
নতুন পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরাই ছিল মূল কারণ
পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও একটা পৃথিবী আছে। যে পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত বিকাশ হচ্ছে নতুন দিগন্তের। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই সময়ে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে একদম একটা নতুন পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরা এবং একই সঙ্গে নিজের মেধা ও মননকে শাণিত করার সুযোগ দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনেক বেশি। নতুন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিজের বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য দেশের বাইরে পড়াশোনার বিকল্প নেই। নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় এবং একই সঙ্গে নিজেকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পৃথিবীর জন্য গড়ে তোলার যে সুযোগ, সেটা বিবেচনায় রেখে আমার দেশের বাইরে পড়তে আসা।
জান্নাতুল আরিফ, পিএইচডি গবেষক, নর্থ-চায়না ইলেকট্রিক পাওয়ার ইউনিভার্সিটি, বেইজিং, চীন।
নিজ আয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে ছিল
আমি মনে করি না শেখার উদ্দেশ্যই হলো উপার্জন। দেশে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, এমনটা নয়। তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিদেশে পড়ার। যেমন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষার মান, অপর্যাপ্ত গবেষণাগার ও শিক্ষার উচ্চ ব্যয়। আমার বাবা ছিলেন প্রধান নৌ প্রকৌশলী। তাঁর বিদেশে পড়াশোনা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। সঙ্গে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কিছু সুবিধা সিদ্ধান্ত নিতে প্রবলভাবে সহযোগিতা করেছে। যেমন নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স শেষ হওয়া, উন্নত শিক্ষা, দক্ষ শিক্ষক, আধুনিক গবেষণাগার ও ভিনদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজেকে দক্ষ করে তোলার সুযোগ। তারপর নিজের আয়ে পড়াশোনা করার একটা সুযোগও রয়েছে।
সাইফ ফারদিন, ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বসেরা গবেষকদের সঙ্গে কাজের ইচ্ছে ছিল
বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই উন্নত মানের শিক্ষাপদ্ধতি, বহুজাতিক সংস্কৃতির সঙ্গে একত্র হতে, গবেষণা এবং ইন্টার্নশিপ ও বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী হয়। দেশে বহু স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে, বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থান এবং অন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। আমার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, উন্নত সুযোগ-সুবিধা এবং বিশ্বসেরা গবেষকদের সঙ্গে কাজের ইচ্ছা আন্তর্জাতিক শিক্ষা গ্রহণের চিন্তাকে প্রভাবিত করেছে।
সজল দাস, কম্পিউটেশনাল অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস,ফেড্রিক আলেক্সান্ডার ইউনিভার্সিটি, জার্মানি।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ
উন্নত মানের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার সুযোগ মূলত আমাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করেছে। তবে আরও কিছু বিষয় রয়েছে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এ ছাড়া হাতে-কলমে শিক্ষার প্রভাবে দক্ষ মানবশক্তি হওয়ায় বৈশ্বিক চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতায় সহজেই বিজয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বহুজাতিক সংস্কৃতি, বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান, ভিন্নধর্মী শিক্ষণপদ্ধতির ভেতর দিয়ে পাওয়া ডিগ্রিধারীদের প্রাধান্য দেয় বড় বড় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। এত সুযোগ-সুবিধা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমিত থাকার কারণে আমি বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হয়েছি।
অন্তর ঘোষ, কম্পিউটার সায়েন্স,বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত।

নতুন পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরাই ছিল মূল কারণ
পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও একটা পৃথিবী আছে। যে পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত বিকাশ হচ্ছে নতুন দিগন্তের। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই সময়ে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে একদম একটা নতুন পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরা এবং একই সঙ্গে নিজের মেধা ও মননকে শাণিত করার সুযোগ দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনেক বেশি। নতুন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিজের বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য দেশের বাইরে পড়াশোনার বিকল্প নেই। নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় এবং একই সঙ্গে নিজেকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পৃথিবীর জন্য গড়ে তোলার যে সুযোগ, সেটা বিবেচনায় রেখে আমার দেশের বাইরে পড়তে আসা।
জান্নাতুল আরিফ, পিএইচডি গবেষক, নর্থ-চায়না ইলেকট্রিক পাওয়ার ইউনিভার্সিটি, বেইজিং, চীন।
নিজ আয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে ছিল
আমি মনে করি না শেখার উদ্দেশ্যই হলো উপার্জন। দেশে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, এমনটা নয়। তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিদেশে পড়ার। যেমন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষার মান, অপর্যাপ্ত গবেষণাগার ও শিক্ষার উচ্চ ব্যয়। আমার বাবা ছিলেন প্রধান নৌ প্রকৌশলী। তাঁর বিদেশে পড়াশোনা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। সঙ্গে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কিছু সুবিধা সিদ্ধান্ত নিতে প্রবলভাবে সহযোগিতা করেছে। যেমন নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স শেষ হওয়া, উন্নত শিক্ষা, দক্ষ শিক্ষক, আধুনিক গবেষণাগার ও ভিনদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজেকে দক্ষ করে তোলার সুযোগ। তারপর নিজের আয়ে পড়াশোনা করার একটা সুযোগও রয়েছে।
সাইফ ফারদিন, ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বসেরা গবেষকদের সঙ্গে কাজের ইচ্ছে ছিল
বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই উন্নত মানের শিক্ষাপদ্ধতি, বহুজাতিক সংস্কৃতির সঙ্গে একত্র হতে, গবেষণা এবং ইন্টার্নশিপ ও বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী হয়। দেশে বহু স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে, বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থান এবং অন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। আমার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, উন্নত সুযোগ-সুবিধা এবং বিশ্বসেরা গবেষকদের সঙ্গে কাজের ইচ্ছা আন্তর্জাতিক শিক্ষা গ্রহণের চিন্তাকে প্রভাবিত করেছে।
সজল দাস, কম্পিউটেশনাল অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস,ফেড্রিক আলেক্সান্ডার ইউনিভার্সিটি, জার্মানি।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ
উন্নত মানের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার সুযোগ মূলত আমাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করেছে। তবে আরও কিছু বিষয় রয়েছে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এ ছাড়া হাতে-কলমে শিক্ষার প্রভাবে দক্ষ মানবশক্তি হওয়ায় বৈশ্বিক চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতায় সহজেই বিজয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বহুজাতিক সংস্কৃতি, বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান, ভিন্নধর্মী শিক্ষণপদ্ধতির ভেতর দিয়ে পাওয়া ডিগ্রিধারীদের প্রাধান্য দেয় বড় বড় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। এত সুযোগ-সুবিধা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমিত থাকার কারণে আমি বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হয়েছি।
অন্তর ঘোষ, কম্পিউটার সায়েন্স,বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত।

কানাডার শীর্ষ স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৫ মিনিট আগে
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

কানাডার শীর্ষ স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই স্কলারশিপ কর্মসূচিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
যেসব শিক্ষার্থী কানাডায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য এ স্কলারশিপগুলো উচ্চশিক্ষার ব্যয় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডায় পড়াশোনার পথ আরও সহজ করে দেবে।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো কানাডার অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। টরন্টো শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনটি ক্যাম্পাস সেন্ট জর্জ, স্কারবরো ও মিসিসাগায় হাজারো দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নিয়মিত জায়গা করে নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে নোবেলজয়ীসহ বহু খ্যাতিমান গবেষক, শিক্ষক ও পেশাজীবী উঠে এসেছেন।
সুযোগ-সুবিধা
শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর স্কলারশিপ খুঁজে পেতে অ্যাওয়ার্ড এক্সপ্লোরার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ ও গ্র্যান্টের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। মেধা, যোগ্যতা ও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন বিবেচনায় এসব বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রতিটি বৃত্তির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। এই প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বা দেশীয় শিক্ষার্থী, বিষয়ভিত্তিক প্রোগ্রাম, পড়াশোনার স্তরসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরি নির্বাচন করে উপযুক্ত স্কলারশিপ বেছে নিতে পারবেন।
আবেদনের যোগ্যতা
কানাডার বিভিন্ন স্কলারশিপের ক্ষেত্রে যোগ্যতার শর্তও ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি স্কলারশিপের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা ও শর্ত নির্ধারিত। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিষয়ভিত্তিক ফল, ভর্তি প্রোগ্রাম এবং কখনো কখনো জাতীয়তা বা শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাসের ওপর এসব শর্ত নির্ভর করে। কোন স্কলারশিপে আবেদন করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীর যোগ্যতা মূল্যায়ন করা হয়। আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট স্কলারশিপের মৌলিক যোগ্যতার শর্তগুলো বিস্তারিতভাবে যাচাই করা জরুরি। এসব প্রাথমিক যোগ্যতার তথ্য লিঙ্কে গিয়ে পাওয়া যাবে।
স্কলারশিপের ধরন
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ কর্মসূচি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্কলার্স প্রোগ্রাম, প্রেসিডেন্টস স্কলার্স অব এক্সেলেন্স প্রোগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা লেস্টার বি. পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব স্কলারশিপের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আলাদা করে কোনো আবেদন করতে হয় না। ভর্তি আবেদনের তথ্যের ভিত্তিতেই যোগ্য শিক্ষার্থীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কলারশিপের জন্য বিবেচনা করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো ও এর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কলেজ, অনুষদ ও বিভাগ প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার ৫০০টি বৃত্তি দিয়ে থাকে। যার মোট আর্থিক মূল্য প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার। পাশাপাশি চলমান শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার ইনকোর্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এসব স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তায় শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করতে পারেন, সেগুলো হলো ফার্মেসি, মেডিকেল রেডিয়েশন সায়েন্সেস, বায়োমেডিক্যাল কমিউনিকেশনস, মেডিসিন, আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড ডিজাইন, ডেন্টিস্ট্রি, ফিজিক্যাল থেরাপি, ফরেস্ট্রি, ইনফরমেশন, নার্সিং, আইন (ল), ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, সামাজিক বিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৪ জানুয়ারি, ২০২৬।

কানাডার শীর্ষ স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই স্কলারশিপ কর্মসূচিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
যেসব শিক্ষার্থী কানাডায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য এ স্কলারশিপগুলো উচ্চশিক্ষার ব্যয় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডায় পড়াশোনার পথ আরও সহজ করে দেবে।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো কানাডার অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। টরন্টো শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনটি ক্যাম্পাস সেন্ট জর্জ, স্কারবরো ও মিসিসাগায় হাজারো দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নিয়মিত জায়গা করে নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে নোবেলজয়ীসহ বহু খ্যাতিমান গবেষক, শিক্ষক ও পেশাজীবী উঠে এসেছেন।
সুযোগ-সুবিধা
শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর স্কলারশিপ খুঁজে পেতে অ্যাওয়ার্ড এক্সপ্লোরার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ ও গ্র্যান্টের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। মেধা, যোগ্যতা ও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন বিবেচনায় এসব বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রতিটি বৃত্তির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। এই প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বা দেশীয় শিক্ষার্থী, বিষয়ভিত্তিক প্রোগ্রাম, পড়াশোনার স্তরসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরি নির্বাচন করে উপযুক্ত স্কলারশিপ বেছে নিতে পারবেন।
আবেদনের যোগ্যতা
কানাডার বিভিন্ন স্কলারশিপের ক্ষেত্রে যোগ্যতার শর্তও ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি স্কলারশিপের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা ও শর্ত নির্ধারিত। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিষয়ভিত্তিক ফল, ভর্তি প্রোগ্রাম এবং কখনো কখনো জাতীয়তা বা শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাসের ওপর এসব শর্ত নির্ভর করে। কোন স্কলারশিপে আবেদন করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীর যোগ্যতা মূল্যায়ন করা হয়। আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট স্কলারশিপের মৌলিক যোগ্যতার শর্তগুলো বিস্তারিতভাবে যাচাই করা জরুরি। এসব প্রাথমিক যোগ্যতার তথ্য লিঙ্কে গিয়ে পাওয়া যাবে।
স্কলারশিপের ধরন
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ কর্মসূচি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্কলার্স প্রোগ্রাম, প্রেসিডেন্টস স্কলার্স অব এক্সেলেন্স প্রোগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা লেস্টার বি. পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব স্কলারশিপের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আলাদা করে কোনো আবেদন করতে হয় না। ভর্তি আবেদনের তথ্যের ভিত্তিতেই যোগ্য শিক্ষার্থীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কলারশিপের জন্য বিবেচনা করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো ও এর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কলেজ, অনুষদ ও বিভাগ প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার ৫০০টি বৃত্তি দিয়ে থাকে। যার মোট আর্থিক মূল্য প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার। পাশাপাশি চলমান শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার ইনকোর্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এসব স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তায় শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করতে পারেন, সেগুলো হলো ফার্মেসি, মেডিকেল রেডিয়েশন সায়েন্সেস, বায়োমেডিক্যাল কমিউনিকেশনস, মেডিসিন, আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড ডিজাইন, ডেন্টিস্ট্রি, ফিজিক্যাল থেরাপি, ফরেস্ট্রি, ইনফরমেশন, নার্সিং, আইন (ল), ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, সামাজিক বিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৪ জানুয়ারি, ২০২৬।

উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ, নিরাপদ পরিবেশ, গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ যাচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে।
২৩ জুন ২০২৪
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
১ দিন আগেসোহানুর রহমান, জবি

রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রার্থীসহ সবার প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
প্রচার পর্বজুড়ে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। প্রচার করা হয়েছে ইশতেহার।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। এখন একটাই প্রত্যাশা, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদ নির্বাচন। অন্যান্য ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই আমরা চাই না।’
ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের প্রচারণা ছিল জোরদার। নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের সমস্যা শুনেছি। আমরা নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। তবে নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছুটা সংশয় রয়েছে। আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।’
তরুণদের নতুন দল এনসিপির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শাহীন মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। যেখানে গেছি, শিক্ষার্থীরা বলেছেন আমরা সব সময় ক্যাম্পাসের জন্য কাজ করেছি। সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আমাদের বারবার হতাশ করেছে। আশা করি, নির্বাচনের দিন আগের সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে না।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, ‘আমরা প্রচারণার জন্য খুব কম সময় পেয়েছি। এরপরও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি এবং নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কতটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীরাও
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মিয়া বলেন, ‘এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রথম ভোট। এজন্য খুবই উৎসুক রয়েছি। এমন কোনো কিছু দেখতে চাই না, যার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়।’
আরেক শিক্ষার্থী সাহেদ সিজান বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে একটা না একটা ঝামেলা থাকেই। কিন্তু আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা শঙ্কামুক্ত নির্বাচন উপহার দেবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে ভোটারদের জন্য প্রয়োজনীয় ১২ দফা নির্দেশনা জারি করে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করছি, জকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে সম্ভব হলে সেদিনই বা ৩১ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলের গোড়ার দিকে, ১৮৬৩ সালে প্রথমে স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এ শিক্ষায়তনটির। একপর্যায়ে মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল চৌধুরীর ওপর স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে। তিনি তাঁর বাবা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে এর নামকরণ করেন। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকার এটিকে কলেজে উন্নীত করে। ২০০৫ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সরকারের অনুমোদন পায়। সেই থেকে এবারই প্রথম এর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে।

রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রার্থীসহ সবার প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
প্রচার পর্বজুড়ে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। প্রচার করা হয়েছে ইশতেহার।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। এখন একটাই প্রত্যাশা, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদ নির্বাচন। অন্যান্য ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই আমরা চাই না।’
ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের প্রচারণা ছিল জোরদার। নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের সমস্যা শুনেছি। আমরা নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। তবে নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছুটা সংশয় রয়েছে। আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।’
তরুণদের নতুন দল এনসিপির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শাহীন মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। যেখানে গেছি, শিক্ষার্থীরা বলেছেন আমরা সব সময় ক্যাম্পাসের জন্য কাজ করেছি। সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আমাদের বারবার হতাশ করেছে। আশা করি, নির্বাচনের দিন আগের সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে না।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, ‘আমরা প্রচারণার জন্য খুব কম সময় পেয়েছি। এরপরও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি এবং নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কতটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীরাও
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মিয়া বলেন, ‘এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রথম ভোট। এজন্য খুবই উৎসুক রয়েছি। এমন কোনো কিছু দেখতে চাই না, যার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়।’
আরেক শিক্ষার্থী সাহেদ সিজান বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে একটা না একটা ঝামেলা থাকেই। কিন্তু আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা শঙ্কামুক্ত নির্বাচন উপহার দেবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে ভোটারদের জন্য প্রয়োজনীয় ১২ দফা নির্দেশনা জারি করে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করছি, জকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে সম্ভব হলে সেদিনই বা ৩১ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলের গোড়ার দিকে, ১৮৬৩ সালে প্রথমে স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এ শিক্ষায়তনটির। একপর্যায়ে মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল চৌধুরীর ওপর স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে। তিনি তাঁর বাবা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে এর নামকরণ করেন। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকার এটিকে কলেজে উন্নীত করে। ২০০৫ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সরকারের অনুমোদন পায়। সেই থেকে এবারই প্রথম এর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে।

উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ, নিরাপদ পরিবেশ, গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ যাচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে।
২৩ জুন ২০২৪
কানাডার শীর্ষ স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৫ মিনিট আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন কেউ কোনো অবস্থাতেই ভোটের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটারদের অবশ্যই বৈধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হারিয়ে গেছে, তারা ভোটার তালিকার পাশে দেওয়া QR Code স্ক্যান করে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন, যা ভোট গ্রহণের দিন পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ভোটারকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোটকক্ষে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে থাকলে তা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোট শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত নিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সময় প্রত্যেক ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ও সিলকৃত তিনটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে। ব্যালট পেপার কোনোভাবেই ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে না। ভোট শেষে নির্দিষ্ট নম্বরের ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার জমা দিতে হবে।
ভোট প্রদানের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং হল শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি প্রয়োগ করা হবে। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশের নির্ধারিত ঘরে সঠিকভাবে চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্দেশনায় নির্বাহী সদস্য পদের ক্ষেত্রে ভোট প্রদানে বিশেষ সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৭ জন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদে ৪ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে। এর বেশি ভোট প্রদান করলে নির্বাহী সদস্য পদের সব ভোট বাতিল হবে।
ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের অংশ বা প্রার্থীর নামসংবলিত কোনো কাগজ রেখে আসা নিষিদ্ধ। বুথে সংরক্ষিত কলম ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর পর প্রথমাবের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন কেউ কোনো অবস্থাতেই ভোটের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটারদের অবশ্যই বৈধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হারিয়ে গেছে, তারা ভোটার তালিকার পাশে দেওয়া QR Code স্ক্যান করে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন, যা ভোট গ্রহণের দিন পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ভোটারকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোটকক্ষে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে থাকলে তা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোট শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত নিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সময় প্রত্যেক ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ও সিলকৃত তিনটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে। ব্যালট পেপার কোনোভাবেই ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে না। ভোট শেষে নির্দিষ্ট নম্বরের ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার জমা দিতে হবে।
ভোট প্রদানের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং হল শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি প্রয়োগ করা হবে। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশের নির্ধারিত ঘরে সঠিকভাবে চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্দেশনায় নির্বাহী সদস্য পদের ক্ষেত্রে ভোট প্রদানে বিশেষ সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৭ জন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদে ৪ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে। এর বেশি ভোট প্রদান করলে নির্বাহী সদস্য পদের সব ভোট বাতিল হবে।
ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের অংশ বা প্রার্থীর নামসংবলিত কোনো কাগজ রেখে আসা নিষিদ্ধ। বুথে সংরক্ষিত কলম ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর পর প্রথমাবের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ, নিরাপদ পরিবেশ, গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ যাচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে।
২৩ জুন ২০২৪
কানাডার শীর্ষ স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৫ মিনিট আগে
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
১ দিন আগেবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মেধাবী শিক্ষার্থী। এই বাস্তবতার পেছনের কারণ, এর প্রভাব এবং উত্তরণের পথ নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. মনিরুল ইসলাম।
মো. মনিরুল ইসলাম

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা
আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।
সচেতনতার অভাব
আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।
উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।
ভাষাগত মানসিক বাধা
ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।
সুযোগ হারানোর বাস্তবতা
আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উত্তরণের পথ
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা
আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।
সচেতনতার অভাব
আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।
উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।
ভাষাগত মানসিক বাধা
ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।
সুযোগ হারানোর বাস্তবতা
আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উত্তরণের পথ
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ, নিরাপদ পরিবেশ, গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ যাচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে।
২৩ জুন ২০২৪
কানাডার শীর্ষ স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৫ মিনিট আগে
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে