Ajker Patrika

ডাকসু: প্রতিষ্ঠা, বাধা ও গণ-অভ্যুত্থানের পর ফিরে আসা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ০১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন। ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ডাকসুকে অনেকেই বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে গণ্য করেন।

প্রতিষ্ঠা ও বিবর্তন

১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই স্যার এ এফ রহমানের উদ্যোগে তিনটি আবাসিক হলে—মুসলিম হল, জগন্নাথ হল ও ঢাকা হল—ছাত্র সংসদ গঠিত হয়। ১৯২২-২৩ সালে এই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান লিখেছেন, প্রথম দিকে এর নাম ‘ডাকসু’ ছিল না; এই নাম জনপ্রিয় হয় ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন এর নামের সঙ্গে ‘কেন্দ্রীয়’ শব্দটি যুক্ত হয় এবং ইংরেজি আদ্যক্ষর থেকে ‘ডাকসু’ নামটি প্রচলিত হয়।

প্রতিষ্ঠার প্রথম দুই দশকে ডাকসুর মূল কাজ ছিল জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবা এবং ছাত্রদের মধ্যে আত্মোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা। তাঁরা সান্ধ্য বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন, ত্রাণকাজে অংশ নিতেন এবং প্রতি শনিবার হলগুলোতে সাহিত্য, শিল্প ও রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক সভার আয়োজন করতেন। এই সময়ে ডাকসুর নেতারা রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি না করলেও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট।

১৯৪৫-৪৬ সালে উপাচার্য পিজে হার্টগ সভাপতি, আহমেদুল কবির সহসভাপতি এবং সুধীর দত্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৪৭-৪৮ সালে সহসভাপতি হন অরবিন্দ বসু এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম আযম। এই প্রাথমিক নেতৃত্বই ডাকসুকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করে।

ডাকসুর নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন

ডাকসুর যাত্রা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বহু প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব, যাঁরা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইতিহাসের পাতায় তাঁদের নামগুলো উজ্জ্বল হয়ে আছে।

১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি নির্বাচিত হন এ এম আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জিএস হন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন রমনীকান্ত ভট্টাচার্য (ভিপি) এবং কাজী মহব্বত আলী ও আতা র খান (জিএস)। এর পরের বছরগুলোতে ডাকসুতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা কিছুটা ব্যাহত হয়, তবে ১৯৩৩-১৯৩৪ শিক্ষাবর্ষে জিএস হন ভবেশ চক্রবর্তী এবং ১৯৩৭-১৯৩৮ শিক্ষাবর্ষে আ. আওয়াল খান।

১৯৪৪-৪৫ সালে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদনের পর ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর সহসভাপতি হন আহমেদুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক সুধীর দত্ত। পরের বছর আহমেদুল কবির পদত্যাগ করলে সহসভাপতির দায়িত্ব পান ফরিদ আহমদ। ১৯৪৭-৪৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন অরবিন্দ বসু এবং জিএস গোলাম আযম। ১৯৫০ সালে এই কার্যকাল শেষ হলে কিছু সময়ের জন্য ডাকসু নির্বাচন থেমে যায়।

১৯৫৩ সালে নতুন করে গঠিত হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ বা ‘ডাকসু’। এরপর ১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভিপি হন এস এ বারী এ টি এবং জিএস হন জুলমত আলী খান। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন নিরোদ বিহারী নাগ (ভিপি), আব্দুর রব চৌধুরী (জিএস), একরামুল হক (ভিপি), শাহ আলী হোসেন (জিএস), বদরুল আলম (ভিপি) এবং মো. ফজলী হোসেন (জিএস)। ১৯৫৮-৫৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন আবুল হোসেন (ভিপি) ও এটিএম মেহেদী (জিএস)।

ষাটের দশকের শুরুতে, ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে ডাকসু পায় প্রথম নারী ভিপি জাহানারা আখতার। একই সময়ে জিএস হন অমূল্য কর। এরপর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন এবং জিএস হন মতিয়া চৌধুরী, যিনি ডাকসুর প্রথম নারী জিএস হিসেবে ইতিহাস গড়েন। ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ফেরদৌস আহমদ কোরেশী এবং জিএস শফি আহমেদ নির্বাচিত হন। ডাকসুর ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী ভিপি হিসেবে মাহফুজা খানম নির্বাচিত হন ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে। এরপর ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন তোফায়েল আহমেদ (ভিপি) ও নাজিম কামরান চৌধুরী (জিএস)।

গণ-আন্দোলনে ডাকসুর ভূমিকা

ডাকসুর ঐতিহাসিক ভূমিকার সূত্রপাত হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ডাকসু ছিল ছাত্রদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর। এটি শুধু ছাত্রদের দাবি আদায়ে কাজ করেনি, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ কারণেই এটিকে দেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অনন্য স্থানে রাখা হয়।

দীর্ঘ নীরবতা এবং বারবার বাধাগ্রস্ত নির্বাচন

স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরকারের একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯টি নির্বাচনের কথা থাকলেও মাত্র ৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচন কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ১৮ জুন, ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ এবং ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর চেষ্টায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি ১৯৯৮ সালে ডাকসু কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৫ সালে আবারও তফসিল ঘোষণা করা হয়, কিন্তু ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে সেই নির্বাচনও বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও স্বাধীনতার পর নেতৃত্ব

ডাকসুর ইতিহাসে প্রথম প্রত্যক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে, যখন ভিপি হন আ স ম আবদুর রব এবং জি এস হন আব্দুল কুদ্দুস মাখন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ডাকসুর প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস মাহবুব জামান। ১৯৭৯-৮০ এবং ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জিএস আখতারুজ্জামান। ১৯৮২-৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি আখতারুজ্জামান এবং জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু) নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং জিএস মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস খায়রুল কবির খোকন।

২০১৯ সালের নির্বাচন এবং নতুন ভোরের ইঙ্গিত

দীর্ঘ ২৮ বছর পর, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর সহসভাপতি (ভিপি) এবং ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। তবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের কারণে এই নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং বহু অভিযোগের মুখে পড়ে।

তবে সম্প্রতি একটি রক্তক্ষয়ী ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে, আর এর প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরাই। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। অন্তত ৯টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এটি যেন ডাকসুর সেই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে শিক্ষার্থীরা আবারও তাঁদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাবেন এবং জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমগ্র দেশের ছাত্ররাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

‘প্রশ্ন ফাঁসের’ অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ, আসনপ্রতি লড়বেন ৪০ জন

  জবি প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আজ ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সময়ব্যাপী চলবে।

‎‘সি’ ইউনিটে মোট ৫২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২০ হাজার ৫৩৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন প্রায় ৪০ জন ভর্তিচ্ছু।

‎এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও ঢাকার বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭২ নম্বর থাকবে এমসিকিউ থেকে এবং বাকি ১৮ নম্বর নির্ধারিত হবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ভিত্তিতে। পরীক্ষায় ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে।

বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার আরও তিনটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাইরে কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।‎

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) এবং ২৬ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎উল্লেখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং কলা ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

‘প্রশ্ন ফাঁসের’ অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা কাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১ হাজার ৮৯১টি আসনের বিপরীতে এ বছর ১ লাখ ১৪ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকার বাইরে যে সাতটি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা হবে, সেগুলো হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

একই দিন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করে ঢাকায় স্থানান্তর করেছেন, তাঁদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার জন্য এরই মধ্যে মিরপুর ও ফার্মগেট এলাকায় তিনটি অতিরিক্ত কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমআইএসটি থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিরাপদ ও সুবিধাজনক করতে মেট্রোরেলের সময় ব্যবধান কমানো হয়েছে। এদিন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এমআইএসটি কর্তৃপক্ষ তাদের স্থাপত্য বিভাগের দ্বিতীয় পর্বের আগামীকালের পরীক্ষাটি এক দিন পিছিয়ে রোববার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত করার ব্যবস্থা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

‘প্রশ্ন ফাঁসের’ অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্রে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

খুলনা প্রতিনিধি
খুবি উপকেন্দ্রে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুবি উপকেন্দ্রে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) উপকেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন ৩ হাজার ৯৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ।

পরীক্ষা চলাকালে খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম পরীক্ষাকেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুমসমূহ পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, ভর্তি পরীক্ষার ফোকাল পয়েন্ট ও এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. মুজিবর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া কন্ট্রোল রুম ও পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিনপ্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

‘প্রশ্ন ফাঁসের’ অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘প্রশ্ন ফাঁসের’ অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের’ গুঞ্জনের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘হিসাব সহকারী’ পদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই নিয়োগ পরীক্ষা আজ শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

আজ শুক্রবার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানা যায়। তবে বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা স্থগিতের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন হিসাব সহকারী পদে অনুষ্ঠেয় ২৬ ডিসেম্বর বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সময়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। স্থগিত কা পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।

জানা গেছে, দুপুরের দিকে এ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকি ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।

ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ফেসবুকে দিয়ে মোহাম্মদ সৌরভ নামের একজন লেখেন, প্রশ্ন ফাঁস! প্রাথমিকের ‘হিসাব সহকারী’ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস। বিকেলে এ প্রশ্নেই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র বণ্টনে অব্যবস্থাপনার কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

‘প্রশ্ন ফাঁসের’ অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত