আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১১ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
১৬ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১৮ ঘণ্টা আগেশাহ বিলিয়া জুলফিকার

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ
জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।
শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি
কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ
একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা
সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি
আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ
নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়
আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ
জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।
শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি
কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ
একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা
সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি
আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ
নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়
আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১১ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
১৬ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১৮ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
৪ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
১৬ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১৮ ঘণ্টা আগেশেফাক মাহমুদ, বুটেক্স

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১১ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
১৬ ঘণ্টা আগে