
ডাকসুর যাত্রা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বহু প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব, যাঁরা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইতিহাসের পাতায় তাঁদের নামগুলো উজ্জ্বল হয়ে আছে।
১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি নির্বাচিত হন এ এম আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জিএস হন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন রমনীকান্ত ভট্টাচার্য (ভিপি) এবং কাজী মহব্বত আলী ও আতা র খান (জিএস)। এর পরের বছরগুলোতে ডাকসুতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা কিছুটা ব্যাহত হয়, তবে ১৯৩৩-১৯৩৪ শিক্ষাবর্ষে জিএস হন ভবেশ চক্রবর্তী এবং ১৯৩৭-১৯৩৮ শিক্ষাবর্ষে আ. আওয়াল খান।
১৯৪৪-৪৫ সালে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদনের পর ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর সহসভাপতি হন আহমেদুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক সুধীর দত্ত। পরের বছর আহমেদুল কবির পদত্যাগ করলে সহসভাপতির দায়িত্ব পান ফরিদ আহমদ। ১৯৪৭-৪৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন অরবিন্দ বসু এবং জিএস গোলাম আযম। ১৯৫০ সালে এই কার্যকাল শেষ হলে কিছু সময়ের জন্য ডাকসু নির্বাচন থেমে যায়।
১৯৫৩ সালে নতুন করে গঠিত হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ বা ‘ডাকসু’। এরপর ১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভিপি হন এস এ বারী এ টি এবং জিএস হন জুলমত আলী খান। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন নিরোদ বিহারী নাগ (ভিপি), আব্দুর রব চৌধুরী (জিএস), একরামুল হক (ভিপি), শাহ আলী হোসেন (জিএস), বদরুল আলম (ভিপি) এবং মো. ফজলী হোসেন (জিএস)। ১৯৫৮-৫৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন আবুল হোসেন (ভিপি) ও এটিএম মেহেদী (জিএস)।
ষাটের দশকের শুরুতে, ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে ডাকসু পায় প্রথম নারী ভিপি জাহানারা আখতার। একই সময়ে জিএস হন অমূল্য কর। এরপর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন এবং জিএস হন মতিয়া চৌধুরী, যিনি ডাকসুর প্রথম নারী জিএস হিসেবে ইতিহাস গড়েন। ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ফেরদৌস আহমদ কোরেশী এবং জিএস শফি আহমেদ নির্বাচিত হন। ডাকসুর ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী ভিপি হিসেবে মাহফুজা খানম নির্বাচিত হন ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে। এরপর ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন তোফায়েল আহমেদ (ভিপি) ও নাজিম কামরান চৌধুরী (জিএস)।
গণ-আন্দোলনে ডাকসুর ভূমিকা
ডাকসুর ঐতিহাসিক ভূমিকার সূত্রপাত হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ডাকসু ছিল ছাত্রদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর। এটি শুধু ছাত্রদের দাবি আদায়ে কাজ করেনি, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ কারণেই এটিকে দেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অনন্য স্থানে রাখা হয়।
দীর্ঘ নীরবতা এবং বারবার বাধাগ্রস্ত নির্বাচন
স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরকারের একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯টি নির্বাচনের কথা থাকলেও মাত্র ৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচন কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ১৮ জুন, ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ এবং ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর চেষ্টায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি ১৯৯৮ সালে ডাকসু কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৫ সালে আবারও তফসিল ঘোষণা করা হয়, কিন্তু ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে সেই নির্বাচনও বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও স্বাধীনতার পর নেতৃত্ব
ডাকসুর ইতিহাসে প্রথম প্রত্যক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে, যখন ভিপি হন আ স ম আবদুর রব এবং জি এস হন আব্দুল কুদ্দুস মাখন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ডাকসুর প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস মাহবুব জামান। ১৯৭৯-৮০ এবং ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জিএস আখতারুজ্জামান। ১৯৮২-৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি আখতারুজ্জামান এবং জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু) নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং জিএস মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস খায়রুল কবির খোকন।
২০১৯ সালের নির্বাচন এবং নতুন ভোরের ইঙ্গিত
দীর্ঘ ২৮ বছর পর, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর সহসভাপতি (ভিপি) এবং ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। তবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের কারণে এই নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং বহু অভিযোগের মুখে পড়ে।
তবে সম্প্রতি একটি রক্তক্ষয়ী ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে, আর এর প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরাই। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। অন্তত ৯টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এটি যেন ডাকসুর সেই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে শিক্ষার্থীরা আবারও তাঁদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাবেন এবং জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমগ্র দেশের ছাত্ররাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ডাকসুকে অনেকেই বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে গণ্য করেন।
প্রতিষ্ঠা ও বিবর্তন
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই স্যার এ এফ রহমানের উদ্যোগে তিনটি আবাসিক হলে—মুসলিম হল, জগন্নাথ হল ও ঢাকা হল—ছাত্র সংসদ গঠিত হয়। ১৯২২-২৩ সালে এই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান লিখেছেন, প্রথম দিকে এর নাম ‘ডাকসু’ ছিল না; এই নাম জনপ্রিয় হয় ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন এর নামের সঙ্গে ‘কেন্দ্রীয়’ শব্দটি যুক্ত হয় এবং ইংরেজি আদ্যক্ষর থেকে ‘ডাকসু’ নামটি প্রচলিত হয়।
প্রতিষ্ঠার প্রথম দুই দশকে ডাকসুর মূল কাজ ছিল জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবা এবং ছাত্রদের মধ্যে আত্মোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা। তাঁরা সান্ধ্য বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন, ত্রাণকাজে অংশ নিতেন এবং প্রতি শনিবার হলগুলোতে সাহিত্য, শিল্প ও রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক সভার আয়োজন করতেন। এই সময়ে ডাকসুর নেতারা রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি না করলেও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট।
১৯৪৫-৪৬ সালে উপাচার্য পিজে হার্টগ সভাপতি, আহমেদুল কবির সহসভাপতি এবং সুধীর দত্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৪৭-৪৮ সালে সহসভাপতি হন অরবিন্দ বসু এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম আযম। এই প্রাথমিক নেতৃত্বই ডাকসুকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করে।
ডাকসুর নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন
ডাকসুর যাত্রা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বহু প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব, যাঁরা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইতিহাসের পাতায় তাঁদের নামগুলো উজ্জ্বল হয়ে আছে।
১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি নির্বাচিত হন এ এম আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জিএস হন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন রমনীকান্ত ভট্টাচার্য (ভিপি) এবং কাজী মহব্বত আলী ও আতা র খান (জিএস)। এর পরের বছরগুলোতে ডাকসুতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা কিছুটা ব্যাহত হয়, তবে ১৯৩৩-১৯৩৪ শিক্ষাবর্ষে জিএস হন ভবেশ চক্রবর্তী এবং ১৯৩৭-১৯৩৮ শিক্ষাবর্ষে আ. আওয়াল খান।
১৯৪৪-৪৫ সালে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদনের পর ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর সহসভাপতি হন আহমেদুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক সুধীর দত্ত। পরের বছর আহমেদুল কবির পদত্যাগ করলে সহসভাপতির দায়িত্ব পান ফরিদ আহমদ। ১৯৪৭-৪৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন অরবিন্দ বসু এবং জিএস গোলাম আযম। ১৯৫০ সালে এই কার্যকাল শেষ হলে কিছু সময়ের জন্য ডাকসু নির্বাচন থেমে যায়।
১৯৫৩ সালে নতুন করে গঠিত হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ বা ‘ডাকসু’। এরপর ১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভিপি হন এস এ বারী এ টি এবং জিএস হন জুলমত আলী খান। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন নিরোদ বিহারী নাগ (ভিপি), আব্দুর রব চৌধুরী (জিএস), একরামুল হক (ভিপি), শাহ আলী হোসেন (জিএস), বদরুল আলম (ভিপি) এবং মো. ফজলী হোসেন (জিএস)। ১৯৫৮-৫৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন আবুল হোসেন (ভিপি) ও এটিএম মেহেদী (জিএস)।
ষাটের দশকের শুরুতে, ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে ডাকসু পায় প্রথম নারী ভিপি জাহানারা আখতার। একই সময়ে জিএস হন অমূল্য কর। এরপর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন এবং জিএস হন মতিয়া চৌধুরী, যিনি ডাকসুর প্রথম নারী জিএস হিসেবে ইতিহাস গড়েন। ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ফেরদৌস আহমদ কোরেশী এবং জিএস শফি আহমেদ নির্বাচিত হন। ডাকসুর ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী ভিপি হিসেবে মাহফুজা খানম নির্বাচিত হন ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে। এরপর ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন তোফায়েল আহমেদ (ভিপি) ও নাজিম কামরান চৌধুরী (জিএস)।
গণ-আন্দোলনে ডাকসুর ভূমিকা
ডাকসুর ঐতিহাসিক ভূমিকার সূত্রপাত হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ডাকসু ছিল ছাত্রদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর। এটি শুধু ছাত্রদের দাবি আদায়ে কাজ করেনি, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ কারণেই এটিকে দেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অনন্য স্থানে রাখা হয়।
দীর্ঘ নীরবতা এবং বারবার বাধাগ্রস্ত নির্বাচন
স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরকারের একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯টি নির্বাচনের কথা থাকলেও মাত্র ৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচন কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ১৮ জুন, ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ এবং ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর চেষ্টায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি ১৯৯৮ সালে ডাকসু কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৫ সালে আবারও তফসিল ঘোষণা করা হয়, কিন্তু ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে সেই নির্বাচনও বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও স্বাধীনতার পর নেতৃত্ব
ডাকসুর ইতিহাসে প্রথম প্রত্যক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে, যখন ভিপি হন আ স ম আবদুর রব এবং জি এস হন আব্দুল কুদ্দুস মাখন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ডাকসুর প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস মাহবুব জামান। ১৯৭৯-৮০ এবং ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জিএস আখতারুজ্জামান। ১৯৮২-৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি আখতারুজ্জামান এবং জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু) নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং জিএস মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস খায়রুল কবির খোকন।
২০১৯ সালের নির্বাচন এবং নতুন ভোরের ইঙ্গিত
দীর্ঘ ২৮ বছর পর, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর সহসভাপতি (ভিপি) এবং ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। তবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের কারণে এই নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং বহু অভিযোগের মুখে পড়ে।
তবে সম্প্রতি একটি রক্তক্ষয়ী ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে, আর এর প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরাই। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। অন্তত ৯টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এটি যেন ডাকসুর সেই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে শিক্ষার্থীরা আবারও তাঁদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাবেন এবং জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমগ্র দেশের ছাত্ররাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগে