মতিউর রহমান

প্রশ্ন: গ্রিন ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে। নতুন ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। আলোকিত মানুষ তৈরি করা। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্দেশ্য। তবে উচ্চতর ডিগ্রিধারী অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে উন্নত ভৌত কাঠামো এবং পরিবেশও জরুরি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, রাজধানীর ক্যাম্পাসে চাইলেও সব ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলা হয়েছে। এটিও আমাদের শিক্ষা-সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য, পর্যায়ক্রমে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ কেমন দেখছেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাস। সে হিসেবে নিঃসন্দেহে এটি তাদের জন্য আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয় তার সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং উচ্ছ্বাস তো থাকবেই।
প্রশ্ন: শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রে আপনারা কী করে থাকেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: সহশিক্ষা কার্যক্রমকে আমরা ‘এক্সটেন্ডেট লার্নিং’ বলে থাকি। এটা মূলত শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ। কারণ, এর মাধ্যমেই আমাদের শিক্ষার্থীরা পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুত হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপক সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চার সুব্যবস্থা রয়েছে। এ জন্য নতুন ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের মাঠ। ইনডোর ও আউটডোর গেমসের সুবিধা তো থাকছেই। এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৮টি ক্লাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ডিবেটিং ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সিনে ক্লাব, ব্লাড ক্লাব, ইকো ওয়ারিয়র ক্লাব, সোশ্যাল বন্ডিং ক্লাব ও বিভাগীয় ৮ ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিয়মিতভাবে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমাদের ফুটবল টিম। বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতীয় বিতর্ক ও এটিএন বাংলা-ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট ডিবেটসহ অনেক আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিতর্কে আমাদের ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে।
প্রশ্ন: দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী সুবিধা রয়েছে?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: গ্রিন ইউনিভার্সিটি সব সময়ই দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সচেতন। এসব শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হলো, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর স্কলারশিপ সুবিধা দেওয়া। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ছাত্রীসহ বিভিন্ন কোটায় লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা।
দ্বিতীয়ত, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির বড় পদক্ষেপ হলো ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ গঠন। আমার উদ্যোগে গড়া এই ফান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তারা মাসের শুরুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ (সর্বনিম্ন ১০০ টাকা) টাকা প্রতি মাসে দিয়ে থাকেন। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রতিটি সেমিস্টারে এই ফান্ড থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকে। এই পুরো বিষয়টি দেখভালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রশ্ন: শিক্ষাক্রমের আলোকে আমাদের দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার কাজ করে থাকে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে কতটা ব্যতিক্রম? অর্থাৎ ভবিষ্যৎমুখী গবেষণার ক্ষেত্রে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পরিকল্পনা কী?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: গবেষণায় অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবিশন অ্যাওয়ার্ড’ চালু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্যোগ। এ ছাড়া গবেষণা কার্যক্রমকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চালু করা হয়েছে ‘জার্নাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম’। শিক্ষকদের গবেষণা জন্য সিআরআইটি বা সেন্টার ফর রিসার্চ, ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন নামে একটি সেন্টারও প্রতিষ্ঠা করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এর বাইরে শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধিতে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার পাশাপাশি তাঁদের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়। গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে প্রতিবছর তিনটি জার্নাল প্রকাশিত হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত লেখালেখি করেন। ফলে তাঁরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ পান।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনারা কী কী ভূমিকা পালন করছেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যোগ্য, দক্ষ ও চাকরিযোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষা, সহ-শিক্ষাসহ আধুনিক অনেক বৈশিষ্ট্যে অনন্য; যা শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। সেন্টার ফর ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি) নামে একটি সেন্টারের মাধ্যমে নিয়মিত ইন্টার্নশিপ ও চাকরির জন্য সর্বাত্মক সাহায্য করা হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করতে এই সেন্টারের উদ্যোগে প্রফেশনাল লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি কোর্সও পড়ানো হয়। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক মাসিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ক্যারিয়ার গঠনমূলক ওয়ার্কশপ, সাপ্তাহিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্টাডি ট্যুরসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করাও গ্রিন ইউনিভার্সিটির নিয়মিত কাজ। এগুলো শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশের পাশাপাশি তাঁদের কর্মজীবনকে সমৃদ্ধ করে।

প্রশ্ন: গ্রিন ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে। নতুন ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। আলোকিত মানুষ তৈরি করা। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্দেশ্য। তবে উচ্চতর ডিগ্রিধারী অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে উন্নত ভৌত কাঠামো এবং পরিবেশও জরুরি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, রাজধানীর ক্যাম্পাসে চাইলেও সব ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলা হয়েছে। এটিও আমাদের শিক্ষা-সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য, পর্যায়ক্রমে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ কেমন দেখছেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাস। সে হিসেবে নিঃসন্দেহে এটি তাদের জন্য আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয় তার সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং উচ্ছ্বাস তো থাকবেই।
প্রশ্ন: শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রে আপনারা কী করে থাকেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: সহশিক্ষা কার্যক্রমকে আমরা ‘এক্সটেন্ডেট লার্নিং’ বলে থাকি। এটা মূলত শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ। কারণ, এর মাধ্যমেই আমাদের শিক্ষার্থীরা পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুত হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপক সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চার সুব্যবস্থা রয়েছে। এ জন্য নতুন ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের মাঠ। ইনডোর ও আউটডোর গেমসের সুবিধা তো থাকছেই। এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৮টি ক্লাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ডিবেটিং ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সিনে ক্লাব, ব্লাড ক্লাব, ইকো ওয়ারিয়র ক্লাব, সোশ্যাল বন্ডিং ক্লাব ও বিভাগীয় ৮ ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিয়মিতভাবে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমাদের ফুটবল টিম। বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতীয় বিতর্ক ও এটিএন বাংলা-ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট ডিবেটসহ অনেক আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিতর্কে আমাদের ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে।
প্রশ্ন: দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী সুবিধা রয়েছে?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: গ্রিন ইউনিভার্সিটি সব সময়ই দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সচেতন। এসব শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হলো, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর স্কলারশিপ সুবিধা দেওয়া। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ছাত্রীসহ বিভিন্ন কোটায় লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা।
দ্বিতীয়ত, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির বড় পদক্ষেপ হলো ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ গঠন। আমার উদ্যোগে গড়া এই ফান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তারা মাসের শুরুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ (সর্বনিম্ন ১০০ টাকা) টাকা প্রতি মাসে দিয়ে থাকেন। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রতিটি সেমিস্টারে এই ফান্ড থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকে। এই পুরো বিষয়টি দেখভালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রশ্ন: শিক্ষাক্রমের আলোকে আমাদের দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার কাজ করে থাকে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে কতটা ব্যতিক্রম? অর্থাৎ ভবিষ্যৎমুখী গবেষণার ক্ষেত্রে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পরিকল্পনা কী?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: গবেষণায় অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবিশন অ্যাওয়ার্ড’ চালু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্যোগ। এ ছাড়া গবেষণা কার্যক্রমকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চালু করা হয়েছে ‘জার্নাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম’। শিক্ষকদের গবেষণা জন্য সিআরআইটি বা সেন্টার ফর রিসার্চ, ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন নামে একটি সেন্টারও প্রতিষ্ঠা করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এর বাইরে শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধিতে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার পাশাপাশি তাঁদের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়। গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে প্রতিবছর তিনটি জার্নাল প্রকাশিত হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত লেখালেখি করেন। ফলে তাঁরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ পান।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনারা কী কী ভূমিকা পালন করছেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যোগ্য, দক্ষ ও চাকরিযোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষা, সহ-শিক্ষাসহ আধুনিক অনেক বৈশিষ্ট্যে অনন্য; যা শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। সেন্টার ফর ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি) নামে একটি সেন্টারের মাধ্যমে নিয়মিত ইন্টার্নশিপ ও চাকরির জন্য সর্বাত্মক সাহায্য করা হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করতে এই সেন্টারের উদ্যোগে প্রফেশনাল লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি কোর্সও পড়ানো হয়। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক মাসিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ক্যারিয়ার গঠনমূলক ওয়ার্কশপ, সাপ্তাহিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্টাডি ট্যুরসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করাও গ্রিন ইউনিভার্সিটির নিয়মিত কাজ। এগুলো শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশের পাশাপাশি তাঁদের কর্মজীবনকে সমৃদ্ধ করে।

এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
১ ঘণ্টা আগে
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি, ঢাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মিটিং শেষে এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
নির্বাচন স্থগিতের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ৮টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শুরুর নির্দেশনা থাকলেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়।
এ সময় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানায় প্রশাসন। জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মিটিং শেষে এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
নির্বাচন স্থগিতের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ৮টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শুরুর নির্দেশনা থাকলেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়।
এ সময় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানায় প্রশাসন। জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। আলোকিত মানুষ তৈরি করা। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল
১৬ জুলাই ২০২৩
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১২ ঘণ্টা আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে থাকছে না শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই সরবরাহ হলেও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির সব বই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বই সরবরাহ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে দেওয়া হয় গ্রাফিতি। ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয় পেছনের কভার থেকে শেখ হাসিনার বাণী। শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ পড়ে।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ দিয়ে নাম লেখা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়েও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের (সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) নাম যুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর আরও কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ওপর একটি লেখা যুক্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হয়নি
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ছাপা হলেও সরবরাহ বাকি ৪২ শতাংশ পাঠ্যবই। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই। এই স্তরে শতভাগ পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টি এবং প্রাথমিক স্তরের (ইবতেদায়ি ছাড়া) জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৪টি বই।
এনসিটিবির কর্মকর্তা ও মুদ্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ শুরু করবে। এবার বেশি বেকায়দায় পড়বে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বই ছাপা ও সরবরাহের গতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী জানুয়ারির মধ্যেও সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন হবে।
এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহ-পূর্ব পরিদর্শনসহ (পিডিআই) আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
সূত্র বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৯০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম শ্রেণির ৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অষ্টম শ্রেণির ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অবশ্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। গত রোববার এনসিটিবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। এর আগেই প্রায় শতভাগ বই পৌঁছে যাবে।

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে থাকছে না শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই সরবরাহ হলেও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির সব বই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বই সরবরাহ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে দেওয়া হয় গ্রাফিতি। ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয় পেছনের কভার থেকে শেখ হাসিনার বাণী। শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ পড়ে।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ দিয়ে নাম লেখা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়েও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের (সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) নাম যুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর আরও কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ওপর একটি লেখা যুক্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হয়নি
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ছাপা হলেও সরবরাহ বাকি ৪২ শতাংশ পাঠ্যবই। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই। এই স্তরে শতভাগ পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টি এবং প্রাথমিক স্তরের (ইবতেদায়ি ছাড়া) জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৪টি বই।
এনসিটিবির কর্মকর্তা ও মুদ্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ শুরু করবে। এবার বেশি বেকায়দায় পড়বে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বই ছাপা ও সরবরাহের গতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী জানুয়ারির মধ্যেও সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন হবে।
এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহ-পূর্ব পরিদর্শনসহ (পিডিআই) আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
সূত্র বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৯০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম শ্রেণির ৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অষ্টম শ্রেণির ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অবশ্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। গত রোববার এনসিটিবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। এর আগেই প্রায় শতভাগ বই পৌঁছে যাবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। আলোকিত মানুষ তৈরি করা। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল
১৬ জুলাই ২০২৩
এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
১ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। আলোকিত মানুষ তৈরি করা। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল
১৬ জুলাই ২০২৩
এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
১ ঘণ্টা আগে
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। আলোকিত মানুষ তৈরি করা। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল
১৬ জুলাই ২০২৩
এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
১ ঘণ্টা আগে
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ঘণ্টা আগে